Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Lazminur Alam

Pages: [1] 2 3 ... 22
1
Heritage/Culture / নীলপরি
« on: November 20, 2018, 11:59:04 AM »
গাছের সরু ডাল-পাতা ও লতায় ঝুলে-দুলে খাবার তল্লাশি করে এরা। সেটা দেখতে অনেকটা অ্যাক্রোবেট (শারীরিক শৈলী) প্রদর্শনের মতো। পাঁচ-ছয়টি পাখি মিলে যখন লতা-পাতায় ঝুলে খাবার খুঁজতে শুরু করে, তখন তা মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে এই দেহভঙ্গির কারণে। এদের সৌন্দর্যও চেয়ে থাকার মতো। নীলপরি নাম তো আর এমনি এমনি হয়নি।

‘হুইট চি, হুইট চি, হুইট চি, হুইটইউ’ গানেও প্রাণ জুড়ায়। পুরুষ পাখির কপাল-ঘাড়-পিঠ ধাতব চকচকে-ভেলভেটি নীল। চিবুক-গলা-বুক ও লেজের প্রা‌ন্তের উপরিভাগসহ ডানার প্রান্ত মখমলি কালো। ডানার কালো রঙের ওপর নীলের আভা ছড়ানো। ঠোঁট-পা কালো। হলুদ বৃত্তের ভেতরে কালো চোখের মণি।

মেয়ে পাখি নীলচে-সবুজ রঙা। গহিন টিলা-পাহাড়ি বনে এদের বাস। চঞ্চল নীলপরিরা ৪ থেকে ১২টির দলে ভাগ হয়ে গাছে গাছে উড়ে বেড়ায়। আমুদে-খেলুড়ে এরা অন্য কিছু পাখির ডাক নকল করতেও পারে। এদের মূল খাদ্য পাকা ফল ও ফুলের মধুরেণু। জাম ও ডুমুর বেশি প্রিয়।

শীত থেকে গ্রীষ্ম, এই সময়ে গাছের ডালে বাসা করে। জলপাই-ধূসর বা সবজেটে-সাদা রঙের ২-৩টি ডিম পেড়ে মেয়েটি একাই তা দিয়ে ছানা ফোটায়।

নীলপরির ইংরেজি নাম এশিয়ান ফেইরি-ব্লুবার্ড। বৈজ্ঞানিক নাম lrena puella।

2
Heritage/Culture / কমলাবুক নীল চটক
« on: November 20, 2018, 11:57:38 AM »
একবারই এদের একটি বাসা পাওয়ার রেকর্ড আছে বাংলাদেশে। পাখিটির ইংরেজি নাম ব্লু–থ্রোটেড ব্লু–ফ্লাইকেচার। সরাসরি বাংলা করলে অর্থ দাঁড়ায় নীলগলার নীল চটক। বৈজ্ঞানিক নাম Cyornis rubeculoides.

পুরুষ পাখির গলা-মাথা-ঘাড়-পিঠসহ লেজের উপরিভাগ গাঢ় নীল। বুকটা চমৎকার কমলারঙা। তার নিচ থেকে শুরু করে পেটটা সাদা। মেয়ে পাখির গলা ক্রিম মাখানো কমলাটে, বুক কমলা, পেট সাদা। পা ধূসর। দৈর্ঘ্যে এরা ১৪ সেন্টিমিটার হয়। ওজন গড়পড়তা ১৬ গ্রাম। ঠোঁটের গোড়ায় গোঁফপালক আছে।

তীক্ষ্ণ–সুরেলা কণ্ঠে ‘ছিক্ ছিক্ ছিক্ ছিক্’ শব্দে অনবরত গান গেয়েই চলে। এদের চারণ‌ক্ষেত্র ঘাসবন, হোগলাবন, ধান‌খেত, ঝোপঝাড়। মূল খাদ্য পোকামাকড়। শিকার দেখলেই অনেকটা খেলনা কাগজের প্লেনের মতো বাতাসে সাঁতার কেটে গিয়ে শিকার ঠোঁটে পুরে নেয়। তারপর শিকার নিয়ে গিয়ে অন্য কোনো জায়গায় বসে সাবাড় করে। প্রয়োজনে ঘাসবনের তলায় নেমে মাকড়সা-ঘাসফড়িং পাকড়াও করে। গান গাওয়ার সময় লেজটা নাচিয়ে এরা নান্দনিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।

3
Heritage/Culture / কালিকাক
« on: November 20, 2018, 11:52:40 AM »
ডানা পিছমোড়া করে দাঁড়িয়ে থাকা পাখিটি সচরাচর দৃশ্যমান আবাসিক বক কালিকাক। শীতলে কাক, খাইরা, পিদালি, ধূসর বা ডাইং বক নামেও পরিচিত এরা। ইংরেজি নাম গ্রে হেরন। বৈজ্ঞানিক নাম ardea cinerea. বাংলাদেশসহ এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় এদের দেখা মেলে।

কালিকাক লম্বায় ৮৪ থেকে ১০২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। গড়ে ১ কেজি ৩৫০ গ্রামও ওজন হয়। মাথা-গাল-গলা বাদে শরীরের বাকি অংশ ফ্যাকাশে থেকে নীলচে ধূসর। মাথা, গাল ও গলা সাদা। মাথার দুপাশ থেকে দুটো কালো ডোরা মাথার পেছনে গিয়ে অগোছালো সুতাপালকের ঝুঁটি তৈরি করেছে। বুক, পেট ও লেজতল সাদাটে ধূসর। চোখ সোনালি হলুদ। চঞ্চু কালচে বাদামি। পা ও পায়ের পাতা হলদে সবুজাভ বাদামি। প্রজননকালে চঞ্চু কমলা-হলুদ এবং পা ও পায়ের পাতা উজ্জ্বল হলুদ রং ধারণ করে। পুরুষের তুলনায় মেয়েরা আকারে ছোট। এর ঝুঁটিও ছোট। ধূসর মাথা, ঘাড়সহ অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির শরীর অনুজ্জ্বল।

সারা দেশের অগভীর হাওর, বিল, হ্রদ, নদী, খাল, জলাভূমি, আবাদি জমি, পুকুর, মোহনা ইত্যাদিতে একাকী বা ছোটা দলে বিচরণ করে কালিকাক। পানি, কাদা বা মাঠে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে বল্লমের মতো চোখা চঞ্চু দিয়ে মাছ, ব্যাঙ, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, শামুক-ঝিনুক, কাঁকড়া-চিংড়ি, কেঁচো, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি শিকার করে খায়। ওড়ার সময় ‘কারার-কারার...’ স্বরে ডাকে।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এদের প্রজননকাল। এ সময় জলাশয়ের আশপাশের উঁচু গাছের শাখায় ডালপালা ও ঘাস দিয়ে বড় মাচার মতো বাসা বানায়। পুরুষ বাসা তৈরির জায়গা পছন্দ করে ও সরঞ্জাম জোগাড় করে। স্ত্রী সেগুলো দিয়ে বাসা বানায়। হালকা নীলচে সবুজ রঙের ২ থেকে ৫টি ডিম পাড়ে। ডিম ফোটে ২৫ থেকে ২৬ দিনে। স্ত্রী-পুরুষ মিলেমিশে ডিমে তা দেয় এবং ছানাদের লালন-পালন করে। ছানারা প্রায় ৫০ দিনে উড়তে শেখে। একেকটি কালিকাক ১০ বছরের বেশি সময় বাঁচে।

