Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - khadija kochi

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7
76
কারিপাতা রাইস

ছবি: খালেদ সরকারউপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, হলুদ গুঁড়া ১ চিমটি, নারিকেল কোরানো ১ কাপ, কারিপাতা ১ মুঠ, গোটা সরিষা ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা-চামচ ও তেল আধা কাপ।
প্রণালি: পোলাওয়ের চাল লবণ দিয়ে ঝরঝরে করে সেদ্ধ করে নিন। প্যানে তেল গরম করে তাতে সরিষা কারিপাতার ফোড়ন দিয়ে হলুদ দিন। এবার তাতে সেদ্ধ করা ভাত ও নারিকেল কোরা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মেশান। এবার নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

মুরগির বিরিয়ানি
মুরগির বিরিয়ানিউপকরণ: দেশি মুরগি ৪ টি, পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, আদার রস সিকি কাপ, রসুনের রস ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই আধা কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, কেওড়া জল ৪ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা দেড় কাপ, গুঁড়া দুধ ৪ টেবিল চামচ, ঘি ১ কাপ, তেল আধা কাপ, টমেটো সস সিকি কাপ, জয়ফল-জয়ত্রী-এলাচ-দারুচিনি ৪টি করে, জর্দার রং সামান্য, জাফরান ১ চিমটি, আলু বোখারা ৭/৮ টি, মাওয়া আধা কাপ, গোটা শাহি জিরা ১ চা-চামচ, আলু আধা কেজি, লবণ পরিমাণমতো ও আটা আধা কেজি।
প্রণালি: মুরগি ৪ টুকরা করে কেটে ধুয়ে ২ টেবিল চামচ লবণ, আধা কাপ টক দই ও ১ কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিন ১৫ মিনিট। এরপর দইয়ের মিশ্রণ থেকে তুলে নিন। ওই মাংসে আধা কাপ মিষ্টি দই, মরিচ গুঁড়া, আদা-রসুনের রস, গুঁড়া দুধ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া, কেওড়া জল, টমেটো সস, পোস্তদানা বাটা, বাদাম বাটা ও প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন।

চাল ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে চালের ৪ গুণ পানি দিয়ে ফুটিয়ে ভেজানো চাল ও প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে দিন। সঙ্গে আধা চা-চামচ শাহি জিরা ও এলাচ দারুচিনি
৪টি করে দিয়ে দিন। চাল প্রায় সেদ্ধ হয়ে এলে ছেঁকে ফ্যানের নিচে ছড়িয়ে দিন। চাল পুরোপুরি সেদ্ধ হবে না।
আলুগুলো আধা কাপ তেলে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ভেজে নিন। একটু পর ২ টেবিল চামচ বেরেস্তা ও ১ চা-চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। যে পাত্রে বিরিয়ানি রাঁধবেন সেই পাত্রে প্রথমে মেরিনেট করা মাংস দিন। তার ওপর ভাজা আলু ও তেল দিন। মাওয়া ও বেরেস্তা ১ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে ভেঙে আলুর ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে। মাংসের ওপর রান্না চালগুলো বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর ঘি ছড়িয়ে দিন। চালের মাঝে মাঝে আলু বোখারা গুঁজে দিন। বাকি আধা চা-চামচ, শাহি জিরা ও কেওড়া জল ছড়িয়ে দিন।
আধা কাপ দুধে কেশর ভিজিয়ে চালে ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। আটা গুলিয়ে কাই বানিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিন। তবে একটি চায়ের চামচ দিয়ে ২টি জায়গায় ছোট ফাঁকা রাখুন। চুলায় তাওয়া বসিয়ে তার ওপর পাতিল বসিয়ে দিন। প্রথম ১০ মিনিট বেশি জ্বালে তারপর মৃদু আঁচে ১ ঘণ্টা চুলায় রেখে আঁচ বন্ধ করে দিন। এভাবে আরও ১৫ মিনিট চুলার ওপর রেখে নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

কোর্মা বিরিয়ানি
কোর্মা বিরিয়ানিউপকরণ: খাসির মাংস ছোট করে কাটা ১ কেজি, বাসমতি চাল আধা কেজি, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ছোট এলাচ ৪ টি, কিশমিশ সিকি কাপ, আলুবোখারা ৭/৮ টি, পুদিনা পাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫/৬ টি, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, জর্দার রং সামান্য, সিরকা ১ টেবিল চামচ, ঘি-তেল দেড় কাপ, কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো। কোর্মার মসলা (ছোট এলাচ ৬ টি, বড় এলাচ ৩ টির বিচি, লবঙ্গ ৪ টি, সাদা গোলমরিচ ৬টি ও দারুচিনি ৪/৫টা। এই মসলাগুলো চুলার পাশে রেখে মচমচে করে গুঁড়া করে
নিতে হবে)।
প্রণালি: দই, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ভাজা, জিরা, লবণ, সিকি কাপ তেল, ২ টেবিল চামচ ঘি,১ টেবিল চামচ কেওড়াজল ও কোর্মার মসলা অর্ধেক দিয়ে মাংস মেখে রাখুন। পাত্রের ১ কাপ তেল ও ঘি দিয়ে বেরেস্তা করে অর্ধেক তুলে নিন। বাকি অর্ধেক বেরেস্তার মধ্যে মাংস দিয়ে কোর্মার মতো রান্না করুন। নামানোর আগে বাকি অর্ধেক মসলা দিয়ে দিন।
চাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ছেঁকে নিন। অন্য পাত্রে চালের ৪ গুণ গরম পানি করে তাতে কাঁচামরিচ ৫/৬ টি, এলাচ ৪/৫ টি, পুদিনাপাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারুচিনি ২/৩ টুকরা ও শাহি জিরা আধা চা-চামচ দিন। পানি ফুটে গেল ভেজানো চাল দিন। চাল আধা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
এবার বিরিয়ানি রান্নার পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন। এবার কিছুটা আধা সেদ্ধ চাল ছড়িয়ে অর্ধেক পরিমাণ মাংস ঢেলে দিন। এর ওপর বেরেস্তা ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। মাংসের ওপর আবার একইভাবে রান্না করা ভাত ও মাংসের স্তর সাজান। ওপরে আবার চাল দিন। এখানে ভাতের স্তর হবে তিনটি এবং মাংসের স্তর হবে দুটি। সবার ওপরে বাকি ঘি এবং দুধে ভেজানো কেওড়া ছড়িয়ে দিয়ে আলু বোখারা গুজে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ২০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

77
Faculty Forum / নাশতার আয়োজনে
« on: November 23, 2015, 09:23:27 PM »
কিমা কর্ন ফ্লেকস রোল

কিমা কর্ন ফ্লেকস রোলউপকরণ: মাংসের কিমা ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, পাউরুটির গুঁড়া ও কর্ন ফ্লেকস পরিমাণমতো। গোলার জন্য ময়দা আধা কাপ, ডিম ১টা, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণমতো, শুকনা মরিচ আধা চা-চামচ।
প্রণালি: রোলের সব উপকরণ পরিমাণমতো পানি দিয়ে গোলা বানিয়ে নিন। কর্ন ফ্লেকস বাদে কিমার সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মেখে নিন। হাত দিয়ে লম্বা লম্বা রোল বানিয়ে নিন। কর্ন ফ্লেকস হাত দিয়ে ভেঙে নিন। কিমার রোল গোলায় ডুবিয়ে কর্ন ফ্লেকসে গড়িয়ে নিন। ডুবোতেলে সোনালি করে ভেজে নিন। এবার হট সস দিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

