Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - ishaquemijee

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 9
31
শূকরের মাংস ইউরোপ জুড়ে তাদের প্রোটিন বা আমিষ সরবরাহের অন্যতম একটা মাধ্যম। এক হিসেবে দেখা গেছে যে, একমাত্র ফ্রান্সেই প্রায় বিয়াল্লিশ হাজারেরও বেশী শূকরের খামার রয়েছে। ইংল্যন্ডরও আনাচে কানাচে রয়েছে শূকরের খামার।

বাণিজ্যিকভাবে এইসব খামারগুলো পুরো ইংল্যন্ড জুড়েই শূকরের মাংস সরবরাহ করে আসছে। আর ইংল্যন্ডে বসবাস করার কারণে নিত্যদিন চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি ইংরেজদের খাদ্য তালিকায় শূকরের মাংস একটি অতি আবশ্যকীয় ও উপাদেয় তালিকা। কেবল ইংল্যন্ডই নয় বরং পুরো ইউরোপ, আমেরিকা আর প্রাচ্য, অর্থাৎ পুরো খৃষ্ট বিশ্বেই প্রকৃত অবস্থাটি এমনই। এমনকি মুসলিম বিশ্বের কোথাও কোথাও, বিশেষ করে, মুসলিম দেশসমুহে বসবাসকারী অমুসলিম ধর্মালম্বীদের কাছে শূকরের মাংস অতি কাংক্ষিত একটি খাদ্য মাধ্যম।

এই মাধ্যমটি যে আজ নতুন সৃষ্টি হয়েছে তা নয় বরং সেই মধ্যযুগের কিংবা তারও আগে থেকেই এটি বিদ্যমান। শূকরের দেহে সবচেয়ে বেশী চর্বি থাকে এবং সেই চর্বির মধ্যে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর চর্বিও রয়েছে। বস্তুুতান্ত্রিক চিন্তা চেতনায় উজ্জীবিত ইউরোপ জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে এইসব চর্বিকে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে এ থেকে ব্যবহার্য বা খাদ্য জাতিয় বিভিন্ন প্রকার উপকরণ যেমন উদ্ভাবন করেছে তেমনি তা সারা বিশ্ব জুড়েই বাজারজাতও করেছে।

আজকাল পুরো ইউরোপ, আমেরিকা আর পশ্চিমা বিশ্ব, এমনকি সমগ্র বিশ্বব্যাপি স্বাস্থ সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে মানুষ খাদ্যে অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ে বড় বেশী চিন্তিত এবং সজাগ। খাদ্যে চর্বির আধিক্যই হৃদরোগের প্রধান কারণ, সেটা বিশ্ববাসী খুব ভালো করেই জেনে গেছে বিজ্ঞানের সুবাদে।

শূকরের দেহে সবচেয়ে বেশী চর্বিই কেবল থাকে না বরং সেই চর্বির মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদানটির আধিক্যও সবচেয়ে বেশী। ফলে ইউরোপের সচেতন মানুষ শূকরের মাংস খেলেও এর চর্বিকে সব সময় যথাসম্ভব এড়িয়ে চলে বা চলার চেষ্টা করে। এর ফলে শূকর ব্যবসায়ী ও তার মাংস সরবরাহকারীদের একটা বড় অংশই অপচয় হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

এইসব অপচয় থেকে বাঁচার জন্যই ইউরোপ শূকরের চর্বির বিকল্প ব্যবহার উদ্ভাবন করেছে। শূকরের চর্বিকে তারা বিভিন্নভাবে বাজারজাত করেছে। এর বহুবিধ ব্যবহারকে নিশ্চিত করেছে প্রসাধনী সামগ্রীর কাঁচামাল, ঔষধের মাধ্যম বা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার, শল্য চিকিৎসায় ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নির্মাণ এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো মনুষ্য ও পশু খাদ্য সামগ্রির বিভিন্ন উপাদান হিসেবে এই ক্ষতিকারক বস্তুটিকে ব্যবহার করছে। প্রথমে শূকরের চর্বি দিয়ে সাবান বানানো হয় এবং তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর পরে একইভাবে ঐ চর্বিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রকম তরল প্রসাধনী, ক্রিম ইত্যাদি উৎপাদন এবং বাজারজাত করা হয়, এটাও ব্যবসায়িক সফলতা পায়। বন্দুকের কার্তুজে এই শূকরের চর্বি ব্যবহার শুরু হয় সর্বপ্রথমে, উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি কিংবা তারও আগে।

যা হোক, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলোও তাদের উৎপাদিত ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীতে এর ব্যবহার শুরু করে। সর্বপ্রথমে শরীরের অভ্যন্তরে সেলাই করার জন্য এমন এক ধরনের সুতোর দরকার পড়ে, যা ক্ষত শুকোনোর পরে খূলে ফেলার প্রয়োজন পড়বে না, এবং শরীরের ভেতরে হবার কারণে তা সম্ভবও নয়, বরং সেলাই কাজে ব্যবহৃত এই সুতো আপনা আপনিই মানুষের মাংসের সাথে মিশে যাবে। এ চিন্তা থেকেই চিকিৎসকরা বেড়ালের অন্ত্রের চর্বি দিয়ে তৈরী করেন এক বিশেষ ধরনের সুতো, যা দিয়ে মানুষের দেশে অস্ত্রোপচারের সময় আভ্যন্তরীণ ক্ষত জোড়া দিতে ব্যবহার করা যাবে। শল্য চিকিৎসক বা সার্জনরা মানুষের শরীরে এরকম যে সুতোর ব্যবহার করেন তাকে ‘ক্যটগাট’ বলা হয়।

বেড়ালের চেয়ে শূকরের প্রচলন বেশী এবং শূকরের মাংস ও চর্বি সহজ লভ্য হবার সুবাদে ইউরোপের শূকর খামার ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকরা এগিয়ে আসেন এই সুতো নির্মাণে বেড়ালের পরিবর্তে শূকরের চর্বি ব্যবহারে। এবং তারা তা শুরুও করেন।

কিন্তু কিছু সচেতন মুসলমান ইউরোপীয় পণ্যসামগ্রীর গা’এ লিপিবব্ধ উপাদানের তালিকায় pig fat শব্দটি দেখে আঁতকে উঠেন। কারণ যে কোন মুসলমানের কাছে এই pig fat বা শূকরের চর্বি, তার মাংস বা রক্ত সকল কিছুই হারাম, এর যে কোন ধরনের পরোক্ষ ব্যবহারও হারাম। তারা তাদের ভাষণে-বিবৃতিতে, লেখা-লেখনীতে এ ব্যপারে জনগণকে যেমন সতর্ক করেন, তেমনি সরকারের কাছেও দাবী জানাতে থাকেন এইসব ইউরোপীয় পণ্য দেশে আমদানী করারা অনুমতি না দেবার। এর ফলে ইউরোপীয়রা তাদের পণ্যতে pig fat শব্দটির পরিবর্তে ‘animal fat’ শব্দটি ব্যবহার শুরু করে।

ফলে ইউরোপীয়ান বাবস্যায়ীরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার হারাতে বসে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই তারা বিকল্প পন্থা উদ্ভাবন করে। আর এই বিকল্প পন্থাটইি হলো উৎপাদিত কোন বস্তু, তা খাদ্য সামগ্রী হোক বা ঔষধ পথ্য কিংবা প্রসাধনী কিংবা অন্য কিছু, তার গা’এ ইউরোপীয়ান আঈন অনুযায়ী উপাদান সমুহের নাম লেখা হবে বটে তবে সেই সব নামগুলো লেখা থাকবে বৈজ্ঞানিক কোন টার্ম কিংবা সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে যেন সাধারণ জনগণ সেই সব নাম, সেইসব টার্ম পড়ে বুঝে উঠতে না পারে, আসলে এই জিনিসগুলো কী?

করপোরেট বাণিজ্যের এই বিশ্বে ব্যবসাীয় মহলের চাপে নতী স্বীকার করে সরকার উৎপাদকদের সাথে আপোষ করে এবং উৎপাদিত পণ্যের গা’এ সাংকেতিক ভাষায় উপাদানসমুহের নাম লিপিবদ্ধ করার অনুমিত দেয়। সেই থেকে শিল্পকারখানায় উৎপাদিত পণ্য, বিশেষ করে, খাদ্য সামগ্রী কিংবা তা প্রস্তুতে ব্যবহৃত উপাদানসমুহে, প্রসাধনী, ঔষধ কিংবা পথ্যের উৎপাদনে সাংকেতিক ভাষায় বিশেষ নাম বা E-Codes ব্যবহার করা হয়, যা আমাদের মত সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য একটি বিষয়।

এরকমই একজন মুসলিম টেকনিশিয়ান কাজ করতেন ফ্রান্সের Pegal শহরে অবস্থিত Departments of Food Administration এর মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে বা ল্যবরেটরিতে। তিনি অনূসন্ধিৎষূ মন নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বের করেছেন বেশ ক’টি E-Codes যার প্রত্যেকটিই শূকরের চর্বিকে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। একটি ওয়েব সাইটে Are we eating Pork? শিরোণামে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এক পাকিস্থানী বিজ্ঞানী ড: এম আমজাদ খান কর্তৃক প্রচারিত উক্ত তালিকায় শুকরের চর্বি থেকে প্রস্তুত E-Codes এর তালিকা নিম্নরুপ:
E100, E110, E120, E 140, E141, E153, E210, E213, E214, E216, E234, E252, E270, E280, E325, E326, E327, E334, E335, E336, E337, E422, E430, E431, E432, E433, E434, E435, E436, E440, E470, E471, E472, E473, E474, E475, E476, E477, E478, E481, E482, E483, E491, E492, E493, E494, E495, E542, E570, E572, E631, E635, E904. I

