Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Reza.

Pages: 1 ... 17 18 [19] 20 21 ... 26
271
উঠানে বসে আছি। জ্যোৎস্নায় ভরা আকাশটা দেখে মনে হচ্ছে যেন অনেক বড় একটা কাঁচের নীল ফিসবোল কেউ উল্টো করে রেখেছে।
আর আমরা তার ভিতরে বসে আছি। তার মাঝে চাঁদ আলো বিলিয়ে চলেছে। প্রতিটা তারা আলাদা ভাবে স্পস্ট হয়ে জ্বলজ্বল করছে। মাঝে মাঝে দুই একটা কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুড়ে চলেছে আকাশে। সেগুলোকেও তারা বলেই মনে হয়। কিছু তারা দেখে মনে হয় লাল রঙের। কিছু হলুদাভ বাকিরা চকচকে নীল। হঠাৎ করে কিছু তারা খসে পড়ে আকাশ থেকে। শুনেছিলাম এর অর্থ হল পৃথিবী থেকে কোন এক জনের বিদায়। মনে হয় এই আকাশ ভরা তারা গুলোর দিকে তাকিয়ে থেকেই জীবন পার করে দেয়া যাবে।
ভোরে ঘুম থেকে উঠে কিছু খেয়েই ঘুরতে বের হওয়া। কখনো বা খালের থেকেও চিকন হালোটে নৌকায় করে ঘুড়ে বেড়ানো। হালোটের উপরে আকাশের কাছে দুই পাড়ের বড় বড় গাছের ডাল; আলো আধারির চাঁদোয়া তৈরি করে রেখেছে। কি এক অদ্ভুত মায়াময় পরিবেশ। মনে হয় নৌকায় করে ভেসে চলেছি কোন এক স্বপ্নের দেশের ভিতর দিয়ে। সেই হালোট আঁকিয়ে বাঁকিয়ে চলে গেছে একেবারে বিশাল যমুনা নদীতে। যে নদীতে পৌঁছালে হঠাৎ করেই চোখ ঝলসিয়ে দিয়ে নৌকায় পড়ে এক রাশ সূর্যের আলো।
মনে পড়ে লঞ্চ থেকে নামলে আমাদের হেটে যেতে হত। লক্ষ্য থাকতো বড় দুইটা নারিকেল গাছ যে দিকে আছে সেই দিকে। যেখানে সন্ধ্যা হলে বিশাল একটি গাছ থেকে শয়ে শয়ে বাদুড় এক এক করে উড়ে যেতে থাকে। যেখানে তাল গাছের পাতায় ঝুলে থাকে বাবুই পাখীর বাসা। এক নাগাড়ে আমরা হেটে চলতাম আখ ক্ষেতের পাশের আইলের উপর দিয়ে।
যেখানে পৌঁছালে কিছু খেলায় মগ্ন ছেলে মেয়ে আনন্দে চিৎকার করতে করতে বাঁশ ঝাড়ের পাশ দিয়ে বাসার দিকে দৌড় দিত। এইটাই ছিল তাদের অভ্যর্থনার মাধ্যম।

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া।)

272
উঠানে বসে আছি। জ্যোৎস্নায় ভরা আকাশটা দেখে মনে হচ্ছে যেন অনেক বড় একটা কাঁচের নীল ফিসবোল কেউ উল্টো করে রেখেছে।
আর আমরা তার ভিতরে বসে আছি। তার মাঝে চাঁদ আলো বিলিয়ে চলেছে। প্রতিটা তারা আলাদা ভাবে স্পস্ট হয়ে জ্বলজ্বল করছে। মাঝে মাঝে দুই একটা কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুড়ে চলেছে আকাশে। সেগুলোকেও তারা বলেই মনে হয়। কিছু তারা দেখে মনে হয় লাল রঙের। কিছু হলুদাভ বাকিরা চকচকে নীল। হঠাৎ করে কিছু তারা খসে পড়ে আকাশ থেকে। শুনেছিলাম এর অর্থ হল পৃথিবী থেকে কোন এক জনের বিদায়। মনে হয় এই আকাশ ভরা তারা গুলোর দিকে তাকিয়ে থেকেই জীবন পার করে দেয়া যাবে।
ভোরে ঘুম থেকে উঠে কিছু খেয়েই ঘুরতে বের হওয়া। কখনো বা খালের থেকেও চিকন হালোটে নৌকায় করে ঘুড়ে বেড়ানো। হালোটের উপরে আকাশের কাছে দুই পাড়ের বড় বড় গাছের ডাল; আলো আধারির চাঁদোয়া তৈরি করে রেখেছে। কি এক অদ্ভুত মায়াময় পরিবেশ। মনে হয় নৌকায় করে ভেসে চলেছি কোন এক স্বপ্নের দেশের ভিতর দিয়ে। সেই হালোট আঁকিয়ে বাঁকিয়ে চলে গেছে একেবারে বিশাল যমুনা নদীতে। যে নদীতে পৌঁছালে হঠাৎ করেই চোখ ঝলসিয়ে দিয়ে নৌকায় পড়ে এক রাশ সূর্যের আলো।
মনে পড়ে লঞ্চ থেকে নামলে আমাদের হেটে যেতে হত। লক্ষ্য থাকতো বড় দুইটা নারিকেল গাছ যে দিকে আছে সেই দিকে। যেখানে সন্ধ্যা হলে বিশাল একটি গাছ থেকে শয়ে শয়ে বাদুড় এক এক করে উড়ে যেতে থাকে। যেখানে তাল গাছের পাতায় ঝুলে থাকে বাবুই পাখীর বাসা। এক নাগাড়ে আমরা হেটে চলতাম আখ ক্ষেতের পাশের আইলের উপর দিয়ে।
যেখানে পৌঁছালে কিছু খেলায় মগ্ন ছেলে মেয়ে আনন্দে চিৎকার করতে করতে বাঁশ ঝাড়ের পাশ দিয়ে বাসার দিকে দৌড় দিত। এইটাই ছিল তাদের অভ্যর্থনার মাধ্যম।

