Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Cold / Flu => Topic started by: yousuf miah on June 17, 2017, 10:56:42 AM

Title: Some ways to reduce the chikungunya sufferings
Post by: yousuf miah on June 17, 2017, 10:56:42 AM
বর্তমানে অনেককেই চিকুনগুনিয়ায় ভুগতে দেখা যাচ্ছে। চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এডিস অ্যালবোপিক্টাস এবং এডিস ইজিপ্টি মশার মাধ্যমে ছড়ায় এই  রোগ।

ভাইরাসবাহী মশা কামড় দেয়ার ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। লক্ষণ হিসেবে জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা, জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, ত্বকে র‍্যাশ হওয়া, বমি এবং ক্লান্তি দেখা দেয়। এই সবগুলো লক্ষণের মধ্যে সবচেয়ে লক্ষণীয় এবং যন্ত্রণাদায়ক হচ্ছে জয়েন্টে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা একমাস পর্যন্ত থাকতে পারে। চিকুনগুনিয়ার লক্ষণগুলোকে বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথাকে কার্যকরীভাবে কমানো যায় কিছু ঘরোয়া উপাদানের মাধ্যমে। চলুন তাহলে জেনে নিই চিকুনগুনিয়ার ঘরোয়া প্রতিকারের বিষয়ে। 

১। ঠান্ডা চাপ

চিকুনগুনিয়ার কারণে সৃষ্ট জয়েন্টের ব্যথা এবং ইনফ্লামেশন কমানোর একটি ভালো উপায় হচ্ছে বরফের সেঁক দেয়া। ব্যথার স্থানে বরফ লাগালে সেখানে উপস্থিত স্নায়ুর প্রান্তে অবসতা সৃষ্টি হয় এবং ঐ স্থানের রক্ত চলাচল কমে যায়। এর ফলে ব্যথা এবং ফোলা কমে। কয়েকটি বরফের টুকরোকে ছোট করে চূর্ণ করে একটি পাতলা তোয়ালের মধ্যে পেঁচিয়ে নিয়ে ব্যথার স্থানে ৩ থেকে ৫ মিনিট রাখুন। দিনে কয়েক বার এর পুনরাবৃত্তি করুন।

২। ম্যাসাজ

চিকুনগুনিয়ার জয়েন্টের ব্যথা কমানোর আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে ম্যাসাজ করা। ম্যাসাজের ফলে পেশী রিলেক্স হবে এবং ফোলা ও শক্ত হয়ে যাওয়া কমবে। এর জন্য অলিভ অয়েল,  নারিকেল তেল, তিলের তেল বা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। তেল সামান্য গরম করে ব্যথার স্থানে মাখিয়ে আলতো চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। দিনে কয়েকবার এটি করতে  পারেন।

৩। হলুদ

চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ দূর করার আরেকটি উপায় হছে হলুদের ব্যবহার। হলুদের কারকিউমিন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি এজেন্ট যা ব্যথা মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। ১ গ্লাস দুধে আধা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন।

৪। ডাবের পানি

চিকুনগুনিয়ায় ভুগলে শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ডাবের পানি কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস, তাই এটি আপনার এনার্জি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও যকৃতকে ডিটক্সিফাই করার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া থেকে নিরাময় লাভ করতে সাহায্য করবে ডাবের পানি। ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধেও সাহায্য করবে ডাবের পানি। দিনে ৩ থেকে ৪ বার ডাবের পানি পান করুন।

৫। বিশ্রাম

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে এই ভাইরাস জনিত সমস্যা দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়, ইনফ্লামেশন ও ব্যথা কমে এবং শরীর পর্যাপ্ত সময় পায় নিরাময়ের জন্য।

সূত্র: টপ টেন হোম রেমেডি