স্প্রিং বিফ
স্প্রিং বিফহান্টার বিফ
উপকরণ (ক): গরুর মাংস আধা কেজি গোটা টুকরা, সিরকা ৩ টেবিল চামচ, লেবুর রস ৩ টেবিল চামচ, ক্যারামেল (চুলায় পাত্রে চিনি ও পানি দিয়ে, পোড়া পোড়া করে ক্যারামেল বানিয়ে নিন) ১ টেবিল চামচ, খাওয়ার সোডা আধা চা-চামচ, লবণ ৩ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ।
প্রণালি: মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন, তারপর কাপড় দিয়ে মুছে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। একটি পাত্রে সিরকা, লেবুর রস, গুড় ও ক্যারামেল মিশিয়ে নিন। মাংসের টুকরার এপিঠ-ওপিঠ কাঁটাচামচ দিয়ে কেঁচে নিন। এবার মাংসে সিরকার মিশ্রণ মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। মাংস যেন মিশ্রণে ডুবে থাকে। এবার ভালো করে ধুয়ে ডুবো পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা সেদ্ধ করুন। মাংস সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে খোলা বাতাসে রেখে ঠান্ডা করে নিন। পাতলা শিটের মতো কেটে নিন।
উপকরণ (খ): হান্টার বিফ পাতলা টুকরা ১০-১২টি, ময়দা আধা কাপ, বেসন সিকি কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, ডিম ১টি, গোলমরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ঘি পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, আলুভাজা পরিমাণমতো।
প্রণালি: ময়দা, বেসন, বেকিং পাউডার, ডিম, গোলমরিচ গুঁড়া ও লবণ সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে ব্যাটার তৈরি করে নিন। মিশ্রণটা একটু ঘন হবে। এবার ফ্রাইপ্যানে ঘি দিন। গরম হলে মাংসের টুকরা ব্যাটারে ডুবিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন। আলুভাজা দিয়ে পরিবেশন করুন।

পাঁচমিশালি নুডলস
পাঁচমিশালি নুডলসউপকরণ: নুডলস ২ কাপ, চিংড়ি কুচি আধা কাপ, ডিম ২টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, পনির আধা কাপ, তেল ৬ টেবিল চামচ, ধনেপাতা পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো, সয়া সস ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, নানা রকম সবজি হালকা
সেদ্ধ ১ কাপ।
প্রণালি: নুডলস সেদ্ধ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন, খেয়াল রাখবেন যেন না ভাঙে। ডিম ওমলেট করে কুচি করে নিন। চুলায় পাত্রে তেল দিয়ে, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু নেড়ে নিন। এতে চিংড়ি কুচি দিয়ে কাঁচা মরিচ কুচি, সয়া সস ও লবণ দিন। ডিমের কুচি অর্ধেকটা দিন। এবার নুডলস দিয়ে নেড়েচেড়ে ধনেপাতা দিন। সবশেষে সবজি ও বাকি ডিমের কুচি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

সবজির প্যানকেক
সবজির প্যানকেকউপকরণ: ময়দা ১ কাপ, ডিম ১টা, দুধ দেড় কাপ, ঝিঙে ১ কাপ (পাতলা কুচি), ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বিচি ফেলা কাঁচা মরিচ কুচি পরিমাণমতো।
প্রণালি: বাটিতে দুধ ও ডিম বিট করে নিন। এরপর ময়দা, লবণ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে বিট করে মসৃণ ডো বানিয়ে নিন। এতে ঝিঙে ও ধনেপাতা কুচি মিলিয়ে ঢেকে রেখে দিন। ১৫ মিনিট পরে ফ্রাইপ্যান চুলায় দিন। নরম কাপড়ে তেল একটু মেখে ফ্রাইপ্যানে বুলিয়ে নিন। প্যানকেক বানাতে বেশি তেল লাগবে না। এতে প্যানকেক একটা করে দিয়ে সেঁকে নিন। সব বানানো হয়ে গেলে ওপরে মুরগির টপিং দিয়ে পরিবেশন করুন।
মুরগির টপিং:
উপকরণ: সেদ্ধ মুরগির মাংসের কুচি ১ কাপ, চিনি আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ২টা (বিচি বাদ দিয়ে কুচি করা), মেয়োনেজ আধা কাপ, লেবুর রস ২ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ। সব উপকরণ একসঙ্গে চামচ দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে স্বাদ দেখে প্যানকেকের ওপরে দিয়ে পরিবেশন করুন।

78
Faculty Forum / চীনা খাবারের স্বাদ
« on: November 23, 2015, 09:21:08 PM »
এ দেশে বিদেশি কোন খাবার সবচেয়ে জনপ্রিয়?
যারা শহরে থাকেন, তাদের কাছে উত্তরটা বেশ সহজ, চীনের খাবার।
এবার ঐতিহ্যবাহী চীনা খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল। চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল, ইডাচু লিমিটেড চায়না এবং চীনা দূতাবাসের সহায়তায় এখানে আয়োজন করা হয় ‘চৈনিক খাবারের উৎসব’।
৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় সোনারগাঁও হোটেলে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং। ছিলেন সোনারগাঁ হোটেলের মহাব্যবস্থাপক ই জে ম্যাকইভান।
উৎসব উপলক্ষে দূর থেকে সোনারগাঁ হোটেলকে দেখে মনে হয়েছে, যেন এক টুকরো ‘চায়না টাউন’। লাল রঙের নানা আকারের চীনা লণ্ঠন দিয়ে সাজানো হয় হোটেলের প্রাঙ্গণ এবং প্রবেশ পথ।
চারদিনের এই উৎসবে ছিল চীনা খাবার আর পানীয়। চীন থেকে আসেন সাতজন শেফ। ক্যাফে বাজার রেস্টুরেন্টে ছিল অভিজ্ঞ শেফদের রন্ধনশিল্প প্রদর্শনী। কিছু খাবার তাঁরা তৈরি করেন সবার সামনেই। আর তা উপভোগ করেছেন সবাই। উৎসবের প্রথম দিন সৃষ্টিশীল রন্ধনশিল্প কর্মশালা ও ঐতিহ্যবাহী চীনা সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। তা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্যাপন করার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম এই চৈনিক খাবারের উৎসব। উৎসব শেষ হয়েছে ৭ নভেম্বর।

79
Faculty Forum / জ্যাম-জেলি বাড়িতেই
« on: November 23, 2015, 09:20:00 PM »
আনারস জ্যাম
উপকরণ: আনারসের পাল্প ৩ কাপ, অ্যাগার অ্যাগার দেড় চা-চামচ, সাইট্রিক অ্যাসিড আধা চা-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, চিনি সাড়ে তিন কাপ, সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চা-চামচ, আনারস এসেন্স ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ।
প্রণালি: আনারস দুই ভাগ করে কাঁটা চামচ দিয়ে কেচে নিন। অথবা ব্লেন্ড করে নিন। এবার চিনিসহ চুলায় সেদ্ধ দিন। সঙ্গে আদা ও লবণ দিয়ে দিন। অ্যাগার অ্যাগার গরম পানি দিয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে আনারসের মিশ্রণে ঢেলে দিন। আনারস যখন ঘন থকথকে হয়ে আসবে, তখন চুলা থেকে নামিয়ে সোডিয়াম বেনজয়েট, সাইট্রিক অ্যাসিড ও পাইনঅ্যাপল এসেন্স দিয়ে মিশিয়ে দিন। এবার নামিয়ে বয়ামে ঢেলে সংরক্ষণ করুন।

