Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - amlan

Pages: [1]
1
সময়ের সাথে সাথে সবকিছু ইন্টারনেটনির্ভর হয়ে যাচ্ছে। ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রও তার বাইরে নয়। এখন ক্যারিয়ারের জন্যও ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হতে হয় সবাইকে। চাকরি খোঁজা থেকে শুরু করে পদোন্নতি, নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি, নিজেকে প্রকাশ করার সব কাজই এখন অনলাইনের মাধ্যমেই সম্পন্ন করা যায়। কাজেই অনলাইনের সহযোগিতা এখন আপনার ক্যারিয়ারের উন্নতিতে অন্যতম প্রধান মাধ্যম। কাজেই ইন্টারনেটকে দূরে ঠেলে দিবেন না। বরং সঠিকভাবে কাজে লাগান একে। সেটাই আপনার ক্যারিয়ারের জন্য হতে পারে প্লাস পয়েন্ট।
 
সময়ের সাথে সাথে সচেতন হয়ে উঠেছে সবাই। এখন ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা-চিন্তাটা শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে চিন্তা করলে একটা সময় পর্যন্ত পরিস্থিতিটা ছিল এমন যে আপনি ভালো বা মোটামুটি ভালো কোনো বিষয় নিয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিটা বাগিয়ে নিতে পারলেই চাকরির সুযোগ ছিল উন্মুক্ত। অনার্স-মাস্টার্স করা কেউ চাকরি খুঁজে পাচ্ছে না, এমন চিত্র আজ থেকে বছর বিশেক আগেও তেমন একটা দেখা যেত না। তবে আমাদের দেশ সময়ের সাথে সাথে জনসংখ্যার ভারে ন্যুজ্ব যেমন হয়েছে, তেমনি কমতে শুরু করেছে চাকরির সুযোগ। এখন অনার্স-মাস্টার্স করে চাকরি পাচ্ছে না খুঁজে, এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি।

এ কারণে একদিকে যেমন পড়ালেখা করা অবস্থাতেই চাকরি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে, তেমনি ক্যারিয়ারের ক্ষেত্র কিংবা ক্যারিয়ার গড়ে তোলার ধাপগুলোতেও এসেছে পরিবর্তন। একটা সময় পর্যন্ত চাকরির জন্য ওই দৈনিক সংবাদপত্রের বিজ্ঞপ্তিই ছিল ভরসা। এখন কি আর সেই সময় আছে? এখন তো সবার আগে চাকরির খোঁজে মানুষ ঢুঁ মারে অনলাইন জব পোর্টালগুলোতে। শুধু তাই নয়, সোস্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের রমরমা এই সময়ে আপনি যত বেশি নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত, আপনার ক্যারিয়ারটি কিন্তু ততই সমৃদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইন্টারনেট কী করে ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সামনের দিকে, তার কিছু দিক তুলে ধরা হলো এই লেখায়।

 

জব পোর্টালেই ভরসা

জব পোর্টালগুলোর মাধ্যমে চাকরির সন্ধান নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে সময়ের সাথে সাথে এর পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এখনও সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে নিয়োগের জন্য, তবে বহুজাতিক থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও কিন্তু ক্রমেই ঝুঁকে পড়ছে অনলাইন বিজ্ঞাপনের দিকে। এখন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করার জন্য আর হাতে-কলমে লেখা বা প্রিন্ট করা জীবনবৃত্তান্ত কিংবা আবেদন পত্রের প্রয়োজন হয় না। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এখন অনলাইন আবেদন সমর্থন করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অনলাইন আবেদন সিস্টেম না থাকলেও জব পোর্টালগুলোর অনলাইন আবেদন সিস্টেম দিয়েই কাজ চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কাজেই ইন্টারনেটের সাথে পরিচিত হয়ে উঠুন শুরু থেকেই।

 

