Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - silmi

Pages: 1 [2] 3 4 5
16
অলৌকিক কিংবা অতিপ্রাকৃত শব্দটার সাথে মানুষের পরিচিতি সেই সুদূর অতীত থেকেই। কারণে অকারণে, চাইতে কিংবা না চাইতেই যুক্তিহীন হাজারটা এমন ঘটনার সাথে মুখোমুখি হয়েছে মানুষ যেগুলোর কোন উত্তর আজ অব্দি মেলেনি। তবে উত্তরের অপেক্ষায় থাকেনি মানুষ। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছে অতিপ্রাকৃত এসব ঘটনার কারণ কিংবা অর্থ খুঁজে বের করতে। করেছে অনেক অতিপ্রাকৃত বিষয়ের ওপর গবেষণা। চলুন জেনে নিই সম্প্রতি অতিপ্রাকৃত বিষয়ে অভিজ্ঞ গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এমনই কিছু গবেষণার কথা।

 

 

কোরাল ক্যাসল রহস্য

লাটভিয়ান অ্যামেরিকান অ্যাডওয়ার্ড লিডসকালনিনের তৈরি এই প্রাসদটিতে প্রচন্ড চৌম্বক শক্তি আর রোগ সারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলে জানা যায়। বাড়িটি তৈরির সময় কারো ভেতরে প্রবেশাধিকার ছিলনা। এমনকি তৈরি হওয়ার পরেও কাউকে জানতে দেননি অ্যাডওয়ার্ড ঠিক কী দিয়ে তৈরি হয়েছে বাড়িটি। নিজের সুইট সিক্সটিনের জন্যে প্রাসাদটি নির্মান করেছেন- এ কথা বলে সবসময়েই প্রাসাদ নির্মানের পেছনের কারণ এড়িয়ে চলতেন এই রহস্যময় মানুষটি। পুরোপুরি কারো সাহায্য ছাড়া নির্মিত এই স্থাপনাটি তৈরিতে ভিনগ্রহবাসী বা অতিপ্রাকৃত শক্তিদের সাহায্য পেয়েছিলেন অ্যাডওয়ার্ড বলে মনে করেন অনেকে। এখনো সেসব শক্তির উপস্থিতি টের পাওয়া যায় প্রাসাদের ভেতরে!

 

কোরাল ক্যাসলে অতিপ্রাকৃত গবেষণা চালানো হয় এ বছরের ২৭ এপ্রিলে। প্যারানরমাল রিসার্চ এন্ড ইনভেস্টিগেশন স্টাডিজ বা পিআরআইএসের এই গবেষণাটিতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মিয়ামির পরিচালক ডেভিড পিয়ার্স রডরিগজ, অনুসন্ধানকারী ও মাধ্যম গেরার্ড লেইজার, ব্যবস্থাপক এরিক ভ্যান্ডেরলান এবং মনোবিদ অ্যানা এম. একেভেরি মৌরাও। তাদের সাথে ছিলেন টেলিভিশন প্রতিনিধি ড্যানিলো ক্যারেরা, রগার গনজালেজ ও ফার্নেন্দা কেলি।

 

১. রাতের বেলায় প্রাসাদে প্রবেশ করেন সবাই। ভিডিওটিতে কোরাল ক্যাসলের ভেতরের অংশগুলো নিয়ে একে অন্যের সাথে আলোচনা করেন তারা। পুরোটা ঘুরে দেখেন। অন্ধকার প্রাসাদের ভেতরের নানান ঘর নিয়ে মন্তব্য বেরিয়ে আসে সবার মুখ থেকে। হাতে সামান্য কিছু আলো আর ক্যামেরা ছাড়া কিছুই ছিলনা। সম্ভাব্য ভুতুড়ে স্থানগুলোতে ক্যামেরা বসানো হয় এসময়।

 

২. অ্যাডওয়ার্ডের শোবার ঘরে ক্যামেরা ঠিকঠাক করে লাগানোর পর সেটাকে ঘুরিয়ে রকিং চেয়ারের দিকে লাগানো হয়। প্রথম দিকটায় ক্যামেরায় কিছু না দেখা গেলেও হঠাৎ করে ক্যামেরার সামনে দিয়ে ছুটে যায় একটি আলোর গোলা। খালি চোখে বোঝা না গেলেও ধীর গতিতে গোলাটি আরো স্পষ্ট করে দেখতে পাওয়া যায়। বারবার ভিডিওটিতে পুরো দৃশ্যটি চালু করে দেখানো হয়। অদ্ভুত রকমের ঐ সাদা আলোর গোলাকে সাধারন ভাবার কোন রকম কারণই নেই। অন্ধকার ঘরটিতে সেরকম কোন আলো বা আলো আসবার পর্যাপ্ত জায়গাও ছিল না। তাহলে কি ওটা? উত্তর মেলেনা

17
মরিতে চাহিনা আমি এ সুন্দর ভুবনে! কবিগুরুর সাথে কন্ঠ মিলিয়ে আপনারও হয়তো বলতে ইচ্ছে হবে গলা ছেড়ে ভীষন সত্যি এই কথাটি। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হবে। কিন্তু আপনার জন্যে সত্যি বলে মনে হলেও অনেকেই আছেন পৃথিবীতে যাদের কাছে জীবনটাকে শেষ করে দেওয়াকেই জীবনের সবচাইতে বড় সত্যি বলে মনে হয়। আর এই মানুষগুলোর জন্যেই এখন অব্দি টিকে আছে কিছু সুইসাইড স্পট বা আত্মহত্যা করবার সবচাইতে পছন্দের স্থানের তালিকা!

প্রতিবছরই এই জায়গাগুলোতে এসে নিজেদের জীবনের শেষ ইচ্ছা- আত্মহত্যা করবার ইচ্ছাকে পূরণ করেন কিছু মানুষ। অসাধারণ সুন্দর এই জায়গাগুলো, যেখানে গেলে পৃথিবীকে দেখবার ইচ্ছেটা আরো বেড়ে যায়, এমনই কিছু স্থানে প্রতিনিয়ত চলে পুলিশ টহল, আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদেরকে বাঁচানোর জন্যে। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয়না। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করেন এখানে এসে। আর এমনই কিছু আত্মহত্যা করার ক্ষেত্রে সংখ্যার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা স্থানের নাম দেওয়া হল আজকের ফিচারে।

 

৬. মিহারা পাহাড়

ভাবুন তো এমন কোন স্থানের কথা, যেখানে কেবল প্রবেশের জন্যে টিকিট কাটাকে রীতিমত অপরাধ বলে মনে করা হয়! ভাবছেন এ আবার কেমন নিয়ম? কিন্তু সত্যিই এমন নিয়ম চালু রয়েছে জাপানের এই মাউন্ট মিহারাতে। সে অনেকব ছর আগের কথা। ১৯৩৩ সালের  ফেব্রুয়ারী ছিল সেটা। এক ২০ বছর বয়সী জাপানি নারী ভালোবাসার মানুষকে না পেয়ে আত্মহত্যা করে মাউন্ট মিহারায়, নিজেকে আগ্নেয়গিরির ভেতরে ছুঁড়ে ফেলে। সেই শুরু। এরপর সেই বছরেই প্রায় ১০০০ জন মানুষ আত্মহত্যা করে ঠিক একই স্থানে এসে। এটা চলতে থাকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত একইভাবে। তবে এরপরেই নানারকম কড়া নিয়ম বেঁধে দেয় কতৃপক্ষ স্থানটির ব্যাপারে। যার ভেতরে অন্যতম একটি হচ্ছে এখানকার প্রবেশ টিকিট। একই সাথে ঢোকার আর বেরোবার টিকিট না কিনলে প্রবেশের অনুমতি মেলেনা মাউন্ট মিহারায়। এতে করে আত্মহত্যার পরিমাণ খানিকটা কমেছে বটে। কিন্তু কেউ আত্মহত্যা করতে চাইলে সামান্য টিকিটের টাকা কি তাকে আটকাতে পারে?