মেস্তার জ্যাম

মেস্তার জ্যামউপকরণ: মেস্তা ফল ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, পানি ৪ কাপ।
প্রণালি: মেস্তার পাপড়িগুলো ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ৩ কাপ গরম পানি দিয়ে চুলায় বসান। ফুটে উঠলে পানি ঝরিয়ে আবার ১ কাপ পানি দিয়ে চুলায় অল্প আঁচে বসান। গলে গেলে চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। মেস্তা গলে না গেলে আরও একটু পানি দিন। চিনি গলে ঘন জ্যামের মতো হলে নামিয়ে বোতলে সংরক্ষণ করুন।
প্রিজারভেটিভ না দিলে এটি ৪/৫ দিন ভালো থাকবে। অনেক দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে আধা চা-চামচ করে সোডিয়াম বেনজয়েট ও পটাসিয়াম মেটাবাইসালফাইট দিতে হবে।

সিনথেটিক জেলি

সিনথেটিক জেলিউপকরণ: চায়না গ্রাস এক কাপ, সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চা-চামচ, অরেঞ্জ ইমালশন পৌনে এক চা-চামচ, অরেঞ্জ ওয়েল ১ চা-চামচ, অরেঞ্জ সুইট এসেন্স আধা চা-চামচ, পানি ১ লিটার, চিনি ১ কেজি, সাইট্রিক অ্যাসিড দেড় চা-চামচ।
প্রণালি: চায়না গ্রাস কুচি করে ১ কাপ মেপে নিন। ২ কাপ পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে চুলায় বসান মৃদু আঁচে। যখন চায়না গ্রাস গলে যাবে, তখন পাত্রটি গরম পানির বাটিতে আবার ডুবিয়ে রাখতে হবে। না হলে এই মিশ্রণ আবার জমে যাবে। অন্য পাত্রে পানি ও চিনি মেপে চুলায় জ্বাল দিন। এই পানি জ্বাল দিতে দিতে এক-তৃতীয়াংশ হয়ে গেলে চায়না গ্রাসের মিশ্রণ দিয়ে আবার জ্বাল দিন। চায়না গ্রাসের মিশ্রণ যখন শুকিয়ে প্রায় অর্ধেক হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর এ থেকে আধা কাপ নিয়ে তাতে বাকি সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে পুরোটা জেলির পাত্রে ঢেলে দিন। খুব ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে গরম-গরম বোতলে ভরে রাখুন। ঠান্ডা হলে মোম গলিয়ে দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে দিতে হবে।
কমলা মারমালেড
কমলা মারমালেডউপকরণ: কমলার রস ২ কাপ, মালটার রস ২ কাপ, চায়না গ্রাস কুচি ১ কাপ, সাইট্রিক অ্যাসিড ১ চা-চামচ, চিনি ৪ কাপ, কমলার খোসা ২ টেবিল চামচ, সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চা-চামচ, অরেঞ্জ ইমালশন আধা চা-চামচ, অরেঞ্জ অয়েল আধা চা-চামচ।
প্রণালি: চায়না গ্রাস ২ কাপ পানি দিয়ে ১৫ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর মৃদু আঁচে গলিয়ে নিন। কমলার খোসা লম্বা পাতলা কুচি করে সেদ্ধ করতে দিন। পানি ঝরিয়ে অল্প চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে নিন। কমলা ও মালটার রস চিনি দিয়ে চুলায় বসান। কমলা ও চিনির শিরা ঘন হয়ে এলে চায়না গ্রাসের মিশ্রণ ঢেলে জ্বাল দিন। মোটামুটি ঘন হয়ে এলে কমলার খোসাগুলো দিয়ে নামিয়ে নিন। বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে গরম-গরম বয়ামে ভরে ঠান্ডা করে নিন। ওপরে মোমের স্তর দিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন।

 

মিশ্র ফলের জ্যাম

মিশ্র ফলের জ্যামউপকরণ: পছন্দের নানা রকম ফলের পাল্প (আম, পেঁপে, আনারস, কমলা, মালটা, আপেল, আঙুর ইত্যাদি) ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, অ্যাগার অ্যাগার দেড় চা-চামচ, সাইট্রিক অ্যাসিড দেড় চা-চামচ, ম্যাঙ্গো ইমালশন সিকি চা-চামচ, ম্যাঙ্গো সুইট এসেন্স আধা চা-চামচ, অরেঞ্জ ওয়েল ১ চা-চামচ, অরেঞ্জ ইমালশন ১ চা-চামচ, পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইট সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: ফলের পাল্প হাঁড়িতে ঢেলে দিয়ে চিনি দিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। অ্যাগার অ্যাগার আধা কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। চিনি গলে গিয়ে ফলের রসের সঙ্গে মিশে গেলে ভেজানো অ্যাগার অ্যাগার দিয়ে নাড়ুন। ঘন হয়ে জমে এলে নামিয়ে সাইট্রিক অ্যাসিড ও অন্য উপকরণগুলো আধা কাপ জ্যামের মিশ্রণে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এটি পুরো জ্যামের মধ্যে দিয়ে নাড়ুন। এবার গরম-গরম বোতলে সংরক্ষণ করুন।

পেয়ারার জেলি

পেয়ারার জেলিউপকরণ: পাকা পেয়ারার রস ৪ কাপ, চিনি ৪ কাপ, অ্যাগার অ্যাগার আড়াই চা-চামচ, সাইট্রিক অ্যাসিড ১ চা-চামচ, পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইট সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: পাকা পেয়ারা কেটে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিন। নাড়া দেওয়া যাবে না। অ্যাগার অ্যাগার আধা কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। পেয়ারার রস আবার ছেঁকে চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। শিরা ঘন হলে ভেজানো অ্যাগার অ্যাগার দিয়ে জ্বাল দিন। রস যখন এক-তৃতীয়াংশ শুকিয়ে যাবে, তখন সাইট্রিক অ্যাসিড ও পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইট দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে গরম-গরম বোতলে সংরক্ষণ করুন।

মিশ্র ফলের জেলি
মিশ্র ফলের জেলিউপকরণ: আম, আনারস, পেঁপে, কমলা, মালটা, আপেল ইত্যাদি ফলের রস দেড় কেজি, চিনি দেড় কেজি, অ্যাগার অ্যাগার আড়াই চা-চামচ, পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইট সিকি চা-চামচ, সাইট্রিক অ্যাসিড দেড় চা-চামচ, অরেঞ্জ ওয়েল ১ চা-চামচ, ম্যাঙ্গো ইমালশন সিকি চা-চামচ, সুইট ম্যাঙ্গো এসেন্স আধা চা-চামচ, অরেঞ্জ ইমালশন আধা চা-চামচ, সুইট অরেঞ্জ এসেন্স আধা চা-চামচ।
প্রণালি: সব ফল খোসা ছাড়িয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। পাতলা মার্কিন কাপড়ে দুই দফা ছেঁকে নিন। অ্যাগার অ্যাগার আধা কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ফলের রস ও চিনি চুলায় ফোটান। চিনি গলে গেলে অ্যাগার অ্যাগার দিন। জ্বাল দিতে দিতে যখন অর্ধেক হয়ে আসবে, তখন নামিয়ে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এবার নামিয়ে গরম-গরম বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন।