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া।)

273
Textile Engineering / Healthy food corner required in restaurants.
« on: November 03, 2017, 11:43:15 AM »
বেশ কিছুদিন ধানমন্ডিতে অফিস ছিল। সারাদিনই কাটতো ধানমন্ডিতে। দুপুরের লাঞ্চ সেরে ফেলতাম অফিসের বাইরে কোথাও। সেখানে দেখেছিলাম খিচুড়ি, তেহারি, কাচ্চির দোকানের অভাব নাই। ফাস্ট ফুডের দোকানও অগুনিত। এক দুইদিন এই সব খাবার খাওয়া যায়। এছাড়াও স্বাস্থ্যগত কারণে এইগুলো প্রতিদিন খাওয়া ঠিক নয়। অনেক কষ্টে খুঁজে পেয়েছিলাম একটি হোটেল - যেখানে ভাত, মাছ, মুরগি, শাক-সব্জী পাওয়া যায়। তবে সেটা কোন মান সম্মত হোটেল ছিল না।
আমাদের ঢাকার সব হোটেল ও রেস্টুরেন্টের টার্গেট থাকে কিভাবে আরো মুখরোচক খাবার বিক্রি করা যায়। স্বাস্থ্যগত ব্যাপারগুলো এখানে আর খেয়াল করা হয় না।
এখন মানুষ সাস্থ্যগত ব্যাপারে অনেক সচেতন। অনেকেই এইসব ভারী খাবার এভোয়েড করে চলেন। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস রেস্টুরেন্ট ব্যাবসায়ী কেউ যদি তাদের মেন্যুতে সাস্থ্যসম্মত খাদ্য যোগ করে তাদের ব্যানারে "স্বাস্থ্যসম্মত খাবার" এই শব্দদ্বয় যোগ করেন তা অনেক ভাল উদ্যোগ বলে গণ্য হবে। এছাড়াও কাচ্চি বা ফাস্ট ফুডের বড় বড় দোকানে যদি শাক শব্জি সহ স্বাস্থ্যকর খাবারের কর্নার করা হয় তাহলে তা জনপ্রিয় হবে এইটা নিশ্চিত করে বলে যায়।
এই প্রসঙ্গে বলা যায় বিয়ে বৌভাত এই রকম অনুষ্ঠানে বয়স্ক অনেকেই যান। অনেকেই এর মধ্যে থাকেন যারা অনেক কাছের আত্মীয়। যাদের খাদ্যগত রেস্ট্রিকশন থাকে। তাদের জন্যও এই রকম উদ্যোগ প্রশংসনীয় হবে বলেই মনে হয়।
আমাদের ঢাকা শহরে মানুষের অসুস্থ্য হওয়া এক বিশাল ভোগান্তির ব্যাপার। সুস্থ্য থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের দরকার। এই ব্যাপারে আমাদের আরো সচেতন ও উদ্যোগী হওয়া দরকার।

274
Permanent Campus of DIU / Healthy food corner required in restaurants.
« on: November 03, 2017, 11:42:23 AM »
বেশ কিছুদিন ধানমন্ডিতে অফিস ছিল। সারাদিনই কাটতো ধানমন্ডিতে। দুপুরের লাঞ্চ সেরে ফেলতাম অফিসের বাইরে কোথাও। সেখানে দেখেছিলাম খিচুড়ি, তেহারি, কাচ্চির দোকানের অভাব নাই। ফাস্ট ফুডের দোকানও অগুনিত। এক দুইদিন এই সব খাবার খাওয়া যায়। এছাড়াও স্বাস্থ্যগত কারণে এইগুলো প্রতিদিন খাওয়া ঠিক নয়। অনেক কষ্টে খুঁজে পেয়েছিলাম একটি হোটেল - যেখানে ভাত, মাছ, মুরগি, শাক-সব্জী পাওয়া যায়। তবে সেটা কোন মান সম্মত হোটেল ছিল না।
আমাদের ঢাকার সব হোটেল ও রেস্টুরেন্টের টার্গেট থাকে কিভাবে আরো মুখরোচক খাবার বিক্রি করা যায়। স্বাস্থ্যগত ব্যাপারগুলো এখানে আর খেয়াল করা হয় না।
এখন মানুষ সাস্থ্যগত ব্যাপারে অনেক সচেতন। অনেকেই এইসব ভারী খাবার এভোয়েড করে চলেন। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস রেস্টুরেন্ট ব্যাবসায়ী কেউ যদি তাদের মেন্যুতে সাস্থ্যসম্মত খাদ্য যোগ করে তাদের ব্যানারে "স্বাস্থ্যসম্মত খাবার" এই শব্দদ্বয় যোগ করেন তা অনেক ভাল উদ্যোগ বলে গণ্য হবে। এছাড়াও কাচ্চি বা ফাস্ট ফুডের বড় বড় দোকানে যদি শাক শব্জি সহ স্বাস্থ্যকর খাবারের কর্নার করা হয় তাহলে তা জনপ্রিয় হবে এইটা নিশ্চিত করে বলে যায়।
এই প্রসঙ্গে বলা যায় বিয়ে বৌভাত এই রকম অনুষ্ঠানে বয়স্ক অনেকেই যান। অনেকেই এর মধ্যে থাকেন যারা অনেক কাছের আত্মীয়। যাদের খাদ্যগত রেস্ট্রিকশন থাকে। তাদের জন্যও এই রকম উদ্যোগ প্রশংসনীয় হবে বলেই মনে হয়।
আমাদের ঢাকা শহরে মানুষের অসুস্থ্য হওয়া এক বিশাল ভোগান্তির ব্যাপার। সুস্থ্য থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের দরকার। এই ব্যাপারে আমাদের আরো সচেতন ও উদ্যোগী হওয়া দরকার।