 

৭. নায়াগ্রা জলপ্রপাত

জলপ্রপাতটির ইতিহাসের ওপরে বিশেষজ্ঞ পল গ্রোমোসিয়াকের দেওয়া সংখ্যানুসারে ১৮৫৬ থেকে ১৯৯৫ সালের ভেতরে পৃথিবীর অপূর্ব সুন্দর একটি স্থান নায়াগ্রা ফলসে এখন অব্দি আত্মহত্যা করেছে মোট ২,৭৮০ জন। তবে সেটা কেবল হিসেব আছে যাদের। গত বিশ বছরে সেটা বিন্দুমাত্র কমেনি, বরং একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। অনেক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চেষ্টা করেছেন নিজ নিজ ভাবে এখানে আত্মহত্যা করার কারণ বের করতে। তাদের বেশিরভাগেরই ধারণা, আবেগময় আর ভালোবাসাপূর্ণ সৌন্দর্যময় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতেই নিজেদের আত্মহত্যার স্থান হিসেবে নায়াগ্রাকে বেছে নেন অনেকে।

 

৮. লন্ডন পাতাল রেল

যাতায়াতের জন্যে লন্ডন পাতাল রেলে সবসময় মানুষের যাতায়াত থাকলেও আরো একটি কারণে এটি এগিয়ে আছে অন্যসব পাতাল রেলের চাইতে। আর সেটা হচ্ছে এখানে হরহামেশা ঘটে যাওয়া আত্মহত্যার ঘটনা। প্রায় দিনই রেলের নীচে লাফিয়ে আত্মহত্যা করা অনেকটাই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গিয়েছে এখানে।  ২০০০ সালের পর প্রতিবছর গড়ে ৮৪ জন মানুষ আত্মহত্যা করছে লন্ডনের পাতাল রেলে। তবে প্রায় সব স্থানেই এমনটা চলতে থাকলেও আত্মহত্যার জন্যে পাতাল রেলগুলোর ভেতরে কিং ক্রস সেইন্ট প্যানক্রাসকেই বেশি পছন্দ মানুষের। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের ভেতরে মোট ১৪৫ জন মানুষ ঝাঁপ দেয় এখানে আত্মহত্যার জন্যে।

 

৯. নানজিং ইয়াংগটজ রিভার ব্রিজ

প্রকৌশল কর্মের অন্যতম বড় নিদর্শন চীনের এই নানজিং রিভার নির্মিত হয় ১৯৬৯ সালে। তখন চীনের সবার জন্যে অন্যতম গর্ব আর ভালোলাগার ব্যাপার ছিল এটা। কিন্তু কেউ কি তখন জানতো যে কিছুদিনের ভেতরেই কুখ্যাত আত্মহত্যার স্থানের তালিকার একেবারে প্রথমদিকে চলে আসবে এটি। এটিই একমাত্র সেতু যেটাকে আত্মহত্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর সবচাইতে ভয়ংকর স্থান বলে অভিহিত করা হয়। ১৯৬৯ সালের পর থেকে একন অব্দি প্রায় ২,০০০ মানুষ আত্মহত্যা করে এখান থেকে লাফিয়ে।

18
 বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে নানারকম স্থাপনা। মানুষ সবসময়েই চেষ্টা করেছে নিজের কারিগরী দিয়ে আরো সুন্দর আর মনোরম কিছু তৈরি করতে। কিন্তু সেসবই মাটির ওপরে। কিন্তু প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ মাঝে মাঝে মাটির ওপরের এই স্থাপনাগুলোকে টেনে নিয়ে গিয়েছে নীচে। তাদের কোনটা গিয়েছে হারিয়ে। আর কোনটা রয়ে গিয়েছে পানির তলাতেই। জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। আসুন জেনে নিই এমনই প্রশ্নে ভরা রহস্যময় পাঁচ ডুবন্ত স্থাপনা কথা। আজকে রইল সিরিজের প্রথম পর্ব- "ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট"।

 

ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট আসলে যেমন

রিইউকু দ্বীপের দক্ষিণে ইয়োনাগুনি দ্বীপের কাছাকাছি অবস্থিত পৃথিবীর সবচাইতে রহস্যময় ডুবন্ত স্থাপনাটি হচ্ছে এই ইয়ানোগুনি মনুমেন্ট। জাপানের মানুষের কাছে যার আরেক নাম ইয়োনাগুনির ডুবন্ত ধ্বংসাবশেষ। একদম ঠিকঠাক আকৃতি, সোজা দেয়াল, সিঁড়ি, কলাম, মানুষের মুখ খোদাই করা পাথর- কী নেই এখানে! ১৯৮৭ সালে প্রথম খোঁজ পাওয়া যায় এই স্থাপনাটির যা কিনা সেসময় প্রচন্ড সাড়া ফেলে দেয়। প্রথমটায় অনেকে একে প্রকৃতির কোন খেয়াল ভেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু আবিষ্কারের পরপরই সেখানে পাড়ি জমান বিজ্ঞানীরা আর জানান এটা মানুষের তৈরি। তাদের মতে ১০,০০০ বিসিতে এ স্থানটি ছিল পানির ওপরে। তবে কালের বিবর্তনে এবং ভূমিকম্পের মুখে পড়ে ২,০০০ বছর পূর্বে ডুবে যেতে বাধ্য হয় ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট।

 

ধ্বংসাবশেষের আবিষ্কার

শীতকালে ইয়োনাগুনি সাগরে ডাইভিং করা আশেপাশের মানুষদের জন্যে বেশ আকর্ষণীয় কাজ। আর তাই প্রতিবারই শীতকালে এর চারপাশে ভীড় করে বসে হাজার হাজার মানুষ। সেবারও এর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। সাগরের হাঙ্গর মাছকে আরো একটু কাছ থেকে দেখতে সমুদ্রে গিয়েছিলেন পর্যটন সংস্থার পরিচালক কিহাচিরো আরাটাকে। আর সেখানেই হঠাৎ চোখে বাঁধে তার পানির নীচের স্থাপনাটি। খবর ছড়িয়ে পড়ে। চলে যায় রিইউকু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের প্রফেসর মাসাকি কিমুরার কাছেও। দলবল নিয়ে রওনা হন তিনি ধ্বংসাবশেষের কাছে আর নিশ্চিত করেন ইয়োনাগুনি মনুমেন্টের কথা।

 

কী কী আছে?