 

80
Faculty Forum / সবজির নতুন স্বাদ
« on: November 23, 2015, 09:17:34 PM »
কচুর তিলোত্তমা

কচুর তিলোত্তমাউপকরণ: শোলা বা নারকেল কচুর গোড়ার ওপরের অংশ লম্বা জুলিয়ান করে কাটা ২ কাপ, লবণ ২ চা-চামচ, পানি ৪ কাপ।
প্রণালি: কচুর টুকরাগুলো ছবির মতো নকশা করে কেটে নিন। পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তুলে আলতো করে চেপে নিয়ে পানি ঝরিয়ে ব্যাটারে ডুবিয়ে গরম ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে নিন। গরম-গরম পরিবেশন করুন।
ব্যাটারের উপকরণ: কর্নফ্লাওয়ার আধা কাপ, ময়দা সিকি কাপ, লবণ সামান্য, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, তিল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: সব উপকরণ মিশিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঘন ব্যাটার বানিয়ে নিন।


সবজি প্যান পিৎজা

সবজি প্যান পিৎজাপিৎজা ডোয়ের উপকরণ: ময়দা আড়াই কাপ, ইস্ট দেড় চা-চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, মাখানোর জন্য কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো। এই ডো দিয়ে তিনটি পিৎজা হবে।
প্রণালি: মিক্সিং বোলে তেল ও পানি বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার পানি দিয়ে ভালো করে মথে তেল দিয়ে অল্প মাখিয়ে ১ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন।
পুরের উপকরণ: সবজি (ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, টমেটো, ক্যাপসিকাম, বাটন মাশরুম, স্প্রিং অনিয়ন) ছোট কুচি করে কাটা প্রতিটি আধা কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, গ্রিন ও ব্ল্যাক অলিভ প্রতিটি ৮-১০টি, কাঁচা মরিচ কুচি ২ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, লেবুর রস ৩ টেবিল চামচ, পিৎজা সস বা হট চিলি সস ১ কাপ, ঢাকাই পনির কুচি ২ কাপ, মোজারেলা চিজ ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, মাখন ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, অরিগেনো ৩ চা-চামচ, পাপরিকা ৩ চা-চামচ, রোজমেরি ২ চা-চামচ, মরিচ টালা গুঁড়া ২ চা-চামচ; হোয়াইট সস ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি: ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, মটরশুঁটি ভাপ দিয়ে রাখুন। প্যানে মাখন গরম করে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ ভেজে ভাপানো সবজি দিয়ে ভেজে নিন। লবণ, গোলমরিচ, হোয়াইট সস দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামিয়ে তিন ভাগ করে নিন।

পিৎজা ডো তিন ভাগ করে আধা ইঞ্চি পুরু করে রুটি বেলে ১০-১৫ মিনিট গরম জায়গায় ঢেকে রাখুন। মোটা তাওয়া বা ননস্টিক ফ্রাইপ্যান গরম করে রুটি একপাশে সেঁকে নিন। সেঁকা দিকটার ওপর কিছু পিৎজা সস, এক ভাগ রান্না সবজি, কিছু টমেটো, ক্যাপসিকাম, মাশরুম, গ্রিন ও ব্ল্যাক অলিভ, লেবুর রস, স্প্রিং অনিয়ন, অরিগেনো, পাপরিকা, রোজমেরি, মরিচ টালা গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া, ঢাকাই পনির, মোজারেলা চিজ দিয়ে দিন। তাওয়ায় ১০-১২ মিনিট অল্প জ্বালে ঢেকে সেঁকে নিয়ে গরম-গরম মজাদার পিৎজা পরিবেশন করুন।

সবজি টার্ট

সবজি টার্টটার্ট শেলের উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার সিকি চা-চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, ডিম ২টি, মাখন ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ময়দা, গুঁড়া দুধ ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিন। মাখন, লবণ, চিনি ও ডিম একসঙ্গে ভালো করে ফেটিয়ে অল্প অল্প করে ময়দা দিয়ে মাখান। এ থেকে টার্ট মোল্ডের আকার অনুযায়ী রুটি বেলে বিস্কুট কাটার দিয়ে নকশা করে কেটে নিন। এবার টার্ট মোল্ডে তেল মেখে চেপে চেপে রুটি বসিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে কয়েকটা ছিদ্র করে নিন। ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড কাপে ২০-২৫ মিনিট বেক করুন। হয়ে গেল পুর।
পুরের উপকরণ: সবজি (ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, সুইট বেবি কর্ন) ছোট করে কাটা প্রতিটি আধা কাপ করে, মটরশুঁটি আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ; স্প্রিং অনিয়ন কুচি সিকি কাপ, কারি পাউডার ১ চা-চামচ, হোয়াইট সস আধা কাপ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, মোজারেলা চিজ ১ কাপ, মাখন ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: সব সবজি আধা সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে মাখন গরম করে সবজি দিয়ে দিন। তাতে সয়া সস, গোলমরিচ গুঁড়া, লবণ, কারি পাউডার দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিন। তারপর বেবিকর্ন, স্প্রিং অনিয়ন, টমেটো সস, হোয়াইট সস দিয়ে ওভেন থেকে নামিয়ে অর্ধেক চিজ মিলিয়ে নিন। টার্ট মোল্ডের মধ্যে সমান করে পুর ভরে দিন। ওপরে বাকি চিজ দিয়ে প্রি-হিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপে ৫-৬ মিনিট রাখুন। নামিয়ে পরিবেশন করুন।

গোটা ফুলকপি ভাজা

গোটা ফুলকপি ভাজাউপকরণ: ফুলকপি মাঝারি আকারের ১টি, গরু বা মুরগির মাংসের কিমা দেড় কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, জিরাবাটা আধা চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, পনির কুচি সিকি কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল ১ টেবিল চামচ, পোস্তদানাবাটা ১ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: ফুলকপির ডাঁটা ও বোঁটা ফেলে ফুটন্ত পানিতে ৫-৬ মিনিট ফুটিয়ে পানি থেকে উঠিয়ে রাখুন। কিমাতে ১ টেবিল চামচ তেল, সব বাটা মসলা, লবণ, সয়া সস, টমেটো সস, লেবুর রস, পনির কুচি ও কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মেখে নিন। ফুলকপির ফুলের ফাঁকে ফাঁকে কিমা ঠেসে ভরে দিন। খেয়াল রাখুন, ফুলকপি যেন না ভাঙে। এবার কড়াইতে তেল গরম করে ফুলকপির দুই পিঠ ডুবো তেলে ভেজে নিন। নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

বাঁধাকপির সালাদ

বাঁধাকপির সালাদউপকরণ: বাঁধাকপি ১টি; লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লেমন রাইন্ড ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ; মেয়োনেজ ৪ টেবিল চামচ, সালাদ ড্রেসিং ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: বাঁধাকপির বাইরের অংশ পরিষ্কার করে মাঝখান দিয়ে এমনভাবে কাটুন, যেন এটির আকার বাটির মতো হয়। এবার কপির পাতাগুলো মিহি কুচি করে কেটে নিন। পাতার কুচির সঙ্গে মেয়োনেজ ও সালাদ ড্রেসিং বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে মেখে নিন। এটি ফ্রিজে ২৫-৩০ মিনিট রাখুন। ফ্রিজ থেকে বের করে সালাদ ড্রেসিং ও মেয়োনেজ মিলিয়ে বাঁধাকপির বাটির মধ্যে দিয়ে পরিবেশন করুন।