দক্ষতার প্রমাণ অনলাইনেই

চাকরির সন্ধান না হয় মিলল অনলাইনে। কিন্তু আপনার কাজের নিজস্ব দক্ষতাটি কীভাবে দেখাবেন অনলাইনে, সে প্রশ্ন আপনার মনে আসতেই পারে। এখন সময়টা এমন যে সকলেই ফেসবুক, টুইটারসহ নানা ধরনের সোস্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। লিংকএডইন-এর মতো প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতেও রয়েছে সকলের সরব উপস্থিতি। এখনকার সময়ে প্রায় সব আধুনিক প্রতিষ্ঠানই আবার সামাজিক যোগাযোগের এসব সাইটে নিজেদের উপস্থিতি বজায় রেখেছে অ্যাকাউন্ট কিংবা ফ্যানপেজ খোলার মাধ্যমে। এসব সোস্যাল নেটওয়ার্কে তাই আপনার বন্ধুদের তালিকায় যারা রয়েছে, তারাই হয়ে উঠতে পারে আপনার ক্যারিয়ারের নির্ভরশীল গাইড। হয়ত আপনার ফেসবুকের বন্ধুদের তালিকায় রয়েছেন একটি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা। ফেসবুকে আপনার কোনো কর্মকাণ্ড তার ভালো লেগেই যেতে পারে। আর সেই কাজের উপযোগী কোনো পদ তার প্রতিষ্ঠানে খালি থাকলে আপনার শরণাপন্ন হয়ে পড়তে পারে সে। হয়ত আপনি খুব ভালো কার্টুন আঁঁকতে পারেন। আপনার ফেসবুক বা টুইটারে আপনার আঁঁকা কার্টুনের একটি অ্যালবাম রয়েছে। দেখা গেল আপনার অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত কেউ সেই কার্টুন দেখে মুগ্ধ। তিনি হয়ত তার প্রতিষ্ঠানের কাজের জন্য একজন কার্টুনিস্ট খুঁজছেন। কিংবা তারই কোনো বন্ধু তার কাছে পরিচিত কোনো কার্টুনিস্টের রেফারেন্স চেয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ওই কার্টুনের অ্যালবামটি হয়ে যেতে পারে আপনার সহায়।

 

গুরুত্ব দিন সবাইকে

অনলাইনে তাহলে আপনার আচরণ কেমন হবে? কাজের ক্ষেত্রে কিন্তু সকলেই আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী। তারপরেও যথাসম্ভব আপনার বন্ধুর সংখ্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই। একটা বিষয় এড়িয়ে চলবেন, কখনই আপনাকে অনলাইনে অন্য সবার চাইতে বড় ভাববেন না। বাস্তব জীবনের জন্যও এটি সমানভাবে প্রযোজ্য অবশ্য। অনলাইনে যেসব বন্ধু রয়েছে, তাদের মতামতের গুরুত্ব দিন। অন্তত একবার মন দিয়ে শুনুন তাদের কথা। বার্ডস আই অবজারভেশনের কোনো বিকল্প নেই।

 

অনুসরণ করুণ সফলদের

অনলাইনে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি মাধ্যম হতে পারে সফলদের সাথে যোগাযোগ। সফল যারা রয়েছে, তাদের যুক্ত করুন নিজের নেটওয়ার্কে। দেখুন তারা কী করে কাজ করেন, কী করে কথা বলে, কী করে মানুষকে প্রভাবিত করে। কেউ সাফল্যের দিকে এগিয়ে গেলে তাকে ঈর্ষা না করে দেখুন কী করে সে সাফল্যের পথে এগিয়ে গেল। অনলাইনে সকলের কথপোকথন থেকে আপনি কিন্তু আপনার যোগাযোগের দক্ষতা, ভাষার দক্ষতাও বাড়িয়ে তুলতে পারবেন। অনলাইনই তাই আপনার শিক্ষক এ ক্ষেত্রে।

 

প্রকাশ করুন

নিজেকে পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ করুন অনলাইনে। সোস্যাল মিডিয়াতে আপনার পূর্ণরূপটা প্রকাশ করতে পারলে এর চেয়ে বড় রিসিউম আর কী হবে?