কয়েক হাজার বছর আগে তৈরি হওয়া এই মনুমেন্টের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ২৭ মিটার লম্বা বিশাল একটি চারকোনা স্থাপনা। এছাড়াও এতে রয়েছে দুটো খুব কাছাকাছি দাড়িয়ে থাকা স্তম্ভ, প্রায় ৫ মিটার বিস্তৃত শৈলস্তর, পাথরের একটি ৭ মিটার লম্বা স্তম্ভ, প্লাটফর্ম, এল আকৃতির পাথরসহ আরো অনেককিছু। কিমুরার কথানুসারে এই স্থানগুলো বেশ কয়েকটি মন্দির, একটি খেলার মাঠ, রাস্তা ও পানির ব্যবস্থাসহ আরো বেশকিছু জিনিসের  প্রদর্শন করে।

 

তবে প্রফেসর কিমুরার যথেষ্ট জোর দেওয়া সত্ত্বেও এখনো অব্দি তর্ক শেষ হয়নি ইয়োনাগুনি মনুমেন্টের নির্মানের কারণ নিয়ে। মানুষ নাকি প্রকৃতি? কার হাতে তৈরি হয়েছে অসাধারণ সৌন্দর্যে ভরা পানির নীচের এই মনুমেন্টটি? রহস্য এখনো থেকে গিয়েছে রহস্যই!

19
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে নানারকম স্থাপনা। মানুষ সবসময়েই চেষ্টা করেছে নিজের কারিগরী দিয়ে আরো সুন্দর আর মনরোম কিছু তৈরি করতে। কিন্তু সেসবই মাটির ওপরে। কিন্তু প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ মাঝে মাঝে মাটির ওপরের এই স্থাপনাগুলোকে টেনে নিয়ে গিয়েছে নীচে। তাদের কোনটা গিয়েছে হারিয়ে। আর কোনটা রয়ে গিয়েছে পানির তলাতেই। জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। আসুন জেনে নিই এমনই প্রশ্নে ভরা রহস্যময় পাঁচ ডুবন্ত স্থাপনা কথা। আজকে রইল সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব- বিমিনি রোড।

 
এই কী সেই আটলান্টিস?

গ্রীক পৌরাণিককাহিনীকে অনুসরণ করে আজ অব্দি মানুষ সাগরের এখান থেকে ওখানে খুঁজে বেড়াচ্ছে আটলান্টিস সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ। সময়ে সময়ে পানির নীচে খুঁজে পাওয়া অনেক ধ্বংসাবশেষের সাথেই তাই আটলান্টিসের যোগসূত্র মেলাতে চেয়েছে তারা। এ তালিকা থেকে বাদ পড়েনি বিমিনি রোডও। কিন্তু সত্যিই কি এটা হারিয়ে যাওয়া আটলান্টিসের অংশ?

 
বিমিনি রোড

বাহামা দ্বীপপুঞ্জের কাছে অবস্থিত উত্তর বিমিনির ধারে পানির গভীরে অবস্থিত অন্যতম একটি রহস্যময় স্থাপনার নাম এই বিমিনি রোড। জে আকৃতির প্রায় ০.৫ মাইল এই স্থাপনাটিতে রয়েছে বিশাল কিছু চারকোনা আর আধ চারকোনা ব্লক। যেগুলোকে বসানোও হয়েছে জ্যামিতিক হিসেবে। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন এটি মানুষের স্থাপনা নয়। প্রকৃতিকেই এর পেছনে থাকা কারণ বলে মনে করেন তারা। তবে অন্যদের মতে প্রকৃতির পক্ষে এতটা নিয়ম মেনে কোন স্থাপনা করা সম্ভব নয়। তারা মানুষের সৃষ্টি বলেই মনে করেন বিমিনি রোডকে। ভাবেন প্রাচীন কোন মন্দির বা স্থাপনার অংশ এটি। বিশেষ করে আটলান্টিসের অংশ বলেও মনে করা হয় একে।

 
আবিষ্কারের গল্প

উত্তর বিমিনিদ্বীপের আশাপাশে সাঁতার কাটবার সময় হঠাৎ করেই এক ডাইভার আবিষ্কার করে বসে সাগর থেকে ১৮ ফুট নীচে অবস্থিত মানুষের তৈরি ১৮ টি পাথরকে। সেটা ছিল ১৯৬৮ সাল। বিমিনি রোডকে নিয়ে হৈ চৈ এর সেই শুরু। প্রায় আধ মাইল পর্যন্ত রাস্তার মতন করে সাজানো রয়েছে পাথরগুলো। বিশেষজ্ঞরা ছুটে আসেন খবর পেয়ে। দেয়াল বা রাস্তার অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেন তারা ধ্বংসাবশেষটিকে। সবার মনে আশা জেগে ওঠে আটলান্টিসকে পাওয়ার। তবে সবার এত আশায় পানি ঢেলে দেন বিমিনিকে মানুষ নয়, প্রকৃতির সৃষ্টি বলে দাবী করা বিশেষজ্ঞরা।

 
মানুষ নাকি প্রকৃতি- স্রষ্টা কে?

সাই ফাই চ্যানেল থেকে বিমিনি রোডের ওপর করা একটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায় যে কেবল এই পাথরই নয়, এদের নীচেও রয়েছে ঠিক একই আকৃতির কিছু চারকোনা পাথর। আর তাই খুব সহজেই ধারণা করা হয় এটা কোন একটি দেয়ালের অংশ। সুতরাং, এটি মানুষের তৈরি। কিন্তু সেখানেও এটা কিন্তু রয়ে যায়। পানির ক্রমাগত ধাক্কাই পাথরের নীচে একই আকৃতির পাথর তৈরি করতে সাহায্য করেনি তো? প্রশ্নের উত্তর জানান যায়নি। বরং আটলান্টিসের অংশ হওয়ার সম্ভাব্যতা নিয়ে আরো অনেক বেশি রহস্যময় অন্ধকারেই চলে গিয়েছে বিমিনি রোড!

20
গাড়ি-ঘোড়ার যানজটবিহীন এমন কোন স্থানে কতদিন থাকতে চাইবেন আপনি? বা ধরুন ভ্রমণই। হ্যাঁ, এরকম স্থান পৃথিবীতেই আছে। রীতিমত শহরাঞ্চলেই আছে।

নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডামের ৭৫ মাইল উত্তরের গিথুর্ন শহরকে আষ্টেপৃষ্ঠে আছে এতগুলো খাল যে যাতায়াতের জন্য আছে প্রায় ১৮০টি সেতু। আর যাতায়াতের জন্য আছে তিনটি মাধ্যম: পায়ে, বাইকে অথবা নৌকায়।

সৌন্দর্য ও রোমান্টিকতার জন্য শহরটিকে ‘ডাচ ভেনিস’ বলা হয়ে থাকে। এমন সুন্দর শহরকে নৌকায় বা হেঁটে আবিষ্কারের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে কে না চাইবে।

