Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - subrata.ns

Pages: 1 ... 5 6 [7]
91


২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট নিয়ে নানা পর্যায়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, হচ্ছে ও ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু আমাদের আলোচনার বিষয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৯ জুন প্রথম আলোর সম্পাদকীয়র শিরোনাম ছিল: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট’। এতে বলা হয়েছে ১০০-এর কাছাকাছি বিভাগ ও ইনস্টিটিউশনের গবেষণার জন্য ধরা হয়েছে মাত্র সাড়ে চার কোটি টাকা, যা কি না পুরো বাজেটের ১ শতাংশ মাত্র। টাকার এই পরিমাণটা শুধু অপ্রতুলই নয়, একধরনের মশকরা আরকি! প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নাম শুনলে যাঁরা খােমাখাই উদ্বেলিত হন, তাঁরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেটে খুবই মনঃক্ষুণ্ন² হবেন। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেটের এই করুণ অবস্থা, সেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাটা কেমন হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা বাজেট প্রসঙ্গ না তোলাই ভালো।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য ডিগ্রি দেওয়া নয়, বরং জ্ঞান সৃষ্টি, নিরন্তর অনুশীলন গবেষণা’ এই লাইনটির সঙ্গে দ্বিমত পোষণের উপায় নেই। তবে গবেষণা বাজেটের পরিমাণ দেখে মনে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আসলেই শুধু ডিগ্রি দেওয়া, সৃজনশীল গবেষণা নয়। এই ধারণা মিথ্যা হলে আমি খুবই খুশি হতাম, কিন্তু সেটা হওয়ার নয়। যাক এবার একটি আনুমানিক সংখ্যায়নে আসা যাক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেট চার কোটি টাকা ও অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেট ২ দশমিক ৫ কোটি টাকা হলে দেশের সর্বমোট ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট হবে মাত্র ১২ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা শ্বেতহস্তী বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন ও বিসিএসআইআরসহ অন্যান্য খুচরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও উন্নয়ন বাজেট ৪৮ মিলিয়ন ডলার হলে বাংলাদেশের সর্বমোট গবেষণা বাজেট হবে ৬০ মিলিয়ন ডলার। এখন LHps://em.wikipedia.org/wiki থেকে নেওয়া একটি উপাত্ত থেকে কয়েকটি দেশের তালিকায় নমুনা তুলে দিচ্ছি; এই তালিকায় ১০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো স্থান নেই!
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান একটি লজ্জাজনক অবস্থায় আছে।
আজ বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে, এটা আমাদের সবার জন্যই কিছুটা হলেও আনন্দের। তবে গড় আয় আমাদের মতো দরিদ্র দেশগুলোতে অনেকটাই শুভংকরের ফাঁকি বলে ধারণা করি। স্বল্পসংখ্যক ধনী মানুষের আয় আর বিশালসংখ্যক দরিদ্রের আয় গড় হিসাবে চালানোতে বড় ধরনের একটা ফাঁক থেকেই যায়। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, আজ ১ টাকা গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় করলে আগামী দিনে ১০ টাকার সংস্থান হবে। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, যাঁরা আমাদের আগামী দিনের পরিকল্পনা তৈরি করেন, তাঁদের বোধের ওপরই নির্ভর করে আমাদের সার্বিক উন্নয়ন।
বাংলাদেশে মেধাবী লোকবলের অভাব নেই। মেধাবী এই লোকবলকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে মধ্যম আয়ের দেশ হতে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না, অন্যথায় এটা একটা ফাঁপা স্লোগান হয়েই থাকবে

