Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - monirulenam

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 19
31
Good post

32
মনটা কদিন ধরেই ভালো নেই। অবশ্য যে অদ্ভুত দেশে বসবাস করি সেদেশে মনমেজাজ একটানা ভালো থাকবে সেটাও অস্বাভাবিক। মন খারাপ হলে আপনারা কে কী করেন সেটা জানি না, তবে আমি কি করি-সেটা বলতে পারি।

প্রথমেই মোবাইলটা অফ করি, মাঝে মাঝে রমনা পার্কের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে বসে থাকি, কিছু বাদাম ছড়িয়ে দিলে দুয়েকটা কাঠবিড়ালী চলে আসে, এরা কী আশ্চর্য সুন্দর করে বাদামগুলো দুহাতে ধরে নিয়ে খায়! এদের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মনটা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসে।

মন খারাপের ব্যক্তিগত নানা ঘটনা বাদ থাকুক, চিকিৎসক হিসেবে যে কারণে মন খারাপ -সে ঘটনাটা বলি...

সেই দিনটার কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। সকাল সকাল এক যুবক সাথে করে এক বয়স্ক মহিলা ও এক তরুণীকে নিয়ে আমার চেম্বারে প্রবেশ করলেন। বয়স্ক মহিলাটি হাই-প্রেশারের রোগী, বিষয়টা নিয়ে যুবক ও তরুণী বেশ উদ্বিগ্ন। প্রেশার চেক করলাম, একটু বাড়তির দিকে। বয়স্ক মহিলাটি প্রেশারের ওষুধ খাচ্ছেন, ডোজটা বাড়িয়ে দিয়ে কি করতে হবে আর কি করা যাবে না সে ব্যাপারে কিছু কথা বলে রোগীটি দেখা শেষ করলাম।

যুবকটি আমার প্রতিটা কথা বেশ দায়িত্ব নিয়ে বুঝে নিলেন, আমার সামনেই বেশ তরল গলায় বয়স্ক মহিলাকে কয়েকবার ‘মা’, ‘মা’ডেকে তাকেও বুঝিয়ে দিলেন। তাদের কথোপকথনে বুঝতে পারলাম বয়স্ক মহিলাটি তার শাশুড়ি, তরুণীটি তার স্ত্রী।

যুবকের রেসপনসিবিলিটিতে আমিও তখন বেশ মুগ্ধ, এমনকি মহিলার সামনেই বলে ফেললাম, 'আপনার ভাগ্য তো বেশ ভালো! এমন জামাই কি সবার ভাগ্যে জোটে?'

মহিলা ও তরুণী হাসিমাখা মুখে সেটা স্বীকারও করে নিলেন।

যুবকটি ভিজিট দিয়ে বের হয়ে যাবার সময় আমাকে জানালেন ঘন্টাখানেক পর যুবকটির মা'ও আসবেন, আমি যেন একটু দেখে দেই...

যুবকটির মায়ের কথা রোগী দেখতে দেখতে ভুলে গেলাম। চেম্বার শেষ করে উঠতে যাবো, এমন সময় এক বৃদ্ধ মহিলা রুমের দরজা ও দেয়াল ধরে ধরে আমার রুমে ঢোকার চেষ্টা করলেন। আমার মনে আছে ঐ বৃদ্ধা বেশ দুর্বল ছিলেন, উনাকে চেয়ারে বসানোর জন্য আমাকে উঠে যেতে হয়েছিলো।

এই বৃদ্ধা আসলে ঐ যুবকটির মা। ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, শ্বাসকষ্ট আগে থেকেই ছিলো, ইদানিং পায়ে পানি চলে আসছে, সে কারণেই ডাক্তারের কাছে আসা। অনিয়মিতভাবে চিকিৎসা নিতেন। প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে কিডনী সংক্রান্ত দু'তিনটা পরীক্ষা দিতে হলো। ভিজিট দেবার সময় উনি একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন, অবাক হয়ে বলেছিলেনঃ " আমার বাজান কি টাকা দিয়া যায় নাই!"

আমাকে বলতে হয়েছিলোঃ " আপনার ছেলের মনে হয় ভুল হয়েছে। সমস্যা নেই, পরেরবার আসলে আপনার ছেলে থেকে নিয়ে নিব..."

তবে ছেলে যে ভুল করেনি সেটা পরে বুঝতে পেরেছিলাম। বুঝতে পেরেছিলাম ছেলের ভিজিট না দেয়াটা ছিল ইচ্ছাকৃত...

মাসদুয়েক পর যুবক আবারও এসেছিলেন তার শাশুড়িকে নিয়ে, আগের মতই শাশুড়ির চিকিৎসা নিয়ে তিনি ছিলেন বেশ উদ্বিগ্ন। চলে যাবার সময় একান্তে ডেকে তার মায়ের ভিজিটের কথা বললাম। উনি উষ্মার স্বরে যে উত্তর দিয়েছিলেন সেটা আপনাদের শোনাইঃ "মায়ের চিকিৎসার টাকা মা দিবে, আমারে বলেন কেন?"

