Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - nahid.ged

Pages: [1] 2
2
নতুন নতুন খাবার খাওয়া ও স্বাদ নেয়া মানুষের স্বভার। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক অদ্ভুত খাবার রয়েছে যার স্বাদ নেয়া তো দূরের কথা, নামও হয়তো শোনা হয়নি। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যা একটি দেশের জাতীয় খাবার হিসেবে পরিচিতি পেলেও অন্য দেশে নিষিদ্ধ। দেখে নিন কোন কোন দেশে কোন কোন খাবার নিষিদ্ধ।

ভেড়ার হার্ট, যকৃত এবং ফুসফুসের মিশ্রণে খাবার তৈরি করা যায় তা কি জানতেন। এটি কিন্তু স্কটল্যান্ডের জাতীয় খাবার। পেঁয়াজ, রসুন, ওট-মিল এবং নানান ধরনের মসলা ভেড়ার পাকস্থলীর ভিতর দিয়ে রান্না করা হয় এই অদ্ভুত খাবার 'হাগিস'। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে গেলে এই হাগিস কোনো ভাবেই পাবে না। কারণ ভেড়ার ফুসফুস সেখানে এবারেই নিষিদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রে চিউয়িং গাম খুবই জনপ্রিয় তা তো সবাই জানে। তবে সিঙ্গাপুরে চিউয়িং গাম খেলে আপনার শুধু জরিমানা নয়, এমনকি দুই বছরের জন্য জেলও হতে পারে।

স্যামন মাছ তো অনেক দেশেই খুব জনপ্রিয়। স্বাদের পছন্দের তালিকায় বেশ উপরের দিকেই রয়েছে এই মাছ। প্রাকৃতিক ভাবে হওয়া স্যামন নিয়ে সমস্যা না থাকলেও চাষ করা স্যামন অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ। এই ধরনের স্যামনের দেহ থেকে এমন কিছু বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

পেঁপে বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। পেটের অসুখ অথবা অন্য যেকোনো অসুখে চিকিৎসকরা রোগীকে পেঁপে খেতে বলেন। কিন্তু কৃত্রিম উপায়ে তৈরি পেঁপে নিষিদ্ধ করেছে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া।

পৃথিবীর শৌখিন খাবারের মধ্যে অন্যতম ক্যাভিয়ার। মূলত নোনা পানির মাছের ডিম থেকেই তৈরি হয় এই খাবার। এদের মধ্যে সবচেয়ে দামি ক্যাভিয়ার তৈরি হয় বেলুগা মাছের ডিম থেকে। এদের আয়ু একশো বছর এবং ডিম পাড়তে সময় নেয় প্রায় ২৫ বছর। বর্তমানে এই মাছ বিলুপ্তপ্রায় হওয়ার জন্য এর চাষ হচ্ছে এবং কেনাবেচা নিষিদ্ধ। তবে এখনো বিক্রি হয় বেলুগার সুস্বাদু ডিম।

হাঁস এবং রাজহাঁসের ফ্যাটি লিভার অনেকেই খান। যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয় খাবার এটি। একে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় 'ফয়ি গ্রাস'। জোর করে বেশি খাইয়ে এদের লিভারে ফ্যাট জমানো হয়। ক্যালিফোর্নিয়া যদিও এমন নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ জানিয়ে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

হাঙরের পাখাও কিন্তু জনপ্রিয় খাদ্য! যুক্তরাষ্ট্রে এক সময় এই খাবার বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করলেও হাঙর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ করেছে এর কেনাবেচা।

র‍্যাক্টোপামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক রয়েছে, যা গবাদি পশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অনেকে মনে করেন এই রাসায়নিক মানবদেহে হার্টের অসুখ সৃষ্টি করতে পারে। তাই চীন, ইউরোপ এবং রাশিয়া-সহ ১৬০টি দেশে এই রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো এখনও র‍্যাক্টোপামিন নিষিদ্ধ করেনি।

জামাইকার জাতীয় ফল অ্যাকি নিষিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রে। পাকা অবস্থায় এই ফল খেলে কোনো ক্ষতি না হলেও কাঁচা অবস্থায় খেলে বমি, নানা ধরনের অসুখ এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
Source:https://www.bd-journal.com/features/79314/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A7

8
লো ব্লাডপ্রেশারের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। সিস্টোলিক ব্লাডপ্রেশার একশ বা নব্বইয়ের নিচে থাকলে, আর ডায়াস্টোলিক ষাটের নিচে থাকলে একে লো ব্লাডপ্রেশার বলা হয়।

লো ব্লাডপ্রেশার হলে দ্রুত করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৫২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মোহাম্মদ ফারহাদ উদ্দীন। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : লো ব্লাডপ্রেশার হলে করণীয় কী?

