Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - 710001658

Pages: [1] 2 3 4
1
পেটে গ্যাস, বমি ভাব, পেট ফুলে ওঠে বা চিনচিন করে ব্যথা করে—এমন সমস্যা হলেই মুঠো মুঠো গ্যাস্ট্রিকের বড়ি খান, অথবা অ্যাসিডিটির সিরাপ খান। তাতে খানিকটা আরাম মেলে অবশ্য, কিন্তু সমস্যা থেকেই যায়। আপনি হয়তো জানেন না, পেটে একধরনের জীবাণু সংক্রমণ এর জন্য দায়ী হতে পারে। হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের এই জীবাণু পাকস্থলী এবং পাকস্থলীর পূর্ববর্তী অংশ ডিওডেনামে বাসা বাঁধে, দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ সৃষ্টি করে, যাকে বলে গ্যাস্ট্রাইটিস। কখনো কখনো পাকস্থলীতে ক্ষত বা আলসার সৃষ্টি করে। পেপটিক আলসার ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য এই জীবাণুর একটি বিশেষ ভূমিকা আছে। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর জনসংখ্যার অর্ধেকই এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত।

পেট ফাঁপা, অরুচি, পেটব্যথা, বমি ভাব, গলা জ্বলা ইত্যাদি সাধারণ উপসর্গ ছাড়াও হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি সংক্রমণের জন্য পাকস্থলীতে ক্ষত হয়ে বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত, রক্তশূন্যতা ইত্যাদিও হতে পারে। জীবাণুর অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য রক্তে অ্যান্টিবডি দেখা হয়, নিশ্বাসের ইউরিয়া ব্রেথ টেস্ট করা হয়, কখনো এনডোস্কোপি করে টিস্যু নিয়ে তাতে জীবাণু পাওয়া যায়। কয়েক ধরনের ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকের মিশেল বেশ কিছুদিন ব্যবহার করার পর জীবাণু নির্মূল হয়, তবে আবারও হতে পারে। এই জীবাণু দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিকের বিপরীতে রেসিসট্যান্স তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে। ফলে নির্মূল করা কঠিন। এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কোনো টিকা কার্যকর নয়। তাই সতর্কতাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা।

ওমিপ্রাজল-জাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বছরের পর বছর খাওয়া বিপজ্জনক। এতে পাকস্থলীর পিএইচ পরিবর্তিত হয়ে যায়, ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা লেগেই থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

খাবার প্রস্তুত, পরিবেশন ও খাওয়ার সময় স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখুন। হাত ধোয়ার গুরুত্ব শিখুন। জীবাণুটি সাধারণত পানিবাহিত।

ধূমপান বর্জন করুন। কফি না খাওয়াই ভালো। চট করে ব্যথার ওষুধ খাবেন না। এগুলো পেপটিক আলসারের সমস্যা বাড়ায়।

গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ উপসর্গ পাকস্থলীর ক্যানসারেরও উপসর্গ। তাই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই ভালো।

2


প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তবে স্মার্টফোনের অন্যতম একটি সমস্যা হলো- ব্যবহারের মাঝখানে খুবই গরম হয়ে যায়। স্মার্টফোন গরম হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। তবে অতিরিক্ত গরম বিপদের কারণ হতে পারে। তাই আমাদের স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম হবার কারণ এবং সমাধান জানা দরকার।

কি পরিমান গরম হওয়া স্বাভাবিক:
আপনার ফোন কম দামি বলে বেশি গরম হয়, তা ঠিক নয়। স্বাভাবিকভাবে স্মার্টফোন ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হতে পারে। তবে স্ট্যান্ড বাই মোডেও যদি ফোনটি ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হয় তবে বুঝবেন আপনর ফোনে সমস্যা আছে।

ব্যাটারি:
মোবাইল কম্পানিগুলো বর্তমানে স্মার্টফোন দিন দিন পাতলা করছে। তবে তার তুলনায় ব্যাটারির প্রযুক্তি তেমন উন্নত হয়নি। ব্যাটারি যত বেশি দুর্বল হবে ফোন তত বেশি তাপ উৎপন্ন  করবে। ব্যাটারি চার্জ নেওয়ার সময় অথবা ডিচার্জ হওয়ার সময়েও ফোন বেশি গরম হয়ে থাকে।

প্রসেসর:
স্মার্টফোন গরম হওয়ার একটি করণ হচ্ছে প্রসেসর গরম হওয়া। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন স্মার্টফোনের মূল অঙ্গ হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর এমন একটি ডিভাইস যা সবসময় কাজ করে থাকে। আপনি ফোন ব্যবহার করেন আর নাই করেন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রন দিয়ে প্রসেসর তৈরী হয়ে থাকে। প্রসেসর স্মার্টফোনের বডির সাথে লাগানো থাকে যার ফলে তাপ অনুভব হয়।

দুর্বল নেটওয়ার্ক:
ফোন গরম হওয়ার আরেকটি করণ হচ্ছে দুর্বল নেটওয়ার্ক। আপনার ফোনে যদি নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকে তখন সিগনাল যায় আর আসে। আবার ওয়াইফাই ব্যবহারে সিগন্যালের জন্য অনেক বেগ পেতে হয়। দুর্বল নেটওয়ার্কের জন্য ফোনে বেশি চাপ পরে, যার ফলে স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে থাকে।

স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম থেকে মুক্তির উপায়:
সবসময় খেয়াল রাখবেন যে ফোনে যেন চার্জ থাকে।  একসাথে বেশি অ্যাপস চালু করে রাখবেন না। ফোনের অতিরিক্ত অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি জায়গা নিয়ে নিচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখুন। স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার করলে বা ফোনে অতিরিক্ত গেমস খেললে গরম হয় এটা একেবারেই ঠিক নয়।

র‌্যাম ও ক্যাশ মেমোরি সবসময় পরিস্কার রাখুন।  অপ্রয়োজনীয় ম্যাসেজ ডিলিট করুন। ফোনে কোন অ্যানিমিশন চালু থাকলে বন্ধ করুন। ফোনে এমন কভার ব্যবহার করুন যেন কভারটি চামরার হয়। বাহিরের তাপে যেন ফোন গরম না হয়ে যায় সেই দিকে খেয়াল রাখুন।

সবসময় ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। পাশাপাশি, সবসময় ডেটা চালু করে রাখা উচিত নয়।


3


ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে কুরবানির পশুর মাংস প্রক্রিয়াকরণে অনলাইনেই পেশাজীবী কসাই খুঁজে পাওয়া যাবে। এই সুযোগটি এনে দিয়েছে ইন্টারনেট ভিত্তিক সার্ভিস প্লাটফর্ম সেবা ডট এক্সওয়াইজেড।
 
