Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Forman

Pages: [1] 2 3 4
1
কোর্সের বিবরণ
আমরা সবাই জানি যে গুগল হল জ্ঞানের ভাণ্ডার। ইন্টারনেটে কিংবা স্মার্টফোনে প্রতি মুহূর্তে কোন বা কোন ভাবে আমারা গুগলের সেবা গুলো ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু গুগলের বিশাল রাজ্যে এমন কিছু সেবা আছে যেগুলোর সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত না। ফলে, গুগল নামের বিশাল এই জ্ঞানের ভান্ডারের বড় একটা অংশ আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। গুগলের সঠিক ব্যবহার জানলে আমরা ছাত্র জীবন এবং কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু আমাদের নিত্য দিনের অনেক কাজ খুব সহজে করতে পারবো।

এই কোর্সটি কাদের জন্য?
যে কেউ এই কোর্সে অংশগ্রহন করতে পারবে। এই কোর্সটির জন্য কোন পূর্বশর্ত না থাকায় একেবারে নতুনরাও এই কোর্সে যোগ দিতে পারবে।

এই কোর্সটি করে,

ছাত্র ছাত্রী
সদ্য গ্র্যাজুয়েট
প্রফেশনাল
সহ সবাই নিজ নিজ জায়গায় তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

কোর্সটি থেকে বিশেষ যা যা পাচ্ছেন
১ ঘন্টার বেশি সময়ে ১০ টি এক্সক্লুসিভ লেকচার
কোর্স শেষ করার পর পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ
যেকোনো সমস্যা নিয়ে ফোরামে আলোচনা করার সুযোগ
পুরো লার্নিং প্রসেস নিয়ে ধাপে ধাপে গাইডলাইন
HRDI এবং Skill Jobs থেকে সার্টিফিকেট

Course Link: https://goedu.ac/courses/technology/effective-use-of-google/

2
Course Description:
What is ethical hacking? How does it work? What principles do ethical hackers follow? Answer these questions and more with the course introducing ethical hacking. Participants will have the opportunity to learn the principles of ethical hacking and consider its legal and methodological foundations. They will also explore the processes and legal framework of penetration testing and take part in a simple exploitation exercise in the first of a series of carefully constructed scenarios designed to develop your skills to get you started as an ethical hacker.

Why this course?
This course will let the participants understand the current security trends. It describes the elements of information security and also explains information security threats and attack vectors. This course will describe the hacking concepts, types phases, and scopes. It will let the participants understand the information security controls such as information security management, defense-in-depth, policies, procedures, awareness, physical security, incident management process, risk management, etc. Understanding the penetration testing process is one of the core points of this course. By completing the course, participants will get a basic knowledge about the information security Acts and laws.

Prerequisite of the Ethical Hacking Course:
This is an introductory course but having a Good understanding of basic computing and networking will help you complete the course with ease.

Course for whom?
People who are interested in getting started as an ethical hacker or an information and cyber security specialist can join this course.

Ethical Hacking Course Benefits:
9 Exclusive Video Lessons
Downloadable Lesson Slides
Self Assessment Quiz
Course Completion Certificate

Course Link: https://goedu.ac/courses/technology/ethical-hacking-introduction-concepts-course/

3
ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে আমরা অনেকেই বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত ই-মেইল আদান-প্রদান করে থাকি। কিন্তু অন্যদের পাঠানো ই–মেইলগুলো অনেক সময় ইনবক্সের বদলে স্প্যাম অপশনে জমা হয়। এর ফলে প্রয়োজনের সময় দ্রুত নির্দিষ্ট ই-মেইল খুঁজে পাওয়া যায় না। জিমেইলের ‘সেফ লিস্টিং’ সুবিধা ব্যবহার করে চাইলেই গুরুত্বপূর্ণ ই–মেইল প্রেরকদের ঠিকানার তালিকা তৈরি করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সেফ লিস্টিং তালিকায় থাকা ঠিকানা থেকে কেউ ই–মেইল পাঠালে সেগুলো সরাসরি ইনবক্সে পাওয়া যাবে।