275
১. ক্লাস সেভেনে প্রথম যখন ক্যাডেট কলেজে যাই তখন কিছুটা মন কেমন করলেও খুব খারাপ লাগতেছিল না। কিন্তু প্রথম টার্মের ছুটির শেষে বাসা ছেড়ে আবার যখন কলেজে যাওয়ার সময় হল তখন মন খুব খারাপ হল। আমার জীবনের অন্যতম মন খারাপের দিন। এতো খারাপ যে তিরিশ বছর আগের তারিখটাও স্পস্ট খেয়াল আছে। ৪ঠা সেপ্টেম্বর ১৯৮৬। এরপর প্রতি ছুটির শেষে মন খারাপ করে কলেজে ফিরতাম। আমাদের ক্লাসের প্রায় প্রত্যেকেই। এক বছর পর ক্লাস এইটের শেষের দিকে আমার মনে হতে লাগলো এক বাসা ছেড়ে আর এক বাসায় যাচ্ছি। অনেকটাই পছন্দ করি যে জায়গা। অর্থাৎ আমাদের সেটেল হতে মোটামুটি এক বছর লেগেছিলো। এখন আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন সব থেকে ভালো কলেজ কোনটা? বা তোমার সব থেকে ভালো বন্ধু কারা? বা তোমার কোথায় বার বার ফিরে যেতে ইচ্ছা করে? আমার মনে হয় এর উত্তর আপনাদের জানা আছে।
২. এই আমিই জীবনের অন্যতম মন খারাপের দিন কাটিয়েছি যেখানে যেতে হবে বলে - এখন ঠিক ওই জায়গাই প্রচন্ড মিস করি। এখন মন খারাপ থাকে সেখানে যেতে পারি না বলে।
তাহলে কোনটা সত্য? আমার ক্লাস সেভেনের মন খারাপ না এখনকার এই তীব্র আবেগ? যেটা পরের সেটা - না যেটা আগে বলা হয়েছে সেটা। কে মিথ্যাবাদী? ক্লাস সেভেনের আমি না তার পরের আমি?
৩. আমাদের মনের চোখে সব সময় এক একটি রঙিন চশমা থাকে। এক এক জনের চোখে এক এক রঙের। কখনো আবেগে, কখনো অভিজ্ঞতায়, কখনো বা দৃষ্টিভঙ্গির কারনে আমাদের চোখের চশমার রঙ বদলায়। সকালে যাকে মনে হয় রঙিন বিকালে তাকে নিশ্চিত ভাবে কাল মনে হয়। আমরা যার যার প্রিয় মানুষদের দেখি আমাদের আবেগের রঙের চশমা দিয়ে। তাই তাদের ভুল ত্রুটি আমাদের চোখে পড়ে না। একই ভাবে সব কিছুই আমরা বিচার বিশ্লেষণ করি মনের চোখে চশমা পড়ে। কেউ কেউ থাকে যাদের জীবনের সব কিছু আটকিয়ে আছে অর্থের অভাবের কারনে। তারা পৃথিবীকে যেভাবে দেখতে পায় - যারা সাহসী তারা আবার দেখে ভিন্ন ভাবে।
৪. কিছু দিন থেকে খবরে যা দেখি তাতে মনে হয় পৃথিবী খুব খারাপ সময় কাটাচ্ছে। কেউ কারো প্রতি সহানুভুতি দেখানোর মন মানসিকতায় নাই। যার যার আবেগকেই সবাই প্রাধান্য দিতেছে। একেক জন নিজের চোখের চশমার রংকেই সঠিক ভাবতেছে। অসহনিয়তা ক্রমে ক্রমে রুপ নিচ্ছে ধ্বংসাত্মক পরিণতিতে। সবাই নিজের কাছে সঠিক। এই ভ্রান্ত ধারনাকে পুঁজি করে অপরের অধিকারকে হেয় করতেছে। এইটাকেও কেউ অপরাধ মনে করতেছে না।
আমাদের মনে রাখতে হবে - আমাদের সবাইকে খালি চোখে দেখতে হবে দিনের সাদা আলোয়। কেবলমাত্র
শিক্ষা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, চিন্তাশীলতা, সহনশীলতাই তা নিশ্চিত করতে পারে।

(ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।)