81
Faculty Forum / নিমন্ত্রণে চুলের সাজ
« on: November 23, 2015, 09:15:55 PM »
বছরের এই সময়টা যেন অলিখিত নিমন্ত্রণের মৌসুম। একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব পড়তে শুরু করা মানেই জমকালো দাওয়াত কিংবা বিয়ের নিমন্ত্রণ। মেকআপ বা পোশাক তো ঠিক হলো, চুল সাজাতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। কেমন স্টাইল চলছে, কোন ধরনের চুলে কেমন স্টাইল তা দেখে নিন এবার। পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। তিনি বলেন, ‘খোলা চুলই মেয়েদের বেশি পছন্দ বলে মনে হয়। আর যেহেতু শীত প্রায় চলে এল তাই এখন কোঁকড়ানো স্টাইল দেখা যাবে।’
আজকাল পোশাকের সঙ্গে চুলের স্টাইলের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। খোলা চুল তো আছেই, তাতেও রয়েছে নানা কায়দা। সোজাসাপটা খোলা চুলে বদলে দেখা যাচ্ছে নানা বৈচিত্র্য। এ ছাড়া নানা রকম বেণি, এলোমেলো স্টাইল, কার্ল, সোজা সবই এখন চলছে। তাই চুল বাঁধতে পারেন ইচ্ছেমতো। তবে নিজের সঙ্গে যা মানানসই সেই স্টাইলকেই প্রাধান্য
মাঝারি চুলে ইচ্ছামতো স্টাইল করা যায়। বিশেষ দিনে অনেক সময় পারলারে গিয়ে চুল বাঁধা সম্ভব না। তাই আফরোজা পারভিন বলেন, ‘চাইলে আগের দিন রাতে চুল পেঁচিয়ে রাখা যেতে পারে। পরদিন সকালে চুল খুলে দেখবেন খুব সুন্দর একটা কোঁকড়া ভাব আসবে।’
ছোট চুলের স্টাইল
ছোট চুলের স্টাইলে তেমন বৈচিত্র্য নেই, এমন কথাই প্রচলিত। তবে এখন ছোট চুলের স্টাইলেও এসেছে অনেক বৈচিত্র্য। বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিশ ব্যান্ড দিয়েও সাজে ভিন্নতা আনা যেতে পারে। কার্ল করলেও ভালো দেখাবে
চুল খোলা রাখলে একদম সোজাসাপটা ছেড়ে না রেখে ব্লো ড্রাই করে নিন। কিংবা রোলার স্টাইলার দিয়ে হালকা কুঁকড়ে নিন। পুরো চুল স্পাইরালও করতে পারেন। ওপরের দিকে সোজা রেখে নিচের দিকে কোঁকড়া করে রাখতে পারেন।

লম্বা চুলে বেণির শোভা দেখতে দারুণ লাগে। একসময় সালোয়ার-কামিজ বা শাড়ির সঙ্গেই করা হতো বেণি। ইদানীং স্কার্ট, টপ বা ড্রেসের সঙ্গেও দিব্যি বেণি করছেন অনেকে। তবে সাদামাটা বেণির দিন ফুরিয়েছে বলা যায়। নানা স্টাইলেই বেণি করা যায় যেমন: ফ্রেঞ্চ বেণি, মারমেইড বেণি ইত্যাদি। মাথার মাঝখান থেকে কিছু চুল নিয়ে টুইস্ট করে বেণি বা পনিটেইল করে নিতে পারেন। চাইলে খোঁপাও করতে পারেন।
জেনে নিন
উৎসবের আগে পারলারে গিয়ে চুলের ধরন বুঝে হেয়ার ট্রিটমেন্ট দিয়ে নিন। কিংবা বাড়িতেই করে নিন চুলের যত্ন।
তাৎক্ষণিকভাবে চুল মসৃণ দেখাতে আধা মগ পানিতে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
চুলে স্টাইল করার আগে হেয়ার ক্রিম লাগিয়ে নিন।
বিভিন্ন স্টাইল করতে গিয়ে চুলে অনেক ধকল পড়বে। তাই উৎসব শেষে চুলে হট ওয়েল ম্যাসাজ করুন।

82

ভালো থাকুন
হঠাৎ অস্বস্তি, মাথা ঘোরা?

 
.মাথা নাড়াতে বা একটু এপাশ-ওপাশ করতে গিয়েই হঠাৎ মাথা ঘোরা শুরু হতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হয়তো সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ সমস্যার নাম বিনাইন পারঅক্সিসমাল পজিশনাল ভারটিগো।
এ সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা নাড়ানোর সময় মনে হতে পারে, তাঁর মাথা ঘুরছে বা চারপাশের সবকিছু ঘুরছে। কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এই অস্বস্তিকর অবস্থা। বিছানা থেকে মাথা তোলার সময় বা বইয়ের তাকে বই খোঁজার সময় মাথা নাড়াতে গিয়ে এ সমস্যায় আক্রান্ত হন অনেকে। কানের ভেতরের কিছু রাসায়নিক পদার্থের স্থান পরিবর্তনের ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর সুনির্দিষ্ট কারণ অজানা। তবে সাধারণত মাথায় কোনো আঘাত পেলে অথবা কানে প্রদাহ বা অস্ত্রোপচারের পর এ সমস্যা হয়ে থাকে।
সাধারণত এ রোগ তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়। তবে বারবার এ সমস্যা ফিরেও আসতে পারে। এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এ সমস্যার কারণে পরবর্তী সময়ে বড় কোনো জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কাও নেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, মাথা ঘোরানোর সময় ভারসাম্য হারিয়ে যেন রোগী পড়ে না যায়। এ জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। যাঁদের এ ধরনের মাথা ঘোরার সমস্যা আছে, তাঁদের যেকোনো কাজে মাথা নাড়াতে হবে ধীরে ধীরে। যেমন বিছানা থেকে ধীরে ধীরে মাথা তুলতে হবে, ঘুম ভেঙেই চট করে মাথা তোলা যাবে না। শোয়া অবস্থা থেকে দাঁড়ানোর আগে কিছুক্ষণ বসে থাকতে হবে, এরপর ধীরেসুস্থে দাঁড়াতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে কিছু ওষুধের ব্যবস্থাপত্রও নেওয়া যায়।

83
এই গরমে যে কোনো খাবারে অরুচি আসতেই পারে। তার উপর অসুখ তো আছেই। তাই এই সময় শিশুকে কী খাওয়ানো উচিত তা নিয়ে বাবা-মায়ের চিন্তা থেকেই যায়।

গরমে শিশুর সঠিক খাবার বাংলাদেশ গার্হস্থ্যঅর্থনীতি কলেজের ‘শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা বাসার বলেন, “গরমে শিশুর খাদ্য হওয়া উচিত সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত।”

তিনি আরও বলেন, “সহজপাচ্য বলতে সহজে হজম হয় এমন খাবার বোঝায়। গরমে শিশুর খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকা জরুরি। পানি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে ফলমূল থাকা আবশ্যক।”

