Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - sanjida.dhaka

Pages: [1] 2 3 ... 15
1
বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ এ ভাইরাসটি ১৯ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ৩০ মে মধ্যে ৯৯ শতাংশ বিলীন হয়ে যাবে। সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকেরা এমন আভাস দিয়েছেন।

ভাইরাসটি বিস্তারের ধরন, মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য, সব মিলিয়েই গবেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ভাইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় গড়াতে পারে। সারা বিশ্ব থেকে করোনা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস এটাই প্রথম।
সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাব গতকাল রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ১৩১টি দেশের করোনাবিষয়ক এই তথ্য তুলে ধরে।


মে মাসে বাংলাদেশ থেকে করোনার বিদায়, সিঙ্গাপুরের গবেষকদের পূর্বাভাস
বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ এ ভাইরাসটি ১৯ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ৩০ মে মধ্যে ৯৯ শতাংশ বিলীন হয়ে যাবে। সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকেরা এমন আভাস দিয়েছেন।

ভাইরাসটি বিস্তারের ধরন, মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য, সব মিলিয়েই গবেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ভাইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় গড়াতে পারে। সারা বিশ্ব থেকে করোনা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস এটাই প্রথম।
সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাব গতকাল রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ১৩১টি দেশের করোনাবিষয়ক এই তথ্য তুলে ধরে।


এসইউটিডি গবেষণায় সাসসিপটাবেল ইনফেক্টেপ রিকভারড (সার) মডেল ব্যবহার করেছে। এ মডেল অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমার প্রমাণ মিলছে। গবেষকদের দাবি, সার এপিডেমিক মডেল বলছে, বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া তথ্যে ও করোনাভাইরাসের জীবনচক্রের মেয়াদ সম্পর্কে প্রচুর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো হয়।


মে মাসে বাংলাদেশ থেকে করোনার বিদায়, সিঙ্গাপুরের গবেষকদের পূর্বাভাস
বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ এ ভাইরাসটি ১৯ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ৩০ মে মধ্যে ৯৯ শতাংশ বিলীন হয়ে যাবে। সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকেরা এমন আভাস দিয়েছেন।

ভাইরাসটি বিস্তারের ধরন, মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য, সব মিলিয়েই গবেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ভাইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় গড়াতে পারে। সারা বিশ্ব থেকে করোনা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস এটাই প্রথম।
সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাব গতকাল রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ১৩১টি দেশের করোনাবিষয়ক এই তথ্য তুলে ধরে।


এসইউটিডি গবেষণায় সাসসিপটাবেল ইনফেক্টেপ রিকভারড (সার) মডেল ব্যবহার করেছে। এ মডেল অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমার প্রমাণ মিলছে। গবেষকদের দাবি, সার এপিডেমিক মডেল বলছে, বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া তথ্যে ও করোনাভাইরাসের জীবনচক্রের মেয়াদ সম্পর্কে প্রচুর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো হয়।

এসইউটিডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারতে করোনার সংক্রমণ ২১ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ কমে যাবে। বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস ৯৭ শতাংশ দূর হবে ২৯ মের মধ্যে এবং পুরোপুরিভাবে চলে যাবে চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রে ১১ মের মধ্যে করোনার সংক্রমণের প্রকোপ ৯৭ শতাংশ কমে যাবে। ইতালিতে ৭ মের মধ্যে কমবে ৯৭ শতাংশ সংক্রমণ। সার মডেল দিয়ে ১৩১টি দেশের করোনা প্রাদুর্ভাব কখন শেষ হবে, তা পর্যবেক্ষণ করেছেন সিঙ্গাপুরের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক।



2
গত সপ্তাহে প্রথম আলোয় করোনাভাইরাস চিকিৎসার জটিলতা নিয়ে লিখেছিলাম। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটে গেল অনেক ঘটনা, জানা গেল অনেক নতুন তথ্য। পাওয়া গেল আশার নতুন আলো।

বড় খবর হলো, কোভিড-১৯–এর মৃত রোগীদের পোস্টমর্টেম বা শবব্যবচ্ছেদ থেকে জানা গেল অনেক তথ্য, ভুল প্রমাণিত হলো আমাদের অনেক ধারণা। আমাদের ধারণা ছিল Cytokine storm বা ফুসফুস থেকে তৈরি পদার্থ ফুসফুসকে ধ্বংস করছে। এখন আমেরিকা ও ইউরোপের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ব্লাড ক্লটের (embolism) কারণে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই তথ্যের ফলে করোনা-১৯–এর চিকিৎসার পদ্ধতি ও কৌশল বদলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রাপ্ত নতুন তথ্যের ভিত্তিতে এখন ধারণা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আটকে থাকে, এ কারণে অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আটকাতে পারে না। এ জন্যই শ্বাসকষ্ট হয়। আর সে কারণেই উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন দিলে উপকার পাওয়া যাচ্ছে। আরও বলা হচ্ছে, যাদের থ্যালাসেমিয়া (যা একধরনের রক্তের সমস্যা) রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের প্রোটিন পরিবর্তিত হওয়ার কারণে করোনাভাইরাস হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না।