2
যেকোন স্টার্ট আপ কোম্পানিতে এন্ট্রি লেভেলে বিভিন্ন বিভাগে চাকুরীর সুযোগ থাকে। তবে চাকুরী প্রার্থীদের মধ্যে সেকাল আর একালের প্রার্থীদের ভিন্নতা লক্ষণীয়। যে পদের জন্যই চাকুরীর আবেদন করা হোক না কেন, সব সম্ভাব্য চাকুরী প্রার্থীদের এই ৪টি কথা বিবেচনায় রাখা প্রয়োজনঃ


১. কম বেতনের চাকুরী গ্রহণ করুন

যদি আপনার কাছে দুটি চাকুরীর অপশন থাকে, একটি হল রোমাঞ্চকর ও চ্যালেঞ্জিং আর অন্যটি হল গতানুগতিক ধারার, তখন বেতনের অনুপাতে চাকুরী দুটিকে বিশ্লেষণ করবেন না। হয়ত চ্যালেঞ্জিং চাকুরীর বেতন কম কিন্তু সেখান থেকে আপনি মূল্যবান অনেক কিছুই শিখতে পারবেন যা আপনার জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে। গ্রাজুয়েট হওয়ার পর প্রথম ৩ বছর হওয়া উচিত কাজ শেখার সময়, উচ্চ আয় উপার্জনের সময় নয়। প্রথম চাকুরী থেকে আপনি যা শিখবেন ও যে দক্ষতা অর্জন করবেন তা দিয়ে পরবর্তী বছরগুলোতে আপনার যোগ্যতা বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে। হতে পারে প্রথম চাকুরীতে আপনি কম বেতন পেয়েছেন, কিন্তু পরবর্তীতে ঐ কম বেতনের চাকুরীর অভিজ্ঞতা আপনাকে বেশি বেতন আয় করতে সাহায্য করবে এবং প্রথম কয়েক বছরের অভাব মিটিয়ে দেবে।



২. নিজের ইগো নয়, বরং নিজের বিবেকের সাথে সন্ধি করুন

যারা নিয়োগকর্তা তারা ভাল করেই জানেন যে নামী দামী ডিগ্রি থাকলেই একজন ভাল কর্মচারী হয় না। অনেক সময় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা গ্রাজুয়েটরা অন্যান্য সাদামাটা গ্রাজুয়েটদের তুলনায় তেমন কোন চমক করে দেখাতে পারেনা। যদি আপনি সদ্য চাকুরী বাজারে প্রবেশ করে থাকেন তাহলে শুরুতেই উচ্চ বেতন নিয়ে নিয়োগকর্তাদের সাথে দর কষাকষি না করাই উত্তম যদিও হয়ত আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড বলে যে আপনি উচ্চ বেতন পাওয়ার যোগ্য দাবিদার। প্রথম চাকুরীকে মনে করুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ইন্টার্নশিপ কোর্স হিসেবে যা আপনাকে কাজের বিনিময়ে কিছু অর্থও দিয়ে থাকে।



৩. অন্য কাউকে জড়াবেন না

অনেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের মা-বাবা, আত্মীয় বা পরিচিতদের টেনে নিয়ে আনে। এটা অনেক সময় হিতে বিপরিত কাজ করে। অনেক সময় ভালো সম্পর্ক থাকলেও তা আপনার যোগ্যতার উপরে কাজ করে। যোগ্যতাকে ঢেকে দেয়। আবার অনেক সময় াপ্নার পরিচিত লোকই আপনাকে ভালো বলতে নাও পারে অথবা আপনাকে চিনতে নাও পারে। আর যদি তারা এর সাথে সম্পৃক্ত হয়েও থাকে তাহলে নিয়োগকর্তা সেটা জানতে আগ্রহী হবে না।



