Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Reza.

Pages: 1 ... 18 19 [20] 21 22 ... 26
286
Permanent Campus of DIU / Evil that a mobile can do to a child.
« on: September 09, 2017, 09:35:17 PM »
নিজের কাজের কথা মনে করে ট্যাবটি কিনেছিলাম। আগে দিনে অফিসে আসতে যেতে ৪ - ৫ ঘন্টা জার্নি করতে হত। ভেবেছিলাম পথে অনেক কাজ করতে পারবো। কিন্তু কবে থেকে সেটি আমার ছেলে মেয়ে দখল করে নিয়েছে মনে নাই। বাচ্চারা মোবাইল বা ট্যাবে গেম খেলতে পছন্দ করে। পেপারের একটি লেখায় পড়লাম বাচ্চাদের মোবাইল বা ট্যাব অতিরিক্ত ব্যাবহারের কুফল। সব থেকে খারাপ যেটা হয় সেটি হল বাচ্চারা মোবাইল দেখার সময় একেবারেই ঘাড় নাড়ায় না। হাত পা নাড়ানোর হারও অনেক কমে যায়। অথচ কম বয়সী বাচ্চারা সাধারণ ভাবে অনেক বার হাত পা ও ঘাড় নাড়ায়। সারাদিনে কয়েক হাজার বার। এটি তাদের শারীরিক বর্ধনের জন্য অনেক দরকারি।
ওই লেখা পড়ার দিনই মোবাইল ও ট্যাবে পিন নাম্বার দিয়ে লক করে দিলাম। বলেছিলাম দিনে শুধু এক বার দেখতে পারবে। ভেবেছিলাম ওরা অনেক মন খারাপ করবে। কিন্তু ২ - ৩ দিন হয়ে গেল মোবাইল ও ট্যাব ওই ভাবেই পড়ে রয়েছে। তারা এখন সারাদিন নিজেরা খেলাধুলায় ব্যাস্ত থাকতেছে। ট্যাব ও মোবাইলের কথা তারা ভুলে গেছে।

(আজকে আরেকটি লেখায় পড়লাম ব্লু হোয়েল নামের গেম কিভাবে বাচ্চাদের ব্রেন ওয়াস করে দেয়। এই গেমে প্রতিদিন বাচ্চাদের একটি করে উৎভট টাস্ক দেয়া হয়। যা আস্তে আস্তে  পৃথিবী ও জীবন সম্পর্কে বিতৃষ্ণা এনে দেয়। এমনকি কেউ কেউ আত্মহত্যাও করে। শিশুরা স্বাভাবিক ভাবেই অনেক কৌতূহলী হয়। ভাল মন্দ বোঝার ক্ষমতাও তাদের থাকে না। তাই বাচ্চাদের মোবাইল কেবল মাত্র কথা বলার জন্য দেয়া উচিৎ। আমরা যতটা কঠিন ভাবি তার থেকে অনেক সহজ তাদেরকে এই গুলো থেকে দূরে রাখা।)

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া।)

287
খেয়াল করে দেখেছি অনেক সময়ই কিছু গান শুনলে পুরান কোন সময় ও স্মৃতি খুব স্পষ্ট হয়ে উঠে।
আজকে থেকে ২৬ বছর আগে আমরা কলেজ থেকে ৬ দিনের এস্কারসনে গিয়েছিলাম। আমাদের কলেজ বাসে আমাদের সাথে ছিল একটি ক্যাসেট প্লেয়ার। আর ক্যাসেট বলতে স্করপিওন্সের কিছু এ্যালবাম ও গান। নো ওয়ান লাইক ইউ। রিদম অফ লাভ। স্টিল লাভিং ইউ। ইন ট্রেন্স। যেখানে পৌছাতাম আমাদের আগমন আমরা জানান দিতাম স্করপিওন্সের এর কোন গান জোরে বাজিয়ে।
খেয়াল করে দেখেছি অনেক সময়ই কিছু গান শুনলে সেই সময়কার স্মৃতি মনে খুব স্পষ্ট ভাবে জেগে উঠে। স্টিল লাভিং ইউ শুনে ভেসে উঠে খুলনা নেভি বেসের সেই সব স্পষ্ট স্মৃতি। কিংবা নো ওয়ান লাইক ইউ শুনলে মনে পড়ে ঝিনাইদহে পৌঁছানোর স্মৃতি গুলো। খুব স্পষ্ট ভাবেই মনে পড়ে। যদিও অনেক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু গান ফিরিয়ে নিয়ে যায় অনেক আগের সময়ে।
অনেক সময় পার হয়ে গেছে কিন্তু অবচেতন মনে খুব স্পষ্ট ভাবে দাগ কেটে গেছে গানগুলির সুর।
পুরান দিনের অনেক মানুষ পুরান দিনের হিন্দি গান শুনেন। এখন বুঝতেছি তার কারণ। ওইসব গানের থেকে অনেক উন্নত মানের গান সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তারা ওই সময় ফিরে যেতে পারে তাদের সেই পুরান সময়ে গান গুলোর মাধ্যমে।
ভেবে দেখলাম আমাদের জীবনে শব্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমাগত আওয়াজ আমাদের ক্লান্ত করে ফেলে। আপনি এ সি যানবাহনে জার্নি করে দেখেন - অনেক কম ক্লান্ত হবেন। কেননা সেখানে বাইরের শব্দ অনেক কম প্রবেশ করে।
আবার মেডিটেশনের মোহময় সুর আমাদের ক্লান্ত অবস্থা থেকে চাঙ্গা করে তুলে।
রাস্তার পাশে ক্রমাগত গাড়ির শব্দ আমাদের ক্লান্ত করে ফেলে।
কোলাহল, নয়েস, মেলোডি, মিউজিক, সবই আমাদের মনে স্থায়ী ভাবে দাগ কাটে।
আমরা বুঝতেও পারি না কখন বিজাতীয় ভাষা ও বিজাতীয় গান আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। আমাদের মনে স্পর্শ কাতর জায়গা তৈরি হয়।
আমার মনে হয় আমাদের শিশুরা যাতে বিজাতীয় ভাষা দ্বারা প্রভাবিত না হয় সেই দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিৎ।