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুরবানির পশুর দাম অনুযায়ী নির্ধারিত হবে কসাই। এক্ষেত্রে গ্রাহকের পশুর দামের উপর প্রতি হাজারে তিনশত টাকা করে সেবামাশুল প্রদান করতে হবে। তবে এই সেবাটি পাওয়া যাবে ঢাকার মধ্যে।
 
সেবা ডটএক্সওয়াইজেড-এর প্রধান নির্বাহী আদনান ইমতিয়াজ হালিম বলেন, শহর কেন্দ্রিক জীবন যাত্রায় অনেকেই পশু কুরবানির সময়ে মাংস প্রক্রিয়াকরণে দক্ষ কসাই খুঁজে পান না। তাদের পাশে থাকবে সেবা। এছাড়া আমরা চাই শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও হবে পরিকল্পিত। এক্ষেত্রে রয়েছে আমাদের ক্লিনিং সার্ভিস।
 
বিস্তারিত জানা যাবে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে sheba.xyz/kurbani.

4
The global age-standardized lung cancer mortality rate among women is projected to increase by 43 percent from 2015 to 2030, according to an analysis of data from 52 countries. The global age-standardized breast cancer mortality rate is projected to decrease by 9 percent in the same time frame.

While previous work has focused on projections in lung and breast cancer mortality among women in a single country or continent, few studies have estimated trends in mortality caused by these two common cancers on a global scale, noted Martínez-Sánchez.

In this study, Martínez-Sánchez and colleagues analyzed breast and female lung cancer mortality data from the World Health Organization (WHO) Mortality Database from 2008 to 2014. For inclusion in the study, countries must have reported data for at least four years between 2008 and 2014 and must have a population greater than 1 million. Fifty-two countries fulfilled these criteria: 29 from Europe; 14 from the Americas; seven from Asia; and two from Oceania. Lung and breast cancer age-standardized mortality rates in women, reported as per 100,000 person years, were calculated for each country based on the WHO World Standard Population, which allows for the comparison of countries with different age distributions, thereby eliminating age as a confounding variable in the projected rates.

Globally, among women, the mortality rate for lung cancer is projected to increase from 11.2 in 2015 to 16.0 in 2030; the highest lung cancer mortality rates in 2030 are projected in Europe and Oceania, while the lowest lung cancer mortality rates in 2030 are projected in America and Asia. Only Oceania is predicted to see a decrease in lung cancer mortality, which is projected to fall from 17.8 in 2015 to 17.6 in 2030.

"Different timelines have been observed in the tobacco epidemic across the globe," said Martínez-Sánchez. "This is because it was socially acceptable for women to smoke in the European and Oceanic countries included in our study many years before this habit was commonplace in America and Asia, which reflects why we are seeing higher lung cancer mortality rates in these countries."

Globally, the mortality rate for breast cancer is projected to decrease from 16.1 in 2015 to 14.7 in 2030. The highest breast cancer mortality rate is predicted in Europe with a decreasing trend overall, while the lowest breast cancer mortality rate is predicted in Asia with an increasing trend overall.

"Breast cancer is associated with many lifestyle factors," Martínez-Sánchez explained. "We are seeing an increase in breast cancer mortality in Asia because this culture is adapting a Westernized lifestyle, which often leads to obesity and increased alcohol intake, both of which can lead to breast cancer. On the other hand, we are witnessing a decrease in breast cancer mortality in Europe, which may be related to the awareness of breast cancer among this population, leading to active participation in screening programs and the improvement of treatments."

Compared to middle-income countries, high-income countries have the highest projected age-standardized mortality rates for both lung and breast cancer in 2030. However, high-income countries are more likely to have decreasing breast cancer mortality rates. Furthermore, the first to witness lung cancer mortality rates surpass breast cancer mortality rates are mostly developed countries, noted Martínez-Sánchez.

"This research is particularly important because it provides evidence for health professionals and policymakers to decide on global strategies to reduce the social, economic, and health impacts of lung cancer among women in the future," said Martínez-Sánchez.

Limitations of the study include the assumption that recent trends in lung and breast cancer mortality will continue for the next two decades; however, certain habits, such as switching from conventional cigarettes to electronic cigarettes may alter lung cancer mortality trends, Martínez-Sánchez said. Future screening technology and therapeutics may lower mortality rates, he added. Additionally, due to small population size and lack of data, no countries from Africa were included in this study.

 This study was sponsored by the Ministry of Universities and Research of the Government of Catalonia.

Story Source:

Materials provided by American Association for Cancer Research. Note: Content may be edited for style and length.

5


মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বালক তানিস্ক আব্রাহাম। গত জুনে ১৫ বছরে পা দেওয়ার কয়েক দিন আগে স্নাতক সম্পন্ন করে এ বিস্ময়বালক। এবার তার লক্ষ্য ‘পিএইচডি’র দিকে। তার অসাধারণ ফলাফলের ভিত্তিতে তাকে গবেষণার সুযোগ দিচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পিটিআইয়ের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

ফক্স ৪০ নামের একটি ডিজিটাল চ্যানেলকে তানিস্ক বলেছে, ‘আমি খুব খুশি ও রোমাঞ্চিত। আমার অর্জনের জন্য গর্বিত।’

ভারতের কেরালা থেকে আসা তাজি ও বিজু আব্রাহামের সন্তান তানিস্ক। তাঁরা বলেন, ‘বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে তাঁর ব্যাপক আগ্রহ। তাঁর সঙ্গে তাল মেলাচ্ছি আমরা।’

তানিস্ক একটি যন্ত্র তৈরি করেছে, যা পুড়ে যাওয়া রোগীর শরীর স্পর্শ ছাড়াই তার হৃৎস্পন্দন মাপতে সাহায্য করে। সাত বছর বয়সেই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার লুনার সায়েন্স ওয়েবসাইটে তার একটি রচনা প্রকাশ করা হয়।

তানিস্ক জানায়, ক্যানসারের কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কাজের আগ্রহ তার।

সংবাদমাধ্যমকে তানিস্ক বলে, ‘হ্যাঁ, আমি আরও অনেকের মতোই ক্যানসারের কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবন করতে চাই।’

ডাক্তারি পড়ার জন্য এর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতি পেয়ে গেছে তানিস্ক। সেখানে চার থেকে পাঁচ বছর মেডিসিনের ওপর লেখাপড়া করবে সে।

