Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - nahid.ged

Pages: [1] 2
1
নতুন নতুন খাবার খাওয়া ও স্বাদ নেয়া মানুষের স্বভার। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক অদ্ভুত খাবার রয়েছে যার স্বাদ নেয়া তো দূরের কথা, নামও হয়তো শোনা হয়নি। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যা একটি দেশের জাতীয় খাবার হিসেবে পরিচিতি পেলেও অন্য দেশে নিষিদ্ধ। দেখে নিন কোন কোন দেশে কোন কোন খাবার নিষিদ্ধ।

ভেড়ার হার্ট, যকৃত এবং ফুসফুসের মিশ্রণে খাবার তৈরি করা যায় তা কি জানতেন। এটি কিন্তু স্কটল্যান্ডের জাতীয় খাবার। পেঁয়াজ, রসুন, ওট-মিল এবং নানান ধরনের মসলা ভেড়ার পাকস্থলীর ভিতর দিয়ে রান্না করা হয় এই অদ্ভুত খাবার 'হাগিস'। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে গেলে এই হাগিস কোনো ভাবেই পাবে না। কারণ ভেড়ার ফুসফুস সেখানে এবারেই নিষিদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রে চিউয়িং গাম খুবই জনপ্রিয় তা তো সবাই জানে। তবে সিঙ্গাপুরে চিউয়িং গাম খেলে আপনার শুধু জরিমানা নয়, এমনকি দুই বছরের জন্য জেলও হতে পারে।

স্যামন মাছ তো অনেক দেশেই খুব জনপ্রিয়। স্বাদের পছন্দের তালিকায় বেশ উপরের দিকেই রয়েছে এই মাছ। প্রাকৃতিক ভাবে হওয়া স্যামন নিয়ে সমস্যা না থাকলেও চাষ করা স্যামন অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ। এই ধরনের স্যামনের দেহ থেকে এমন কিছু বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

পেঁপে বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। পেটের অসুখ অথবা অন্য যেকোনো অসুখে চিকিৎসকরা রোগীকে পেঁপে খেতে বলেন। কিন্তু কৃত্রিম উপায়ে তৈরি পেঁপে নিষিদ্ধ করেছে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া।

পৃথিবীর শৌখিন খাবারের মধ্যে অন্যতম ক্যাভিয়ার। মূলত নোনা পানির মাছের ডিম থেকেই তৈরি হয় এই খাবার। এদের মধ্যে সবচেয়ে দামি ক্যাভিয়ার তৈরি হয় বেলুগা মাছের ডিম থেকে। এদের আয়ু একশো বছর এবং ডিম পাড়তে সময় নেয় প্রায় ২৫ বছর। বর্তমানে এই মাছ বিলুপ্তপ্রায় হওয়ার জন্য এর চাষ হচ্ছে এবং কেনাবেচা নিষিদ্ধ। তবে এখনো বিক্রি হয় বেলুগার সুস্বাদু ডিম।

হাঁস এবং রাজহাঁসের ফ্যাটি লিভার অনেকেই খান। যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয় খাবার এটি। একে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় 'ফয়ি গ্রাস'। জোর করে বেশি খাইয়ে এদের লিভারে ফ্যাট জমানো হয়। ক্যালিফোর্নিয়া যদিও এমন নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ জানিয়ে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

হাঙরের পাখাও কিন্তু জনপ্রিয় খাদ্য! যুক্তরাষ্ট্রে এক সময় এই খাবার বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করলেও হাঙর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ করেছে এর কেনাবেচা।

র‍্যাক্টোপামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক রয়েছে, যা গবাদি পশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অনেকে মনে করেন এই রাসায়নিক মানবদেহে হার্টের অসুখ সৃষ্টি করতে পারে। তাই চীন, ইউরোপ এবং রাশিয়া-সহ ১৬০টি দেশে এই রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো এখনও র‍্যাক্টোপামিন নিষিদ্ধ করেনি।

জামাইকার জাতীয় ফল অ্যাকি নিষিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রে। পাকা অবস্থায় এই ফল খেলে কোনো ক্ষতি না হলেও কাঁচা অবস্থায় খেলে বমি, নানা ধরনের অসুখ এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
Source:https://www.bd-journal.com/features/79314/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A7

2
লো ব্লাডপ্রেশারের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। সিস্টোলিক ব্লাডপ্রেশার একশ বা নব্বইয়ের নিচে থাকলে, আর ডায়াস্টোলিক ষাটের নিচে থাকলে একে লো ব্লাডপ্রেশার বলা হয়।

লো ব্লাডপ্রেশার হলে দ্রুত করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৫২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মোহাম্মদ ফারহাদ উদ্দীন। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : লো ব্লাডপ্রেশার হলে করণীয় কী?

উত্তর : আসলেই কারো লো ব্লাডপ্রেশার হলে একটু পানি পান করলে, সেটি লবণ দিয়ে হোক বা চিনি দিয়ে, যেটি দিয়ে খান না কেন, শরীরে একটু তরল বেড়ে যায়। এতে ব্লাডপ্রেশারের মাত্রাটা একটু বেশি হয়ে এলো। এতে হয়তো তিনি একটু ভালো অনুভব করতে পারেন। অনেকে রয়েছেন ডিম খান। দুটো/তিনটি/চারটি করে ডিম খান।

হতে পারে এই লো প্রেশারটাই তার জন্য স্বাভাবিক ব্লাডপ্রেশার। আপনি যখন ভালো বোধ করছেন, স্বাভাবিক বোধ করছেন, তখন ব্লাডপ্রেশার মেপে দেখুন। দেখবেন, তখনো কিন্তু আপনার ব্লাডপ্রেশার লো। আপনি ভাবছেন স্বাভাবিক, তবে মাপলে দেখা যাচ্ছে হয়তো লো। এটিই আপনার জন্য স্বাভাবিক ব্লাডপ্রেশার।

