Daffodil International University

Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Topic started by: Sahadat Hossain on August 30, 2022, 12:08:09 PM

Title: বাসায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কী করবেন
Post by: Sahadat Hossain on August 30, 2022, 12:08:09 PM
বাসাবাড়িতে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে, ঘরে শিশু কিংবা বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে দুর্ঘটনাগুলো মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই দুর্ঘটনার স্থান, কারণ, প্রতিরোধের উপায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানা থাকলে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

দুর্ঘটনার স্থান ও কারণ জানুন
গৃহস্থালিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে ওয়াশরুম ও রান্নাঘরে।

এর মধ্যে প্রধানত যে দুর্ঘটনা ঘটে তা হলো, পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া। এ ছাড়া ধারালো কিছুতে কেটে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, গলায় ফাঁস লাগা, বিদ্যুতের শক—এসব দুর্ঘটনাও নিয়মিত ঘটে থাকে।

ওয়াশরুমের মেঝে ভেজা থাকার কারণে সেখানে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ ছাড়া ওয়াশরুমের বাইরে যে মাদুর থাকে, সেটাতে পিছলে পরেও অনেকে আঘাত পেতে পারেন।

গোসলের আগে পানির উষ্ণতা পরীক্ষা না করে গায়ে গরম পানি দিলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

রান্নাঘরে আঘাত পাওয়ার মূল কারণ হলো ধারালো যন্ত্রপাতি। যেমন দা, বঁটি, ছুরি, কাঁচি ইত্যাদি। এ ছাড়া চুলার আগুন, গরম খাবার থেকে বার্ন ইনজুরি হতে পারে।



ঘরে শিশু থাকলে ছোটখাটো দুর্ঘটনাগুলো মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে
ঘরে শিশু থাকলে ছোটখাটো দুর্ঘটনাগুলো মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারেসংগৃহীত অলংকরণ
প্রতিরোধের উপায়
প্রথমত, ওয়াশরুমে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গোসলের পর সাবান বা শ্যাম্পুতে মেঝে পিচ্ছিল হয়ে থাকে। তাই গোসলের পর মেঝেতে ভালোভাবে পানি ঢেলে মপ করে এরপর বেরুতে হবে।

বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য কমোডের পাশে ও গোসলের জায়গায় হাতে ধরার হাতল বা গ্রাব রেইল লাগিয়ে নিতে হবে। তাহলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।

ওয়াশরুমের বাইরে যে মাদুর থাকে, সেটা নিয়মিত খেয়াল করতে হবে, যেন নিচে পানি জমে না থাকে।

রান্নার সময় ছাড়া চুলা নিভিয়ে রাখতে হবে।

ধারালো যন্ত্রপাতি ঢাকনাসহ কৌটায় রাখতে হবে।

বাসায় শিশু থাকলে মেঝের কাছাকাছি সুইচবোর্ড টেপ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

কোনো ওড়না বা দড়ি–জাতীয় জিনিস দিয়ে শিশুরা যাতে না খেলে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


চিকিৎসা
আঘাত পাওয়ার পর যাতে আবার আঘাত না পায়, এ জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন হাত বা পা ভেঙে গেলে একটা সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হবে।

আঘাতপ্রাপ্ত অংশকে বিশ্রাম দিতে হবে।

ক্ষতস্থানে বরফ বা ঠান্ডা কিছু চেপে ধরতে হবে। এতে ক্ষতস্থানে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, যার কারণে রক্তপাত, ব্যথা ও ফোলা কমে যায়।

ক্ষতস্থান চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে বা শুকনা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।

আঘাতপ্রাপ্ত স্থান একটু ওপরে তুলে ধরে রাখতে হবে। এতে রক্তপাত কমে যায়।

ছোটখাটো কাটাছেঁড়ার চিকিৎসার জন্য বাসায় একটা ফার্স্ট এইড কিট রাখলে ভালো হয়। এর মধ্যে কিছু গজ পিস, একটা রোল ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক মলম ও সলিউশন, ব্যান্ডএইড আর একটা মাইক্রোপোর সার্জিক্যাল টেপ থাকলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া সহজ হবে।

লেখক: কনসালট্যান্ট সার্জন, ইবনে সিনা হাসপাতাল, সিলেট

Ref: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/dkr85b8jgb