অপেক্ষাকৃতভাবে সুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে স্ত্রী সমেত যুবকটি হাজির হতে পারলেও ছানি পড়া অধিকতর দুর্বল নিজের জন্মদাত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসার সময় যুবকটির হয় নি। শাশুড়ির ক্ষেত্রে ভিজিট দিতে যুবকটি কার্পণ্য করেনি, কৃপণতা তিনি দেখিয়েছেন তার জন্মদাত্রীর প্রতি...

বৃদ্ধা মহিলা পরবর্তীতে আরো দু'বার সম্পূর্ণ একা একাই আমার কাছে এসেছিলেন, একা না এসে উপায়ও নেই, স্বামী মারা গিয়েছে অনেকদিন আগে। ততদিনে পায়ের ফোলা আরো বেড়েছে, তেমন কোন ওষুধও নেন নি, পরীক্ষাগুলোও করান নি। কেন ওষুধ ঠিকমত নেন না জিজ্ঞেস করাতে বলেছিলেন, ‘বাজান তো ওষুধ কিন্যা দেয় না। ওর কি দোষ কন! বউ-বাচ্চা নিয়া কত খরচের সংসার!’

বৃদ্ধা এর পরে যে দু'বার এসেছিলেন সে দু'বারই সর্বমোট ২০০-৩০০ টাকা হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন, আমার ভিজিটটাও দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, "বাজান" কে হয়ত ভিজিট সংক্রান্ত ব্যাপারে ডাক্তারের সামনে আর অপমানিত হতে দিতে চাননি। আমার সঙ্গেবৃদ্ধার আর দেখা হয় নাই...

এসব ঘটনার পর সাত-আট মাস পার হয়েছে। গত শুক্রবার ঐ যুবক আবারো তার শাশুড়ি আর স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন। শাশুড়ি সংক্রান্ত ব্যাপারে উনার তৈলাক্ত ভাব আরো বেড়েছে। প্রেসক্রিপশন লেখা শেষে কৌতুহল বশত একবার জিজ্ঞেস করলাম: 'আপনার মা কেমন আছেন?' উনি আনন্দিত চেহারা নিয়ে বললেন (I repeat, উনি আনন্দিত চেহারা নিয়েই কথাটা বলেছিলেন): "মা তো মারা গেছে আরো মাস চারেক আগে! মারা গিয়া অবশ্য ভালোই হইছে, তার জন্যে সবার অনেক কষ্ট হইতেছিলো"

আমার বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো, ক্ষণিকের জন্য থমকে গেলাম। আহারে! যে মা তাকে "বাজান" ছাড়া কখনও সম্বোধন করেন নাই, সেই "বাজানে"র কথাটা কি ঐ মা পরপার থেকে শুনতে পেয়েছেন? ঐ মা কি শুনতে পেয়েছেন যে মৃত্যুর আগমুহূর্তে তার জন্য নাকি সবার কষ্ট হচ্ছিলো? "বাজান"-কে কষ্ট থেকে মুক্ত করতেই কি তিনি তাড়াতাড়ি ওপারে চলে গেলেন? আমার চিন্তার রাজ্য কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেলো।

প্রেসক্রিপশন নিয়ে বৃদ্ধার ছেলে হাসিমুখে তার শাশুড়িকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। মনে অনেক কথা ছিলো, মুখে কিছু বলতে পারলাম না। ক্লান্ত পথিকের মত ঝিম মেরে তাদের গমন পথের দিকে চেয়ে রইলাম, পথিক শুধু দেখে যায়, কিছু বলা তার শোভা পায় না...

চিকিৎসক হিসেবে সবচেয়ে কঠিন কাজ কি জানেন? মানুষের সঙ্গে সঙ্গেমানুষরূপী কিছু অমানুষের চিকিৎসাও আমাদের করতে হয়। সে বড় কঠিন কাজ!

চিকিৎসকদের আপনারা পশু বলেন, অমানুষ বলেন--তাতে এখন খুব একটা কষ্ট পাই না, আপনারা মানুষ থাকলেই আমরা অনেক খুশি। দিনের পর দিন শত-সহস্র সত্যিকার মানুষদের চিকিৎসা দিতে আমরা চিকিৎসকরা কিন্তু ক্লান্ত হই না, "মানুষরূপী অমানুষ"দের চিকিৎসা দিতে আমাদের যে বড্ড কষ্ট হয়...

