Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - subrata.ns

Pages: [1] 2 3 ... 7
1
সম্প্রতি রাশিয়ার একটি অনুসন্ধানী দল রহস্যময় আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের সন্ধান মিলেছে। তারা মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন। ভয়ংকর সেই জ্বালামুখে বিজ্ঞানীরা-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করেছেন।

সাইবেরিয়ার উত্তর দিকে প্রত্যন্ত অঞ্চল ‘ইয়ামাল পেনিনসুলাতে’ এ আগ্নেয়গিরি জ্বালামুখটির সন্ধান পাওয়া যায়।আবিষ্কৃত হওয়ার পর রাশিয়ান সেন্টার অফ আর্কটিক এক্সপ্লোরেশনের কয়েকজন বিজ্ঞানী সেখানকার পরিবেশের জন্য উপযুক্ত পোষাক পরে এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিয়ে সেই জ্বালামুখের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা জ্বালামুখের ৫৪ ফুট গভীর পর্যন্ত যান।
এই অনুসন্ধান দলের প্রধান ভ্লাদিমির পুশকারেভ জানিয়েছেন,এই প্রথমবারের মত কোন দল নিরাপদে এই জ্বালামুখের ভেতরে অবতরণ করতে পেরেছে। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে ঠাণ্ডায় জায়গাটা জমে শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণেই।তবে বিজ্ঞানীরা এখনো জায়গাটা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন।

2
বিস্ময়কর বুদ্ধি এবং প্রযুক্তিক্ষমতা ছিল আদিম মানুষের ছিল। তা নাহলে মানবসভ্যতা আজ এই পর্যায়ে এসে পৌঁছত না। সভ্যতার ইতিহাসে যদি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হয়ে থাকে চাকা তবে ‘দড়ি’ও খুব একটা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আজ থেকে ৪০ হাজার বছর আগে মানুষ দড়ি তৈরি করতে শিখেছিল। কীভাবে? সেটাই জানা গেল সাম্প্রতিক একটি গবেষণায়। তুবিনগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নিকোলাস কনরাড এবং তাঁর সহ-গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন একটি যন্ত্রাংশ।

হাতির দাঁতের তৈরি এই যন্ত্রাংশটি ২০.৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং সেটিতে চারটি ফুটো রয়েছে ৭ মিমি এবং ৯ মিমি ডায়ামিটারের। প্রত্যেকটি ফুটোই নিখুঁত করে কাটা। গবেষকদের ধারণা এই যন্ত্রাংশটি দিয়েই দড়ি বোনা হত। অতীতে এমন যন্ত্রাংশ বেশ কয়েকটি পাওয়া গিয়েছে। এই জার্মান গবেষকদলের বক্তব্য, সবক’টিই প্রাচীন প্রস্তর যুগের। ওই সময় থেকে দড়ির ব্যবহার শেখে মানুষ। গবেষক দলের সদস্যরা জানিয়েছেন যে আদিম মানুষ কীভাবে দড়ি তৈরি করত তা একটি প্রশ্নচিহ্ন ছিল। এই যন্ত্রাংশটিই সেই প্রশ্নের উত্তর।

3
গত বছর আবিস্কার হওয়ার পর থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নজর কেড়েছিল শুক্রের মতো দেখতে জিজে১১৩২বি গ্রহটি। সৌরজগতের বাইরের এই গ্রহটিকে সে সময়ই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

কারণ এটিই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের পাথুরে গ্রহ। গ্রহটির আবহাওয়া অবিশ্বাস্য রকম গরম, তাপমাত্রা ২৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।

সম্প্রতি এই গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের ‍উপস্থিতি শণাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ এটিই সৌরজগতের বাইরে অন্য একটি নক্ষত্রজগতের প্রথম পাথুরে গ্রহ যেখানে অক্সিজেনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু গ্রহটির তাপমাত্রা যে পরিমাণ উত্তপ্ত, তাতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বেঁচে থাকাটা প্রায় অসম্ভবই বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

 জিজে১১৩২বি গ্রহটি ৩৯ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানী লরা স্কেফার বলেন, ‘ঠান্ডা গ্রহে অক্সিজেন থাকা মানে সেখানে জীবনের অস্তিত্ব থাকারই কথা। কিন্তু জিজে১১৩২বি-এর মতো উত্তপ্ত গ্রহের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোপুরি বিপরীত।’

তবে, এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প রয়েছে কী না তাও পরীক্ষা করে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ জলীয় বাষ্প থাকা মানে এই গ্রহে গ্রিনহাউজ়ের প্রভাব থাকবে। আবার অন্যদিকে এই গ্রহের ওপরিভাগ লাভার স্তরও গবেষকদের একটা দিশা দেখাতে পারে। কারণ ওই লাভাস্তর বায়ু থেকে কিছু অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু, তা দশভাগের একভাগ বলে পরীক্ষায় জানা গেছে। বাকি ৯০ শতাংশ অক্সিজেন মহাকাশে মিলিয়ে যায়। গ্রহটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে জায়ান্ট ম্যাগেলান টেলিস্কোপ এবং জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

