Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Mouth => Topic started by: Mrs.Anjuara Khanom on August 12, 2020, 10:39:45 AM
-
কারও কারও মাথা-মুখ অতিরিক্ত ঘামে। চুলের গোড়া দিয়ে টপ টপ করে ঘাম ঝরে। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতেও পড়েন তাঁরা। বেশি ঘামাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় হাইপারহাইড্রোসিস বলে। আর মুখ-মাথা বেশি ঘামাকে বলে ক্রেনিও ফেসিয়াল হাইপারহাইড্রোসিস। অনেকের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বংশানুক্রমিক। মাথার ত্বক ও মুখে ঘর্মগ্রন্থির সংখ্যা বেশি। একই কথা খাটে বগল বা কুঁচকির ক্ষেত্রেও।
মুখ-মাথা অতিরিক্ত ঘামার একটা অন্যতম কারণ হলো উদ্বেগ। উদ্বেগের কারণে কারও কারও মাথা ঘেমে একাকার হয়, হাতের তালুও ঘেমে ঠান্ডা হয়ে যায়। এ সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের উদ্বেগ কমানোর ওষুধ বা সাইকোথেরাপি প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া হাইপার থাইরয়েডিজম রোগে ঘাম বেশি হয়, খুব গরম লাগে। মুখ সব সময় ঘেমে থাকে। তবে এর সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ যেমন ওজন কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, বুক ধড়ফড়ানি থাকার কথা। নারীদের মেনোপজের পর যে হট ফ্লাশ হয়, তাতেও হঠাৎ করে মুখ-কান লাল হয়ে গরম লাগতে পারে, অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিসের রোগীদেরও বিশেষ করে খাওয়ার পর হঠাৎ মাথা ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যেতে পারে। এটা স্নায়ুর সমস্যার কারণে হয়।
জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলে অতিরিক্ত ঘামের থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে। বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কফি পানও বন্ধ করতে হবে। এগুলো ঘর্মগ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে। ভারী জামাকাপড়, হ্যাট বা মাথা ভারী কাপড়ে মুড়ে রাখবেন না। পাতলা, সাদা বা হালকা রঙের, বাতাস চলাচল করে এমন কাপড় পরুন। একবারে বেশি পরিমাণে না খেয়ে অল্প অল্প করে আহার করুন। প্রচুর পানি পান করুন। অফিসে বা বাড়িতে এমন জায়গায় কাজ করুন, যেখানে ফ্যানের বাতাস লাগে। সঙ্গে পাতলা কাপড় বা রুমাল রাখুন, যা দিয়ে বারবার ঘাম মোছা যায়। প্রতিদিন গোসল করুন, মাথার ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করুন। বাইরে যাওয়ার সময় ত্বকের আর্দ্রতা কমে, এমন পাতলা ফেস পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। গরমে মুখে ভারী মেক আপ করবেন না, তৈলাক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। ব্যায়াম বা হাঁটার পর গোসল করবেন। সমস্যা অসহনীয় হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
লেখক: চর্মবিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ
-
Great Tips. Thanks...