উক্ত তালিকায় উল্লেখিত E-Codes গুলোর বেশ ক’টি আমাদের দেশে প্রাত্যহিক ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জনপ্রিয় খাদ্যতালিকায় উপস্থিত দেখতে পাওয়া যায়। তার দু‘একটা নমুণা দেখুন, যেমন; নিচে উল্লেখিত তালিকায় খাদ্য দ্রব্যের নামের পাশে তাতে ব্যবহৃত E-Codes ও তুলে দেয়া হলো:
1 Cadburrys chocolate – E476
2 Igloo Ice Cream -E471,E433
3 Baskin Robbins Ice Cream E471
4 Foster Clarks Custard Powder-E110
5 Fadeco Ice Cream-E471
6 Nova Chewing Gum -E422
7 Demah Fresh -E422
8 Big Babool Chewing Gum
বলা বাহুল্য, উপরের তালিকায় উল্লেখিত প্রায় সবকটিই আমাদের দেশসহ প্রায় সকল মুসলিম দেশে ছেলে বুড়ো’সহ সকলের কাছেই খুবই প্রিয়।

আল কুরআনে অন্তত চারটি জায়গায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শূকরের মাংস এবং মৃত জন্তু জানোয়ার আর সেইসব জানোয়ার যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নাম নিয়ে জবাই করা হয়েছে, মুসলমানদের জন্য হারাম করেছেন। তারই একটি আয়াত দেখুন:
তিনি তোমাদের উপরে হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত শূকর মাংশ এবং সেসব জীব জন্তু যা আল্লাহ ব্যতিত অপর কারো নামে উৎসর্গ করা হয়। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং না-ফরমানী ও সীমালংঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নি:সন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু (সুরা আল বাক্বারা- ১৭৩)

এটা মোটমুটি অমুসলিম ব্যবসায়ীরা জানে, অন্তত তাদের সরকার ও জনগোষ্ঠির সচেতন অংশটি খুব ভালো করেই জানে, কিন্তু তারপরেও তারা ভিন্ন কৌশলে মুসলমানদেরকে আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় সেই হারাম বস্তু খাওয়াতে মনে হয় উঠে পড়ে লেগেছে। এর পেছনে কেবল যে তাদের আর্থিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থই আছে তাই নয় বরং এর পেছনে রয়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষজনিত এক আগ্রাসী মনোভাব, যার মিল রয়েছে একমাত্র ক্রসেডের সাথেই।

লেখক: Prof. Dr Mohammad Nurul Huq

32

সত্যবাদিতা ঈমানের প্রথম ও প্রধান শর্ত। যেখানে সত্যবাদিতা নেই, সেখানে ঈমান নেই, ইসলামও নেই। আমরা নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করছি কিন্তু কয়জন সত্যবাদিতাকে জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছি ? যদি না করে থাকি তবে কি করে প্রকৃত মুসলামান হতে পেরেছি ? দুনিয়ার যত পাপ মিথ্যা থেকেই উদ্ভুত হয়। মিথ্যা মানুষকে মোহমুগ্ধ করে সত্যের আওতা থেকে দূরে নিয়ে যায়। আর সত্য তখন মিথ্যার আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। আল কুরআন দৃপ্ত ভাষায় ঘোষণা করেছেঃ তোমরা সত্যের সাথে মিথ্যার মিশ্রণ করো না এবং যেনে বুঝে তোমরা সত্য গোপন করো না। (সূরা বাকারা, আয়াত নং - ৪২) সত্য এবং সত্যের প্রকাশই মানব ধর্ম। তাই কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা হুকুম করেছেন ঃ হে মুমিনগণ ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভূক্ত হও। (সূরা তাওবা, আয়াত নং - ১১৯) সত্যই জীবন , মিথ্যাই ধ্বংস। মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করা ও মিথ্যা প্রচার করা সকল ধর্মের সকল মানুষের নিকটই অন্যায় ও ঘৃণিত। মিথ্যাবাদী ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে পদে পদে অপমানিত হয়। মানব সমাজে সে বাসের অনুপযোগ্য। মানুষ তার মাধ্যমে হয় প্রতারিত ও বঞ্চিত। তাই আল কুরআনের ঘোষণা ঃ মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত নং - ৬১) মিথ্যাবাদী আল্লাহর দুশমন, রাসুলের দুশমন, সমগ্র মানবতার দুশমন। যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বা কাজের মাধ্যমে আজ কোন স্বার্থ উদ্ধার করছে অথবা কোন ক্ষতি থেকে বাঁচতে চাইছে, অচিরেই সে মিথ্যা প্রকাশ পাওয়ার মাধ্যমে আরো বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে, বন্ধু হারিয়ে ফেলবে বা চাকুরি চলে যাবে। অতএব বলতে হবে, সত্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও শান্তিময়। অপরদিকে মিথ্যা বড্ড ঘোলাটে এবং অশান্তিময়। মিথ্যাবাদী মানুষের মাঝে অপমানিত হওয়ার পূর্বে নিজে নিজেই অপমানবোধ করে। কারণ মিথ্যার অপর নাম অপমান। নি¤œ রুচির লোকেরাই কেবল মিথ্যা বলতে পারে, মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে। মুমিন ব্যক্তির চরিত্র হবে স্বচ্ছ। সে কখনও মিথ্যা বলবে না। মিথ্যার আশ্রয়ও নেবে না। হাদীসে রাসুল (সাঃ) সত্যবাদিতার ফযীলত এভাবে বর্ননা করেছেন ঃ সত্যবাদিতা পরিচালিত করে সৎ কর্মের দিকে। আর সৎ কর্ম জান্নাতের দিকে। পক্ষান্তরে মিথ্যাবাদিতা পরিচালিত করে মন্দ কর্মের দিকে, আর মন্দ কর্ম জাহান্নামের দিকে। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং - ৬০৯৪) তাহলে পথ দুইটি: জান্নাতের পথ আর জাহান্নামের পথ। জান্নাতের পথের সূচনা হচ্ছে সত্যবাদিতা। আর জাহান্নামের পথের সূচনা হচ্ছে মিথ্যাবাদিতা। তাই সত্যবাদিতা ধর্ম, বর্ণ ও ভাষা নির্বিশেষে সকল মানুষের নিকট প্রিয়। পক্ষান্তরে মিথ্যাবাদিতা সবার নিকট ঘৃণিত। সে কারণেই মিথ্যাবাদিদের কেউ বিশ্বাস করে না এবং বিপদের সময় তারা কারো সাহায্যও পায় না। এখন আমাদের ভেবে দেখা উচিত আমরা কোন পথ অবলম্বন করব এবং কোন পথে চলব। বস্তুত সত্যবাদিতা মানবিক গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম একটি গুণ। যার মধ্যে এ গুণের সমাহার থাকবে, পৃথিবীর সব ধরনের লোক তাঁকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করবে, আল্লাহ ও রাসুলের নিকট সে প্রিয় হবে এবং আখেরাতে সত্যবাদিতার কারণে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

 মুফতী মনির হোসাইন সুজাতপুরী

33
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে কী করতে পারেন?

ফেসবুকে লগ ইন করুন। তারপর অ্যাপ সেটিং পেজে যান। অ্যাপসে ক্লিক করুন, তারপর অ্যাপস, ওয়েবসাইটস এন্ড প্লাগিন্স-এর এডিট বাটনে ক্লিক করুন এবং প্ল্যাটফর্মটিকে ডিজেবল করে দিন

এটা করার অর্থ হচ্ছে, আপনি ফেসবুক থেকে তৃতীয় কোন পার্টির সাইট ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে এটা খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে তখন আপনি অন্য কোন পক্ষ যাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সীমিত পরিসরে ব্যবহার করতে পারে এবং আপনিও তৃতীয় পার্টির সাইট ব্যবহার করতে পারেন, তারও উপায় আছে।

ফেসবুকে লগ ইন করুন। তারপর অ্যাপ সেটিং পেজে যান। অ্যাপসে ক্লিক করুন

তারপর 'অ্যাপস আদার্স হউজে' গিয়ে আপনার যেসব তথ্য অন্য কোন অ্যাপস দেখুক সেটা না চান তাহলে সেগুলো আনক্লিক করুন। এর মধ্যে যেমন আছে জন্মতারিখ, পরিবার, ধর্মীয় পরিচয়, আপনি অনলাইন কিনা, আপনার টাইমলাইনের পোস্ট, আপনার আগ্রহ ইত্যাদি বিষয়।

ব্যক্তিগত এসব তথ্যকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট, যা ক্রমশ বড় হচ্ছে

ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে হলে আরো কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে:

"আপনি যদি কোন খেলা খেলতে চান বা কোন কুইজে অংশ নিতে চান তাহলে সেটা ফেসবুকের মাধ্যমে না করে সরাসরি ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে করবেন," বলেছেন ইস্ট এংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক পল বের্নাল।

"ফেসবুক লগ ইনের মাধ্যমে এসব করা খুব সহজ কিন্তু এটা করার অর্থ হলো যারা এসব অ্যাপ তৈরি করেছে তারা তখন আপনার প্রোফাইল থেকে ব্যক্তিগত তথ্য পেয়ে যাবেন।

আর কীভাবে আপনি ফেসবুকের তথ্য রক্ষা করতে পারেন?

আপনি যদি চান আপনার এসব ব্যক্তিগত তথ্য পুরোটাই গোপন থাকুক, তাহলে এর জন্যে একটাই উপায় আর সেটা হলো ড. বের্নালের মতে "ফেসবুক ছেড়ে চলে যাওয়া।"

লোকজন যদি সেটা করতে শুরু করে তখনই ফেসবুক এব্যাপারে আরো বেশি সচেতন ও সক্রিয় হতে বাধ্য হবে।

ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর অনেকেই টুইটারে প্রচারণা চালাচ্ছেন হ্যাশট্যাগ দিয়ে। তারা বলছেন ডিলিট ফেসবুক কিম্বা বয়কট ফেসবুক।

কিন্তু ড. বের্নাল মনে করেন বহু মানুষ যে ফেসবুক ছেড়ে চলে যাবে সেরকমটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। "বিশেষ করে যারা মনে করেন ফেসবুক তাদের জীবনেরই অংশ, তারা ফেসবুকে থেকেই যাবেন," বলেন তিনি।

এসব তথ্য কতোদিন রাখা হয়?