এরপরও যদি কারো কখনো লো প্রেশার হয়, তাহলে কী করণীয়। অনেক ক্ষেত্রেই লো ব্লাডপ্রেশার হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভেসোভেগাল শক। হঠাৎ দাঁড়িয়ে রয়েছি, হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যাই। এমন অনেক সময় হয়। কিন্তু অনেক সময় হয়তো বসে আছি, উঠতে গেলাম মাথা ঘুরছে। দেখা গেল, ব্লাডপ্রেশারটা লো। এসব ক্ষেত্রে রোগীকে শুইয়ে দিতে হবে। শুইয়ে দিয়ে তার মাথার নিচে কোনো বালিশ থাকলে একে সরিয়ে নিতে হবে। পা দুটোকে উঁচু করে ধরতে হবে। ওই সময় যেটি হয়, মাথা থেকে হঠাৎ করে রক্তটা কমে গিয়ে নিচের দিকে নেমে যায়। আপনি যদি রোগীকে সোজা করে শুইয়ে পা দুটোকে উঁচু করে তুলে ধরতে পারেন, তখন রক্তটা আবার পা থেকে মাথার দিকে চলে যাবে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। এটি ফাস্ট এইড, যেটি কাজে লাগবে বিভিন্ন সময়।
Source:https://www.ntvbd.com/health/261085/%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8

3
হাজার বছর ধরে তুলসি ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি মানসিক চাপ কমায়, হজম ভালো করে, মাথাব্যথা কমায়। এর মধ্যে রয়েছে আরো অনেক ওষুধিগুণ। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে তুলসির পাঁচ ওষুধিগুণের কথা।

১. নিরাময় শক্তি

তুলসির মধ্যে রয়েছে অনেক ওষুধিগুণ। এটি পাকস্থলীর শক্তি বাড়ায় এবং শ্বাসতন্ত্র সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

২. কিডনির পাথর

তুলসি কিডনির পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ছয় মাস নিয়মিত তুলসির সঙ্গে মধু মিশিয়ে জুস করে খেলে কিডনির পাথর দূর হতে সাহায্য করে। 

৩. মানসিক চাপ

তুলসির মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ কমানোর উপাদান। গবেষণায় বলা হয়, তুলসি মানসিক চাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন ১২টি করে তুলসিপাতা চিবালে মানসিক চাপ কমে। এ ছাড়া তুলসিপাতা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৪. হজমে সাহায্য করে

এটি হজম ভালো করতে সাহায্য করে এবং হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে।

৫. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

তুলসির শেকড় গুঁড়ো করে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ইনসুলিনের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Source:https://www.ntvbd.com/health/31216/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A6%BF

4
ওজন কমাতে ডায়েট ও ব্যায়ামের গুরুত্ব অনেক। তবে ডায়েট করার পরও অনেক সময় সেটি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেয় না। এর কারণ কী?  আজকের আলোচনা এ বিষয়ে।

১. প্রথমেই নিজে নিজে অনেক খাবার কমানো

এটি ডায়েট কাজ না করার অন্যতম একটি কারণ। মনে রাখবেন, নিজে নিজে ডায়েট শুরু করে কম খাবার খেয়ে বেশি দিন থাকা যায় না। কিছু ওজন কমার পর এত কম খাবার খেয়ে না থাকতে পারায়, ডায়েট করা আর হয়ে উঠে না। এতে ওজন আবার আগের জায়গায় চলে যায়।

২. ডায়েটকালীন অন্যের সঙ্গে এটি  নিয়ে আলোচনা

অনেক সময় দেখা যায়, ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট শুরু করার পর ব্যক্তিকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। এতে যে ডায়েট করে সে লক্ষ্যচ্যুত হয়ে পড়তে পারে এবং ডায়েট করা বাদ দিয়ে আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারে।

৩. সময়মত ডায়েটের ফলোআপ না করা

ডায়েটের পরামর্শ নিয়ে একটি ডায়েট এক মাসের জন্য মানার পরে ফলোআপের জন্য অনেকেই আর ডায়েটেশিয়ানের কাছে আসে না। এতে ওজন কিছুটা কমে থেমে যায়। আর এতে অনেকে নিরাস হয়ে ডায়েট ছেড়ে দেয়। আর ওজন না কমার হতাশায় সরে আসে ডায়েট থেকে। এতে ডায়েট আর ঠিকঠাকমতো করা হয়ে উঠে না।

৪. দুর্বলতা ডায়েটের বড় বাধা

ডায়েটের আগে শারীরিক পরীক্ষা বিশেষ করে পুষ্টি পরিমাপকগুলো পরীক্ষা না করিয়ে নিলে অথবা অতিরিক্ত কম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার কারণে অল্প কিছু ওজন কমার পরই অনেকে দুর্বল হয়ে যায়। তখন শরীর আর সায় দেয় না ডায়েট করার। দুর্বল হয়ে গেলে পরিবারও আপনাকে বাধা দিবে ডায়েট করতে। এতে আপনার আর ডায়েট করা হয়ে উঠবে না।

৫. একই ডায়েট দিনের পর দিন অনুসরণ করা

নিজের স্বরচিত ডায়েট অথবা ডায়েটেশিয়ানের করে দেওয়া একটা ডায়েট যদি দীর্ঘ সময় ধরে করে যেতে থাকেন, তা আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করবে। এতে আপনার ত্বক ও চুলের ক্ষতি হবে। আর এই ক্ষতি মানতে না পেরে আপনি ডায়েট ছেড়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারেন।

এভাবে অনেকে ডায়েট শুরু করার পর কোনো না কোনো কারণে এটি আর কাজ করে না। তাই ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ মেনে ডায়েট করা এবং ফলোআপে থাকা প্রয়োজন।

লেখক :  প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।

5
দেহ, মনের প্রশান্তির জন্য যোগব্যায়াম অতুলনীয়। যোগব্যায়াম করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। আসলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবার যেমন উপকারী, তেমনি উপকারী যোগব্যায়ামও।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুটি যোগব্যায়ামের কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

ভুজঙ্গাসন

যোগব্যায়ামের এই আসনটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এটি পিঠের নমনীয়তা ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এ ছাড়া এটি মানসিক চাপ ও অবসন্নতা কমাতেও উপকারী।



যেভাবে করবেন

১. পেটে চাপ দিয়ে মেঝেতে শোন। পায়ের আঙুলকে মেঝেতে সমান করে রাখুন।

২. এবার মেঝেতে হাতে তালু সমানভাবে রাখুন।

৩. গভীরভাবে শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে মাথা, বুক ও কোমর উঁচু করুন।