21
 বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে নানারকম স্থাপনা। মানুষ সবসময়েই চেষ্টা করেছে নিজের কারিগরী দিয়ে আরো সুন্দর আর মনোরম কিছু তৈরি করতে। কিন্তু সেসবই মাটির ওপরে। কিন্তু প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ মাঝে মাঝে মাটির ওপরের এই স্থাপনাগুলোকে টেনে নিয়ে গিয়েছে নীচে। তাদের কোনটা গিয়েছে হারিয়ে। আর কোনটা রয়ে গিয়েছে পানির তলাতেই। জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। আসুন জেনে নিই এমনই প্রশ্নে ভরা রহস্যময় পাঁচ ডুবন্ত স্থাপনা কথা। আজ রইল সিরিজের তৃতীয় পর্ব- "কিউবার রহস্যময় ডুবন্ত শহর"।

পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার হাজার শহর। তাদের সবারই রয়েছে নিজ নিজ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, দর্শনীয় স্থান আর আরো নানারকম বিশেষত্ব। কিন্তু হলফ করে বলে দেওয়া যায় যে তাদের কোনটাই বিশেষত্বের দিক দিয়ে কিউবার এই শহরের ধারে কাছে নয়। আর থাকবেই বা কী করে? শহর সে যেরকমটাই হোকনা কেন, পানির নীচে নিশ্চয় থাকবে না। কিন্তু শহর সম্পর্কে সবার এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় ২০০১ সালে। ২০০১ সালেই পশ্চিম কিউবার কাছে পানির ২,০০০ ফুট নীচে অবস্থিত একটি শহরের খোঁজ পাওয়া যায়। যেটা কিনা আজকে কিউবার ডুবন্ত শহর নামে পরিচিত।

রহস্যের খাসমহল

২০০১ সালের ১৪  মে ছিল দিনটি। সেদিনই হঠাত্ এক কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান “ অ্যাডভান্সড ডিজিটাল কমিউনিকেশন “ এর পক্ষ থেকে একটি জরিপ কাজ চালানোর সময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পউলিন জালিটজকি ও তার স্বামী পল ওয়েজেওয়েগ পানির নীচে এক আশ্চর্য স্থাপনা খুঁজে পান ক্যারাবীয়ান সর্ববৃহত্ দ্বীপ পশ্চিম কিউবায়। নানারকম অনুসন্ধানের পর পিরামিড, বারান্দা, রাস্তা, ঘর- কি না খুঁজে পায় মানুষ সেখানে! স্থাপনার গঠন আর আকৃতি দেখে মনে করা হয় ছোটখাটো কোন ব্যাপার নয়, বরং গোটা একটা সভ্যতাই বিকশিত হচ্ছিল এখানে। পুরোদস্তুর একটা শহরকে আবিষ্কার করে পৃথিবী।

ভূমির আকৃতি দেখে বিশেষজ্ঞরা জানান একটা সময় মাটির ওপরেই ছিল স্থাপনাটি। তাহলে কী করে এভাবে ডুবে গেল এটি? সঠিক উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের মতানুসারে কিউবার ডুবন্ত শহরটির এভাবে ডুবে যেতে এর সময় লেগেছে প্রায় ৫০,০০০ বছর। কিন্তু এত বছর আগে এতটা উন্নত প্রযুক্তি কিংবা চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা ছিলনা মানুষের। ছিলনা প্রকৌশলগত এতটা জ্ঞান। তাহলে কে নির্মান করেছিল এমন একটি শহর? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও অনেকে অতিপ্রাকৃতিক বা ভিনগ্রহবাসীদের ঘাড়ে এর কৃতিত্বটা দিতে চান।

মনে আছে তো আটলান্টিস শহরের কথা? হারিয়ে যাওয়া সেই শহরের সাথেও মেলাতে চান অনেকে খুঁজে পাওয়া ডুবন্ত শহরকে। কেউ আবার পুরোটা ব্যাপারকেই প্রকৃতির কারসাজি ভাবেন। কিন্তু সত্যিটা আসলে কি? নিজের রহস্যকে নিজের কাছে রেখে এখনো চুপচাপ শান্তভাবে পানির নীচে বসে আছে নিরুত্তর ডুবন্ত শহর।

22
 বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে নানারকম স্থাপনা। মানুষ সবসময়েই চেষ্টা করেছে নিজের কারিগরী দিয়ে আরো সুন্দর আর মনোরম কিছু তৈরি করতে। কিন্তু সেসবই মাটির ওপরে। কিন্তু প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ মাঝে মাঝে মাটির ওপরের এই স্থাপনাগুলোকে টেনে নিয়ে গিয়েছে নীচে। তাদের কোনটা গিয়েছে হারিয়ে। আর কোনটা রয়ে গিয়েছে পানির তলাতেই। জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। আসুন জেনে নিই এমনই প্রশ্নে ভরা রহস্যময় পাঁচ ডুবন্ত স্থাপনা কথা। আজ রইল সিরিজের তৃতীয় পর্ব- "কিউবার রহস্যময় ডুবন্ত শহর"।

পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার হাজার শহর। তাদের সবারই রয়েছে নিজ নিজ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, দর্শনীয় স্থান আর আরো নানারকম বিশেষত্ব। কিন্তু হলফ করে বলে দেওয়া যায় যে তাদের কোনটাই বিশেষত্বের দিক দিয়ে কিউবার এই শহরের ধারে কাছে নয়। আর থাকবেই বা কী করে? শহর সে যেরকমটাই হোকনা কেন, পানির নীচে নিশ্চয় থাকবে না। কিন্তু শহর সম্পর্কে সবার এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় ২০০১ সালে। ২০০১ সালেই পশ্চিম কিউবার কাছে পানির ২,০০০ ফুট নীচে অবস্থিত একটি শহরের খোঁজ পাওয়া যায়। যেটা কিনা আজকে কিউবার ডুবন্ত শহর নামে পরিচিত।

রহস্যের খাসমহল

২০০১ সালের ১৪  মে ছিল দিনটি। সেদিনই হঠাত্ এক কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান “ অ্যাডভান্সড ডিজিটাল কমিউনিকেশন “ এর পক্ষ থেকে একটি জরিপ কাজ চালানোর সময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পউলিন জালিটজকি ও তার স্বামী পল ওয়েজেওয়েগ পানির নীচে এক আশ্চর্য স্থাপনা খুঁজে পান ক্যারাবীয়ান সর্ববৃহত্ দ্বীপ পশ্চিম কিউবায়। নানারকম অনুসন্ধানের পর পিরামিড, বারান্দা, রাস্তা, ঘর- কি না খুঁজে পায় মানুষ সেখানে! স্থাপনার গঠন আর আকৃতি দেখে মনে করা হয় ছোটখাটো কোন ব্যাপার নয়, বরং গোটা একটা সভ্যতাই বিকশিত হচ্ছিল এখানে। পুরোদস্তুর একটা শহরকে আবিষ্কার করে পৃথিবী।

ভূমির আকৃতি দেখে বিশেষজ্ঞরা জানান একটা সময় মাটির ওপরেই ছিল স্থাপনাটি। তাহলে কী করে এভাবে ডুবে গেল এটি? সঠিক উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের মতানুসারে কিউবার ডুবন্ত শহরটির এভাবে ডুবে যেতে এর সময় লেগেছে প্রায় ৫০,০০০ বছর। কিন্তু এত বছর আগে এতটা উন্নত প্রযুক্তি কিংবা চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা ছিলনা মানুষের। ছিলনা প্রকৌশলগত এতটা জ্ঞান। তাহলে কে নির্মান করেছিল এমন একটি শহর? শুনতে অদ্ভুত লাগলেও অনেকে অতিপ্রাকৃতিক বা ভিনগ্রহবাসীদের ঘাড়ে এর কৃতিত্বটা দিতে চান।