 আপনি আপনার প্রোফাইল মুছে ফেলতে পারবেন?

ইউরোপে তথ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীর তথ্য 'যতো দিন দরকার তারা ততোদিনই' সংরক্ষণে রাখতে পারবে। কিন্তু এই 'রাখতে পারবে' কথাটির অর্থ নানা রকম হতে পারে।

ফেসবুকের ক্ষেত্রে এটা এরকম- যতোক্ষণ পর্যন্ত আপনি সেটা ডিলিট না করবেন ততক্ষণ সেটা ফেসবুকে থাকবে। এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য।

ব্যবহাকারী চাইলে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিতে পারেন। যার অর্থ 'কিল' করা। কিন্তু ফেসবুক সবসময় চায় আপনি অ্যাকাউন্ট একেবারে বন্ধ না করে দিয়ে যেনো কিছু সময়ের জন্যে সোশাল নেটওয়ার্ক থেকে ব্রেক বা বিরতি নেন। তারা আপনাকে ফেসবুক ডিঅ্যাক্টিভেট করার পরামর্শ দেন যাতে আপনি আবার চাইলে ফেসবুকে ফিরে আসতে পারেন। সূত্র: বিবিসি।

34

কমনসেন্স, যা বাংলায় কাণ্ডজ্ঞান নামেই পরিচিত। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউতে ২০০০ সালে প্রকাশিত এক নিবন্ধনে কাণ্ডজ্ঞান বিষয়টিকে ব্যক্তিত্ব-সংশ্লিষ্ট সক্ষমতা হিসেবে বলা হয়েছে। অন্যের কাণ্ডজ্ঞান কিংবা কমনসেন্স নিয়ে আমরা প্রায়ই বিপত্তিতে পড়ি। মানুষভেদে কাণ্ডজ্ঞানের মাত্রা কিন্তু ভিন্ন হয়ে থাকে। কর্মক্ষেত্র, পরিবার কিংবা ব্যক্তিজীবন-সব ক্ষেত্রেই আপনি কতটা ইতিবাচক ব্যক্তিত্বের অধিকারী, তার পরিচয় কিন্তু প্রকাশ পায় কাণ্ডজ্ঞানের মাত্রা অনুসারে। বাজফিডে এমনই কিছু অলিখিত সামাজিক কমনসেন্সের কথা প্রকাশ করা হয়েছে।

* প্রত্যেক মানুষেরই একটি ব্যক্তিত্বের বলয় থাকে, তার প্রতি সম্মান দিন।
* অফিসে আপনার কাছে অতিথি কিংবা কেউ এলে তাঁর সঙ্গে হাসাহাসি কিংবা জোরে চিৎকার করে কথা বলবেন না।
* কাউকে বয়স, বিয়ে করেছেন কি না ও বেতন কত, এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে বিব্রত করবেন না।
* কখনোই শব্দ করে খাবেন না। আপনার হাড় চিবানোর কড়কড়ে শব্দ অন্যের জন্য বিপত্তিকর কিন্তু। মুখ বন্ধ করে ধীরস্থিরভাবে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
* খাবারের টেবিলে জোর করে কাউকে খাবার প্লেটে তুলে দেবেন না।
* অন্য কেউ যখন কথা বলবেন, তখন তাঁর কথার মধ্যে তাঁকে থামিয়ে দেবেন না। অন্যের কথা শেষ হলে তারপর কথা বলুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন।
* কারও বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাঁর ব্যক্তিগত ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার, মুঠোফোন ধরবেন না। এমনকি বেড়াতে গেলে অন্যের বেডরুমে উঁকি দেবেন না। অন্যের ব্যক্তিগত ডায়েরি কখনোই পড়বেন না।
* অন্যের বাড়িতে বেড়াতে গেলে বাথরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হলে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
* রেস্টুরেন্টের ওয়েটার, লিফটম্যান কিংবা শপিং মলের সেলসম্যান বা গাড়ির চালক, যাঁরা আপনাকে সেবা দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে মার্জিত আচরণে কথা বলুন।
* চুইংগাম খাওয়া শেষে তা যেখানে-সেখানে ফেলবেন না। কাগজে বা টিস্যুতে মুড়িয়ে ডাস্টবিনে ফেলুন।
* সাইকেল পার্কিংয়ে কখনোই অন্যের সাইকেলের সঙ্গে নিজের সাইকেলের তালা বা লক আটকাবেন না।
* শপিং মলে এসকেলেটর সিঁড়িতে পাশাপাশি দুজন দাঁড়াবেন না। এসকেলেটর সিঁড়িতে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে ডান পাশের চলাচলের পথ খালি রাখুন, যেন কেউ হেঁটে উঠতে চাইলে যেতে পারে।
* প্রকাশ্যে মুঠোফোনের লাউডস্পিকারে কথা বলা কিংবা গান শুনবেন না।
* ছোট শিশুদের আদর করার ক্ষেত্রে বাবা-মা কিংবা অভিভাবকের অনুমতি চেয়ে নিন। নবজাতককে স্পর্শ করতে চাইলে হাত জীবাণুমুক্ত করে নিন।
* অন্যের জন্য দরজা খুলে ধরে রাখা কিংবা চেয়ার টেনে দেওয়ার সৌজন্য চর্চা করুন।
* ব্যাংকে কিংবা অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে কখনোই কোনো ধরনের লাইন অমান্য করবেন না। আপনার আগে যিনি এসেছেন, তাঁকে সেবা নেওয়ার সুযোগ দিন।
* কেউ আপনাকে কোনো সহযোগিতা করলে ধন্যবাদ বলুন। ধন্যবাদ ও দুঃখিত বলার চর্চা করুন।