৪. এবার শ্বাস ছাড়ুন এবং ধীরে ধীরে মাথা, বুক ও পেট মেঝেতে নিয়ে আসুন।

বি: দ্র: কারপাল টানেল সিনড্রম থাকলে এই আসনটি এড়িয়ে যান।

হলাসন

এ আসনটি শ্বেত রক্ত কণিকার নিঃসরণ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে। এটি পিঠের পেশি, ঘাড় ও কাঁধের জন্য উপকারী।



যেভাবে করবেন

১. মেঝেতে সোজা হয়ে শোন। শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে পা ও কোমরকে উঁচু করুন, ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে।

২. এবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিন ১৮০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল করুন। চেষ্টা করুন, আপনার পায়ের আঙুলকে মেঝেতে স্পর্শ করাতে।

বি: দ্র: তবে উচ্চ রক্তচাপ ও ঘাড়ে আঘাতের সমস্যা থাকলে আসনটি এড়িয়ে যান।
Source:https://www.ntvbd.com/health/257607/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE

6
খুব শিগগিরই নতুন সঙ্গী পেতে যাচ্ছে রাতের আকাশ। ২০২০ সালের মধ্যেই রাতের শহর আলোকিত করতে আকাশে কৃত্রিম চাঁদ স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘টাইম’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা যায়।

চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে টাইম জানায়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডু শহরের আকাশে মানবসৃষ্ট ওই চাঁদ স্থাপন করা হবে বলে বিজ্ঞানীরা পরিকল্পনা করছেন। কৃত্রিম চাঁদটিতে এমন বহিরাবরণ ব্যবহার করা হবে যা আসল চাঁদের মতোই সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে রাতের পৃথিবীকে আলোকিত করবে। ওই চাঁদটি মূলত একটি স্যাটেলাইট।

কৃত্রিম চাঁদটি স্থাপন করা হলে রাতের বেলা চেংডু শহরে আর সড়কবাতি জ্বালানোর প্রয়োজন পড়বে না। বিজ্ঞানীদের মতে সাধারণ মানুষের চোখে মূল চাঁদের চেয়ে ওটি হবে আটগুণ বেশি উজ্জ্বল। আর সড়ক বাতির চেয়ে উজ্জ্বল হবে পাঁচগুণ কম।

পৃথিবীর খুব কাছে মাত্র পাঁচশত কিলোমিটার দূরত্বে এটি আবর্তিত হবে। যেখানে মূল চাঁদ অবস্থিত পৃথিবী থেকে তিন লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে।

‘তিয়ান ফু এরিয়া সায়েন্স সোসাইটির’ প্রধান বিজ্ঞানী য়ু চানফেং চীনা সংবাদ মাধ্যম চায়না ডেইলিকে জানান, উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত রাতের আকাশ আলোকিত করা সম্ভব হবে না। এমনকি পুরো চীনও নয়। এর আওতায় থাকবে কেবল মাত্র চেংডু শহর।

কৃত্রিম ওই চাঁদ স্থাপন করা হলে বাৎসরিক হিসাব অনুসারে ১৭ কোটিরও অধিক মার্কিন ডলার বিদ্যুৎ ব্যয় বেঁচে যাবে চেংডু শহরের। শুধু তাই নয়, অন্ধকারে কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটি খুব দ্রুত কাজে আসবে বলেও জানান তিনি। এ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলে ২০২২ সালের মধ্যে আকাশে আরো তিনটি কৃত্রিম চাঁদ স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

সফল ভাবে কাজটি তুলে আনা ও যাতে প্রকৃতির ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে এ ব্যাপারে আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে জানান চানফেং।

‘আমরা আমাদের পরীক্ষানিরীক্ষাগুলো চালাব বসতিহীন একটি মরুভূমিতে। যাতে কৃত্রিম চাঁদের আলো মানুষ কিংবা কোনো কিছুর ক্ষতি না করতে পারে’ বলেন বিজ্ঞানী।

মহাকাশ নিয়ে চীনের মতো এ রকম উচ্চাভিলাষী প্রকল্প এই প্রথম নয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, এর আগেও ১৯৯০ সালে দিনের আলো না পাওয়া রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের কিছু শহরে সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার পরিকল্পনা করেছিল দেশটি। সে জন্য তারা আকাশে বিশেষ পদ্ধতির একটি আয়না স্থাপন করেছিল, যা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করতে সক্ষম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বায়ুমণ্ডলের প্রভাবে আয়নাটি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে ১৯৯৯ সালে ওই প্রকল্প বাতিল করা হয়।

শুধু তাই নয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রকেট ল্যাব’ আকাশে একটি কৃত্রিম নক্ষত্র স্থাপন করে। কিন্তু আলোদূষণ ও পৃথিবীর কক্ষপথে ঝুটঝামেলা তৈরির দায়ে বিজ্ঞানীরা মানবসৃষ্ট ওই নক্ষত্রের সমালোচনা করেন।
Source:https://www.ntvbd.com/tech/220671/%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8

7
জীবনে নেতিবাচক বিষয়গুলো দুর্ভাগ্য বা বাজে অবস্থার জন্য আসে না। এটি আসে নেতিবাচক অভ্যাস বা চিন্তার জন্য। এসব নেতিবাচক বিষয়ের চর্চা আমরা সচেতন বা অবচেতন মনে বারবার করে থাকি।

আসলে নেতিবাচক অভ্যাসগুলো দূর করে নিজেকে সুখী করতে নিজেকেই নিজের সাহায্য করতে হবে। এখানে রইল কিছু নেতিবাচক অভ্যাসের কথা, যেগুলো দূর করতে পারলে অনেকটাই সুখী হতে পারবেন আপনি। জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট ফেয়ারলেস সোল প্রকাশ করেছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।