4
Heritage/Culture / দেশি নিমপোখ
« on: November 20, 2018, 11:48:35 AM »
বাংলাদেশের পাখির তালিকায় সদ্য সংযোজিত পাখিটি এক বিরল আবাসিক প্যাঁচা। এত দিন চোখের আড়ালেই ছিল। এর কোনো বাংলা নাম নেই। ইংরেজি নাম ইন্ডিয়ান স্কপস আউল। এর আগে ওকে নিমপোখ, নিম প্যাঁচা বা শিঙ্গেল প্যাঁচার (কলারড স্কপস আউল) একটি উপপ্রজাতি হিসেবে গণ্য করা হতো। কাজেই পাখিটিকে দেশি নিমপোখ অথবা দেশি নিম বা শিঙ্গেল প্যাঁচা বলা চলে। বৈজ্ঞানিক নাম otus bakkamoena। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় বাস করে এরা। দেশি নিমপোখ পরিযায়ন করে না।

প্রাপ্তবয়স্ক দেশি নিমপোখের দৈর্ঘ্য ২২ থেকে ২৪ সেন্টিমিটার। ওজন ১৪৩ থেকে ১৮৫ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম, তবে পুরুষের চেয়ে স্ত্রী কিছুটা বড় হয়। এর দুটি রং—একটি ফ্যাকাশে বাদামি ও অন্যটি লালচে। প্রধানত দ‌ক্ষিণাঞ্চলের পাখিগুলো লালচে রূপের, যাদের দেহের বর্ণে গৈরিক আভা থাকে। রূপ অনুযায়ী মুখমণ্ডলের গোলক দুটো কালো বর্ডারযুক্ত ফ্যাকাশে ধূসর বা লালচে। কপাল, ভ্রু ও কানের ওপরের লম্বা শিং ও পালকগুলো সেই তুলনায় বেশ ফ্যাকাশে। মাথা কালচে ফোঁটাযুক্ত। দেহের ওপরটা ছিটছোপযুক্ত গাঢ় বাদামি থেকে কালচে। ঘাড়ে রয়েছে হলদে বন্ধনী। বুক ধূসর–হলদে বা লালচে হলুদ ও তাতে রয়েছে অল্প কিছু লম্বালম্বি দাগ। পেটের দিকটা সাদাটে। চোখ বাদামি বা কমলা। পায়ের পালক ধূসরাভ বাদামি, যা আঙুলের কাছে এসে সাদাটে হয়েছে। আঙুল মাংসল, বাদামি। নখ ফ্যাকাশে, শিং বাদামি। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি ফ্যাকাশে ধূসর বা হলদে বাদামি, যার ওপর ডোরা থাকে।

দেশি নিমপোখ গ্রামীণ বন, আম ও ফলের বাগান, কুঞ্জবন ও কৃষিজমিতে বাস করে। তবে এ পর্যন্ত রাজশাহীর শহরসংলগ্ন সিমলা ছাড়া দেশের কোথাও এদের দেখা যায়নি। এরা নিশাচর। ঘাসফড়িং, গুবরে পোকা, মথ ইত্যাদি খায়। সুযোগ পেলে গিরগিটি, ইঁদুর, ছোট পাখিও খায়। ঢেউয়ের মতো উড়ে বেড়ায়। ‘ওক-ওক-ওক-ওক’ শব্দে ডাকে।

ডিসেম্বর থেকে মে প্রজননকাল। মাঝারি উচ্চতায় কোনো গাছের খোঁড়লে বাসা বানায়। একই বাসা বছরের পর বছর ব্যবহার করে। ডিম পাড়ে তিন–চারটি। ফোটে ২৭ থেকে ২৯ দিনে। ছানারা চার-পাঁচ সপ্তাহে উড়তে শেখে। স্বাবলম্বী হতে আরও তিন-চার সপ্তাহ লাগে। আয়ুষ্কাল তিন-চার বছর।

5
Heritage/Culture / গায়ক পাখি কমলা দোয়েল
« on: September 02, 2018, 10:38:44 AM »
পাখিটি আদতে অতি নিরীহ। চোখে সব সময় ভয় ভয় ভাব লেপ্টে থাকে। তবে সে গায়ক। এই পাখিদের পছন্দ হলো ছায়া ছায়া, মায়া মায়া বন-বাগান আর ঝোপঝাড়পূর্ণ এলাকা। আবার গেরস্থ বাড়ির উঠোন-বাড়িতেও এদের নির্ভয় যাতায়াত। মাটির ওপর দিয়ে ছন্দময় ভঙ্গিতে লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে যায় এরা।

পাখিটির নাম কমলাবউ। গ্রীষ্ম থেকে শরতে বাসা করে গাছের ঝোপালো ডালে বা সুপারির ৭-৮ ফুট উঁচু চারার পাতার ডগার গোড়ায়। বাসা চমৎকার গোলাকার। দ্বিস্তরবিশিষ্ট বাসাটার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, চামচের হাতার মতো বাসারও একটা হাতা থাকে, সেটি সুপারি পাতার সঙ্গে শক্ত করে জুড়ে দেয়। যাতে ঝড়ে বাসা উড়ে না যায়। আমার নিজের গ্রামের সুপারিবাগানগুলোতে এদের বাসা প্রতি মৌসুমে কমপ‌ক্ষে ৫০টি দেখা যায়। পিরিচের ওপর স্যুপের বাটি বসালে যেমন দেখায়, বাসাটি দেখতে প্রায় তেমন।

এরা ঝরাপাতা-ডালপালা ওল্টায় ঠোঁট দিয়ে। নানা রকমের পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, টিকটিকি-অঞ্জনের বাচ্চা, ব্যাঙাচি, ব্যাঙের পিচ্চি ছানা তাদের খাবার। উইপোকার ডিম-বাচ্চা এদের কাছে পোলাও ভাত। কেঁচো গেলে নুডলসের মতো।

বিপদের গন্ধ পেলে তীক্ষ্ণ-সুরেলা-ধাতব কণ্ঠে ‘হুইসেল’ বাজিয়ে দ্রুত উড়াল দেয়। আশপাশের সব পাখি এই সতর্কসংকেতের অর্থ বোঝে। শীতে পরিযায়ী পাখি ধূসর দামা ও রঙিলা দোয়েলরা এদের সঙ্গে মিলে একত্রে খাবারের সন্ধান করে।

মেয়ে পাখি গোলাপি-মাখন রঙা ডিম পাড়ে ৪টি। ডিম ফুটে ছানা হয় ১৪ দিনে। ১০ থেকে ১৫ দিনে তারা উড়তে শিখে যায়। কিশোর বয়সী ছানাদের বুক-ঘাড়-মাথা ও ডানার উপরিভাগে অসংখ্য বাদামি রঙের ছিট থাকে। মা পাখিটিকেও অনেকটাই ও রকম দেখায়। ছেলে পাখির মাথা-ঘাড়-বুক-পেট কমলা অথবা লালচে কমলা। পিঠ ধূসর-নীলচে। ডানার প্রা‌ন্তে এক সারিতে গোল ফোঁটা থাকে ৫-৬টি। লেজের তলা সাদা। গলা সাদাটে, ঠোঁট কালো। গোলাপি পা।

এরা রাতে আশ্রয় নেয় বাঁশের কঞ্চি, পেঁপে পাতার ডগা ও মোটা লতার ওপরে। শীতে মা-বাবা পাখি যখন পাশাপাশি হয়ে শরীর ফুলিয়ে গোলগাল পটকা মাছের মতো হয়ে ঠোঁট পিঠে গুঁজে দিয়ে ঘুমায়, তখন এদের দেখতে দারুণ লাগে। টর্চলাইটের আলোয়ও ওদের ঘুম ভাঙে না। গভীর হয় ঘুম।