সূত্র: বাজফিড

35
দুই ধরনের খাবার গ্রহণকারী রোগীদেরই দৈনিক ৫০০ মিলি দুধ (ননিবিহীন) ও ৩০ গ্রাম চর্বি গ্রহণ করতে হবে। গোশত সপ্তাহে বা মাসে একবার গ্রহণ করবেন অথবা সম্পূর্ণ পরিহার করবেন। চর্বিবিহীন গোশত দৈনিক ৬০-৯০ গ্রাম খাওয়া যেতে পারে। দৈনিক সম্পূর্ণ ডিম খাওয়া যাবে না, তবে ডিমের সাদা অংশ দৈনিক দুইবার খাওয়া যেতে পারে। দুধ বা পানীয়র সাথে একটি ট্যাবলেট বা একফোঁটা নন কার্বোহাইড্রেট সুইটেনার্স যেমন- স্যাকারিন, সরবিটল ও অ্যাসপারমেট দেয়া যেতে পারো অথবা ডায়াবেটিক মিষ্টি ও ডিজার্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত মোটা ডায়াবেটিস রোগীদের নন-কার্বোহাইড্রেট সুইটেনার্স বাদ দিতে হবে কারণ এগুলোয় ক্যালরির পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট সুইটেনার্সের মতো প্রায় সমপরিমাণ থাকে।
একটা কথা মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস রোগীর খাবার যতটা সম্ভব পরিবারের অন্য সদস্যদের খাবারের কাছাকাছি হতে হবে।
সীমিত ডায়াবেটিক খাবার গ্রহণকারী রোগীর জন্য দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা
দৈনিক বরাদ্দ: ৫০০ মি.লি. দুধ এবং ৩০ গ্রাম চর্বি (ঘি-বাটার, তেল, মারজারিন অথবা পনির)।
সকাল ৬টা: ১ কাপ (১২০ মি.লি.) দুধ-চা-কফি (চিনি ও দুধ ছাড়া)।
সকাল ৮টা (নাশতা) : ১ কাপ খিচুড়ি, ২ দোসা, ২ টুকরো পাউরুটি (বরাদ্দকৃত চর্বি থেকে বাটার বা পনির)। ১টি স্যান্ডেউইচ, ১টি ডিম (সেদ্ধ বা পোচ করা বা ফোটানো)। অথবা নাশতার তালিকা থেকে অন্য যেকোনো খাবার। ২০ গ্রাম মিষ্টিবিহীন সিরিয়াল কফি অথবা চা (চিনি ছাড়া) দৈনিক বরাদ্দ থেকে দুধসহ)।
সকাল ১০টা : ১ কাপ (১২০ মিলি) স্যুপ, ফলের রস, বাটারমিল্ক, ফল- আপেল, কমলা ইত্যাদি।
চা অথবা কফি- দুধসহ, ৩টি মিষ্টিবিহীন বিস্কুট, ২ টুকরো মচমচে পাউরুটি।
দুপুর ১২টা (দুপুরের প্রধান খাবার) : কুচি কুচি করে কাটা সবজিসহ ১ কাপ স্বচ্ছ স্যুপ, বাটার বা পনিরসহ ২ টুকরো সম্পূর্ণ পাউরুটি, ৬০-৯০ গ্রাম চর্বিবিহীন গোশত (মুরগি, মাছ) অথবা ১টি ডিম, ১টি ফল (আপেল বা কমলা), ১ কাপ দই, ১ কাপ ভাত ও ২টি চাপাতি পাউরুটি অথবা ৩টি চাপাতি ও হাফ কাপ ভাত অথবা ২ কাপ ভাত বা ৪টি চাপাতি, ৬০-৯০ গ্রাম চর্বিবিহীন গোশত, এক কাপ ডাল, সবজি সালাদ এবং ১ কাপ দই।
১ কাপ ভাত ও ২টি চাপাতি অথবা ৩টি চাপাতি ও হাফ কাপ ভাত অথবা ২ কাপ ভাত অথবা ৪টি চাপাতি, ১ কাপ সাদামাটা ডাল, ১ কাপ কারি ও ১ কাপ দই। দুধসহ চা বা কফি।
বিকেল ৪টা : দৈনন্দিন বরাদ্দ থেকে দুধসহ ১ কাপ চা বা কফি। ১টি ফল, ৩টি চিনিবিহীন বিস্কুট, ২ টুুকরো মচমচে পাউরুটি বা হালকা নাশতা (সকালের নাশতার তালিকা থেকে)।
সন্ধ্যা ৬টা : ১ গ্লাস বা কাপ (১২০ মিলি) স্যুপ, ফলের রস, বাটার মিল্ক, সালাদ ও দুধসহ চা কিংবা কফি।
রাত ৮টা (রাতের প্রধান খাবার) : দুপুরের প্রধান খাবারের মতো একই।
রাত ১০টা: দৈনন্দিন বরাদ্দ থেকে অবশিষ্ট দুধসহ ১৫ গ্রাম ওভালটিন কিংবা যেকোনো পানীয়। পনির বা বাটারসহ ১ বা ২ টুকরো পাউরুটি।
অবাধ ডায়াবেটিক খাবার
অবাধ ডায়াবেটিক খাবার সেসব রোগীর জন্য যারা অতিরিক্ত মোটা নন। এদের খাবার নিচের তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়-
এক. যেসব খাবার পরিহার করতে হবে
কন্দ জাতীয় সবজি এবং কাঁচা কলা
টাটকা ফলমূল যেমন কলা, আম, সফেদা, আতা, আনারস, পেয়ারা।
শুকনো ফল যেমন খেজুর, ডুমুর, খুবানি, কিশমিশ, চিনি, গুড়, মিছরি
গ্লুকোজ, জ্যাম, মধু, মারমালেড
খেজুর, তাল বা আখের রস, ফলের রস, চিনির রস মেশানো ফল, মিষ্টি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, চকোলেট, কেক, পেস্ট্রি, পিঠা, পুডিং, জেলি, আইসক্রিম, ক্রিম বিস্কুট, মিষ্টি ঘনীভূত দুধ বা যেকোনো মিষ্টি দুধ, ঘন সস ও ক্রিম, অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় যেমন ওয়াইন, শেরি, বিয়ার, হুইস্কি ইত্যাদি। সালাদ ড্রেসিং, অতিরিক্ত পানীয় মিশ্রণ যেমন ওভালটিন, হরলিক্স ইত্যাদি। সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড যেমন ঘি, ডালডা ইত্যাদি। শূকর, গরু ও খাসির গোশত, সসেজ। শুকনো খাবার।
দুই. পরিমাণে কম খাওয়া যাবে
দুধ, ঘন স্যুপ, সব টাটকা ও শুকনো ফলমূল, আলু, মটরশুটি ও সেকা শিম। সব ধরনের রুটি, বিস্কুট ও মচমচে রুটি, সিরিয়াল এবং পরিজ, ম্যাকারনি, স্ক্যাগেটি, কাস্টার্ড ও প্রচুর ময়দার খাবার। গোশত, ডিম, অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড যেমন পরিশোধিত বাদাম তেল, সূর্যমুখী তেল, স্যানফ্লাওয়ার তেল ইত্যাদি।
বাটার, মার্জারিন, পনির, ক্রিম, চর্বিবিহীন গোশত, ডায়াবেটিক খাবার, সব সিরিয়াল এবং ডাল, ফল যেমন- আপেল, পেঁপে, তরমুজ ও কমলা
তিন. ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে
পানি এবং সোডা পানি, দুধসহ চা ও কফি (চিনি ছাড়া), ডায়াবেটিক ফ্রুট ড্রিংকস, স্বচ্ছ স্যুপ কিংবা গোশতের নির্যাস, ভেষজ, সিজোনিংস ও মসলা
স্যাকারিন এবং এসপারমেট প্রিপারেশন
নিচের ফলমূল এবং শাকসবজিতে খুব সামান্য পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং এ কারণে ইচ্ছেমতো খেতে কোনো বাধা নেই।
ক. সব ধরনের সবুজ শাক যেমন পালংশাক, পুঁইশাক, কলমিশাক, ডাঁটাশাক, কচুশাক ইত্যাদি।
সবজি যেমন- বেগুন, অ্যাসপারাগাস, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, শসা, খিরা, মুলা, ওলকপি, করলা, উচ্ছে, শালগম, কাঁচা টমেটো, পেঁয়াজ, মাশরুম, কাঁচা পেঁপে, ঝিঙে, চিচিঙা, ধুন্দল, পটোল, চালকুমড়া, ডাঁটা, লাউ, ফ্রেঞ্চ বিন, কলার থোড় এবং মোচা, সামান্য পরিমাণ টাটকা বা হিমায়িত মটর।
ফল যেমন- কালোজাম, বৈচি জাতীয় ফল, লেবু, আমড়া, জাম্বুরা, কামরাঙা, বাঙ্গি, জামরুল, আমলকী ইত্যাদি।
এই খাবারগুলো কেবল সামান্য ডায়াবেটিকস রয়েছে এমন রোগী যারা অতিরিক্ত মোটা নন তাদের জন্য। যা হোক, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবং আদর্শ শারীরিক ওজন থাকলে সুষম ও উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ খাবারের সাথে সীমিত পরিমাণ চিনি গ্রহণ করা যেতে পারে।
-ডা. ওয়াইনাইজা রহমান
সহযোগী অধ্যাপিকা, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।

36

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ। অনেক সময় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মেধা থাকা সত্তে ও অর্থের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায় সেগুলো প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমানো সম্ভব। দেখা যাবে একজন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণের পর দক্ষ হয়ে উঠলে সে আয় করতে পারবে এবং শুধু যে পড়ালেখার খরচ চালাতে পারবে তা নয় পরিবারের ভরণপোষণও সম্ভব হবে তার পক্ষে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটার ল্যাবগুলোকে শিক্ষার্থীদের আউটসোর্সিং-এর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এরকম উদ্যোগের ফলে অনেকাংশেই কমে যাবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার।
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১২৯টি। এর মধ্যে বেসরকারি ৯২টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ধনীদের সন্তানরাই পড়ে না, মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরাও পড়ে। পড়ালেখার খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেক সময় তারা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে না। যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সফটওয়্যার বিজনেসের জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করে এবং সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে শিক্ষার্থী তার পড়ালেখার খরচ সেখান থেকেই চালাতে পারছে। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সফটওয়্যার বিজনেসে পাবে ৯২টি প্রতিষ্ঠান এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এই প্রতিষ্ঠানগুলো রাখবে বড় রকমের ভূমিকা।
Ref: D.I. 14.2.2018

37
“ইস, যদি অমন সুন্দর হতাম” , “আর একটু যদি লম্বা হতাম” ,
“অমন সুন্দর দেহ যদি আমার থাকতো” , “হায়! আমারও যদি
অমন একটা কিছু থাকতো”– মুলত এমন সব আকাঙ্ক্ষার
নামই মনস্তাত্ত্বিক হতাশা।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের জীবনটাই কেটে যায় এমন
সব হতাশামুলক আচরণ আর চিন্তাধারায়।
আসলে মানুষের শ্রেষ্ঠ হবার আকাঙ্ক্ষাটা চিরন্তন।
বরাবরই মানুষ চেয়েছে অন্যের থেকে নিজেকে শ্রেষ্ঠতম
স্থানে নিয়ে যেতে। অথচ মানুষ জানেই না, অন্যকে
পিছনে ফেলে নিজেকে এগিয়ে যাবার বাসনা বস্তূত
নিজেকেই ছোট করে।
সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকতে পারেন, আরেকজনকে হারিয়ে
আপনি কোনওদিন সফল হতে পারবেন না। বরং আপনি
আপনার মতো থেকে আপনার জায়গাতেই কেমন করে
উন্নতি করবেন, সে চেষ্টাই যদি করেন; দেখবেন আপনার
সাফল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সফল ব্যক্তিদের কাহিনী পড়বেন, দেখবেন তারা কেউই
অন্যকে হারাতে চাননি, বরং তারা নিজেদের জায়গায়
জিততে চেয়েছেন।
হতে পারে আপনার মুখাবয়ব একটু খারাপ, কিন্তু তাতে
কি! আপনি তো আপনার বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যামণ্ডিত।
আপনার ভেতরেই এমন সব গুণ রয়েছে যা অন্য যে কোনো
মানুষের ভেতরে নেই।
একটু খাটো হয়েছেন বলে যে আর হতাশার সীমা থাকবে
না এমনটি নয়। আপনার শারীরিক দৈর্ঘ্য আপনাকে সফল
করবে না, বরং আপনার মস্তিষ্কের প্রখরতার দৈর্ঘ্য
আপনাকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলবে।
এখানে আবার মনে রাখা প্রয়োজন, মস্তিষ্ক আর মেধা
দুটো আলাদা জিনিস। মস্তিষ্ক আপনাকে সঠিক সময়ে
সঠিক কাজ করার পথ দেখাবে আর মেধা আপনার কাজের
ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। সফল ব্যক্তিদের খুব
কমই মেধাসম্পন্ন ছিলেন, বরং তারা ছিলেন উর্বর
মস্তিষ্কের অধিকারী পরিশ্রমী ব্যক্তি, যার কারণে
সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করে তারা আজ সফল হয়েছেন।
আপনার যা কিছু নেই তা নিয়ে আপনি হতাশাই ভুগবেন না
বরং যা আছে তাই নিয়েই উন্নতি করার চেষ্টা করুন। মনে
রাখবেন-একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি আমরা।তিনি নিজেই
আমাদেরকে এক এক রকমের অনুদান দিয়ে আমাদেরকে
দুনিয়াই পাঠিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তা আপনার পাশের
মানুষটিকে সুন্দর স্বাস্থ্যের অধিকারী করেছেন, তিনি
পারলে আপনাকেও সমপরিমাণ স্বাস্থ্য বা ঐশ্বর্যের
মালিক করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, কারণ
সৃষ্টিকর্তা ভালো করেই জানেন কার কিসে মঙ্গল।
কেননা মঙ্গলটা তো তারই সৃষ্টি।
কারও হয়তো অঢেল সম্পত্তি আছে, মনে হতে পারে অমন
সম্পদ আপনার থাকলে আপনিও কিছু করে দেখাতে
পারতেন। কিন্তু সত্যিই যদি ব্যাপারটা তাই হতো, তাহলে
যিনি সম্পত্তিটির মালিক তিনি নিজেও অনেক আগেই
সফল ব্যাক্তিত্ব হতে পারতেন। একটু খেয়াল করে
দেখবেন, অঢেল সম্পদ থাকলেও সেই মানুষটি মানুষের
শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারেননি।
ঠিক এমনি ভাবেই একই কথা সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সুতরাং নিজের মনের এমন দুশ্চিন্তা দূর করে ফেলুন।
অহেতুক হতাশা আপনাকে শুধু অন্যের ব্যাপারে ভাবিয়ে
নিজের ব্যাপারে উদাসীন করে দিবে। এর থেকে বরং
নিজের ব্যাপারে ভেবে, নিজের সম্পদ আর সম্বলটুকুকে
ভেবেই সে অনুপাতে কাজ করে যান।
মনে রাখবেন, অন্যের যা কিছু আছে তা নিয়ে ভেবে শুধু
শুধু নিজে কষ্ট পাবেন কিন্তু তাতে কোনওদিনও ভাগ
পাবেন না। তাই অন্যের ব্যাপারে পার্থক্য করে নিজে
নিজে কষ্ট না পেয়ে আপনি আপনার জায়গায় থেকে
সফল হবার চেষ্টা করুন। দেখবেন, যাদের সুযোগ ছিল
ভালো কিছু করার-যাদেরকে দেখে আপনি আফসোস
করেছেন, একদিন তারাই আপনার সফলতার ভারে নুয়ে
পড়বে।

