Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Faruq Hushain

Pages: 1 2 3 [4] 5 6
46
হলিউডের চলচ্চিত্র পরিচালকদের একটি তালিকা করা হলে একদম উপরের দিকে থাকা নামগুলোর মধ্যে জেমস ক্যামেরন যে থাকবেন এটা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। তবে বেশীরভাগ মানুষ তাকে শুধু পরিচালক হিসেবে চিনলেও তিনি কিন্তু তার থেকেও অনেক বেশী কিছু। কানাডিয়ান এই চলচ্চিত্র নির্মাতা একাধারে একজন প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ার। গভীর সমুদ্র নিয়েও তার অনেক কৌতুহল। নিজের বানানো সাবমেরিন দিয়ে সাগরের সবচেয়ে গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চে ডুব দিয়ে এসেছেন। তিনি তার চলচ্চিত্রে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করেন সেগুলোকে একেকটা মাইলফলক হিসেবেও ধরা যায়। অসাধারণ উদ্ভাবনী শক্তি তার অ্যাকশনধর্মী ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্রগুলোকে দিয়েছে নতুন মাত্রা।
তার জীবনের গল্পটাও কিন্তু চিত্রনাট্যের মতোই অনেকটা।

জেমস ফ্রান্সিস ক্যামেরনের জন্ম ১৯৫৪ সালে কানাডার অন্টারিওতে। তার মা ছিলেন একজন আর্টিস্ট এবং বাবা ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তার পরিবার যখন ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে চলে আসে তখন তার বয়স ১৭ বছর। সেখানে তিনি ফুলারটন কলেজে ভর্তি হন পদার্থবিজ্ঞান পড়ার জন্য। কিন্তু সেখানে বেশীদিন টিকতে পারলেন না। এক বছর যেতে না যেতেই ড্রপ আউট হয়ে গেলেন কলেজ থেকে।
এরপর ট্রাক ড্রাইভারের কাজ নিলেন তিনি এবং সময় পেলে মাঝে মাঝে লেখালেখিও করতেন একটু আধটু। পরে তিনি বলেছেন এই সময়টাই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ইউএসসি লাইব্রেরীতে নিয়মিত যেতেন এবং ফিল্ম টেকনোলজির সাথে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের বই কিংবা থিসিস পেপার পড়ে ফেলতেন বা খাতায় নোট করে রাখতেন। এই সময়টাতে তিনি অপটিক্যাল প্রিন্টিং, ফ্রন্ট স্ক্রীন প্রজেকশন কিংবা ডাই ট্রান্সফারের মতো বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেছেন যা তাকে পরবর্তীতে চলচ্চিত্র পরিচালনায় বিস্তর সাহায্য করেছে।

এরপর ১৯৭৭ সালে একটি ঘটনা তার জীবনকে পুরোপুরি পাল্টে দিল। ওই বছর মুক্তি পেল বিখ্যাত চলচ্চিত্র সিরিজ স্টার ওয়ার্স এর চতুর্থ কিস্তি এ নিউ হোপ (A New Hope)। ওই চলচ্চিত্র দেখে তিনি বুঝতে পারলেন শিল্প এবং বিজ্ঞান কতটা কাছাকাছি থাকতে পারে। এরপর ট্রাক ড্রাইভারের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ক্যামেরন ঝুঁকে পড়লেন চলচ্চিত্রের দিকে।

তিনি তার দুই বন্ধুকে নিয়ে জেনোজেনেসিস (Xenogenesis) নামে একটি ১০ মিনিটের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী স্ক্রিপ্ট লিখে ফেললেন। কিন্তু শ্যুট করার মতো যথেষ্ট টাকা তাদের হাতে নেই। শেষ পর্যন্ত বন্ধু-বান্ধবদেরকে নিয়ে চাঁদা তুলে ৩৩ মিলিমিটার ক্যামেরা, লেন্স, ফিল্ম স্টক এবং স্টুডিও ভাড়া করে ফেললেন। তারা ক্যামেরাটি পুরোটা খুলে এর বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করে দেখলেন এটা বোঝার জন্য যে ফিল্ম ক্যামেরা কীভাবে কাজ করে।
বলা যায় জেমস ক্যামেরন ছিলেন জেনোজেনেসিস এর পরিচালক, লেখক, প্রযোজক এবং প্রোডাকশন ডিজাইনার। এরপর তিনি রক এন্ড রোল হাই স্কুল (Rock and Roll High School) নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন প্রোডাকশন সহকারী হিসেবে। কিন্তু এই কাজের জন্য কোনো স্বীকৃতি তিনি পাননি। তারপরও থেমে না গিয়ে চলচ্চিত্র বানানোর কায়দা-কানুন নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে লাগলেন। রজার কোরম্যান স্টুডিওতে একটি ক্ষুদ্রাকৃতির মডেল বানানোর কাজ শুরু করেন এই সময়টাতে। এরপর ১৯৮১ এবং ১৯৮২ এই দুই বছরে চারটি চলচ্চিত্রে আর্ট ডিজাইনার, প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন।