প্রসঙ্গত, আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের উদাহরণ দিই (এটা অনুমান করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই যে ভারত সব দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে, বরং এর কয়েকটি রাজ্যের তুলনায় বাংলাদেশ সব দিক দিয়েই এগিয়ে আছে)। স্বাধীনতা লাভের বহু বছর আগে থেকেই তৎকালীন কংগ্রেস দলীয় ভিত্তিতেই ‘প্ল্যানিং কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করে, যা তাদের স্বাধীনতার পর ‘প্ল্যানিং কমিশন’-এ রূপ নেয়। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই উল্লিখিত প্ল্যানিং কমিটির মাধ্যমে নেহরু মোটামুটিভাবে ভারতের ভবিষ্যৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি রূপরেখা ঠিক করে রেখেছিলেন। উল্লেখ্য, ওই কমিটিতে তৎকালীন ভারতের নামকরা পণ্ডিত ব্যক্তিত্বদের আধিক্য ছিল, আমলাদের স্থান প্রায় ছিলই না বলা যায়। যতটা জানা যায়, ভবিষ্যৎ এই রূপকল্পে বিজ্ঞানের গবেষণা ও উন্নয়নে: (ক) ভারতের পারমাণবিক কমিশন গঠন ও এর কার্যক্রম চিহ্নিতকরণ, (খ) আইআইটিগুলোর রূপকল্প তৈরি করা, (গ) খাদ্যে ভারতের স্বনির্ভরতা অর্জন ও (ঘ) বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন রূপকল্পের একটা কাঠামো তৈরি করা। তৃতীয় বিশ্বের একটি উদাহরণ হিসেবে ভারতকেই নেওয়া যেত পারে, যার উন্নয়নে বিজ্ঞান গবেষণা একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। বছর কয়েক আগে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তির চুক্তি করতে গিয়ে অকপটে বলেছেন, ভারতের সফট ও জাপানের হার্ডওয়্যারের মিলন হলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব। আজ থেকে ৭০ বছর আগে ভারতের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বিশ্বপ্রযুক্তিতে একটি প্রজ্ঞাবান রূপকল্পের জন্ম দেয়, যার ফল ভারত আজ ভোগ করছে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ফিরে আসি। প্রায় সাড়ে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের এক বড় আকারের বাজেট দিয়েছে বাংলাদেশ ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের জন্য। নিম্ন মধ্যম আয়ের বাংলাদেশে এই বাজেট নিতান্ত কম নয়। তবে গবেষণা ও উন্নয়নে এই বাজেটের শতকরা কত অংশ ধরা হয়েছে তার সঠিক হিসাব আমার জানা নেই, তবে আমরা এই লেখার গোড়ার দিকে উল্লিখিত তা যদি ৬০ মিলিয়ন ডলার হয়ে থাকে, তবে ৩৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের এই বাজেটের একেবারেই নগণ্য অংশ সেটা। আর ১৫০ বিলিয়ন জিডিপির তুলনায় তা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি!
আমরা জানি, নিম্ন মধ্যম আয়ের এই বাংলাদেশে স্বাভাবিক কারণেই আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এমন কঠিন বাস্তবতার মধ্যে আমাদের ঠিক করতে হবে আগামী দিনের বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে। ২০১৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই আমাদের আগামী দিনের রূপকল্পে যেসব বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে তা হলো: (ক) বায়বীয় অর্থে নয়, যথার্থেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে আয়ের উন্নত মানের কৃষি গবেষণা চালু করতে হবে। সাম্প্রতিক কালে পত্রপত্রিকায় পচা গমের খবরে এই সত্যই প্রতিষ্ঠিত হয় যে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এখনো আমরা হইনি। গোলাভরা ধানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে কৃষি, মৎস্য ও আমিষ খাবারের উৎপাদন যথার্থই বাড়াতে হবে উন্নত মানের গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে। (খ) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অবস্থা ততটা ভালো নয়, যতটা আমরা প্রচার করি। বিশেষ করে বিদ্যুতের জন্য পারমাণবিক শক্তির বিকল্প দেখি না। সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ—এসব একান্তই জোড়াতালি, এগুলো দিয়ে ১৬০ মিলিয়ন মানুষের চাহিদা পূরণ হবে না। কাজেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আমাদের দক্ষ জনবল চাই। এই দক্ষ জনবল ও প্রযুক্তি ধার করে চলবে না, তা তৈরি করতে হবে আমাদেরই। কিন্তু এই জনবল ও প্রযুক্তি সৃষ্টির কোনো রূপকল্প আমাদের আছে কি? আমাদের বড় আকারের বাজেটে আছে কি তার জন্য কোনো বরাদ্দ? (গ) স্বাধীনতার প্রায় ৪৪ বছর পরও বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষ হাঁচি-কাশির চিকিৎসার জন্য উড়ে যাচ্ছেন ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর। কেন আমরা পারিনি চিকিৎসাক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরি করতে? গবেষণা-উন্নয়নে কী পরিমাণ বাজেট ধরা আছে চিকিৎসাক্ষেত্রে? সরকারের উচ্চপর্যায়ের ও উচ্চ আয়ের মানুষেরা যেখানে উচ্চমূল্যে বিদেশে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন, সেখানে সাধারণ মানুষের কথাও ভাবতে হবে। (ঘ) ৫০ বছর আগে ভারত তাদের আইআইটিগুলো চালু করে যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় রেখেছে, আজ তার ফল তারা পাচ্ছে। ভারতের আইআইটি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটির গ্র্যাজুয়েটদের প্রায় এক পাল্লায় মাপা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৪ বছর পার হওয়ার পরও কি আমাদের এই রাজনৈতিক প্রজ্ঞার উদয় হবে না? (ঙ) আজ বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি ও ষাটেরও বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আমরা ধরে নিই, আমার উল্লিখিত (ক থেকে ঘ) বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের মূল ভূমি হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তরুণ ও প্রবীণ গবেষকদের একটি মিলনক্ষেত্র কি ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ (এনআইএসটি) নামের বহুমুখী গবেষণাগার করা যায় না, যেখানে গবেষকেরা আসবেন, প্রশিক্ষণ নেবেন ও দেবেন বছরব্যাপী? ইতালির ত্রিয়েস্তে শহরে আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে অধ্যাপক আবদুস সালাম বিজ্ঞানের বিশেষ শাখায় গবেষকদের যে মিলনক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছেন, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো আজ তার সুফল পাচ্ছে। একই রূপকল্পে সদিচ্ছা থাকলে আমরাও পারি জাতীয় পর্যায়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠান করতে, যা আমাদের ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে বিজ্ঞান গবেষণায় এগিয়ে নেবে।
আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে মেধাবী লোকবলের অভাব নেই। মেধাবী এই লোকবলকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে মধ্যম আয়ের দেশ হতে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না, অন্যথায় এটা একটা ফাঁপা স্লোগান হয়েই থাকবে।
এস এম মুজিবুর রহমান: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়, মাসকাট, ওমান।