এর উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, দক্ষিণ ইতালির একটি ছোট্ট শহর, সেখানে বহু লোকের এই থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা আছে, সেখানে করোনার সংক্রমণ নেই। বাংলাদেশের অনেক মানুষের এই থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা আছে। এর ফলে বাংলাদেশের বহু লোক এই রোগের সংক্রমণ থেকে অব্যাহতি পাবে। আরও ধারণা করা হচ্ছে, যাঁরা সমুদ্র থেকে অনেক উঁচুতে থাকেন (যেমন নেপাল), সেখানে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেশি থাকায় তাঁদের এই ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক কম হবে। নতুন এই তথ্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, যেসব ওষুধ এই ভাইরাসকে রক্তের সঙ্গে আটকাতে প্রতিরোধ করে (যেমন: Hydroxyclochloriquine, zinc sulphate, ascorbic acid বা ভিটামিন সি), এই রোগ প্রতিরোধে তা কার্যকর হতে পারে।

হার্ভার্ড থেকে প্রকাশিত নামকরা মেডিকেল পত্রিকা নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহুল আলোচিত ওষুধ Hydroxycholoquine কার্যকর নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে ভালোর চেয়ে ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে। ২৩ জন মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগীর ওপর পরিচালিত পরীক্ষার পরে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ খবর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এই কারণে যে এই মুহূর্তে আমরা বহু রোগীকে এই ওষুধ দিয়ে নিরাময়ের চেষ্টা করছি। অনুমান করা হচ্ছে এই রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে Hydroxycholoquine কার্যকর হতে পারে। কিন্তু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তা আর কার্যকর হয় না। এই মুহূর্তে শতাধিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে এই ওষুধের কার্যকারিতা নির্ধারণ করার জন্য। খুব শিগগির এর ফলাফল আমরা জানতে পারব।

এই সপ্তাহের বড় সুখবর হলো রেমডেসিভির নামের একটি ওষুধ এই রোগের নিরাময়ে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিকাগোতে এই ওষুধ ব্যবহার করে ভালো হয়ে গেছে বেশ কিছু করোনা রোগী। এই ওষুধটির ব্যাপারে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই আশাবাদী ছিলেন। সীমিত আকারে হলেও এখন প্রমাণ মিলেছে যে এর ব্যবহার করোনাভাইরাসকে দ্রুত মেরে ফেলে। এই তথ্য সত্যি প্রমাণিত হলে বহু রোগীকে এর প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব হবে।

শেষ কথা, কোভিড-১৯–এর চিকিৎসা–কৌশল বিতর্কিত এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল। নতুন কিছু পরীক্ষামূলক চিকিৎসা শুরু হচ্ছে। এর অন্যতম হলো এক্সচেঞ্জ ট্রান্সফিউশন, যার মাধ্যমে রক্তের ভাইরাসযুক্ত হিমোগ্লোবিন বের করে দিয়ে নতুন রক্ত দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদ্ধতিতে দ্রুত ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা জানা যাবে খুব শিগগির।

সবশেষে, সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগীদের রক্ত থেকে নেওয়া অ্যান্টিবডি (ইমিউনোগ্লোবিন) দেওয়া হচ্ছে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের ক্ষেত্রে। এর ব্যবহার এখনো সীমিত, কারণ এটা ব্যাপকভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে সব ওষুধই পরীক্ষামূলক ও প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে সঠিক ওষুধ কোনটি, সে তথ্য প্রকাশিত হওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার।

আমর আশরাফ: নিউইয়র্কে কর্মরত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ

5
করোনাভাইরাসের দুটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে চীন। দেশটিতে বিদেশ থেকে ফেরা ব্যক্তিদের কারণে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের শিকার হয়েছে। এই পরিস্থিতি বেইজিং করোনার টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিল।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিংয়ের সিনোভেক বায়োটেক ও উহানের ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রডাক্টস পরীক্ষামূলক টিকা দুটির উন্নয়ন ঘটিয়েছে। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত মার্চে বেইজিং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য একটি টিকার অনুমোদন দিয়েছিল। ওই টিকা তৈরি করে দেশটির মিলিটারি একাডেমি পরিচালিত মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সেস ও জৈবপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান কেনসিনো বায়ো।

এ হিসেবে বলা যায়, চীন ভিন্ন ভিন্ন তিনটি টিকা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পরীক্ষণ করছে। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এ-ও বলে রাখছে, যদি এই টিকার কার্যকারিতা সফল হয় তাহলে তারা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক উৎপাদনে যেতে পারবে।