4
মুহূর্তের মাঝেই আমরা দেখতে পাই কোন একটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দিচ্ছে সাফল্যের কথা। মানব জাতিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে দেয়ার কথা। একটি প্রবন্ধ ছাপা হয় এবং সবাই ‘ইউরেকা’ ‘ইউরেকা’ বলে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে।কিন্তু দৃশ্যপট সর্বদা এমন নাও হতে পারে।কারণ, একজন বিজ্ঞানীকে মাঝে মাঝেই সমগ্র পৃথিবীকে তার আবিষ্কার কিনবা তার প্রাপ্তির কথা জানাতে বেশ বেগ পেয়ে থাকতে হয়।
এটা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্য একেবারে সত্য। ১৯০৫ সালে যখন তিনি তার ‘আপেক্ষিকতাবাদ’ সূত্রটি দেন তখন তাকে ব্রিটিশদের ‘ইথার’ ধারণাটির সাথে এক প্রকার যুদ্ধই করতে হয়েছিল।আইনস্টাইন বলেন যে, মহাবিশ্ব ও সময় পরস্পরের সাথে একই সূত্রে বাঁধা।এটা তখনকার সময়ে মেনে নেয়া একটু কঠিন ছিল কারণ সবার মাঝে তখন ইথারের ধারণাটি জেঁকে বসেছিল।
১৯ শতকে এসে ইথারকেম ধারণা করা হয় এমন একটি মাধ্যম হিসেবে যেটি মহাবিশ্বকে পরিপূর্ণ করতে পারে। ‘প্রথম ডার্ক ম্যাটার’ হিসেবে এটি তখন পরিচিত। এটি এমন একটি ধারণা যার সাথে আলো, শব্দ, বিদ্যুৎ এমনকি “কোন কিছু নেই” তার ধারণার সাথেও সম্পর্কিত।কিন্তু আইনস্টাইন বলেন যে আসলে এমন কোন কিছুর অস্তিত্ব পরীক্ষা করে পাওয়া যায় না। কিন্তু তাকে কেউ তখন বিশ্বাস করেন নি। ১৯০৭ সালে লর্ড ক্যাল্ভিন বলেন যে, ‘মহাবিশ্বে এমন কোন কঠিন পদার্থ অবশ্যই আছে যা হবে নমনীয়, বাড়ানো কমানো যাবে চাপের মাধ্যমে এবং মহাকর্ষীয় বলের সাথে যার কোন সম্পর্কই থাকবে না।’
কিন্তু পরবর্তীতে লর্ড ক্যালভিনের এই ধারণাও গ্রহণযোগ্য হয় নি কারণ এ ধরনের কোন পদার্থের অস্তিত্বই নেই।
তারপরও আইনস্টাইন যখন তার তত্ত্বটি নিয়ে ইথারের ধারণার সাথে লড়াই করে যাচ্ছিলেন, তাকে যে দেশটি শুধুমাত্র বুঝতে চেষ্টা করে, তা হচ্ছে জার্মানী। তার তত্ত্বটি সেখানে আলোচনা করা হয়, সমালোচিত হয় এবং প্রশংসিতও হয়। আইনস্টাইনের যে সকল পুস্তক রয়েছে, তার প্রকাশ তিন বছর ধরে কেবলমাত্র জার্মানী থেকেই প্রকাশিত হয়। ১৯১০ সালে ফ্রান্সে আইনস্টাইনকে অবহেলা করা হয়। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রেও আইনস্টাইন তার তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পারেন নি।
১৯২৩ সালের শেষের দিকে ইবেনিজার কানিংহাম ও নরম্যান ক্যাম্পবেল ছিলেন প্রথম দুজন যারা আইনস্টাইনের এই তত্ত্বটি বোঝার চেষ্টা করেন। ইথারের বিরুদ্ধে কেবলমাত্র ক্যাম্পবেলের আওয়াজই তখন পাওয়া যাচ্ছিল। সালটা ১৯০৫ থেকে ১৯১১।
স্বভাবতই দেখা যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানীদের প্রথমে মানুষকে কোন তত্ত্ব বুঝাতে কিছুটা বেগ পেতেই হয়। কারণ, মানুষ নতুন কিছুকে খুব সহজে আমন্ত্রণ জানাতে পারে না যেখানে তাদের মাঝে আগে থেকেই একটা ভ্রান্ত ধারণা ঢুকিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সবশেষে জয়টা বিজ্ঞানেরই হয়।

5
১) মোবাইলের স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন অথবা অটো ব্রাইটনেস ব্যবহার করুনঃ
আমরা অনেকে মোবাইলের পর্দায় সবকিছু যাতে ভালো করে দেখা যায় এজন্য ব্রাইটনেস সর্বোচ্চ বাড়িয়ে রাখি। এর ফলে মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকে। এ কাজটি কখনো করবেন না। মোবাইলের স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন কিংবা অটো ব্রাইটনেস ব্যবহার করুন।

২) স্ক্রীন টাইম আউট শর্ট রাখুনঃ
অনেক সময় মোবাইলের স্ক্রীন যাতে অটো লক হয়ে না যায়, তাই আমরা টাইম আউটটা একটু বেশিক্ষণ দিয়ে রাখি। যেমন, এক মিনিট কিংবা দুই মিনিট। এর ফলেও ব্যাটারির চার্জ খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়। সবচাইতে ভালো হয় যদি টাইম আউট ৩০ সেকেন্ড রাখা যায়।