১. অভিযোগ করা

অনেকেই সারাক্ষণ অভিযোগ করতে থাকে। অভিযোগকারী ব্যক্তি সবসময় ভাবে যে সমস্যাটি অন্যের ভুলের কারণে হয়েছে। সে সমাধানের পথ না খুঁজে অন্যকে দোষারোপ করতে থাকে। আসলে এই অভ্যাসটি কিন্তু অভিযোগকারী ব্যক্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে, তার মানসিক শান্তি নষ্ট করে। তাই সুখী হতে হলে অভিযোগ করা বাদ দিয়ে সমাধানের পথ খুঁজুন।   

২. সফল মানুষ লোভী ও স্বার্থপর

সফলতা কী? যুক্তরাষ্ট্রের লেখক, ইয়ার্ল নাইটেঙ্গেল এর ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, সফলতা আসলে সেই জিনিস যেটি আপনার জীবনমান উন্নয়নের জন্য আপনি চান। এটি টাকা নয়, তবে টাকা এর একটি অংশ। এটি কেবল মেটেরিয়াল বস্তু নয়, তবে এটি এর একটি অংশ।

অনেকেই ভাবে, সফল মানুষ স্বার্থপর বা লোভী হয়। আসলে সত্যটি হলো পরিশ্রম ছাড়া সফলতা আসে না। তাই পরিশ্রম করুন, সুখী থাকুন।

৩. পরনিন্দা করা

অনেকেই পরনিন্দা করতে বেশ পছন্দ করে। কারো কারো ক্ষেত্রে এটি তো বিনোদনের পর্যায়েই পৌঁছে যায়। আপনার কি মনে হয় পরনিন্দাকারী সুখী ব্যক্তি? সত্যিটা হলো, পরনিন্দাকারী ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত জীবনে তেমন সুখী নয়। তারা নিজেদের জীবনকে উন্নত না করে অন্যের জীবনের আলোচনার পেছনেই সময় নষ্ট করে। তাই পরনিন্দা না করে আত্মসমালোচনা করুন এবং নিজের জীবনের মান উন্নত করুন।

৪. নিজেকে পূর্ণ করতে হলে আরেকজন মানুষ চাই

মানুষ সবসময় চায় অন্য কেউ তাকে ভালোবাসুক বা পছন্দ করুক। সে অন্যের প্রতি আসক্ত হতে চায়। সে ভাবে নিজেকে পূর্ণ করতে চাইলে আরেকজন মানুষ চাই।

মনোবিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনি ভালোবাসুন, জীবনকে উপভোগ করুন, তবে কারো প্রতি আসক্ত না হয়ে পড়াই ভালো। আসক্তি জীবনকে অসুখী করে দেয়। আসলে নিজেকে পূর্ণ করতে যখন আপনি সারাক্ষণ আরেকজন মানুষ খুঁজতে থাকবেন, তখন আপনার ভেতর এক ধরনের হতাশা, বিষণ্ণতা তৈরি হবে। তাই, এ চিন্তাটি বাদ দেওয়াই স্বাস্থ্যকর।
Source:https://www.ntvbd.com/health/255591/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A7%AA-%E0%A6%AC%E0%A6%A6-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8

8
হলুদ ও মধু শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে রয়েছে শক্তশালী প্রদাহরোধী উপাদান। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলুদ ও মধু একত্রে খাওয়ার উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক।

প্রণালি

এক টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ার মধ্যে ১০০ গ্রাম কাঁচা মধু মেশান। ঠাণ্ডা বা ফ্লু বা কাশির সমস্যা দেখা দিলে মিশ্রণটি খেতে পারেন। প্রথম দিন, প্রতি ঘণ্টায় মিশ্রণটি আধা চা চামচ করে খান। দ্বিতীয় দিন, দুই ঘণ্টা পর পর আধা চা চামচ করে মিশ্রণটি খান। তৃতীয় দিনে, মিশ্রণটি আধা টেবিল চামচ করে তিন বেলা খান।

হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। আর কাঁচা মধুর রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত উপকার। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে খেয়ে দেখতে পারেন মিশ্রণটি।

তবে খাবার আগে অবশ্যই আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে খান এবং খাওয়ার পরে শরীরে কোনো ধরনের অস্বস্তি হলে অবশ্যই খাওয়া বন্ধ করে দিন।
source:https://www.ntvbd.com/health/260013/%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%A6-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A7%9F

9
 
হঠাৎ শ্বাসটানে যা করবেন
হাঁপানি রোগীদের শ্বাসটান আকস্মিকভাবেই ওঠে। বিশেষ করে হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়ায়, মৌসুম পরিবর্তনের সময়, ধুলাবালু লাগলে, ঘর ঝাড়মোছ করলে বা ফুলের পরাগরেণুর সংস্পর্শে রোগীর হাঁপানির টান ওঠে। ভাইরাস সংক্রমণ, সর্দি-কাশিও এই সমস্যার জন্য দায়ী। যাদের হাঁপানি আছে তাদের জেনে রাখা ভালো এমন হঠাৎ শ্বাসটান উঠলে, বিশেষ করে ছোটদের হলে, সঙ্গে সঙ্গে কী করা উচিত।

• রোগীকে সোজা হয়ে বসতে বলুন ও আশ্বস্ত করুন যে আতঙ্কের কিছু নেই।


• উপশমকারী সালবিউটামল বা সালবিউটামল ও ইপরাট্রোপিয়ামযুক্ত ইনহেলার স্পেসারের সাহায্যে ধীরে ধীরে পাঁচটি চাপ নিন। স্পেসার না থাকলে কাগজের ঠোঙা ব্যবহার করতে পারেন।

• স্পেসারের মধ্যে প্রতিবার এক চাপ দিয়ে তা থেকে পাঁচবার শ্বাস নিতে হবে। এভাবে পাঁচবার চাপ দিন। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে খেয়াল করুন, শ্বাস বড় করে ওষুধ ঠিকমতো টেনে নেওয়া হচ্ছে কি না, খেয়ে ফেললে কাজ হবে না।

• ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। বিশ্রাম নিন। তারপরও শ্বাসকষ্ট না কমলে আবার পাঁচ চাপ নিন। এভাবে মোট পাঁচবার (মোট ২৫ চাপ) নেওয়া যেতে পারে।

• এরপরও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির টান না কমলে রোগীকে কাছাকাছি হাসপাতালে নিতে হবে বা নেবুলাইজার যন্ত্রের সাহায্য লাগবে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত পাঁচ চাপ করে ইনহেলার নিতে থাকবেন।

• শুরুতেই জিব, নখ বা আঙুল নীল হয়ে এলে, শ্বাসকষ্টের জন্য কথা পর্যন্ত না বলতে পারলে বা চেতনা হারিয়ে যেতে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়াই ভালো। এ ক্ষেত্রে নেবুলাইজার ছাড়াও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।

প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্ন: আমার বয়স ২৬। আমি একজন মাদ্রাসাশিক্ষক। দিনের বেশির ভাগ সময়ই বসে থাকতে হয়। কোমর খুব ব্যথা করে আর মেরুদণ্ডের হাড়েও ব্যথা করে। ঘুম থেকে ওঠার পরই কোমর আর মেরুদণ্ডের হাড়ে বেশি টের পাই। করণীয় কী?

