Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - sisyphus

Pages: 1 ... 23 24 [25] 26 27 28
361
লেখকঃ শওকত হোসেন মাসুম

বিশ্ব অর্থনীতি এখন যথেষ্ট গোলমেলে অবস্থায় আছে। একদিন হয়তো শেয়ারবাজারে ধস নামল, পরদিনই জ্বালানি তেলের দাম নেমে গেল ৪০ ডলারের নিচে। আরেক দিন হয়তো সোনার দাম কমে নতুন রেকর্ড তৈরি করে ফেলল। আবার দেখা গেল, বিশ্বের বড় বড় মুদ্রার মূল্যমান হারিয়ে যা-তা অবস্থা। বিশ্ব অর্থনীতির এই ওঠানামার সঙ্গে তাল মেলানোই মুশকিল। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর নীতিনির্ধারকদের অবস্থা তো আরও খারাপ। মন্দা ঠেকাতেই তারা ব্যস্ত। ইউরোপের অর্থনীতি অনেক দিন ধরেই মন্দায়। সাম্প্রতিক গ্রিস-সংকট ইউরোপের অর্থনীতির দুর্বলতাকে আরও প্রকট করেছে। তবে গ্রিস সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে ততটা ধাক্কা দিতে পারেনি, যতটা পেরেছে এশিয়ার দেশ চীন। চীনের চাহিদা ও জোগানের ওপর এখন নির্ভর করছে বিশ্ব অর্থনীতির ওঠানামা। সোনার দাম কেন কমল? কারণ, চীনের চাহিদা কমেছে, তারা সোনা কেনা কমিয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, বিশ্বের সব ধরনের ধাতব পণ্যের দাম ৭ শতাংশ কমে গেছে, কারণ চীনের চাহিদা কম। জ্বালানি তেলের দাম কমার পেছনেও চীনের গতি-মন্দা খানিকটা দায়ী। সুতরাং বলা যায়, বিশ্ব অর্থনীতির সব পথ গিয়ে মিশেছে চীনে। যা কিছু হারায় কেষ্টা বেটাই চোর-এর মতো বিশ্ব অর্থনীতির চোর এখন ‘কেষ্টা’ চীন।

বাংলাদেশের অর্থনীতির ঘোষিত নীতি হচ্ছে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে রপ্তানিনির্ভর। আসলে এই নীতির সবচেয়ে সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছে চীন। আলপিন থেকে শুরু করে হেন কিছু নেই, যা চীন রপ্তানি করে না। বিশ্বের এক নম্বর রপ্তানিকারক দেশ এখন চীন। বিশ্বের মোট রপ্তানির ১৩ দশমিক ৭ শতাংশই চীনের। আবার বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ শতাংশ আসে চীন থেকে। সুতরাং এ রকম একটি দেশের যেকোনো ধরনের সংকট যে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে, সেটা বলাই বাহুল্য।
রপ্তানিনির্ভর চীনের প্রবৃদ্ধি কতখানি টেকসই, এ নিয়ে প্রশ্ন আগে থেকেই ছিল। কমছিল দেশটির রপ্তানি। কেবল জুলাই মাসেই কমেছে ৮ শতাংশ। রপ্তানির এই পতন ঠেকাতে অনেকটা আকস্মিকভাবেই বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি চীন আগস্টে পরপর দুই দিন তাদের মুদ্রা ইউয়ানের অবমূল্যায়ন ঘটায়। এর মধ্যে ১১ আগস্ট অবমূল্যায়ন করা হয় ১ দশমিক ৯ শতাংশ, পরের দিন আরও ১ শতাংশ। চীনের মুদ্রা পুরোপুরি ভাসমান বা ফ্লোটিং নয়। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ব অর্থনীতির সুবাতাস বইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপরে। তারাই এখনো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তির দেশ। ফলে ডলারও এখন তেজি। ডলার হয়তো এখন আরও তেজি হবে। ফলে প্রায় প্রতিটি দেশকেই ডলারের মূল্যমানের সঙ্গে নিজেদের মুদ্রার মানকে বিবেচনায় রাখতে হবে।