৩) ব্লু টুথ অফ রাখুনঃ
মোবাইলের ব্লুটুথ সমসময় বন্ধ রাখুন। কেবল প্রয়োজনের সময়ই তা চালু করবেন। এই ব্লুটুথ চালু রাখবার কারণে অনেক চার্জ ব্যয় হয়ে থাকে মোবাইলের।

৪) অনেক কাজের কাজী হবেন নাঃ
আমরা অনেক সময় মোবাইলে নানা ধরণের কাজ একসাথে করে থাকি। অনেক কাজ করা সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে যখন আপনি তা মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু রাখবেন। এই কাজটি করবার ফলে মোবাইলের ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়।

৫) ভাইব্রেশন কম ব্যবহার করুনঃ
অনেকে মনে করেন রিংটোনের চাইতে মোবাইলে ভাইব্রেশন ব্যবহার করলেই ভালো হবে, কারণ তারা শব্দ খুব একটা পছন্দ করেন না। কিন্তু জানেন কি, মোবাইলে ভাইব্রেশন অপশন বেশি ব্যবহার করলে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায়? হালকা আঁচে রিংটোন ব্যবহার করতে পারেন।

6
প্রতি বছর বিজ্ঞান, সাহিত্য, শান্তি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে অভূতপূর্ব অবদান রাখবার জন্য নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে। যারা এ বিষয়ে খবরাখবর রাখেন তারা স্বভাবতই উন্মুখ হয়ে থাকেন যে বছরের অন্যতম সম্মানটি কার হাতে যাচ্ছে এবার।

আজ আপনাদের নোবেল পুরস্কার ও এর বিজয়ীদের সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য দেয়া হলঃ

১) যখন তারা ছিলেন কারাগারেঃ

তিনজন নোবেল বিজয়ী তাদের নোবেল পুরস্কারের খবর জানতে পেরেছিলেন কারাগারে থাকাকালীন সময়ে। এদের প্রত্যেকেই নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন শান্তি স্থাপনের জন্য।

তাদের তিনজন হলেন জার্মান সাংবাদিক কার্ল ভন অজিটস্কি (১৯৩৫ সাল), বার্মিজ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অং সান সু চি (১৯৯১ সাল) এবং চৈনিক মানবাধিকার কর্মী লিও জিয়াওবো (২০১০ সাল)।

২) মূল্য কতঃ

১৯৮৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী লিওন লেডারম্যান ২০১৫ সালে তার চিকিৎসার খরচ জোগানোর জন্য তার নোবেল পদকটি বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি যৌথভাবে মুওন নিউট্রিনো আবিষ্কার করেছিলেন।

তার পদকটি কে কিনে নেন তা জানা যায় নি তবে তিনি কতদামে এ পদকটি কিনেছিলেন তা জানা গিয়েছে। এর মূল্য ছিল ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার।

৩) পদকটি ফিরিয়ে দেয়া হলঃ

রাশিয়ান বিলিয়নেয়ার আলিশার উসমানভ ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জীববিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসনের পদকটি কিনতে খরচ করেন।

জেমস ওয়াটসন ডি এন এ এর সর্পিল আকৃতি (ডাবল হেলিক্স) কেমন করে গঠিত হল, তা নিয়ে গবেষনা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে উসমানভ জেমসের পদকটি ফিরিয়ে দেন এবং তার টাকাও তিনি আর নেন নি। তিনি বলেন যে এই টাকা গবেষণার কাজে ব্যয় করা হলেই তিনি সবচাইতে খুশি হবেন।

৪) এয়ারপোর্টে শঙ্কাঃ

২০১১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ী ব্রায়ান শ্মিট তার স্বর্ণের পদকটি এয়ারপোর্টের চেকিং থেকে বের করতে বেশ বেগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ব্রায়ান ডার্ক এনার্জির অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারার জন্য এই পদকে ভূষিত হন। তিনি বলেন, “আপনি যত বড় মাপের পদকপ্রাপ্ত হন না কে, এয়ারপোর্টে আপনার নিস্তার নেই।”

৫) আমার টাকা কোথায় গেলঃ

অ্যাডলফ হিটলার তিনজন জার্মান নোবেল বিজয়ীদের পুরস্কার গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তারা হচ্ছেন- রিচার্ড কুন(রসায়নে), অ্যাডলফ বুটেনান্ট(রসায়নে) ও গেরহার্ড ডমাক(চিকিৎসাবিজ্ঞানে)।

পরবর্তীতে তারা তাদের পদক গ্রহণ করেন কিন্তু তাদের প্রাপ্য অর্থটি তারা আর পান নি।

সূত্রঃ সায়েন্টিফিক আমেরিকান

7
মানুষ ঘুমায় শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করবার জন্য। এছাড়াও নতুন দিন শুরু করবার জন্য ঘুমের বিকল্প আর কোন কিছু নেই। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর একজন ব্যক্তি যদি বিছানায় ঘুমুতে যায়, তাহলে এর চাইতে আরামের আর কোন কিছুই হতে পারে না। ঘুমের নানা ধরণের স্তর রয়েছে। যেমন, নন-র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট স্লিপ কিংবা র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট স্লিপ। কিন্তু যখন সাধারণ নিদ্রার চাইতে আমাদের ঘুমটা একটু অন্যরকম হয় কিংবা ঘুম হয়ই না, তখন কেমন হবে? আসুন আজ জেনে নেই কিছু অদ্ভূত ধরণের ঘুমের উদাহরণঃ