276
১. ক্লাস সেভেনে প্রথম যখন ক্যাডেট কলেজে যাই তখন কিছুটা মন কেমন করলেও খুব খারাপ লাগতেছিল না। কিন্তু প্রথম টার্মের ছুটির শেষে বাসা ছেড়ে আবার যখন কলেজে যাওয়ার সময় হল তখন মন খুব খারাপ হল। আমার জীবনের অন্যতম মন খারাপের দিন। এতো খারাপ যে তিরিশ বছর আগের তারিখটাও স্পস্ট খেয়াল আছে। ৪ঠা সেপ্টেম্বর ১৯৮৬। এরপর প্রতি ছুটির শেষে মন খারাপ করে কলেজে ফিরতাম। আমাদের ক্লাসের প্রায় প্রত্যেকেই। এক বছর পর ক্লাস এইটের শেষের দিকে আমার মনে হতে লাগলো এক বাসা ছেড়ে আর এক বাসায় যাচ্ছি। অনেকটাই পছন্দ করি যে জায়গা। অর্থাৎ আমাদের সেটেল হতে মোটামুটি এক বছর লেগেছিলো। এখন আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন সব থেকে ভালো কলেজ কোনটা? বা তোমার সব থেকে ভালো বন্ধু কারা? বা তোমার কোথায় বার বার ফিরে যেতে ইচ্ছা করে? আমার মনে হয় এর উত্তর আপনাদের জানা আছে।
২. এই আমিই জীবনের অন্যতম মন খারাপের দিন কাটিয়েছি যেখানে যেতে হবে বলে - এখন ঠিক ওই জায়গাই প্রচন্ড মিস করি। এখন মন খারাপ থাকে সেখানে যেতে পারি না বলে।
তাহলে কোনটা সত্য? আমার ক্লাস সেভেনের মন খারাপ না এখনকার এই তীব্র আবেগ? যেটা পরের সেটা - না যেটা আগে বলা হয়েছে সেটা। কে মিথ্যাবাদী? ক্লাস সেভেনের আমি না তার পরের আমি?
৩. আমাদের মনের চোখে সব সময় এক একটি রঙিন চশমা থাকে। এক এক জনের চোখে এক এক রঙের। কখনো আবেগে, কখনো অভিজ্ঞতায়, কখনো বা দৃষ্টিভঙ্গির কারনে আমাদের চোখের চশমার রঙ বদলায়। সকালে যাকে মনে হয় রঙিন বিকালে তাকে নিশ্চিত ভাবে কাল মনে হয়। আমরা যার যার প্রিয় মানুষদের দেখি আমাদের আবেগের রঙের চশমা দিয়ে। তাই তাদের ভুল ত্রুটি আমাদের চোখে পড়ে না। একই ভাবে সব কিছুই আমরা বিচার বিশ্লেষণ করি মনের চোখে চশমা পড়ে। কেউ কেউ থাকে যাদের জীবনের সব কিছু আটকিয়ে আছে অর্থের অভাবের কারনে। তারা পৃথিবীকে যেভাবে দেখতে পায় - যারা সাহসী তারা আবার দেখে ভিন্ন ভাবে।
৪. কিছু দিন থেকে খবরে যা দেখি তাতে মনে হয় পৃথিবী খুব খারাপ সময় কাটাচ্ছে। কেউ কারো প্রতি সহানুভুতি দেখানোর মন মানসিকতায় নাই। যার যার আবেগকেই সবাই প্রাধান্য দিতেছে। একেক জন নিজের চোখের চশমার রংকেই সঠিক ভাবতেছে। অসহনিয়তা ক্রমে ক্রমে রুপ নিচ্ছে ধ্বংসাত্মক পরিণতিতে। সবাই নিজের কাছে সঠিক। এই ভ্রান্ত ধারনাকে পুঁজি করে অপরের অধিকারকে হেয় করতেছে। এইটাকেও কেউ অপরাধ মনে করতেছে না।
আমাদের মনে রাখতে হবে - আমাদের সবাইকে খালি চোখে দেখতে হবে দিনের সাদা আলোয়। কেবলমাত্র
শিক্ষা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, চিন্তাশীলতা, সহনশীলতাই তা নিশ্চিত করতে পারে।

(ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।)