মনে আছে তো আটলান্টিস শহরের কথা? হারিয়ে যাওয়া সেই শহরের সাথেও মেলাতে চান অনেকে খুঁজে পাওয়া ডুবন্ত শহরকে। কেউ আবার পুরোটা ব্যাপারকেই প্রকৃতির কারসাজি ভাবেন। কিন্তু সত্যিটা আসলে কি? নিজের রহস্যকে নিজের কাছে রেখে এখনো চুপচাপ শান্তভাবে পানির নীচে বসে আছে নিরুত্তর ডুবন্ত শহর।

23
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে নানারকম স্থাপনা। মানুষ সবসময়েই চেষ্টা করেছে নিজের কারিগরী দিয়ে আরো সুন্দর আর মনরোম কিছু তৈরি করতে। কিন্তু সেসবই মাটির ওপরে। কিন্তু প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ মাঝে মাঝে মাটির ওপরের এই স্থাপনাগুলোকে টেনে নিয়ে গিয়েছে নীচে। তাদের কোনটা গিয়েছে হারিয়ে। আর কোনটা রয়ে গিয়েছে পানির তলাতেই। জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের। আসুন জেনে নিই এমনই প্রশ্নে ভরা রহস্যময় পাঁচ ডুবন্ত স্থাপনার কথা। আজকে রইল সিরিজের চতুর্থ পর্ব- পাভলোপেত্রি!

পৃথিবীর সবচাইতে পুরোনো শহরের নাম কি? মাটির ওপরে থাকা রোদে পোড়া কোন শহরের নাম নিশ্চয়ই উঁকি ঝুঁকি মারছে আপনার মাথায়? কিন্তু এখন আর সেই চিরাচরিত শহর নয়, শোনাবো লোনা পনিতে ভেজা এক শহরের কথা, যেটা কিনা ৫,০০০ বছরের পুরোনো আর পৃথিবীর সবচাইতে পুরোনো ডুবন্ত শহর হিসেবেও পরিচিত। আর সেই শহরটির নাম হচ্ছে পাভলোপেত্রি!
অবস্থান

গ্রীসের পেলোপনেশিয়ার দক্ষিণ ল্যাকোনিয়ায় পানির নীচে অবস্থিত পাভলোপেত্রির সত্যিকারের নামটা কখনো জানা হয়ে ওঠেনি কারো। নতুন করেই নাম দিয়েছে শহরটিকে মানুষ। ১৯০৪ সালে ফোকিয়োনোস নেগ্রিস প্রথম আবিষ্কার করেন এই পানির নীচের শহরটিকে। এরপর তার আবিষ্কারকে ১৯৬৭ সালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন নিকোলাস ফ্লেমিং। বর্তমানে এটি এলাফোনিসস গ্রাম আর পাভলোপেত্রি নামক একটি ছোট্ট দ্বীপের মাঝখানে রয়েছে।
শহরের টুকিটাকি

৫,০০০ বছর পুরোনো হলে কি হবে, বর্তমান শহরগুলোর চাইতে কোনো দিক দিয়েই কম নয় পাভলোপেত্রি। কি নেই এখানে? ৩২২,৯১৭ বর্গমাইলের এই শহরে রাস্তা, দালান, মন্দির- মোটকথা, পুরো শহরের নকশাই সাজানো আছে এতে। যা দেখলে চোখ কপালে উঠবে অনেকেরই। ব্রোঞ্জ যুগের এই শহরটি ১০০০ বিসিতে পরপর ঘটে যাওয়া তিনটি ভূমিকম্পের কবলে পড়ে একেবারের মতন ডুবে যায়। যেটা এরপর আর জেগে ওঠেনি কখনোই। তবে ডুবে যাওয়ার আগেই কৃষি, কাপড় বোনাসহ আরো অনেক অনেক দক্ষতা দেখিয়ে গিয়েছে এখানকার মানুষেরা তাদের কাজে। শুধু তাই নয়, পাভলোপেত্রির মানুষেরা ব্যবসা নিয়েও বেশ এগিয়ে ছিল বলে জানা যায়। বর্তমানে নৌকো করে চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন পর্যটকেরা এই অসম্ভব সুন্দর স্থাপনাটি থেকে। তবে কেবল পর্যটকদেরই নয়, ইউনেস্কোর কাছ থেকেও বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হওয়ার সম্মান মিলেছে পাভলোপেত্রি শহরের ভাগ্যে।
চিরচেনা আটলান্টিস রহস্য

অনেক অনেক কাল আগে আটলান্টিস বলে এক সভ্যতার কথা জানতে পারা যায় গ্রীকদের পৌরাণিক কাহিনী থেকে। যার সত্যতা নিয়ে লিখেছেন প্লেটোও। সেই প্রাচীন কাল থেকে মানুষ খুঁজে ফিরছে আটলান্টিসকে। যখনই ডুবন্ত কোন শহরকে পাওয়া যায় সেটার সাথে আটলান্টিসের যোগসূত্র বের করার চেষ্টা করে মানুষ। আর তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি পাভলোপেত্রির ক্ষেত্রেও! যতোটা পারা যায় চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞরা পাভলোপেত্রি আগে কেমন ছিল সেটা দোখানোর। চেষ্টা মোটামুটি সফলও হয়েছে। তবে এটা আটলান্টিসের কোন অংশ ছিল কিনা সেটা আজ অব্দি বের করতে পারেন নি তারা।

24
শীত আসছে আর এ সময়টায় অনেকেই ছুটি কাটাতে বেড়িয়ে আসেন শহরের বাইরে। তবে ছুটিতে যাবার আগে খুব দরকারি একটা কাজ করতে ভুলে গেছেন আর তার দুশ্চিন্তায় পুরো ছুটিটাই মাটি- এমন ঘটনাও ঘটে খুব। তাই মোটেই ভুলে যাওয়া যাবে না এই কাজগুলোকে।
১) বিল শোধ করে ফেলুন

ছুটিতে যাবার আগে সেই মাসের বিলগুলো দিয়ে ফেলুন। নয়তো দেখা যাবে ছুটি শেষ করে আসতে আসতে বিল দেবার তারিখ পার হয়ে গেছে।
২) ওয়ালেট থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বের করে ফেলুন

পুরনো বিভিন্ন রিসিপ্ট, বাজারের লিস্ট, আগের ছুটির বাস/ট্রেন/প্লেন টিকেট ইত্যাদি বের করে ফেলুন ওয়ালেট বা পার্স থেকে। এগুলো পরে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।
৩) দরকারি ডকুমেন্ট কপি করে রাখুন

বিশেষ করে দেশের বাইরে বেড়াতে গেলে এই কাজটি অবশ্যই করবেন। আপনার আইডি, পাসপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড এগুলোর ফটোকপি করে রাখুন। স্ক্যান করে সেই কপি আপনার ইমেইলেও সেভ করে রাখতে পারেন।
৪) অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করুন

