Daffodil International University

Bangladesh => Law of Bangladesh => Topic started by: shilpi1 on June 19, 2013, 02:59:57 PM

Title: অর্থ-ঋণ আদালতের মামলা
Post by: shilpi1 on June 19, 2013, 02:59:57 PM
আমরা অনেক সময়েই ব্যবসায়ীক অথবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা ঋণ নিয়ে থাকি। ব্যাংক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে হলে কিছু শর্ত মেনে নিতে হয়।

ঋণ গ্রতীতা অনেক সময়ই সেসব শর্ত পূরণ করতে পারেনা। আবার সময় মতো টাকাও ফেরত দিতে পারেনা। ফলে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য হয়েই অনেক সময় আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়।

যে আদালতের মাধ্যমে এসব মামলার বিচার করা হয় তা অর্থ ঋণ আদালত নামে পরিচিত।

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় এক বা একাধিক অর্থ ঋণ আদালত আছে।

যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের একজন বিচারক সাধারণত অর্থ ঋণ আদালতের বিচার কাজ করে থাকেন।

সরকার এসব বিচার কাজ করার জন্য ২০০৩ সালে অর্থ ঋণ আদালত আইন প্রণয়ন করে। আইনানুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায় সম্পর্কিত যাবতীয় মামলা এ আদালতে দায়ের করতে হয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান মূল ঋণগ্রহীতার (Principal debtor) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সময় তৃতীয় পক্ষ বন্ধকদাতা (Third party mortgagor) বা তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টর (Third party guarantor) ঋণের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকলে, তাদেরকেও পক্ষ করবে।  সেই সাথে কোনো আদালতের প্রদত্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রী সকল বিবাদীর বিরুদ্ধে যৌথভাবে ও পৃথক পৃথকভাবে (Jointly and severally) কার্যকর হবে।

পাশাপাশি ডিক্রী জারীর মামলাও সব বিবাদী-দায়িকের বিরুদ্ধে একইসাথে কার্যকর হবে।

মামলা দায়েরের পর বিবাদীকে ৪০ (চল্লিশ) দিনের মধ্যে তার লিখিত জবাব আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। তা না হলে আদালত একতরফাভাবে বিবাদীর বিপক্ষে রায় প্রদান করতে পারেন।

তবে নির্দিষ্ট ফি জমা দিলে আদালত বিবাদীকে আরো ২০ দিন সময় দিতে পারেন।

আদালত দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক ও সাক্ষ প্রমাণ যাচাই করার পর ১০ দিনের মধ্যে তার রায় প্রদান করবেন।

প্রদত্ত রায় বা ডিক্রির টাকা বিবাদীকে কিস্তিতে পরিশোধের জন্য আদালত সুযোগ দিতে পারেন। তবে বিবাদকে সর্বোচ্চ ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে অর্থ বা দেনা শোধ করতে হয়।

আদালতকে অর্থ ঋণ আদালতের মামলা সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়।

মামলার শুনানীর জন্য ধার্য কোনো তারিখে যদি বিবাদী আদালতে অনুপস্থিত থাকে অথবা মামলা শুনানীর পর্যায়ে আদালত যদি তাকে প্রয়োজন মতো উপস্থিত না পায় তাহলে এক্ষেত্রে আদালত সে মামলা একতরফা সূত্রে নিষ্পত্তি করতে পারে।

এ আইনের মাধ্যমে আদালত পক্ষগণের ইচ্চায় বা নিজ উদ্যোগে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিবাদের নিষ্পত্তিও করতে পারেন।
Title: Re: অর্থ-ঋণ আদালতের মামলা
Post by: monirulenam on March 02, 2016, 02:36:27 PM
Thanks for the post