মানবশরীরে পরীক্ষণের অনুমতির বিষয়টিকে সাহসী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন হংকং ইউনিভার্সিটির প্যাথলজির ক্লিনিক্যাল প্রফেসর জন নিকলস। তিনি বলেন, হুট করেই টিকা মানব শরীরে দেওয়া যায় না। প্রথমে ছোট প্রাণী, তার পর বনমানুষ, এরপর পর্যায় ক্রমে মানব শরীরে প্রয়োগ করতে হয়। তবে চীনের এই সিদ্ধান্তটি খুবই সাহসী। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধদের শরীরের প্রয়োগের মধ্য দিয়ে খুব সহজে বোঝা যাবে এই উদ্ভাবন কতটা কার্যকর।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য প্রথম দফায় ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন করা হয়েছে। এর পরের স্তরের জন্য আরেকটি দল গঠন করা হচ্ছে।

চীনে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ খুবই সীমিত। তবে শঙ্কার বিষয় হলো সেখানে রাশিয়া থেকে আগত মানুষদের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে। এমন সংক্রমণের সংখ্যা ৪০৯-এ পৌঁছেছে। সোমবার চীনে ৮৯ জন শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর মধ্যে ৭৯ জনই রাশিয়া থেকে ফেরা। তারা প্রত্যেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হেইলংজিয়াং এর সীমান্ত দিয়ে চীনে প্রবেশ করেছেন।

দেশটির দেওয়া তথ্য মতে, করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় চীনে কারও প্রাণহানি ঘটেনি। এখন পর্যন্ত সেখানে ৮২ হাজার ২৪৯ জন মানুষের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৪১ জন।


6
করোনা সংক্রমণের একেবারে শুরুতেই ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছিল তাইওয়ান। এর ফলে চীনের পাশের দেশটিতে এ ভাইরাসের সংক্রমণ তেমন ঘটেনি। এখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মাস্ক রপ্তানি করছে তাইওয়ান।

ইউরোপের যে দেশটিতে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের করোনাভাইরাসের টেস্ট করা হয়েছে, তার নাম জার্মানি। প্রতি সপ্তাহে দেশটিতে সাড়ে তিন লাখ টেস্ট হয়েছে। খুব কার্যকরভাবে আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে দেশটিতে। চিকিৎসাও চলছে ভালোভাবে।

নিউজিল্যান্ড করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরুর একেবারে শুরুতে পর্যটন বন্ধ করে দেয়। মাসব্যাপী পুরো দেশ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা নয়।


তিনটি দেশ বিশ্বের তিন ভিন্ন প্রান্তের। একটি ইউরোপের, একটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয়, আরেকটি এশিয়ার। এই ভিন্নতা থাকলেও তিন দেশের মধ্যে একটা বিষয়ে মিল আছে। আর তা হলো, তিনটি দেশেই সরকারপ্রধান একজন করে নারী। সারা বিশ্বের সরকারপ্রধানদের ৭ শতাংশের কম নারী শাসকেরা।

যে দেশগুলোর কথা বলা হলো, সেগুলো বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশ। সরকারের প্রতি এসব দেশের জনগণের আস্থার পরিমাণও যথেষ্ট। দ্রুত ও বিজ্ঞানভিত্তিক তৎপরতার ফলে এসব দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অপেক্ষাকৃত কম। এসব দেশের টেস্টের পরিমাণ অনেক বেশি, মানুষের মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবার সুযোগ আছে, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্তও হয়েছে ব্যাপকভাবে। আবার এ দেশগুলোয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

এই দেশগুলোর মতো আরেক গণতান্ত্রিক দেশ তাইওয়ান। দেশটির নারী প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন যখন শুনলেন চীনে এক রহস্যজনক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে তখনই উহান থেকে আসা সব উড়োজাহাজের যাত্রীর কঠোর স্ক্রিনিং হলো। দ্রুতই এ দেশে মহামারি সেন্টার স্থাপিত হলো, উৎপাদন হতে শুরু হলো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। চীন, ম্যাকাও ও হংকং থেকে বিমান পরিবহনে বিধিনিষেধ জারি হলো। করোনাভাইরাসে ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষের দেশ তাইওয়ানে এযাবৎ আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩৯৩। মৃতের সংখ্যা ৬।

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জার্মানির সাফল্যের কারণ কী? হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান হ্যানস গিওর্গ উসিলেস নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতাই জার্মানির বড় শক্তি।’

পর্যটনের ওপর অর্থনীতির অনেকটা নির্ভর থাকলেও একে বন্ধ করে দিতে কসুর করেননি দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ্যারডার্ন। আর এর ফলও পেয়েছেন।

