Daffodil International University

Bangladesh => Politics => Topic started by: sharifmajumdar on February 28, 2016, 01:31:23 PM

Title: ‘আমি স্টেশনে চা বেচতাম; আমার মা অন্যের বাড়িতে বাসন মাজতেন': নরেন্দ্ মোদী
Post by: sharifmajumdar on February 28, 2016, 01:31:23 PM
প্রসঙ্গটা তুলেছিলেন ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকারবার্গই। মেনলো পার্কে উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথোপকথনের সময় জুকারবার্গ বলেন, “আপনিও তো আপনার পরিবারকে ভালবাসেন। শুনেছি আপনার মা-ই আপনার আদর্শ।”

এর আগেও বহু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন মোদী। এবং তা দিচ্ছিলেন বেশ স্বাভাবিকভাবেই। সেইমত এই প্রসঙ্গেও কথা বলা শুরু করেন। প্রথমেই তিনি দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমার দেশ ভারত বলেই একজন চা বিক্রেতাকে দেশবাসী তাদের নেতা বানিয়েছেন। আমি স্টেশনে চা বেচতাম।”

এরপরেই বলতে শুরু করেন মায়ের প্রসঙ্গে। বলেন, ‘আমার মা অন্যের বাড়িতে বাসন মাজতেন আমাদের পড়াশোনা করানোর জন্য। খুব গরিব পরিবারে আমি বড় হয়েছি।’ বলতে বলতে হঠাৎ থেমে যান মোদী। চারপাশে শয়ে শয়ে ক্যামেরার লেন্স তাঁর দিকে। সে কথা বিলক্ষণ জানেন মোদী। কিন্তু আবেগকে বাঁধ মানাতে পারলেন না দেশের তাবড় নেতাও। মায়ের কথা বলতে বলতে গলা ধরে এল।

কিছুক্ষণ বলার চেষ্টা করলেন, আমার বাবা আর নেই। মা’রও বয়স হয়েছে প্রায় ৯০। তিনি নিজেই নিজের সব কাজ করেন।” ব্যাস! আর গলা দিয়ে শব্দ বেরোচ্ছে না। কয়েক সেকেন্ড পার। পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন ক্যামেরাম্যান-উপস্থিত জনতা। তবে কি…! হ্যাঁ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চোখে জল। ক্যামেরা সে দৃশ্য ধরা পড়েছে স্পষ্ট। ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

মোদী বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমার মা প্রতিবেশীর বাড়িতে বাসন মাজতেন। তাঁকে বাসন মাজতে হত। জল ভরতে হত। এমনকী, শ্রমিকের কাজও করতে হয়েছে। আমার মা তাঁর আস্ত জীবনটাই আমাদের জন্য পরিশ্রম করে গিয়েছেন।’ নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন এখন গুজরাতে থাকেন মোদী।

‘মোদী আরও বলেন, এটা শুধু একজন নরেন্দ্র মোদীর কথা নয়। আমার দেশ, ভারতে এরকম শয়ে শয়ে হাজার হাজার মা রয়েছেন, যারা তাদের জীবন সন্তানদের জন্য প্রাণপাত করে চলেছেন।’

জুকারবার্গ বিচক্ষণ ব্যক্তি। এরপর আর বেশিক্ষণ কথা বলা চলে না। থেমে গেল কথাবার্তা। মোদী মঞ্চ থেকে নেমে দেখা করলেন জুকারবার্গের অভিভাবকের সঙ্গে। তাঁরাও এসেছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। তাদের সঙ্গে দেখা করে ছবি তোলার অনুরোধও রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে যাওয়ার আগে বিলক্ষণ কথাটি বলে যান- ‘মার্ক, তোমার বাবা-মাও রত্নগর্ভা। যারা তোমার মত সন্তান পেয়েছেন যে গোটা বিশ্বের মানুষকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার মত মহৎ কাজ শুরু করেছে।’


source: prothom-news.com