পিরানহা মুভির সিকুয়্যাল পিরানহা-২ তে কাজ করার জন্য ইটালির রোমে যান ক্যামেরন। সেখানে ফুড পয়জনিং এর কারণে একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় একদিন রাত্রে ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখলেন। দেখলেন ভবিষ্যৎ থেকে একটি রোবট পাঠানো হয়েছে তাকে খুন করার জন্য। এই স্বপ্ন থেকেই তিনি তার দ্য টারমিনেটর (The Terminator) চলচ্চিত্রের আইডিয়া পান। বলা যায় এখান থেকেই তার উত্থান শুরু হয়।

47
অবাক হওয়ার মত তথ্য...

48
এরা হয়তো খুব বেশী উড়তে পারে না ...

49
একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে চিবিয়ে খাচ্ছে। মাংস খাওয়ার পর মরা মানুষের হাড়-হাড্ডিকে আবার হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করছে। এরকম দৃশ্য খুব বেশি দিন দূরের নয়। মাত্র ৪০ হাজার বছর আগে এমন স্বগোত্রভোজী মানুষ ছিল পৃথিবীতে। আদি ওই মানুষেরা হল নিয়ানডার্থাল। ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামের এক গুহায় কুড়িয়ে পাওয়া বিলুপ্ত এই আদিজাতের বেশ কতগুলো কঙ্কাল নিয়ে গবেষণা করে এমন তথ্য উদ্ধার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

নিয়ানডার্থাল হল আধুনিক মানুষের উপপ্রজাতি। এরা সমূলে বিলুপ্ত হওয়ার আগে ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ায় বাস করত। ধারণা করা হয়, ৩০-৪০ হাজার বছর আগে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

হোমো সেপিয়েন্স অর্থাৎ আমি-আপনি বা আজকের মানুষের পূর্বপুরুষের উদ্ভবের মধ্য চিরপ্রস্থান ঘটে নিয়ানডার্থালদের। গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই জাতের মধ্যে প্রজননও ঘটেছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আধুনিক ইউরোপীয় ও এশীয়দের শতকরা ৪ ভাগ ডিএনএ নিয়ানডার্থালদের বৈশিষ্ট্য ধারণ ও বহন করছে বলে।

বেলজিয়ামের নামুরের কাছে গয়েত গুহা থেকে স্বজাতিখেকো মানুষের কঙ্কালগুলো উদ্ধার করা হয়। গর্ত, খামচি-খাঁজ, দাগ-ভাঁজ ইত্যাদির সাক্ষর দেখে তাদের রাক্ষুসে চরিত্র সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। সায়েন্টিফিক রিপোর্টার্স জার্নালে এ নিয়ে প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।

নিজ গোত্রের মানুষকে খাওয়ার এই পুরো প্রক্রিয়াটা কতগুলো ধারাবাহিক ধাপের সমষ্টি। যেমন প্রথমে চামড়া ছিলে ফেলা। এরপর টুকরো টুকরো করে কাটা। হাড়ের ভেতর থাকা নরম মজ্জা বের করা।

‘এসব খণ্ড খণ্ড চিত্রকে জোড় লাগালে,’ গবেষণা দলের প্রধান হার্ভে বোচারেনস বলেছেন, ‘আমরা এমন একটা কল্পচিত্র পাই যেখানে দেখা যাবে, নিয়ানডার্থালরা নরমাংসভক্ষণ প্রথায় অভ্যস্ত ছিল।’ জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব টাবিনজেনের এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘গয়েতে পাওয়া ওই সময়ের ঘোড়া ও বল্গাহরিণের কঙ্কালগুলোও একই রূপে প্রক্রিয়াজাত বলে দেখা গেছে।’