38
আজ আমি মারা গেলে হয়তো খুব কাঁদবে সবাই.... যে আমার শত্রু ছিলো, সেও আমাকে দেখতে আসবে বাড়ি ভরা কত মানুষ, কত হৈ চৈ থাকবে কিন্তু আমি আর বলবো না মা এত হৈ চৈ ভালো লাগছে না, বাড়ি থেকে চলে গেলাম, একটু পর ফিরে আসব।
কিছু মানুষ পানি গরম দিচ্ছে আর কিছু মানুষ খাটিয়া আনতে গেল। একদল গেল কবর খুড়তে। তখন হয়তো আর বলবো না, মা, অমুক মারা গেছে, কবর খুড়তে গেলাম।
এক সময় বাঁশ ও কাটা হলো। বাড়ির অাঙিনায় এনে বাঁশগুলো টুকরা টুকরা করে কাটছে। পানিও গরম হলো গোসল দেওয়ার জন্য এমন কি কবরও খোড়া হয়ে গেলো....
কিছু মানুষ আমাকে এক কোনে নিয়ে একটা মশারী টাঙিয়ে গোসল দিবে, তখন উঠে আর বলবো না পানিটা বেশ গরম হয়েছে, আর একটু ঠাণ্ডা করে নাও....
গোসল করানোর পর আমাকে কিছু কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা হবে, তখন আর বলবো না মুখের কাপড়টা একটু সরিয়ে দাও, নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে...
একসময় কান্নাকাটি বেশ বেড়ে গেলো কারণ এখন আমাকে মাটি দেবার জন্য নিয়ে যাবে। এমন কি কাধে উঠিয়েও ফেললো। তারপর সেই ঘরটার সমনে দিয়ে নিয়ে যাবে যে ঘরে আমি নাকি সারাটা জীবন কাটিয়েছি......
একসময় রাস্তায় আনা হবে। মা জননী পিছে পিছে এসে খুব কাঁদবে কিন্তু আর বলতে পারবো না! মা, অমুক জায়গায় যাচ্ছি, চিন্তা করো না একটু পরই ফিরে আসছি....
অতঃপর সবাইকে বিদায় দিয়ে আমাকে নিয়ে হাটা দিবে কবরস্থান এর দিকে, পাশে শত শত মানুষও হাটবে, কেমন হবে সেই কষ্টের মুহূর্তগুলি.... এমন করে তো আমিও অনেক বার আসছিলাম অন্য একজন এর লাশ নিয়ে আজ সবাই আমাকে নিয়ে যাচ্ছে চিরবিদায় এর দেশে রেখে আসতে.... কত মানুষকে মৃত বলে ডাকতাম, আজ সবাই আমাকেই মৃত বলে ডাকছে...
এইভাবে কিছুক্ষণ হাটার পর আমাকে কবরস্থানের এক পাশে নামাবে কারণ আমার জন্য সবাই নামাজ পরবে মানে জানাজার নামাজ এইভাবে আমিও কতজনের নামাজ পরছিলাম আজ সবাই আমার জন্য পরবে....
একসময় নামাজ পড়া শেষ হবে আমাকে আবার কাধে করে কবরের পাশে আনা হবে.... তারপর কিছু মানুষ হাতে হাতে ধরে আমাকে কবরে নামিয়ে দিবে যা আমিও কিছু মানুষকে এইভাবে নামাতে দেখেছি, আজ সবাই আমাকে নামাচ্ছে... একসময় সবাই হাতে হাতে ধরে আমাকে কবরে নামিয়ে ফেললো, ঠিক ঠাক মত শরীরটা ভাজ করে শুইয়ে দিলো। আহ এইতো আমার পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া।
চোখ জোড়া খুলে পৃথিবীটাকে শেষবারের মত দেখতেও পারছি না....
দেখতেও পারলাম না কে কে এসেছে আমাকে মাটি দিতে। অবশেষে আমাকে বাঁশ আর পাটি দিয়ে মাটি দিয়ে দিলো...
কি অন্ধকার কবরের ভিতর, না পারবো মাকে ডাক দিতে, না পারবো কবর ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে...... আহ এইতো আমাদের জীবন.... জন্মের সময় কত আদর নিয়ে দুনিয়াতে এসেছিলাম, আবার মরার সময়ও কত আদর নিয়ে বিদায় নিলাম..... অতঃপর আমাকে দাফন করে সবাই বাড়ির দিকে রওনা দিবে। সবাই চলে যাবে, শুধু ফিরবো না আমি...
বাসায় গিয়ে আর মাকে বলবো না, মা আজ ওটা রান্না করো, ওটা খেতে ইচ্ছে করছে... বাবাকে বলবো না, বাবা কিছু টাকা দাও, কলেজে যাবো....
বড় বোনটার সাথে আর মারামারি করা হবে না, কারণ আমি চলে এসেছি না ফেরার দেশে... হয়তো আর বন্ধুদের বলবো না, দোস্ত, অমুক মেয়েটাকে আমি পটিয়ে ফেলেছি। কেননা সেদিন থেকে আমি পোকা মাকড় আরি মাটির খাবার হয়ে গেছি....
হয়তো আর অভিমান করা হবে না সেই মেয়েটার সাথে, যে নাকি আমাকে নিজের জীবনের চাইতে বেশি ভালোবাসতো....
কারণ আজ আমি ভিন্ন জগতের লোক। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আমার জায়গাটা একদিন আপানারও হবে? সেদিনের জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত?

39
মৃত্যু এক চিরন্তন সত্য। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তো জীবন শেষ। মৃত্যু নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক শঙ্কা কাজ করে স্বাভাবিকভাবেই; কিন্তু মৃত্যু ঘটবেই, একে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায়ও নেই। মৃত্যুর পর নশ্বর দেহতে কিছু পরিবর্তন ঘটে প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গেই।

জানলে অবাক হবেন, মানুষ মারা যাওয়ার পরও তার কিছুদিন পর্যন্ত হাতের নখ ও চুল বৃদ্ধি পায় বলে মনে হয়! এ তো গেল অন্য কথা, তবে আজীবন বয়ে বেড়ানো শরীর মৃত্যুর পর প্রকৃতির সঙ্গেই মিশে যায় ধীরে ধীরে। মেন্টাল ফ্লস নামের একটি ওয়েবসাইটে মৃত্যুর পর নশ্বর মানবদেহের পর্যায়ভিত্তিক পরিণতির বিবরণ দেওয়া হয়েছে:

১. মৃত্যুর পর মস্তিষ্কের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এটি ঘটবে সেকেন্ডের ব্যবধানে।

২. শরীরের তাপমাত্রা শীতল হয়ে যাবে।

৩. অক্সিজেনের অভাবে কোষগুলোর মৃত্যু ঘটতে আরম্ভ করবে। সে সঙ্গে কোষগুলোয় ভাঙন ধরবে, যা পচন প্রক্রিয়ার আগ পর্যন্ত চলবে। এটি ঘটবে মিনিটের ব্যবধানে।

৪. শরীর প্রসারিত হওয়ার কারণে পেশির মধ্যে ক্যালসিয়াম তৈরি হতে থাকে। এটি ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত হয়। এটি ঘটবে ঘণ্টার ব্যবধানে।

৫. পেশিগুলো শিথিল হয়ে যায়।

৬. ত্বক শুষ্ক, সংকুচিত দেখায়। এর কারণে চুল ও নখ বড় হয়ে যাবে বলে মনে হবে।

৭. মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে রক্তে টান পড়বে। এতে করে শরীরের চামড়ায় কালশিটে পড়া বা অনেকটা দাগের মতো দেখা যাবে।

৮. শরীরের এনজাইমগুলো নিজেদের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো হজম করতে শুরু করে, প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি। এটি ঘটবে দিনের ব্যবধানে।