6


ভেলপুরি-ঝালমুড়িতে টাইফয়েডবাহী সালমোনিলা রোগের জীবাণু রয়েছে। মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে খাবারগুলোর নমুনা পরীক্ষায় এ জীবাণু পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে প্রকাশিত ‘মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অব হর্টিকালচার প্রোডাক্টস অ্যান্ড আদার ফুড কমোডিটিজ ফর কেমিকেল কন্টামিনেশন অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজিক্যাল অ্যাট এনএফএসএল: এন অ্যাপ্রাইজাল অব ফুড সেফটি সার্ভে ইন বাংলাদেশ-সেকেন্ড রাউন্ড’ শীর্ষ জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন থানার ৪৬টি স্কুলের সামনে থেকে ৪৬টি ঝালমুড়ি, ৩০টি ফুসকা, ১৬টি ভেলপুরি ও ৪২টি আচারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত এসব নমুনাতে মাইক্রোটক্সিন, কৃত্রিম রঙের উপস্থিতি ও মাইক্রোবায়োলজিক্যাল, ঈস্ট-মোল্ড, কলিফর্ম, সালমোনিলা, ই-কলাইয়ের উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করা হয়।

ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গেছে, ১৬টি ভেলপুরি নমুনার সবগুলোতেই ঈস্ট-মোল্ড ও কলিফর্মের পরিমাণ স্বাভাবিকমাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া যায়।

এ ছাড়া ৫টি নমুনাতে টাইফয়েডবাহী জীবাণু সালমোনিলা পাওয়া গেছে। ১৩টিতে ই-কোলাই, ৩০টি ফুসকার নমুনার সবগুলোতেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে কলিফর্ম ও ঈস্ট-মোল্ড এবং ফুসকার ২৭টি নমুনাতে ই-কোলাই পাওয়া গেছে।

সংগৃহীত ৪৬টি ঝালমুড়ি নমুনার সবগুলোতেই মাত্রারিক্ত কলিফর্ম, ৩৯টিতে ই-কোলাই, ৩টিতে টাইফয়েডবাহী সালমোনিলা জীবাণু পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৪২টি আচারের নমুনা ভেলপুরি ও ঝালমুড়ির চেয়ে তুলনামূলক ভালো বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

7


কবিতায় ‘বৃষ্টি ভেজা চুল’ যতই রোমান্টিক মনে হোক, বাস্তব অনেক রূঢ়। কারণ বৃষ্টির পানি চুলের বারোটা বাজাতে পারে। ভারতের ‘আরঅ্যান্ডডি’র সহকারী পরিচালক এবং কায়া ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবার প্রধান সঙ্গীতা ভেলাস্কর চুলকে ক্ষতি থেকে বাঁচাতে কিছু পন্থা মেনে চলার পরামর্শ দেন।

১. বৃষ্টির পানিতে চুল ভিজে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃদু শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ভেজা চুল দীর্ঘক্ষণ না রাখাই ভালো। কারণ এতে অনেক বেশি রাসায়নিক উপাদান থাকে যা চুলের ক্ষতি করে।

২. এই মৌসুমে তেল মালিশ খুব ভালো কাজ করে। সপ্তাহে দু’বার ভালো মতো তেল মালিশ করেই চুল ভালো রাখা যায়। এটা কেবল চুলকে মসৃণ করবে না বরং চুলের গোঁড়া শক্ত করতেও সাহায্য করবে।

৩. ভালো খাদ্যাভ্যাসের ফলাফল দেখা যায় চুলে। প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান। ভিটামিন ও প্রোটিন চুলের গঠনে সাহায্য করে এবং এটা চুলের প্রাকৃতিকভাবে শক্ত করতে ও চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
ডিভাইন অর্গানিক্সের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রধান সোনিয়া মাথুর চুলের নিয়মিত যত্ন সম্পর্কে পরামর্শ দেন।

১. বৃষ্টির পানি ও আর্দ্রতা থেকে চুলকে বাঁচাতে মৃদু শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটা চুল পরিষ্কার করে মসৃণ রাখে এবং গোঁড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। চুল ভালো রাখতে সপ্তাহে কমপক্ষে দু’তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

২. সব সময় চুলে তাপ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন। এটা চুলের গোড়ার স্তর নষ্ট করে ফেলে। চুলের আগা ফেটে যায় এবং রুক্ষ্ম ভাব দেখা দেয়। যদি স্টাইলিংয়ের জন্য তাপমাত্রা ব্যবহার করতে হয় তাহলে এর ক্ষতি কমানোর জন্য ‘তাপ নিরোধক’ উপাদান ব্যবহার করুন।

8


হয়তো খেয়ালও করছেন না অথচ কোনো না কোনোভাবে মেরুদণ্ডে প্রভাব ফেলছেন প্রতিদিন। শরীরের কাঠামো ঠিক রাখার পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের ওপরেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই মেরুদণ্ডের সামান্য ক্ষতিও সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

অজান্তে প্রতিদিনের সাধারণ কিছু কাজ মেরুদণ্ডের যে ক্ষতি করছে তার কয়েকটি উদাহরণ এখানে দেয়া হলো স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

উঁচু হিলের জুতা: নিয়মিত উঁচু হিলের জুতা পরার কারণে মেরুদণ্ডের বাঁক সারিবদ্ধ অবস্থা থেকে সরে যেতে পারে। এতে শরীরের স্বাভাবিক গড়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বেঁকে যেতে পারে পিঠ ও নিতম্বের হাড়গুলো। তাই প্রতিদিন পরার জুতা হিসেবে বেছে নিন ‘প্ল্যাটফর্ম হিল’, ‘ফ্ল্যাটস’, আর এড়িয়ে চলুন তীক্ষ্ম হিলের জুতা।

ভারোত্তোলন ব্যায়াম: ব্যায়ামাগারে ভারি ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে তা অবশ্যই প্রশিক্ষকের তদারকিতে করা উচিত। অভ্যস্ত না হলে ভারি ওজন ওঠানো মেরুদণ্ডের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ভারি ব্যাগ বহন: ভারি ব্যাগ বহন করার সময় শরীর একদিকে কাত হয়ে থাকে কিংবা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ শরীর বাঁকা হয়ে থাকার কারণে দেখা দেয় ঘাড় ব্যথা, ক্ষতিগ্রস্ত হয় মেরুদণ্ড। তাই হাতে ঝুলিয়ে ভারি ব্যাগ বহনের সময় দুই হাতে ওজন ভাগ করে নিতে হবে, আর যতটা সম্ভব ভারি ব্যাগ বহন করা এড়িয়ে চলতে হবে।