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে)

288
খেয়াল করে দেখেছি অনেক সময়ই কিছু গান শুনলে পুরান কোন সময় ও স্মৃতি খুব স্পষ্ট হয়ে উঠে।
আজকে থেকে ২৬ বছর আগে আমরা কলেজ থেকে ৬ দিনের এস্কারসনে গিয়েছিলাম। আমাদের কলেজ বাসে আমাদের সাথে ছিল একটি ক্যাসেট প্লেয়ার। আর ক্যাসেট বলতে স্করপিওন্সের কিছু এ্যালবাম ও গান। নো ওয়ান লাইক ইউ। রিদম অফ লাভ। স্টিল লাভিং ইউ। ইন ট্রেন্স। যেখানে পৌছাতাম আমাদের আগমন আমরা জানান দিতাম স্করপিওন্সের এর কোন গান জোরে বাজিয়ে।
খেয়াল করে দেখেছি অনেক সময়ই কিছু গান শুনলে সেই সময়কার স্মৃতি মনে খুব স্পষ্ট ভাবে জেগে উঠে। স্টিল লাভিং ইউ শুনে ভেসে উঠে খুলনা নেভি বেসের সেই সব স্পষ্ট স্মৃতি। কিংবা নো ওয়ান লাইক ইউ শুনলে মনে পড়ে ঝিনাইদহে পৌঁছানোর স্মৃতি গুলো। খুব স্পষ্ট ভাবেই মনে পড়ে। যদিও অনেক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু গান ফিরিয়ে নিয়ে যায় অনেক আগের সময়ে।
অনেক সময় পার হয়ে গেছে কিন্তু অবচেতন মনে খুব স্পষ্ট ভাবে দাগ কেটে গেছে গানগুলির সুর।
পুরান দিনের অনেক মানুষ পুরান দিনের হিন্দি গান শুনেন। এখন বুঝতেছি তার কারণ। ওইসব গানের থেকে অনেক উন্নত মানের গান সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তারা ওই সময় ফিরে যেতে পারে তাদের সেই পুরান সময়ে গান গুলোর মাধ্যমে।
ভেবে দেখলাম আমাদের জীবনে শব্দ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমাগত আওয়াজ আমাদের ক্লান্ত করে ফেলে। আপনি এ সি যানবাহনে জার্নি করে দেখেন - অনেক কম ক্লান্ত হবেন। কেননা সেখানে বাইরের শব্দ অনেক কম প্রবেশ করে।
আবার মেডিটেশনের মোহময় সুর আমাদের ক্লান্ত অবস্থা থেকে চাঙ্গা করে তুলে।
রাস্তার পাশে ক্রমাগত গাড়ির শব্দ আমাদের ক্লান্ত করে ফেলে।
কোলাহল, নয়েস, মেলোডি, মিউজিক, সবই আমাদের মনে স্থায়ী ভাবে দাগ কাটে।
আমরা বুঝতেও পারি না কখন বিজাতীয় ভাষা ও বিজাতীয় গান আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। আমাদের মনে স্পর্শ কাতর জায়গা তৈরি হয়।
আমার মনে হয় আমাদের শিশুরা যাতে বিজাতীয় ভাষা দ্বারা প্রভাবিত না হয় সেই দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিৎ।

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে)