উত্তর : আসলেই কারো লো ব্লাডপ্রেশার হলে একটু পানি পান করলে, সেটি লবণ দিয়ে হোক বা চিনি দিয়ে, যেটি দিয়ে খান না কেন, শরীরে একটু তরল বেড়ে যায়। এতে ব্লাডপ্রেশারের মাত্রাটা একটু বেশি হয়ে এলো। এতে হয়তো তিনি একটু ভালো অনুভব করতে পারেন। অনেকে রয়েছেন ডিম খান। দুটো/তিনটি/চারটি করে ডিম খান।

হতে পারে এই লো প্রেশারটাই তার জন্য স্বাভাবিক ব্লাডপ্রেশার। আপনি যখন ভালো বোধ করছেন, স্বাভাবিক বোধ করছেন, তখন ব্লাডপ্রেশার মেপে দেখুন। দেখবেন, তখনো কিন্তু আপনার ব্লাডপ্রেশার লো। আপনি ভাবছেন স্বাভাবিক, তবে মাপলে দেখা যাচ্ছে হয়তো লো। এটিই আপনার জন্য স্বাভাবিক ব্লাডপ্রেশার।

এরপরও যদি কারো কখনো লো প্রেশার হয়, তাহলে কী করণীয়। অনেক ক্ষেত্রেই লো ব্লাডপ্রেশার হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভেসোভেগাল শক। হঠাৎ দাঁড়িয়ে রয়েছি, হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যাই। এমন অনেক সময় হয়। কিন্তু অনেক সময় হয়তো বসে আছি, উঠতে গেলাম মাথা ঘুরছে। দেখা গেল, ব্লাডপ্রেশারটা লো। এসব ক্ষেত্রে রোগীকে শুইয়ে দিতে হবে। শুইয়ে দিয়ে তার মাথার নিচে কোনো বালিশ থাকলে একে সরিয়ে নিতে হবে। পা দুটোকে উঁচু করে ধরতে হবে। ওই সময় যেটি হয়, মাথা থেকে হঠাৎ করে রক্তটা কমে গিয়ে নিচের দিকে নেমে যায়। আপনি যদি রোগীকে সোজা করে শুইয়ে পা দুটোকে উঁচু করে তুলে ধরতে পারেন, তখন রক্তটা আবার পা থেকে মাথার দিকে চলে যাবে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। এটি ফাস্ট এইড, যেটি কাজে লাগবে বিভিন্ন সময়।
Source:https://www.ntvbd.com/health/261085/%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8

12
হাজার বছর ধরে তুলসি ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি মানসিক চাপ কমায়, হজম ভালো করে, মাথাব্যথা কমায়। এর মধ্যে রয়েছে আরো অনেক ওষুধিগুণ। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে তুলসির পাঁচ ওষুধিগুণের কথা।

১. নিরাময় শক্তি

তুলসির মধ্যে রয়েছে অনেক ওষুধিগুণ। এটি পাকস্থলীর শক্তি বাড়ায় এবং শ্বাসতন্ত্র সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

২. কিডনির পাথর

তুলসি কিডনির পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ছয় মাস নিয়মিত তুলসির সঙ্গে মধু মিশিয়ে জুস করে খেলে কিডনির পাথর দূর হতে সাহায্য করে। 

৩. মানসিক চাপ

তুলসির মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ কমানোর উপাদান। গবেষণায় বলা হয়, তুলসি মানসিক চাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন ১২টি করে তুলসিপাতা চিবালে মানসিক চাপ কমে। এ ছাড়া তুলসিপাতা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৪. হজমে সাহায্য করে

এটি হজম ভালো করতে সাহায্য করে এবং হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে।

৫. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

তুলসির শেকড় গুঁড়ো করে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ইনসুলিনের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Source:https://www.ntvbd.com/health/31216/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A6%BF

13
ওজন কমাতে ডায়েট ও ব্যায়ামের গুরুত্ব অনেক। তবে ডায়েট করার পরও অনেক সময় সেটি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেয় না। এর কারণ কী?  আজকের আলোচনা এ বিষয়ে।

