Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sanjida.dhaka

Pages: [1] 2 3 ... 7
1
বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ এ ভাইরাসটি ১৯ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ৩০ মে মধ্যে ৯৯ শতাংশ বিলীন হয়ে যাবে। সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকেরা এমন আভাস দিয়েছেন।

ভাইরাসটি বিস্তারের ধরন, মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য, সব মিলিয়েই গবেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ভাইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় গড়াতে পারে। সারা বিশ্ব থেকে করোনা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস এটাই প্রথম।
সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাব গতকাল রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ১৩১টি দেশের করোনাবিষয়ক এই তথ্য তুলে ধরে।


মে মাসে বাংলাদেশ থেকে করোনার বিদায়, সিঙ্গাপুরের গবেষকদের পূর্বাভাস
বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ এ ভাইরাসটি ১৯ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ৩০ মে মধ্যে ৯৯ শতাংশ বিলীন হয়ে যাবে। সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকেরা এমন আভাস দিয়েছেন।

ভাইরাসটি বিস্তারের ধরন, মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য, সব মিলিয়েই গবেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ভাইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় গড়াতে পারে। সারা বিশ্ব থেকে করোনা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস এটাই প্রথম।
সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাব গতকাল রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ১৩১টি দেশের করোনাবিষয়ক এই তথ্য তুলে ধরে।


এসইউটিডি গবেষণায় সাসসিপটাবেল ইনফেক্টেপ রিকভারড (সার) মডেল ব্যবহার করেছে। এ মডেল অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমার প্রমাণ মিলছে। গবেষকদের দাবি, সার এপিডেমিক মডেল বলছে, বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া তথ্যে ও করোনাভাইরাসের জীবনচক্রের মেয়াদ সম্পর্কে প্রচুর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো হয়।


মে মাসে বাংলাদেশ থেকে করোনার বিদায়, সিঙ্গাপুরের গবেষকদের পূর্বাভাস
বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আগামী মে মাসের মধ্যে শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ এ ভাইরাসটি ১৯ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ৩০ মে মধ্যে ৯৯ শতাংশ বিলীন হয়ে যাবে। সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকেরা এমন আভাস দিয়েছেন।

ভাইরাসটি বিস্তারের ধরন, মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য, সব মিলিয়েই গবেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ভাইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় গড়াতে পারে। সারা বিশ্ব থেকে করোনা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস এটাই প্রথম।
সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাব গতকাল রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ১৩১টি দেশের করোনাবিষয়ক এই তথ্য তুলে ধরে।


এসইউটিডি গবেষণায় সাসসিপটাবেল ইনফেক্টেপ রিকভারড (সার) মডেল ব্যবহার করেছে। এ মডেল অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমার প্রমাণ মিলছে। গবেষকদের দাবি, সার এপিডেমিক মডেল বলছে, বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া তথ্যে ও করোনাভাইরাসের জীবনচক্রের মেয়াদ সম্পর্কে প্রচুর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো হয়।

এসইউটিডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারতে করোনার সংক্রমণ ২১ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ কমে যাবে। বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস ৯৭ শতাংশ দূর হবে ২৯ মের মধ্যে এবং পুরোপুরিভাবে চলে যাবে চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রে ১১ মের মধ্যে করোনার সংক্রমণের প্রকোপ ৯৭ শতাংশ কমে যাবে। ইতালিতে ৭ মের মধ্যে কমবে ৯৭ শতাংশ সংক্রমণ। সার মডেল দিয়ে ১৩১টি দেশের করোনা প্রাদুর্ভাব কখন শেষ হবে, তা পর্যবেক্ষণ করেছেন সিঙ্গাপুরের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক।



2
গত সপ্তাহে প্রথম আলোয় করোনাভাইরাস চিকিৎসার জটিলতা নিয়ে লিখেছিলাম। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটে গেল অনেক ঘটনা, জানা গেল অনেক নতুন তথ্য। পাওয়া গেল আশার নতুন আলো।

বড় খবর হলো, কোভিড-১৯–এর মৃত রোগীদের পোস্টমর্টেম বা শবব্যবচ্ছেদ থেকে জানা গেল অনেক তথ্য, ভুল প্রমাণিত হলো আমাদের অনেক ধারণা। আমাদের ধারণা ছিল Cytokine storm বা ফুসফুস থেকে তৈরি পদার্থ ফুসফুসকে ধ্বংস করছে। এখন আমেরিকা ও ইউরোপের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ব্লাড ক্লটের (embolism) কারণে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই তথ্যের ফলে করোনা-১৯–এর চিকিৎসার পদ্ধতি ও কৌশল বদলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রাপ্ত নতুন তথ্যের ভিত্তিতে এখন ধারণা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আটকে থাকে, এ কারণে অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আটকাতে পারে না। এ জন্যই শ্বাসকষ্ট হয়। আর সে কারণেই উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন দিলে উপকার পাওয়া যাচ্ছে। আরও বলা হচ্ছে, যাদের থ্যালাসেমিয়া (যা একধরনের রক্তের সমস্যা) রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের প্রোটিন পরিবর্তিত হওয়ার কারণে করোনাভাইরাস হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না।