জন্মের পর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত শিশুকাল ধরা হয়। এই সময়েই শিশু সবচেয়ে দ্রুত বড় হয়। তাই প্রতি একক ওজনের জন্য পুষ্টির চাহিদাও বাড়তে থাকে।

এই সকল চাহিদা পূরনের জন্য দেহ গঠনকারী খাদ্য উপাদান যেমন- প্রোটিন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ইত্যাদি সঠিক পরিমাণে শিশুর খাবারের তালিকায় থাকা জরুরি।

শিশুকালের বিভিন্ন পর্যায়ে শিশুদের জন্য বিভিন্ন রকমের খাবার দেওয়া প্রয়োজন।

এই প্রসঙ্গে রুমানা বাসার বলেন, “জন্ম থেকে ছয় মাস— শিশু মায়ের দুধ পান করে থাকে। তাই এই সময়ে মাকে সহজপাচ্য ও পানি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যাতে শিশু পর্যাপ্ত পানি পায়। মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করা গেলে শিশুর চাহিদাও পূরণ হবে।”

তিনি আরও জানান, সুস্থ শিশুর ওজন ছয় মাসে তার জন্মের সময়ের ওজনের দ্বিগুন ও এক বছরের মধ্যে তিনগুন হয় এবং তার উচ্চতা বাড়ে নয় থেকে ১০ ইঞ্চি। এই সময়ে শিশু মায়ের দুধের পাশাপাশি বাইরের খাবার খেতে দিতে হবে।

বিশেষ করে এই গরমে পুরানো ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার শিশুকে দেওয়া যাবে না। দিনে এক থেকে দুইবার যেকোনো ফলের জুস খেতে দিতে হবে। তাছাড়া অবশ্যই দিনে একটি ডিম ও একগ্লাস দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুকে মৌসুমি ফল যেমন- আম, তরমুজ, পেঁপে, কলা ইত্যাদি দিতে হবে। এতে করে শিশু গরমে প্রয়োজনীয় ফাইবার, পানি, ক্যালরি, আয়রন, ভিটামিন ইত্যাদি উপাদান পাবে ।

দুই বছর থেকে পাঁচবছর— এই বয়সে শিশুরা বেশি দুরন্ত ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই সময় তাদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই প্রতিদিনের খাবারের পাশাপাশি বারবার তাদের ফলের রস, স্যালাইন ও গ্লুকোজ দিতে হবে।

দুধ ও ডিমের পাশাপাশি ফল খেতে দিতে হবে। এছাড়া তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি রাখতে হবে।

প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খেলে একঘেয়েমি আসতে পারে আর এতে শিশুর খাওয়ায় অরুচিও আসতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাবারের বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন।

এজন্য সবজিকাটা ও রান্নার পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে। এই বয়সি শিশুদের ‘ফিঙ্গার ফুড’ যেমন- গাজরের টুকরা, মটরশুঁটি, গোল করে কাটা আলু ইত্যাদি খেতে দিতে হবে। এতে করে শিশুর হাতে তুলে খাওয়ার অভ্যাস হবে ও খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

গরমে শিশুর সঠিক যত্নের জন্য তাকে নিয়মিত গোসল, খাওয়া ও ঘুমানো প্রতিটি কাজ করতে হবে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী। যতটা সম্ভব শিশুদের ভাজাপোড়া ও তেল চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়াতে হবে।

সূত্র: প্রিয় লাইফ

84
যারা মাসের বাজার একবারে করেন তাদের অনেক সময়ই ডীপ ফ্রিজে কাঁচা মাছ রয়ে যায়। শুধু তাই নয় কিছুদিন ফ্রিজে মাছ রেখে দিলেই মাছের স্বাদ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। খেতে শুকনো লাগে এবং গন্ধ বেশি লাগে। বেশীদিন রেখে দিলে মাছ খাওয়াই যায় না, ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এই সমস্যার রয়েছে খুবই সহজ ছোট্ট একটি সমাধান। আপনি চাইলেই মাছের তাজা ভাব ফিরিয়ে আনতে পারেন খুব সহজে। জানতে চান কীভাবে?

মাছের তাজা স্বাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে দুধ। প্রথমে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে নিন। এরপর মাছের পিসগুলো একটি বড় বাটিতে দুধ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট। তারপর স্বাভাবিক ভাবে ধুয়ে রান্না করুন। দেখবেন মাছের তাজা স্বাদ ফিরে এসেছে এবং আঁশটে গন্ধও নেই একেবারে। দারুণ, তাই না?

85
কুয়াশা জড়ানো শীতে, চোখ সাজাতে ‘স্মোকি আই’ বেছে নেওয়া যেতেই পারে।

অনেকেই সঠিকভাবে স্মোকি আই মেইকআপ করতে জানেন না। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর ডটকো ডটইউকে’তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে স্মোকি আই লুক তৈরির কিছু সহজ ধাপ তুলে ধরা হয়।

– স্মোকি আইয়ের মূল হল হালকা এবং গাঢ় রংয়ের আইশ্যাডোর সঠিক ব্যবহার। আর স্মোকি আইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শ্যাডোগুলো যেন নিখুঁতভাবে ব্লেন্ড করা হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

– স্মোকি আইয়ের জন্য কাছাকাছি শেইডের হালকা থেকে গাঢ় তিনটি আইশ্যাডো রং বেছে নিতে হবে।

– চোখে লিড বা পাপড়ির উপরে শ্যাডো ব্যবহারের শুরুতে সব থেকে হালকা রংয়ের শ্যাডো বেইজ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এরপর লিডের উপরে বা ক্রিজ অংশে অ্যাশ বা মাঝারি রংয়ের শ্যাডো লাগাতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে যেন হালকা রংয়ের সঙ্গে গাঢ় শেইড ভালো মতো মিশে যায়।

– এরপর চোখের বাইরের কোণায় সব থেকে গাঢ় রংটি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে যেন অন্য রং দু’টির সঙ্গে গাঢ় রংটি ভালোভাবে মিশে যায়।

– আর চোখের ভিতরের কোণায় উপরে এবং নিচে হালকা রংয়ের শ্যাডো ব্যবহার করতে হবে। এতে চোখ উজ্জ্বল ও বড় দেখাবে।

– তাছাড়া স্মোকি ভাবটা আরও গাঢ় করতে চাইলে আইলাইনারের রেখা টেনে সেটা ঘষে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। চোখের উপরের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চোখের নিচেও কাজল টেনে হালকা আইশ্যাডোটি একটি ব্রাশে নিয়ে চোখের নিচের লাইনার বা কাজলে হালকা স্মাজ করে বা হালকা লেপটে দিতে হবে।

– সব শেষে চোখের পাপড়িতে মাশকারা লাগিয়ে নিতে হবে।

86
উপকরণ-
রাইস নুডলস ৫০০ গ্রাম
মুরগি বা গরুর মাংস সিদ্ধ ২০০ গ্রাম
সয়াবিন তেল প্রয়োজন মত
বাঁধাকপি কুচি ২ কাপ
পেঁয়াজ কুচি ১/৪ কাপ
সয়াসস (লাইট) ৩ টে. চা.
রসুন ছেঁচা ১ টে. চা.
সাদা গোলমরিচ ১/৪ চা. চা.
আদা ঝুরি ২ চা. চা.
বরবটি/পিঁয়াজ পাতা ১০০ গ্রাম
চিংড়ি সিদ্ধ ১০০ গ্রাম
কচি পেঁয়াজ ঝুরি (ইচ্ছা)
ধনেপাতা কুচি
ক্যাপ্সিকাম, গাজর- ইচ্ছা
লবণ- স্বাদ মত
টেস্টিং সল্ট- স্বাদমত