৪. বিলম্বিত পরিতৃপ্তি একটি মূল্যবান কৌশল

যখন আপনি একদম তৃণ্মূল পর্যায় থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে কাজের মাধ্যমে উপরে উঠে যাবেন, তখন আপনি অনেক কিছু শিখবেন। শেখা ছাড়াও, এই উপরে উঠার যাত্রা আপনাকে দেবে দৃঢ়তা, সঠিক মানসিকতা এবং ক্যারিয়ারে আপনি কী হতে চান সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা। বর্তমানের দ্রুত গতির যুগে এন্ট্রি লেভেলের চাকুরী প্রার্থীদের জানা উচিত যে সবকিছু দ্রুত হাসিল হয় না। কাজের মাধ্যমে আপনাকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে যে আপনি আসলেই যোগ্য ব্যক্তি।



সবকিছুর পরেও নিজের মানের সাথে কখনও আপোষ করবেন না। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন তাহলেই দেখবেন পরবর্তী বছরগুলোতে আপনার যোগ্যতা কতখানি বৃদ্ধি পায়।

3
১) সময়ের হিসাব করুন সবার আগে

কোনো বিষয়ে অনেক কিছু জানলে একটা প্রবনতা হলো সবকিছুকে উগরে দেয়া বিশাল লম্বা প্রেজেন্টেশন বানিয়ে। এর অবধারিত পরিণাম হলো সময়ের মধ্যে লেকচার শেষ করতে না পারা, ফলতঃ অনেক কিছু বাদ দিয়ে শেষের দিকে তাড়াহুড়া করে শেষ করা বা শেষ করতেই না পারা।


তাই সবার আগের কাজ হলো স্লাইড কয়টা হবে তা ঠিক করা। একটা খুব সহজ ফরমুলা হলো, টাইটেল আর অন্য কিছু লিস্ট মার্কা স্লাইড বাদে অন্য স্লাইডগুলার জন্য স্লাইডপিছু এক বা দুই মিনিট বরাদ্দ করা। অর্থাৎ আপনার সময় যদি ১৫ মিনিট হয়, তাহলে বড়জোর ৮টা স্লাইড বানাবেন। এর বেশি বানালে আপনার স্লাইডগুলাতে তথ্য কমই থাকবে, অথবা আপনি শেষ করতে পারবেন না এই সময়ে।

 

২) ছবি কথা বলে ...

A picture is worth a thousand words ...

যেকোনো সেমিনারে গেলেই দেখবেন, হাত পা নেড়ে খুব উৎসাহের সাথে প্রেজেন্টার অনেক কিছু বলে যাচ্ছেন। কিছু দর্শক মনোযোগ (আসল) দিয়েই দেখছে। বাকিরা হাই তুলছে, কয়েকজন ঘুমাচ্ছে। আর বাকিরা ফোন বা কম্পিউটারে মেইল/ফেইসবুক চেক করছে।

এর কারণটা কী? ইত্যাদির সময়ে তো এরাই কেউ ঘুমাবেনা এরকম।
 
কারণটা হলো প্রেজেন্টেশন এতোই বোরিং যে যারা ঘুম ঘুম ভাব ছিলো, তারা ঘুমিয়ে গেছে, আর যারা ছিলো সজাগ, তাদেরও ঘুম ঘুম ভাব হয়েছে।

বোরিং হয় কখন? যখন স্লাইড ভর্তি করে একগাদা লেখা দিয়ে দেন, আর তার পর রিডিং পড়তে থাকেন। এটা খুব কমন একটা ঘটনা, বিশেষত নতুন নতুন করে যারা প্রেজেন্টেশন বানান, তারা এই কাজটা করেন।