289
Textile Engineering / City of confusion.
« on: August 09, 2017, 08:36:21 PM »
ইউনিভার্সিটির বাস থেকে নেমে হেটে হেটে যখন বাসায় ফিরি - দেখি আমার চারপাশের মানুষদের। আর দেখি বিভিন্ন যানবাহন। কি নাই আমাদের এই ঢাকা শহরে?
আছে মানুষের কায়িক শ্রমে চালিত রিক্সা। আছে গ্যাস চালিত সি এন জি। কখনো বা জিনিস বোঝাই ভ্যান গাড়ি। এছাড়াও আছে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও অটো। নন এ সি গাড়ী। এসি গাড়ি। ট্রাক মিনি মাক্সি। বাস - মিনি বাস বড় বাস। মাইক্রোবাস। কঙ্ক্রিট ভর্তি বড় ট্রাক। কাভারড ভ্যান। আছে ছোট বড় ট্রেলার।
পথে কিছু খাবেন? আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্ট। ফাস্ট ফুডের দোকান। চাইনিজ বিরিয়ানি তেহারি ফুচকা-চটপটি মোগলাই সিঙ্গারা সামুচা আইস্ক্রিম - কি নাই। এ সি দোকান থেকে ফুটপাত। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী উপভোগ করে চলেছে বিভিন্ন খাবার।
বাসাবাড়িতেও কত বৈচিত্র্য। কেউ বাসায় এ সি গাড়িতে এ সি আবার কেউ রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে চলে ফুটপাতে বা ওভারব্রিজের উপরে।
ঢাকা কেমন শহর? যদি বলেন বড়লোকের শহর - কেউ আপত্তি করবে না। আবার যদি বলেন শ্রমজীবী মানুষের শহর - তাও সবাই এক বাক্যে সম্মতি দিবে। যদি বলেন রিক্সার শহর তাও ভুল হবে না। আবার যদি বলেন জ্যামের শহর মনে হবে আরো সঠিক কথা।
বলতে পারেন এটা হল অভিজাত মার্কেটের শহর। আবার আপনিই বলবেন এটি ফুটপাতের দোকানের শহর।
ঢাকা কেমন শহর?
এ সিটি অফ কনফিউশন। আমরা যারা ঢাকায় থাকি তারাও কনফিউসড যে ঢাকা একটি কেমন শহর। 

290
Permanent Campus of DIU / City of confusion.
« on: August 09, 2017, 08:34:07 PM »
ইউনিভার্সিটির বাস থেকে নেমে হেটে হেটে যখন বাসায় ফিরি - দেখি আমার চারপাশের মানুষদের। আর দেখি বিভিন্ন যানবাহন। কি নাই আমাদের এই ঢাকা শহরে?
আছে মানুষের কায়িক শ্রমে চালিত রিক্সা। আছে গ্যাস চালিত সি এন জি। কখনো বা জিনিস বোঝাই ভ্যান গাড়ি। এছাড়াও আছে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও অটো। নন এ সি গাড়ী। এসি গাড়ি। ট্রাক মিনি মাক্সি। বাস - মিনি বাস বড় বাস। মাইক্রোবাস। কঙ্ক্রিট ভর্তি বড় ট্রাক। কাভারড ভ্যান। আছে ছোট বড় ট্রেলার।
পথে কিছু খাবেন? আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্ট। ফাস্ট ফুডের দোকান। চাইনিজ বিরিয়ানি তেহারি ফুচকা-চটপটি মোগলাই সিঙ্গারা সামুচা আইস্ক্রিম - কি নাই। এ সি দোকান থেকে ফুটপাত। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী উপভোগ করে চলেছে বিভিন্ন খাবার।
বাসাবাড়িতেও কত বৈচিত্র্য। কেউ বাসায় এ সি গাড়িতে এ সি আবার কেউ রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে চলে ফুটপাতে বা ওভারব্রিজের উপরে।
ঢাকা কেমন শহর? যদি বলেন বড়লোকের শহর - কেউ আপত্তি করবে না। আবার যদি বলেন শ্রমজীবী মানুষের শহর - তাও সবাই এক বাক্যে সম্মতি দিবে। যদি বলেন রিক্সার শহর তাও ভুল হবে না। আবার যদি বলেন জ্যামের শহর মনে হবে আরো সঠিক কথা।
বলতে পারেন এটা হল অভিজাত মার্কেটের শহর। আবার আপনিই বলবেন এটি ফুটপাতের দোকানের শহর।
ঢাকা কেমন শহর?
এ সিটি অফ কনফিউশন। আমরা যারা ঢাকায় থাকি তারাও কনফিউসড যে ঢাকা একটি কেমন শহর। 
   