প্রণালী-
-নুডলস ফুটন্ত গরম পানিতে সিদ্ধ করে নিন। একদম নরম করে ফেলবেন না, একটু শক্তই রাখুন।

-কড়াইয়ে ২ টে. চামচ তেল গরম করে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা দিয়ে ৩ মিনিট ভেজে নিন। চিংড়ি এবং মাংস দিয়ে ৪ মিনিট ভাজুন। কড়াই থেকে তুলে এমনভাবে রাখুন যেন গরম থাকে।

-কড়াইয়ে ২ চা চামচ তেলে বাঁধাকপি,গাজর, সয়াসস, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে ৩ মিনিট ভাজুন। চিংড়ি ও মাংস দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে ভাজা ভাজা করুন। ফুটানো লবণ পানিতে বরবটি দিয়ে ৩-৪ মিনিট সিদ্ধ করুন। সামান্য সিদ্ধ হবে কিন্তু নরম হবে না। বরবটি তুলে সবজি ভাজায় দিয়ে দিন। পেঁয়াজ পাতা হলে সিদ্ধ করতে হবে না।

-ভাজা ভাজা হলে এই মিশ্রণে মাংস ভাজা মিশিয়ে দিন। ক্যাপ্সিকাম দিন ও ভাজুন। লবণ ও টেস্টিং সল্ট দিন।

-আরেকটি কড়াইয়ে ৩ টে. চামচ তেল গরম করে নুডলস দিয়ে ৪ মিনিট নেড়ে নেড়ে ভাজুন। ভাজা হলে সবজি ও মাংসের মিশ্রণ মিশিয়ে দিন।

- পরিবেশন ডিশে তুলে ধনেপাতা ছিটিয়ে দিন। চাইলে কাঁচা মরিচও দিতে পারেন।

87
উপকরণ

আম ২ টি
দই ১/২ কেজি
স্ট্রবেরি ১২ টি
বাদাম ১ টেবিল চামচ
মধু স্বাদ অনুযায়ী
রু-আফজা ১ টেবিল চামচ

প্রণালী

-প্রথমে আম ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। এরপর টক দই আর মধু দিয়ে ব্লেন্ড করে ফ্রীজে রেখে দিতে হবে।
-স্ট্রবেরি ও টকদই আর মধু দিয়ে ব্লেন্ড করে ফ্রীজে রাখতে হবে একটু জমে যাওয়া পর্যন্ত/
-টকদই বাকিটুকুতে মধু আর বাদাম গুঁড়ো করে মিশিয়ে একইভাবে ফ্রীজে রাখতে হবে।
-এরপর একটি গ্লাস নিতে হবে। গ্লাসে প্রথমে আম দিয়ে এরপর রু-আফজা দিয়ে একটু ফ্রীজে রেখে এরপর টকদই দিন। এরপর স্ট্রবেরি দিয়ে আমের জুস দিয়ে তারপর আমের টুকরা দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন ৫ লেয়ারের দারুণ বাহারি শরবত।

88
জীবনে এমন সময় সকলেরই আসে, যখন আমরা কোন একটা ব্যাপার নিয়ে প্রচণ্ড সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে থাকি। কিছুতেই মনস্থির করতে পারি না। এমন সময়ে কী করবেন? সকলেই চান জীবনের পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে, যদিও কাজটা সহজ নয়। জেনে নিন মনোবিজ্ঞানীদের ১০টি টিপস, যেগুলো আপনাকে সাহায্য করবে সিদ্ধান্তহীনতা থেকে বের হয়ে মনস্থির করতে।

১) কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিষয়টির আগাগোড়া খুব ভালো করে জেনে নিন। কোনকিছু জানা বা বোঝা বাদ থাকলে সিদ্ধান্ত নেবেন না।

২) এমন কারো সাথে কথা বলুন, যার জীবনে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে বা একই পরিস্থিতিতে পড়েছেন। একই পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের অভিজ্ঞতা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচণ্ড সহায়তা করবে।

৩) প্রতিটি মানুষেরই নিজের একটা পদ্ধতি থাকে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার বা মনস্থির করার। বা যে কোন সমস্যায় নিজের চেনা জানা সমাধান খুঁজে নেবার। বেশী সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে আপনিও নিজের চেনাজানা পথটাই বেছে নিন।

৪) নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, কোন কিছুর ভয় না থাকলে আপনি কোন সিদ্ধানটি নিতেন?

৫) ভয়ের কারণে বা ভয় পেয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। আবার ভয়টাকে অবহেলাও করবেন না। তাতে ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৬) সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিকল্প উপায় গুলো একটু ভেবে রাখুন। যেন কোন সমস্যা হলে বিকল্প পথগুল আপনার কাজে আসে।

৭) খুব কঠিন সিদ্ধান্ত মনে হলে কিছুদিন বিষয়টা নিয়ে ভাববেন না। মনকে মনের মত থাকতে দিন, সময় যেতে দিন। কিছুদিন পর আপনা থেকে বুঝতে পারবেন যে আপনাকে কী করতে হবে।

৮) প্রত্যেক সিদ্ধান্তেই একাধিক অপশন থাকে। সম্ভব হলে প্রতিটি অপশন ট্রাই করে দেখুন। যেটা ভালো লাগে সেটা বেছে নিন।

৯) কেবল বর্তমানকে ভেবে সিদ্ধান্ত নেবেন না, ভবিষ্যতের হিসাব করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।

১০) এই সত্যটা মেনে নিন যে কোন সিদ্ধান্তই পারফেক্ট হয় না। দেখবেন মনের ওপর থেকে চাপ কমে গেছে আর সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হচ্ছে

89
পনার ভালোবাসার পুরুষটিকে আপনি কতোটা ভালোবাসেন তাকে তা বলে বোঝাতে পারেন না বলে অনেকেই মন খারাপ করেন। আবার অনেকে মুখে সারাক্ষণ ভালোবাসি বলেও সঙ্গীর কাছ থেকে একই ধরণের অভিব্যক্তি আশা করে আশাহত হয়ে অভিমান করে বসে থাকেন। যদি এইধরনের সমস্যা হয় তাহলে জেনে রাখুন আপনার সঙ্গী পুরুষটি কিন্তু আপনার তার প্রতি নানা ভাবে ভালোবাসা প্রকাশের চাইতেও গুরুত্ব দিচ্ছেন আপনার অন্যান্য অনেক কাজের প্রতি। নারীরা আবেগ দিয়ে চিন্তা করলেও পুরুষেরা অনেক বাস্তব চিন্তা করেন। আর সে কারণেই ভালোবাসার চাইতেও সঙ্গীর আরও অন্যান্য অনেক দিক পুরুষের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকে।