জিমেইলের সেফ লিস্টিং বা গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইল প্রেরকদের ঠিকানার তালিকা তৈরির জন্য প্রথমে কম্পিউটার থেকে জিমেইলের সেটিংসে প্রবেশ করতে হবে। এরপর ‘সি অল সেটিংস’ অপশনে ক্লিক করে ‘ফিল্টারস অ্যান্ড ব্লকড অ্যাড্রেস ট্যাব’ নির্বাচন করতে হবে। এবার ‘ক্রিয়েট এ নিউ ফিল্টার’ অপশন নির্বাচনের পর নির্দিষ্ট ব্যক্তির ই–মেইল ঠিকানা ও ডোমেইন নাম যুক্ত করে নিচে থাকা ‘ক্রিয়েট ফিল্টার’ এ ক্লিক করতে হবে। পরবর্তী পেজে ‘নেভার সেন্ড ইট টু স্প্যাম’ বক্সটি নির্বাচন করে ‘ক্রিয়েট ফিল্টার’ অপশনে ক্লিক করলেই সেফ লিস্টিং সুবিধা চালু হয়ে যাবে।

Source: https://www.prothomalo.com/technology/advice/azxuox5hbm

4
স্পাইওয়্যার মূলত একধরনের ম্যালওয়্যার, যা ফোনের তথ্য চুরি করে হ্যাকারের কাছে পাঠাতে পারে। আর তাই স্মার্টফোনে আড়ি পাততে সক্ষম অ্যাপ বা স্পাইওয়্যারের সাহায্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনলাইন বা দৈনন্দিন কার্যক্রমে নজরদারি করে থাকে সাইবার অপরাধীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। এ জন্য বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ফোনে গোপনে স্পাইওয়্যার প্রবেশ করায় তারা। বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে কি না তা জানা যায়।

ফোনের গতি

স্পাইওয়্যার থাকলে ফোনের গতি ধীরে ধীরে কমে যায়। ফলে যেকোনো কাজ করতে সময় বেশি প্রয়োজন হয়। শুধু তা–ই নয়, কিছুক্ষণ কাজ করলেই ফোন গরম হওয়ার পাশাপাশি ব্যাটারির চার্জও দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এ ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে বুঝতে হবে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে।

অপরিচিত অ্যাপ

ডাউনলোড না করলেও কোনো অ্যাপ বা গেম ইনস্টল হলে বুঝতে হবে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে। আর তাই ফোনে থাকা অপরিচিত অ্যাপগুলো খুঁজে বের করে দ্রুত মুছে ফেলতে হবে।

অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যান্টিভাইরাস ফোনে থাকা ম্যালওয়্যার শনাক্ত করতে পারে। ফলে সহজে স্পাইওয়্যারের সন্ধান পাওয়া যায়। আর তাই ফোনে অবশ্যই হালনাগাদ সংস্করণের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।

তথ্য ব্যবহারের অনুমতি

বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোডের সময় ব্যবহারকারীদের কাছে থেকে ফোনের মাইক্রোফোন, কল লগ, ক্যামেরাসহ বিভিন্ন তথ্য ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে নেয়। তবে স্পাইওয়্যার অ্যাপগুলো গোপনে এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে থাকে। ফোনের সেটিংসের প্রাইভেসি অপশনে প্রবেশ করে অ্যাপ পারমিশনে ক্লিক করলেই কোন কোন অ্যাপ ফোনের যন্ত্রাংশ ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছে তা জানা সম্ভব। এখানে কোনো অপরিচিত অ্যাপের নাম দেখা গেলে বুঝতে হবে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে।

Source: Prothomalo

5
উইন্ডোজ ১০-এর নতুন হালনাগাদে ফিরবে উইন্ডোজ ৭-এর অন্যতম সেরা একটি ফিচার। এতে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা খুব দ্রুত ও সহজে সব ড্রাইভার ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে পারবেন এবং অপশনাল আপডেটের মাধ্যমে তাঁদের পিসি চালু থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন।



প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকরাডারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, উইন্ডোজ ১০-এর হালনাগাদ সংস্করণটি হচ্ছে উইন্ডোজ ১০ বিল্ড ১৯০৪১.৪৫০। এতে একটি অপশনাল আপডেট পেজ যুক্ত হয়েছে। এটি খুঁজে পেতে Settings > Update & Security > Windows Update > View optional updates অনুসরণ করতে হবে।

এই আপডেটের মাধ্যমে উইন্ডোজ আপডেট থেকে নতুন ড্রাইভারের খোঁজের পাশাপাশি ইনস্টল করা যাবে। এতে ডিভাইস ম্যানেজারে আলাদা করে যেতে হবে না। একে ড্রাইভার আপডেট সহজ ও ব্যবহারবান্ধব হবে। বেশ কিছুদিন ধরে উইন্ডোজ ১০ আপডেট নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।