ইউয়ানের অবমূল্যায়নের কারণে চীনা রপ্তানিযোগ্য পণ্য আরেকটু সস্তা হবে। দেশটির আশা, এর ফলে রপ্তানিও বাড়বে। বিশ্বের অনেক দেশকেই চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে রপ্তানি-বাণিজ্যে টিকে থাকতে হয়। অবমূল্যায়নের ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এখন অন্য দেশগুলোকেও অনুসরণ করতে হবে চীনকে, তা করেছেও।
কিন্তু অবমূল্যায়নের রেশ না কাটতেই আরও বড় ধাক্কা লাগল বিশ্ব পুঁজিবাজারে। ২৪ আগস্ট, সোমবার বড় ধস নামে চীনের শেয়ারবাজারে। ২০০৭ সালের পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় পতন। চীন সরকারের মুখপত্র দ্য পিপলস ডেইলি এটিকে বলছে আরেক ‘ব্ল্যাক মানডে’। ১৯৮৭ সালের ১৯ অক্টোবরও ছিল সোমবার। ওই দিনের বিশ্ব পুঁজিবাজারের ধসকে এত দিন বলা হতো ‘ব্ল্যাক মানডে’। নতুন কালো সোমবারের রেশ এখনো কাটেনি। এর প্রভাবে সারা বিশ্বে পুঁজিবাজারের নিত্য ওঠানামা লেগেই আছে। কবে তা থামবে, পরিষ্কার করে কেউ বলতে পারছে না।

পুঁজিবাজারের ওই ধস নতুন করে ধাক্কা দিয়েছে মুদ্রাবাজারকে। জ্বালানি তেলের দামও কমে হয়ে গেছে সাড়ে ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, ২২ ধরনের পণ্য নিয়ে যে পণ্যসূচক ব্লুমবার্গ করে, সেটিও এখন ১৯৯৯ সালের পর সর্বনিম্ন। সোনার দাম আরেক দফা কমেছে। কেবল লাভে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি যেসব সরকারি বন্ড বাজারে ছেড়েছে সেগুলো। সামগ্রিকভাবে ১১ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ব পুঁজিবাজার থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ স্রেফ বাতাসে হাওয়া হয়ে গেছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এর শেষ কোথায়? বিশ্ব অর্থনীতি কি আবার একটি দীর্ঘস্থায়ী মন্দার দিকে যাচ্ছে? অনেক কিছুই নির্ভর করছে বড় বড় অর্থনীতির নীতিনির্ধারকদের ওপর। তবে অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকেরা কিন্তু আশাবাদী। তাঁরা মনে করেন, অর্থনীতি মন্দার দিকে যাবে না। কারণ, চীনের স্টক মার্কেট সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমলেও এটাও মনে রাখতে হবে যে গত এক বছরে এটি বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। সুতরাং বাজার সংশোধনের একটি সুযোগ ছিলই। আবার শেয়ার বা বন্ডের মতো কাগজের তুলনায় চীনা বিনিয়োগ বেশি সম্পদের বাজারে, যা এখনো স্থিতিশীল। এর আগে এশিয়ায় সংকট দেখা দিয়েছিল ১৯৯৭ সালে। প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ইকোনমিস্ট-এর বিশ্লেষণ হচ্ছে, সে সময়ের তুলনায় দেশগুলোর সরকারেরা এখনো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছে। দেশগুলোর মুদ্রার মজুত অনেক ভালো, বিনিময় ব্যবস্থাও আগের চেয়ে অনেক বেশি ভাসমান। ব্যাংকিং খাতও ভালো অবস্থায় আছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এখন খুবই কম। ফলে বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির গোলমেলে অবস্থা হয়তো বেশি দিন আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

এ রকম একটি আশাবাদ দিয়ে লেখাটা এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু তারপরেও কথা বাকি থেকে গেল। কারণ, সবার চোখ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বা দ্য ফেড-এর দিকে। ২০০৬ সালের পর এই প্রথম তারা সুদহার বাড়ানোর কথা বলছে। চলতি মাসেই তা করা হবে। সর্বশেষ তারা সুদহার বাড়িয়েছিল ২০০৬ সালের জুনে, ২৫ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরপর ২০০৮ সালের পর তা কমতে কমতে শূন্য থেকে দশমিক ২৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়। মনে করা হচ্ছে, ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে আরও দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে, টালমাটাল এই বিশ্ব অর্থনীতিতে ফেড অজনপ্রিয় এই কাজটি কেন করতে যাচ্ছে। তারা মূলত দুটি লক্ষ্য সামনে রেখে মুদ্রানীতি পরিচালনা করে। একটি হচ্ছে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান, অন্যটি স্থিতিশীল মূল্যস্তর। সাধারণত অর্থনীতি যখন দুর্বল থাকে, তখন মূল্যস্ফীতিও কমতে থাকে। আবার অর্থনীতি যখন সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানের দিকে যায়, তখন মজুরি বাড়ানোর চাপ তৈরি হয় এবং এতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। অর্থনীতি খুব দ্রুতগতিতে আগাতে থাকলে ফেড তার বেঞ্চমার্ক সুদহার বাড়িয়ে দেয়। তাতে মানুষ খরচ কমিয়ে দেয় এবং সঞ্চয় বেশি করে। এর ফলে অর্থনীতি একটু শ্লথ হয় এবং মূল্যস্ফীতির চাপ কমে যায়। আবার অর্থনীতি বেশি শ্লথ হয়ে গেলে ফেড তখন সুদহার কমিয়ে দেয়। যেমন ২০০৮ সালের মন্দার পর কমাতে কমাতে প্রায় শূন্য হারে নিয়ে আসা হয়েছিল।