১) স্লিপিং বিউটি সিনড্রোমঃ
রুপকথার সেই রাজকন্যার ঘুমের কথা জানা আছে না আপনাদের? যে কিনা অপেক্ষা করত এক রাজপুত্রের জীয়ন কাঠির অপেক্ষায়, যার স্পর্শে তার ঘুম ভেঙ্গে যাবে? কিন্তু স্লিপিং বিউটি সিনড্রোম নামক এই ঘুমের কোন শুভ সমাপ্তি নেই। ক্লেইন-লেভিন সিন্ড্রোম নামের এই রোগ সম্পর্কিত হচ্ছে প্রয়োজনের চাইতে বেশি ঘুমের, নানা ধরণের অদ্ভূত আচরণ ও এক ধরণের আশঙ্কার। সাধারণত টিনেজারদের মাঝে এই রোগটি দেখা যায়। শতকরা হারের সংখ্যাটিও নেহাত কম নয়। একেবারে ৭০ শতাংশ!
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের একটি গবেষণায় দেখা যায় যে যারা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাদের শারীরিক কোন অবনতি দেখা যায় না। তারা দিন রাত কেবল ঘুমিয়ে থাকেন। দিনের একটি বেশিরভাগ অংশ তাদের কাটে ঘুমিয়ে। যখন তারা ঘুম থেকে উঠে যান, তখন তাদের মনে হয় অবসন্ন, একধরণের গোলক ধাঁধাঁয় আটকে পড়া মানুষ এবং কি করবে তা বুঝতে না পেরে তালগোল হারিয়ে ফেলা। এমনকি দেখা যায় এই রোগের রোগীরা অস্বাভাবিক যৌন তাড়নায়ও ভুগে থাকেন।
এই রোগের কারণ কি, এটি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনো সম্পূর্ণ তথ্য জানতে পারেন নি। কেউ কেউ বলেন আমাদের মস্তিষ্কের যে হাইপোথ্যালামাস রয়েছে, তার সাথে এই রোগের সম্পর্ক রয়েছে। সবচেয়ে অস্বস্তির ব্যাপার হচ্ছে এই রোগের কোন চিকিৎসা এখনো আবিষ্কৃত হয় নি।
২) নাইটমেয়ার ডিজঅর্ডারঃ
আপনি স্কুলে যাচ্ছেন, অফিসে যাচ্ছেন কিংবা স্বাভাবিক কাজ কর্ম করছেন। আপনার মনে সবসময় একটি আতংক হানা দিতে থাকে। আর এটি হচ্ছে কেউ একজন আপনাকে ছায়া শ্বাপদের মত অনুসরণ করে চলেছে। আপনার প্রতিটি পদক্ষেপের তালে তালে ছায়াটি আপনাকে লক্ষ্য করছে। কেমন লাগবে ঘটনাটি?
যখন রাতের বেলার আতংকটি আপনাকে দিনেও তাড়া করে ফিরতে থাকবে, তাহলে বুঝতে হবে এটি নাইটমেয়ার ডিজঅর্ডার। বিজ্ঞানীরা বলেন এই রোগের তিনটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরে রাতে ভালো ঘুম হবে না, দ্বিতীয় স্তরে আপনি অহেতুক ঘামতে থাকবেন এবং সবচেয়ে ভয়ের স্তর হচ্ছে তৃতীয় স্তর। এই স্তরে আপনার মনে হবে কেউ একজন আপনাকে হত্যা করবার জন্য হাতে একটি কুঠার নিয়ে ঘুরছে।
ক্লান্তি ও ঘুম না হওয়া এই রোগের প্রধান চাবিকাঠি। আমেরিকান স্লিপ এসোসিয়েশনের মতে, বিভিন্ন কেসে দেখা যায় কাউন্সেলিং কিংবা সিডেটিভ ড্রাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এক্ষেত্রে। তবে হাতে কুঠারসহ খুনীকে যদি আপনি চিরতরে জীবন থেকে দূর করতে চান, তাহলে একটি পরিপূর্ণ গোসল ও সময়মত ঘুমুতে যাবার বিকল্প আর কোন কিছুই নেই।     

8
গাড়ি নিয়ে যারা খোঁজ খবর রাখেন, তাদের কাছে নতুন গাড়ির খবর সবসময়ই লোভনীয়। আর তাদের কাছে নানা ধরণের গাড়ির তথ্য খুবই আকর্ষণীয়। এবার আপনাদের জন্য অডি’র নতুন এ৮ ফ্ল্যাগশিপ নিয়ে একটি তথ্য।
এ মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ির বাজারে আসা অডি এ৮ এর মাঝে রয়েছে স্বায়ত্বভাবে চালিত হবার অপশন যেটি অডি ব্র্যান্ডটিকে একটি নতুন মাত্রা দেবে বলে ধারণা গাড়িবোদ্ধাদের।