277
Textile Engineering / My mystic follower.
« on: October 15, 2017, 08:43:53 PM »
অপলক তাকিয়ে আছে এক জোড়া চোখ। ঠিক যেভাবে সকালের স্নিগ্ধ রোদ ঘাড়ে পড়লে অনুভূতি জাগে - সিড়সিড়িয়ে উঠে সেই রকম অনুভূতি। কেউ একজন অপলক তাকিয়ে আছে স্থির দৃষ্টিতে। সকাল বিকাল কিংবা রাত - কেউ একজন তাকিয়ে থাকে। অসীম তার ধৈর্য। অপেক্ষায় আর আশায়।
কখনো মনে হয় অন্ধকারে দুটো লাল চোখ হিংস্র চোখে অপলক তাকিয়ে আছে। শুধু মুহূর্তের অসাবধান হওয়ার অপেক্ষায়। ছিন্নভিন্ন করে ছিঁড়ে ফেলবে - মুহূর্তের অসাবধানের সুযোগে।
কখনো মনে হয় এক জোড়া মমতাময়ী চোখ কি এক মমতায় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। গাছের পাতার ফাঁকে আকাশের কাছে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ভেবে চলি। কেউ একটা আছে - কিছু একটা আছে।
অন্ধকারে যখন হেটে চলি হঠাৎ থমকে দাড়িয়ে পিছনে ফিরে দেখি। শুনতে চেষ্টা করি প্রায় নিঃশব্দ শ্বাসের শব্দ।
কখনো মনে হয় চোখ দুটো বেদনায় নীল হয়ে আছে। শুনতে চেষ্টা করি অস্পস্ট গোঙানির আওয়াজ।
তাকিয়ে থাকে কখনো অজস্র চোখে। তারকাদের মত উপভোগ করে চলি অনুভুত সেই দৃষ্টি।  কখনো মনে হয় ভয়ার্ত সেই চোখ দুটি অপেক্ষায় আছে কখন চলে যাব। কিংবা কুকুরের ঠান্ডা চোখে অনুসরন করে চলে - নিশ্চিত করে চলে আমার নিরাপত্তা।
সে থাকে সবসময় - ছায়ার মত সারাক্ষণ। কখনোবা অন্ধকার জানালার বাইরে থেকে অপলক তাকিয়ে থাকে - ঘুমিয়েও অনুভব করি নিস্পলক তাকিয়ে থাকা দুটো চোখ।
গভীর আর নিশব্দ রাতে যখন পায়চারি করি। পায়ের আওয়াজের ছন্দময় তালে আরও একাকী মনে হয়। কিন্তু জানি সাথে জেগে আছে এক জোড়া চোখ - প্রতি পদক্ষেপে সে স্থির দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে আছে।

(আমার কবিতা লেখার তৃতীয় প্রয়াস।)

(ফেসবুক পোস্ট অক্টোবর ১২, ২০১৭)

278
Permanent Campus of DIU / My mystic follower.
« on: October 15, 2017, 08:42:51 PM »
অপলক তাকিয়ে আছে এক জোড়া চোখ। ঠিক যেভাবে সকালের স্নিগ্ধ রোদ ঘাড়ে পড়লে অনুভূতি জাগে - সিড়সিড়িয়ে উঠে সেই রকম অনুভূতি। কেউ একজন অপলক তাকিয়ে আছে স্থির দৃষ্টিতে। সকাল বিকাল কিংবা রাত - কেউ একজন তাকিয়ে থাকে। অসীম তার ধৈর্য। অপেক্ষায় আর আশায়।
কখনো মনে হয় অন্ধকারে দুটো লাল চোখ হিংস্র চোখে অপলক তাকিয়ে আছে। শুধু মুহূর্তের অসাবধান হওয়ার অপেক্ষায়। ছিন্নভিন্ন করে ছিঁড়ে ফেলবে - মুহূর্তের অসাবধানের সুযোগে।
কখনো মনে হয় এক জোড়া মমতাময়ী চোখ কি এক মমতায় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। গাছের পাতার ফাঁকে আকাশের কাছে চাঁদের দিকে তাকিয়ে ভেবে চলি। কেউ একটা আছে - কিছু একটা আছে।
অন্ধকারে যখন হেটে চলি হঠাৎ থমকে দাড়িয়ে পিছনে ফিরে দেখি। শুনতে চেষ্টা করি প্রায় নিঃশব্দ শ্বাসের শব্দ।
কখনো মনে হয় চোখ দুটো বেদনায় নীল হয়ে আছে। শুনতে চেষ্টা করি অস্পস্ট গোঙানির আওয়াজ।
তাকিয়ে থাকে কখনো অজস্র চোখে। তারকাদের মত উপভোগ করে চলি অনুভুত সেই দৃষ্টি।  কখনো মনে হয় ভয়ার্ত সেই চোখ দুটি অপেক্ষায় আছে কখন চলে যাব। কিংবা কুকুরের ঠান্ডা চোখে অনুসরন করে চলে - নিশ্চিত করে চলে আমার নিরাপত্তা।
সে থাকে সবসময় - ছায়ার মত সারাক্ষণ। কখনোবা অন্ধকার জানালার বাইরে থেকে অপলক তাকিয়ে থাকে - ঘুমিয়েও অনুভব করি নিস্পলক তাকিয়ে থাকা দুটো চোখ।
গভীর আর নিশব্দ রাতে যখন পায়চারি করি। পায়ের আওয়াজের ছন্দময় তালে আরও একাকী মনে হয়। কিন্তু জানি সাথে জেগে আছে এক জোড়া চোখ - প্রতি পদক্ষেপে সে স্থির দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে আছে।

(আমার কবিতা লেখার তৃতীয় প্রয়াস।)

(ফেসবুক পোস্ট অক্টোবর ১২, ২০১৭)

279
Textile Engineering / Different dimensions of life.
« on: September 24, 2017, 01:03:55 AM »
পাঁচ জন অন্ধ মানুষ ছিল।
তাদের খুব ইচ্ছা হল হাতি কেমন দেখতে তা অনুধাবন করা।
একজন লোক তাদেরকে একটি হাতির কাছে নিয়ে গিয়ে বলল - এই হচ্ছে হাতি।
প্রথম অন্ধ লোক হাত দিয়ে হাতির শুঁড় ধরলো। তার মনে হল হাতি হচ্ছে নলের মত।
দ্বিতীয় অন্ধ লোক হাতির দাঁত হাতড়াতে লাগলো। তার ধারণা হল - হাতি হচ্ছে তলোয়ারের মত।
তৃতীয় জন হাতির হাতির কান ধরে ভাবল - ও হাতি তাহলে কুলার মত।
চতুর্থ জন হাতির পা ধরে ভাবতে লাগলো - হাতি হল গাছের গুড়ির মত।
শেষ জন হাতির লেজ ধরে বুঝলো যে হাতি হল রশির মত।