১) সঙ্গিনীর মনোযোগ
নারীরা যেমন পুরোপুরি নিজের দিকে সঙ্গীর আকর্ষণ ধরে রাখতে চান, ঠিক তেমনই পুরুষেরাও চান। পুরুষেরা চান সম্পর্কে থাকা নারীটি তার প্রতি পুরোপুরি মনোযোগ দিন, তার কথা শুনুন, তার সকল চাওয়া পাওয়ার প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠুন। পুরুষেরা এভাবেই ভালোবাসার প্রকাশ খুঁজে থাকেন।

২) প্রশংসা শুনতে নারীদের মতোই বেশ পছন্দ করেন পুরুষেরাও
অনেক নারীই আছেন যারা মনে ঠিকই ভালোবাসা রাখেন কিন্তু নিজের সঙ্গীর কাজের প্রশংসার চাইতে সমালোচনাই বেশি করে থাকেন। এইধরনের নারীদেরকে বলছি আপনি কতোটা ভালোবাসেন আপনার সঙ্গীকে সঙ্গী কিন্তু দেখতে পাবেন না, বরং আপনি যদি তার কাজের এবং তার প্রশংসা করেন তাহলে সেটাকেই সঙ্গী ভালোবাসা হিসেবে ধরে নেবেন। কারণ মুখে ভালোবাসি বলার চাইতেও এই ব্যাপার পুরুষের কাছে অনেক গুরুত্ব পায়।

৩) পুরুষেরা চান সঙ্গী তার পরামর্শ নেবেন প্রায় প্রতিক্ষেত্রে
আপনি হয়তো প্রতিদিন তাকে ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটি বলেন না, কিন্তু আপনার ছোটোখাটো কাজের ব্যাপারে পরামর্শ নেয়ার ব্যাপারে তাকেই প্রথম খোঁজেন এই বিষয়টিই আপনার সঙ্গীর জন্য যথেষ্ট। কারণ পুরুষেরা চান তার সঙ্গিনী প্রতিক্ষেত্রে তার পরামর্শ নিন, আর এই বিষয়টাকে ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম মনে করেন পুরুষেরা।

৪) পুরুষেরা চান সঙ্গিনী তার পছন্দের জিনিস করুক
আপনার সঙ্গীর অনেক বেশি কম্পিউটার গেম পছন্দ? বা খেলাধূলা? যদি তাই হয় তাহলে তার পছন্দের গুরুত্ব দিন এবং নিজেও তা পছন্দ করা শুরু করে দিন। কারণ পুরুষেরা নিজের সঙ্গীর মধ্যে নিজের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেলে অনেক বেশি খুশি হয়ে যান।

৫) তার কাছের মানুষের প্রতি আপনার আচরণ
অনেক পুরুষই আপনার ভালোবাসা পরিমাপ করে ফেলবেন আপনি তার কাছের মানুষের সাথে কীভাবে আচরণ করেন এবং তার কাছের মানুষের প্রতি আপনার ধারণা দেখেই। কারণ একজন পুরুষ সবসময়েই নিজের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে নিজের সঙ্গীর ভালো সখ্যতা আশা করেন এবং তার কাছে অনেক ক্ষেত্রেই ভালোবাসার চাইতে এই বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্ব পায়।

90
আজকাল বিবাহ বিচ্ছেদের হার পৃথিবী জুড়েই বেড়ে চলেছে। এমন নয় যে বিয়ে ভাঙার পর কেউ আনন্দিত হয় বা কারো কষ্ট কম হয়। বরং একটি ডিভোর্স মানে দুটি মানুষেরই পরাজয়, দুজনেরই কষ্ট। দুটি মানুষ যখন নিজেদের দাম্পত্যকে ধরে রাখতে পারেন না, তখনই আসে এই ভাঙন। দিন যাপনের ভিড়ে আমরা বুঝতেও পারি না যে কিছু বিষয় তিল তিল করে আমাদের টেনে নিয়ে যায় ডিভোর্সের দিকে। চলুন, আজ চিনে নিই সেই ১০টি বিষয়কে, যেগুলো অজান্তেই ঠেলে দেয় ডিভোর্সের দিকে।

১) দম্পতিদের মাঝে সবচাইতে বড় দূরত্ব নিয়ে আসে পরস্পরের জন্য সময়ের অভাব। সংসার, সন্তান, পরিবার, অফিস সবকিছু সামলে নিচ্ছে আপনারা। কিন্তু পরস্পরকে সময় কি দিচ্ছেন? এসব দাম্পত্যের অংশ বটে, কিন্তু মূল বিষয় পরস্পরকে একান্ত সময় দেয়া।

২) অর্থের অভাব কিংবা খুব বেশী অর্থ, দুটিই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দাম্পত্যকে ঠেলে দেয় ডিভোর্সের দিকে। এই দুটিই ভালোবাসা নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

৩) এই কথা কেউ স্বীকার করুক বা নাই করুন, দুটি মানুষের দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়ার জন্য পরিবারের অন্যদের নাক গলানোই যথেষ্ট। মা, বাবা, ভাই, বোন অবশ্যই জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারপরেও নিজের দাম্পত্যে তাঁদেরকে কথা বলতে দেয়া একেবারেই অনুচিত। বিশেষ করে পুরুষেরা এই ভুল খুব বেশী করে থাকেন।

৪) দাম্পত্য একটি দুজনের সম্পর্ক, তাই গুরুত্ব দিতে হবে দুজনেরই চাওয়া পাওয়াকে। একলা থাকতে যারা ভালোবাসেন, তাঁদের উচিতই নয় বিয়ে করা। আত্ম কেন্দ্রিক আর স্বার্থপর হয়ে কেবল কষ্টই ডেকে আনে।

৫) সম্পর্কে আন্তরিকতার ভাব খুব সহজেই আপনাকে ডিভোর্সের দিকে ঠেলে দেয়। মানুষ বিয়েই করেন পাশে একজন সঙ্গী পাওয়ার জন্য, ভালোবাসার জন্য।

৬) সন্তান না হওয়া, সময়ের আগে বা পরিবারের চাপে সন্তান নেয়া ইত্যাদি সব কিছুই দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে। আবার সন্তানের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে নিজের সঙ্গীকে অবহেলা করাও সম্পর্ক ভাঙার মূল কারণ। বিশেষ করে নারীরা এই ভুলটি খুব করেন।

৭) নেশাদ্রব্যের প্রতি আসক্তি সংসার তো ভাঙতেই পারে। এছাড়াও পরনারী বা পুরুষের প্রতি অতি আগ্রহ, পর্ণগ্রাফি আসক্তি ইত্যাদিও সংসার ভাঙা তথা ডিভোর্সের জন্য দায়ী হয়ে থাকে।

৮) পরস্পরকে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন করা কোনভাবেই শান্তি আনে না জীবনে। ভালোবাসার জন্য দাম্পত্য, নির্যাতনের জন্য নয়।

৯) পরস্পরের মতের ও আদর্শের অমিল যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতেই থাকে, তাহলে ভাঙন অনিবার্য।

১০) মানুন আর নাই মানুন, বন্ধুরা সংসারে অশান্তি তৈরি তথা ডিভোর্সের জন্য অনেক ভাবেই দায়ী। বন্ধুদের অতিরিক্ত সময় দেয়া, স্বামী বা স্ত্রীর সাথে বন্ধুর পরকীয়া, বন্ধুর ভুল পরামর্শে নিজের সংসারে অশান্তি, প্রতারণা বা ছলনার শিকার হওয়া ইত্যাদি খুব সাধারণ বিষয়। অহরহই ঘটছে।

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7