শুধু হত্যা করে মাংস বা হাড়ের মজ্জা খাওয়ায় শেষ নয়। আত্মীয়-স্বজনের অবশিষ্ট হাড়গুলো হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত নিয়ানডার্থালরা। যেমন পাথর দিয়ে কোনো বিশেষ আকৃতি মজবুত করার জন্য একটি ফিমার (উরুর হাড়) এবং তিনটি টিবিয়া (ঠেংয়ের হাড়) মিলিয়ে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত। আবার অন্য কোনো পশুর হাড় দিয়ে কোনো কিছু ভাঙা বা আঘাত করার জন্য ব্যবহার করত।

নিয়ানডার্থালরা যে স্বজাতিখেকো-এর আগে স্পেন ও ফ্রান্সে পাওয়া কঙ্কাল থেকে এমনটা অনুমান করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।  http://www.poriborton.com/diverse-world/9319

50
interesting and informative post....

51
History / ভয়ানক সব মানুষ খেকো ....
« on: August 02, 2016, 05:15:33 PM »
তিহাসে মানুষখেকোদের বর্ণনা থাকলেও একবিংশ শতাব্দিতেও পৃথিবী থেকে এদের অস্তিত্ব মিলিয়ে যায়নি। বিশ্বে বেশ কিছু দুর্গম স্থান এখনও রয়েছে, যেখানে সভ্যতার আলো পৌঁছায়নি। আবার কোথাও কোথাও এই ভয়ানক ব্যাপারটির অবসান ঘটেছে সদ্যই। বিশ্বে এখনও যেসব স্থানে মানুষখেকোদের বর্ণনা পাওয়া গিয়েছে, এবারের আয়োজন সেসব নিয়েই।

১. ভারত: অভিযোগ আছে, ভারতের বারাণসীতে এখনও একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে মানুষ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। আঘোরি সাধু নামে বিশেষ এক সন্নাসী সম্প্রদায় রয়েছে যারা মৃত মানুষের মাংস খেয়ে থাকে। যদিও প্রচলিত আছে এই সম্প্রদায় বিশেষ মার্গ সাধনার পদ্ধতি হিসেবে মানুষের মাংস খেয়ে থাকে।
২. পাপুয়া নিউগিনি: দেশটির পশ্চিমে কোরোয়াই উপজাতির মানুষেরা প্রতিশোধ হিসেবে মানুষের মাংস খেয়ে থাকে। ইন্দোনেশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে এখনও এই সম্প্রদায়ের অন্তত ৩ হাজার মানুষ রয়েছে। এরা খাওয়ার মতো মানুষের সন্ধান না পেলে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের মাংসও খেয়ে থাকে।
৩. সিগাটোকা, ফিজি: দেশটিতে একসময় মানুষখেকোরা থাকলেও এখন তাদের দেখা পাওয়া যায় না। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই অঞ্চলে চন্দন ব্যবসায়ীরা আসা যাওয়া শুরু করলে আদিবাসীদের মাঝেও সভ্যতার আলো পৌঁছাতে থাকে। যদিও বলা হয় এই দ্বীপাঞ্চলটির কোথাও কোথাও এখনও মানুষ খাওয়ার প্রবণতা মিলিয়ে যায়নি। সিগাটোকার নাইহেহে গুহায় যেসব নিদর্শন মিলেছে, তাতে স্পষ্টই বোঝা গেছে যে মানুষখেকোরা আসলে মিলিয়ে যায়নি।
৪. কঙ্গো: আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশটির আদিবাসীদের মাঝে এখনও মানুষ খাওয়ার প্রবনতা মিলিয়ে যায়নি। প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে মানুষের মাংস খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের। ২০০৩ সালের গোড়ার দিকে কঙ্গোর বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মানুষ খাওয়ার অভিযোগ তোলে খোদ জাতিসংঘ। দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধের পর সরকারের এক প্রতিনিধি তাদের কর্মীদের জীবন্ত ছিড়ে খাওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত তোলেন।
৫. জার্মানি: আশ্চর্য হলেও সত্যি, জার্মানিতে মানুষের মাংস খাওয়া কোনো অপরাধ নয়। আর সেজন্যই ২০০১ সালের মার্চে আর্মিন মাইভাস নামের এক জার্মান নাগরিক রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষ খেলেও তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা ছাড়া কোনো অভিযোগ আনেনি পুলিশ। মানুষ খাওয়ার উদ্দেশে ‘দি ক্যানিবাল ক্যাফে’ নামের একটি ওয়েবসাইটে সুঠামদেহী, জবাইযোগ্য এবং আহার হতে চাওয়া মানুষের সন্ধান চেয়ে বিজ্ঞাপন দেন আর্মিন। অনেকে আগ্রহী হলেও বার্ন্ড জুর্গেন ব্রান্ডিসকে পছন্দ করেন আর্মিন। এরপর জার্মানির ছোট্ট গ্রাম রটেনবার্গে দুজনে মিলিত হন। একপর্যায়ে ব্রান্ডিসকে হত্যা করে প্রায় ১০ মাস তার মাংস খান আর্মিন মাইভাস। ২০০২ সালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
৬. কম্বোডিয়া: ১৯৭০ সালের দিকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সময় অভিযোগ ওঠে, একদল সেনা আটক কয়েকজন খেমারুজ বিদ্রোহীদের হৃদয় ও যকৃত কেটে বের করে নেয়। এবং পরে তারা শিবিরে ফিরে সেগুলি খায়।