দ্য ফেড মনে করছে, সময় হয়েছে সুদহার বাড়ানোর। মূল্যস্ফীতি যদিও এখন কম। তেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কম থাকায় হয়তো চাপটি কমই থাকবে। তবে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি যথেষ্ট চাঙা। ইকোনমিস্ট বলছে, গত ১২ মাসে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ফেড মনে করছে, এখন সুদহার কম থাকায় মানুষ হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে, যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। সুতরাং যেহেতু এখন মূল্যস্ফীতির চাপ কম, সুতরাং সুদহার অল্প বাড়ালেও তাতে বড় সমস্যা হবে না। এই যে ফেড এখন অর্থনীতি কিছুটা টেনে ধরতে চাইছে, তাতে কিন্তু বাকি বিশ্ব শঙ্কিত। এতে উঠতি অর্থনীতির দেশগুলোর সমস্যা বাড়তে পারে। এতে পুঁজিপ্রবাহ কমে যাবে। ডলারের দাম এতে আরও বাড়বে, কমতে পারে পণ্যের দামও। সুতরাং চীনের হঠাৎ অবমূল্যায়নের হাত ধরে বিশ্ব অর্থনীতির যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি, এখন দেখা যাক ফেডের সুদহার বৃদ্ধি তাকে কোথায় নিয়ে যাবে।


362
সুইজারল্যান্ডে দাভোস নামে সুন্দর একটা শহর আছে। সেখানে প্রতিবছর অনেক বড় একটা সম্মেলন হয়। নাম হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠক। অর্থনীতি ও আর ব্যবসা-বাণিজ্য জগতের বাইরে বিশ্বের বড় বড় নীতিনির্ধারকেরা সেখানে ভিড় করেন। সাংবাদিক হিসেবে সেখানে যাই ২০০৮ সালে। অভিজ্ঞতাটি বলি। মাত্রই সম্মেলন কেন্দ্রে পৌঁছেছি, ঢুকেই দেখি দাঁড়িয়ে চেরি ব্লেয়ার, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী। তখন তো আর সেলফি ছিল না, তাই রীতিমতো আয়োজন করে অন্যকে দিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ দেখি বার্তা সংস্থা ইউএনবির শামীম আহমেদ ছবি তোলা বাদ দিয়ে উল্টো দিকে যাচ্ছেন। তাকিয়ে দেখলাম লিফটের সামনে হেনরি কিসিঞ্জার। বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম আলোচিত ও বিতর্কিত চরিত্র। অনেকেই হয়তো জানবে হেনরি কিসিঞ্জারকে। এই মানুষটি এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো আরও অনেকেই ছিলেন, কিন্তু হেনরি কিসিঞ্জার নিয়ে এত আলোচনা বা বিতর্ক কেনো? সেটি লিখতে গেলে পুরো একটা বই লিখতে হবে। অবশ্য এ কাজটি করাও হয়েছে। আমি বরং আবার দাভোসেই ফিরে যাই।