Source: Prothom Alo

92
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কথা আমরা সবাই কম বেশি জানি। এটি পৃথাবীর বুকে সব চেয়ে রহস্যময়,অজানা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। যা কিনা মৃত্যুপুরীতেও পরিণত হয়। যাকে নিয়ে কৌতুহলের কোন শেষ নেই।
বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক থেকে এর উপর গবেষনা চালিয়ে আসছে। এজায়গার অজানা রহস্যগুলো উম্মচন করতে। কেন এই জায়গার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া উড়োজাহাজ এবং ভেসে যাওয়া নৌজাহাজ গুলো নিখোঁজ হয়ে যায়? এগুলো কে কেন আর খুজে পাওয়া যায় না? এগুলো কোথায় যায়?
এমনই অনেক না জানা প্রশ্নের উত্তর জানতে গবেষণা করা হয় এই জায়গা নিয়ে।
ড. রে এর করা এমনই এক গবেষণায় বেরিয়ে আসে পানির নিচে থাকা রহ্স্যময় ক্রিস্টাল পিরামিডের অস্তিত্ব। এটি আকারে মিশরের পিরামিডের চেয়েও বড়। এর উপর ভাগে দুটি বড় বড় ছিদ্র আছে যা দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় এবং বড় বড় ঢেউ উৎপন্ন হয়ে সাগরের উপরি ভাগের পানির সাথে গিয়ে মেলে।
গবেষকেরা এই ঢেউ এর সাথে জাহাজ নিখোঁজ হওয়ার কোন সম্পর্ক থাকতে পারে কি না তা নিয়ে ভাবছেন। ১৯৬০ সালে প্রথব বার ড. রে এটি আবিস্কার করে। তবে ওসেনগ্রাফার ড. ভার্লাগ মেয়ের সোনার টেকনোলজি ব্যবহারকালে এটি কে পুনরায় আবিস্কার করেন। এই পিরামিড কবে কিভাবে এবং কেন তৈরি হয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি। ২০১২ তে ফ্রান্স এবং অ্যামেরিকান গবেষকেরা এটা নিয়ে গবেষণা শুরু করে।