এর উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, দক্ষিণ ইতালির একটি ছোট্ট শহর, সেখানে বহু লোকের এই থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা আছে, সেখানে করোনার সংক্রমণ নেই। বাংলাদেশের অনেক মানুষের এই থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা আছে। এর ফলে বাংলাদেশের বহু লোক এই রোগের সংক্রমণ থেকে অব্যাহতি পাবে। আরও ধারণা করা হচ্ছে, যাঁরা সমুদ্র থেকে অনেক উঁচুতে থাকেন (যেমন নেপাল), সেখানে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেশি থাকায় তাঁদের এই ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক কম হবে। নতুন এই তথ্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, যেসব ওষুধ এই ভাইরাসকে রক্তের সঙ্গে আটকাতে প্রতিরোধ করে (যেমন: Hydroxyclochloriquine, zinc sulphate, ascorbic acid বা ভিটামিন সি), এই রোগ প্রতিরোধে তা কার্যকর হতে পারে।

হার্ভার্ড থেকে প্রকাশিত নামকরা মেডিকেল পত্রিকা নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহুল আলোচিত ওষুধ Hydroxycholoquine কার্যকর নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে ভালোর চেয়ে ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে। ২৩ জন মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগীর ওপর পরিচালিত পরীক্ষার পরে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ খবর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এই কারণে যে এই মুহূর্তে আমরা বহু রোগীকে এই ওষুধ দিয়ে নিরাময়ের চেষ্টা করছি। অনুমান করা হচ্ছে এই রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে Hydroxycholoquine কার্যকর হতে পারে। কিন্তু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তা আর কার্যকর হয় না। এই মুহূর্তে শতাধিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে এই ওষুধের কার্যকারিতা নির্ধারণ করার জন্য। খুব শিগগির এর ফলাফল আমরা জানতে পারব।

এই সপ্তাহের বড় সুখবর হলো রেমডেসিভির নামের একটি ওষুধ এই রোগের নিরাময়ে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিকাগোতে এই ওষুধ ব্যবহার করে ভালো হয়ে গেছে বেশ কিছু করোনা রোগী। এই ওষুধটির ব্যাপারে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই আশাবাদী ছিলেন। সীমিত আকারে হলেও এখন প্রমাণ মিলেছে যে এর ব্যবহার করোনাভাইরাসকে দ্রুত মেরে ফেলে। এই তথ্য সত্যি প্রমাণিত হলে বহু রোগীকে এর প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব হবে।

শেষ কথা, কোভিড-১৯–এর চিকিৎসা–কৌশল বিতর্কিত এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল। নতুন কিছু পরীক্ষামূলক চিকিৎসা শুরু হচ্ছে। এর অন্যতম হলো এক্সচেঞ্জ ট্রান্সফিউশন, যার মাধ্যমে রক্তের ভাইরাসযুক্ত হিমোগ্লোবিন বের করে দিয়ে নতুন রক্ত দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদ্ধতিতে দ্রুত ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই ব্যবস্থার কার্যকারিতা জানা যাবে খুব শিগগির।

সবশেষে, সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগীদের রক্ত থেকে নেওয়া অ্যান্টিবডি (ইমিউনোগ্লোবিন) দেওয়া হচ্ছে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের ক্ষেত্রে। এর ব্যবহার এখনো সীমিত, কারণ এটা ব্যাপকভাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে সব ওষুধই পরীক্ষামূলক ও প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে সঠিক ওষুধ কোনটি, সে তথ্য প্রকাশিত হওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার।

আমর আশরাফ: নিউইয়র্কে কর্মরত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ

3
করোনাভাইরাসের দুটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে চীন। দেশটিতে বিদেশ থেকে ফেরা ব্যক্তিদের কারণে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের শিকার হয়েছে। এই পরিস্থিতি বেইজিং করোনার টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিল।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিংয়ের সিনোভেক বায়োটেক ও উহানের ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রডাক্টস পরীক্ষামূলক টিকা দুটির উন্নয়ন ঘটিয়েছে। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত মার্চে বেইজিং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য একটি টিকার অনুমোদন দিয়েছিল। ওই টিকা তৈরি করে দেশটির মিলিটারি একাডেমি পরিচালিত মিলিটারি মেডিকেল সায়েন্সেস ও জৈবপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান কেনসিনো বায়ো।

এ হিসেবে বলা যায়, চীন ভিন্ন ভিন্ন তিনটি টিকা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পরীক্ষণ করছে। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এ-ও বলে রাখছে, যদি এই টিকার কার্যকারিতা সফল হয় তাহলে তারা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক উৎপাদনে যেতে পারবে।