থামুন! একটু ভেবে দেখুন লেকচার কেনো মানুষ দেখতে গেছে। স্ক্রিনের লেখাতেই যদি সব ভরে দেয়া যেতো, তাহলে কিন্তু আপনার উপস্থিতিরই দরকার ছিলো না। স্লাইড শো দিলেই হতো। প্রেজেন্টারের উপস্থিতির কারণ হলো লেকচারের বিষয়টা বুঝিয়ে দেয়া, *কথা বলে, নিজের ভাষায়*। সেটা করতে হলে স্লাইডে কথা থাকবে কম, সেই কথাগুলা বলবেন আপনি।তাহলে ইন্টারেস্টিং স্লাইড কীভাবে বানাবেন? প্রতি স্লাইডে একটা ছবি দেন। ডানে ছবি, বামে সেই স্লাইডের বিষয়ের উপরে অল্প কিছু কথা। এর পর স্লাইডটা দেখিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিজে বলুন।

এর ফলটা হবে চমৎকার। স্ক্রিনের একগাদা লেখা দিলে দর্শকেরা আপনার দিকে না তাকিয়ে সেই লেখাই পড়তে থাকে, এর চাইতে ছবিটা দিলে সেই ছবি থেকে কিছু আইডিয়া পেতে পারে শুরুতেই, আর বাকিটা সময়ে আপনার কথাগুলা মনোযোগ দিয়েই শুনবে।

কী ছবি? মনে রাখুন, আপনার মূল লক্ষ্য হলো আইডিয়াটা বোঝানো। তাই সেই আইডিয়াকে তুলে ধরে এমন ছবি দেন। যেমন ধরা যাক কোনো নতুন সিস্টেমের পারফরমেন্স অথবা দাম কম, সেটা বুঝাচ্ছেন। এক বস্তা টাকার ছবি দেন। এক মুহূর্তেই সবাই বুঝে যাবে কীসের কথা বলছেন। আমাদের মস্তিষ্কের পক্ষে ছবি প্রসেস করা অনেক সহজ, রাশি রাশি লেখার চাইতে।

 

৩) বাদ দিন গতানুগতিক ফরম্যাট

পাওয়ারপয়েন্টে লেখার বড় সমস্যা হলো, সেই গৎবাধা বুলেট পয়েন্ট মার্কা স্লাইড বানিয়ে ফেলে সবাই। কিন্তু সেটা আসলে আপনার করতেই হবে এমন কিন্তু কথা নাই। নিজের মতো করে লিখুন, বুলেট পয়েন্ট বাদ দিয়ে। এক্ষেত্রে একটা ভালো সাজেশন হলো স্লাইডের টাইটেলে একটাদুইটা শব্দ না লিখে ঐ স্লাইডের বর্ণনা দিয়ে বা যা সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটা লিখুন।

ধরা যাক, আপনার স্লাইডে একটা গ্রাফ দেখিয়ে বলছেন, আপনার বানানো সিস্টেম ১০% দ্রুত কাজ করে। এই ক্ষেত্রে স্লাইডের টাইটেল Results না দিয়ে সেখানে এভাবে লিখতে পারেন -

Results show that system X works 10% faster

আর বিস্তারিত কথা নিজে মুখে বলেন। এতে করে আপনার স্লাইডের প্রথম অংশ মানে টাইটেল দেখেই সবাই শুরুতেই ধারণা পাবে এই স্লাইডের মোদ্দা কথা কী, সেটা।

 

৪) লেখার ফন্ট/স্লাইডের রঙ, ওরফে হিমু সিনড্রোম

নতুন নতুন ওয়েবসাইট বানানো শিখেছে, এমন কারো সাইটে গেলে একটা ব্যাপার দেখবেন অনেক সময়, ক্যাটক্যাটে সব রঙ দিয়ে ভর্তি। স্লাইডের ক্ষেত্রেও তাই হয়, বাহারী সব টেম্প্লেট দিয়ে আর ব্যাকগ্রাউন্ড দিয়ে ভরিয়ে ফেলে অনেকে, বেশি রঙ = বেশি ভাব -- এই ফরমুলা অনুসারে। হিমু যেমন কড়া হলুদ রঙের পাঞ্জাবী পরে ঘুরে, সেরকম কড়া নানা রঙে ভরপুর থাকে এসব স্লাইড।