ব্যস্ত সড়কে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩৭ মাইল গাড়ি চলার স্পিড থাকবে এই নতুন অডির। যেসব দেশে স্ব-নিয়ন্ত্রিত গাড়ি চলা বৈধ, সেসব দেশে অডি এ৮ চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কোম্পানীর সিইও রুপার্ট স্টেডলার বলেন,
“গাড়িটিতে লেভেল ৩ ফিচারে আমরা যেটি যুক্ত করেছি, তা হচ্ছে ‘কন্ডিশনাল অটোমেশন’, যার মানে হচ্ছে গাড়ির চালকরা তাদের অন্যান্য কাজ গাড়িতে বসেই করতে পারবেন কিন্তু প্রয়োজনের সময় অবশ্যই তাদেরকে গাড়ির ড্রাইভিং চাকাটি নিজের হাতে নিতে হবে।”
এছাড়াও তিনি বলেন যে নতুন এই অডিতে যুক্ত থাকবে আগের চাইতেও উচ্চমানের কম্পিউটিং শক্তি, যার সাহায্যে দূর্ঘটনা ঘটবার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। গাড়িতে যারা চড়বেন, তাদের নিরাপত্তা ও সকল ধরণের প্রয়োজনীয় জিনিস মাথায় রেখে এই গাড়িটির ডিজাইন করা হয়েছে। গাড়িটির শরীর তৈরি করা হয়েছে স্টিল, এলুমিনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কার্বন ফাইবারের সমন্বয়ে।

জার্মানীর নেকারসামে অডি তার এই নতুন সংযোজন এ৮ আরো ব্যাপকভাবে তৈরি করতে থাকবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ। আজ, অর্থাৎ, ১১ই জুলাই স্পেনের বার্সেলোনায় এসেছে অডি এ৮।

9
আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন গণিতকে দিয়ে বিশ্ব দেখতে। তিনি এও বলেছিলেন সমগ্র জগতটাই গণিতে সাজানো। শুধুমাত্র আমাদের দেখার চোখ থাকতে হবে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, অনেক গণিতবিদ বলেন সমগ্র বিশ্বটাই সৃষ্টিকর্তা অপূর্ব গণিতের সমন্বয়ে তৈরি করেছেন। তবে আজ আমরা সে দিকে যাবো না। তারচাইতে বরং আমাদের দেশের দিকে আসা যাক। তবে আলোচনার বিষয় ঐ একটাই, গণিত।

বাংলাদেশে গণিতের চর্চা কিছুটা দমে থাকে তবে গণিত অলিম্পিয়াড বেশ আশা জাগানিয়া খবর নিয়ে আসে প্রতিবছর। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশি গণিতপ্রেমী প্রজন্মকে নতুন করে চেনায় গণিত অলিম্পিয়াড। স্কুল ও কলেজ লেভেলে প্রতি বছর গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রথম গণিত অলিম্পিয়াডের সূচনা হয় ২০০১ সাল থেকে। স্থান ছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। এরপর থেকে শুরু হয় বাংলাদেশে গণিতের যাত্রা।

২০০৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি গণিতবিদরা দেশের জন্য বয়ে আনছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। দেশের অন্যতম প্রধান পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ ও ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করে আসছে। এছাড়াও দেশের যে কোন স্থানে গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হলে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে থাকেন।

যে ফরম্যাটে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড উৎসব সাজানো হয়ে থাকেঃ

শিক্ষার্থীদেরকে চারটি ক্যাটাগরীতে ভাগ করা হয়ে থাকে।
১) প্রাইমারী- এই ক্যাটাগরীতে তৃতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারে।
২) জুনিয়রঃ ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী
৩) সেকেন্ডারিঃ নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী
৪) হাইয়ার সেকেন্ডারীঃ একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী

আঞ্চলিক উৎসবে সমগ্র বাংলাদেশকে ২৪টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রায় ১০০০ গণিতবিদ থেকে ৬০ জন গণিতবিদ নেয়া হয়ে থাকে এই অঞ্চলগুলো থেকে।
ঢাকা বিভাগ থেকে প্রায় ৩০০০ গণিতবিদ থেকে নেয়া হয় ১০০-১৫০ জন। তারপর এদেরকে নিয়ে জাতীয় উৎসবের জন্য বিবেচিত করা হয়। জাতীয় উৎসবে ৭১ জন গণিতবিদকে পুরস্কৃত করা হয়ে থাকে। তারপর এই সেরা গণিতবিদদের নিয়ে নিয়ে হয় জাতীয় ক্যাম্প যেখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লড়াই করবার জন্য প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যা করা হয়ে থাকে।

