Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Life Style => Topic started by: afrin.ns on February 16, 2018, 12:33:06 PM
-
কাজু, পেস্তা, চীনাবাদাম কিংবা আখরোট -সব ধরনের বাদামই পুষ্টিগুণে ভরপুর। বাদামে প্রচুর পরিমানে আঁশ, ভিটামিন বি, এ, খনিজ যেমন-জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সংমিশ্রণ থাকে।
বাদামে প্রচুর পরিমানে শক্তি এবং পুষ্টিকর পরিপোষক পদার্থ থাকে। এতে থাকা ফ্যাটি এসিড শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
বাদাম হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে। এছাড়া স্তন, কোলন এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বাদাম কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
বাদাম বাত, আলঝাইমার রোগের জন্য উপকারী। এটি বিষন্নতা কমাতে সাহায্য করে।
বাদামে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম , জিঙ্ক, কপার, ফলুরয়েড, সেলেনিয়াম আছে। পটাশিয়াম হৃদপিণ্ড এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কপার লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহ্যা করে। আবার ফ্লুরয়েড দাঁতের সমস্যা কমায়।
বাদামে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।
বাদামে যদিও ফ্যাটি এসিড আছে কিন্তু এটা ওজন বাড়ায় না। বরং স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে। এটা ক্ষুধা নিবারনেও ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩০ গ্রাম বাদাম খাওয়া উচিত। তবে বাড়িতে সবসময় এই ওজন মেপে বাদাম খাওয়া সম্ভব না। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি আখরোট, কাজু বা পেস্তা বাদাম খেতে পারেন। আর চীনা বাদামের পরিমান হবে আরেকটু বেশি।