তাই পরিশেষে একই হাতির বর্ণনা পাঁচ জনের কাছে পাঁচ রকম হয়ে গেল। 
তারা সবাই হলফ করে বলতে পারে যে তারা কেউ মিথ্যা কথা বলতেছে না। কিন্তু তাদের অনুধাবন ও বক্তব্য সত্য থেকে কত দূরে।

অন্ধ মানুষেরা যেভাবে একই হাতি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অনুধাবন করে - জীবন সম্পর্কে আমাদের অনুধাবনও সেই রকম।

আমাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় জীবন নিয়ে - জীবনের উদ্দেশ্যটা কি? বা জীবন কিভাবে কাটানো উচিৎ?
তাহলে আমাদের বর্ণনা হবে ঠিক সেই অন্ধ মানুষদের হাতির বর্ণনার মতই। এক এক জনের কাছে এক এক রকম।
কেউ জীবনে অর্থকে সব থেকে গুরুত্ব দেবে, কেউ দেবে জীবনের আনন্দকে, কেউ বা আরাম আয়েসকে। কেননা জীবন সম্পর্কে প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
যার যার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তারা ন্যায় ও সততার সাথেই বর্ণনা করে যাবে।
কেউ মিথ্যা বলবে না। কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ই তা জীবনের সার্বিক চিত্র ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হবে।

280
Permanent Campus of DIU / Different dimensions of life.
« on: September 24, 2017, 01:03:11 AM »
পাঁচ জন অন্ধ মানুষ ছিল।
তাদের খুব ইচ্ছা হল হাতি কেমন দেখতে তা অনুধাবন করা।
একজন লোক তাদেরকে একটি হাতির কাছে নিয়ে গিয়ে বলল - এই হচ্ছে হাতি।
প্রথম অন্ধ লোক হাত দিয়ে হাতির শুঁড় ধরলো। তার মনে হল হাতি হচ্ছে নলের মত।
দ্বিতীয় অন্ধ লোক হাতির দাঁত হাতড়াতে লাগলো। তার ধারণা হল - হাতি হচ্ছে তলোয়ারের মত।
তৃতীয় জন হাতির হাতির কান ধরে ভাবল - ও হাতি তাহলে কুলার মত।
চতুর্থ জন হাতির পা ধরে ভাবতে লাগলো - হাতি হল গাছের গুড়ির মত।
শেষ জন হাতির লেজ ধরে বুঝলো যে হাতি হল রশির মত।

তাই পরিশেষে একই হাতির বর্ণনা পাঁচ জনের কাছে পাঁচ রকম হয়ে গেল। 
তারা সবাই হলফ করে বলতে পারে যে তারা কেউ মিথ্যা কথা বলতেছে না। কিন্তু তাদের অনুধাবন ও বক্তব্য সত্য থেকে কত দূরে।

অন্ধ মানুষেরা যেভাবে একই হাতি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অনুধাবন করে - জীবন সম্পর্কে আমাদের অনুধাবনও সেই রকম।

আমাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় জীবন নিয়ে - জীবনের উদ্দেশ্যটা কি? বা জীবন কিভাবে কাটানো উচিৎ?
তাহলে আমাদের বর্ণনা হবে ঠিক সেই অন্ধ মানুষদের হাতির বর্ণনার মতই। এক এক জনের কাছে এক এক রকম।
কেউ জীবনে অর্থকে সব থেকে গুরুত্ব দেবে, কেউ দেবে জীবনের আনন্দকে, কেউ বা আরাম আয়েসকে। কেননা জীবন সম্পর্কে প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। 
যার যার জীবনের অভিজ্ঞতা তারা ন্যায় ও সততার সাথেই বর্ণনা করে যাবে।
কেউ মিথ্যা বলবে না। কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ই তা জীবনের সার্বিক চিত্র ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হবে।     