লিফটে ওঠার আগেই শামীম ভাই কিন্তু হেনরি কিসিঞ্জারের সঙ্গে সেদিন কথা বলতে পেরেছিলেন। হেনরি কিসিঞ্জারকে তিনি প্রশ্ন করলেন, ‘বাংলাদেশকে মনে আছে তো? সেই যে আপনি বাস্কেট কেস বলেছিলেন।’ প্রশ্নটি শুনে বেশ গম্ভীর হয়ে কিসিঞ্জার উত্তর দিয়েছিলেন, ‘বিশেষ এক সময়ের পরিস্থিতিতে এ কথা বলেছিলাম। এখন আর সে বিষয়ে কোনো বলতে চাই না।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ইতিহাসের সঙ্গে এই হেনরি কিসিঞ্জারের নামটি বেশ ভালোভাবেই জড়িয়ে আছে। তবে তা মোটেই কোনো সুখস্মৃতি নয়। এই মানুষটি বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি যা প্রচারিত তা হচ্ছে, হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন। এর অর্থ হচ্ছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এমন একটি দেশ, যে দেশকে যাই দেওয়া হোক না কেনো তা থাকবে না। কোনো ঝুড়ির তলা না থাকলে যা হয় আর কি। সেই ঝুড়িতে কোনো কিছুই রাখা যায় না, রাখলেই তলা দিয়ে পরে যায়। বিদেশি সাহায্য দেওয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে এ কথাটি বলা হতো বাংলাদেশকে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে যতই সাহায্য দেওয়া হবে, তা কোনো কাজে আসবে না। তারপরেও সাহায্য দিয়ে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

সব দোষ হেনরি কিসিঞ্জারের ওপর চাপালেও কথাটি কিন্তু প্রথমে তিনি বলেননি। তারপরেও তাঁর সঙ্গেই কথাটি চালু হয়ে যায়। আর তিনিও সম্ভবত বাংলাদেশকে ‘বাস্কেট কেস’ বলতে পছন্দ করতেন। যদিও ‘বাস্কেট কেস কথাটির অর্থ কিন্তু অন্য। আগেই এর ব্যবহার ছিল। ‘বাস্কেট কেস’ শব্দ দুটি প্রথম ব্যবহার হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। আহত যে সৈনিকের পা কাটা গিয়েছিল, ছিল না হাত, অপরের কাঁধে ছাড়া চলার শক্তি ছিল না, তাদের বলা হতো বাস্কেট কেস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আবার তা ব্যবহার হয়। তারও পরে আহত সৈন্য বাদ দিয়ে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বলা শুরু হলো। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল সেটা বলি। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। বোঝা যাচ্ছিল স্বাধীন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়াশিংটনে দক্ষিণ এশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জারের সভাপতিত্বে সেই দিন বসল ওয়াশিংটন স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের সভা। সেখানে আলোচনা হচ্ছিল বাংলাদেশ নিয়ে। বলা হলো পরের মার্চেই বাংলাদেশে বড় ধরনের খাদ্য সংকট হবে, দুর্ভিক্ষও হবে। শেষ তিনটি কথা এ রকম-
মরিস জে. উইলিয়ামস (ইউএসআইডির উপ-প্রশাসক) : মার্চের মধ্যে বাংলাদেশের সব ধরনের সহায়তা লাগবে উরাল এলেক্সিস জনসন (আন্ডার-সেক্রেটারি অব স্টেট) : তারা হবে একটি আন্তর্জাতিক বাস্কেট কেস হেনরি কিসিঞ্জার: কিন্তু অবশ্যই আমাদের বাস্কেট কেস না।

ওই বৈঠক থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে তলাবিহীন ঝুড়ির কথাটি জুড়ে দেওয়া হয়। অনেক বছর বাংলাদেশ সে রকমই ছিল। কারণ দেশটির আয় ছিল কম, খরচ ছিল বেশি। ফলে নির্ভর করে থাকতে হতো বিদেশি সাহায্যের ওপর। যত দিন গেছে পরিস্থিতি ততই খারাপ হয়েছে। একটা সময়ে তো প্রায় পুরো উন্নয়ন বাজেটের বড় অংশই এসেছে বৈদেশিক ঋণ থেকে। সময়টা ছিল এরশাদের আমল। অধ্যাপক রেহমান সোবহান একজন খুব বড় অর্থনীতিবিদ। ১৯৮২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আজ চরম অনিশ্চয়তার সম্মুখীন। তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দুর্যোগের মুখোমুখি। মনে হয়, সমাজ যেন আজ ঋণের টাকায় এবং ধার করা সময়ের ওপর বেঁচে আছে।’ এটাও ঠিক যে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। আবার আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সংকটও ছিল প্রকট। যেমন, ১৯৭২ ও ৭৩ সালে খরা এবং ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে বড় বন্যা হয়। এর মাঝে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের জ্বালানি তেলের দাম দ্রুতগতিতে বেড়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল পাট। কিন্তু সিনথেটিক পণ্যের প্রসার বাড়লে পাট রপ্তানিও ধাক্কা খায়। এসব কারণে সাহায্য নির্ভর হয়েই থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ১০ বছর আগেও বাংলাদেশকে সাহায্য দেওয়ার জন্য প্যারিসে দাতাদের বিশেষ বৈঠক হতো। সেখানে বাংলাদেশকে হাত পাততে হতো, আর দাতারা ঘোষণা দিত কে কত অর্থ দেবে। কোন সরকার কতখানি সফল তা মাপা হতো বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার পরিমাণের ওপর।