কমলাবউয়ের ইংরেজি নাম অরেঞ্জ–হেডেড থ্রাস। বৈজ্ঞানিক নাম zoothera citrina। এরা মেটে দোয়েল, দামা, গুয়ে হালতি ও কমলা দোয়েল নামেও পরিচিত। দৈর্ঘ্য ২১ সেন্টিমিটার। ওজন ৬০ গ্রাম।

দক্ষিণ এশিয়ায় এই পাখির ১৫টি প্রজাতি আছে। এর মধ্যে কমলাবউ বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। সুরেলা কণ্ঠে গান গায় বলে অনেকে একে রসিক পাখিও বলে।

6
নিজেকে পরিপাটিভাবে প্রকাশ করতে শিখুন। পরিষ্কার পোশাক পরিধানে মনোযোগী হোন। নতুন পরিচয় হওয়া মানুষের মনে আপনার পোশাক-পরিচ্ছদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

অন্যের কাছে নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য কত প্রচেষ্টাই না থাকে। সুন্দর করে কথা বলা, দারুণ মনোমুগ্ধকর সুগন্ধি কিংবা নান্দনিক বাচনভঙ্গি নিয়ে অন্যদের মন জয় করার চেষ্টা করে যাই। আজ পড়ুন এমনই কয়েকটি পরামর্শ যার মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত অন্যদের মন জয় করে নিতে পারেন।

নিজেকে একটি দক্ষতার পরিচয়ে প্রকাশ করুন
আপনি সব পারেন, সব জানেন—তাহলে আপনাকে কেউ মনে রাখবে না নিশ্চিত থাকুন। বন্ধুমহলে নিজের একটি দক্ষতার মাধ্যমে নিজেকে পরিচিত করুন। একাধারে ক্রিকেট খেলেন, ভালো বেহালা বাজান, দারুণ সাইকেল চালান—এমনই নানা পরিচয়ে সবাই আপনাকে চিনলে কেউই গুরুত্ব দেবে না। খেয়াল করে নিজের জন্য একটি পরিচয় গ্রহণ করে সবার কাছে প্রকাশ করুন।

দেখতে পরিপাটি হোন
আপনি হয়তো সুদর্শন নন, আবার ক্রীড়াবিদদের মতো সুঠাম দেহের অধিকারী নন। নিজেকে পরিপাটিভাবে প্রকাশ করতে শিখুন। পরিষ্কার পোশাক পরিধানে মনোযোগী হোন। নতুন পরিচয় হওয়া মানুষের মনে আপনার পোশাক-পরিচ্ছদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ২০১২ সালে এক নিবন্ধে জানান, প্রথম পরিচয়ের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে জুতা ও পোশাকের মাধ্যমে একটি ছাপচিত্র মানুষের মনে তৈরি হয়, যা কয়েক বছর পর্যন্ত মানুষ মনে রাখতে পারে।

দাঁড়িয়ে কথা বলতে শিখুন
শ্রোতাদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়। অফিসে কিংবা ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস করুন। সবাই আপনার কথা গুরুত্বসহকারে নেবে।

কথা বলুন
আমরা কোথাও নতুন পরিবেশে অবস্থান করলে চুপ থাকার চেষ্টা করি। যা কখনই করবেন না। কোনো নতুন জায়গায় গেলে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন। আপনার নাম-পরিচয় দিয়ে নতুন মানুষটির পরিচয় জানার চেষ্টা করুন। যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে আগে চলে এসে নতুনদের সঙ্গে এভাবে পরিচিত হতে পারেন।

দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করুন
বেশির ভাগ সময়ই আমরা অফিসের মিটিংগুলোয় চুপচাপ থাকি। কথা শুনে, কিছু না বলেই চলে আসি। কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে আপনি অফিসের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্তাকে নিচু স্বরে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন। সৃজনশীল কিংবা কাজের প্রশ্ন করলে আপনার গুরুত্ব কর্মী হিসেবে বাড়বে।

মুক্তভাবে নিজেকে প্রকাশ করুন
আপনি যা তা প্রকাশ করতে শিখুন। নিজেকে ভ্রান্তভাবে সবার সামনে প্রকাশ করবেন না। আপনি হয়তো সাময়িক মুগ্ধতা ছড়াতে পারবেন, কিন্তু একসময় আপনার আসল পরিচয় সবাই জেনে যাবে। শক্তি নিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে জানুন। আপনার মধ্যে জড়তা থাকলেও তা প্রকাশ করুন। নিজেকে নিয়ে লুকোচুরি করবেন না।

হাসুন
যত কঠিন পরিবেশেই হাজির হোন না কেন, হাসুন। পরিস্থিতি বুঝে হাসতে শিখুন। মনে রাখবেন, হাসি দিয়ে দুনিয়া জয় করা যায়।

নাম মনে রাখা শিখুন
প্রথম পরিচয়ে যেকোনো মানুষেরই নাম মনে রাখুন। নাম ভুলে যাওয়ার বাতিক আছে। এমনটা কখনোই করবেন না। অন্যের মন পেতে প্রথমেই তার নাম শুদ্ধ করে বলা ও উচ্চারণ করতে জানতে হবে।

অন্যকে কথা বলতে দিন
বলা হয় তিনি ভালো কথা বলেন যিনি অন্যকে কথা বলার সুযোগ দেন বেশি। নিজে বলার চেয়ে অন্যকে তার গল্প বলতে উৎসাহিত করুন। কথা শোনার সময় আপনি যে কথা শুনছেন তা প্রকাশের জন্য প্রশ্ন করুন।

শরীরের ভাষা অনুকরণ করুন
নতুন মানুষের মন জিততে তার শরীরী ভাষাকে অনুসরণ করুন। মানুষ স্বাভাবিকভাবে তাকেই পছন্দ করেন যিনি তাঁর মতো, তাই কারও মন পেতে তাঁর মতো শরীরী ভাষা রপ্ত করুন।

তাকানো শিখুন
অনেকে আমরা চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারি না। যেকোনো মিটিং বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যখনই কারও সঙ্গে কথা বলবেন চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে কথা বলতে শিখুন। আবার বিরক্তি তৈরি হয় এমনভাবে তাকাবেন না। আপনার তাকানোর মধ্য দিয়ে যেন আপনার আন্তরিকতা ও কৌতূহলী থাকে তা প্রকাশ পায়।

7
আজকাল স্মার্টফোন ছাড়া চলেই না। কথা বলা, ছবি পাঠানো, ইন্টারনেট ব্যবহার, এমনকি আপনি কয় পা হাঁটলেন, তারও হিসাব দিতে পারে স্মার্টফোন। নিত্যসঙ্গী এই মোবাইল ফোনের ব্যাটারি নিয়ে মাঝেমধ্যেই হয় নানা ঝুটঝামেলা।

অনেক সময় বেশিক্ষণ চার্জ থাকে না। নতুন কেনা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি যতক্ষণ চলে, দুই বছরের পুরোনো ফোনের ব্যাটারি স্বাভাবিকভাবেই সেই সেবা দেয় না। এ ক্ষেত্রে নতুন ব্যাটারি কিনে নিতেই পারেন। তবে না কিনে যদি পুরোনো ব্যাটারি থেকেই বাড়তি সুবিধা পেতে চান, তবে চোখ বুলিয়ে নিন এই সাত পরামর্শে—