93
৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের সানজিদ আনোয়ারের রৌপ্য এবং আদিব হাসান, আসিফ-ই-এলাহী, সাব্বির রহমান ও সাজিদ আকতারের ব্রোঞ্জপদক পাওয়ার মাধ্যমে শেষ হলো বাংলাদেশের এ বছরের আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (আইএমও) মিশন। এ ছাড়া এম নাঈমুল ইসলাম পেয়েছে সম্মানজনক স্বীকৃতি।
এবার মোট ৯৭ নম্বর পেয়েছে বাংলাদেশ দল। আইএমওতে টানা ১১ বার অংশগ্রহণে বাংলাদেশের পাওয়া এটাই সর্বোচ্চ নম্বর। ১১৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম। ভারতের অবস্থান ৩৭তম। মোট ১৮৫ নম্বর পেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরে চীন, দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া।

94
ইলেকট্রিক বাইসাইকেল “বোল্ট এম১” প্রাথমিক ভাবে ইলেকট্রিক শক্তি ব্যবহার করে চলে। আবার চাইলে সাধারণ বাইসাইকেলের মতোন প্যাডেল করেও চালানো যায়.
নতুন এই ইকোবাইকে ১.৬ কিলোওয়াড লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেটি একবার ফুল চার্জ করতে মাত্র ৯০ মিনিটের মতো সময় লাগবে। আর একবার ফুল চার্জ করার পর সেটি দিয়ে সম্পূর্ণ ৫০ মাইল অর্থাৎ প্রায় ৮১ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে পারবেন.

নতুন এই বাইকটি ২টি মোডে ব্যবহার করতে পারবেন, ১ একোনমি আর ২ স্পোর্টস। একোনমি মোডে এটি সর্বচ্চ ২০ মাইল পার ঘণ্টা গতিতে চলবে আর স্পোর্টস মোডে এটি ৫০ মাইল পার ঘণ্টা গতিতে ছুটবে।

আরও একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল নতুন এই ইকোবাইকে ইউএসবি এবং ব্লুটুথ সংযোগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে. আছে বাইকের মতোন সুন্দর একটি স্পীড মিটার সাথে ব্যাটারি সিগন্যাল।

95
 ১. চকলেট হলো কুকুরের জন্য বিষ। ১টা বড় কুকুরকে মারতে সামান্য কয়েক পাউন্ড চকলেটই যথেষ্ট।

২. লিপস্টিকের প্রধান উপকরন হলো মাছের আশেঁর গুড়া।

৩. মার্লবোরো সিগারেট কোম্পানীর প্রথম মালিক ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান।

৪. কোকা কোলা কে গাড়ীর তেল (মবিলের বিকল্প) হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

৫. চোথ থোলা রেখে হাচিঁ দেওয়া কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব না।

96
Common Forum/Request/Suggestions / টাউ দিবস (τ)
« on: July 13, 2015, 10:46:15 AM »
টাউ দিবস (τ) ২৮ জুন.

টাউ এর মান পাইয়ের দ্বিগুণ। অর্থাৎ τ = ২π = 6.2831853071......
বৃত্তের পরিধিকে ব্যাস দিয়ে ভাগ করলে পাই পাওয়া যায়, কাজেই পরিধিকে ব্যাসার্ধ্য দিয়ে ভাগ করলে টাউ পাওয়া যাবে।
এর মানের প্রথম অংক ৬ অনুযায়ী জুন মাস টাউ মাস, পরের দুটি অংক 28 অনুযায়ী ২৮ তারিখ টাউ দিবস