তবে শেষ বিচারে হেনরি কিসিঞ্জার কিন্তু ভুল প্রমাণিত হয়েছেন। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ তলাবিহীন ঝুড়ি বলে না। আমরা এখন আর মোটেই সাহায্যনির্ভর দেশ নই। আমরা এখন বাণিজ্য নির্ভর। আমরা সাহায্য চাই না, বাণিজ্য করতে চাই। এই বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বারবার বলেন, অনেক সামাজিক সুচকে ভারত থেকেও এগিয়ে থাকার কথা। এখন আর প্যারিস বৈঠক হয় না। বরং বাংলাদেশই এখন সাহায্য নেওয়া না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। পরিস্থিতি কিন্তু পাল্টেছে ৯০ এর পর। এরপর থেকে অর্থনীতি অনেক সংহত হয়েছে। এই বাংলাদেশে এখন গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। আমরা এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ। আপাতত লক্ষ্য আরেক ধাপ উঠে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া। বাংলাদেশকে নিয়ে এখন বিদেশি গণমাধ্যমে লেখা হয়, ‘‘বাংলাদেশ, ‘বাস্কেট কেস’ নো মোর।’ ’

মূল লেখকঃ শওকত হোসেন মাসুম (কৃতজ্ঞতা)

363
Faculty Sections / Five of my favorite Kahlil Gibran's quotes
« on: November 23, 2015, 11:35:47 AM »
- Every man loves two women;the one is the creation of his imagination and the other is not yet born.

- Generosity is giving more than you can, and pride is taking less than you need.

- Say not, 'I have found the truth,' but rather, 'I have found a truth.'

- To understand the heart and mind of a person, look not at what he has already achieved, but at what he aspires to do.

- Out of suffering have emerged the strongest souls; the most massive characters are seared with scars.

364
I would like to share one of my favorite poems written by Kahlil Gibran in this regard..hope you will like it -

Quote
Your children are not your children.
They are the sons and daughters of Life's longing for itself.
They come through you but not from you,
And though they are with you yet they belong not to you.

You may give them your love but not your thoughts,
For they have their own thoughts.
You may house their bodies but not their souls,
For their souls dwell in the house of tomorrow,
which you cannot visit, not even in your dreams.
You may strive to be like them,
but seek not to make them like you.
For life goes not backward nor tarries with yesterday.

You are the bows from which your children
as living arrows are sent forth.
The archer sees the mark upon the path of the infinite,
and He bends you with His might
that His arrows may go swift and far.
Let your bending in the archer's hand be for gladness;
For even as He loves the arrow that flies,
so He loves also the bow that is stable.

365
অনেক কিছু শিখতে পারলাম। খাদ্যবিষয়ক সব কুসংস্কার দূর হোক এই কামনায়...

366
অচিরেই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হবে । ‘তথ্য-প্রযুক্তিতে শিক্ষা নয়, বরং শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তি’- এই স্লোগান সামনে রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণি কার্যক্রম আরও আকর্ষণীয়, আনন্দময় ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ‘মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম’ স্থাপন করা হয়। একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের কারিগরি সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের ২৩ হাজার ৩৩১টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪ হাজার ৫০০টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করেছে। পাশাপাশি প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষক প্রশিক্ষকগণকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ডিজিটাল কনটেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
 
শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের উপযোগী  কনটেন্ট তৈরি করে ক্লাসে ব্যবহার করছেন। শিক্ষকদের তৈরি কনটেন্টগুলো ডিজিটাল কনটেন্ট, ভিডিও, অ্যানিমেশন  ‘শিক্ষক বাতায়ন’ (teachers.gov.bd) নামের শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করা হয় এবং একজন শিক্ষকের কনটেন্ট অন্য শিক্ষকরা সহজেই সংগ্রহ ও ব্যবহার করছেন। শিক্ষক বাতায়নে ৬০ হাজারেরও বেশি সদস্য শিক্ষক এবং ৪০ হাজারের বেশি ডিজিটাল কনটেন্ট রয়েছে। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম অনলাইনে ম্যানেজমেন্ট, মনিটরিং ও মেনটরিং করার জন্য ‘মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে একটি অনলাইন ড্যাশবোর্ড (mmc.e-service.gov.bd) তৈরি করা হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ বাংলানিউজ২৪

367
Departments / একটি নিরিহ কৌতুক
« on: November 23, 2015, 11:24:33 AM »
বাইরে থেকে দরজা নক করছে...

ভেতর থেকে : কে?
বাইরে থেকে : আমি।
ভেতর থেকে : আমি কে?
বাইরে থেকে : আরে আপনি কে, আমি কী করে বলব?