১. স্মার্টফোনের ব্যাটারি সেভার মোড চালু করে নিতে পারেন। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েডচালিত বেশির ভাগ স্মার্টফোনে এই অপশন থাকে। কিছু ফোনে ব্যাটারির চার্জ ২০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই মোড চালু হয়ে যায়। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখলে স্মার্টফোনের কেবল সাধারণ সুবিধাগুলোই পাওয়া যায়; কিন্তু ফোন চালু থাকে দীর্ঘ সময়।

২. অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহার না করা সত্ত্বেও স্মার্টফোনে চালু থাকে ব্লুটুথ ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক। খেয়াল করে বন্ধ রাখবেন এগুলো। ব্যবহার না করেও ব্লুটুথ ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু রাখলে তা নতুন সংযোগ খোঁজার কাজটি চালাতে থাকে। এতে ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হয়।

৩. অনেক ব্যবহারকারী স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা (ব্রাইটনেস) বাড়িয়ে দেন। এতে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয় দ্রুত। যদি সারা দিন একটু বেশি সময় স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে চান, তবে কমিয়ে রাখুন ব্রাইটনেস। এতে একটু বেশি সময় কাজে লাগাতে পারবেন ফোনটি।

অ্যাপের বদলে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা ভালো। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে থাকে। ফাইল ছবি
অ্যাপের বদলে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা ভালো। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে থাকে। ফাইল ছবি
৪. এখনকার স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশন প্রি-ইনস্টল করা থাকে। এই অ্যাপটি কিছুদিন পরপর হালনাগাদও হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসবুকের এই অ্যাপে ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ হয়। তাই অ্যাপের বদলে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা ভালো। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে থাকে।

৫. গুগল ম্যাপ বা আরও কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর সঠিক অবস্থান জানার প্রয়োজন হয়। এ জন্য চালু রাখতে হয় লোকেশন ট্র্যাকিং। এতে বেশি চার্জ প্রয়োজন হয়। তাই যেসব অ্যাপ্লিকেশনে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের প্রয়োজন নেই, সেসব ক্ষেত্রে এই সুবিধা বন্ধ রাখা যেতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সেটিংসে গিয়ে লোকেশন ট্র্যাকিং বন্ধ করা যায়।

৬. স্মার্টফোনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ও অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপারের জুড়ি নেই। কিন্তু এসব চালাতে ব্যাটারির চার্জও বেশি পোড়ে। যদি এগুলো বন্ধ রাখতে পারেন, তবে নির্দ্বিধায় একটু বেশি সময় মোবাইল চালু রাখতে পারবেন।

৭. একটি স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে আরও অনেক অ্যাপ্লিকেশন চালু থাকে। এর মধ্যে একটি হলো বিভিন্ন অ্যাপের স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ (অটো আপডেট) হওয়ার ব্যবস্থা। এটি বন্ধ রাখলে ব্যাটারির চার্জ খরচ কম হবে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের সেটিংসের জেনারেল অপশনে ঢুকে অটো আপডেট বন্ধ করা যাবে। আর হালনাগাদ করার প্রয়োজন হলে ম্যানুয়াল আপডেট করার সুযোগ তো থাকছেই।

8
Feature on Bachelor of Real Estate.

আবাসন শিল্পে আপনার পেশা !!

বাবুই পাখিকে ডাকিয়া বলিছে চড়াই কুঁড়েঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার পরে... কষ্ট হোক তবু থাকি নিজের বাসায়। মানুষের মৌলিক চাহিদারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাসস্থান। More.. https://www.jugantor.com/news-archive/job-search/2017/10/20/164873/%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE

9
Common Forum / হাই-ফাইভ কীভাবে এল?
« on: March 14, 2018, 05:36:05 PM »
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে হরহামেশাই আমরা হাই-ফাইভ করি। কিন্তু একে অপরের হাতের তালু মিলিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের এই রীতি এল কী করে? সেটা জানতে ১৯৭৭ সালের একটি বেসবল ম্যাচ সম্পর্কে জানতে হবে। সে বেসবল ম্যাচে মাঠে নেমেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বেসবল দল লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্স ও হিউস্টন অ্যাস্ট্রস। খেলার শেষ দিকে তখন টানটান উত্তেজনা। ডজার্সের খেলোয়াড় ডাস্টি বেকার সজোরে ব্যাটটি ঘোরালেন। ব্যাটে-বলে একদম নিখুঁত শট। বল ছুটল ঊর্ধ্বপানে। ছুটলেন বেকার নিজেও। ডাস্টি বেকার তাঁর হোম রান (বেসবলে বল আকাশে থাকা অবস্থায় পুরো চক্র ঘুরে আসা) শেষ করতেই মাঠে থাকা সতীর্থ গ্লেন বার্কে উত্তেজনায় হাত আকাশে তুলে ধরলেন। কিছু না বুঝে বেকারও হাত তুলে দিলেন আকাশে। মিলল দুজনের হাতের তালু। ‘দ্য হাই-ফাইভ’ শিরোনামে ইএসপিএনের প্রতিবেদনে এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে ইতিহাসের প্রথম হাই-ফাইভ সম্পর্কে। সেদিন থেকেই নাকি বর্তমান সময়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের এই রীতি চলে আসছে।
অবশ্য ভিন্নমতও তুলে ধরা হয়েছে ওই একই প্রতিবেদনে। অন্য আরেকটি তথ্যসূত্রে বলা হয়েছে, হাই-ফাইভ সংস্কৃতির প্রচলন ১৯২০ সালের দিক থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছিল। কিন্তু বেকার ও বার্কের সেই দিনের হাই-ফাইভটি ছিল রীতিমতো নিখুঁত এবং দর্শনীয়। তাই হয়তো আলাদা মাত্রা পেয়েছিল।
পাওয়ারই কথা। কারণ লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্স দ্রুতই দেশব্যাপী হাই-ফাইভকে ডজার্স স্যালুট হিসেবে প্রচার করা শুরু করেছিল। বিংশ শতকের আশির দশক নাগাদ ছেলে-বুড়ো সবাই সানন্দে গ্রহণ করে হাই-ফাইভকে।

ইএসপিএন ও বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে

10
History / প্রথম শহীদ মিনার
« on: February 18, 2018, 02:09:06 PM »
সে যুগে মুঠোফোন ছিল না, ইন্টারনেট নামের অন্তর্জালের বিস্তারও ছিল না। তবু গোলাগুলি আর শহীদ হওয়ার খবর ঠিকই পৌঁছে গেছে রাজশাহীতে।

২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খবর পৌঁছামাত্র রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলের একটি কক্ষে সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় শহীদদের স্মরণে হোস্টেল প্রাঙ্গণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে। বৈঠকে রাজশাহী মেডিক্যাল স্কুলের এসএমএ গাফ্ফারকে সভাপতি আর রাজশাহী কলেজের হাবিবুর রহমান ও গোলাম আরিফ টিপুকে যুগ্ম সম্পাদক করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। পরিষদের সিদ্ধান্তে ওই রাতেই শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে ইট, কাদামাটি ও বাঁশ দিয়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে।

রাজশাহী কলেজ হোস্টেলের জনাদশেকের সঙ্গে আরো জনাদশেক মিলে রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণকাজ। অদক্ষ হাতে রাত ১২টায় নির্মিত হলো শহীদ মিনার।
পর দিন ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ওই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের পুলিশ সেটি ভেঙে দেয়।

রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মুসলিম হোস্টেলের ফটকের কাছে ২০০৯ সালে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির সেই স্থানটিতে একটি ফলক নির্মাণ করা হয়। ফলকটি উন্মোচন করেন তৎকালীন মেয়র ও জাতীয় নেতা এ এইচ এম  কামারুজ্জামান হেনার ছেলে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

11
Heritage/Culture / কমলাবুক হরিয়াল
« on: November 27, 2017, 05:04:39 PM »
পুরুষ বুক ফুলিয়ে আর লেজ-মাথা শৈল্পিক ভঙ্গিতে দুলিয়ে দুলিয়ে বউটিকে কত প্রেম-সংগীত যে শোনায়! এরা ২টি সাদা রঙের ডিম পাড়ে। পালা করে তা দেয় দুজনে। ছানা হয় ১২-১৫ দিনে। বাচ্চারা উড়তে শেখে ২১-২৭ দিনে। অন্য ঘুঘুদের মতো এরাও ছানাদের প্রথম দিকে ৪-৫ দিন ঘুঘুর দুধ পান করায়। তারপর অল্প অল্প করে খাওয়াতে শুরু করে মূল খাবার। খাবার তালিকায় আছে নানান রকম ফল। মিষ্টি বরই এদের খুবই পছন্দ। শুধু ফুল নয়, ফুলের নরম পাপড়ি ও কলিও খায়। বাগেরহাট অঞ্চলে ‘উড়ে আম’ (Bischofia javanica) একটি গাছ বেশ সুলভ, ওই গাছের ফলের আকৃতি যেমন অনেকটাই আঙুরের মতো। ওই ফল এই পাখিদের অতি প্রিয়। ‘বলা’ ফলও খেতে ভালোবাসে খুব। এই গাছটিও বাগেরহাটে সুলভ। বন্দুকধারী শিকারিরা এবং আদিবাসী গোষ্ঠীর তির-ধনুকধারীরা এদের শিকার করে। আঠার ফাঁদেও আটকায়। তবে ওদের শিকার করা মোটেই সহজ কাজ নয়। অতিশয় হুঁশিয়ার এরা। মুহূর্তের মধ্যে গাছের ডালে বসে স্টিল যেমন হতে জানে, তেমনি ঝট করে উড়াল দিয়ে পালাতেও পারে।

এদের একজন দলপতি থাকে। পুরো দল দলপতির শারীরিক ভাষা বুঝতে পারে। সব নির্দেশনা পালন করে। ত্রুটি হলে দলপতি ও অন্যরা মিলে শাস্তি দেয়। আবার, তরুণ পাখিরা দলপতির আসনে বসতে চেয়ে দলপতির সঙ্গে মরণপণ লড়াইয়েও নামে। অস্ত্র মূলত দু-পাখার চটপট থাপ্পড়। সুখের সময় আপন মনে চাপা-মিষ্টি শিস যেমন বাজায়, তেমনি আহাজারি করার মতোও ডাকে।

এই পাখির নাম কমলাবুক হরিয়াল। বাগেরহাটে ‘কমলা হরেল’ নামে ৫০ বছর আগেও ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিল। নির্বিচার শিকার, ওদের খাদ্য-গাছ দ্রুত হারে কমে যাওয়ায় এখন দুর্দশা। এদের দৈর্ঘ্য ২৯ সেমি, ওজন ১৫০-২২০ গ্রাম। কমলাবুক হরিয়ালের ইংরেজি নাম Orange-breasted Green Pigeon. বৈজ্ঞানিক নাম Treron bicinctus.

৫৫ বছর আগে গ্রামবাংলায় সুলভ থাকলেও এখন প্রাকৃতিক বনে কোণঠাসা। সুন্দরবনসংলগ্ন জেলাগুলোতে অল্প সংখ্যায় দেখা যায় আজও। এদের বুকের নিচটা কমলা রঙের, বাকি বুক ও পেট কমলাটে-গোলাপি। মাথার তালু ও ঘাড় ধূসরাভ জলপাই-বাদামি। ডানার প্রান্তে চওড়া কমলা-হলুদ ব্যান্ড। জলপাই-সবুজ পিঠ। লেজের উপরিভাগ শ্লেটি-ধূসর। পাখার শেষ প্রান্ত কালো। লেজের তলাটা লালছে। গলা হলদেটে নীলচে ঠোঁট, লালছে পা।

Source: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1373141/কমলাবুক-হরিয়াল

12
Heritage/Culture / দুঃসাহসী কালিম পাখি
« on: November 22, 2017, 04:43:34 PM »
বিপদে পড়লে এই পাখিরা কামড় বসাতে মহা ওস্তাদ। মোটা-শক্ত ঠোঁটের আগা তীক্ষ্ণ-ধারালো। পেশাদার জাল-ফাঁদ শিকারিরা এদের জালফাঁদ থেকে ছাড়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করেন। বন্দুক শিকারিরাও আহত পাখি ধরতে সতর্ক থাকেন। কামড় বসাতে পারলে ছাড়ানো কষ্ট। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর খুলনার ফকিরহাট-চিতলমারী-মোল্লাহাট-তেরখাদা-ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হতো। বন্দুক শিকারিরা গুলি করে মারতেন। হাটবাজার থেকে পাখি কিনে ক্রেতার হাতে ধরিয়ে দেওয়ার আগে বিক্রেতারা পাখিটির নাকের ভেতর দিয়ে এই পাখিটিরই ডানার একটি পালক ছিঁড়ে নাকের এপাশ-ওপাশ দিয়ে বের করে ঠোঁটে পালক বেঁধে দিতেন। ক্রেতারা মুরগির মতো পা ধরে উল্টো করে ঝুলিয়ে বাড়িমুখো হতেন। ২০১৭ সালেও এ পাখি বিক্রি হচ্ছে। তবে অতি গোপনে। দেশের হাওরাঞ্চলে ধরা-মারা-বেচাবিক্রি চলে আজও। চাহিদা ভালো। মাংসমূল্যের জন্যই পাখিটি আজ আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। অথচ বন্য প্রাণী আইনে দেশের যেকোনো পাখিই ধরা-মারা-বিক্রি ও পোষা দণ্ডনীয় অপরাধ।

দুঃসাহসী-লড়াকু ও বদমেজাজি এই জলাজমির পাখিটির নাম কালিম। ফকিরহাট-বাগেরহাট তথা বৃহত্তর খুলনায় এটি ‘বুরি’ নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত। ইংরেজি নাম purple swamphen। বৈজ্ঞানিক নাম porphyrio porphyrio। দৈর্ঘ্য ৪৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৬৫০ গ্রাম। মারকুটে এই পাখিরা একনজরে চকচকে নীলচে-বেগুনি। রোমান যোদ্ধাদের মতো কপাল-মাথা জোড়া আলতা রঙের দর্শনীয় বর্ম। লালচে রঙের পা ও পায়ের লম্বাটে
আঙুল। লেজের তলা কার্পাস তুলোর মতো সাদা। চোখের পাশে বৃত্তাকারে সাদাটে ছোপ। বেশ নাদুসনুদুস স্বাস্থ্যবান এই পাখিরা সব সময় যেমন সতর্ক থাকে, তেমনি যেন রেগেও থাকে। প্রজনন মৌসুমে পোষা মোরগের কায়দায় দুটি পুরুষ যখন লড়াই করে, তখন কপালের বর্মে বর্মে শব্দ বাজে। বন্দুকের গুলির ছররায় যদি একখানা পা আহত হয়, তাহলে পা মুখে কামড়ে ধরে উড়ে পালায়।