সমস্যা সমাধানের বদলে নতুন আপডেটে সমস্যা বেড়ে যায়, তবে এসব আপডেট অপশনাল রাখা হয়েছে। তবে পিসিতে কী ইনস্টল হচ্ছে, সে বিষয়ে ব্যবহারকারীকে অধিক নিয়ন্ত্রণ দিলে অপ্রয়োজনীয় আপডেট ব্যবহারকারী এড়াতে পারবেন। পিসিতে হালনাগাদ ড্রাইভার ইনস্টল থাকলে পিসি আরও ভালোভাবে চলে। তাই

বিশেষজ্ঞরা পিসিতে ড্রাইভার ইনস্টল করার জন্য বলে আসছিলেন। এখন ড্রাইভার আপডেটসহ সফটওয়্যারের যেকোনো আপডেট অপশনাল আপডেট পেজ থেকে দেখা যাবে। কেউ যদি নতুন ড্রাইভার ইনস্টলের পদ্ধতি দেখতে চান, তবে উইন্ডোজ ১০ কেবি ৪৫৬৬৭৮২ সংস্করণ পিসিতে থাকতে হবে।

Source: Prothon Alo

6
নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হাত ধোয়াকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থার তালিকায় ১ নম্বরে রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।



হাত দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত মুঠোফোন, টিভির রিমোট, দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং, পানির কল, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, চাবি, টাকা, কাঁচা মাছ-মাংস, সবজি ইত্যাদি কত কিছুই না ধরি। এসব জিনিসে লেগে থেকে অসংখ্য জীবাণু। হাত দিয়ে নাক–মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিলেও হাতে জীবাণু লেগে যায়। এরপর হাত না ধুয়ে খাবার প্রস্তুত বা খাওয়া হলে, অথবা মুখ–চোখ–নাক স্পর্শ করা হলে জীবাণু শরীরে ঢুকে যায়।

সাবান-পানি দিয়ে নিয়মিত এবং নিয়মমতো হাত ধুলে করোনাভাইরাসসহ যেকোনো জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাওয়ার আগে ও টয়লেটের পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে। কাঁচা মাছ-মাংস বা পশু–পাখি স্পর্শ করলেও ভালো করে হাত ধুতে হবে। হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে বা হাত দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিলেও হাত ধুতে হবে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

সাবান-পানি দিয়ে ধোয়ার সময় প্রথমে পানি দিয়ে হাত ভেজাতে হবে। তারপর সাবান নিয়ে দুই হাতের উভয় দিকে, আঙুলের ফাঁকে এবং নখের নিচে খুব ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সাবান-পানি না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা যায়।

অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ্‌, বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ

courtesy: prothomalo

7
কোয়ারেন্টিন মানে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যক্তির চলাফেরাকে সীমাবদ্ধ করা। কোয়ারেন্টিন তাঁদের জন্যই প্রযোজ্য, যাঁরা রোগে আক্রান্ত হননি কিন্তু রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, রোগের প্রাদুর্ভাবযুক্ত এলাকায় থেকেছেন, অর্থাৎ যাঁরা রোগ ছড়াতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।



কথাটা এসেছে ‘কোয়ারান্টাগাইরন’ থেকে, যার অর্থ ফরটি ডে (৪০ দিন)। প্লেগের সময় জাহাজের মাল খালাস করার আগে ৪০ দিন তীরে ভিড়ে থাকতে হতো। সম্প্রতি চীনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের কারণে কোয়ারেন্টিনের আগে কুষ্ঠ রোগ, পীতজ্বর বা ইয়েলো ফিভার, কলেরার মতো রোগের বিস্তার ঠেকানোর জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ের ইবোলাও এর একটা উদাহরণ।

কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন এই দুটি বিষয় আমাদের কাছে একই রকম মনে হলেও এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। রোগ ছড়ানোর ভয়ে রোগীকে যখন আলাদা রাখা হয়, সেটা প্রোটেক্টিভ সিকোয়েস্ট্রশন (রিভার্স কোয়ারেন্টিন)। আক্রান্ত রোগীকে আলাদা ব্যবস্থায় রেখে চিকিৎসা করাকে বলে আইসোলেশন।

কত দিন কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে?
এটা নির্ভর করবে ওই রোগের ইনকিবেশন পিরিয়ড বা জীবাণু প্রবেশ থেকে রোগ প্রকাশিত হওয়ার মধ্যবর্তী সময় কত দিন, তার ওপর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ১৪ দিন ধরা হয়েছে।