মোবাইলে কথা বলা: এই অভ্যাস আমাদের জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। তবে এর কারণে হওয়া স্বাস্থ্যগত ক্ষতির দিকগুলো আমরা হেলায় উড়িয়ে দেই। ঘাড় সামনের দিকে নামিয়ে স্মার্ট ফোন ব্যবহার এবং মাথা একপাশে কাত করে ফোনে কথা বলা মেরুদণ্ডের ওপর চাপ ফেলে।

ভুলভাবে শোয়া: পেটের ভরে উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমানো মেরুদণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই অভ্যাসের কারণে ঘাড় ও মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁকের ওপর চাপ পড়ে। ফলাফল হতে পারে ঘাড় কিংবা পিঠ ব্যথা।

ঘরোয়া কাজ: কিছু গৃহস্থালি কাজ মেরুদণ্ডের জন্য ক্ষতিকর। ঘরের কাজ না করে তো আর উপায় নেই, তাই এমনভাবে করতে হবে যাতে মেরুদণ্ডের ক্ষতি না হয়। যেমন, ঝাড়ু দেয়ার সময় বা মপ দিয়ে ঘর মোছার সময় আমরা সামনের দিকে ঝুঁকে থাকি যা মেরুদণ্ডের জন্য অপকারী। আবার ভারি হাঁড়ি মাটি থেকে কোমরে ওঠানোর কারণেও মেরুদণ্ডের ক্ষতি হয়।


9
কী ধরনের খাবার খেলে বুদ্ধি বাড়ে, তা আমরা অনেকেই শুনেছি; কিন্তু কী খাবার খেলে বুদ্ধি কমে সেটা কি আমরা জানি? জেনে নিন এমন কিছু খাবারের নাম, যা কমিয়ে দিতে পারে আপনার মস্তিস্কের ক্ষমতা।

চিনি

অতিরিক্ত চিনি খাওয়া যে স্বাস্থ্যকর নয়, তা মোটামুটি সবারই জানা। এটা যে মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হতে পারে, তা জানা গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। গবেষকরা ধারণা করছেন, ফলের শর্করা (ফ্রুকটোস) সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে বিশেষ কিছু ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ফ্রুকটোসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। এ গবেষণা অবশ্য এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সাধারণ পরামর্শ হল, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চিনির পরিমাণ কমিয়ে ওয়ালনাট, স্যামন, ফ্ল্যাক্স সিড ও সয়াবিনের মতো ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করুন।

ডায়েট সোডা

চিনির ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে কৃত্রিম চিনি খাওয়া যারা শুরু করেছেন, তাদের হতাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এতে ভালো ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২০১৭ সালে চার হাজার ৩০০ ব্যক্তির খাদ্যাভাসের ওপর চালানো এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় স্ট্রোক সাময়িকীতে। এতে দেখা যায়, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যারা কৃত্রিম চিনি দিয়ে তৈরি পানীয় গ্রহণ করেছেন, অন্যদের তুলনায় তাদের স্মৃতিভ্রমের ঘটনা বেশি ঘটেছে।

বেকড খাবার

কেবল চিনিই যে ক্ষতিকর তা নয়; কেক, চকলেটে থাকা ট্রান্স ফ্যাটও সমান ক্ষতিকর। ২০১৫ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের এক ধরনের মেমরি টাস্ক নেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের কয়েকটি শব্দ দেখানো হয় এবং পরে তা বলতে বলা হয়। দেখা যায়, যাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ট্রান্স ফ্যাট বেশি ছিল, তাদের স্মৃতিশক্তি ছিল দুর্বল।

রেড মিট ও বাটার

হার্ভার্ডের এক গবেষণায় দেখা যায়, খাদ্যতালিকায় ‘খারাপ’ স্যাচুরেটেড ফ্যাট (রেড মিট বা লাল মাংস, বাটারে থাকে) থাকলে মস্তিষ্কের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। গড়ে প্রায় চার বছর ধরে ৬ হাজার নারীরওপর এ গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, যেসব নারী মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট (অলিভ ওয়েল, অ্যাভোকাডোর মতো খাবার থেকে পাওয়া যায়) বেশি গ্রহণ করেছিলেন, স্মৃতিশক্তি তাদেরই ভালো।

জাঙ্ক ফুড

২০১১ সালে যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪ হাজার শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, তিন বছর বয়স পর্যন্ত যেসব শিশু চিপস, পিজ্জাসহ অন্যান্য জাঙ্ক ফুড বেশি খেয়েছে, সুষম খাদ্য গ্রহণকারী শিশুদের তুলনায় তাদের সাধারণ জ্ঞান (আইকিউ) কিছুটা কম।

চুইংগাম

চুইংগাম চিবালে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে না কমে? এ নিয়ে মিশ্র মতামত রয়েছে। যুক্তরাজ্যের এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানসিক কোনো পরীক্ষার সময় চুইংগাম চিবালে অংশগ্রহণকারীদের স্মৃতিশক্তি কিছু কমতে পারে। অথচ এর আগের গবেষণায় চুইংগাম চিবানোর সাথে মানসিক কার্যক্রমের ইতিবাচক সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।

কম শর্করার ডায়েট

ওজন কমানো বিষয়টি এলে সর্বপ্রথমেই আমরা শর্করা বাদ দিয়ে দেই। আসলে শর্করা খুব খারাপ নয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতাসহ শরীরের আরো কিছু প্রয়োজন মেটায় এটি। ২২-৫৫ বছর বয়সী ১৯ জন নারীর ওপর এক গবেষণা চালিয়ে টাফট ইউনিভার্সিটি দেখেছে, খাবার থেকে শর্করা বাদ দেওয়ায় অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞানগত দক্ষতা (বিশেষ করে স্মৃতিশক্তি সম্পর্কিত পরীক্ষা) কিছুটা কমে গেছে।

লবণ

২০১২ সালের কানাডায় পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা বেশি মাত্রায় লবণ খায়, অথচ শরীরচর্চা করে না, অন্যদের তুলনায় দ্রুত তাদের জ্ঞানের স্তর কমে গেছে।

মদ

এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক যেসব ব্যক্তি দৈনিক সাত থেকে ১০ বার মদ পান করেন, তাদের মস্তিষ্ক পুরনো স্মৃতি কম মনে রাখতে পারে।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

10
প্রকৃতির নিয়মে মানুষের বয়স বাড়ে।ধীরে ধীরে বয়সের ছাপ পড়ে শরীরে। মানুষ সব সময় তরুণ থাকতে চাই। কিন্তু সেটা ধরে রাখা কি সম্ভব? যদিও যৌবনকে মানবজীবনের সোনালি সময় বলা হয়। এই সোনালি সময়কে উপভোগ করতে হলে মেনে চলতে হবে কিছু পরামর্শ। একটু চেষ্টা করলেই  শরীরকে রাখতে পারেন অনিন্দ্য সুন্দর আর আকর্ষণীয়।

এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশনের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসটাও যদি ঠিক রাখেন তাহলে আপনার বয়স বাড়লেও সুন্দর থাকতে পারবেন। এজন্য খাদ্য তালিকায় রাখুন নিচে বর্ণিত ৫টি খাবার।

দই

নিয়মিত দই খান। দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য খুব উপকারী। দই বয়সজনিত কারণে হওয়া রোগগুলো প্রতিরোধ করে। দইয়ে ক্যালসিয়ামও থাকে।

কমলা

কমলালেবু খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। কারণ এই ফলে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। ত্বক টানটান রাখে কমলালেবু।

অলিভ অয়েল

অলিভ তেল রোগ থেকে যেমন দূরে সরিয়ে রাখবে, তেমনি ত্বকে এনে দেবে উজ্জ্বলতা। যা আপনার বয়সকে সত্যিই কমিয়ে দেবে।

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরি হোক কিংবা ব্ল্যাকবেরি সবকটিই শরীরের জন্য দরকারি। বিশেষ করে কালো জাম। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে। এই জাতীয় ফল ত্বককে সতেজ রাখে।

11
দুধ আমাদের খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে পুষ্টিকর পানীয়ের মধ্যে অন্যতম।
সুস্থ শরীর চালাতে প্রোটিনের ভূমিকা আমাদের অজানা নয়। আর দুধ সেই প্রোটিনের সম্ভার। দুধে রয়েছে ক্যাসেইন, অ্যালবুমিন ও গ্লোবিউলিন প্রোটিন। যা আমাদের ক্ষিদের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আমাদের ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন হরমোন নিঃসরণ করে দুধ আমাদের ক্ষুদা কমাতে সাহায্য করে।

হাড় ও দাঁত মজবুত করা ছাড়াও ওজন কমাতে ভূমিকা রয়েছে ক্যালসিয়ামেরও। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত যে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাচন ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।

দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৩, যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য তো করেই, বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য শক্তির যোগান দিতেও এর ভূমিকা অনেক।

প্রোটিন হজম করতে বেশ সময় লাগে। সুতরাং দুধের প্রোটিন হজম করতে গিয়ে আমাদের অকারণ ক্ষিদা পাওয়াও কমে যায়। পেট ভরা থাকার ফলে অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খেতে প্রয়োজনই হয় না।

সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দুধে থাকা লিওলেনিক অ্যাসিড শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।


যারা নিরামিষাশী, তাদের খাদ্য তালিকায় দুধ তো অনিবার্য। গরুর দুধ ছাড়াও, ছাগলের দুধ, মহিষের দুধেও একই প্রোটিন সম্ভার রয়েছে। দুধের তৈরি প্রোটিন শেক বা দুধ দিয়ে তৈরি ওটসও সাহায্য করবে সুস্থ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে।

শুধু দুধ পান করলেই যে ওজন কমে যাবে এমনটা ভাবলে কিন্তু হবে না। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এক থেকে দুই গ্লাস দুধের পাশাপাশি রাখতে হবে অন্যান্য শাক-সবজি-ফলও। আরও ভালো ফল পেতে নিয়মিত ব্যায়ামের চেয়ে ভালো কী-ই বা হতে পারে! রোজ এক ঘণ্টা ব্যায়াম করে এসে খান এক গ্লাস দুধ।

12


স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাসে ওষুধের চেয়ে বেশি প্রয়োজন নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন। অনেকই স্ট্রোকের বিষয়ে সচেতন থাকেন না কিংবা গুরুত্ব দেন না। এই অবহেলায় মৃত্যুর প্রধান কারণ হতে পারে।
 

জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করবেন:

১। হাঁটাহাঁটি করুন। লক্ষ্য রাখুন, দিনে আধ ঘণ্টা যেন হাঁটার জন্য থাকে। আর তা অবশ্যই ঘাম ঝরানো হাঁটা। ধীর পায়ে নয়।

২। যাদের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব, ভারী শরীর, তাদের জন্য ১৪০–৯০ প্রেশার স্বাভাবিক। এর থেকে খুব বেশি হেরফের হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, ওবেসিটির সমস্যা থাকলে নিয়ম মেনে ওষুধ খান।

৩। অ্যালকোহল বা ধূমপান একেবারেই চলবে না। মনে রাখবেন, কম পরিমাণে মদ বা সিগারেটও  শরীরে ক্ষতি করে। সুতরাং, দূরে থাকুন সে সবের।


৪। পানি খান মেপে। খুব বেশি পানি যেমন ক্ষতিকারক, তেমন খুব কম পানিও কাজের কথা নয়। শারীরিক গঠন ও রোগের উপর নির্ভর করবে কতটা পানি খাবেন। হিসাব বুঝতে না পারলে চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করুন।

৫।  ওজন প্রধান সমস্যা। স্ট্রোক ঠেকাতে ওজন, বিশেষত ভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। অনেকে ছিপছিপে চেহারার হলেও একটা বয়সের পরেই তাদের ভুঁড়ি এসে যায়। সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। জিম, শারীরিক কসরত এবং সুষম আহারের উপর জোর দিন আজ থেকেই। তেল-মশলাদার খাবার এড়ান।

13


কথা বলছিলাম ইন্টারনেট, ফেসবুকের গ্রুপ, নিউজ পোর্টাল এসব মাধ্যমে দেখা, শোনা এবং মাঝে মাঝেই আলাপ করা হয় এমন কিছু আধুনিক কুসংস্কার আর গুজব নিয়ে। আর গুজব ছড়ানোর লিস্টে টপ ফাইভেই গ্রিন টি রিলেটেড টপিক গুলো পাওয়া যাবে। গ্রিন টি খেলে এটা হয় ওটা হয়, মেয়েরা এটা খেতে পারবে না, অমুকে খেতে পারবে না তমুকে ছুঁতে পারবে না… এমন অজস্র বাণী রোজ যেমন ফেসবুকের গ্রুপ গুলোতে দেখি তেমনই দেখি সাজগোজের কমেন্ট সেকশনে!