৯. পচনশীল দেহের থেকে পিউট্রিসিন বা ক্যাডাভেরিন নামের রাসায়নিক উপাদান নির্গত হওয়ার কারণে দুর্গন্ধ তৈরি হবে।

১০. এক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ শরীর খেয়ে ফেলতে থাকবে। সপ্তাহের ব্যবধানে এটি ঘটতে শুরু করবে।

১১. শরীর বেগুনি থেকে কালো হয়ে যাবে, কারণ ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে শরীরের বিয়োজন অব্যাহত থাকবে।

১২. চুল ঝরতে শুরু করে।

১৩. চার মাসের মধ্যে বাকি রইবে শুধু কঙ্কাল, বাকি সবটাই মিশে যাবে মাটির সাথে ।

সংগৃহীত: Minni Chowdhury-র ওয়াল থেকে নেওয়া।

40
মাসজিদুল হারামের ইমাম শাইখ মাহির রমাদানের শেষ দশ দিনের জন্য এক চমৎকার আমলের ফর্মুলা দিয়েছেন:

 ১) প্রতিদিন এক দিরহাম (এক টাকা) দান করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর (১০০০ মাস) পর্যন্ত প্রতিদিন এক টাকা দান করার সাওয়াব পাবেন। .
 ২) প্রতিদিন দু' রাকা'আত নফল সালাত আদায় করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন দু' রাকা'আত সালাতের সাওয়াব পাবেন। .
৩) প্রতিদিন তিন বার সূরা ইখলাস পাঠ করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন এক খতম ক্বর'আন পাঠের সাওয়াব পাবেন । .
তিনি আরও বলেন, উপরের কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার কথা শুনে এ আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমান সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "ভালো কাজের পথ প্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।..." [মুসলিম ২৬৭৪] আল্লাহ আমাদের কে আমল করার তাওফিক দিন।আমীন। কপিরাইট....!

41
বাংলাদেশের অল্প কিছু এলাকায় লাইনের গ্যাস রয়েছে। বাকী সব এলাকার মানুষই এলপিজি বা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন রান্নার কাজে। এছাড়া অপচয় রোধে ক্রমান্বয়ে বাসাবাড়িতে লাইনের গ্যাস বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তাই গ্যাস সিলিন্ডার এখন একটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য হয়ে দাড়িয়েছে। ক্রমশ এর ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু একটু অসাবধানতার কারনেই ঘটতে পারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের ফলে মারাত্বক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, হতে পারে প্রাণহানি। তাই আমাদের সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

গ্যাস লিক হলে কী করবেন?
সিলিন্ডারের গ্যাস খুবই বাজে গন্ধযুক্ত। কোন অংশ লিক হলেই এই বাজে গন্ধ দ্রুত আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এমন উৎকট গন্ধ পেলেই সাবধান হয়ে যান। কোন প্রকার আগুন জ্বালানো যাবে না এই সময়। পাশাপাশি বাসার বিদ্যুৎ লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন। বাসার সকল দরজা, জানালা খুলে দিন যাতে বাতাস যাতায়াত করতে পারে। সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করুন এবং সেফটি ক্যাপ লাগান।

কীভাবে আগুন নেভাবেন?
যদি সিলিন্ডারে আগুন লাগে, আতঙ্কিত না হয়ে নেভানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রথমে দ্রুত একটি সুতি কাপড় (লুঙ্গি জাতীয় কাপড়) দিয়ে পুরো সিলিন্ডারটি ঢেকে দিন। আগুন হাতে কিংবা শরীরে লাগবে না। তারপর দ্রুত রেগুলেটর ঘুরিয়ে সিলিন্ডারটি বন্ধ করে ফেলুন। দেখবেন আগুন নিভে যাবে।

শরীরে গ্যাস লাগলে
আর কিছু বিষয় জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন। যদি সিলিন্ডারের গ্যাস শরীরের কোথাও লাগে তাহলে ওই স্থান ২০ মিনিট পানি দিয়ে ধুতে হবে। যদি কাপড়ে লাগে তাহলে ওই কাপড় দ্রুত খুলে ফেলতে হবে। চোখে লাগলে পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। আর যদি কোনভাবে শরীরে আগুন লেগে যায়, তাহলে শরীরের সব জামা-কাপড় খুলে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হবে। যতটা দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যেতে হবে। আগুনে পুড়ে যদি শরীরে ফোস্কা পড়ে তা ভুলেও তুলে ফেলবেন না। এতে ওই স্থানে ইনফেকশন হতে পারে।

সাবধানতা অবলম্বন
সিলিন্ডারের গ্যাস বিস্ফোরণের ফলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে সিলিন্ডার লিক হচ্ছে কি না। এই পরীক্ষা করার জন্য পানিতে সাবানের গুঁড়া মিশিয়ে ফেনা তৈরি করুন। এই ফেনা রেগুলেটর, হোস পাইপ, ভাল্ব ইত্যাদিতে লাগান। যদি কোন স্থানে সাবান পানির ফোঁটা বড় হতে দেখা যায় তাহলে বুঝবেন ওই স্থানে লিক হয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে তখন। সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ রোধে আপনাকে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কখনো গ্যাসের চুলায় রান্না তুলে দিয়ে অন্যত্র যাবেন না। খাবারে আগুন ধরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। রান্নার সময় আপনার পরনের কাপড়ের দিকেও সাবধান দৃষ্টি রাখতে হবে।

42

উচ্চশিক্ষার জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পছন্দের অন্যতম গন্তব্য এখন ইউরোপের সমৃদ্ধ দেশ জার্মানি। কারণ এখানে রয়েছে শিক্ষা ও গবেষণায় শূন্য টিউশন ফি ও শিক্ষাবৃত্তির সুবিধা। দ্য টাইমস হায়ার এডুকেশনের তালিকা অনুসারে এ বছরে বিশ্বের শীর্ষ ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টিই জার্মানিতে অবস্থিত। জার্মান ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও পড়ার সুযোগ আছে দেশটিতে।

জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়
বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও মানবিক সব শাখাতেই উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। জার্মানির উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে লুদভিক ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ, ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন, হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি, উলম ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাড হনেফ প্রভৃতি।

বৃত্তির সুযোগ
জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়েচে ভেলের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, প্রতিবছর আড?াই লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী এবং ২৩ হাজার পিএইচডি গবেষক জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হন? এই বিশাল সংখ্যার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ শতাংশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকেন? ডিএএডি বা জার্মান ছাত্রবিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী জার্মানি পড়াশোনার সুযোগ পান?

বর্তমানে ৪৫ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি? এই প্রতিষ্ঠানের বৃত্তিভোগীদের ৭০ শতাংশই আসেন বিদেশ থেকে? স্নাতক কোসের্র শিক্ষার্থীরা মাসে ৬৫০ ইউরো, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা ৭৫০ ইউরো আর পিএইচডি গবেষকেরা এক হাজার ইউরো পেয়ে থাকেন বৃত্তি হিসেবে? তবে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগ সীমিত। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য জার্মানিতে যান শিক্ষার্থীরা।

'স্টিপেন্ডিয়াটেন ডেয়ার স্টুডিয়েনস্টিফটুং ডয়েচেস ফল্ক', 'ডয়েচলান্ড স্টিপেন্ডিয়ুম' নামের বৃত্তিসহ বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পাওয়ার সুযোগও রয়েছে। ডিএএডি কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশন, হাইনরিশ ব্যোল ফাউন্ডেশন, ফ্রিডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশন, বোরিংগার ইংগেলহাইম ফাউন্ডেশন প্রভৃতি ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

জার্মানিতে পড়ার বিষয় : জার্মানিতে বর্তমানে ৪৫০টির বেশি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গভর্ন্যান্স, পলিটিক্যাল সায়েন্স, অ্যাডভান্সড ম্যাটারিয়ালস, অ্যাডভান্সড অনকোলজি, কমিউনিকেশন টেকনোলজি, এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ফিন্যান্স, মলিকিউলার সায়েন্স, বিভিন্ন ভাষা বিষয়ে পড়াশোনা, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার সায়েন্সসহ প্রকৌশল ও জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।

আবেদন-প্রক্রিয়া : অনলাইনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের সব প্রক্রিয়া ও বৃত্তি সম্পর্কে জানা যায়। বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইন জার্মানির ওয়েবসাইট (bsaagweb.de) থেকেও শিক্ষার্থীরা জার্মানিতে বর্তমানে পড়ছেন এমন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরাসরি পরামর্শ নিতে পারেন। জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা, দৈনন্দিন জীবনযাপন, পড়ালেখা-চাকরির সুবিধাসহ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এ সাইট থেকে।

প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট: স্টাডি ইন জার্মানি :study-in.de, ডিএএডি : daad.de/en, ঢাকার জার্মান দূতাবাস : dhaka.diplo.de, গ্যেটে ইনস্টিটিউট, ঢাকা : goethe.de/ins/bd/en/dha.html