উত্তর: দীর্ঘ সময় বসে বা উবু হয়ে থাকার কারণে, ভুল দেহভঙ্গির কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। কিন্তু মনে রাখা ভালো, আপনার বয়সী পুরুষদের অ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস নামের বাতরোগ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। যদি ঘুম থেকে ওঠার পর বা বিশ্রাম নেওয়ার পর ব্যথা বেশি হয়, সন্ধি স্টিফ বা অকেজো মনে হয়, তবে মেডিসিন বা বাতরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ডা. রাশেদুল হাসান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
source:https://www.prothomalo.com/life-style/article/1600868/%E0%A6%B9%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A7%8E-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8

10
এবার একটু আগেভাগেই শুরু হয়েছে ডেঙ্গু মৌসুম। প্রতিবছরই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আর বাড়ছে ডেঙ্গু রোগের নানা জটিলতা। মাঝেমধ্যে নতুন রূপ নিয়ে আসে ভাইরাসটি। ডেঙ্গু একধরনের ভাইরাসজনিত জ্বর, যা এডিস মশা দিয়ে ছড়ায়। বর্ষাকালেই এর প্রকোপ বেশি।

কখন সন্দেহ করবেন আপনার ডেঙ্গু হয়েছে


• প্রথম দিন থেকেই তীব্র জ্বর। (সাধারণত ১০২ ডিগ্রি বা এর ওপরে)।

• জ্বরের সঙ্গে তীব্র শরীর, মাংসপেশিতে, গিরায় গিরায়, কোমরে ও চোখের পেছনে ব্যথা।

• জ্বরের ২-৩ দিনের মধ্যে শরীরে লাল র‍্যাশ ওঠা, যা চুলকাতে পারে।

• দাঁতের মাড়ি, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, চামড়ার নিচে রক্তের দাগ দেখা দেওয়া, বমি/পায়খানার সঙ্গে রক্তপাত বা মেয়েদের মাসিকের সঙ্গে বেশি রক্তপাত।

কী করবেন

ডেঙ্গু হয়েছে সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রচুর পানি, তরল খাবার (স্যালাইন, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস) খেতে থাকুন। জ্বর ও ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামলের বাইরে অন্য কোনো ব্যথার ওষুধ অথবা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাবেন না।

ডেঙ্গু কখনো কখনো প্রাণহানিকর

একজন মানুষের জীবদ্দশায় চারবার ডেঙ্গু হতে পারে চার প্রজাতির ডেঙ্গু ভাইরাস দিয়ে। যত বেশিবার ডেঙ্গু হবে, তত বেশি ডেঙ্গু অধিক জটিল আকার নিয়ে হাজির হবে।

কী কী লক্ষ রাখবেন

দাঁতের মাড়ি, পায়খানা, প্রস্রাব, মেয়েদের মাসিকের সঙ্গে অতিরিক্ত রক্ত গেলে, চামড়ার নিচে রক্ত ফোঁটা জমা হলে সতর্ক হোন। শ্বাসকষ্ট হলে, পেট ফুলে গেলে, অতিরিক্ত বমি হলে, চোখ হলুদ হয়ে গেলে; মাথা ঘুরিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

রক্ত অথবা প্লেটলেট এবং শিরাপথে স্যালাইন কাদের লাগবে

• প্লেটলেট কাউন্ট কমে গেলেই অস্থির হওয়ার কিছু নেই। অনেক সময় ৫,০০০-১০,০০০ হলেও প্লেটলেট দিতে হয় না। শুধু শরীরের কোথাও রক্তপাত হলে অথবা রক্তপাতের লক্ষণ দেখা দিলেই রক্ত/প্লেটলেট দিতে হবে।

• মুখে একদমই খেতে না পারলে অথবা অতিরিক্ত বমি/পাতলা পায়খানা হলেই কেবল শিরাপথে স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

·কীভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায়

• বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে কোথাও পানি জমতে দেবেন না। টব, ভাঙা বাটি, নারকেলের মালা, এসির পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, ছোট–বড় গর্ত সব খেয়াল রাখবেন।

• বাথরুমের বালতিতে পানি ধরে রাখা লাগলে বালতিতে ঢাকনা ব্যবহার করবেন।

• মশারি ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ পরপর মশার ওষুধ স্প্রে করুন।

সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
Source:https://www.prothomalo.com/life-style/article/1600296/%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%B2-%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8C%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AE

11
ওয়েব ডেস্ক: সুন্দর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রয়োজন প্রতিদিন সঠিক খাওয়া দাওয়া, আর সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরের যত্ন নেওয়া। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিনের শুরুটা ঠিকঠাক ভাবে করা। প্রতিদিন সকালে যদি মেনে চলা যায় কিছু নিয়ম, তবে সুন্দর হতে পারে স্বাস্থ্য। যার ছাপ পড়বে আপনার ব্যক্তিত্বেও। রইল এরকমই ৭টি অভ্যেসের সন্ধান-

১) ঘুম থেকে উঠে ব্যবহার করুন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সিরাম-ভিটামিন সি বা ভিটামিন ই ত্বকের ডিহাইড্রেশন রুখতে সাহায্য করে। ফলে চেহারায় সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। ঘুম থেকে উঠে ভিটামিন ই ময়শ্চার সিরাম অথবা অরিগা ফ্লাভো-সি সিরাম সারা শরীরে লাগানো হলে বজায় থাকে ত্বকের আর্দ্রতা।