কোয়ারেন্টিনের প্রতীক
কুইবেক অর্থ ইয়েলো বা হলুদ। হলুদ রঙের পতাকা তাই একসময় কোয়ারেন্টিন বোঝাত। সবুজ, কালো বা হলুদ-কালোর সংমিশ্রণ কোয়ারেন্টিন বোঝাতে সবই ব্যবহার হয়েছে ইতিহাসে। সাম্প্রতিক কালে অবশ্য হলুদ পতাকার অর্থ বোঝায় জাহাজ সংক্রমণমুক্ত এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উপযোগী।

কোয়ারেন্টিনের নীতিমালা
টাইফয়েড মেরির ২৭ বছরের কোয়ারেন্টিনের ঘটনা মানবাধিকারে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রয়েছে। কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে ব্যক্তির কিছু অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। ১৯৮৪ সালের জাতিসংঘ স্বীকৃত সিরাকুসা নীতিমালা অনুসারে কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতাগুলো হলো:

১. যারা থাকবে, তাদের মৌলিক প্রয়োজন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধের সব ব্যবস্থা করতে হবে।
২. প্রিয়জন ও পরিচর্যাকারীর সঙ্গে যোগাযোগের পর্যাপ্ত সুযোগ থাকতে হবে।
৩. কর্মস্থল, চাকরি, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৪. সামাজিক মর্যাদা যা–ই হোক, যোগাযোগ, চলাফেরার সীমাবদ্ধতা সবার জন্য সমান হতে হবে।
৫. কোয়ারেন্টিন সমাজ ও জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় বলে প্রতীয়মান হতে হবে।
৬. একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে (যেমন রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ) এটা করতে হবে।

হোম কোয়ারেন্টিন কী?
হোম কোয়ারেন্টিন মানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি নিজ বাড়িতে স্বেচ্ছায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে থাকবেন এবং এ সময় নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

করোনাভাইরাসের কারণে কারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন?
যেসব দেশে কোভিড-১৯–এর স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেছে, সেসব দেশ থেকে যেসব যাত্রী এসেছেন এবং আসবেন (দেশি-বিদেশি যেকোনো নাগরিক), যাঁরা দেশে শনাক্তকৃত ৩ জন কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন এবং যার অথবা যাঁদের কোনো শারীরিক উপসর্গ নেই, তাঁদের ১৪ দিন স্বেচ্ছা/গৃহ কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।

করোনাভাইরাসের জন্য কীভাবে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন?
হোম কোয়ারেন্টিন মানে শুধু বাড়িতে থাকা নয়। তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধও পালন করতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে।

১. বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকুন।
২. আলো–বাতাসের সুব্যবস্থাসম্পন্ন আলাদা ঘরে থাকুন। সম্ভব না হলে অন্যদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফুট) দূরে থাকুন। রাতে পৃথক বিছানা ব্যবহার করুন।
৩. আলাদা গোসলখানা ও টয়লেট ব্যবহার করুন। সম্ভব না হলে অন্যদের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়—এমন স্থানের সংখ্যা কমান এবং ওই স্থানগুলোতে জানালা খুলে রেখে পর্যাপ্ত আলো–বাতাসের ব্যবস্থা করুন।
৪. স্তন্যদায়ী মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। তবে শিশুর কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন এবং ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।
৫. বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে একই ঘরে অবস্থান করলে, বিশেষ করে ১ মিটারের মধ্যে আসার প্রয়োজন হলে, অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৬. কাশি, সর্দি, বমি ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে ফেলুন এবং নতুন মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্ক ব্যবহারের পর ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলুন এবং সাবান–পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।
৭. সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৮. সাবান-পানি ব্যবহারের পর টিস্যু দিয়ে হাত শুকনো করে ফেলুন। টিস্যু না থাকলে শুধু হাত মোছার জন্য নির্দিষ্ট তোয়ালে/গামছা ব্যবহার করুন এবং ভিজে গেলে বদলে ফেলুন।
৯. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।
১০. কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। হাঁচি–কাশির সময় টিস্যু পেপার/মেডিকেল মাস্ক/কাপড়ের মাস্ক/বাহুর ভাঁজে মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন এবং ওপরের নিয়মানুযায়ী হাত পরিষ্কার করুন।
১১. ব্যক্তিগত ব্যবহার্য সামগ্রী অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করবেন না। আপনার খাওয়ার বাসনপত্র—থালা, গ্লাস, কাপ ইত্যাদি, তোয়ালে, বিছানার চাদর অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করবেন না। এসব জিনিসপত্র ব্যবহারের পর সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।