তো চলুন এই গুজবগুলোর ভিত কতটুকু শক্ত একটু দেখে আসি।

১) গ্রিন টি খেলেই সবাই শুকিয়ে যায়!
প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে ‘গ্রিন টি’ আসলে কি? অনেকেই জানেন না যে গ্রিন টি আর আমাদের বাসায় রাখা জার  ভর্তি চা পাতা একই গাছ থেকে আসে। আমাদের চা পাতা যেভাবে গাছ থেকে ছিঁড়ে নেয়া হয়, সেই একই গাছের পাতা থেকে গ্রিন টির জন্য পাতা ছেড়া হয়। তাই ‘গ্রিন টি’ দেখেই এলিয়েন দেখার মতো আঁতকে ওঠার কোন কারণ নেই।



গ্রিন টি খেলেই কি আপনি শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবেন?- না। এতে আছে কিছু এক্সট্রা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা নরমাল চা পাতায় থাকে না।

কেন?- কারণ গ্রিন টি প্রসেস করার সময় কেয়ারফুলি এই উপাদান গুলোকে রক্ষা করা হয়। আর ব্ল্যাক টি বা ‘আমাদের চা পাতা’ প্রসেস করার সময় এক্সট্রা কালার, সুবাস, ক্যাফেইন- এসব যাতে বেশি থাকে সেটা নিশ্চিত করা হয়। ফলে ব্ল্যাক টি তে ওই নির্দিষ্ট উপাদানগুলো কমে যায়।

গ্রিন টি ডেইলি ৩-৪ কাপ খেলে সর্বচ্চ ৭০ ক্যালরি কমতে পারে। কারণ গ্রিন টি মাত্র কিছু সময়ের জন্য আপনার দেহের ক্যালরি খরচ করার হার বাড়িয়ে দেয়। এই টাইম টুকু পার হয়ে গেলে আবার দেহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। ক্যালরি বার্ন আরও বেশি হয় কিসে জানেন? ব্ল্যাক কফিতে! কিন্তু রোজ ৪ কাপ কড়া ব্ল্যাক কফি খেলে ঘুম নষ্ট হয়ে, কন্সটিপেশন হয়ে এবং স্কিন নষ্ট হয়ে যে অবস্থা আপনার হবে সেটা কারই কাম্য নয়!! তাই একটু এক্সট্রা  ক্যালরি বার্ন করার জন্য হালকা গ্রিন টি-ই ডাক্তাররা দুধ চা, চিনি দেয়া রঙ চা বা কফি থেকে বেশি সাজেস্ট করেন।

তো? ডেইলি এই এক্সট্রা ৭০ ক্যালরি পুড়ে গেলেই কি আপনি মাসে ১০ কেজি কমিয়ে ফেলতে পারবেন? একটু তুলনা করি?

একটা ডিমে আছে ৮০ ক্যালরি।
ডিম ভাজায় আছে প্রায় ১০০ ক্যালরি।
একটা বড় সিঙ্গারায় আছে প্রায় ৩০০ ক্যালরি!!
ধরুন,  গ্রিন টি তো খাচ্ছিই!! ভেবে এক বিকেলে ৪ টা সিঙ্গারা খেয়ে ফেললেন? কি হবে তখন? কমবে ওজন?

উত্তরটা নিজেই দিন । অনেকে আবার শুকিয়ে যাওয়ার ভয়ে গ্রিন টি খান না। তাদের জন্যও একই কথা, গ্রিন টি আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে একটু হেল্প করে। এটা গ্রিন টির আরও অনেকগুলো বিশাল বিশাল উপকারিতার একটি মাত্র। তাই এই একটা পয়েন্ট-কেই মেইন ধরে নিয়ে গ্রিন টি খাবই না অথবা রোজ খালি গ্রিন টি-ই খাব, এমন একটা জেদ ধরে বসে থাকবেন না। এটা একটা হেল্পফুল বেভারেজ, সেভাবেই এটাকে দেখুন।

২) গ্রিন টি মেয়েদের খাওয়া ঠিক না, আয়রন কমে যায়!
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউশন অফ হেলথ, আমেরিকার জার্নাল ‘মেডিসিন প্লাস’ কি বলে দেখি-

গ্রিন টি তে থাকা ট্যানিন আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের আয়রন এবং বি-১২ ভিটামিন শোষণ একটু কমিয়ে দেয়। কারণ এই ট্যানিন অনু আয়রনের সাথে বিক্রিয়া করে তাকে বেঁধে ফেলে।

ওকে বোঝা গেল। তার মানে কি? বাপ বাপ বলে গ্রিন টি সব ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে ফেসবুকে “গ্রিন টিতে মৃত্যু” নামক পোস্ট লিখে ঢোল পিটাতে হবে? নাকি ব্রেন একটু ইউজ করব?একটু দেখব ‘আয়রন কমে’ বলেই বাংলার সব গ্রিন টি নামক ছাই পাশ খেকো মেয়েদের কালকেই অ্যানিমিয়া হয়ে যাবে কি না?

প্রথমত, আয়রন আর বি-১২ শোষণ কমলে ছেলে মেয়ে, বাচ্চা বুড়ো সবারই কমবে । তাই মেয়ে মানেই আয়রন সমস্যায় ভোগে, মেয়ে মানেই গ্রিন টি নিষিদ্ধ এটা একেবারেই ভুল।

দ্বিতীয়ত, লেখাটা আবার পড়ুন, “আয়রন এবং বি-১২ শোষণ একটু কমিয়ে দেয়” মানে অলরেডি যে খাবার আপনার পাকস্থলীতে পরিপাক হচ্ছে সেখান থেকে দেহ একটু কম আয়রণ শোষণ করবে।

এই জার্নাল ‘কান নিয়েছে চিলে’-বলে পাড়া মাথায় তুলতে যারা ভালবাসেন তাদের জন্য আরও কি বলে দেখি-

– বেলজিয়ামের এক ইউনিভার্সিটি রিসার্চে খুব ক্লিয়ারলি দেখা গেছে যে- গ্রিন টি দেহের এক্সিজটিং আয়রন লেভেলে তারতম্য আনে না।

– গ্রিন টি-এর সাথে এক স্লাইস লেবুর রস খেলেই এই আয়রন শোষণজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। কারণ লেবুর ভিটামিন সি আয়রন শোষণ বাড়ায়। কাপের ভেতরে একটু লেবুর রস গ্রিন টি-এর স্বাদ বাড়াতেও সাহায্য করবে।

– এবং গ্রিন টি খাওয়ার সাথে অ্যানিমিয়া বা আয়রন ডিপ্লিশনের কোন সম্পর্কই আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। সুতরাং চিলের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ রাখতে পারেন।

৩) প্রেগন্যান্ট অবস্থায় গ্রিন টি খাওয়া!
আগের দুই পয়েন্টে হাস্যকর লজিকে গ্রিন টি না খাওয়ার কারণগুলো দেখেছি। এবার দেখি আরেক লজিক যেখানে বলা হয়- যেহেতু প্রেগন্যান্ট সেহেতু কফি বা দুধ চার বদলে রঙ চা বা গ্রিন টি খাওয়া ভালো!