291
Permanent Campus of DIU / Deformed view about fitness.
« on: August 05, 2017, 09:16:56 PM »
আমি ভাবি যে প্রবলেমটা কোথায়?
মানুষ যখন মন দিয়ে সিরিয়াস ভাবে পড়াশোনা করে সে আনফিট হয়ে যায় সহপাঠীদের কাছে।
যখন সে সৎ ভাবে কঠোর পরিশ্রম করে সে আনফিট হয়ে যায় সহকর্মীদের কাছে।
সে যখন অন্য মানুষের সুবিধা অসুবিধা ভেবে কাজ করে - সমাজের কাছে সে হয়ে যায় বোকা।
সে যখন সত্য কথা বলে - সবাই তাকে এড়িয়ে চলে। সে যখন প্রতিশোধ নেয় না - সবাই তাকে আরো পেয়ে বসে।
আমি ভাবি তাহলে সততা পরিশ্রম ও শিক্ষার এতো মহিমার এতো প্রচার কেন?
আমাদের দৌড় স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি পর্যন্তই। সেখানে যা শিখি - তা কেবলমাত্র সেইখানেই প্রযোজ্য। এর বাইরে আসলেই উল্টো জগত উল্টো ভূবন। যে জীবনে যত বেশী শিক্ষিত ও মার্জিত - যে যত বেশী সত্যবাদী ও সৎ সে তত বেশী আনফিট।
সমস্যাটা কোথায়?
পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে যেন উলটো জগত। সততা হল বোকামী - কঠোর পরিশ্রম হল বেগার খাটুনি। ভাল মানুষ হওয়া দুর্বলতার অপর নাম।
যতদিন মানুষের ফিটনেসের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গী বদলাবে না - ততদিন আমাদের দুর্দশাও ঘুচাবে না।

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে)

292
Textile Engineering / Deformed view about fitness.
« on: August 05, 2017, 09:15:29 PM »
আমি ভাবি যে প্রবলেমটা কোথায়?
মানুষ যখন মন দিয়ে সিরিয়াস ভাবে পড়াশোনা করে সে আনফিট হয়ে যায় সহপাঠীদের কাছে।
যখন সে সৎ ভাবে কঠোর পরিশ্রম করে সে আনফিট হয়ে যায় সহকর্মীদের কাছে।
সে যখন অন্য মানুষের সুবিধা অসুবিধা ভেবে কাজ করে - সমাজের কাছে সে হয়ে যায় বোকা।
সে যখন সত্য কথা বলে - সবাই তাকে এড়িয়ে চলে। সে যখন প্রতিশোধ নেয় না - সবাই তাকে আরো পেয়ে বসে।
আমি ভাবি তাহলে সততা পরিশ্রম ও শিক্ষার এতো মহিমার এতো প্রচার কেন?
আমাদের দৌড় স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি পর্যন্তই। সেখানে যা শিখি - তা কেবলমাত্র সেইখানেই প্রযোজ্য। এর বাইরে আসলেই উল্টো জগত উল্টো ভূবন। যে জীবনে যত বেশী শিক্ষিত ও মার্জিত - যে যত বেশী সত্যবাদী ও সৎ সে তত বেশী আনফিট।
সমস্যাটা কোথায়?
পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে যেন উলটো জগত। সততা হল বোকামী - কঠোর পরিশ্রম হল বেগার খাটুনি। ভাল মানুষ হওয়া দুর্বলতার অপর নাম।
যতদিন মানুষের ফিটনেসের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গী বদলাবে না - ততদিন আমাদের দুর্দশাও ঘুচাবে না।

(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে)