43

নারী-পুরুষ প্রত্যেক মানুষের জীবনেই আসে ভালোবাসার সূক্ষ্ম অনুভূতি। কখনো এই অনুভূতি অযাচিতভাবে দমকা হাওয়ার মতো মনের ঘরে এসে পৌঁছায়। আবার কখনো নিভৃতে এসে হৃদয়ে কড়া নাড়ে। আসুক না, ক্ষতি কী? প্রত্যেক মানুষেরই তো বেঁচে থাকার জন্য এই অবলম্বনের দরকার পড়ে।
কিন্তু ভালোবাসার কথা বললে সঙ্গে মনে পড়ে যায় কবীর সুমনের সেই গানটি—‘মন খারাপ করা বিকেল মানে মেঘ করেছে, দূরে কোথাও দু-এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে’। বহুদিনের প্রিয় কাছের মানুষটি কখনো হারিয়ে যায়। কিংবা যাঁকে নিয়ে ধীরে ধীরে যেই স্বপ্নটি গড়ে তুলছিলেন তা ভেঙে যেতে পারে কয়েক মুহূর্তে। কিন্তু মন খারাপ করা বিকেল বেলাতেও দু-এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যেতে পারে। আর এখানে কয়েক পশলা বৃষ্টির ভূমিকাটা রাখতে পারে আপনার কাছের বন্ধুটি।
 ভালোবাসার সম্পর্কটি ভেঙে গেলে স্বাভাবিক কারণেই মানসিকতা ভেঙে পড়ে। যা আপনার পড়াশোনা থেকে শুরু করে পেশাজীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ সময়টায় আপনার কাছের বন্ধুর দায়িত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরিবারে অনেক সদস্য থাকে; কিন্তু খোলামেলা আলোচনাটা আমরা বন্ধুদের সঙ্গে করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
আপনার বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বন্ধুর সঙ্গে। বন্ধুকে সবকিছু খুলে বলুন। অপর দিকে একজন বন্ধুর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাজটা হবে মানসিকভাবে সহায়তা দেওয়া। হয়তো আলোচনার মাধ্যমে ভেঙে যাওয়া সম্পর্কটির নবোদয় হবে না। কিন্তু, হ্যাঁ বন্ধুর দেওয়া এই মানসিক শক্তির বলেই বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা সামলে নিতে পারবেন আপনার ভগ্নহৃদয় বন্ধুটি। ব্রেকআপ হওয়া মানুষটির ভেতরে কী কী সদ্গুণ আছে তার পরিচর্যা করতে উৎসাহিত করলে বিষণ্নতা ও অন্যান্য মানসিক সমস্যা অনেকখানি কমে যায়।
অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের কাউন্সেলর মরিয়ম সুলতানা বলেন, সম্পর্ক ভেঙে গেলে বিষণ্নতা, একাকিত্ববোধ, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া, ক্ষোভ—এ ধরনের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাছের বন্ধুর মনের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলে কষ্ট অনেকটাই কমে যায়। তবে তিনি এও বললেন, ‘খোলামেলা আলোচনার সঙ্গে এটাও মনে রাখুন, আপনি যাকে সব বলছেন সে সত্যিই কতটুকু বিশ্বাসী। আপনার অনুভূতির প্রতি ওই বন্ধু কতটুকু শ্রদ্ধাশীল।’


বন্ধুর করণীয়:

* ব্যাপারটি সম্পর্কে ভালোমতো জেনে নিন। ধৈর্য নিয়ে পুরোটা শুনে নিন। যদি এ পক্ষের দোষ থাকে তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন, ভবিষ্যতে এমনটি করতে মানা করুন। আর যদি দোষ অপর পক্ষের হয়ে থাকে তবে তাকেও বুঝিয়ে বলুন, ‘চলার পথ এখনো অনেক বাকি, বন্ধু’।
* ভেঙে পড়া মানুষটিকে সময় দিন। একা থাকার কারণে সে আরও ভেঙে যেতে পারে। তাই তাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়া, কিংবা বন্ধুমহলে একসঙ্গে গল্প-আড্ডাও তাকে মানসিকভাবে ভালো রাখবে।
* তাকে সময় নিতে দিন। সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়ার পর সে কী করতে চায়, সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ তার নিজের। প্রয়োজনে আপনি তাকে পরামর্শ দিতে পারেন, যেমন: ঝোঁকের বশে নতুন কোনো সম্পর্কে যেতে না করুন। কিন্তু মনে রাখবেন সিদ্ধান্তটা তার একান্তই নিজের।
* কোনোভাবেই আগের সম্পর্কের কথা তাকে মনে করিয়ে না দেওয়া। বরং তাকে সহায়তা করুন এর রেশ থেকে বেরিয়ে আসতে।
* সর্বোপরি তাকে মানসিকভাবে সহায়তা দেওয়া। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করুন। কেননা পরিবার থেকেও তার সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজনে কোনো কাউন্সেলরের সঙ্গে আলাপ করার পরামর্শ দিতে পারেন।
Collected...

44
Islam & Science / রাতের বিশেষ ইবাদত
« on: February 27, 2016, 03:30:49 PM »
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার নাম। তাই এতে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের দিকনির্দেশনাই দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটু সতর্কতাই পারে দৈনন্দিন কাজগুলোকে নেক আমলে পরিণত করতে। এরই ধারাবাহিকতায় রাত্রিকালীন কিছু সুন্নাত, আদব তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
সন্ধ্যার আমল : মাগরিবের আজানের সময় হলেই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখা ও ছোট বাচ্চাদের বাইরে যেতে বারণ করা উচিত। কেননা তখন জিন জাতি ঘোরাফেরা করে। (সিহাহ সিত্তাহ)

এমনিভাবে রাতে এশার নামাজ পড়েই শুয়ে পড়া সুন্নাত। তবে এর আগে কিছু এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগেও কিছু আমল রয়েছে। যেমন—ঘুমানোর আগে স্ত্রী-পরিজনের উপদেশমূলক ঘটনাবলি ও শরিয়তসম্মত কৌতুকপূর্ণ কথাবার্তা শোনানো। (শামায়েলে তিরমিজি : পৃ. ১৭) আর অহেতুক কাজকর্ম থেকে বিরত থাকা চাই। কেননা এর ফলে সকালে নামাজ কাজা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। (তিরমিজি : ১/৪২) রাতে বিসমিল্লাহ বলে দরজা বন্ধ করা এবং বিসমিল্লাহ বলেই হুক লাগানো। (বুখারি : ২/৯৩১) পানির পাত্র, বালতি ইত্যাদি বিসমিল্লাহ বলে ঢেকে রাখা। ঢেকে রাখার কিছু না থাকলে অন্তত একখণ্ড লাকড়ি হলেও ওপরে দিয়ে রাখা। (বুখারি : ২/৯৩১) এরপর বিসমিল্লাহ বলে বাতি নিভিয়ে দেবে। (বুখারি : ২/৯৩১) যেসব বস্তু থেকে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থাকে, সেগুলোকে বিসমিল্লাহ বলে নিভিয়ে ফেলবে। (বুখারি : ২/৯৩১) যেমন—গ্যাসের চুলা ইত্যাদি। তা ছাড়া এর দ্বারা বিপুল পরিমাণ গ্যাসও অপচয় হয়, যা দেশ ও জাতির কারো জন্যই কল্যাণকর নয়।

ঘুমানোর সময়ের কিছু আমল : অজুর সঙ্গে ঘুমানো। (আবু দাউদ : ১/৬৮৭) মিসওয়াক করে ঘুমানো। (মিশকাত ১/৪৪) চুল-দাড়ি আঁচড়ানো। (মিশকাত : ২/৩৮৪) উভয় চোখে তিনবার করে সুরমা লাগানো। (উসওয়ায়ে রাসুলে আকরাম ১১৫) ঘুমানোর আগে বিছানা ঝেড়ে নেওয়া। (মিশকাত : ১/২০৮) শোয়ার আগে আরামদায়ক পোশাক পরিধান করা, কেননা রাসুল (সা.) শোয়ার  আগে লুঙ্গি পরিধান করতেন এবং জামা খুলে ঝুলিয়ে রাখতেন, তারপর আরাম করার আগে বিছানা ঝেড়ে নিতেন। তাহাজ্জুদের নিয়তে ঘুমানো। (নাসায়ি : ১/১৯৯) তাহাজ্জুদের জন্য জায়নামাজ শিয়রে রেখে ঘুমানো উত্তম। (আল উসওয়াহ : ৫৫৬)

নিদ্রা যাওয়ার আগে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া এবং বিছানায় শোয়ার পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। বুখারি : (২/৭৫৩) সুরায়ে ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ঘুমাবে। (বুখারি : ২/৭৫০) সম্ভব হলে কোরআনে কারিমের ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করে ঘুমানো। (সুনানে দারেমি : ২/৩৪১) অন্য বর্ণনা মতে, কমপক্ষে কোরআনের ১০টি আয়াত তেলাওয়াত করার কথা বলা হয়েছে। (দারেমি : ২/৩৪০) মাগরিবের পর সুরায়ে ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করা এবং ফজরের পর সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করা। (দারেমি : ২/৩৩৬) ঘুমানোর আগে তিনবার ইস্তিগফার অর্থাৎ ‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুআল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি’ পড়া। (মিশকাত : ১/২২১) বিছানায় শুয়ে এই দোয়া পড়া ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়াআহ ইয়া’। (বুখারি ২/৯৩৬)

সুবহে সাদেকের আগে ঘুম ভাঙলে উঠে তাহাজ্জুদ পড়া। (১/১০৯) রাতে যদি স্বপ্নদোষ কিংবা স্ত্রী সহবাস হয়ে থাকে, তবে সঙ্গে সঙ্গে গোসল করে নেওয়া উত্তম, অন্যথায় কমপক্ষে সুবহে সাদেকের আগে গোসল করে নিতে হবে। এর বেশি বিলম্ব করা উচিত নয়। (আবু দাউদ : ১/২৯)
রাতের আদবসমূহে এটিও আছে যে একাধিক ব্যক্তি একই স্থানে ঘুমালে রাতে কোনো কারণে জাগ্রত হলে বাতি জ্বালানো ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক হওয়া, যাতে অন্যের ঘুমের ক্ষতি না হয়।

ঘুম থেকে জেগে ওঠার সময়ের সুন্নাত : খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা উচিত। উঠেই সর্বপ্রথম উভয় হাত দ্বারা মুখমণ্ডল ও চক্ষুদ্বয় মর্দন করা, যাতে ঘুমের রেশ কেটে যায়। অতঃপর সুরায়ে আলে ইমরানের শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করা। (নাসাই : ১ /২) তারপর এই দোয়া পাঠ করবে : ‘আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আহয়ানা বা’দামা আমা-তানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’ (বুখারি : ২/৯৩৮) এরপর নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে মিসওয়াক করা সুন্নাত। (আবু দাউদ : ১/৮) তারপর তিনবার উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করবে। (তিরমিজি : ১/১৩)