এখানেও একই প্রশ্ন, রঙ চা, দুধ চা, গ্রিন টি- এই সব চা পাতা কোথা থেকে এসেছে সেটা কি আপনি জানেন? ভুলে গেলে প্রথম পয়েন্ট আবারো একটু দেখে আসুন। কফিতে থাকে প্রচুর ক্যাফেইন, রঙ চা ডেইলি ২-৩ কাপ খেলেও অতিরিক্ত ক্যাফেইন ইনটেক হয়ে যায়। দুধ চায়ের বেলায়ও একই, সাথে আছে আনহেলদি গুঁড়ো দুধ, কনডেনসড মিল্ক আর অতিরিক্ত চিনি। এসবই প্রেগন্যান্ট নারী এবং অনাগত শিশুর জন্য খারাপ।

কিন্তু গ্রিন টি ডেইলি ৩ কাপ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় খেলে কি হবে? প্রথমত কম হলেও একটা পরিমাণে ক্যাফেইন আপনার দেহে ঢুকবে। যেটা কাম্য নয়। প্লাস গ্রিন টি-এর ট্যানিন অনাগত শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। একারণে ডাক্তাররা গর্ভাবস্থায় গ্রিন টি-ও এড়িয়ে চলতে বলেন।



তো, গর্ভাবস্থায় কি খেতে পারেন? চা বা একটু উষ্ম বেভারেজ খাওয়ার হ্যাবিট থাকলে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন ক্যামোমাইল টি, এটা ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। শুধু আদা চা খেতে পারেন (চা পাতা ছাড়া) , এটা মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করবে।

শেষ কথা এই যে, এক মাত্র গর্ভবতী নারী ব্যতীত  আর কেউই গ্রিন টি খেয়ে বড় কোন ঝুঁকিতে পড়ছেন না। আর যেসব খুব ছোট খাটো দোষ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, তার ১০০ গুণ দিনে ৪-৫ কাপ পাম ওয়েল দিয়ে বানানো কনডেনসড মিল্ক আর ৩ চামচ চিনি দেয়া দুধ চা খেয়ে অলরেডি নিজের দেহে নিয়ে বসে আছি।

গ্রিন টি অন্যান্য বেভারেজের মতই একেবারেই নরমাল একটা ড্রিংক। প্রসেসিং এর কারণে আমাদের সাধারণ চা থেকে এটা একটু ভালো। তাই সাধারণ চা, এক্সট্রা চিনি- এসবের বদলে গ্রিন টি খেলে ভালো, খেতে না চাইলেও জোর করে খাওয়ার দরকার নেই। একে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আকাশে তোলা বা খেলেই অ্যানিমিয়া হবে, পড়ে বাচ্চা হবে না এসব গুজব রটিয়ে কাদায় ফেলা, দুটোই আপনার মূল্যবান সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

14
চীনে প্রায় ৫ লাখ লোকের ওপর এক গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম থেকে শারীরিক উপকার পেতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে হবে।

তবে একসময় যে বলা হতো বেশি ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর, বিজ্ঞানীরা এখন সে মতবাদ পাল্টে ফেলেছেন।

''পুষ্টি সংক্রান্ত নানা গবেষণায় অনেক সময়ই কিছু না কিছু ফাঁক থেকে যায়, কিন্তু চীনে বড় এই সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে চালানো গবেষণা থেকে অন্তত একটা বিষয় পরিস্কার যে প্রতিদিন একটা ডিম খেলে তার থেকে হৃদযন্ত্র বা শরীরের রক্ত সঞ্চালনে কোন ঝুঁকি তৈরি হয়না, বরং প্রতিদিন একটা ডিম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে'' - বলছেন ইংল্যাণ্ডে কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিটা ফরুহি।

বহুদিন পর্যন্ত ডিমকে ''শরীরের শত্রু'' বলে প্রচার করা হয়েছে। ডিম স্যালমোনেলা জীবাণুর উৎস, ডিম শরীরে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়- এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই এসেছে।

কাজেই এখন ডিম নিয়ে বিজ্ঞানীদের মতবাদ পাল্টে যাচ্ছে কেন? ক'টা ডিম শরীরের জন্য ভালো?

এখন বেশিরভাগ ডাক্তারই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হল ডিম।

যেমন, ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

বৃটিশ ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের ড: ফ্র্যাঙ্কি ফিলিপস্ বলছেন, ''দিনে একটা - এমনকি দুটো ডিমও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।বেশি ডিম খাওয়ায় ভয়ের কোন কারণ নেই।''

ড. ফিলিপস্ বলছেন, এখানে সতর্কবাণী শুধু একটাই - ''একধরনের খাবার বেশি খেতে গিয়ে অন্য খাবারে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় যেসব পুষ্টি রয়েছে সেগুলো বাদ দেওয়া ভুল হবে।''

তিনি আরও বলছেন, ডিম যদিও ''প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ একটা উৎস'', কিন্তু একটা ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আমাদের অন্যান্য খাবার থেকেও আমরা প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাই - যা অনেক সময়ই শরীরের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি। কাজেই ''অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে''।

২০০৭ সালে বৃটিশ হার্ট ফাউণ্ডেশন নামে একটি সংস্থা বলছে, কোলেস্টেরল বিষয়ে নতুন যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তার আলোকে সপ্তাহে তিনটির বেশি ডিম না খাওয়ার যে পরামর্শ তারা ২০০৭ সালে দিয়েছিল তা তারা তুলে নিচ্ছে।

কোলেস্টেরল কতটা?
বৃটেনের চিকিৎসকরা বলছেন "ডিমে যদিও কিছু কোলেস্টেরল আছে, কিন্তু আমরা অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বিজাতীয় যেসব পদার্থ এর সঙ্গে খাই (যেগুলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট নামে পরিচিত) সেগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের যতটা ক্ষতি করে, ডিমের কোলেস্টেরল সে ক্ষতি করে না।''

এককথায়, কোলেস্টেরলের সমস্যার কথা যদি ভাবেন, ডিম সেখানে কোন ক্ষতির কারণ নয়। যে ক্ষতিকর চর্বি বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে ডিম রান্না করছেন সেটা সমস্যা কারণ হতে পারে। কাজেই কীভাবে ডিম রাঁধবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষণা অনুযায়ী, একটা প্রমাণ সাইজ ডিমে (৫৮ গ্রাম) ৪.৬ গ্রাম চর্বি থাকে- প্রায় এক চা-চামচ সমান। এর মাত্র এক চতুর্থাংশ হল স্যাচুরেটেড, যেটা শরীরে জমাট বাঁধতে পারে। এই স্যাচুরেটেড চর্বির অংশ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।