293
Permanent Campus of DIU / Emotional numbers.
« on: August 05, 2017, 12:52:09 AM »
নাম্বার নিয়ে ভাবতেছিলাম।
আমার ক্যাডেট নাম্বার ছিল ৪৫৩। কি এক মোহময় মনে হয় এই সংখ্যাটিকে। আমার সারাজীবনের স্মৃতির খাতায় লেখা থাকবে এই নাম্বারটি। কত গ্রামে এক পাউন্ড? অনেকেরই কিছুটা সময় লাগবে এর উত্তর বলতে। আমার কাছে এইটা পানির মত সহজ। ৪৫৩.৬ গ্রামে এক পাউন্ড।
ক্লাস সেভেনে আমার প্রথম রুম ছিল ২০৬। খুব মজা পেয়েছিলাম বইয়ে পড়ে যে - মানুষের শরীরেও ২০৬ টি হাড় থাকে।
মানুষের শরীরে কয়টি হাড় থাকে - সাধারণ জ্ঞানের এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে এখনো পানির মতই সহজ মনে হয়।
কোন নির্দিষ্ট গাড়ী চেনার উপায় হল তার নাম্বারটি মনে রাখা। কেননা একই রং ও মডেলের অনেক গাড়ী থাকে। যখন একই মডেল ও রঙয়ের একাধিক গাড়ি পাশাপাশি থাকে - তখন গাড়ির মালিকের পক্ষেও তার নিজের গাড়ী চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে যায়। এইটা আমাকে ছোটবেলায় একজন ড্রাইভার শিখিয়েছিল।
আমার বাবা অফিস থেকে গাড়ী পেতেন। তার জীবনে অফিসের শেষ গাড়ির নাম্বারটির শুরু ছিল ৬৯ দিয়ে। বহুদিন পর্যন্ত আমি যদি গাড়ির ৬৯ দিয়ে নাম্বার শুরু দেখতাম - কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যেত। বহুদিন পর বনানীতে ঠিক ওই গাড়ীটাই দেখলাম - তাও আমার একজন পরিচিতর বাসায়। সেই একই মডেল ও নাম্বারের গাড়ী শুধু রং সাদা থেকে ধূসর হয়ে গেছে।
আমার দুলাভাই মারা গেছেন ৮ বছর আগে। আমাকে ঠিক তার ছোট ভাইয়ের মতই স্নেহ করতেন। তার বহুদিন ব্যাবহার করা অফিসের জীপটির নাম্বারের শুরু ছিল ৩৩ দিয়ে। এখনো মাঝে মাঝে উত্তরাতে ৩৩ দিয়ে শুরু সেই একই রঙয়ের জীপ যেতে দেখি। সেই জীপটিও দেখি। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ও আমার মনে কিছু স্মৃতি জেগে উঠে।
নাম্বার মানে শুধু হিসেব নিকেশ নয়। আমাদের আবেগের অনেক কিছুই থাকে এই সংখ্যা বা নাম্বার ঘিরে।
দিনে দিনে আমার স্মৃতিতে শুধু আবেগঘন নাম্বার যোগ হয়ে চলেছে।

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।)

294
Textile Engineering / Emotional numbers.
« on: August 05, 2017, 12:51:25 AM »
নাম্বার নিয়ে ভাবতেছিলাম।
আমার ক্যাডেট নাম্বার ছিল ৪৫৩। কি এক মোহময় মনে হয় এই সংখ্যাটিকে। আমার সারাজীবনের স্মৃতির খাতায় লেখা থাকবে এই নাম্বারটি। কত গ্রামে এক পাউন্ড? অনেকেরই কিছুটা সময় লাগবে এর উত্তর বলতে। আমার কাছে এইটা পানির মত সহজ। ৪৫৩.৬ গ্রামে এক পাউন্ড।
ক্লাস সেভেনে আমার প্রথম রুম ছিল ২০৬। খুব মজা পেয়েছিলাম বইয়ে পড়ে যে - মানুষের শরীরেও ২০৬ টি হাড় থাকে।
মানুষের শরীরে কয়টি হাড় থাকে - সাধারণ জ্ঞানের এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে এখনো পানির মতই সহজ মনে হয়।
কোন নির্দিষ্ট গাড়ী চেনার উপায় হল তার নাম্বারটি মনে রাখা। কেননা একই রং ও মডেলের অনেক গাড়ী থাকে। যখন একই মডেল ও রঙয়ের একাধিক গাড়ি পাশাপাশি থাকে - তখন গাড়ির মালিকের পক্ষেও তার নিজের গাড়ী চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে যায়। এইটা আমাকে ছোটবেলায় একজন ড্রাইভার শিখিয়েছিল।
আমার বাবা অফিস থেকে গাড়ী পেতেন। তার জীবনে অফিসের শেষ গাড়ির নাম্বারটির শুরু ছিল ৬৯ দিয়ে। বহুদিন পর্যন্ত আমি যদি গাড়ির ৬৯ দিয়ে নাম্বার শুরু দেখতাম - কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যেত। বহুদিন পর বনানীতে ঠিক ওই গাড়ীটাই দেখলাম - তাও আমার একজন পরিচিতর বাসায়। সেই একই মডেল ও নাম্বারের গাড়ী শুধু রং সাদা থেকে ধূসর হয়ে গেছে।
আমার দুলাভাই মারা গেছেন ৮ বছর আগে। আমাকে ঠিক তার ছোট ভাইয়ের মতই স্নেহ করতেন। তার বহুদিন ব্যাবহার করা অফিসের জীপটির নাম্বারের শুরু ছিল ৩৩ দিয়ে। এখনো মাঝে মাঝে উত্তরাতে ৩৩ দিয়ে শুরু সেই একই রঙয়ের জীপ যেতে দেখি। সেই জীপটিও দেখি। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ও আমার মনে কিছু স্মৃতি জেগে উঠে।
নাম্বার মানে শুধু হিসেব নিকেশ নয়। আমাদের আবেগের অনেক কিছুই থাকে এই সংখ্যা বা নাম্বার ঘিরে।
দিনে দিনে আমার স্মৃতিতে শুধু আবেগঘন নাম্বার যোগ হয়ে চলেছে।

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।)