http://www.poriborton.com

52
Interesting n funny..      ;D ;D ;D ;D

53
বাড়ির সামনে একটা মরা গাধা পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির মালিক গেলেন পৌরসভায় খবরটা দিতে।
* কমিশনার সাহেব, আমার বাড়ির সামনে একটি গাধা মরে পড়ে আছে, দ্রুত এর একটা ব্যবস্থা নিন।
* এটা তো আপনিই করতে পারেন, আর এটা তো আমাদের কাজের মধ্যে পড়ে না।
* বলেন কী! এটা পৌরসভার কাজ না?
* না, দেখুন, আমি কাজে ব্যস্ত আছি। আপনি গাধাটাকে দাহ করেন আর কবর দেন, যা করার বাড়ি গিয়ে করুন।
* ঠিক আছে। কিন্তু আমি যতটুকু জানি, কেউ মারা গেলে প্রথমেই তার নিকটাত্মীয়দের খবরটা দিতে হয়। তাই দিয়ে গেলাম!  :P :P :P

54
Jokes / Re: Comedy King Gopal Varn
« on: July 20, 2016, 04:44:03 PM »
 ;D ;D ;D

55
Motivational and Informative post.....

56
Fashion / Re: কীভাবে এল লিপস্টিক
« on: July 20, 2016, 12:58:05 PM »
 That means history of lipstick is not  too old.....   

57
রতের জয়সালমিরের বাসিন্দা হরিশ ধনদেব। পেশায় ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। যে সরকারি চাকরির জন্য বেশিরভাগ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পরে সেখানে হরিশ স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন চাকরি। চাকরি ছেড়ে শুরু করেন কৃষিকাজ। দিল্লিতে কৃষি এক্সপো দেখতে গিয়ে কৃষিকাজে আগ্রহী হন তিনি।

জয়সালমির থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ধাইসরে ১২০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে তার বিশাল ক্ষেত। চাকরি ছেড়ে সেখানে শুরু করে দেন অ্যালোভেরা ও অন্যান্য শস্যের চাষ। তৈরি করেন ন্যাচারাল আগ্রো নামে নিজস্ব একটি সংস্থা। এরপর থেকে আর পেছন ফেরে তাকাতে হয়নি তাকে। এখন তার বার্ষিক আয় দেড়কোটি টাকা।
উল্লেখ্য যে, থর মরুভূমির অ্যালোভেরা চাষের জন্য ভালো। আর এই অ্যালোভেরা চলে যায় পতঞ্জলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কারখানায়। সেখানে তৈরি করা হয় অ্যালোভেরার জুস। যা বেশ জনপ্রিয় একটি পানীয়। মরুভূমি অঞ্চলের অ্যালোভেরার গুণগতমান এতটাই ভালো যে বিদেশেও এর চাহিদা ব্যাপক।