এক্ষুনি থামুন!! অতিরিক্ত বাহারী স্লাইড আসলে আপনার স্লাইডগুলোকেই অপাঠযোগ্য বানিয়ে দিচ্ছে।খেয়াল করুন, স্লাইড কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখানো হবে প্রজেক্টরে। কম্পিউটারের স্ক্রিনে যা দেখছেন, প্রজেক্টরে কিন্তু রঙ বা উজ্জ্বলতা, কোনটাই হবেনা একই রকমের। দিলেন নীল, দেখাচ্ছে সবজেটে, লালকে দেখাচ্ছে কমলা, এরকম হবেই। কাজেই অতিরিক্ত রঙ বাদ দিন। ব্যবহার করুন কেবল বেসিক কালার, যেমন কালো, সাদা, উজ্জ্বল লাল, গাঢ় নীল, গাঢ় সবুজ - এগুলা। আর খেয়াল রাখবেন, অনেক সময়েই প্রেজেন্টেশন দিবেন দিনের আলোয়, কাজেই এমন যদি ব্যাকগ্রাউন্ড আর ফন্ট কালার দেন, যাতে দিনের আলোয় সেটার কনট্রাস্ট বেশি না, রুমে আলো বেশি থাকলেই ঝাপসা হয়ে যাবে, তাহলে কিন্তু আপনার স্লাইড অনেকেই দেখতে পাবে না। স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড ডার্ক, আর ফন্ট সাদা ব্যবহার না করাই ভালো। হলুদ রঙ গায়ে হলুদে বা বাসন্তি অনুষ্ঠানে মানায়, কিন্তু স্লাইডে না, সেটা প্রজেক্টরে প্রজেক্ট করার পরে আদৌ যায়না দেখা।

তবে হ্যাঁ, স্লাইডের মধ্যে কোনো শব্দকে নজরে আনতে চাইলে টেক্সট কালার কালো হলেও ঐ শব্দটাকে উজ্জ্বল কোনো রঙ করে দিন। স্লাইডের টাইটেল উজ্জ্বল রঙে রাখতে পারেন।

 

৫) স্লাইডের ফন্ট ও সাইজ / চল্লিশ পেরুলেই চালসে ...

আমার পিএইচডি এডভাইজর প্রফেসর মেরিঅ্যান উইন্সলেট-কে একবার আগ্রহের সাথে এক স্লাইড দেখাচ্ছিলাম। দুই স্লাইড যাবার পরেই উনি শুধরে দিলেন, স্লাইডের ফন্ট সাইজ খুবই ছোট বলে।

 
আমি পড়লাম আকাশ থেকে। কই, আমি তো বিশাল সব ফন্ট দেখি, তাহলে ছোট হয় কীভাবে?

"তোমার বয়সতো ৩০ পেরোয়নি, তাই তুমি বুঝবেনা"। আমার প্রফেসর ব্যাখ্যাটা দিলেন এভাবে - কম বয়সে গুড়িগুড়ি টাইপের ছোট্ট ফন্ট অনেক দূর থেকে দেখতে পেলেও বয়স ৩০ পেরুলেই অধিকাংশ মানুষ ছোট্ট লেখা দেখতে পারেনা বা করেনা পছন্দ। আর আপনি যাদের (বস/প্রফেসর/কনফারেন্স) প্রেজেন্টেশন দেখাবেন, তারা অনেকেই হবে বেশ বয়স্ক, চোখে হাই পাওয়ারের চশমা। আবার অনেকে বসবে রুমের পিছনের দিকে। এদের পক্ষে স্লাইডের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র লেখা দেখাটা প্রায় অসম্ভব।