এদের মূল খাদ্য জলজ উদ্ভিদ-গুল্মের কচি-নরম পাতা-ডগাসহ পদ্মফুলের ভেতরের অংশ, ব্যাঙের বাচ্চা, ছোট মাছ। ৫০ বছর আগেও হেমন্ত-শীতে ঢাকার শহরতলির বিল-ঝিলসহ সারা বাংলাদেশের বিল-হাওরে দেখা মিলত। এখন এরা কোণঠাসা দেশের কয়েকটি হাওরাঞ্চলে। গ্রীষ্ম-শরতে ভাসমান জলজ উদ্ভিদ-গুল্ম-কচুরিপানা ও ঝোপঝাড়ের তলায় ডাল-লতা দিয়ে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে তিন-সাতটি। ছানা ফোটে ১৮-২৩ দিনে। ছানারা হয় শ্লেটি-কালো। তাতে ধূসরের আভা ছড়ানো। মাথা-কপাল জোড়া শিল্ড থাকে, রং ওই লালই। পা ও পায়ের আঙুলও লাল। মা-বাবা পাখি ছানাদের নিয়ে চরাই করে। মুরগিছানাদের মতো ছানারা মা-বাবার পিঠে চড়ে, তেমনি মায়ের দুই পাখা ও বুকের তলায় বসে অদৃশ্য হয়ে থাকে। কিশোরগঞ্জ ও শেরপুর-জামালপুরে পোষা পাখি তথা গৃহপালিত বুরি পাখি দেখা যায়।

Source: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1371091/দুঃসাহসী-কালিম-পাখি

13
Use of email / ই-মেইল লেখার আদবকেতা
« on: October 29, 2017, 07:24:28 PM »
পড়ালেখা কিংবা পেশাগত জীবনে এখন ই-মেইলের গুরুত্ব অনেক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে ই-মেইল করা থেকে শুরু করে বৃত্তি, ফেলোশিপ, ইন্টার্নশিপসহ নানা কারণে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করতে হয়। কিন্তু অনেকেই ই-মেইল লেখার আদবকেতা জানেন না। সঠিক উপায়ে কার্যকর ই-মেইল লেখার পরামর্শ দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ও বিজনেস কমিউনিকেশন পরামর্শক.

১. কেমন হবে ই-মেইল ঠিকানা?

অনেকে ই-মেইল ঠিকানা তৈরির সময় কিছু শব্দ যোগ করে দেন। যেমন ‘ড্রিম বয়’, ‘ওয়ারিয়র’, ‘সুইট’, ‘ঢাকা’ ইত্যাদি। অনেকে যোগ করেন জন্মসাল। যেমন rahim1998@gmail.com। এ ধরনের ই-মেইল ঠিকানা অপেশাদার আচরণের বহিঃপ্রকাশ। ই-মেইল ঠিকানা তৈরির ক্ষেত্রে নামের আদ্যক্ষর কিংবা পেশার পরিচয় প্রকাশ করুন। যেমন আপনার নাম যদি হয় আহসান আহমেদ খান, আপনার ই-মেইল ঠিকানা হতে পারে aakhan@yahoo.com। কখনো কখনো পেশাও ই-মেইল ঠিকানার অংশ হতে পারে। যেমন hasan. writer@gmail.com বা hasan.doctor@outlook.com। ওয়েব মেইল বা বিনামূল্যের ই–মেইল সেবায় পছন্দমতো ই-মেইল ঠিকানা না পেলে নামের সঙ্গে ২ অঙ্কের সংখ্যা বসিয়ে নিতে পারেন। যেমন aakhan88@gmail.com।

২. সম্ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যাঁকেই ই-মেইল করুন না কেন, সম্ভাষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজিতে লেখার ক্ষেত্রে শুধু ‘হাই’ বা ‘হ্যালো’ লিখে শুরু করবেন না। যাঁকে ই-মেইল করছেন, তাঁর গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘ডিয়ার স্যার’ বা ‘ডিয়ার প্রফেসর’-এভাবে লিখতে পারেন। কখনো কখনো যোগ করতে পারেন প্রাপকের নাম, যেমন ‘ডিয়ার প্রফেসর এনামুল হক’। সহকর্মী কিংবা সমবয়সী কাউকে ই-মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করুন। যদি প্রাপকের নাম না জানা থাকে, তাহলে শুধু ‘ডিয়ার স্যার’ লিখুন। বাংলায় লিখলে ‘জনাব...’ বা ‘প্রিয়...’ দিয়ে শুরু করতে পারেন।

৩. বানান-ব্যাকরণে ভুল নয়

ই-মেইল লেখার পর অবশ্যই বানান পরীক্ষা করবেন। ইংরেজি কিংবা বাংলা যে ভাষাতেই ই-মেইল লিখুন না কেন, বানান শুদ্ধ রাখতেই হবে। ব্যাকরণে ভুল করা চলবে না। ইংরেজি ব্যাকরণে যারা দুর্বল, তারা ইন্টারনেট ব্রাউজারে ‘গ্রামারলি’ কিংবা এ ধরনের অন্য কোনো বানান-ব্যাকরণ সংশোধনের ‘এক্সটেনশন’ যুক্ত করে নিতে পারেন। জিমেইল বা এ ধরনের ওয়েব মেইল সেবায় বানান পরীক্ষক রয়েছে। ইংরেজি বানান ভুল হলে সেটির নিচে লাল দাগ আসে। শব্দের ওপর মাউসের ‘ডান ক্লিক’ করে শুদ্ধ বানান বেছে নিন।

৪. ‘সাবজেক্ট লাইন’ সংক্ষিপ্ত কিন্তু দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখুন

‘সাবজেক্ট লাইন’ অর্থাৎ ই-মেইলের বিষয় দুই বা তিনটি শব্দে এমনভাবে লিখুন, যেন তা দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শুধু ‘ই-মেইল’ বা ‘হাই-হ্যালো’ লিখবেন না। যে কারণে ই-মেইল করছেন, তা স্পষ্ট বোঝা যায় এমনভাবে লিখুন। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারলেও কম শব্দে লিখুন।

৫. ‘সিসি’ ও ‘বিসিসি’

কখনো কখনো আমরা একসঙ্গে কয়েকজনকে ই-মেইল করে থাকি। এ ক্ষেত্রে কার্বন কপি (সিসি) বা অনুলিপি কাদের দিচ্ছেন, তা অবশ্যই খেয়াল করুন। ই-মেইলের মূল প্রাপক যিনি, তাঁর নামটি ই-মেইল ঠিকানার ঘরে লিখতে হবে, আর যাদের অনুলিপি পাঠাচ্ছেন তাঁদের নাম ‘সিসি’ ঘরে লিখতে হবে। অনুলিপি আপনি কাদের পাঠাচ্ছেন, সেটা প্রাপকদের না জানাতে চাইলে বিসিসি বা ‘ব্লাইন্ড কার্বন কপি’ ঘরে ই-মেইল ঠিকানা লিখুন।