জয়সালমিরের মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের পদে ইস্তফা দেওয়ার সময় যে সামান্য দ্বিধায় ভুগছিলেন তিনি তার আর কোনও জায়গা নেই হরিশের জীবনে। এক বছরের মধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখতে পান তিনি। তাঁর ক্ষেতের অ্যালোভেরা চাহিদা রয়েছে ব্রাজিল, হংকং এবং আমেরিকাতে। শুরুতে ৮০ হাজার অ্যালোভেরার চারা লাগিয়েছিলেন তিনি। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত লাখের কাছাকাছি।

http://bangla.moralnews24.com/archives

58
পলিশ করা সামান্য এক নুড়িপাথর কেমন করে বিশ্বের সবচেয়ে দামি বস্তুতে পরিণত হয়? দুটি শব্দে এর ব্যাখ্যা দেওয়া যায়—একাধিপত্য এবং প্রচারণা।

মাত্র দুই শতাব্দী আগেও হীরা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাত না মানুষ। তখন হীরা নামের বস্তুটি আসলেই দুর্লভ ছিল। রাজপরিবারের সদস্যরাই মূলত অলংকার হিসেবে এই বস্তু পরতেন এবং এর মালিক হতেন। এরপর ১৮৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিপুল পরিমাণ হীরার সন্ধান পান খনিশ্রমিকেরা। জমে ওঠে হীরার বাজার। হীরা যে শুধু সাধারণ এক বস্তু হয়ে ওঠে, এমনটি নয়। বরং তুলনামূলকভাবে সস্তা হয়ে ওঠে হীরা। কিন্তু এ অবস্থা খুব বেশি দিন স্থায়ী হয় না। সেসিল রোডস নামের এক ব্যক্তি হীরার খনির শেয়ার কিনতে শুরু করেন। মাত্র ১৮ বছরেই দক্ষিণ আফ্রিকার হীরা সরবরাহের পুরোটাতেই তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
সেসিল রোডসের নাম কখনো না শুনলেও আপনি নিশ্চয়ই ‘ডি বিয়ারস’-এর নাম শুনেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সেসিল রোডস। কয়েক দশকের পরিচর্যায় রোডস তাঁর প্রতিষ্ঠানটিকে প্রথমে একটি বাণিজ্য-জোটে পরিণত করেন। পরবর্তী সময়ে যা বাজারের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। এর মাধ্যমেই হীরার উৎপাদন পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়।
কিন্তু তারপরই হঠাৎ করে হীরা এবং অলংকারের প্রতি সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের আগ্রহ কমতে শুরু করে। বাজারে লাগে মন্দা। ১৯৩৯ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, সে সময়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসা কনেদের এক-তৃতীয়াংশই কোনো ধরনের আংটিবদল ছাড়াই বিয়ে সম্পন্ন করতেন। ডি বিয়ারস তখন এমন এক অবস্থায় পড়ে গেল, যখন প্রয়োজনের অধিক জোগান থাকা সত্ত্বেও চাহিদা ছিল কম। কাজেই নতুন ধরনের এক পদ্ধতির অবতারণা করতে হলো। প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা এন ডব্লিউ আয়ার বরাবর এক চিঠি পাঠাল। জানতে চাইল ‘ভিন্ন ধরনের প্রচারণা’ করে হীরার বিক্রি বাড়ানো সম্ভব কি না। সংস্থাটি ক্রেতাদের ওপর এক জরিপ চালিয়ে দেখল, বেশির ভাগ মানুষই হীরাকে এক হাস্যকর বিলাসিতা হিসেবে দেখে। এ থেকে তারা বুঝতে পারে, ক্রেতার মানিব্যাগের দখল নিতে হলে আগে দরকার তাদের হৃদয়ে দখল স্থাপন।
এরপর তারা যা করল, তাকে বলা যায় আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বিজ্ঞাপনী প্রচারাভিযান। তারকাদের এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে হীরা ধার হিসেবে দেওয়া শুরু করে ডি বিয়ারস। সংবাদমাধ্যম দখলে রাখতে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনের কলামে বড় বড় করে তাদের পণ্যের কথা ছাপতে থাকে। ১৯৪৮ সালে লিপিকার ফ্রান্সেস গেরেটি মাত্র চার লাইনে হীরাকে ব্যাখ্যা করে লেখেন, ‘অনন্তকালের জন্য হীরা’। এই চার লাইন যেমন ছিল স্বর্গীয় ভালোবাসার রূপক, তেমনি ছিল এক নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ। তাতেই কেল্লাফতে। হু হু করে বাড়তে লাগল হীরার আংটির বিক্রি।
বিজ্ঞাপনী সংস্থা এন ডব্লিউ আয়ার ১৯৫১ সালে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ‘জহুরিরা আমাদের জানিয়েছেন, হীরার আংটি ছাড়া একটি মেয়ে কখনই বাগদত্তা হতে পারে না।’ ১৯৬৮ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ আমেরিকান কনে হীরার আংটি পরতে শুরু করেন। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি ডি বিয়ারস। তাই প্রচারাভিযান চলছিলই।
১৯৮০ সালে এন ডব্লিউ আয়ার নতুন এক বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করল। যাতে বলা হয়, ‘মাত্র দুই মাসের বেতন কি অবিনশ্বর কিছুর জন্য অতি সামান্য দাম নয়?’ হীরার আংটির মতোই নতুন এই বিজ্ঞাপন হবু বরদেরও হীরার পেছনে অর্থ বিনিয়োগে উৎসাহিত করে। মাসিক পত্রিকা অ্যাটল্যান্টিক-এর ১৯৮২ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তখন থেকেই হীরার দাম তরতর করে বাড়তে থাকে।