তাই স্লাইড বানাতে গেলে সবার কথা খেয়াল রাখুন। স্লাইড প্রজেক্টরে দিয়ে রুমের পিছনের দিক থেকে দেখা যায় কিনা, সেরকম সাইজ বেছে নিন। মোটামুটিভাবে এক স্লাইডে ৫/৬ লাইনের বেশি আঁটার কথা না, এর বেশি হলেই বুঝতে হবে ফন্ট ছোট করে ফেলেছেন। সেটা না করে দরকার হলে দুই স্লাইডে রাখুন।

 


৬) কথা নয় - ছবি / Less is more

স্লাইডে কথা কম বলাই ভালো। আর আরো গুরুত্বপূর্ণ হলো যা বলতে চান লেকচারে, তার সবটাই স্লাইডে ভরে দেয়ার অপচেষ্টা না করা। ২ নম্বর পয়েন্টে (আগের লেখায়) এটা বলেছিলাম, কিন্তু আবারও অন্যভাবে বলি, মানুষ আপনার লেকচার শুনতে এসেছে, পড়তে না। পড়ার দরকার হলে আপনার কথা বলার তো দরকার ছিলোনা আদৌ। তাই মূল স্লাইডে সব কিছু ভরে না দিয়ে ছবি দিয়ে কথায় ব্যাখ্যা করুন। তবে আরেকটা ট্রিক শিখিয়ে দেই, backup স্লাইড রাখুন। কারো যদি আপনার কথায় জিনিষটা বুঝতে কষ্ট হয়, তাহলে যাতে সব বিস্তারিত কিছু লেখা সহ এক বা একাধিক স্লাইড/ছবি/চার্ট/ডেটা লেকচারের পিছনে রাখেন, যাতে দরকার মতো সেটা দেখাতে পারেন।

 

৭) স্লাইড এর ফরম্যাট / শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ?

আগের পয়েন্ট এর ধারাবাহিকতায় স্লাইড এর ক্রম নিয়ে কিছু বলি। আপনার লেকচারের স্লাইডগুলার ক্রম বানান অনেকটা এরকম -

- টাইটেল স্লাইড (আপনার লেকচার টাইটেল, ইন্টারেস্টিং ও সম্পর্কিত কিছু ছবি, আপনার নাম ধাম পরিচয়, ইমেইল),

- ওভারভিউ

- লেকচারের বিস্তারিত স্লাইড

- উপসংহার

- এন্ডিং স্লাইড (এখানে আপনার লেকচারের মোদ্দা কথাটা ১ বা ২ বাক্যে লিখুন। এবং "ধন্যবাদ" দিন)

- ব্যাকাপ স্লাইড

 

এন্ডিং স্লাইডে বেশি কিছু না থাকলেও এটা বেশ দরকারী। আপনার লেকচারকে সামারাইজ করে এমন একটা ছবি এবং ১/২ বাক্যে লিখুন। আপনার নাম/ইমেইল সেটা দিন। এইখানে এসে থামবেন, কাজেই প্রশ্নোত্তর এর সময়ে এই স্লাইডটাই স্ক্রিনে থাকবে, আর পাঠকের এটাই বেশি মনে থাকবে। কাজেই সময় নিয়ে এটা বানান।

4
Dear Internship Applicants (for the semester of Fall '14):

Greetings from Career Development Center (CDC) of Daffodil International University!

At first, thank YOU very much for providing us the opportunities to process your internship placement as an academic requirement in-connection to our Call for Application for Internship Placement of Fall-2014.

We are pleased to inform YOU that CDC has arranged INTERNSHIP ORIENTATION PROGRAM OF Fall-2014,which will take place on 10th January-2015 (Saturday) at DIU Digital Class Room, Sobhanbag Campus (Level-4) from 9:30 am to 2:00pm.