মানবশরীরে পরীক্ষণের অনুমতির বিষয়টিকে সাহসী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন হংকং ইউনিভার্সিটির প্যাথলজির ক্লিনিক্যাল প্রফেসর জন নিকলস। তিনি বলেন, হুট করেই টিকা মানব শরীরে দেওয়া যায় না। প্রথমে ছোট প্রাণী, তার পর বনমানুষ, এরপর পর্যায় ক্রমে মানব শরীরে প্রয়োগ করতে হয়। তবে চীনের এই সিদ্ধান্তটি খুবই সাহসী। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধদের শরীরের প্রয়োগের মধ্য দিয়ে খুব সহজে বোঝা যাবে এই উদ্ভাবন কতটা কার্যকর।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য প্রথম দফায় ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন করা হয়েছে। এর পরের স্তরের জন্য আরেকটি দল গঠন করা হচ্ছে।

চীনে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ খুবই সীমিত। তবে শঙ্কার বিষয় হলো সেখানে রাশিয়া থেকে আগত মানুষদের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে। এমন সংক্রমণের সংখ্যা ৪০৯-এ পৌঁছেছে। সোমবার চীনে ৮৯ জন শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর মধ্যে ৭৯ জনই রাশিয়া থেকে ফেরা। তারা প্রত্যেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হেইলংজিয়াং এর সীমান্ত দিয়ে চীনে প্রবেশ করেছেন।

দেশটির দেওয়া তথ্য মতে, করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় চীনে কারও প্রাণহানি ঘটেনি। এখন পর্যন্ত সেখানে ৮২ হাজার ২৪৯ জন মানুষের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৪১ জন।


4
করোনা সংক্রমণের একেবারে শুরুতেই ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছিল তাইওয়ান। এর ফলে চীনের পাশের দেশটিতে এ ভাইরাসের সংক্রমণ তেমন ঘটেনি। এখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ মাস্ক রপ্তানি করছে তাইওয়ান।

ইউরোপের যে দেশটিতে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের করোনাভাইরাসের টেস্ট করা হয়েছে, তার নাম জার্মানি। প্রতি সপ্তাহে দেশটিতে সাড়ে তিন লাখ টেস্ট হয়েছে। খুব কার্যকরভাবে আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে দেশটিতে। চিকিৎসাও চলছে ভালোভাবে।

নিউজিল্যান্ড করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরুর একেবারে শুরুতে পর্যটন বন্ধ করে দেয়। মাসব্যাপী পুরো দেশ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা নয়।


তিনটি দেশ বিশ্বের তিন ভিন্ন প্রান্তের। একটি ইউরোপের, একটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয়, আরেকটি এশিয়ার। এই ভিন্নতা থাকলেও তিন দেশের মধ্যে একটা বিষয়ে মিল আছে। আর তা হলো, তিনটি দেশেই সরকারপ্রধান একজন করে নারী। সারা বিশ্বের সরকারপ্রধানদের ৭ শতাংশের কম নারী শাসকেরা।

যে দেশগুলোর কথা বলা হলো, সেগুলো বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশ। সরকারের প্রতি এসব দেশের জনগণের আস্থার পরিমাণও যথেষ্ট। দ্রুত ও বিজ্ঞানভিত্তিক তৎপরতার ফলে এসব দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অপেক্ষাকৃত কম। এসব দেশের টেস্টের পরিমাণ অনেক বেশি, মানুষের মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবার সুযোগ আছে, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্তও হয়েছে ব্যাপকভাবে। আবার এ দেশগুলোয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

এই দেশগুলোর মতো আরেক গণতান্ত্রিক দেশ তাইওয়ান। দেশটির নারী প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন যখন শুনলেন চীনে এক রহস্যজনক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে তখনই উহান থেকে আসা সব উড়োজাহাজের যাত্রীর কঠোর স্ক্রিনিং হলো। দ্রুতই এ দেশে মহামারি সেন্টার স্থাপিত হলো, উৎপাদন হতে শুরু হলো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। চীন, ম্যাকাও ও হংকং থেকে বিমান পরিবহনে বিধিনিষেধ জারি হলো। করোনাভাইরাসে ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষের দেশ তাইওয়ানে এযাবৎ আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩৯৩। মৃতের সংখ্যা ৬।

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জার্মানির সাফল্যের কারণ কী? হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান হ্যানস গিওর্গ উসিলেস নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতাই জার্মানির বড় শক্তি।’

পর্যটনের ওপর অর্থনীতির অনেকটা নির্ভর থাকলেও একে বন্ধ করে দিতে কসুর করেননি দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ্যারডার্ন। আর এর ফলও পেয়েছেন।