295
Permanent Campus of DIU / Writer's block - to some it is a pain.
« on: August 01, 2017, 11:01:14 PM »
রাইটার্স ব্লক বলে একটি কথা আছে। যখন কোন লেখক কিছুদিন লিখতে পারেন না।
এর কারণটা কি?
লেখকের মানসিক অবস্থাই হল রাইটার্স ব্লকের কারণ।
যখন লিখতে গেলে মনে হয় - অযথাই এই লেখা - কেউ মন দিয়ে অনুভব করতেছে না। অথবা লেখার জন্য অজস্র জিনিস মাথার মধ্যে ঘুড়ে - তখনই রাইটার্স ব্লক দেখা দেয়। এছাড়াও লেখক যখন নিখুত একটি লেখা লিখতে চান - তখন রাইটার'স ব্লক দেখা দেয়। এর পিছনের আরো কিছু কারণ হলঃ পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন অথবা অস্থির মানসিক অবস্থা। 
লেখক মানেই লিখে চলবেন। লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। মন মত লেখা না লিখতে পারলে - লেখকের মনে বেদনা জাগে।
কেউ যদি কিছু লিখে - তাহলে তার রেকর্ড থাকে অনেক বছর পর্যন্ত।
অনেকে থাকেন যারা গুছিয়ে কথা বলতে ততটা পারেন না। কিন্তু খুব সুন্দর লিখতে পারেন। আবার কেউ কেউ থাকেন যারা কথা দিয়ে খুব সুন্দর সব কিছু ম্যানেজ করে ফেলেন কিন্তু লিখতে হলে তারা একেবারেই আনাড়ি।
আবার কেউ কেউ মুখের কথায় রাজা উজির মেরে চলেন সারাদিন। কেউ বা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ঝড়িয়ে চলেন নিরন্তর। এই শ্রেণীর মানুষেরা লিখতে ভয় পান - যা তিনি বলতেছেন।
লেখার সাথে সততার যোগাযোগ আছে। অলিখিত কোন কিছুই নির্ভরযোগ্য নয়। অসৎ মানুষেরা সারাজীবনই রাইটার্স ব্লকে ভুগেন। 
তবে আমরা সবাই জীবনে কিছু মানুষের সংস্পর্শে আসি - যাদের মুখের কথাও - অনেকের লেখার থেকে অনেক বেশী নির্ভরযোগ্য।

296
Textile Engineering / Writer's block - to some it is a pain.
« on: August 01, 2017, 10:58:56 PM »
রাইটার্স ব্লক বলে একটি কথা আছে। যখন কোন লেখক কিছুদিন লিখতে পারেন না।
এর কারণটা কি?
লেখকের মানসিক অবস্থাই হল রাইটার্স ব্লকের কারণ।
যখন লিখতে গেলে মনে হয় - অযথাই এই লেখা - কেউ মন দিয়ে অনুভব করতেছে না। অথবা লেখার জন্য অজস্র জিনিস মাথার মধ্যে ঘুড়ে - তখনই রাইটার্স ব্লক দেখা দেয়। এছাড়াও লেখক যখন নিখুত একটি লেখা লিখতে চান - তখন রাইটার'স ব্লক দেখা দেয়। এর পিছনের আরো কিছু কারণ হলঃ পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন অথবা অস্থির মানসিক অবস্থা। 
লেখক মানেই লিখে চলবেন। লেখার গুরুত্ব অপরিসীম। মন মত লেখা না লিখতে পারলে - লেখকের মনে বেদনা জাগে।
কেউ যদি কিছু লিখে - তাহলে তার রেকর্ড থাকে অনেক বছর পর্যন্ত।
অনেকে থাকেন যারা গুছিয়ে কথা বলতে ততটা পারেন না। কিন্তু খুব সুন্দর লিখতে পারেন। আবার কেউ কেউ থাকেন যারা কথা দিয়ে খুব সুন্দর সব কিছু ম্যানেজ করে ফেলেন কিন্তু লিখতে হলে তারা একেবারেই আনাড়ি।
আবার কেউ কেউ মুখের কথায় রাজা উজির মেরে চলেন সারাদিন। কেউ বা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ঝড়িয়ে চলেন নিরন্তর। এই শ্রেণীর মানুষেরা লিখতে ভয় পান - যা তিনি বলতেছেন।
লেখার সাথে সততার যোগাযোগ আছে। অলিখিত কোন কিছুই নির্ভরযোগ্য নয়। অসৎ মানুষেরা সারাজীবনই রাইটার্স ব্লকে ভুগেন। 
তবে আমরা সবাই জীবনে কিছু মানুষের সংস্পর্শে আসি - যাদের মুখের কথাও - অনেকের লেখার থেকে অনেক বেশী নির্ভরযোগ্য।