১. প্রথমেই নিজে নিজে অনেক খাবার কমানো

এটি ডায়েট কাজ না করার অন্যতম একটি কারণ। মনে রাখবেন, নিজে নিজে ডায়েট শুরু করে কম খাবার খেয়ে বেশি দিন থাকা যায় না। কিছু ওজন কমার পর এত কম খাবার খেয়ে না থাকতে পারায়, ডায়েট করা আর হয়ে উঠে না। এতে ওজন আবার আগের জায়গায় চলে যায়।

২. ডায়েটকালীন অন্যের সঙ্গে এটি  নিয়ে আলোচনা

অনেক সময় দেখা যায়, ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট শুরু করার পর ব্যক্তিকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। এতে যে ডায়েট করে সে লক্ষ্যচ্যুত হয়ে পড়তে পারে এবং ডায়েট করা বাদ দিয়ে আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারে।

৩. সময়মত ডায়েটের ফলোআপ না করা

ডায়েটের পরামর্শ নিয়ে একটি ডায়েট এক মাসের জন্য মানার পরে ফলোআপের জন্য অনেকেই আর ডায়েটেশিয়ানের কাছে আসে না। এতে ওজন কিছুটা কমে থেমে যায়। আর এতে অনেকে নিরাস হয়ে ডায়েট ছেড়ে দেয়। আর ওজন না কমার হতাশায় সরে আসে ডায়েট থেকে। এতে ডায়েট আর ঠিকঠাকমতো করা হয়ে উঠে না।

৪. দুর্বলতা ডায়েটের বড় বাধা

ডায়েটের আগে শারীরিক পরীক্ষা বিশেষ করে পুষ্টি পরিমাপকগুলো পরীক্ষা না করিয়ে নিলে অথবা অতিরিক্ত কম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার কারণে অল্প কিছু ওজন কমার পরই অনেকে দুর্বল হয়ে যায়। তখন শরীর আর সায় দেয় না ডায়েট করার। দুর্বল হয়ে গেলে পরিবারও আপনাকে বাধা দিবে ডায়েট করতে। এতে আপনার আর ডায়েট করা হয়ে উঠবে না।

৫. একই ডায়েট দিনের পর দিন অনুসরণ করা

নিজের স্বরচিত ডায়েট অথবা ডায়েটেশিয়ানের করে দেওয়া একটা ডায়েট যদি দীর্ঘ সময় ধরে করে যেতে থাকেন, তা আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করবে। এতে আপনার ত্বক ও চুলের ক্ষতি হবে। আর এই ক্ষতি মানতে না পেরে আপনি ডায়েট ছেড়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারেন।

এভাবে অনেকে ডায়েট শুরু করার পর কোনো না কোনো কারণে এটি আর কাজ করে না। তাই ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ মেনে ডায়েট করা এবং ফলোআপে থাকা প্রয়োজন।

লেখক :  প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।

14
দেহ, মনের প্রশান্তির জন্য যোগব্যায়াম অতুলনীয়। যোগব্যায়াম করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। আসলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবার যেমন উপকারী, তেমনি উপকারী যোগব্যায়ামও।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুটি যোগব্যায়ামের কথা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

ভুজঙ্গাসন

যোগব্যায়ামের এই আসনটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এটি পিঠের নমনীয়তা ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এ ছাড়া এটি মানসিক চাপ ও অবসন্নতা কমাতেও উপকারী।



যেভাবে করবেন

১. পেটে চাপ দিয়ে মেঝেতে শোন। পায়ের আঙুলকে মেঝেতে সমান করে রাখুন।

২. এবার মেঝেতে হাতে তালু সমানভাবে রাখুন।

৩. গভীরভাবে শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে মাথা, বুক ও কোমর উঁচু করুন।

৪. এবার শ্বাস ছাড়ুন এবং ধীরে ধীরে মাথা, বুক ও পেট মেঝেতে নিয়ে আসুন।

বি: দ্র: কারপাল টানেল সিনড্রম থাকলে এই আসনটি এড়িয়ে যান।

হলাসন

এ আসনটি শ্বেত রক্ত কণিকার নিঃসরণ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে। এটি পিঠের পেশি, ঘাড় ও কাঁধের জন্য উপকারী।



যেভাবে করবেন

১. মেঝেতে সোজা হয়ে শোন। শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে পা ও কোমরকে উঁচু করুন, ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে।

২. এবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিন ১৮০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল করুন। চেষ্টা করুন, আপনার পায়ের আঙুলকে মেঝেতে স্পর্শ করাতে।

বি: দ্র: তবে উচ্চ রক্তচাপ ও ঘাড়ে আঘাতের সমস্যা থাকলে আসনটি এড়িয়ে যান।
Source:https://www.ntvbd.com/health/257607/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE

15
খুব শিগগিরই নতুন সঙ্গী পেতে যাচ্ছে রাতের আকাশ। ২০২০ সালের মধ্যেই রাতের শহর আলোকিত করতে আকাশে কৃত্রিম চাঁদ স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘টাইম’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা যায়।

চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে টাইম জানায়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডু শহরের আকাশে মানবসৃষ্ট ওই চাঁদ স্থাপন করা হবে বলে বিজ্ঞানীরা পরিকল্পনা করছেন। কৃত্রিম চাঁদটিতে এমন বহিরাবরণ ব্যবহার করা হবে যা আসল চাঁদের মতোই সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে রাতের পৃথিবীকে আলোকিত করবে। ওই চাঁদটি মূলত একটি স্যাটেলাইট।

কৃত্রিম চাঁদটি স্থাপন করা হলে রাতের বেলা চেংডু শহরে আর সড়কবাতি জ্বালানোর প্রয়োজন পড়বে না। বিজ্ঞানীদের মতে সাধারণ মানুষের চোখে মূল চাঁদের চেয়ে ওটি হবে আটগুণ বেশি উজ্জ্বল। আর সড়ক বাতির চেয়ে উজ্জ্বল হবে পাঁচগুণ কম।

পৃথিবীর খুব কাছে মাত্র পাঁচশত কিলোমিটার দূরত্বে এটি আবর্তিত হবে। যেখানে মূল চাঁদ অবস্থিত পৃথিবী থেকে তিন লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে।

‘তিয়ান ফু এরিয়া সায়েন্স সোসাইটির’ প্রধান বিজ্ঞানী য়ু চানফেং চীনা সংবাদ মাধ্যম চায়না ডেইলিকে জানান, উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত রাতের আকাশ আলোকিত করা সম্ভব হবে না। এমনকি পুরো চীনও নয়। এর আওতায় থাকবে কেবল মাত্র চেংডু শহর।

কৃত্রিম ওই চাঁদ স্থাপন করা হলে বাৎসরিক হিসাব অনুসারে ১৭ কোটিরও অধিক মার্কিন ডলার বিদ্যুৎ ব্যয় বেঁচে যাবে চেংডু শহরের। শুধু তাই নয়, অন্ধকারে কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটি খুব দ্রুত কাজে আসবে বলেও জানান তিনি। এ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলে ২০২২ সালের মধ্যে আকাশে আরো তিনটি কৃত্রিম চাঁদ স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

সফল ভাবে কাজটি তুলে আনা ও যাতে প্রকৃতির ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে এ ব্যাপারে আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে জানান চানফেং।

‘আমরা আমাদের পরীক্ষানিরীক্ষাগুলো চালাব বসতিহীন একটি মরুভূমিতে। যাতে কৃত্রিম চাঁদের আলো মানুষ কিংবা কোনো কিছুর ক্ষতি না করতে পারে’ বলেন বিজ্ঞানী।

মহাকাশ নিয়ে চীনের মতো এ রকম উচ্চাভিলাষী প্রকল্প এই প্রথম নয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, এর আগেও ১৯৯০ সালে দিনের আলো না পাওয়া রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের কিছু শহরে সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার পরিকল্পনা করেছিল দেশটি। সে জন্য তারা আকাশে বিশেষ পদ্ধতির একটি আয়না স্থাপন করেছিল, যা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করতে সক্ষম। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বায়ুমণ্ডলের প্রভাবে আয়নাটি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে ১৯৯৯ সালে ওই প্রকল্প বাতিল করা হয়।

শুধু তাই নয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রকেট ল্যাব’ আকাশে একটি কৃত্রিম নক্ষত্র স্থাপন করে। কিন্তু আলোদূষণ ও পৃথিবীর কক্ষপথে ঝুটঝামেলা তৈরির দায়ে বিজ্ঞানীরা মানবসৃষ্ট ওই নক্ষত্রের সমালোচনা করেন।
Source:https://www.ntvbd.com/tech/220671/%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8

Pages: [1] 2