নরডিক পাঁচ দেশের মধ্যে চারটিই নারীশাসিত। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর চেয়ে এসব দেশে মৃত্যুহার অনেক কম। ৫৫ লাখ মানুষের দেশ ফিনল্যান্ডের ৩৪ বছর বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী সান্না মেরিন বিশ্বনেতাদের মধ্যে কনিষ্ঠতম। করোনা প্রতিরোধে তাঁর নেওয়া ব্যবস্থায় খুশি দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ। দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯।

আইসল্যান্ডের নারী প্রধানমন্ত্রী ক্যাটরিন জ্যাকবসডোটির। দ্বীপরাষ্ট্রটির বাসিন্দা মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার। কিন্তু ব্যাপক হারে এ দেশটি করোনার টেস্ট করিয়েছে। এই নরডিক দেশগুলোর মাত্র একটি সুইডেনের পুরুষ প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লে ফেন। তিনি প্রথমে লকডাউন দিতে রাজি হননি। শুরুতে দেশটির মৃত্যুহার ব্যাপক হয়েছিল।

এখনই বলা সম্ভব নয়, বলা উচিতও না যে কোন দেশ করোনার লড়াইয়ে জিতল, কে হারল। কিন্তু এতক্ষণ যে উদাহরণগুলো দেওয়া হলো, তাতে একটি বিষয় নিশ্চিত, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে দ্রুত এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে নারী সরকারপ্রধানেরা অনেক বেশি দক্ষতা দেখিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ব এখনো পুরুষশাসিত।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের হিসাব, বিশ্বের ১৫২টি রাষ্ট্রের মধ্যে মাত্র ১০ দেশের সরকারপ্রধান নারী। বিশ্বের ৭৫ শতাংশ সাংসদ পুরুষ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মতো ব্যবস্থাপক পর্যায়ে পুরুষের সংখ্যা ৭৩ শতাংশ, মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই পুরুষ।

5
করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও মন্দা অবস্থার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার মানুষকে কাজে নিয়োগের জন্য অফার দিচ্ছে বড় বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো। নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও লোক নিয়োগের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে। সিটি পুলিশেও নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লোক নিয়োগের জন্য আগের থেকে দ্বিগুণ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নিউইয়র্ক সিটি প্রশাসন থেকে আবেদনপত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত ই-মেইলে লিংক পাঠাচ্ছে।

করোনার কারণে অনেকেই চাকরি ছেড়ে বা হারিয়ে এখন বাড়িতে থাকছেন। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোর লোক নিয়োগ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রিটেইল কোম্পানিগুলোতে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। কসকো, বিজেসের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও লোক নিয়োগে ব্যাপক প্রচার চলছে। আগের তুলনায় ঘণ্টায় চার বা পাঁচ ডলার করে বেশি দেওয়ার অফার দেওয়া হচ্ছে।

নিউইয়র্কে কাজ পেতে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, আমেরিকায় সব সময় চাকরির বাজার উন্মুক্ত। তবে এ সময় অনেক প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। চাকরি পেতে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাহায্য করে যাচ্ছে। অনলাইনে কীভাবে আবেদন করতে হবে সে বিষয়ে তারা সহযোগিতা করছেন। এ আবেদন ঘরে বসেই করা যাচ্ছে।




6


অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া খুবই কমন একটি ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একেকজন মরিয়া হয়ে ওঠেন। কেউ চুলে মেহেদী দিচ্ছেন, কেউ বাজার থেকে কৃত্রিম রং এনে তা চুলে মাখছেন। খাবারের ভেজাল আর পরিবেশ দূষণের কুফলই কম বয়সে চুল পাকার একটি অন্যতম কারণ। একটি মিশ্রণ খেয়েই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন কিভাবে তৈরি করবেন সেই ম্যাজিক মিশ্রণ।

যা যা লাগবে:

    ১০০ গ্রাম তিসির তেল
    ২টি মাঝারি মাপের পাতিলেবু
    ২ কোয়া ছোট রসুন
    ৫০০ গ্রাম মধু

যেভাবে তৈরি করবেন: একটি লেবু খোসা ছাড়ানো অার অন্যটি ছোট ছোট টুকরো হবে। এবার রসুন ও লেবু পেস্ট করে নিন। পেস্ট করার সময় কোনভাবেই পানি মেশাবেন না। এখন এই মিশ্রণের সাথে তিসির তেল এবং মধু দিয়ে আবার ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার এয়ার টাইট কাঁচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। একদিন পরে বের করে ব্যবহার করুন।

রোজ খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে দিনে তিন বার এক চামচ করে খান। এজন্য কাঠের চামচ ব্যবহার করবেন। ২ সপ্তাহের মধ্যেই তফাতটা ধরতে পারবেন। মিশ্রণটি নিয়মিত খেলে পাকা চুল কালো হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, মিশ্রণটি খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে, চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে এবং নতুন চুল গজাবে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং কুঁচকানো চামড়া টানটান করবে।