৬. ‘রিপ্লাই অল’ ক্লিক করার আগে ভাবুন

আমরা অনেক সময় এমন ই-মেইল পেয়ে থাকি, যেখানে সিসি বা অনুলিপি হিসেবে আরও অনেকের ই-মেইল ঠিকানা যুক্ত থাকে। এ ক্ষেত্রে অনেকে কোনো কিছু না ভেবেই ‘রিপ্লাই অল’ চাপেন। অর্থাৎ এর মাধ্যমে ই-মেইলে সম্পৃক্ত সবার কাছেই উত্তরটা পৌঁছে যায়। কিন্তু আপনি হয়তো চাইছেন, ই-মেইলটি যিনি পাঠিয়েছেন, শুধু তাঁর কাছেই উত্তর যাক। এ ক্ষেত্রে ‘রিপ্লাই অল’ সিলেক্ট করা ঠিক হবে না। আপনি আপনার উত্তর ই-মেইলের সঙ্গে সংযুক্ত সবাইকেই জানাতে চান কি না, সেটা ভাবুন।

৭. অল্প কথায় লিখুন

পেশাজীবনে চার থেকে ছয় বাক্যের মধ্যে ই-মেইল লেখার চর্চা করুন। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা এমনটাই উপদেশ দেন। বলা হয়, আপনি যদি চার থেকে ছয়টি বাক্যের মধ্যে সহজভাবে লিখে প্রকাশ করতে না পারেন, তাহলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখেও আপনার বক্তব্য বোঝাতে পারবেন না। মুঠোফোনে যেমন ১৬০ শব্দ, আবার টুইটারে ১৪০ শব্দের মধ্যে মনের ভাব তুলে ধরতে হয়, সেভাবে চার থেকে ছয় বাক্যে ই-মেইল লেখার চর্চা করুন। বড় আকারের ই-মেইল লিখতে হলে লেখার শুরুতেই প্রাপককে বিষয়টা জানিয়ে নিন। গুরুত্বপূর্ণ বাক্যগুলো ‘আন্ডারলাইন’ করে দিন। আবার বেশি ছোট ই-মেইল লেখাও ভদ্রতার পরিচয় নয়। ই-মেইলের উত্তরে শুধু ‘ধন্যবাদ’ কিংবা ‘গট ইট’ (পেয়েছি), এমন কিছু লিখবেন না। অন্তত দুই থেকে তিনটি বাক্য ব্যবহার করে উত্তর দিন।

৮. ইন্টারনেটের ‘চলতি’ ভাষা এড়িয়ে চলুন

ই-মেইল লেখার সময় বিনা প্রয়োজনে কোনো বাক্য যোগ করবেন না। মেসেঞ্জারে চ্যাট করার সময় আমরা যেমন সংক্ষিপ্ত আকারে লিখি, যেমন ‘অ্যাসাপ’, ‘বিআরবি’, ‘এলওএল’—এ ধরনের শব্দ না লেখাই ভালো। পূর্ণ শব্দ লিখুন। You লিখতে গিয়ে সংক্ষেপে U লিখবেন, এমনটা যেন না হয়।

৯. ই-স্বাক্ষর যুক্ত করুন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন

ই-মেইল সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সাবলীল ভাষায় লিখুন। যে বক্তব্য প্রকাশ করতে চান, তা স্পষ্ট শব্দ ও বাক্যে লিখুন। কঠিন শব্দ বা অতি দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার করে প্রাপকের মনোযোগ নষ্ট করবেন না। ই-মেইল লেখা শেষে শুভেচ্ছা জানিয়ে দু-তিনটি শব্দ অবশ্যই লিখবেন। ই-মেইলের শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের নাম ও পরিচয়ের তথ্য যুক্ত করতে পারেন। ই-স্বাক্ষর যোগ করার উপায়ও ই-মেইলে আছে। নাম, পরিচয়, প্রয়োজনে মুঠোফোন নম্বর ‘ই-স্বাক্ষর’ হিসেবে যুক্ত করুন। ‘ই-স্বাক্ষর’ চার লাইনের বেশি না হওয়াই ভালো।

১০. ফাইল সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন

ই-মেইলে ‘অ্যাটাচড ফাইল’ পাঠানোর সময় সতর্ক থাকুন। দুই বা তিনটির বেশি ফাইল পাঠানোর ক্ষেত্রে গুগল ড্রাইভ কিংবা মাইক্রোসফট আউটলুকের ক্ষেত্রে ওয়ানড্রাইভ ব্যবহার করুন। আপনার ড্রাইভে প্রাপকের প্রবেশাধিকার (একসেস) আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করুন। অনেকে ই-মেইলের সঙ্গে একগাদা ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করে দেন। এ ধরনের আচরণ প্রাপককে বিরক্ত করতে পারে। খুব প্রয়োজন না হলে এমনটা না করাই শ্রেয়।

14
Heritage/Culture / গাঙশালিক
« on: October 25, 2017, 06:04:48 PM »
এরা ডিম পাড়ে ছয়-সাতটি করে। মেয়ে ও পুরুষ পাখি পালা করে ডিমে তা দেয়। বাসা করার সময়ও দুজনে পালা করে গর্ত খোঁড়ে। এরা অঙ্ক ও জ্যামিতিতে পাকা। মৃত্তিকাবিজ্ঞানীও বলা যায়। বাসা করে মাটি পরীক্ষার পর মাপজোখ করে।

গাঙশালিকেরা নদীর খাড়া পাড়ে বা পুল-কালভার্টের তলায় এমন জায়গায় বাসা বাঁধে, যেখানে শিয়াল-খাটাশ-বনবিড়ালেরা চড়তে গেলেই পিছলে পড়বে। দুষ্টু ছেলেমেয়ে ও বাজ-ইগলেরা ডিম-ছানা নাগালে পাবে না। বৃষ্টির পানি খাড়া পাড় বেয়ে নামার সময় সহজে সুড়ঙ্গের ভেতর ঢুকবে না। বাসা শেষ করতে সময় লাগে ছয় থেকে নয় দিন। কয়েক জোড়া পাখি মিলে কলোনি বাসা করার আগে জুতসই জায়গাটা নির্বাচন করে। তারপরও বাসার মুখ থাকে ছোট। গভীরতা দুই থেকে চার ফুট ও একটু ডানে বা বামে ঘুরে গিয়ে থাকে ডিম-বাচ্চার চেম্বার। ডিম ফুটে ছানা হয় ১৫ থেকে ২১ দিনে। ছানারা উড়তে শেখে ১৯ থেকে ২৪ দিনে।

বুদ্ধিমান গাঙশালিকদের বেশি দেখা যায় ছোট-বড় নদী এলাকার আশপাশে। বলা যায়, নদীকেন্দ্রিক জীবন এদের। দলে চলে। গলার স্বর অনেকটাই ভাতশালিকের (Common Myna) মতো। তবে খুব মিষ্টি ও মোলায়েম শব্দে গলার ভেতরে এরা যেন জলতরঙ্গ বাজায়। মূল খাদ্য এদের ফল-পোকামাকড়-কীটপতঙ্গ ও নানান রকম শস্যদানা। নিয়মিত বালুস্নান করে, ধানগাছে জমে থাকা শিশিরে ডানা ঝাপটে মজা করে শিশির-স্নানও করে।

গাঙশালিক একনজরে নীলচে ধূসর পাখি। ডানার প্রান্ত ও লেজ কালো, লেজের অগ্রভাগ গোলাপি-সাদা। ঘন-কমলা রঙের চোখের পাশটার সঙ্গে একই রঙের ঠোঁটটা খুবই মানানসই। ঠোঁটের গোড়ায় আবার কপালমুখো ছোট একগুচ্ছ ঝুঁটি। ডানার প্রা‌ন্তে সাদা ছোপ। পা গোলাপি হলুদ। ইংরেজি নাম Bank Myna. বৈজ্ঞানিক নাম Acridotheres ginginianus. দৈর্ঘ্য ২১ সেমি। ওজন ৭২ গ্রাম।