২) সকালে প্রোটিন খান-চেষ্টা করুন জলখাবারে প্রোটিনের পরিমান বাড়াতে। ডিম, বাদাম, দই জাতীয় জিনিস শরীরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়ায়। কোলাজেন ত্বকের বলিরেখা রুখতে সাহায্য করে। চামড়া ঝুলে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা করে কোলাজেন। জলখাবারে প্রোটিনের পরিমান বেশি থাকলে চুল পড়ার সমস্যা যেমন কমে, তেমনই বাড়ে চুলের ঔজ্জ্বল্যও। সেইসঙ্গেই অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকার ফলে সারাদিন বেশি খাওয়ার প্রবণতাও কমে।

৩) এসপিএফ-মেঘলা দিনেও অপরিহার্য্য সানস্ক্রিন। সব ধরণের ত্বকের জন্যই প্রয়োজনীয় সানস্ক্রিন। ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে যেমন রক্ষা করে সানস্ক্রিন, তেমনই সারাদিন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।

৪) হাইড্রেট করুন নিজেকে-সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ইষদোষ্ণ জলে অর্ধেক লেবুর রস ও এক চামচ মধু দিয়ে খান।

৫) শরীর চর্চা-প্রতিদিন সকালে অন্তত ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা বা়ডাবে আপনার উদ্যোগ, সুস্থ রাখবে শরীর, বাড়াবে পজিটিভ মানসিকতা।

৬) মুখে জল দিন-সকালে উঠে মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিলে শরীর, মনে আসবে তরতাজা ভাব। ভিতর থেকে সুস্থ বোধ করবেন। ব্যাগে রাখুন ওয়াটার স্প্রে। সারাদিনে ৪ ঘণ্টা পরপর স্প্রে করুন মুখে।

৭) গ্রিন টি-কফির বদলে সকালে উঠে পান করুন গ্রিন টি। গ্রিন টি-র মধ্যে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া ভাব রুখতে সাহায্য করে।

 Source:https://zeenews.india.com/bengali/lifestyle/7-morning-habits-to-get-healthy-skin_126365.html

12
সারা দিন খুব ক্লান্ত লাগে, অবসন্ন লাগে? কোনো কাজ করতে মন চায় না? মনে হয় কেবল বিশ্রাম নিই। শরীর ব্যথা করে, ম্যাজম্যাজ করে। ঘুম ঘুম ভাব হয়।

আজকাল রোগীরা প্রায়ই এমন সব সমস্যার কথা বলেন। আদিম যুগে মানুষ শিকারি ছিল, বৈরী পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হতো। তখন তাকে সাহায্য করত নানা স্ট্রেস হরমোন, যেমন কর্টিসল, এপিনেফ্রিন ইত্যাদি। বর্তমানে মানুষের স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ধরন আলাদা। এখনো প্রচুর স্ট্রেস হরমোন তৈরি হয় বটে, কিন্তু তা আগের মতো খরচ হয় না। এই স্ট্রেস হরমোনের ক্ষতিকর প্রভাবে আমাদের রক্তে শর্করা, রক্তচাপ বাড়ে, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে, অবসাদ বাড়ে, বিষণ্নতা বাড়ে, এমনকি ওজনও বাড়ে।

স্ট্রেস হরমোনের এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি লাভের উপায় হলো মানসিক চাপ কমানো, নিয়মিত ব্যায়াম বা পরিশ্রম করে হরমোনের লাগাম টেনে ধরা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও যথেষ্ট ঘুম। প্রার্থনা, যোগব্যায়াম, মানবসেবায় নিয়োজিত হওয়া, গাছপালা বা পশুপাখির পরিচর্যা, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটানো, ঘুরতে যাওয়া—এমন নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আপনি স্ট্রেস হরমোন কমাতে পারেন। ভাবছেন সারা দিন এত পরিশ্রম করি, তারপর আবার ব্যায়াম? আসলে এই নিত্যনৈমিত্তিক পরিশ্রমে স্ট্রেস হরমোন খরচ হয় না, বরং ক্লান্তি বাড়ে।

স্ট্রেস হরমোন কমাতে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে এমনভাবে হাঁটতে হবে, যাতে হৃৎস্পন্দন বাড়ে, রক্ত চলাচল বাড়ে। যত কাজই থাকুক, রাতে নিশ্ছিদ্র ঘুম চাই ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। ঘুমের আগে ফেসবুক, মুঠোফোন, টিভি দেখা বন্ধ করুন।Eprothomalo

থাইরয়েড হরমোন, সেক্স হরমোন, ভিটামিন ডি কমে গেলেও ক্লান্তি ও অবসাদ দেখা দেয়। রক্তশূন্যতাও হতে পারে একটি কারণ। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আপনার ক্লান্তি ভাব আসবেই। কিছু ওষুধ শরীরের লবণ-পানি কমিয়ে দেয় ও অবসাদগ্রস্ত করে তোলে। তাই এসব দিকেও খেয়াল রাখুন।

ক্লান্তি ও অবসাদ কমাতে তাই প্রথমে প্রয়োজন আপনার সচেতনতা। বিভিন্ন খাবারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন। ক্যালরি ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন খনিজের মাত্রা বুঝে খাবার বেছে খান। জাঙ্ক ফুড, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত ব্যায়াম করে স্ট্রেস হরমোন ঝেড়ে ফেলুন। ঘুমের ব্যাপারে কোনো আপস নয়। স্বাস্থ্যকর ও আনন্দময় জীবনযাপনের চেষ্টা করুন। এরপরও ক্লান্তিবোধ দূর না হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলিজম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

13
পবিত্র রমজান মাসে একজন ডায়াবেটিক রোগীর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, জীবনাচরণ ও ওষুধের নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। এক মাসের জন্য এই নতুন ধরনের জীবনাচরণপদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাঁদের কিছু নিয়মকানুন পালন করতে হয়। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) রমজান মাসে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। এরই আলোকে বাংলাদেশের রোজাদার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সংক্ষেপিত আকারে এই নির্দেশনামা তৈরি করা হয়েছে।