297
Textile Engineering / Timeonomics.
« on: July 24, 2017, 10:50:51 PM »
কেন যেন আমার মনে হচ্ছে এখন টাকা কোন দুর্লভ জিনিস নয়। আমার বেশ কিছু সার্কেলে দেখেছি - কোন ভাল কাজের জন্য টাকা লাগবে? বা কারো সাহায্য লাগবে? সাথে সাথে টাকা জোগাড় হয়ে গেছে। যত লাগবে তার থেকেও অনেক বেশী। কিন্তু কাজটি ফলোআপ করার জন্য কোন ডেডিকেডেড কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই যার যার পেশায় মহা ব্যস্ত।
এখন মানুষের কাছে সময় পাওয়া খুব কঠিন একটি ব্যাপার।
অর্থনীতি বিষয়ে টাকা বা অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেমন অর্থ নিয়ে সরকার কি করলে কি হয়। বা এক জন অনেক টাকা পেলে কি কি আইটেম কিনে। মানুষের হাতে প্রচুর টাকা থাকলে কি হয় - ইত্যাদি।
এখন আর 'অর্থ' কঠিন কোন কিছু নয়। এখন আমাদের কাছে 'সময়' একটি দুর্লভ জিনিস। তাই অর্থনীতির জায়গায় নতুন বিষয় - সময়নীতি নামে নতুন বিষয় পরিচিত করা যেতে পারে বলেই আমার মনে হয়। যেখানে আমরা শিখব আমাদের পরিবারে সমাজে ও পেশায় কোথায় কখন কত টুকু সময় দিলে তার ফলাফল কি হয়।

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস ২৪ - ০৭ - ২০১৭ থেকে)

298
Permanent Campus of DIU / Timeonomics.
« on: July 24, 2017, 10:47:51 PM »
কেন যেন আমার মনে হচ্ছে এখন টাকা কোন দুর্লভ জিনিস নয়। আমার বেশ কিছু সার্কেলে দেখেছি - কোন ভাল কাজের জন্য টাকা লাগবে? বা কারো সাহায্য লাগবে? সাথে সাথে টাকা জোগাড় হয়ে গেছে। যত লাগবে তার থেকেও অনেক বেশী। কিন্তু কাজটি ফলোআপ করার জন্য কোন ডেডিকেডেড কাউকে পাওয়া যায় না। সবাই যার যার পেশায় মহা ব্যস্ত।
এখন মানুষের কাছে সময় পাওয়া খুব কঠিন একটি ব্যাপার।
অর্থনীতি বিষয়ে টাকা বা অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেমন অর্থ নিয়ে সরকার কি করলে কি হয়। বা এক জন অনেক টাকা পেলে কি কি আইটেম কিনে। মানুষের হাতে প্রচুর টাকা থাকলে কি হয় - ইত্যাদি।
এখন আর 'অর্থ' কঠিন কোন কিছু নয়। এখন আমাদের কাছে 'সময়' একটি দুর্লভ জিনিস। তাই অর্থনীতির জায়গায় নতুন বিষয় - সময়নীতি নামে নতুন বিষয় পরিচিত করা যেতে পারে বলেই আমার মনে হয়। যেখানে আমরা শিখব আমাদের পরিবারে সমাজে ও পেশায় কোথায় কখন কত টুকু সময় দিলে তার ফলাফল কি হয়।

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস ২৪ - ০৭ - ২০১৭ থেকে)

299
Textile Engineering / Different aspects of profession.
« on: July 13, 2017, 11:24:05 PM »
হঠাৎ করে 'পেশা' নিয়ে লিখতে মন চাইলো। পেশা এমন একটা জিনিস যা মন মত না হলে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। কাউকে কাউকে দেখে মনে হয় যে তিনি যেন এই পেশাতে যোগ দিবেন - এই জন্যই তার জন্ম হয়েছে। যারা নিজের পেশাকে শুধু অর্থ উপার্জনের অবলম্বন মনে করেন না - মনে করেন যে এইটা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ - তাদের ক্ষেত্রেই এইটা মনে হয়। আমার পর্যবেক্ষণ বলে সামরিক পেশায় ও ডাক্তার এই দুই পেশায় যারা আছেন তাদের বেশীর ভাগই এই দলে পড়েন।
এছাড়াও যারা নিজের পেশাকে মনপ্রান দিয়ে ভালবাসেন তারা চান - তাদের সন্তানও এই একই পেশায় যেন আসে। সমবয়সী অনেকের পেশা এই কারণেই নির্দিষ্ট হতে দেখেছি।
ছোটবেলায় আমাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় যে, " বড় হলে কি হতে চাও।" আমরাও কিছুই না বুঝেই কেউ উত্তর দিতাম ইঞ্জিনিয়ার বা কেউ বলতাম ডাক্তার। হঠাৎ হয়ত কেউ বলত পাইলট হবে। এর বাইরে আর কোন উত্তর ছিল না - এইটা মনে আছে।
আপনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরীতে যান - দেখবেন সেখানে জড় হয়েছে সব পড়ুয়া স্টুডেন্টরা। এদের সকলের মন মানুশিকতায় মিল পাবেন। তাদের মাঠে যান দেখবেন সেখানে জড় হয়েছে যারা খেলাধুলা পছন্দ করে তারা। এদেরও সকলের মন মানুশিকতায় মিল পাবেন। কে লাইব্রেরীতে যাবে ও কে মাঠে যাবে তা তারা নিজেরা সকালেই ভেবে রেখেছে।
একই ভাবে নির্দিষ্ট পেশায় পুরো একই না হলেও কাছাকাছি মন মানুশিকতার মানুষেরা আসে। অনেক ক্ষেত্রেই যে পেশায় জীবনে কষ্ট ও ত্যাগ করতে হয় - সেই পেশায় সৎ ও বিবেকবান মানুষেরা আসে। আবার যারা দুর্নীতি করে অর্থ উপার্জন করতে চায় তারাও নির্দিষ্ট পেশা ও চাকুরীতে জমা হন। এই ভাবেই একটি দেশের বিভিন্ন সেক্টরের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়।
ভাল মানুষ আসবে আর ট্রেডিশন চেঞ্জ হবে এই আশায় সবাই বসে থাকে। কিন্তু ভালো মানুশটিও পুরানো ট্রেডিশনের জাতাকলে পড়ে হাল ছেড়ে দেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কিছু পরিবর্তন হয় আমাদের অলক্ষ্যে।