45

ছেলে পরীক্ষা উপলক্ষে শিখেছে গরু সম্পর্কে রচনা। কিন্তু পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এসে গেছে ‘নদী’। অতএব, কী আর করা? সে গরুকে নদীর তীরে নিয়ে এল; লিখল, ‘আমাদের গ্রামে একটি নদী আছে। নদীর তীরে অনেক গরু চরে’। অতঃপর জুড়ে দিল গরু সম্পর্কিত শেখা রচনাটা। আর পরীক্ষার খাতায় দুই ভাইয়ের গরু সম্পর্কিত রচনায় হুবহু মিল পরিলক্ষিত হলে পরীক্ষকের জিজ্ঞাসার জবাবে দুই ভাই সমস্বরে বলে উঠেছিল, ‘তা তো হবেই; কারণ আমরা যে একই গরুকে দেখে লিখেছি।’

এবং গ্রামের এক লোকের গরু হারানো গিয়েছিল; বহু চেষ্টা করেও সেটার খোঁজ পাওয়া গেল না। প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ সাহেবের মতে, প্রতিটি গ্রামেই একজন করে পাগল থাকে। তো সেই পাগল এক ঘণ্টার মধ্যে গরুটি খুঁজে বের করে নিয়ে এসে বলল, ‘আমি চিন্তা করে দেখলাম, আমি গরু হলে কোথায় কোথায় যাইতাম। সেই সব জায়গায় গেছি, গরু পাইয়া গ্যাছিগা।’ আর গ্রামের অপর একজনের গরু হারালে পরে সে সকালে খুঁজতে বেরিয়ে দুপুরে শুষ্ক মুখে বাড়িতে প্রত্যাবর্তনের পর পুত্রকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে এক গ্লাস পানি আনতে বললে স্ত্রীর জিজ্ঞাসার জবাবে নাকি বলেছিল, ‘মা, গরু হারালে এমনই হয়।’

ছাত্রাবস্থায় ‘জরাসন্ধ’ রচিত কারাগার সম্পর্কিত গ্রন্থ লৌহকপাট-এ পড়েছিলাম, গরু চুরির অপরাধে ধৃত অপরাধীকে কারাগারে সবচেয়ে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখা হয়। কেননা, গরু চুরি নাকি সবচেয়ে সহজ কাজ, গরুকে গোয়ালঘর থেকে বের করে রাতটা কোনোরকমে ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে রেখে ভোরের আলোয় মানুষের হাঁটাচলার রাস্তায় তুলে দিয়ে গরুর পেছনে পেছনে হাঁটা দিলেই ব্যস, আর কিছু করার দরকার নেই।

মানবদেহের জন্য প্রোটিন অত্যাবশ্যক, আর প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে গরুর মাংস ও ডাল এবং একসময় ডাল অনেক সস্তা ছিল বিধায় ডালকে বলা হতো ‘পুওর ম্যানস বিফ’ তথা গরিবের গরুর মাংস; কিন্তু এখন আর সেই সুদিন নেই। আর আমাদের মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জবাইকৃত গরুর মাংসই সারা বছরের প্রোটিনের ঘাটতি বহুলাংশে পুষিয়ে দেয়। তো গল্প আছে: পাশাপাশি মুসলমান ও হিন্দুর বাড়ি। মুসলমানের বাড়িতে কোরবানির মাংস রান্না করায় হিন্দু প্রতিবেশী কোর্টে কেইস করে দিলেন যে যেহেতু ঘ্রাণে অর্ধভোজন হয়ে যায়, অতএব তাঁর জাত গেছে। সময়টা ছিল ব্রিটিশরাজের; ব্রিটিশ বিচারক রায় দিলেন—মুসলমান প্রতিবেশীকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হলো; তবে ২০০০ টাকার পরিমাণ মুদ্রার ঝনঝনানি অভিযোগকারীর কানের কাছে এক ঘণ্টা শোনালেই তা আদায় হয়ে যাবে, যেহেতু ঘ্রাণে অর্ধভোজন আর শ্রবণে সিকি।

বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ বা শব্দগুচ্ছও এসেছে গরু থেকে। উদাহরণস্বরূপ: গোবেট, গোমূর্খ, গোধূলি, গোবর-গণেশ, মাথায় গোবর, গো-বেচারা, গোগ্রাসে গেলা, গোবরে পদ্মফুল, ওগায়রা-ওগায়রা

আমাদের দেশে ‘টল-টক্’ তথা লম্বা-চওড়া কথা বলায় ওস্তাদ একজন একবার গল্প করছিলেন, ‘আমার দাদার গোয়ালঘর এত বিশালাকৃতির ছিল যে তার এক প্রান্তে গাভি বাছুর বিয়ালে সেটা অপর প্রান্তে হেঁটে যেতে যেতে নিজেই আরেকটা বাছুর বিয়ানোর উপযুক্ত হয়ে যেত।’ এটা শুনে আরেকজন বলল, ‘আমার দাদার একটি বিশাল লম্বা বাঁশ ছিল, যেটা দিয়ে তিনি মেঘাচ্ছন্ন সকালে মেঘ সরিয়ে রোদ পোহাতেন।’ ‘তা তোমার দাদা এত লম্বা বাঁশটি মাটিতে রাখতেন কোথায়’? প্রথমোক্ত ব্যক্তির এই প্রশ্নের উত্তরে দ্বিতীয় ব্যক্তি জানালেন, ‘তোমার দাদার গোয়ালঘরে।’

গল্পটির একটি চায়নিজ সংস্করণও আছে: জনৈক চায়নিজ বললেন, ‘আমাদের বাড়িতে একটা দারুণ ঢাক আছে, যেটা বাজালে আওয়াজ ১০০ মাইল দূর থেকেও শোনা যায়।’ শুনে অপর চায়নিজ বলে উঠলেন, ‘আমাদের বাড়িতে একটি বিশালাকৃতির গরু আছে, যেটা নদীর এপারে যখন পানি খায়, তখন তার মুখ চলে যায় ওপারে।’ আগের ওস্তাদের ‘এত বিশালাকৃতির গরু কি থাকতে পারে’ প্রশ্নের উত্তরে এবার তিনি বললেন, ‘না থাকলে আপনাদের ওই ঢাকের চামড়া আসবে কোত্থেকে?’

ইসমাইলিয়া শিয়া সম্প্রদায়ের বর্তমান গুরু প্রিন্স করিম আগা খানের দাদা প্রিন্স আলী আগা খানকে একবার নাকি ইউরোপে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘এটা কি সত্যি যে আপনার ধর্মানুসারীরা আপনাকে পূজা করেন?’ তদুত্তরে তিনি মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘আরে, আমি যে ভারতবর্ষের অধিবাসী, সেখানে লোকজন গরুকে পূজা করে; আর আমি তো মানুষ।’

১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের বেলায়ও গরুর একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল। সিপাহিদের বন্দুকে যে কার্তুজ ব্যবহৃত হতো, সেটা দাঁত দিয়ে কাটতে হতো। তো গুজব রটে যায় যে এর সঙ্গে গরু ও শূকরের চর্বি মিশ্রিত আছে; তাই কার্তুজ ব্যবহার করলে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের সৈন্যদেরই জাত যাবে। তাই দানা বাঁধে বিদ্রোহের, যেটা ব্রিটিশরা অনেক কষ্টে সামাল দিতে পেরেছিল।

গরু সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দেরও (যাঁর পারিবারিক নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত) একটি মজার উপাখ্যান আছে: একবার গিরিধারী লাল নামক এক ব্যক্তি স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎপূর্বক বলল যে সে গো-রক্ষিণী সমিতির সম্পাদক; দুর্বল, রুগ্ণ, জরাগ্রস্ত গো-মাতাদের সেবা করাই তাদের ব্রত। এটা শুনে বিবেকানন্দ বললেন, ‘শুনেছি মধ্য ভারতে দুর্ভিক্ষে প্রায় নয় লাখ লোক মারা গেছে। এ ব্যাপারে আপনারা কী করেছেন? লোকটি বলল, ‘মানুষ মরছে নিজের কর্মফলে। তাদের বাঁচার দরকার কী? আর গাভি হচ্ছে আমাদের মাতা।’ এবারে স্বামীজি সহাস্যে মন্তব্য করলেন, ‘হ্যাঁ, গাভি যে আপনাদের মাতা, সেটা বিলক্ষণ বুঝেছি। কেননা, তা নইলে এমন সব ছেলে জন্মাবে কেন?’

আর গোপাল ভাঁড়ের গল্পেও গরু যথারীতি বিদ্যমান। একদা নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তাঁর ভাঁড় গোপালের বুদ্ধি পরীক্ষা করার জন্য বললেন, ‘কাল তুমি আমাকে একসের ষাঁড়ের দুধ এনে দিও।’ গোপাল তো চিন্তায় চিন্তায় অস্থির। তাঁর বউ বললেন, ‘চিন্তার কোনো কারণ নেই; আমি এটা সামাল দিচ্ছি।’ তিনি এক বোঝা কাপড় নিয়ে রাজবাড়ির সামনে নদীর ঘাটে কাচতে শুরু করে দিলেন। রাজা দেখতে পেয়ে প্রশ্ন করাতে তিনি বললেন, ‘আমার স্বামী প্রসব বেদনায় কাতর। তাই আমাকে এ কাজ করতে হচ্ছে।’ রাজা এটা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করাতে গোপাল-পত্নী এবার বললেন, ‘রাজা মশায়, যে দেশে ষাঁড়ের দুধ পাওয়া যায়, সে দেশে ওটা এতই কি অসম্ভব!’ রাজা তখন বিষয়টা বুঝতে পেরে উচ্চ স্বরে হেসে উঠেছিলেন।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 9