রোজায় ডায়াবেটিক রোগী

কিছুসংখ্যক জটিল রোগী বাদে অধিকাংশ ডায়াবেটিক রোগী বড় ধরনের কোনো সমস্যা ছাড়াই রোজা পালন করতে পারেন। রোজা পালনের কারণে ডায়াবেটিক রোগীরা কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন ১. হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করা স্বল্পতা, ২. হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করা অত্যধিক বেড়ে যাওয়া, ৩. ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা, ৪. কিটো অ্যাসিডোসিস এবং ৫. থ্রম্বোসিস বা রক্ত জমাট বাঁধা।

ঝুঁকি বিবেচনা করে কিছু রোগীকে চিকিৎসকেরা উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যাঁদের রোজা পালন না করাই ভালো, তাঁরা হলেন, রোজার আগে তিন মাসের মধ্যে যাঁদের তীব্র হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপারগ্লাইসেমিয়াজনিত জটিলতা হয়েছে, যাঁদের বারবার রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে বা যাঁরা রক্তে শর্করা কমে গেলে টের পান না, ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ বা হৃদ্‌রোগ আছে যাঁদের, রমজানরে সময় আকস্মিক অসুস্থতা (জ্বর, সংক্রমণ ইত্যাদি), বয়স্ক রোগী ও অন্তঃসত্ত্বা ডায়াবেটিকে রোগী যাঁরা ইনসুলিন গ্রহণ করেন।

রমজানে খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম

রমজান মাসে সাধারণত ইফতার ও সাহ্‌রিতে দুটি মূল খাবার গ্রহণ করা হয়। লক্ষ রাখতে হবে যে রমজান মাসেও দৈনিক ক্যালরি চাহিদা একই রকম থাকবে, কেবল সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে। অন্য সময়ের মতোই চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া নিষেধ। জটিল শর্করা যেমন: লাল চালের ভাত, রুটি, ওটস, কর্নফ্লেক্স খাওয়া ভালো। যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি, তাজা ফলমূল খেতে হবে। ইফতারে অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া ও তেলযুক্ত উচ্চ ক্যালরি খাবার পরিহার করা উচিত। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে ভাগ করে খাওয়া উচিত। রমজান মাসে প্রযোজ্য দুটি খাদ্যতালিকা এখানে সংযুক্ত করা হলো। এ ছাড়া কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখুন।

* সাহ্‌রি না খেয়ে রোজা রাখবেন না। সাহ্‌রিতে ভাত বা রুটি, সবজি, মাছ বা মাংসসহ একটি পূর্ণাঙ্গ খাবার খেতে হবে।

* ইফতারে শরবত বা মিষ্টি জুস না খেয়ে ডাবের পানি, ফলের রস, লেবুপানি পান করতে পারেন।

* ইফতার ও সাহ্‌রির মাঝখানে দুধ, ফলমূল, চিড়া, দই ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

* রাতের বেলা পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

রমজান মাসে দিনের বেলায় ব্যায়াম বা ব্যায়ামের উদ্দেশ্যে হাঁটাহাঁটি না করাই ভালো। সন্ধ্যার পর হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে।

রমজানে রক্তে সুগার পরিমাপ করুন

রমজান মাসেও সময় নির্ধারণ করে রক্তে শর্করা পরিমাপ করতে হবে। খারাপ লাগলে বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্তে গ্লুকোজ মাপতে হবে। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলো হচ্ছে দুর্বল লাগা, মাথা ঝিমঝিম করা, চোখে ঝাপসা দেখা, ঘাম হওয়া, হাত কাঁপা, মাথা শূন্য বোধ হওয়া ইত্যাদি।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

* রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ৩.৯ মিলিমোল বা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের কম হয়ে গেলে

* রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ১৬.৬ মিলিমোল বা ৩০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের বেশি পাওয়া গেলে

এবং যেকোনো আকস্মিক অসুস্থতায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

রমজানে ইনসুলিন ও ওষুধ

রক্ত পরীক্ষা করে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে রমজানে ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ এবং শর্করা পরিমাপের সময়সূচি সম্পর্কে জেনে নিন। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এই মাত্রা একেকজনের জন্য একেক রকম হতে পারে। সাধারণভাবে মেটফরমিন, ইনক্রিটিন গোত্রের ওষুধের মাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দরকার হয় না, কেবল সময়সূচি পরিবর্তন করলেই চলে। কিন্তু সালফোনাইল ইউরিয়া গোত্রের ওষুধ বা ইনসুলিনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত জরুরি। রমজান মাসে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করে কীভাবে ওষুধ বা ইনসুলিনের মাত্রা সমন্বয় করবেন, তা-ও শিখে নিন।

লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ

14
পেট খালি থাকলে দেহ-মনে নানা প্রভাব পড়ে। তাই কিছু কাজ আছে, যা খালি পেটে করা মোটেও ঠিক নয়। বিশেষ করে পেট খালি থাকলে কারও সঙ্গে তর্কে জড়ানো ঠিক নয়। কারণ, এ সময় মনমেজাজ ভালো না থাকায় বেফাঁস কিছু বলে বসতে পারেন। পেট খালি থাকলে আরও কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। জেনে নিন কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে:

ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না: খালি পেটে ওষুধ খাওয়া ঠিক না। বিশেষ করে প্রদাহনাশক কোনো ওষুধ খাওয়া মোটেও ঠিক না। ওষুধ খাওয়ার আগে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

খালি পেটে ঘুমানো ঠিক না: ঘুমানোর দুই-তিন ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে ফেলার নিয়ম হলেও একেবারে খালি পেটে ঘুমানো ঠিক না। ঘুমানোর আগে অন্তত এক গ্লাস দুধ বা একটি আপেল খেয়ে ঘুমানো উচিত।

খালি পেটে কফি ঠিক না: কফিও খেতে নেই খালি পেটে। এতে অ্যাসিড তৈরি হয়ে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। চেষ্টা করবেন ভরা পেটে বা হালকা কোনো স্ন্যাকস খেয়ে কফি খাওয়ার জন্য।