7



হলুদ চা
বিশ্বব্যাপী ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছ চীনের স্থানীয় হলুদ চা। একটু ভিন্ন স্বাদ, মসৃণ টেক্সচার এবং সুবাস এই চা কে অন্য চা থেকে আলাদা করেছে।
হলুদ চায়ের উপকারিতা গ্রিন টি(সবুজ চা) বা অন্য কোনো চা থেকেই কম নয় বরং অনেকাংশে বেশি।

ক্যামেলিয়া সিনেনসিস উদ্ভিদের পাতা থেকে 'সিলড হলিং' নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয় হলুদ চা।

কীভাবে বাড়িতে হলুদ চা তৈরি করবেন:
•    এক কাপ গরম পানি নিন
•    ৫ গ্রাম হলুদ চা যোগ করুন
•    মিষ্টির জন্য স্বাদ এবং পছন্দ অনুযায়ী মধু দিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে দিন
•    মিশিয়ে নিলেই প্রস্তুত আপনার গরম গরম হলুদ চা।

এবার উপকারিতাগুলোও জেনে নিন:

ওজন কমায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিফেনল এবং ক্যাচচিনের কারণে হলুদ চা নির্যাস হজমশক্তি বৃদ্ধি ও দ্রুত চর্বি গলাতে সাহায্য করে। 

লিভার জন্য
হলুদ চা লিভার জন্য ভাল। একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, হলুদ চায়ের পলিফিনল লিভারকে সুস্থ রাখে ও হেপাটাইটিসের চিকিৎসায় সহায়তা করে।


ডায়াবেটিস
সবুজ চা যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, একইভাবে, হলুদ চা টাইপ -২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।


বাধ্যর্ক রোধে
হলুদ চা পুষ্টিকর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা শরীরে ও ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। 


গর্ভাবস্থায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত দিনে এক কাপ হলুদ চা পান করা ভালো।




8


বেলা ১১টা নাগাদ পেটে ছুঁচো নাচে? কিংবা বিকেল বেলায় কুড়মুড়ে মুচমুচে কিছু খেতে ইচ্ছে করে? আর সে ক্ষুধা—হোক না সেটা পেট কিংবা মনের, মেটাতে গেলা হয় গুচ্ছের শিঙাড়া-সমুচা না হয় ওরকমই কিছু একটা। কাল থেকে এ অভ্যাস বদলে ফেলা যাক, এখন থেকে নাশতায় সঙ্গী হোক কুমড়োর বিচি।

ভুল শোনেননি, আসলেই নাশতা হিসেবে কুমড়ার বিচি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে নিতে পারেন। ১০০ গ্রাম কুমড়ার বিচি থেকে ৫৬০ ক্যালরি পাওয়া যায়, তার মানে ক্ষুধা মেটানোর কাজটা ভালোই পারে এ বস্তু। আর সামান্য এই খাবারে পুষ্টিও গিজগিজ করছে। প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ার হাউস’ মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব খাদ্য উপাদান।

ভারতের ডি কে পাবলিশিং হাউসের একটি বই ‘হিলিং ফুডস’-এ বলা হয়েছে, কুমড়ার বিচি (বীজ) ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও প্রোটিনের ভালো একটি উৎস। বিচিগুলোতে অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ওজন কমানো, চুলের বৃদ্ধিসহ কুমড়োর বিচির নানা গুণ জেনে নেওয়া যাক—

১. ‘হৃদ্‌যন্ত্র’ ভালো রাখতে
কুমড়োর বিচিতে আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি, ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবই হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খারাপ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

২. ভালো ঘুম
কুমড়োর বিচিতে আছে সেরোটোনিন। স্নায়ু নিয়ন্ত্রক এই রাসায়নিক বস্তুকে প্রকৃতির ঘুমের বড়ি বলা হয়। ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা ঘুম নিশ্চিত করে। ঘুমানোর আগে মুঠভর্তি কুমড়োর বিচি এনে দেবে পুরো রাত্রির শান্তি।

৩. জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমায়
পেশির জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমানোর ক্ষমতা আছে কুমড়োর বিচির। এ ছাড়া বাতের ব্যথাও কমায় এটি। অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে এর তেলও ভালো কাজে দেয়।


৪. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
প্রচুর পরিমাণে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এটি।


৫. ভালো রাখে প্রোস্টেট
কুমড়োর বিচিতে আছে জিংক। যা পুরুষের উর্বরতা বাড়ায় ও প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এতে আছে ডিএইচইএ (ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন), যা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।


৬. ডায়াবেটিসেও উপকারী
শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ চাপ কমায়। এ ছাড়া হজমে সাহায্য করে এমন প্রোটিনও সরবরাহ করে কুমড়োর বিচি, ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।


৭. ওজন কমাতে সাহায্য করে
ওজন কমাতেও সাহায্য করে কুমড়োর বিচি! ছোট্ট এই খাবারেই পেট পূর্ণ থাকে অনেকক্ষণ। আর আশজাতীয় খাবার বলে হজমেও সময় লাগে। ফলে ক্ষুধা পায় না, শুধু শুধু বাড়তি খাবার শরীরে ঢোকার সুযোগ পায় না।