কখন আপনার কোয়ারেন্টিন শেষ হবে?
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার কোয়ারেন্টিন শেষ হবে। একজন থেকে অন্যজনের কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা আলাদা হতে পারে। তবে সাধারণত এ সময়সীমা ১৪ দিন।

কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে কী কী করা যাবে?
কোয়ারেন্টিনের অবসর সময়কে কাজে লাগান। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), সিডিসি এবং আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে সঠিক তথ্য পাবেন। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ফোন/মোবাইল/ইন্টারনেটের সাহায্যে যোগাযোগ রাখুন। দৈনন্দিন রুটিন, যেমন: খাওয়া, হালকা ব্যায়াম ইত্যাদি মেনে চলুন। সম্ভব হলে বাড়িতে বসে অনলাইনে বা ফোনে অফিসের কাজ করতে থাকুন। বইপড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা অথবা ওপরের নিয়মগুলোর পরিপন্থী নয়, এমন যেকোনো বিনোদনমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন বা ব্যস্ত রাখুন।

পরিবারের সদস্যদের জন্য নির্দেশাবলি
বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি রোগে (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, অ্যাজমা প্রভৃতি) ভুগছেন না, এমন একজন ব্যক্তি পরিচর্যাকারী হিসেবে নিয়োজিত হতে পারেন। তিনি ওই ঘরে বা পাশের ঘরে থাকবেন, অবস্থান বদল করবেন না। কোয়ারেন্টিনে আছেন—এমন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো অতিথিকে দেখা করতে দেবেন না। পরিবারের মানুষ যে কাজগুলো করবেন:

১. কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা তার ঘরে ঢুকলে হাত পরিষ্কার করবেন সাবান–পানি দিয়ে।
২. খাবার তৈরির আগে ও পরে, খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত পরিষ্কার করবেন।
৩. গ্লাভস পরার আগে ও খোলার পরে হাত পরিষ্কার করবেন।
৪. যখনই হাত দেখে নোংরা মনে হবে, তখনই হাত পরিষ্কার করবেন।
৫. খালি হাতে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির ঘরের কোনো কিছু স্পর্শ করবেন না।
৬. কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত বা তাঁর পরিচর্যায় ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, টিস্যু ইত্যাদি অথবা অন্য আবর্জনা ওই রুমে রাখা ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে রাখুন। এসব আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে পুড়িয়ে ফেলুন।
৭. ঘরের মেঝে, আসবাবের সব পৃষ্ঠতল, টয়লেট ও বাথরুম প্রতিদিন অন্তত একবার পরিষ্কার করুন। পরিষ্কারের জন্য ১ লিটার পানির মধ্যে ২০ গ্রাম (২ টেবিল চামচ পরিমাণ) ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করুন ও ওই দ্রবণ দিয়ে সব স্থান ভালোভাবে মুছে ফেলুন। তৈরিকৃত দ্রবণ সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
৮. কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে নিজের কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি গুঁড়া সাবান বা কাপড় কাচা সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে বলুন এবং ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে ফেলুন। নোংরা কাপড় একটি লন্ড্রি ব্যাগে আলাদা রাখুন। মলমূত্র বা নোংরা লাগা কাপড় ঝাঁকাবেন না এবং নিজের শরীর বা কাপড়ে যেন না লাগে, তা খেয়াল রাখবেন।
৯. যদি কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ দেখা দেয় (জ্বর, কাশি, সর্দি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি), তবে দ্রুত আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন।

লেখক: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সাবেক অধ্যাপক, বারডেম হাসপাতাল

Source: Prothomalo

8

করোনার হালনাগাদ তথ্য মাইক্রোসফট বিংয়ের ওয়েবসাইটে
 

করোনাভাইরাসের হালনাগাদ তথ্য দিতে মাইক্রোসফট বিং ওয়েবসাইট চালু করল। গুগলও এখন এ-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে। খবর বার্তা সংস্থা আইএএনএসের।