অ্যালকোহলকে ‘না’: খালি পেটে অ্যালকোহল গ্রহণ করতে নেই। খালি পেটে মদ্যপান করলে কিডনি, লিভার আর হার্ট অনেক দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নিত্যদিনের সমস্যা হিসেবে ভুগতে পারেন অ্যাসিডিটিতেও।

খালি পেটে সিদ্ধান্ত নেবেন না: খালি পেটে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রভাব কাজের ওপর পড়তে পারে। এর ফল ভালো হয় না। অনেক সময় খালি পেটে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর জন্য পরে পস্তাতে হতে পারে। তাই পেটে কিছু থাকার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো।

ব্যায়াম থেকে বিরত থাকুন: ব্যায়াম করবেন না খালি পেটে। অনেকে মনে করেন, খালি পেটে ব্যায়াম করলে বেশি ক্যালরি পোড়ে। আসলে তা সত্যি নয়। বরং এতে শরীরের শক্তি কমে যাওয়ায় আপনি ঠিকঠাকভাবে ব্যায়ামও করতে পারেন না।

তর্ক করবেন না: পেট খালি থাকলে কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না। কারণ, পেট খালি থাকলে মন সঠিক কাঠামোতে থাকে না। এতে মনের ওপর প্রভাব পড়ে বলে অনেক সময় পরিস্থিতি বাজে পর্যায়ে চলে যেতে পারে।

সমঝোতা করবেন না: যদি পেটে কিছু না থাকে, তবে কিছুতেই কোনো বিষয়ে সমঝোতার দিকে যাবেন না। কারণ, পেট খালি মানেই ঠিকভাবে যুক্তিগুলো মূল্যায়ন করতে পারবেন না বলে সঠিক সমঝোতা না হতে পারে।

বাজারসদাই করবেন না: পেট খালি থাকলে বাজারসদাই করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, অনেক সময় চাহিদার অতিরিক্ত কিনে ফেলতে পারেন। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর অনেক খাবার ভুলবশত কেনার সময় মাথা কাজ নাও করতে পারে। পেট খালি থাকা অবস্থায় বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও চিনিজাতীয় খাবার কেনার সম্ভাবনা থাকে।

চুইংগাম খাবেন না: খালি পেটে চুইংগাম খাওয়া ঠিক নয়। খালি পেটে এটি খেলে বেড়ে যায় পেট ব্যথা। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি চুইংগাম চিবোবেন না। তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস।

15
পেট খালি থাকলে দেহ-মনে নানা প্রভাব পড়ে। তাই কিছু কাজ আছে, যা খালি পেটে করা মোটেও ঠিক নয়। বিশেষ করে পেট খালি থাকলে কারও সঙ্গে তর্কে জড়ানো ঠিক নয়। কারণ, এ সময় মনমেজাজ ভালো না থাকায় বেফাঁস কিছু বলে বসতে পারেন। পেট খালি থাকলে আরও কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। জেনে নিন কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে:

ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না: খালি পেটে ওষুধ খাওয়া ঠিক না। বিশেষ করে প্রদাহনাশক কোনো ওষুধ খাওয়া মোটেও ঠিক না। ওষুধ খাওয়ার আগে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

খালি পেটে ঘুমানো ঠিক না: ঘুমানোর দুই-তিন ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে ফেলার নিয়ম হলেও একেবারে খালি পেটে ঘুমানো ঠিক না। ঘুমানোর আগে অন্তত এক গ্লাস দুধ বা একটি আপেল খেয়ে ঘুমানো উচিত।

খালি পেটে কফি ঠিক না: কফিও খেতে নেই খালি পেটে। এতে অ্যাসিড তৈরি হয়ে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। চেষ্টা করবেন ভরা পেটে বা হালকা কোনো স্ন্যাকস খেয়ে কফি খাওয়ার জন্য।

অ্যালকোহলকে ‘না’: খালি পেটে অ্যালকোহল গ্রহণ করতে নেই। খালি পেটে মদ্যপান করলে কিডনি, লিভার আর হার্ট অনেক দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নিত্যদিনের সমস্যা হিসেবে ভুগতে পারেন অ্যাসিডিটিতেও।

খালি পেটে সিদ্ধান্ত নেবেন না: খালি পেটে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রভাব কাজের ওপর পড়তে পারে। এর ফল ভালো হয় না। অনেক সময় খালি পেটে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর জন্য পরে পস্তাতে হতে পারে। তাই পেটে কিছু থাকার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো।

ব্যায়াম থেকে বিরত থাকুন: ব্যায়াম করবেন না খালি পেটে। অনেকে মনে করেন, খালি পেটে ব্যায়াম করলে বেশি ক্যালরি পোড়ে। আসলে তা সত্যি নয়। বরং এতে শরীরের শক্তি কমে যাওয়ায় আপনি ঠিকঠাকভাবে ব্যায়ামও করতে পারেন না।

তর্ক করবেন না: পেট খালি থাকলে কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না। কারণ, পেট খালি থাকলে মন সঠিক কাঠামোতে থাকে না। এতে মনের ওপর প্রভাব পড়ে বলে অনেক সময় পরিস্থিতি বাজে পর্যায়ে চলে যেতে পারে।

সমঝোতা করবেন না: যদি পেটে কিছু না থাকে, তবে কিছুতেই কোনো বিষয়ে সমঝোতার দিকে যাবেন না। কারণ, পেট খালি মানেই ঠিকভাবে যুক্তিগুলো মূল্যায়ন করতে পারবেন না বলে সঠিক সমঝোতা না হতে পারে।

বাজারসদাই করবেন না: পেট খালি থাকলে বাজারসদাই করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, অনেক সময় চাহিদার অতিরিক্ত কিনে ফেলতে পারেন। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর অনেক খাবার ভুলবশত কেনার সময় মাথা কাজ নাও করতে পারে। পেট খালি থাকা অবস্থায় বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও চিনিজাতীয় খাবার কেনার সম্ভাবনা থাকে।

চুইংগাম খাবেন না: খালি পেটে চুইংগাম খাওয়া ঠিক নয়। খালি পেটে এটি খেলে বেড়ে যায় পেট ব্যথা। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি চুইংগাম চিবোবেন না। তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস।

Pages: [1] 2