লেখক:ডা. জামান অ্যালেক্স, বিসিএস মেডিকেল অফিসার

কনটেন্ট ক্রেডিট: মেডিভয়েস

33
এবার সরকারি চাকুরিজীবীরা অবসেরে গেলেও পাবেন ১০ থেকে ১৫ বছরের আর্থিক নিরাপত্তা। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।

সূত্র জানায়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বন্ড ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বন্ডগুলোর মেয়াদ হতে পারে ১০ থেকে ১৫ বছর। ১০ বছর মেয়াদি বন্ড ছাড়া হলে অবসরপ্রাপ্তদের ৬৯ এবং ১৫ বছর মেয়াদি বন্ড ৭৪ বছর বয়স পর্যন্ত আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

পাশাপাশি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সবার জন্য এক বিনিয়োগসীমা নির্ধারণের কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া পৃথকভাবে নয়, অবসরপ্রাপ্তদের সার্বিক আয়ের ওপর কর আরোপের কথাও বলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গেল সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এগুলোসহ মোট পাঁচটি সুপারিশ পাঠিয়ে বিবেচনার জন্য বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সুপারিশগুলো পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী বাজেট নির্বাচনী হওয়ায় এ পদক্ষেপগুলোর প্রতিফলন থাকতে পারে।

জানা গেছে, আগামী বাজেট হবে বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ বাজেট। তাই নির্বাচনী বাজেটে জনহিতকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বেশি। সরকারি এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের এ বাজেটে বিশেষভাবে ফোকাস করা হচ্ছে। দেওয়া হতে পারে নানা সুবিধা। এরই ধারাবাহিকতায় গেল সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এসেছে একগুচ্ছ সুপারিশ। ড. মসিউরের করা এসব সুপারিশে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের নানা সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব সময় শর্ত রাখা হয়েছে যে, অবসরকালে যে পরিমাণ নগদ অর্থ পাওয়া যাবে তাই হবে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা। সরকারি কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় অবসরে গেছেন, নগদ অর্থের পরিমাণ পরিবর্তিত হয়েছে। ফলে একাধিক বিনিয়োগের সর্বোচ্চ কার্যকর সীমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সব অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জীবনের মান অভিন্ন ধরে নিলে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা সবার জন্য এক হওয়া প্রয়োজন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগতভাবে অর্জিত অন্য সম্পদ এ বিবেচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ কাম্য নয়। চৌকস কর্মকর্তা-কর্মচারী সঞ্চয়পত্রের তুলনায় অধিক লাভজনক বিনিয়োগ করার বুদ্ধি ও যোগ্যতা রাখেন।

অর্থমন্ত্রীকে পাঠানো সুপারিশে পেনশন সঞ্চয়পত্রের মুনাফা আয়কর আরোপযোগ্য করার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভবিষ্যৎ তহবিলে জমা অর্থ এবং পেনশনের কম্যুটেশনের (অথবা ক্যাপিটালাইজেশন) অর্থ অবসরকালীন এককালীন নগদ অর্থে যুক্ত হয়। সাধারণ বা বাধ্যতামূলক ভবিষ্যৎ তহবিলে জমা অর্থের ওপর সরকার যে সুদ দেয় তা তহবিলে জমা হতে থাকে এবং অবসরকালে কর্র্মকর্তা-কর্মচারী সব সুদ পান।

ভবিষ্যৎ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে, পরিশোধিত অর্থ তহবিলে জমা হয়। চাকরিকালে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে জমা অর্থ নিজস্ব অর্থায়নে সৃষ্ট নিরাপত্তা আয় বিবেচনা করলে এ সঞ্চয় স্থানান্তরযোগ্য করা সঙ্গত। সরকার যে হারে সুদ বা মুনাফা দিত, পেনশন সঞ্চয়পত্রের সুদ বা মুনাফা তার ভিত্তিতে নির্ধারিত হতে পারে। চাকরিকালে বেতন-ভাতা আয়কর আরোপযোগ্য। তাই পেনশন সঞ্চয়পত্রের মুনাফা আয়কর আরোপযোগ্য থাকবে। বিনিয়োগকারীর অন্য আয় বা মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মোট আয় অনুসারে প্রযোজ্য কর হার নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে চিঠিতে।

অবসরপ্রাপ্তদের জন্য বন্ড ছাড়ার সুপারিশ করে এতে বলা হয়, পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিক্রয়লব্ধ অর্থ ঘাটতি বাজেটের অর্থ সংস্থান উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা অত্যন্ত সংকীর্ণ (এবং সম্ভবত যুক্তিবিবর্জিত)। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা অবসরকালীন আয়ের উসৎ এবং জীবন ধারণের মান সংরক্ষণের সহায়ক। দীর্ঘমেয়াদি ইন্সট্রুমেন্টে ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার ১০ থেকে ১৫ বছর মেয়াদি বন্ড বিক্রি করতে পারে। বন্ডের বিনিয়োগ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত আয় পাবেন। সুদ বা মুনাফার হার নির্দিষ্ট হতে পারে। বিকল্পে সুদ বা মুনাফার ন্যূনতম নির্দিষ্ট হারের সঙ্গে মূল্যস্ফীতি যোগ করে সার্বিক মুনাফার হার নির্ধারণ করা যেতে পারে। অধিকাংশ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্দিষ্ট হার পছন্দ করবেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ/এমআর


34
good

35
Law of Bangladesh / Re: Health and human rights
« on: March 02, 2016, 02:37:50 PM »
Thanks

36
Law of Bangladesh / Re: The Objectives of Patent Law
« on: March 02, 2016, 02:37:25 PM »
thanks

39
Thanks for the post

43
Law of Bangladesh / Re: Forthcoming laws
« on: March 02, 2016, 02:35:19 PM »
Thanks

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 19