এবার আসা যাক বাংলাদেশের সাফল্যে। ২০০৯ সালে সামিন রিয়াসাত ও নাজিয়া চৌধুরী ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্ত হয়ে দেশের জন্য বয়ে নিয়ে আসেন অসামান্য গৌরব। সামিন রিয়াসাত পড়াশোনা করছেন কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১০ সালে তারিক আদনানও ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন। তিনি পড়াশোনা করেছেন বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।  ২০১১ সালে ধনঞ্জয় বিশ্বাস লাভ করেন ব্রোঞ্জ পদক।
২০১২ সালে ধনঞ্জয় দেশের জন্য প্রথম রৌপ্য পদক অর্জন করেন।
২০১৪ সালে নূর মুহম্মদ শফিউল্ল্যাহ দেশের জন্য দ্বিতীয় ও ২০১৫ সালে সানজিদ আনোয়ার তৃতীয় রৌপ্য পদক অর্জন করেন।
২০১৬ সালে আসিফ ই এলাহী দেশের জন্য চতুর্থ রৌপ্য পদক অর্জন করেন।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ এই পর্যন্ত ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে ১৭টি ও রৌপ্য পদক পেয়েছে চারটি।

আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের বিজয়ীরা সারা বিশ্বের নামীদামী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছেন। হার্ভার্ড, এম আই টি, ক্যালটেক, ক্যামব্রিজ ইত্যাদি বিশ্বসেরা সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা পড়াশুনা করছেন আর দেশের জন্য বয়ে আনছেন অসামান্য গৌরব।

11
১) রিভার্সিং প্যারালাইসিসঃ
স্পাইনাল কর্ডে কোন ধরণের আঘাত পেলে আপনি পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে যেতে পারেন। বিজ্ঞানীরা তাই এমন একটি ইমপ্ল্যান্টেশন নিয়ে গবেষণা করছেন যা কিনা এই প্রক্রিয়াকে ঘুরিয়ে দেবে।
২) স্ব-চালিত ট্রাকঃ
বিশ্বের প্রতিটি দেশে মালামাল পৌঁছে দেবার জন্য ট্রাক একটি অতি পরিচিত বাহন। তবে ২০১৭ সালে ট্রাক ড্রাইভারদের বোধহয় ছুটিই হতে চলেছে। এর কারণ হচ্ছে, প্রায় ১.৭ মিলিয়ন স্ব-চালিত ট্রাক রাস্তায় নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
৩) টাকা পয়সার ঝামেলা মেটান চেহারায়ঃ
আগে মানুষ কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করত কিংবা টাকা বিনিময় করত। তবে চীন এবার সে ঝামেলাও বাদ দিতে চাইছে। “ফেস ডিটেকশন” প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবার টাকা পয়সার লেনদেন হবে চেহারার মাধ্যমে।
৪) ব্যবহারিক কাজে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ব্যবহারঃ
বিশ্বের নামীদামী সব টেক কোম্পানিগুলো বলছে ব্যবহারিক কাজে এ বছরই তারা সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে।
৫) ৩৬০ ডিগ্রী সেলফিঃ
এবছরই এন্ড্রয়েড ফোনে আসতে পারে ৩৬০ ডিগ্রী সেলফি তোলার একটি অপশন। ছবি তোলার জগতে হারিয়ে যাওয়া যাবে এবার আরো সহজে।

12
২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গুগল ম্যাপ তার যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর পর থেকেই ওয়েব কিংবা হাতে থাকা স্মার্টফোনে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে মানুষ অশেষ উপকার লাভ করেন। কোন স্থানে যেতে হলে মানুষকে আর কারো ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয় না। হাতের মুঠোয় ফোনে থাকা গুগল ম্যাপ ব্যবহার করেই কোন নির্দিষ্ট স্থানের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। আসুন আজ জেনে নেয়া যাক গুগল ম্যাপের কিছু ট্রিকঃ

১) অফলাইন ব্যবহারের জন্য গুগল ম্যাপ ডাউনলোড করুনঃ
ধরে নিন, এমন কোন একটি স্থানে আপনি গিয়েছেন যেখানে নেটওয়ার্কের কোন বালাই নেই। পথ ঘাট কোন কিছুই আপনি চেনেন না। এমন অবস্থানে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করা হবে নিতান্তই বাতুলতা। কারণ হচ্ছে, অনলাইন মোডে থাকা অ্যাপ আপনি অফলাইনে কার্যকর করতে পারবেন না। তাহলে আপনি কি করতে পারেন? এমন অবস্থায় পড়লে আপনাকে অফলাইন অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। বেশ কিছু ফিচার অবশ্য এর মাঝে থাকবে না। যেমন, ট্রাফিকের অবস্থা কি কিংবা নির্দিষ্ট কোন স্টপেজ আছে কি না, তা আপনি জানতে পারবেন না। তবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আপনাকে পৌঁছতে সাহায্য করবে অবশ্যই।
২) আপনার যাত্রাপথে স্টপ অফ কোথায় আছে জেনে নিনঃ
যাত্রাপথে গাড়ির তেল শেষ হয়ে গিয়েছে অথবা প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে। এমন একটি স্থানের উদ্দেশ্যে আপনি রওয়ানা দিয়েছেন যেখানকার কোন কিছুই আপনি চেনেন না। কি করবেন? গুগল এন্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য এমন একটি অপশন চালু করেছে যেখানে আপনি কোন জায়গার রেস্টুরেন্ট, গ্যাস স্টেশন, হোটেল রয়েছে তা অনায়াসেই জানতে পারবেন।
৩) কোন স্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ডাবল ট্যাপ করুনঃ
খুবই কার্যকর একটি প্রক্রিয়া কিন্তু অনেকেই এটির সম্পর্কে জানে না। কোন স্থানের সম্পর্কে যদি আপনি ভালো করে তার লোকেশন জানতে চান তাহলে কি করবেন? খুবই সহজ। অ্যাপের মাঝের ঐ স্থানের ওপর ডাবল ট্যাপ করুন। সহজেই জানতে পারবেন ঐ স্থান সম্পর্কে।
৪) আপনার প্রিয় জায়গাটির একটি কাস্টমাইজড নাম তৈরি করুনঃ