ডাক্তার, ডেন্টিস্ট অথবা অন্য কোনো জায়গায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকলে সেটা মনে করে ক্যান্সেল করে যান। আপনার অফিসেও যদি কোনো মিটিং এ বসার কথা থাকে তাহলে জানিয়ে যান তা হচ্ছে না।
৫) সুইচ অফ

বাড়ি থেকে বের হবার আগে অবশ্যই সবকিছুর সুইচ বন্ধ করে যাবেন। সব ইলেকট্রনিক জিনিস প্লাগ খুলে রাখবেন। এতে শক্তি এবং টাকা দুটোই বাঁচবে।
৬) লিস্ট চেক করুন

কি কি নেওয়া লাগবে সাথে তার জন্য একটা লিস্ট তৈরি করে রাখুন আগে থেকেই। বের হবার আগে ভালো করে কয়েক বার এই লিস্ট চেক করে নিন। দরকারি ওষুধ সাথে করে নিতে ভুলবেন না অবশ্যই।
৭) বই এবং স্ন্যাকস

অনেকেই বাসস্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশন বা এয়ারপোর্ট থেকে বই, ম্যাগাজিন, চিপস, চকলেট এসব কিনে থাকেন। কিন্তু এতে খরচটা বেশি হয়ে যায়। এর চাইতে বাসা থেকেই কয়েকটা পেপারব্যাক বই নিয়ে নিন, স্ন্যাকস তৈরি করে নিন অথবা ফলমূল কেটে নিয়ে নিন। খরচ কিছুই হবে না।
৮) ফ্রিজ এবং ডাস্টবিন খালি করে রাখুন

পচে যেতে পারে এমন জিনিস খালি করে ফেলুন ফ্রিজ থেকে। সম্ভব হলে ফ্রিজ একেবারেই খালি করে পাওয়ার অফ করে যান। এছাড়া বাড়িতে কোনো আবর্জনাও রাখবেন না। বাইরে এমন জায়গায় রেখে দিন যাতে ময়লাওয়ালা নিয়ে যেতে পারে।
৯) ধোয়া-মোছা

সম্ভব হলে বেড়াতে যাবার আগে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, ময়লা পোশাকগুলো ধুয়ে, শুকিয়ে গুছিয়ে রেখে যান। এতে ফিরে এসে আর এগুলো ধুতে হবে না। আর জার্নির ক্লান্তি দূর করতে পরিষ্কার বিছানায় ঘুমের তো তুলনায় হয় না। ময়লা বাসন-কোসন ধুয়ে পানি ঝরাতে রেখে দিন। এর পাশাপাশি টয়লেট, বাথরুম এবং সিঙ্কে অল্প করে বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিয়ে যান। এতে দুর্গন্ধ হবে না।
১০) চার্জ করে নিন ঠিকমতো

আপনার মোবাইল, ল্যাপটপ এ জাতীয় সবকিছু চার্জ করে নিন এবং চার্জার নিতে ভুলবেন না।
১১) রিজার্ভেশন

হোটেল এবং গাড়ির রিজার্ভেশন চেক করে নিন আগে থেকেই।
১২) বাচ্চাদের জন্য আলাদা ব্যাগ

সাথে বাচ্চা থাকলে তাদের যত্নের জিনিসগুলো আলাদা একটি ব্যাগে নিতে ভুলবেন না যেন। দুধের বোতল, ডায়াপার, ওয়েট ওয়াইপ এগুলো নেওয়া হয়েছে কিনা চেক করে নিন।
১৩) পোষা প্রাণীর এবং গাছ

বাসায় কোনো পোষা প্রাণী যেমন পাখি, বিড়াল, কুকুর, খরগোশ এগুলো থাকলে কোনো আত্মীয় বা বন্ধুকে দিয়ে যান যারা আপনার ছুটির সময়টায় এদের যত্ন নিতে পারবে। গাছাপালা দরজার বাইরে রেখে যান এবং প্রতিবেশি যাতে একটু সময় করে এগুলোতে পানি দেয় তার ব্যবস্থা করে যান।
১৪) জানিয়ে যান

পরিবার এবং কাছের বন্ধুদের জানিয়ে যান আপনার ভ্রমণের সব তথ্য। আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কতদিন থাকবেন, কোনদিন কোন এলাকায় ঘুরতে যাবেন এ ব্যাপারে জানিয়ে যান। ফোন নাম্বার দিয়ে যান এবং সবসময় যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখুন। এতে আপনার কোনো বিপদ হলে তারা টের পাবেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
১৫) নিরাপত্তা

বাড়ি খালি করে চলে গেলে তাতে চুরি-ডাকাতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রতিবেশিকে জানিয়ে যান আপনি থাকছেন না এবং তিনি যেন বাড়ির দিকে একটু নজর রাখে তা নিশ্চিত করে নিন। সব দরজা জানালা শক্ত করে বন্ধ করা হয়েছে কিনা চেক করুন। এছাড়াও সব পর্দা টেনে দিয়ে রাখুন। 

25
শহর কথাটি শুনলেই কী মনে হয় আপনার? কতগুলো দালান, খেলার মাঠ, প্রশাসন, পুলিশ, পোস্টঅফিস, হাসপাতাল, বিদ্যালয়- এসবকিছু মিলেই তো একটি শহর হবার কথা। কিন্তু শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে আলাস্কার এ শহরটিতে আর দশটি শহরের মতন এ সব উপাদান থাকলেও নেই কেবল থাকবার স্থান। আর তাই পুরো একটি শহরই এখানে তৈরি হয়েছে একটামাত্র দালানকে ঘিরে। ভাবতে পারছেন একটা বিল্ডিং এর ভেতরেই আটকে থাকা কোন শহরের কথা? না পারলে আসুন দেখে নিন বাস্তবেই!

 

আলাস্কার হোয়াইটার নামক এই শহরটির কেন্দ্রস্থল একটিমাত্র দালান। ১৪ তলার এই দালানে বর্তমানে প্রায় ২২০ জন মানুষ বাস করে। বেইজিক টাওয়ার নামে পরিচিত এই দালানটি সাবেক আর্মি ব্যারাক হিসেবে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে এটিই শহরবাসীর একমাত্র আশ্রয়স্থল। শহরের সব মানুষ যে একটি দালানে আটকে যায় তা না। বাইরে গাড়ি, মাছ ধরার নৌকা কিংবা অন্যকোন যানবাহনেও জায়গা খুঁজে নিতে হয় অনেককে। তবে সেটা কিছু মানুষের ক্ষেত্রেই। বাদবাকী বেশিরভাগ মানুষই ঠিকঠাক এঁটে যায় অদ্ভুত এই শহরটির দালানে।

থাকবার ঘর ছাড়াও দরকারি কি নেই এই দালানে? ডাকঘর, পুলিশ স্টেশন, বিদ্যালয়, চার্চ, হাসপাতাল থেকে শুরু করে ছোটখাটো বাজারও রয়েছে এই শহরে। রয়েছে শরীরচর্চার জন্যে জিম আর ভূগর্ভস্থ টানেল। এই ১৪ তলার ভেতরেই! তবে বাদবাকি সবকিছু অনেক বেশি ব্যবহৃত হরেও এখানকার দোকানটিতে কখনোই খুব বেশি ভিড় দেখা যায়না। দালানের প্রতিটি মানুষের হাতেই দেখতে পাওয়া যায় বাইনোকুলার। নানারকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বরফ আর প্রিয়জনের খোঁজখবর রাখতেই এটি ব্যবহার করেন তারা।