৮. দীর্ঘ চুলের নিশ্চয়তা
এতে আছে কিউকুরবিটিন, এমন এক অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ভিটামিন সিও আছে কুমড়োর বিচিতে, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।




9


রক্তনালী ব্লক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জীবন পরিচালনায় কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এই রোগকে সহজেই প্রতিরোধ করা যেতে। সেজন্য নিচের সাতটি খাবার খেতে পারেন।

১. আপেল
এই ফলটিতে রয়েছে পেকটিন নামক কার্যকরী উপাদান যা দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় ও রক্তনালীতে প্লাক জমার প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। গবেষণা বলছে প্রতিদিন ১ টি করে আপেল খেলে রক্তনালীর শক্ত হওয়া এবং ব্লক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০% পর্যন্ত কমে যায়।

২. দারুচিনি

এই দারুচিনি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেমের সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে থাকে। এছাড়াও গবেষণায় লক্ষ্যকরা গিয়েছে প্রতিদিন মাত্র ১ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খেলে দেহের কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তনালীতে প্লাক জমে ব্লক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

৩. কমলার রস

গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২ কাপ বিশুদ্ধ কমলার রস পান করলে রক্ত চাপ স্বাভাবিক রাখে। কমলার রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীর সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে ফলে রক্তনালী ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

৪. ব্রুকলি

এই ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে যা দেহের ক্যালসিয়ামকে হাড়ের উন্নতিতে কাজে লাগায় এবং ক্যালসিয়ামকে রক্তনালী নষ্ট করার হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। ব্রকলির ফাইবার উপাদান দেহের কোলেস্টেরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে আনে।

৫. তিসীবীজ

যেহেতু তিসীবীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড যা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালীর প্রদাহকে দূর করতে সহায়তা করে এবং সেই সঙ্গে রক্তনালীর সুস্থতা নিশ্চিত করে।

৬. গ্রিন টি

সবুজ চা বা গ্রিন টি-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যাচেটিন যা দেহে কোলেস্টেরল শোষণ কমায় এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। প্রতিদিনের চা কফির বদলে গ্রিন টি পান করলে দেহের সুস্থতা নিশ্চিত হয়।

৭. তৈলাক্ত মাছ

সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ ও নীরোগ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।



10



অনেক সময় দেখা যায় মাঝেমাঝেই আমাদের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার কারণ হল মাড়িতে ইনফেকশন। এছাড়া মাড়ি থেকে রক্ত পড়া কিন্তু মাড়ির বিভিন্ন অসুখেরও লক্ষণ। ডায়েটের তালিকায় কোন কোন খাবার রাখলে ও সেই সঙ্গে কী কী জিনিস মেনে চললে, তা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া প্রতিরোধ করবে, আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেন

১) যে সমস্ত খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে, সেই সমস্ত খাবার বেশি পরিমানে খেতে হবে। লেবু জাতীয় ফল যেমন, কমলালেবু কিংবা মুসুম্বি লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। মাড়ির কোষকে সুস্থ রাখতে এগুলি খুবই উপকারী। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া প্রতিরোধ করে।

২) প্রচুর পরিমানে বেটা ক্যারোটিন থাকে অ্যাপ্রিকটে। যা আমাদের শরীরে ভিটামিন এ জোগায়। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া প্রতিরোধ করে ভিটামিন এ। এর জন্য পালং শাক এবং গাজর একদম উপযুক্ত খাবার।

৩) প্রত্যেকদিন যদি অন্তত ২ গ্লাস করে দুধ খান, তাহলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া প্রতিরোধ সম্ভব। দুধ আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম জোগায় এবং মাড়িকে আরও শক্তিশালী করে।

৪) ডায়েটের তালিকায় কাঁচা সবজি অবশ্যই রাখুন। কাঁচা সবজি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। একই সঙ্গে মাড়ির স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।




11



    পাতা থেকে গাছ হয়! এমনি এক আশ্চর্য গাছের নাম পাথরকুচি। এই আশ্চর্য গাছের গুণাবলী শুনলে আপনিও আশ্চর্য হয়ে যাবেন। পাথরকুচি পাতা যে কতভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে তার ইয়ত্তা নেই।
    1. কিডনির পাথর অপসারণে পাথরকুচি পাতা : পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলব্লাডারের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুই বার ২ থেকে ৩ টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।
    2. জন্ডিস নিরাময়ে : লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী। সর্দি সারাতে : অনেক দিন ধরে যারা সর্দির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পাথরকুচি পাতা অমৃতস্বরূপ। পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম করে খেলে সর্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
    3. ক্ষত স্থান সারাতে : পাথরকুচি পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। পাথরকুচি পাতা বেটেও কাটাস্থানে লাগাতে পারেন।
    4. এছাড়াও- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়। শরীরের জ্বালা-পোড়া বা আর্থ্রাইটিস থেকে রক্ষা করে। পাথরকুচি পাতা বেটে কয়েক ফোঁটা রস কানের ভেতর দিলে কানের যন্ত্রণা কমে যায়। কলেরা, ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচি পাতার জুড়ি নেই। ৩ মি.লি. পাথরকুচি পাতার জুসের সাথে ৩ গ্রাম জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পর্যন্ত খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়। পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্‌ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
    5. ত্বকের যত্নে : পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালা-পোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে। যারা ত্বক সম্বন্ধে অনেক সচেতন তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।