59
একজন মানুষের কত টাকা হতে পারে? কত টাকা হলে তার প্রয়োজন ফুরায়? জীবন কি শুধু টাকার জন্যই? প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন একজনই। নাম তাঁর ল্যারি অ্যালিসন। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তিনি।
সম্প্রতি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থবিত্ত সম্পর্কে নিজের ধারণার কথা তুলে ধরেন ল্যারি। তিনি বলেন, ‘একটা সময় আসবে কষ্ট করে আয় করা অর্থ পুরোটা খরচ করতে পারবেন না। বিশ্বাস করুন, আমি নিজেই ক্লান্ত।’
ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট (ডক্টর অব হিউম্যান লেটার্স) ডিগ্রি গ্রহণ করার পর তিনি এখানকার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জীবন নিয়ে কিছু উপদেশ দেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ক্যানসার চিকিৎসা ও গবেষণাকেন্দ্র খোলার জন্য ২০ কোটি মার্কিন ডলার দান করার ঘোষণা দেন ল্যারি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় দান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ক্যানসার গবেষণাকেন্দ্রটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন বিখ্যাত ক্যানসার চিকিৎসক ডেভিড আগুস। তিনি ল্যারি অ্যালিসনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসসহ প্রখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের ক্যানসার চিকিৎসা করেছেন।
ল্যারি অ্যালিসন তাঁর বক্তব্যে নিজের সম্পর্কেও কিছু তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন তোমাদের বয়সী ছিলাম, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বিভাগে পড়ার স্বপ্ন দেখতাম।’
অবশ্য অ্যালিসন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও কোনোটাতেই পড়াশোনা শেষ করেননি। তবে স্বশিক্ষিত হয়ে কম্পিউটার নিয়ে যে জ্ঞান অর্জন করেন তিনি, তা দিয়েই প্রযুক্তি খাতে কাজ করতে নর্দান ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলে চলে যান। এরপর তৈরি করেন ওরাকল ডেটাবেইস। বর্তমানে ওরাকল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যক্তিদের তালিকায় সাত নম্বরে আছেন অ্যালিসন।
ল্যারির কিছু উদ্ধৃতি:
১. ‘একটা সময় আসবে, অর্থই সবকিছু নয়। একটা সময় আপনি সব খরচ করতে পারবেন না, বিশ্বাস করুন, আমি ক্লান্ত।’
২. ‘মানুষ যখন আপনাকে পাগল বলতে শুরু করবে, তখনই মনে করবেন জীবনের সবচেয়ে বড় উদ্ভাবন করে বসেছেন।’
৩. ‘আমাদের মনের অনেক গভীরে জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা করার সুপ্ত বাসনা থাকে।’
৪. ‘টিভি বিজ্ঞাপনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জীবনকে চাকরির চেয়ে রোমাঞ্চকর বলে দেখানো হয়। সিলিকন ভ্যালিতে দীর্ঘদিন কাটানোর বিষয়টি আমার কাছে সে রকম রোমাঞ্চকর মনে হয়।’
৫. ‘যেকোনো চলমান রোমাঞ্চের মতো সেটি কোথায় শেষ হবে, তার ধারণা আমার নেই। কিন্তু আমি জানি তা শেষ হবে।’
৬. ‘প্রতিটি প্রজন্মের মতো তোমার প্রজন্মও পৃথিবী বদলে দেবে। তুমি নতুন প্রযুক্তি নতুন শিল্প উদ্ভাবন করে যাবে।’
৭. ‘তুমি পৃথিবীকে বদলে দেবে, আর পৃথিবী তোমাকে বদলে দেবে।’
৮. ‘তোমার আবেগের সঙ্গে যতক্ষণ কোনো চাকরি না মেলে, ততক্ষণ খুঁজতে থাকো। আমি এটাই করেছি।’