মাইক্রোসফট বিংয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে করোনাভাইরাস ছড়ানো প্রতিটি দেশের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে। ওই ওয়েবসাইটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার ৭৬১ জন। মারা গেছেন ৬ হাজার ৫১৬ জন।

এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৪। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৬১ জন।

মাইক্রোসফটের বিং গ্রোথ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের মহাব্যবস্থাপক মাইকেল স্কেচার বলেন, বিংয়ের বেশ কয়েকজন কর্মী (বাসায় থেকে) এ সপ্তাহে কাজ করে কোভিড-১৯-সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য এ ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন।

এ ওয়েবসাইটে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ ম্যাপ আছে। সেখানে ক্লিক করে ব্যবহারকারীরা যেকোনো দেশের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত এবং আরোগ্য হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা পেতে পারেন। এ ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) থেকে নেওয়া হচ্ছে।

মাইক্রোসফট বিংয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকতে ভিজিট করুন: https://bing.com/covid

Source: prothomalo

9
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সমর্থনে দুটি উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। একটি হলো ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং ইউএনডিপির সঙ্গে অংশীদারত্বে হোয়াটসঅ্যাপ করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাবের উদ্বোধন এবং আরেকটি হলো পোয়েন্টার ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ককে (আইএফসিএন) ১০ লাখ ডলার অনুদান প্রদান।

হোয়াটসঅ্যাপের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বুধবার হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাব চালু হয়েছে। এখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগকারী স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষাবিদ, কমিউনিটি লিডার, এনজিও, স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ও কার্যকর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাইটটি বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সাধারণ টিপস এবং তথ্য দেবে। এতে গুজব ছড়ানো কমবে বলে মনে করছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।

হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা বিশ্বজুড়ে সরাসরি ব্যবহারের জন্য মেসেজিং হটলাইন সেবা দিতে ইউনিসেফ ও ডব্লিউএইচওর সঙ্গে কাজ করছে। হটলাইনগুলো হোয়াটসঅ্যাপ করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাবে তালিকাভুক্ত করা হবে। এ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ সিঙ্গাপুর, ইসরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে সঠিক তথ্য প্রদান করতে বেশ কয়েকটি জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এনজিওর সঙ্গে কাজ করেছে।

আইএফসিএনকে দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ফ্যাক্টস অ্যালায়েন্সের ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের কাজ করবে। এটি ৪৫টি দেশের ১০০টিরও বেশি স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে এ কাজ চালিয়ে যাবে।

হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট বলেন, ‘বিপর্যয়ের সময় মানুষ আরও বেশি করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। আমরা একটি সহজ রিসোর্স নিয়ে এসেছি, যা তাদের পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে সহায়তা করবে।’

Source: Prothomalo

10
Evening Program (FSIT) / Re: Computer Networking
« on: March 11, 2020, 02:55:18 PM »
Thanks

11
Thanks for reading my post.

12
এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শোতে (সিইএস) ডিজিটাল সহকারী গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের নতুন এক সুবিধা তুলে ধরে গুগল। বলা হয়েছিল, অ্যাপটি কোনো ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ভাষার লেখা পড়ে শোনাতে পারবে। সুবিধাটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল। ক্রমান্বয়ে ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাটি ছাড়া হবে।



সুবিধাটি ব্যবহার করতে ‘হে গুগল, রিড দিস’ বা ‘রিড দিস পেজ’ নির্দেশ দিতে হবে। এরপর গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সেটি পড়া শুরু করবে। পর্দায় তখন পড়তে থাকা লেখাটি দেখাবে। একই সঙ্গে পড়ার গতি কমবেশিও করা যাবে।

গুগল জানিয়েছে, নতুন সুবিধাটি আপাতত ৪২টি ভাষা সমর্থন করবে। এর অর্থ, যেকোনো ওয়েবপেজ ৪২টি ভাষায় অনুবাদ করা যাবে এবং সহকারী এটি জোরেশোরে পড়ে শোনাতে পারবে। যেমন অন্য কোনো কাজ করার সময় আপনাকে হয়তো অনলাইনে খবর পড়ে শোনাতে পারবে এটি। কিংবা রান্নার সময় রন্ধনপ্রণালি বা রেসিপি পড়েও শোনাতে পারবে।