12
সব বডিস্প্রের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। যাদের অত্যাধিক ঘাম হয়, তাদের শরীরে কোনও বডি স্প্রের সুগন্ধই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বডি স্প্রের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে ৫টি কৌশল:

১) বডি স্প্রের গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার করতে পারেন। বগলে বডি স্প্রে ব্যবহারের পর ঘামের গন্ধে তা অল্প সময়ের মধ্যেই ফিকে হয়ে যায়। এ জন্য শরীরের যে অংশগুলি ঘামে না বা অপেক্ষাকৃত কম ঘামে যেমন, কানের পেছনে, গলায় ইত্যাদি জায়গায় বডি স্প্রে ব্যবহার করলে তার গন্ধ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে।
২) বডি স্প্রের সুগন্ধি শরীরে স্প্রে করার সঙ্গে সঙ্গেই গায়ে জামা পরে ফেলবেন না। বডি স্প্রের সুগন্ধি সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়া পর্যন্ত কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, তারপর জামা পরুন। এর ফলে ডিওড্রেন্টের গন্ধ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে।

৩) অনেকেই বডি স্প্রে বা ডিওড্রেন্ট কাপড়ে ব্যবহার করেন এবং স্প্রে করার পরে জায়গাটি ভাল করে ঘষে নেন। এই কাজটি একেবারেই করবেন না। এতে সুগন্ধি আরও তাড়াতাড়ি ফিকে হয়ে যায়।

৪) যে ব্র্যান্ডের বডি স্প্রে ব্যবহার করছেন, ওই একই ব্র্যান্ডের এবং একই সুগন্ধযুক্ত অন্য প্রসাধনীও ব্যবহার করুন। এতে বডি স্প্রে বা ডিওড্রেন্টের গন্ধ দিনের শেষে ফিকে হয়ে গেলেও অন্য
প্রসাধনের সুগন্ধি আপনাকে সতেজ রাখবে।

৫) বডি স্প্রেটি যদি একেবারেই অল্পসময় স্থায়ী হয়, তাহলে সেটিকে সব সময় অপনার সঙ্গেই রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর পর ব্যবহার করুন।



13


দীর্ঘ কর্ম সংস্কৃতির জন্য জাপানের একটি খ্যাতি রয়েছে। যেটাকে অনেকে কু-খ্যাতি বলে থাকেন। দেশটির ব্যবসায়ী ও করপোরেট কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা অফিসে দীর্ঘ ঘণ্টা ব্যয় করেন। ফলে দীর্ঘ সময় কাজ করার পর ক্লান্তি প্রশমনের জন্য কেউ কেউ স্থানীয় বারে গিয়ে মদ পান করেন। 

কিন্তু বেশি মদ পান করার পর বাড়ি যাওয়ার শেষ ট্রেন ধরতে ব্যর্থ হন। ফলে চোখ বন্ধ করার নিঃশ্বাস নেওয়ার ভালো উপায় না পেয়ে এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা সিটি সেন্টারের নোংরা রাস্তায় ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমন্ত এমন কিছু প্রকাশ করেছে 'বিজনেস ইনসাইডার'। যেখানে জাপানের ক্লান্তিহীন কাজের চিত্র ফুটে উঠেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে রাতের এই ছবিগুলো তুলেছেন ফটোসাংবাদিক 'পাওয়েল জাসজকজাক'। ছবির মানুষদের বলা হচ্ছে 'স্যালারিমেন'। এবং ঘুমন্ত এসব মানুষের ছবি সম্বলিত বইটির নাম দেওয়া হয়েছে 'হাই ফ্যাশন'।





14



অর্জুন গাছের অনেক গুন রয়েছে। বৃহদাকৃতির বহুবর্ষজীবী এই উদ্ভিদটি প্রায় ১৮-২৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। ছাল খুব মোটা এবং ধূসর বর্ণের। গাছ থেকে সহজেই ছাল উঠানো যায়। শীতের শেষেই সাধারণত গাছ নিষ্পত্র হয়ে যায় এবং বসন্তে নতুন পাতায় গাছ ভরে যায়।