This program is aims to get YOU ready for the Corporate where we will focus on your Personnel Grooming, Self Motivation, Resume Appraisal, Winning Interview Techniques and introducing YOU about Corporate Cultures Corporate Etiquette, gestures and postures.

The Chief Facilitator of the Program:
Mr. Muhammad Arif-ur-Rahman,
Management Consultant, Trainer and Speaker


Guideline to attend the Program:
The applicants should need to provide their DIU Students ID No, DIU email id and accounts clearance info during the reporting time
The applicants should maintain the official dress code to attend the program
The applicants should carry their updated resume (Soft Copy and Hard Copy) for the resume appraisal
Every applicants should get registration for the upcoming Mock Interview Sessions (will conduct in the last Saturday of every month)
Those who will attend in the Internship Orientation Program, will get priorities for the Internship Placement issue
Those who couldn't able to apply for the internship placement within the deadline, can join the program with spot notice accordingly

**Spot Selection opportunity will be available for Internship Placement at BPO and TELCO Industry

5
জীবনবৃত্তান্ত মানে হল একটি জীবনের পূর্ণাঙ্গ তথ্যগত চিত্র কাগজে প্রতিস্থাপন করা। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হল CV বা Curriculum Vitae। চাকরি বা যেকোনো ধরনের কাজে বর্তমানে এই জীবনবৃত্তান্ত অত্যন্ত কার্যকর। তবে এই জীবনবৃত্তান্তের বিভিন্ন ফরম্যাট প্রচলিত রয়েছে যেগুলো গুরুত্ব অনুসারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আসুন জেনে নিই একটি পূর্ণাঙ্গ পেশাদার জীবনবৃত্তান্তে যে বিষয়গুলোর প্রতি অধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।


অ্যাকশন ওয়ার্ড :
প্রতিটি জীবনবৃত্তান্তের শুরুতে কয়েকটি অ্যাকশন ওয়ার্ড থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই অ্যাকশন ওয়ার্ডগুলো আপনার দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করবে এবং সার্বিকভাবে আপনার সম্পর্কে বলবে।

 

শিক্ষাগত যোগ্যতা :
আপনি নিশ্চয়ই চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্তটি তৈরি করছেন। তাই জীবনবৃত্তান্তটিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ভালোভাবে দেখে নিন। কেননা আপনার ক্যারিয়ারে সহায়তা দানের মূল অংশই হল এই শিক্ষাগত যোগ্যতা। তাই এটিকে যতটা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায় ততই ভালো।

 

মেইলিং অ্যাড্রেস :

জীবনবৃত্তান্তের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মেইলিং অ্যাড্রেস অর্থাৎ আপনার সাথে যোগাযোগ করার ঠিকানা। আপনার আবাসিক ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল অ্যাড্রেস। এই তথ্যগুলোর অভাবে আপনার জীবনবৃত্তান্তটি একেবারেই মূল্যহীন। তাই এই বিষয়টির উপরেও লক্ষ্য রাখুন।

 

অস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার না করা :
জীবনবৃত্তান্তটিতে সবসময় খেয়াল রাখবেন যে অস্পষ্ট শব্দ যেন কোনোভাবেই ব্যবহার না করা হয়। ধরুন আপনার ঠিকানা দিয়েছেন কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাটি দেননি। এতে করে আপনার দেয়া তথ্যগুলো অস্পষ্টই থেকে যাবে। এই বিষয়টিতেও খেয়াল রাখবেন।

 

দক্ষতার বিষয় :

পেশাদার জীবনবৃত্তান্তটিকে অনেক বেশি মূল্যবান করে তোলে দক্ষতার বিষয়গুলো। অর্থাৎ দক্ষতার বিষয়ের উল্লেখ আপনার সম্পর্কে অধিক গুরুত্ব তৈরি করে যা আপনার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সক্ষম। একটি প্রফেশনাল পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তে এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেয়া একান্ত প্রয়োজন।

Pages: [1]