Source: Prothomalo

15
শুরুর ধাক্কা সামলে কঠিন পথ পার করে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমেইল সেবা এখন গুগলের জিমেইল। বিশ্বজুড়ে দেড়শ’ কোটির বেশি সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে জিমেইলের।
ছোট একটি পরীক্ষা থেকে শুরু করে এখন গুগলের জি সুইটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জিমেইল। সাফল্যের এই পর্যায়ে আসতে কঠিন সময়ও পার করতে হয়েছে সেবাটিকে, শুরুর ধাক্কা তো ছিলোই। জিমেইলের সেই দীর্ঘ পথ পেরোনোর গল্প সম্প্রতি বলেছে সিএনবিসি।



১৯৯৯ সালে জিমেইলে নিয়ে কাজ শুরু করে গুগল। সে সময় ইয়াহু মেইলের সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ছিল এক কোটি ২০ লাখ এবং মাইক্রোসফটের হটমেইলের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় তিন কোটি।

গুগলের ২৩তম কর্মী পল বুখেইট তখন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ইমেইল সেবা নিয়ে লড়েছেন। কিন্তু অনেক নির্বাহী কর্মকর্তাই এতে আস্থা রাখতে পারেননি। তারা বুঝতে পারছিলেন না একটি সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান কীভাবে ইমেইল সেবা থেকে লাভবান হতে পারে। সে সময় অনেক নির্বাহী কর্মকর্তাই এই প্রকল্প থেকে সরে এসেছেন বলে বেশ কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘২০ শতাংশ’ প্রকল্প হিসেবে সেবাটি বানিয়েছিলেন বুখেইট। কিছু কিছু সময় কর্মীদের নিজের বাছাই করা প্রকল্প নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয় গুগল। প্রতিষ্ঠানের এই অনানুষ্ঠানিক প্রকল্পগুলোকেই বলা হয় ‘২০ শতাংশ’ প্রকল্প।

গুগল যখন জিমেইল উন্মোচন করে তখন গ্রাহক এটিকে আসলে কৌতুক হিসেবেই নিয়েছিল। এর পেছনে কারণও ছিলো। ২০০৪ সালের এপ্রিল ফুল’স ডে-তে উন্মোচন করা হয় সেবাটি। ফলে গ্রাহক মনে করেন গুগল তাদেরকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে।

গ্রাহক যখন বুঝতে পারেন গুগল আসলেই সেবাটি উন্মোচন করেছে তখন বিনামূল্যের ইমেইল সেবাগুলোর তালিকায় গ্রাহকের পছন্দের তালিকায় আসতে শুরু করে জিমেইলও।

নব্বইয়ের দশকে প্রথম ওয়েবভিত্তিক ইমেইল সেবা ছিল মাইক্রোসফটের হটমেইল এবং ইয়াহু মেইল।

জিমেইল চালুর পর এই সেবাটি থেকে আয়ের পথ বের করাটা তখন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করে। কিছু ব্যক্তি তখন বলেছেন জিমেইলের পরিধি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে গ্রাহকের কাছ থেকে নিবন্ধন ফি না নিয়ে এতে বিজ্ঞাপন সমর্থন আনতে হবে।

জিমেইলে বিজ্ঞাপনের মডেল আনার প্রস্তাব পাশ হলেও ২০০৭ সালে সাধারণ জনগণের জন্য সেবাটি উন্মুক্ত করার আগেই বাধার মুখে পড়ে এটি। ইমেইল স্ক্যান করে এর কনটেন্ট ব্যবহার করে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন দেখানোর কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে গুগল।

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে বিজ্ঞাপন টার্গেট করতে জিমেইল অ্যাকাউন্ট স্ক্যান করে অ্যাপ ডেভেলপাররা। এরপর আবারও সমালোচনার মুখে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৯ সালেও সমালোচনা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে। গ্রাহকের গোপনতা বিষয়ে গুগলসহ অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে তোপের মুখে রাখে কংগ্রেস। গ্রীষ্মে গুগল স্বীকার করে যে, গ্রাহক জিমেইল ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে তার তালিকা রাখে প্রতিষ্ঠানটি।

২০১২ সাল পর্যন্তও অন্যান্য প্রতিযোগিদের চেয়ে খুব বেশি ভালো করতে পারেনি জিমেইল। কিন্তু নিজেদের উদ্ভাবন চালিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভোক্তা এবং এন্টারপ্রাইজ দুই ধরনের গ্রাহককেই লক্ষ্য বানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন নতুন ফিচার এনে এখন শীর্ষ অবস্থান করছে গুগলের জিমেইল।

Source: Bdnews24

Pages: [1] 2 3 4