নরডিক পাঁচ দেশের মধ্যে চারটিই নারীশাসিত। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর চেয়ে এসব দেশে মৃত্যুহার অনেক কম। ৫৫ লাখ মানুষের দেশ ফিনল্যান্ডের ৩৪ বছর বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী সান্না মেরিন বিশ্বনেতাদের মধ্যে কনিষ্ঠতম। করোনা প্রতিরোধে তাঁর নেওয়া ব্যবস্থায় খুশি দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ। দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯।

আইসল্যান্ডের নারী প্রধানমন্ত্রী ক্যাটরিন জ্যাকবসডোটির। দ্বীপরাষ্ট্রটির বাসিন্দা মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার। কিন্তু ব্যাপক হারে এ দেশটি করোনার টেস্ট করিয়েছে। এই নরডিক দেশগুলোর মাত্র একটি সুইডেনের পুরুষ প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লে ফেন। তিনি প্রথমে লকডাউন দিতে রাজি হননি। শুরুতে দেশটির মৃত্যুহার ব্যাপক হয়েছিল।

এখনই বলা সম্ভব নয়, বলা উচিতও না যে কোন দেশ করোনার লড়াইয়ে জিতল, কে হারল। কিন্তু এতক্ষণ যে উদাহরণগুলো দেওয়া হলো, তাতে একটি বিষয় নিশ্চিত, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে দ্রুত এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে নারী সরকারপ্রধানেরা অনেক বেশি দক্ষতা দেখিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ব এখনো পুরুষশাসিত।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের হিসাব, বিশ্বের ১৫২টি রাষ্ট্রের মধ্যে মাত্র ১০ দেশের সরকারপ্রধান নারী। বিশ্বের ৭৫ শতাংশ সাংসদ পুরুষ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মতো ব্যবস্থাপক পর্যায়ে পুরুষের সংখ্যা ৭৩ শতাংশ, মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই পুরুষ।

7
করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও মন্দা অবস্থার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার মানুষকে কাজে নিয়োগের জন্য অফার দিচ্ছে বড় বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো। নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও লোক নিয়োগের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে। সিটি পুলিশেও নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লোক নিয়োগের জন্য আগের থেকে দ্বিগুণ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসন থেকে আবেদনপত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত ই-মেইলে লিংক পাঠাচ্ছে।

করোনার কারণে অনেকেই চাকরি ছেড়ে বা হারিয়ে এখন বাড়িতে থাকছেন। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোর লোক নিয়োগ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রিটেইল কোম্পানিগুলোতে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। কসকো, বিজেসের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও লোক নিয়োগে ব্যাপক প্রচার চলছে। আগের তুলনায় ঘণ্টায় চার বা পাঁচ ডলার করে বেশি দেওয়ার অফার দেওয়া হচ্ছে।

নিউইয়র্কে কাজ পেতে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, আমেরিকায় সব সময় চাকরির বাজার উন্মুক্ত। তবে এ সময় অনেক প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। চাকরি পেতে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাহায্য করে যাচ্ছে। অনলাইনে কীভাবে আবেদন করতে হবে সে বিষয়ে তারা সহযোগিতা করছেন। এ আবেদন ঘরে বসেই করা যাচ্ছে।




15


অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া খুবই কমন একটি ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একেকজন মরিয়া হয়ে ওঠেন। কেউ চুলে মেহেদী দিচ্ছেন, কেউ বাজার থেকে কৃত্রিম রং এনে তা চুলে মাখছেন। খাবারের ভেজাল আর পরিবেশ দূষণের কুফলই কম বয়সে চুল পাকার একটি অন্যতম কারণ। একটি মিশ্রণ খেয়েই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন কিভাবে তৈরি করবেন সেই ম্যাজিক মিশ্রণ।

যা যা লাগবে:

    ১০০ গ্রাম তিসির তেল
    ২টি মাঝারি মাপের পাতিলেবু
    ২ কোয়া ছোট রসুন
    ৫০০ গ্রাম মধু

যেভাবে তৈরি করবেন: একটি লেবু খোসা ছাড়ানো অার অন্যটি ছোট ছোট টুকরো হবে। এবার রসুন ও লেবু পেস্ট করে নিন। পেস্ট করার সময় কোনভাবেই পানি মেশাবেন না। এখন এই মিশ্রণের সাথে তিসির তেল এবং মধু দিয়ে আবার ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার এয়ার টাইট কাঁচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। একদিন পরে বের করে ব্যবহার করুন।

রোজ খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে দিনে তিন বার এক চামচ করে খান। এজন্য কাঠের চামচ ব্যবহার করবেন। ২ সপ্তাহের মধ্যেই তফাতটা ধরতে পারবেন। মিশ্রণটি নিয়মিত খেলে পাকা চুল কালো হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, মিশ্রণটি খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে, চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে এবং নতুন চুল গজাবে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং কুঁচকানো চামড়া টানটান করবে।




Pages: [1] 2 3 ... 15