এর সঙ্গে যদি আপনি রান্নার সময় মাখন বা ওইধরনের চর্বিযুক্ত জিনিস ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই সেইভাবে রাঁধা ডিম আপনার কোন উপকারে আসবে না।

ডিমে স্যালমোনেলা কি?
আশির দশকে বৃটেনের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডিমের সঙ্গে স্যালেমোনেলা জীবাণুকে জড়িয়ে মন্তব্য করার পর বৃটেনে ডিম খাওয়া নিয়ে বিরাট ভীতি তৈরি হয়েছিল।

১৯৮৮-র ডিসেম্বরে মন্ত্রী এডউইনা কারি বলেছিলেন ''বৃটেনে যেসব ডিম বাজরে আসে তার বেশিরভাগেই স্যালমোনেলা জীবাণু রয়েছে।'' অবশ্য তার ওই মনএতব্যর জেরে পরে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।

তবে আশির দশকে ডিমে স্যালমোনেলা জীবাণুর সংক্রমণের একটা সমস্যা ছিল। পরে নব্বইয়ের দশকে ডিম খামারিরা টিকা কর্মসূচি চালু করার পর এই জীবাণুর সমস্যা এখন আর নেই বললেই চলে।

কীভাবে ডিম রান্না করা উচিত?
ডিম রান্নার ব্যাপারে সবচেয়ে সহজ, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত হল ডিম সিদ্ধ করা বা পানিতে ডিম পোচ করা।

বেশিরভাগ পুষ্টিবিদ ডিম ভাজা করে না খাবার পরামর্শ দেন। কারণ ডিম যে তেলে বা মাখনজাতীয় চর্বিতে ভাজা হয়, তার মধ্যেকার স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

কাঁচা ডিম বা হালকা করে রান্না ডিমও পুষ্টিযুক্ত, যদি সেই ডিম স্যালমোনেলা জাতীয় জীবাণুমুক্ত হয়- অর্থাৎ জীবাণু না থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খামরিরা নিয়ে থাকেন।

জীবাণু সংক্রমণের ব্যাপারে উদ্বেগ থাকলে ডিম রান্না করে খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

কীভাবে ডিম মজুত রাখা উচিত?
কখনও এমন ডিম কিনবেন না যা ভাঙা বা ফাটা- কারণে সামান্য ফাটা থাকলেও সেখানে ধুলোবালি বা জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

বিবিসির খাদ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল ডিম ফ্রিজে রাখুন - ডিম রাখার বিশেষ যে বাক্স ফ্রিজে থাকে সেখানে ডিম সবচেয়ে ভারো থাকে।

বাক্সের ভেতরে থাকলে ডিমের সাদা অংশ তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভাল থাকে। কিন্তু ডিমের কুসুম ভাল থাকে তিনদিন। বরফে হিমায়িত অবস্থায় ডিমের সাদা ও কুসুম ভাল থাবে তিন মাস পর্যন্ত।

একটা পাত্রে ঠাণ্ডা পানিতে গোটা ডিম রাখুন - যদি ডিম ডুবে পাত্রের তলায় চলে যায়, তাহলে বুঝবেন ডিম তাজা আছে। ডিম যদি ভেসে থাকে তাহলে বুঝতে হবে ডিমটা তাজা নেই।

তবে অনেক সময়ই ডিমের বাক্সের গায়ে লেখা থাকে কোন্ তারিখের মধ্যে ডিম ব্যবহার করে ফেলতে হবে - যা হয় সাধারণত ডিম পাড়ার পর ২৮ দিন পর্যন্ত।

হৃদযন্ত্র বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে ড: ফিলিপস্-এর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো ডিমে কাঁচা লবণ ছিটিয়ে খাবেন না।- বিবিসি

15


ফাইল ছবি

বাজারে এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া কাঁচা-পাকা আম। ইফতারিতে ফলের আইটেম ও ফলের জুস বানাতে অনেকেই রাখেন আম। তবে একটা বিপদ আছেই।
সেটা হলো বেশিদিন টিকিয়ে রাখার জন্য আমের মধ্যে ফরমালিনসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মেশানো।

ফরমালিন যুক্ত আম খেলে কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, এমনকি মরণব্যাধি ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।

চলুন জেনে নেই বাজারের আমের কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন এতে ফরমালিন আছে কিনা।

রঙ

রঙ দেখেও চেনা যায় ফরমালিনযুক্ত আম। প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমে হলুদ এবং সবুজের একটা মিশেল থাকবে। অনেক সময় কাঁচাপাকা রঙেও দেখা যায়।

আবার আমার গায়ে সাদাটে ভাব ও কালো কালো দাগ থাকবে। কিন্তু ফরমালিনসহ অন্যান্য কেমিকেল দিয়ে পাকানো আমগুলো দেখতে সম্পূর্ণ হলুদ হবে। দেখতে খুব সুন্দর ও চকচকে হবে। কোন দাগ থাকবে না।

ভেতরের শাস

প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম কাটলে এর ভেতরের শাসটি হবে লালচে হলুদ রঙের কিন্তু ফরমালিন যুক্ত আমের ভেতরের অংশটি হবে হালকা অথবা গাঢ় হলুদ রঙের। এর মানে হলো বাইরে থেকে আমটি পাকা দেখালেও ভেতরটি পাকা নয়।

আমের রস

প্রাকৃতিকভাবে পাকা আম বেশ মিষ্টি হয় এবং এতে অনেক বেশি রস থাকে। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমে রস অনেক কম থাকে। ভেতরটা পাকা থাকে ঠিকই কিন্তু রস কম বের হয়।

আমের বোটায় সুঘ্রাণ

প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের বোটায় সুঘ্রাণ থাকবে কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমের বোটায় কোনও ঘ্রাণ থাকবে না। তাই কেনার আগে গন্ধ শুকে নিতে পারেন।

আমে মাছি বসবে

ফরমালিনমুক্ত আম মুখে দিলে টক মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যাবে। এছাড়াও এসব আমে মাছি বসবে। কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আমে তেমন কোনও স্বাদ পাওয়া যাবে না। এগুলোতে মাছিও বসে না। চিকিৎসকরা বলেন, ফরমালিনযুক্ত আম খেলে মুখের ভেতর হালকা জ্বালাপোড়া করতে পারে। কারো কারো পেটে ব্যথা, গলা জ্বলা ও ডাইরিয়াও হতে পারে।

Pages: [1] 2 3 4