 :o

368
বাজারের প্যাকেট সুপের চাইতে শতগুণে ভালো। ধন্যবাদ চমৎকার এই রেসিপিটার জন্য

369
আমি এতদিন জানতাম বিস্কুট ময়দা ছাড়া হয়না, আটা দিয়েও যে বানানো যায় এটা আনন্দদায়ক

370
৭ম উপায় - কোন লেখা ছাড়া শুধু ইউআরএল লিঙ্ক পোস্ট করে ফোরামে সময় বাঁচানো! হাহাহা  :P

371
Humanities & Social Science / Re: Difference between Morality and Ethics
« on: November 23, 2015, 11:16:44 AM »
Nevertheless of their epistemological differences, I must agree both of them are equally significant for a beautiful life

372
English / Re: Body language reveals your inner self
« on: November 23, 2015, 11:13:57 AM »
I have read some books on body language..cant agree more!

373
English / Re: Who was Hello?
« on: November 23, 2015, 11:12:31 AM »
I never even asked this question! Thanks heaps for sharing such an interesting fact

374
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ধরনের ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্ট এর মধ্যে তুলনা করে নিজের পছন্দের সবচেয়ে ভালো প্রোডাক্টটি বেছে নিতে সাহায্য করাই স্মার্ট কম্পেয়ারের প্রধান উদ্দেশ্য।

স্মার্ট কম্পেয়ার ডট কম বাংলাদেশের একটি গ্রাহক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি খুব দ্রুত এর কাজের ক্ষেত্রে প্রসার বিস্তার করেছে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ধরনের ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্ট এর মধ্যে তুলনা করে নিজের পছন্দের সবচেয়ে ভালো প্রোডাক্টটি বেছে নিতে সাহায্য করাই এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য।
প্রথমদিকে তাদের ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়া ‘ব্যক্তিগত ঋণ’ সুবিধা-এর মধ্যে তুলনা করার ব্যবস্থা ছিল; গ্রাহকরা এর মাধ্যমে নিজের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত ঋণ-এর সুবিধা বেছে নিতে পারতেন। গত ১৩ই নভেম্বর থেকে গ্রাহকদের জন্য হোম লোন সুবিধাগুলোর মধ্যে তুলনা করার সেবাটি নিয়ে এসেছে স্মার্ট কম্পেয়ার ডট কম।

এ বিষয়ে স্মার্ট কম্পেয়ার ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা রন মাহবুব বলেন, “ব্যক্তিগত ঋণ সুবিধার মধ্যে তুলনা করার ক্যালকুলেটর ব্যবহারের পরে, আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক আগ্রহী গ্রাহক ছিলেন যারা আমাদেরকে নিয়মিতই অনুরোধ করে আসছিলেন হোম লোন এর তুলনা সংক্রান্ত একটি ক্যালকুলেটর দিয়ে তাদের সাহায্য করতে। আমরা এমনকী অনেক গ্রাহককে ব্যক্তিগতভাবে সাহায্যও করেছি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়ে সবচেয়ে ভালো ঋণ সুবিধা বেছে নিতে। এখন এই নতুন ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকেরা খুব সহজেই বাজারের সহজলভ্য হোম লোন সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন, এদের মধ্যে তুলনা করতে পারবেন এবং নিজের জন্য সঠিক সুবিধাটি বেছে নিতে পারবেন”। গ্রাহকরা এখন থেকেই স্মার্ট কম্পেয়ারের ওয়েবসাইট থেকে ক্যালকুলেটরটি ব্যবহার করতে পারেন। বিস্তারিত জানা যাবে এই ওয়েব ঠিকানা থেকে- http://www.smartkompare.com/home-loans


তথসূত্র : http://tech.priyo.com/news/2015/11/18/30046-%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0#sthash.wGmQG1z1.dpuf

375
এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের লাইট এডিশন এপটি ব্যবহার করতে পারেন। আমি ঐটা ব্যবহার করি

Pages: 1 ... 23 24 [25] 26 27 28