পর্যটকদের কাছে পর্যটনস্থান হিসেবে হোয়াইটার বেশ আকর্ষণীয় স্থান। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এখানে ২২ ঘন্টা সূর্যের দেখা পাওয়া যায় বলেই অন্যসব স্থানের তুলনায় এখান সবার ভিড়টাও থাকে বেশিই। তবে এখানে যাওয়ার জন্যে পানিপথ ব্যবহার করার পাশাপাশি পাহাড়ই একমাত্র উপায়। ভূগর্ভস্থ টানেল থাকলেও সেটা একটা সময় কেবল একটা নির্দিষ্ট দিকেই যায় এবং রাতের বেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

চিরচেনা পৃথিবী থেকে অনেকটা দূরে পাহাড়ের ভেতরে বন্দী হোয়াইটার শহরটি এতটাই ছোট যে এর মানুষগুলোকেই সবসময় দায়িত্ব পালন করতে হয় শহরটিকে বাঁচিয়ে রাখতে। একেকজন নিজেদের মতন কাজ ভাব করে নেয়। তারপর সেটা ঠিকঠাক করে পালন করে যাওয়া। যদিও চারপাশের মানুষগুলো আপনার অনেক কাছেই থাকবে এখানে, তবুও এত মানুষের ভিড়ে একাকিত্ব অনুভব করার জন্যে হোয়াইটারের মতন জায়গা হয়না। বিশেষ করে এখানকার কোনরকম জরুরী দূর্ঘটনার সময় পুরো ব্যাপারটা অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে।

26
আজ পালা জলপাইয়ের আরও একটি আচারের রেসিপি শেখার। বরাবরের মতই সুস্বাদু জলপাই আচারের রেসিপি নিয়ে এসেছেন বীথি জগলুল। চলুন, শিখে নিই টক-ঝাল আচারের রেসিপি।

যা প্রয়োজন
জলপাই- ১ কেজি
আদা/রসুন বাটা- দেড় টে চামচ করে
সরিষা বাটা- ৩-৪ টে চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ২ চা চামচ
লবণ/চিনি- ১ চা চামচ করে
সরিষার তেল- দেড় কাপ
সিরকা/ভিনেগার- ৩০০ মিলি
আস্ত পাঁচফোড়ন- ২ চা চামচ
রসুনের কোয়া- ৩টি রসুনের
শুকনা মরিচ- ইচ্ছামতো
শুকনা মরিচের রিং- ২-৩ টে চামচ

যেভাবে করবেন

    -জলপাই ধুয়ে, পানি মুছে দুইপাশ দিয়ে কেটে নিন।
    -হাঁড়িতে তেল গরম করে আস্ত পাঁচফোড়ন ফোঁড়ন দিয়ে আদা-রসুন ও সরিষা বাটা কষিয়ে নিন।
    -এবার অল্প ভিনেগার দিয়ে গুঁড়া মসলা কষিয়ে নিন খুব ভালো ভাবে। মসলার তেল ছেড়ে আসলে বাকি ভিনেগার ও জলপাই দিয়ে মিশিয়ে নিন।
    -চিনি ও লবণ দিন। আঁচ কমিয়ে রান্না করুন।
    -জলপাই সেদ্ধ হয়ে তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে রসুনের কোয়া ও শুকনা মরিচ মিশিয়ে বয়ামে ভরে নিন।

27
Departments / সুগার ফ্রি রসগোল্লা
« on: November 22, 2015, 04:40:28 PM »
ইদানিং মানুষের মাঝে ডায়াবেটিস রোগ এবং রোগের সচেতনতা যতই বাড়ছে, তার সাথে সাথে বাড়ছে চিনি বাদ দেওয়ার প্রবণতা। চিনি খাওয়া বাদ দেওয়া মানেই আবার মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া। কিন্তু তাই বলে কি রসগোল্লাও খাওয়া বাদ থাকবে? মোটেই না! আপনি যে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করেন সেটা দিয়েই বাড়িতে তৈরি করে নিন চমৎকার সুগার ফ্রি রসগোল্লা। স্বাদ নেওয়াটাও হলো, স্বাস্থ্য রক্ষাটাও হলো। সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা।
উপকরণ

    -   দেড় লিটার টাটকা গরুর দুধ
    -   ১৯ গ্রাম আর্টিফিশিয়াল সুইটনার
    -   লেবুর রস ২ টেবিল চামচ (দুই টেবিল চামচ পানির সাথে মেশানো)

প্রণালী

১) দুধ ফুটিয়ে নিন, মাঝে মাঝে অল্প নাড়ুন যাতে ধরে না যায় বা সর না পড়ে। ফুটে গেলে চুল বন্ধ করে দিন এবং কয়েক মিনিট একটু ঠাণ্ডা হতে দিন।

২) ওপর থেকে অল্প অল্প করে ঢালতে থাকুন লেবুপানি এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষণে দুধ কেটে না যায়।

৩) দুধটা কেটে গেলে একটা পাতলা কাপড়ে ছেঁকে নিন। পানিটা চলে গেলে ওপরে ঠাণ্ডা পানি ঢালুন, এতে টক ভাবটা চলে যাবে। এরপর কাপড়ের কোনাগুলো একসাথে বেঁধে ভালো করে চিপে নিন। ছানাটাকে কাপড়ে বেঁধে কোথাও ঝুলিয়ে রাখুন যাতে কোনো পানি থাকলে সেটাও ঝরে যায়। এভাবে রেখে দিন আধা ঘন্টা।

৪) বড় একটা সসপ্যানে ৯ কাপ পানির সাথে মিশিয়ে নিন আর্টিফিশিয়াল সুগারটা। গরম করে নিন যতক্ষণ না ভালোমত ফুটতে থাকে।

৫) আধা ঘন্টা ছানা ঝুলিয়ে রাখার পর এটাকে বের করে নিন। এটা হাতে নিলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাবে। যদি না ভাঙ্গে তবে ভেতরে এখনো পানি আছে, চিপে পানি বের করে নিন। ছানা কিছুটা ভেজা ভেজা থাকবে কিন্তু ভেতরে বেশি পানি থাকবে না। ছানাটাকে ভেঙ্গে চটকে নিন। ছানা দিয়ে ইচ্ছেমত আকৃতির কতোগুলো বল তৈরি করে নিন।

৬) আর্টিফিশিয়াল সুগারের ফুটন্ত শিরায় ফেলে দিন গোল্লাগুলোকে। ঢেকে রাখুন ৫ মিনিট। এরপর ঢাকনা খুলে আরও ১০ মিনিট রাখুন। এরপর গোল্লাগুলোকে সরিয়ে একটা বোলে নিয়ে নিন। শিরাটাকে আরও ৫ মিনিট ফুটিয়ে ঘন করে রসগোল্লার ওপর ঢেলে দিন।

৭) রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন অথবা খেতে পারেন গরম গরম!