ধরা যাক আপনি এমন একটি জায়গায় যান, যেটি আপনার খুব পরিচিত একটি স্থান। সেটি হতে পারে আপনার দাদাবাড়ি কিংবা পিকনিক করার কোন স্থান। আপনি ইচ্ছা করলেই এই স্থানের একটি কাস্টোমাইজড নাম দিতে পারেন যাতে সহজেই আপনার পরিচিতজনদের স্থানটির লোকেশন জানাতে পারেন।

৫) শর্টকাটে বাড়ির পথঃ
গুগল ম্যাপে শর্টকাটে কোন গলি ঘুপচি পেরিয়ে বাড়ির দিকে যাবেন, তা বেশ সহজেই জানতে পারবেন। ফলে বাড়ির রাস্তাটি হবে আরো পরিচিত এবং সময়ও বাঁচবে অনেক।

13
রিকন্সট্রাকটিভ টেকনোলজি বা পুনর্গঠন প্রযুক্তির সাহায্যে যে কোন মানুষের মুখাবয়ব কেমন ছিল বা তার চেহারার আদল কেমন ছিল তা জানা যায়।আর ঠিক এই প্রযুক্তির সাহায্যেই প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এমন এক ব্যক্তির মুখের আদল পুনঃনির্মান করতে সক্ষম হয়েছেন, যিনি কিনা ৭০০ বছর আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।মধ্যযুগীয় এই মানুষটি প্রায় শত শত মানুষের সাথে একটি গণকবরে শায়িত ছিলেন।এই গণকবরটি সেইন্ট জর্জ কলেজের ওল্ড ডিভিনিটি স্কুল ভবনের নিচে অবস্থিত।এটি আজকের যুক্তরাজ্যে অবস্থিত।
এই মানুষটির মুখাবয়ব ও জৈবিক গঠন কেমন ছিল তার ওপর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে ১৩ শতকের দিকে এই মানুষটির মৃত্যু হয়েছিল।

গবেষকদলের প্রধান জন রব বলেছেন, “ঐতিহাসিক নানা দলিল থেকে দেখা যায় যে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যুর দলিল রেকর্ড করে রাখা হয়েছে যারা ছিলেন অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের এবং যাদের জমিজমার পরিমাণ ভালোই ছিল।”
তিনি আরো বলেন, “আর্থিক অবস্থার পরিমাণ যত খারাপ হবে,মানুষ সম্পর্কে তথ্য ততটাই কম রেকর্ড করে রাখা হয়েছে। আমরা যে মানুষটির দেহাবশেষ পেয়েছি, তার মাধ্যমে এবার আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হবে যে, মধ্যযুগীয় আমলে মানুষের দিনকাল আসলে কেমন করে কাটত। কারণ, এই হতভাগ্য মানুষদের দিনলিপি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই আমাদের জানা রয়েছে।”
সেইন্ট জর্জে আরো যেসকল কংকাল পাওয়া গিয়েছে,তাদের বেশিরভাগই ছিলেন দরিদ্র পরিবারের।তাদের কবরে শায়িত করার সময়কাল ছিল ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতক।ঐ সময়কালের যে সমস্ত হাসপাতাল কিংবা দাতব্য সংস্থা ছিল, তাদের সহায়তায় এই হতভাগ্য মানুষদের কবর দেয়া হয়।
বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন যে,তাদের প্রাপ্ত যে কংকালটি রয়েছে তার দৈহিক গঠনের পরীক্ষা করলে জানা যায় যে তিনি চল্লিশোর্ধ্ব ছিলেন।তার হাতের গঠন ও মুখের গঠন দেখলে বোঝা যায় তিনি কায়িক শ্রমের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতেন। অর্থাৎ, তিনি হয়তবা একজন দিনমজুর বা ঐ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তার মেরুদন্ড ও কাঁধের হাড় লক্ষ্য করলে দেখা যায় তিনি ব্যাকপেইন বা কাঁধের ব্যথায় ভুগতেন। কায়িক শ্রম না করলে ঐ সময়ে এই ধরণের ব্যথায় আক্রান্ত হবার কোন সম্ভাবনা নেই বলেই বিজ্ঞানীদের ধারণা।

নতুন এই আবিষ্কার মধ্যযুগীয় সময়ে অর্থনৈতিকভাবে নিম্নশ্রেণীর মানুষের দিনলিপি বা সামাজিক অবস্থান কেমন ছিল, এবার তাই নিয়েই গবেষণা করতে চান বিজ্ঞানীরা।