(আমার ফেসবুক পোস্ট ১৩ - ০৭ - ২০১৭ থেকে)

300
Permanent Campus of DIU / Different aspects of profession.
« on: July 13, 2017, 11:18:19 PM »
হঠাৎ করে 'পেশা' নিয়ে লিখতে মন চাইলো। পেশা এমন একটা জিনিস যা মন মত না হলে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। কাউকে কাউকে দেখে মনে হয় যে তিনি যেন এই পেশাতে যোগ দিবেন - এই জন্যই তার জন্ম হয়েছে। যারা নিজের পেশাকে শুধু অর্থ উপার্জনের অবলম্বন মনে করেন না - মনে করেন যে এইটা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ - তাদের ক্ষেত্রেই এইটা মনে হয়। আমার পর্যবেক্ষণ বলে সামরিক পেশায় ও ডাক্তার এই দুই পেশায় যারা আছেন তাদের বেশীর ভাগই এই দলে পড়েন।
এছাড়াও যারা নিজের পেশাকে মনপ্রান দিয়ে ভালবাসেন তারা চান - তাদের সন্তানও এই একই পেশায় যেন আসে। সমবয়সী অনেকের পেশা এই কারণেই নির্দিষ্ট হতে দেখেছি।
ছোটবেলায় আমাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় যে, " বড় হলে কি হতে চাও।" আমরাও কিছুই না বুঝেই কেউ উত্তর দিতাম ইঞ্জিনিয়ার বা কেউ বলতাম ডাক্তার। হঠাৎ হয়ত কেউ বলত পাইলট হবে। এর বাইরে আর কোন উত্তর ছিল না - এইটা মনে আছে।
আপনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরীতে যান - দেখবেন সেখানে জড় হয়েছে সব পড়ুয়া স্টুডেন্টরা। এদের সকলের মন মানুশিকতায় মিল পাবেন। তাদের মাঠে যান দেখবেন সেখানে জড় হয়েছে যারা খেলাধুলা পছন্দ করে তারা। এদেরও সকলের মন মানুশিকতায় মিল পাবেন। কে লাইব্রেরীতে যাবে ও কে মাঠে যাবে তা তারা নিজেরা সকালেই ভেবে রেখেছে।
একই ভাবে নির্দিষ্ট পেশায় পুরো একই না হলেও কাছাকাছি মন মানুশিকতার মানুষেরা আসে। অনেক ক্ষেত্রেই যে পেশায় জীবনে কষ্ট ও ত্যাগ করতে হয় - সেই পেশায় সৎ ও বিবেকবান মানুষেরা আসে। আবার যারা দুর্নীতি করে অর্থ উপার্জন করতে চায় তারাও নির্দিষ্ট পেশা ও চাকুরীতে জমা হন। এই ভাবেই একটি দেশের বিভিন্ন সেক্টরের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়।
ভাল মানুষ আসবে আর ট্রেডিশন চেঞ্জ হবে এই আশায় সবাই বসে থাকে। কিন্তু ভালো মানুশটিও পুরানো ট্রেডিশনের জাতাকলে পড়ে হাল ছেড়ে দেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কিছু পরিবর্তন হয় আমাদের অলক্ষ্যে।

(আমার ফেসবুক পোস্ট ১৩ - ০৭ - ২০১৭ থেকে।)

Pages: 1 ... 18 19 [20] 21 22 ... 26