Daffodil International University

IT Help Desk => News and Product Information => Topic started by: Sahadat Hossain on May 09, 2016, 03:56:50 PM

Title: যে অসাধারণ স্থাপনাগুলো কাজ করে যাচ্ছে পৃথিবীর নিরাপত্তায়
Post by: Sahadat Hossain on May 09, 2016, 03:56:50 PM
বিশ্ব যতই এগোচ্ছে ততই মানুষের নানা বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের কারণে পৃথিবী হুমকির মুখোমুখি হয়ে পড়ছে। এ হুমকি কাটাতে বেশ কয়েকটি ভবন কাজ করছে। এ লেখায় রয়েছে তেমন কয়েকটি ভবনের কথা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।

১. চেরনোবিল
বিশ্বের অন্যতম বড় দুর্ঘটনা ছিল চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনা, যা বিশাল এলাকাকে তেজস্ক্রিয় করে তুলেছিল। তিন দশক আগে চেরনোবিলের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণে আশপাশের বহু এলাকা তেজস্ক্রিয়তাপ্রবণ হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনাকবলিত সে পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরটি এর পরও তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর ঝুঁকিতে ছিল। আর সে ঝুঁকি কমাতে ধ্বংসপ্রায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ওপর তৈরি করা হয় আরেকটি ভবন।


এ ভবনটির প্রথম পর্যায়ের কাজ করা হয় দুর্ঘটনার ছয় মাস পর। সে সময় তাড়াহুড়া করে দুর্ঘটনাস্থলের ওপর সিমেন্টের ঢালাই করে দেওয়া হয়। সে সময় তেজস্ক্রিয়তার কারণে ভালোভাবে কাজ করা যায়নি। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে এ ভবনটির ওপর আরেকটি ভবন নির্মিত হয়। এটি ৯২.২ মিটার উঁচু ও ২৭০ মিটার চওড়া। এর নির্মাণে ব্যবহৃত হয় ইস্পাত ও পলিকার্বনেট। এটি মূলত একটি ছাউনি। এটি তৈরি করা হয় ১৮০ মিটার দূরে। এরপর তা রেলের মাধ্যমে স্থাপনার ওপর নিয়ে যাওয়া হয়।


২. শিকাগো স্যানিটারি অ্যান্ড শিপিং ক্যানাল
১৯ শতকে ক্রমবর্ধমান মার্কিন শহর শিকাগোতে একটি বড় সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যার মূলে ছিল মানব বর্জ্য। বিশাল শহরে মানব বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। আর এ সময় শহরের পরিবেশ অত্যন্ত হুমকির মুখোমুখি হয়ে পড়ে। শহরের পানির উৎস দূষিত হয়ে পড়ে এবং মহামারিতে শহরটির প্রায় ছয় শতাংশ মানুষ মারা যায়। ফলে নীতিনির্ধারকরা শহরে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য একটি খাল খননের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু খালটি শহরের বর্জ্য নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ খালটি শিকাগো নদীর সঙ্গে ডেস প্লেইনস নদীর সংযোগ ঘটায়। ফলে লেক মিশিগান থেকে পানি শিকাগো নদী ও খাল বেয়ে মিসিসিপি নদীতে চলে যায়।


৩. স্ভ্যালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট
সারা বিশ্বেই কৃষিকাজের কারণে নানাভাবে পরিবর্তিত করা হচ্ছে ফসলকে। আর এ কারণে শস্যগুলোর আসল রূপ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে শস্যগুলো হয়ত ভবিষ্যতে কোনো কারণে দরকার হতে পারে। এ প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে ২০০৮ সালে নরওয়ে সরকার তৈরি করে 'গ্লোবাল সিড ভল্ট'। এটি সারা বিশ্বের খাদ্যশস্যের বীজ সংরক্ষণ করে। কোনো দেশের সরকার ইচ্ছে করলে এতে সংরক্ষণের জন্য শস্য পাঠাতে পারে। এ শষ্যভাণ্ডরটি তৈরি করা হয়েছে নরওয়ের স্পিটসবার্জেন দ্বীপে। কয়েকটি কারণে এ দ্বীপটি শস্যভাণ্ডার তৈরির জন্য উপযুক্ত।

এটি উত্তর মেরুর কাছাকাছি এলাকায় হওয়ায় এখানে খুবই ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিদ্যমান থাকে সারা বছর। ফলে এ এলাকায় বাড়তি খরচ করে বীজগুলো ঠাণ্ডা রাখতে হবে না। এ ছাড়া এ এলাকায় ভূমিকম্প খুবই কম হয় এবং শস্যভাণ্ডারটির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা থেকে ১৩০ মিটার উঁচু হওয়ায় তা উচ্চতা বৃদ্ধির কারণেও সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছে স্যান্ডস্টোন পর্বতের ১২০ মিটার গভীরে। এতে সব সময় তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে ১৮ ডিগ্রি বজায় রাখা হয়।

৪. মাউন্ট ওয়েদার ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার
শীতল যুদ্ধের সময় পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে মাউন্ট ওয়েদার ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার তৈরি করা হয়। এ সেন্টারটি ৫৬ হাজার বর্গমিটার আয়তনের একটি বিশাল কমপ্লেক্স, যার পুরোটাই মাটির নিচে রয়েছে। ১৯৫৯ সালে এটি নির্মিত হলেও ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত এর কথা সাধারণ মানুষ জানতেও পারেনি। পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাব্য হুমকির মুখে পরিকল্পনা করা হয়েছিল এ স্থাপনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নিরাপদে অবস্থান করবেন এবং সংকটকালে দেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারসহ কয়েকটি স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলা হলে এ কেন্দ্রটি সচল হয়ে উঠেছিল।


৫. চেয়েনি মাউন্টেইন কমপ্লেক্স
ভূগর্ভস্থ আরেকটি বিশাল বাঙ্কার  হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েনি মাউন্টেইন কমপ্লেক্স। এটি কলোরাডো রাজ্যে অবস্থিত। এ স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল মূলত উত্তর আমেরিকার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে, যার যৌথবাবে তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী এখানে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ স্থাপনাটি বেশ কিছু কারণে উল্লেখ করার মতো। এর মধ্যে রয়েছে স্থাপনাটির ৩০ মেগাটন পারমাণবিক বোমা সহ্য করার ক্ষমতা, যা দুই কিলোমিটার দূরে ফাটলেও স্থাপনার কোনো ক্ষতি হবে না। এ স্থাপনায় রয়েছে স্বাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র, হিটিং ও কুলিং টাওয়ার ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। এ ছাড়া মেডিক্যাল জরুরি অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সিভিল দুর্যোগ, জীবাণুঘটিত দুর্যোগ, সাধারণ আক্রমণ, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস অ্যাটাক, সাইবার ইনফরমেশন অ্যাটাক, কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল অ্যাটাক থেকে রক্ষার ব্যবস্থা।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/73387#sthash.ObF0tv7R.dpuf
Title: Re: যে অসাধারণ স্থাপনাগুলো কাজ করে যাচ্ছে পৃথিবীর নিরাপত্তায়
Post by: mominur on May 10, 2016, 02:07:50 PM
Interesting..........