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার।

60
ভূমধ্যসাগরের পূর্বপাশে অবস্থিত গ্রিক দ্বীপ ইকারিয়া। দ্বীপটির নামকরণ করা হয়েছে গ্রিক পুরাণের বিখ্যাত চরিত্র ইকারুসের নাম থেকে। যে উড়তে উড়তে চলে গিয়েছিল একদম সূর্যের কাছে। তারপর সূর্যের গনগনে তাপে ডানা গলে গেলে ঝরে পড়ে সাগরের বুকে। না, এই ইকারিয়ার মানুষদের জীবন অবশ্য অমন নয়। তাদের জীবন মাঝপথেই থেমে যায় না; বরং এই ইকারিয়া বিখ্যাত এখানকার মানুষদের দীর্ঘ জীবনের জন্য। লিখেছেন নাবীল অনুসূর্য ইকারিয়ার প্রতি তিনজনের একজন ৯০ বছরের বেশি বাঁচেন। শতবর্ষী মানুষের দেখাও মেলে অহরহ। এখানকার মানুষ যে কেবল বেশি দিন বাঁচে, তা-ই নয়। রোগ-শোক, অপঘাত-দুর্ঘটনাও তেমন একটা দেখা যায় না তাদের মধ্যে। ইউরোপের অন্য যেকোনো অংশের তুলনায় ইকারিয়ার অধিবাসীদের শরীর-স্বাস্থ্য অনেক ভালো। এখানে ক্যান্সার-হৃদরোগের প্রকোপ কম, মানুষ হতাশা-ডেমেনশিয়ায় তেমন একটা ভোগে না। বুড়ো-বুড়ো মানুষগুলোও বেশ পরিশ্রম করে বেড়ায়। পারিবারিক, এমনকি যৌনজীবনেও তারা অসুখী নয় মোটেই।

ইকারিয়ার মানুষ যে বেশি দিন বাঁচে, সেটা কিন্তু কেবল চোখের দেখা দেখে বলে দেওয়া কোনো খবর নয়। এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি করে এথেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। ‘ইকারিয়া স্টাডি’ নামে তাদের সেই গবেষণার বিষয় অবশ্য কেবল ইকারিয়ার মানুষের দীর্ঘ জীবনই ছিল না, সেই দীর্ঘ জীবনের কারণও অনুসন্ধান করে তারা। তাদের ও অন্য গবেষকদের অনুসন্ধানে এই দীর্ঘ জীবনের বেশ কয়েকটি কারণ বের হয়ে এসেছে। তার কয়েকটি জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, বাকিগুলো তাদের খাদ্যাভ্যাসের বিষয়।

ইকারিয়ার মানুষ যে বেশি দিন বাঁচে, সেটা কিন্তু কেবল চোখের দেখা দেখে বলে দেওয়া কোনো খবর নয়। এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি করে এথেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। ‘ইকারিয়া স্টাডি’ নামে তাদের সেই গবেষণার বিষয় অবশ্য কেবল ইকারিয়ার মানুষের দীর্ঘ জীবনই ছিল না, সেই দীর্ঘ জীবনের কারণও অনুসন্ধান করে তারা। তাদের ও অন্য গবেষকদের অনুসন্ধানে এই দীর্ঘ জীবনের বেশ কয়েকটি কারণ বের হয়ে এসেছে। তার কয়েকটি জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, বাকিগুলো তাদের খাদ্যাভ্যাসের বিষয়।

Pages: 1 2 3 [4] 5 6