97
আগামী বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ সার্কভুক্ত আটটি দেশের জন্য একটি কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ভারত। বিভিন্ন ধরনের জনসেবামূলক কাজে এই কৃত্রিম উপগ্রহের তথ্য কাজে লাগানো হবে বলে ২৬ জুন শুক্রবার জানিয়েছেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান এ. এস. কিরণ কুমার।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) চেয়ারম্যান বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘দুই টন এই স্যাটেলাইটে ১২ কুর্টজ আন্ডার ব্যান্ড (স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম) ট্রান্সপন্ডার (বেতার তরঙ্গ গ্রহণ এবং বিভিন্ন সংকেতে স্বয়ংক্রিয় স্থানান্তরের যন্ত্র) থাকবে। এতে একেকটি সংকেত একেকটি দেশের জন্য দেওয়া হবে যাতে এ অঞ্চলের যোগাযোগ, শিক্ষা, টেলিমেডিসিন, দুর্যোগ নজরদারি ও অন্যান্য সেবার কাজে তা ব্যবহার করা যায়।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য এ অঞ্চলে ভারতের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রস্তাব দেন।

বর্তমানে এ অঞ্চলে কেবল ভারতেরই স্যাটেলাইট তৈরি, যোগাযোগের জন্য তা উৎক্ষেপণ ও পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ও মহাকাশ গবেষণার কাজে লাগানোর সক্ষমতা আছে।
সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব রিজওনাল কোঅপারেশন বা সার্ক ১৯৮৫ সালে গঠিত হয়। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এর সাতটি সদস্য থাকলেও পরে আফগানিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গত বছরের নভেম্বর মাসে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সার্ক সম্মেলনে মোদির প্রস্তাবকে অনুমোদন দেন সার্কের প্রধান।
কিরণ কুমার বলেন, ২২ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সার্কের এক সভায়, বিশেষজ্ঞরা এই অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই কৃত্রিম উপগ্রহটির জন্য একমত হন। প্রতিটি দেশ থেকে পাঁচজন করে প্রতিনিধি এই সভায় ছিলেন। এই সভায় পাকিস্তানও অংশ নেয়।’
ভারতের মোদী সরকারের অনুমোদন নিয়ে, ভারতের সরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি আগামী দেড় বছরে মধ্যে বেঙ্গালুরু কেন্দ্রে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি তৈরি করবে এবং অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
কিরণ কুমার আরও বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বরে সার্ক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে কারণ এটি তৈরি করতে দেড় বছর সময় লাগবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্কভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জানতে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছে।
কিরণ কুমার বলেন, ভবিষ্যৎ মহাকাশ কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে এবং এই অঞ্চলের সুবিধার জন্য আমরা একটি সার্ক কনসোর্টিয়ামের পরিকল্পনা করছি যাতে প্রতিটি দেশ তাদের সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারে।

98


রোববার রাত ৯টায় ৮০৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী।

এ সময় সারাদেশে কোনো লোডশেডিং ছিল না বলেও জানান তিনি।

এর আগে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল গত বুধবার। ওইদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৭৯২৩ মেগাওয়াট।

সাইফুল হাসান চৌধুরী জানান, রোববার উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৯৭৮ মেগাওয়াট এসেছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এবং ২৪০২ মেগাওয়াট এসেছে তেলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে।

এছাড়া কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে ৭৫ মেগাওয়াট, পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১২৪ মেগাওয়াট এবং ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে ৪৫৩ মেগাওয়াট।

গত বছর একদিনে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ৭৪১৮ মেগাওয়াট।

পিডিবির হিসাবে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ছয় বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে।

২০০৮ সালে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ৪০৩৬ মেগাওয়াট।


Link: http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article993149.bdnews

Pages: 1 ... 5 6 [7]