Source: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1351286/ওরা-অঙ্ক-জ্যামিতি-জানে


15
স্নাতকের শেষ পর্যায়ে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন বা শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হয়। পুরোদমে পেশাজীবন শুরু করার আগে এটাই হলো নিজের দক্ষতা বা দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করার কিংবা নিজেকে প্রমাণের সুযোগ। কীভাবে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার জন্য আবেদন করবেন, কীভাবে কাজ করবেন, কীভাবে সুযোগগুলো কাজে লাগাবেন—এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক রিদওয়ানুল হক

১. সময় নিয়ে সিভি তৈরি করুন

বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে অনেকে জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি তৈরির কাজে তেমন গুরুত্ব দেন না। ইন্টার্নশিপ কিংবা চাকরি পেতে সিভি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সময় নিয়ে সিভি তৈরি করতে হবে। সাজানো-গোছানো সিভি আপনাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে। অন্য কারও সিভি হুবহু নকল কিংবা অনুসরণ করা যাবে না। ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের সিভি তৈরির ধরনটা থেকে ধারণা নিতে পারেন। মিথ্যা, অতিরঞ্জিত কিংবা কাল্পনিক তথ্য সিভিতে ব্যবহার করবেন না। সিভি তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা অভিজ্ঞ কাউকে দেখিয়ে নিতে পারেন। সিভির সঙ্গে ‘কভার লেটার’ও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কেন শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে চান, কী শিখতে চান, এসব নিজের ভাষায় লিখতে হবে কভার লেটারে।

২. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন

আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করতে চান, সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোমতো জানুন। সেখানকার পরিবেশ, কাজের ধরন সম্পর্কে খোঁজ নিন। ধরুন, আপনি ফিন্যান্স বিভাগে ইন্টার্ন করতে চান কোনো প্রতিষ্ঠানে, তাহলে ফিন্যান্স বিষয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে কম্পিউটারে যেসব দক্ষতা জানা প্রয়োজন, তা ইন্টারনেট ঘেঁটে শিখে নিন। কোন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের পর চাকরির সুযোগ আছে, এসব খোঁজ খবর নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

৩. ই-মেইল যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক তৈরি করুন

প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ইন্টার্ন চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয় না। এ ক্ষেত্রে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করতে চান, তার মানবসম্পদ বিভাগ বরাবর ই-মেইল করে জেনে নিতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ই-মেইলে কভার লেটারসহ সিভি পাঠিয়ে দিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কিংবা ‘লিংকডইন’ থেকে যোগাযোগের ই-মেইল ঠিকানা সংগ্রহ করতে পারেন। চলতি শব্দে ই-মেইল লেখার কৌশল রপ্ত করুন। পেশাজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করুন। এখন যেহেতু ডাকযোগে সিভি পাঠানোর চল নেই, তাই ই-মেইল লেখার রীতিনীতি শিখুন।

৪. সাক্ষাৎকারকে গুরুত্ব দিন

ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব হচ্ছে সাক্ষাৎকার। প্রচলিত চাকরির ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ধাপ থাকলেও ইন্টার্নে সাধারণত একবারই সাক্ষাৎকার পর্বের মুখোমুখি হতে হয়। সাক্ষাৎকারে প্রচলিত কিছু প্রশ্ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে উত্তর মুখস্থ না করে নিজের মতো করে সাজিয়ে বলার চেষ্টা করুন। নিজের সম্পর্কে বাড়িয়ে বলবেন না, মিথ্যা বলবেন না। বাড়িতে সাবলীলভাবে ইংরেজি বলার চর্চা করুন।

৫. নিজেই প্রস্তাব দিন

অনেক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন হিসেবে আবেদন ও সাক্ষাৎকারের পর হয়তো আপনার নিয়োগ না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। ই-মেইলের মাধ্যমে কাজের সুযোগ আছে কি না, তা নিয়মিত জানার চেষ্টা করতে পারেন। কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি ইন্টার্নের সুযোগ না-ও থাকে, ই-মেইলের মাধ্যমে আপনি নিজে থেকে প্রস্তাব দিতে পারেন। আপনি যে বিভাগে কাজ করতে আগ্রহী, যে বিষয়ে কাজ করতে চান, আপনার কাজের মাধ্যমে কীভাবে প্রতিষ্ঠান উপকৃত হতে পারে তা লিখে মানবসম্পদ বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে ই-মেইল করুন।

৬. যতটা সম্ভব নিজের সেরাটা দিন

সাধারণত ইন্টার্নে সময় থাকে ৩ থেকে ৬ মাস। এই সময়ের মধ্যেই কাজ শেখার চেষ্টা করুন। নিয়োগদাতা কিংবা তত্ত্বাবধায়ককে আপনার আগ্রহের কথা বলুন। এমনভাবে কাজ শেখা ও জানার চেষ্টা করুন, যা আপনাকে পেশাজীবনে সহযোগিতা করবে। অনেকেই ইন্টার্নের সময় অফিসের আলোচনা সভা, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ পর্ব ইত্যাদি এড়িয়ে যান, এমন করবেন না। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যেভাবে কাজ শেখেন, সেভাবেই নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ নিন। প্রতিষ্ঠান যেন আপনার প্রয়োজন অনুভব করে, সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলুন।

৭. বড় পরিসরে ভাবুন

‘ছয় মাস পেরোলেই তো ইন্টার্ন শেষ’, এমন ভাববেন না। আপনি যে পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, সেখানে কী কী দক্ষতা প্রয়োজন, কী কী কারিগরি বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত, তা ইন্টার্নের সময়ই জানার চেষ্টা করুন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুঁথিগত শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, পেশাগত বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তেমন জানার সুযোগ থাকে না। ইন্টার্নের সুযোগকে পেশাজীবন ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সংযোগ সেতু হিসেবে ব্যবহার করুন।

৮. প্রশ্ন করতে শিখুন

ইন্টার্ন শুরু করলেই যে শেখার সুযোগ পাবেন, তা কিন্তু নয়। শেখার দায়িত্ব আপনার। যাঁদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পাবেন, তাঁদের কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করে জানার চেষ্টা করুন। আপনি যেহেতু নবীন, তাই আপনার সেভাবে কাজ না জানাটাই স্বাভাবিক। তাই সংকোচ না করে আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করুন। ভুল থেকে শেখার মনোভাব গড়ে তুলুন।

৯. শিক্ষকদের সহায়তা নিন

বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে সাধারণত শেষ বর্ষে এসে ইন্টার্ন করতে হয়। কিন্তু আপনি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়মিত এ ব্যাপারে আলোচনা করুন, তাঁদের পরামর্শমতো নিজেকে তৈরি করুন।

১০. চাকরির সুযোগ তৈরি করুন

বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই ইন্টার্ন থেকে স্থায়ী কাজের সুযোগ মেলে। এ ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকেই নিজেকে উৎসাহী ও কাজের প্রতি আগ্রহী হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করুন। সবাইকে সব কাজ জানতে হবে, এমন নিয়ম কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই। কিন্তু সব কাজে আগ্রহী ব্যক্তিদের সুযোগ থাকে বেশি। তাই নিজের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করুন। চাকরিটা স্থায়ী করার জন্য প্রতিষ্ঠানের করপোরেট রীতিনীতি বুঝে নিন। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুন।

Pages: [1] 2 3 ... 22