নিম্নে অর্জুন গাছের গুণাগুন তুলে ধরা হলো;
হৃদরোগ উপশমে অর্জুন ছাল ব্যবহৃত হয়। রক্তে নিম্ন চাপ থাকরে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়। রক্তক্ষরণে ৫-৬ গ্রাম ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে পানি খেলে আরোগ্য হয়। শ্বেত বা রক্ত প্রদরে ছাল ভিজানো পানি আধ চামট কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে রোগের উপশন হয়। এই ছাল মুখ, জিহ্বা ও মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, এটি মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করে। এটি সংকোচন ও জ্বর রোধক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়া চর্ম ও যৌন রোগে অর্জুন ব্যবহুত হয়। অর্জুন খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ায়। খাদ্যতন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
[/size]




15


থানকুনি পাতা। আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এর ল্যাটিন নাম centella aciatica। গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। থানকুনি পাতার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়।প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বহু রোগের উপশম হয় এর ভেষজ গুণ থেকে। খাদ্য উপায়ে এর সরাসরি গ্রহণ রোগ নিরাময়ে থানকুনি যথার্থ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে আদামনি, তিতুরা, টেয়া, মানকি, থানকুনি, আদাগুনগুনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, নামে ডাকা হয়। তবে বর্তমানে থানকুনি বললে সবাই চেনে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কেউ যদি নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করে, তাহলে মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...
১. চুল পড়ার হার কমে:
নানা সময়ে হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে ২-৩ বার থানকুনি পাতা খেলে স্কাল্পের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুল পড়ার মাত্রা কমতে শুরু করে। চুল পড়ার হার কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে? পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা নিয়ে তা থেঁতো করে নিতে হবে। তারপর তার সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসি পাতা এবং আমলা মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। সবশেষে পেস্টটা চুলে লাগিয়ে নিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। ১০ মিনিট পরে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে কম করে ২ বার এইভাবে চুলের পরিচর্যা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

২. টক্সিক উপাদানেরা শরীর থেকে বেরিয়ে যায়:
নানাভাবে সারা দিন ধরে একাধিক ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে, রক্তে প্রবেশ করে। এইসব বিষেদের যদি সময় থাকতে থাকতে শরীর থেকে বের করে দেওয়া না যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! আর এই কাজটি করে থাকে থানকুনি পাতা। কীভাবে করে? এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়। ফলে একাধিক রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

৩. ক্ষতের চিকিৎসা করে:
থানকুনি পাতা শরীরে উপস্থিত স্পেয়োনিনস এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এবার থেকে কোথাও কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অল্প করে থানকুনি পাতা বেঁটে লাগিয়ে দেবেন। দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতারও উন্নতি হবে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে টিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।

৫. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:
থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্য়াটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিনের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

৬. আমাশয়ের মতো সমস্যা দূর হয়:
এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেতে হবে। এমনটা টানা ৭ দিন যদি করতে পারেন, তাহলেই কেল্লাফতে! এই ধরনের সমস্যা কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা বেটে নিন। তারপর সেই রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মেশান। এই মিশ্রনটি দু চামচ করে, দিনে দুবার খেলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে।

৭. পেটের রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে:
অল্প পরিমাণ আম গাছের ছালের সঙ্গে ১ টা আনারসের পাতা, হলুদের রস এবং পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা ভাল করে মিশিয়ে ভাল করে বেটে নিন। এই মিশ্রনটি নিয়মিত খেলে অল্প দিনেই যে কোনও ধরনের পেটের অসুখ সেরে যায়। সেই সঙ্গে ক্রিমির প্রকোপও কমে।

৮. কাশির প্রকোপ কমে:
২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মিশিয়ে খেলে সঙ্গে সঙ্গে কাশি কমে যায়। আর যদি এক সপ্তাহ খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে কাশির কোনও চিহ্নই থাকবে না।

৯. জ্বরের প্রকোপ কমে:
সিজন চেঞ্জের সময় যারা প্রায়শই জ্বরের ধাক্কায় কাবু হয়ে পারেন, তাদের তো থানকুনি পাতা খাওয়া মাস্ট! কারণ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে জ্বরের সময় ১ চামচ থানকুনি এবং ১ চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অল্প সময়েই জ্বর সেরা যায়। সেই সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতাও কমে।

১০. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়:
অসময়ে খাওয়ার কারণে ফেঁসেছেন গ্যাস্ট্রিকের জালে? নো প্রবেলম! থানকুনি পাতা কিনে আনুন বাজার থেকে। তাহলেই দেখবেন সমস্যা একেবারে হাতের মধ্যে চলে আসবে। আসলে এক্ষেত্রে একটা ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে। কী সেই চিকিৎসা? হাফ লিটার দুধে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি এবং অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রন থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে প্রতিদিন সকালে খাওয়া শুরু করুন। এমনটা এক সপ্তাহ করলেই দেখবেন উপকার মিলবে।




Pages: [1] 2 3 ... 7