28
ইদানিং মানুষের মাঝে ডায়াবেটিস রোগ এবং রোগের সচেতনতা যতই বাড়ছে, তার সাথে সাথে বাড়ছে চিনি বাদ দেওয়ার প্রবণতা। চিনি খাওয়া বাদ দেওয়া মানেই আবার মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া। কিন্তু তাই বলে কি রসগোল্লাও খাওয়া বাদ থাকবে? মোটেই না! আপনি যে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করেন সেটা দিয়েই বাড়িতে তৈরি করে নিন চমৎকার সুগার ফ্রি রসগোল্লা। স্বাদ নেওয়াটাও হলো, স্বাস্থ্য রক্ষাটাও হলো। সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা।
উপকরণ

    -   দেড় লিটার টাটকা গরুর দুধ
    -   ১৯ গ্রাম আর্টিফিশিয়াল সুইটনার
    -   লেবুর রস ২ টেবিল চামচ (দুই টেবিল চামচ পানির সাথে মেশানো)

প্রণালী

১) দুধ ফুটিয়ে নিন, মাঝে মাঝে অল্প নাড়ুন যাতে ধরে না যায় বা সর না পড়ে। ফুটে গেলে চুল বন্ধ করে দিন এবং কয়েক মিনিট একটু ঠাণ্ডা হতে দিন।

২) ওপর থেকে অল্প অল্প করে ঢালতে থাকুন লেবুপানি এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষণে দুধ কেটে না যায়।

৩) দুধটা কেটে গেলে একটা পাতলা কাপড়ে ছেঁকে নিন। পানিটা চলে গেলে ওপরে ঠাণ্ডা পানি ঢালুন, এতে টক ভাবটা চলে যাবে। এরপর কাপড়ের কোনাগুলো একসাথে বেঁধে ভালো করে চিপে নিন। ছানাটাকে কাপড়ে বেঁধে কোথাও ঝুলিয়ে রাখুন যাতে কোনো পানি থাকলে সেটাও ঝরে যায়। এভাবে রেখে দিন আধা ঘন্টা।

৪) বড় একটা সসপ্যানে ৯ কাপ পানির সাথে মিশিয়ে নিন আর্টিফিশিয়াল সুগারটা। গরম করে নিন যতক্ষণ না ভালোমত ফুটতে থাকে।

৫) আধা ঘন্টা ছানা ঝুলিয়ে রাখার পর এটাকে বের করে নিন। এটা হাতে নিলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাবে। যদি না ভাঙ্গে তবে ভেতরে এখনো পানি আছে, চিপে পানি বের করে নিন। ছানা কিছুটা ভেজা ভেজা থাকবে কিন্তু ভেতরে বেশি পানি থাকবে না। ছানাটাকে ভেঙ্গে চটকে নিন। ছানা দিয়ে ইচ্ছেমত আকৃতির কতোগুলো বল তৈরি করে নিন।

৬) আর্টিফিশিয়াল সুগারের ফুটন্ত শিরায় ফেলে দিন গোল্লাগুলোকে। ঢেকে রাখুন ৫ মিনিট। এরপর ঢাকনা খুলে আরও ১০ মিনিট রাখুন। এরপর গোল্লাগুলোকে সরিয়ে একটা বোলে নিয়ে নিন। শিরাটাকে আরও ৫ মিনিট ফুটিয়ে ঘন করে রসগোল্লার ওপর ঢেলে দিন।

৭) রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন অথবা খেতে পারেন গরম গরম!

29
‘পেড়া সন্দেশ’ বেশ জনপ্রিয় একটি মিষ্টি। ছোট আকৃতির এই মিষ্টিটি  অবশ্য সব মিষ্টির দোকানে পাওয়া যায় না। তাই পছন্দ হওয়ারও সত্ত্বেও মেলে না অনেক ক্ষেত্রেই। আর এই সমস্যায় পড়তে হবে না। এখন বাসায় তৈরি করে নিতে পারবেন মজাদার পেড়া সন্দেশ। অল্প কিছু উপাদানে সহজ রেসিপিতে ঘরে তৈরি করে ফেলুন মজাদার এই খাবারটি। বিশেষত্ব হচ্ছে, গড়পড়তা পেড়া সন্দেশের মত নয় এই খাবারটি, বরং জাফরানের বিশেষ ফ্লেভারযুক্ত।

উপকরণ:                               

২ টেবিল চামচ ঘি/মাখন

২০০ গ্রাম কনডেন্সড মিল্ক

২০০ গ্রাম গুঁড়ো দুধ

১ চিমটি এলাচ গুঁড়ো

জাফরণ দুধে ভিজানো

পেস্তা সাজানোর জন্য

 

প্রণালী:

১। প্রথমে চুলায় প্যান গরম করতে দিন।

২। প্যান গরম হয়ে এল এতে ঘি/ মাখন দিয়ে দিন।

৩। ঘি/ মাখন গলে গেলে এতে কনডেন্সেড মিল্ক দিয়ে দিন।

৪। ঘি এবং কনডেন্সড মিল্ক এক মিনিট রান্না করুন।

৫। ঘি এবং কনডেন্সড মিল্ক ভালভাবে মিশে গেলে এতে গুঁড়ো দুধ দিয়ে দিন।

৬। অল্প আঁচে গুঁড়ো দুধ ভাল করে রান্না করে নিন।

৭। এরপর এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন।

৮। এরপর এতে জাফরান দুধ দিয়ে দিন। এতে পেড়ার রংটি সুন্দর আসবে।

৯। ভাল করে রান্না করুন। ঘন আঠালো হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।

১০। কিছুটা ঠান্ডা হয়ে এলে হাতে সামান্য ঘি মিশিয়ে গোল করে পেড়া তৈরি করে নিন।

১১। এবার পেড়ার ওপর পেস্তা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার জাফরানি পেড়া সন্দেশ।

30
 আপেল দিয়ে জ্যাম, সালাদ বা পাই তো নিশ্চয়ই খেয়েছেন! আপেলের তৈরি চাটনি খেয়েছে কি? তাও আবার টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের মিশেলে অপূর্ব আপেলের চাটনি। রেসিপি দিচ্ছেন শৌখিন রাঁধুনি সায়মা সুলতানা।

যা লাগবে
আপেল চাক করে কাটা ৮০০ গ্রাম
আস্ত সরিষা ২ চা চামচ
শুকনা মরিচ ফাঁকি ২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
লেবুর রস ১/৪ কাপ
চিনি ১/৪ কাপ
সরিষার তেল ৩ টেবল চামচ
লবণ ১ চিমটি

প্রণালি

    -প্রথমে হাড়িতে তেল দিয়ে তেল গরম হলে আস্ত সরিষা দিন ।
    -ফুটে উঠলেই এতে হলুদ গুঁড়া আর চাক করে কাটা আপেল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন ১ মিনিট।
    -এখন এতে বাকি সব উপকরণ আর হাফ কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট।
    -ঝোল টা যখন ঘন হয়ে আসবে আর আপেল্গুলু সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে গেলেই বুঝবেন হয়ে গেছে ।
    -নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার কাঁচের বয়মে ভরে নিন। ফ্রিজে রেখে দেড় থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন এই চাটনি !
    -ডাল ভাত,পোলাও কিনবা পরোটার সাথে দারুন জমে এই চাটনি !


Pages: 1 [2] 3 4 5