281
Permanent Campus of DIU / Deaths of philosophers.
« on: September 15, 2017, 02:51:44 PM »
গুগুলের সার্চে লিখলাম Death of great thinkers.
একটি ফলাফলে আসলো উইকিপিডিয়ার Death of philosophers সাইটটি। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম ফিলসফারদের বিশাল এক লিস্ট। যাদের সিংহ ভাগের মৃত্যু অনেক করুণ ভাবে হয়েছে। অনেকেরই মৃত্যু দন্ডের মাধ্যমে জীবন অবসান হয়েছে। লিস্টে নাম আছে প্লেটো, সক্রেটিস এদেরও।
আমাদের কাছে স্বাভাবিক মানুষ কারা?
যারা অর্থ ও ক্ষমতা পছন্দ করে। অন্ততঃ যাদের অর্থ ও ক্ষমতা আছে -
তাদের সমীহ করে। দরকারে অল্পসল্প মিথ্যা কথাও বলে।
সমস্যা বাঁধে তখনই যখন কেউ দুনিয়ার ভাল মন্দ নিয়ে চিন্তা করে। আমরা ভাবি যে আমাদের মাথা আছে শুধু টাকা পয়সা কামানোর জন্যই। আমাদের মেধা শুধু আমাদের জীবনে আরাম আয়েস নিশ্চিত করার জন্য। জীবন নিয়ে ভাবার দরকার বা সময় কোনটাই আমাদের নাই।
আমাদের কাছে স্বার্থপর মানুষেরাই স্বাভাবিক মানুষ।
চিন্তাশীল শিক্ষিত মানুষেরাই জানে কত ক্ষুদ্র স্বার্থে ভ্রান্ত পথে চলতেছে মানুষ।
সাপ বেজির জন্মগত শত্রু। তাদের সাক্ষাৎ হওয়া মানে এক মরণপণ লড়াই। ঠিক সেই রকম ভাবে সবসময়ই চিন্তাশীল মানুষেরা ক্ষমতাবানদের পথের কাঁটা হয়ে দেখা দেয়। তারাও একই রকম জাত শত্রু। তাই ফিলসফারদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর হারও এতো বেশী।
যুগে যুগে চিন্তাশীলদের প্রতি পদে কষ্ট ও সংগ্রাম করতে হয়েছে।
আমার অনুধাবন হল আমাদের এই সমসাময়িক কাল, চিন্তাশীল মানুষদের জন্য আরো অনেক বেশী প্রতিকুল।

(আগ্রহীরা এই সাইটটি দেখতে পারেনঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Deaths_of_philosophers)

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া।)

282
Textile Engineering / Deaths of philosophers.
« on: September 15, 2017, 02:50:31 PM »
গুগুলের সার্চে লিখলাম Death of great thinkers.
একটি ফলাফলে আসলো উইকিপিডিয়ার Death of philosophers সাইটটি। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম ফিলসফারদের বিশাল এক লিস্ট। যাদের সিংহ ভাগের মৃত্যু অনেক করুণ ভাবে হয়েছে। অনেকেরই মৃত্যু দন্ডের মাধ্যমে জীবন অবসান হয়েছে। লিস্টে নাম আছে প্লেটো, সক্রেটিস এদেরও।
আমাদের কাছে স্বাভাবিক মানুষ কারা?
যারা অর্থ ও ক্ষমতা পছন্দ করে। অন্ততঃ যাদের অর্থ ও ক্ষমতা আছে -
তাদের সমীহ করে। দরকারে অল্পসল্প মিথ্যা কথাও বলে।
সমস্যা বাঁধে তখনই যখন কেউ দুনিয়ার ভাল মন্দ নিয়ে চিন্তা করে। আমরা ভাবি যে আমাদের মাথা আছে শুধু টাকা পয়সা কামানোর জন্যই। আমাদের মেধা শুধু আমাদের জীবনে আরাম আয়েস নিশ্চিত করার জন্য। জীবন নিয়ে ভাবার দরকার বা সময় কোনটাই আমাদের নাই।
আমাদের কাছে স্বার্থপর মানুষেরাই স্বাভাবিক মানুষ।
চিন্তাশীল শিক্ষিত মানুষেরাই জানে কত ক্ষুদ্র স্বার্থে ভ্রান্ত পথে চলতেছে মানুষ।
সাপ বেজির জন্মগত শত্রু। তাদের সাক্ষাৎ হওয়া মানে এক মরণপণ লড়াই। ঠিক সেই রকম ভাবে সবসময়ই চিন্তাশীল মানুষেরা ক্ষমতাবানদের পথের কাঁটা হয়ে দেখা দেয়। তারাও একই রকম জাত শত্রু। তাই ফিলসফারদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর হারও এতো বেশী।
যুগে যুগে চিন্তাশীলদের প্রতি পদে কষ্ট ও সংগ্রাম করতে হয়েছে।
আমার অনুধাবন হল আমাদের এই সমসাময়িক কাল, চিন্তাশীল মানুষদের জন্য আরো অনেক বেশী প্রতিকুল।

(আগ্রহীরা এই সাইটটি দেখতে পারেনঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Deaths_of_philosophers)

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া।)

283
Textile Engineering / How much land does a man need?
« on: September 10, 2017, 09:45:44 PM »
How much land does a man need? একজন মানুষের কতটুকু জমি প্রয়োজন?
তাকে বলা হয়েছিল সূর্যাস্তের আগে সে যতটুকু জমি ঘুরে আসতে পারবে পুরোটাই তার হবে। লোভে পড়ে সে সারাদিন বহুদূর চলল। তার মনে লোভ জেগে উঠল। আর কিছু দূর আর কিছু দূর করে বহু দূর চলল। এবার ফেরার পালা। সূর্যাস্তের আগে সে প্রানপনে দৌড়িয়ে চলল। ঘুরে পুরো জায়গাটা বেড় দেওয়ার জন্য। কিন্তু সে তা পারলো না। সূর্যাস্তের সময় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো। তাকে মাটিতে দাফন করা হল। পরিশেষে প্রশ্নটির উত্তর মিলল। তা হল একজন মানুষের ছয় ফুট জমি দরকার। যাতে তাকে দাফন করা হবে।
প্রতিদিন বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে আমাদের প্রলুব্ধ করা হয় বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করার জন্য। আমাদেরও মনে হয় আর একটু আর একটু। আমাদের লোভ সব সময় ক্রিয়াশীল থাকে। মনে হয় পৃথিবীটাই কিনে ফেলি। সবই আমাদের দরকার সবই আমাদের চাই। আমরাও টাকার পিছনে হন্যে হয়ে ঘুরি সূর্যাস্তের পরেও বহু রাত অবধি। খেয়ে না খেয়ে দৌড়িয়ে চলি টাকা নামক সোনার হরিণের পিছনে।
আমার মনে হয় পরিশেষে সবাই এই প্রশ্নের উত্তরটা মৃত্যু কালে জানতে পারে - How much money does a man need?
মৃত্যুর আগে আমরা কেউ এর উত্তর জানতে পারি না।