14
পৃথিবীর অনেক স্থানেই সূর্যের আলো পুরোপুরি পৌঁছায় না।প্রয়োজন থাকলেও সেইসব স্থানে সৌরশক্তির ব্যবহার সম্ভব হয় না।যেসব অঞ্চলে সূর্যালো পৌঁছায় না সে সব স্থানের কথা মাথায় রেখে জার্মানিতে গবেষকরা তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম সূর্য।বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম সূর্য ২৩ মার্চ থেকে আলো আর উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে।বৃহস্পতিবার জার্মানিতে এই কৃত্রিম সূর্যের উদ্বোধন করেন দেশটির পরিবেশমন্ত্রী জোহান্স রেমেল, অর্থমন্ত্রী গর্গ মেনজেন এবং জার্মান অরোস্পেস সেন্টারের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য কার্স্টেন লেমের।বৃহত্তম এই কৃত্রিম সূর্যের নাম দেয়া হয়েছে সিনলাইট।

সিনলাইটের ভবটি তিন তলা উঁচু।এখানে ১৪০ জেনন শর্ট আর্ক ল্যাম্প জ্বলছে।মাল্টিপ্লেক্সের লার্জ সিনেমা স্ক্রিনে আলোর জন্য একটিমাত্র জেনন শর্ট আর্ক ল্যাম্প জ্বালানো হয়।

এই সিনলাইট ৩ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তাপ তৈরি করতে পারে।এই প্রচণ্ড তাপমাত্রায় গবেষকরা হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুত করছেন।সোলার রেডিয়েশন ব্যবহার করে হাইড্রোজেন প্রস্তুত করার প্রণালী বেশ কয়েক বছর আগেই আবিষ্কার হয়েছে।কিন্তু সিনলাইটের ফলে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা সম্ভব যা শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহার করা সম্ভব।

15
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য রাসায়নিক পদার্থ বা গ্যাসীয় পদার্থ হচ্ছে হাইড্রোজেন। এর কারণ কি?
অরিগন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক মে নাইম্যান বলেন, “এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের যেতে হবে বিগ ব্যাং তত্ত্বে।”
পর্যায় সারণিতে যে সকল মৌল রয়েছে, তাদের বেশিরভাগ দিয়েই এই পৃথিবী গঠিত। এসব মৌলগুলোর আবার সাবএটোমিক পার্টিকেল রয়েছে। যেমনঃ প্রোটন (ধনাত্মক চার্জ বিশিষ্ট), নিউট্রন (নিরপেক্ষ) ও ইলেকট্রন (ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট)।

নাইম্যান বলেন, “হাইড্রোজেন হচ্ছে এমন একটি মৌল যেটি কেবলমাত্র একটি প্রোটন ও একটি ইলেকট্রন দিয়ে গঠিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে সহজলভ্য মৌল হবার একটি অন্যতম কারণ। এর মাঝে কোন নিউট্রন বা নিরপেক্ষ কণিকা নেই।”

আকাশের তারকারাজিদের মাঝে হাইড্রোজেন হিলিয়াম তৈরিতে সাহায্য করে। এনসাইক্লোপিডিয়া ডট কমের একটি তথ্যমতে, হিলিয়াম হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ সহজলভ্য মৌল। হিলিয়ামের প্রোটন, নিউট্রন ও ইলেকট্রন সব কিছুই দুটো করে রয়েছে। এই মহাবিশ্ব যত পদার্থ আমাদের জানা রয়েছে, তাদের মধ্যে ৯৯.৯৯ শতাংশ পদার্থই হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।
তা সত্ত্বেও পৃথিবীতে যে পরিমাণ হাইড্রোজেন রয়েছে, তা হিলিয়ামের চাইতে অন্তত দশগুণ। মজার ব্যপার হচ্ছে, পৃথিবীতে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৌল হচ্ছে অক্সিজেন। এটি হাইড্রোজেনের চাইতে ১০০০ গুণ কম পরিমাণে রয়েছে।

নাইম্যান বলেন, যেসকল মৌলের আণবিক সংখ্যা যত বেশি, প্রকৃতিতে তারা তত বেশি দুর্লভ।
মানুষের শরীরে যে পদার্থ সবচেয়ে বেশি রয়েছে, তা হচ্ছে অক্সিজেন। এরপরে পর্যায়ক্রমে রয়েছে কার্বন ও হাইড্রোজেন।

হাইড্রোজেন নিয়ে কিছু তথ্যঃ
১) মানব শরীরে হাইড্রোজেনের ভূমিকা অপরিসীম। হাইড্রোজেন বন্ধন ডি এন এ প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২) পাকস্থলী ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পিএইচের পরিমাণ হাইড্রোজেন নির্ধারণ করে।
৩) আমাদের শরীরে অম্লীয় কিংবা ক্ষারীয় যে মাত্রাই বেশি হোক না কেন, হাইড্রোজেন তার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৪) বরফকে পানিতে ভাসতে হাইড্রোজেন সাহায্য করে।
৫) পৃথিবীতে অন্যতম শক্তিশালী বোমা তৈরি করা হয়েছিল হাইড্রোজেনের সাহায্যে।

Pages: [1] 2 3 ... 7