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে।)

284
Permanent Campus of DIU / How much land does a man need?
« on: September 10, 2017, 09:45:09 PM »
How much land does a man need? একজন মানুষের কতটুকু জমি প্রয়োজন?
তাকে বলা হয়েছিল সূর্যাস্তের আগে সে যতটুকু জমি ঘুরে আসতে পারবে পুরোটাই তার হবে। লোভে পড়ে সে সারাদিন বহুদূর চলল। তার মনে লোভ জেগে উঠল। আর কিছু দূর আর কিছু দূর করে বহু দূর চলল। এবার ফেরার পালা। সূর্যাস্তের আগে সে প্রানপনে দৌড়িয়ে চলল। ঘুরে পুরো জায়গাটা বেড় দেওয়ার জন্য। কিন্তু সে তা পারলো না। সূর্যাস্তের সময় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো। তাকে মাটিতে দাফন করা হল। পরিশেষে প্রশ্নটির উত্তর মিলল। তা হল একজন মানুষের ছয় ফুট জমি দরকার। যাতে তাকে দাফন করা হবে।
প্রতিদিন বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে আমাদের প্রলুব্ধ করা হয় বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করার জন্য। আমাদেরও মনে হয় আর একটু আর একটু। আমাদের লোভ সব সময় ক্রিয়াশীল থাকে। মনে হয় পৃথিবীটাই কিনে ফেলি। সবই আমাদের দরকার সবই আমাদের চাই। আমরাও টাকার পিছনে হন্যে হয়ে ঘুরি সূর্যাস্তের পরেও বহু রাত অবধি। খেয়ে না খেয়ে দৌড়িয়ে চলি টাকা নামক সোনার হরিণের পিছনে।
আমার মনে হয় পরিশেষে সবাই এই প্রশ্নের উত্তরটা মৃত্যু কালে জানতে পারে - How much money does a man need?
মৃত্যুর আগে আমরা কেউ এর উত্তর জানতে পারি না।

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে।)

285
Textile Engineering / Evil that a mobile can do to a child.
« on: September 09, 2017, 09:36:14 PM »
নিজের কাজের কথা মনে করে ট্যাবটি কিনেছিলাম। আগে দিনে অফিসে আসতে যেতে ৪ - ৫ ঘন্টা জার্নি করতে হত। ভেবেছিলাম পথে অনেক কাজ করতে পারবো। কিন্তু কবে থেকে সেটি আমার ছেলে মেয়ে দখল করে নিয়েছে মনে নাই। বাচ্চারা মোবাইল বা ট্যাবে গেম খেলতে পছন্দ করে। পেপারের একটি লেখায় পড়লাম বাচ্চাদের মোবাইল বা ট্যাব অতিরিক্ত ব্যাবহারের কুফল। সব থেকে খারাপ যেটা হয় সেটি হল বাচ্চারা মোবাইল দেখার সময় একেবারেই ঘাড় নাড়ায় না। হাত পা নাড়ানোর হারও অনেক কমে যায়। অথচ কম বয়সী বাচ্চারা সাধারণ ভাবে অনেক বার হাত পা ও ঘাড় নাড়ায়। সারাদিনে কয়েক হাজার বার। এটি তাদের শারীরিক বর্ধনের জন্য অনেক দরকারি।
ওই লেখা পড়ার দিনই মোবাইল ও ট্যাবে পিন নাম্বার দিয়ে লক করে দিলাম। বলেছিলাম দিনে শুধু এক বার দেখতে পারবে। ভেবেছিলাম ওরা অনেক মন খারাপ করবে। কিন্তু ২ - ৩ দিন হয়ে গেল মোবাইল ও ট্যাব ওই ভাবেই পড়ে রয়েছে। তারা এখন সারাদিন নিজেরা খেলাধুলায় ব্যাস্ত থাকতেছে। ট্যাব ও মোবাইলের কথা তারা ভুলে গেছে।

(আজকে আরেকটি লেখায় পড়লাম ব্লু হোয়েল নামের গেম কিভাবে বাচ্চাদের ব্রেন ওয়াস করে দেয়। এই গেমে প্রতিদিন বাচ্চাদের একটি করে উৎভট টাস্ক দেয়া হয়। যা আস্তে আস্তে  পৃথিবী ও জীবন সম্পর্কে বিতৃষ্ণা এনে দেয়। এমনকি কেউ কেউ আত্মহত্যাও করে। শিশুরা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক কৌতূহলী হয়। ভাল মন্দ বোঝার ক্ষমতাও তাদের থাকে না। তাই বাচ্চাদের মোবাইল কেবল মাত্র কথা বলার জন্য দেয়া উচিৎ। আমরা যতটা কঠিন ভাবি তার থেকে অনেক সহজ তাদেরকে এই গুলো থেকে দূরে রাখা।)

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া।)

Pages: 1 ... 17 18 [19] 20 21 ... 26