Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Tofazzal.ns

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 13
31
ঝড় শব্দটা ক্রিকেটে অতি ব্যবহারে একরকম ক্লিশেই হয়ে গেছে। তবে আজ ক্যারিবিয়ান লিগে আন্দ্রে রাসেল যা করলেন, সেটার জন্য ঝড়ের চেয়ে জুতসই কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন।

সাইক্লোনের মতোই তো একের পর এক বল উড়িয়ে ফেললেন মাঠের বাইরে, সেঞ্চুরি করেছেন ৪২ বলে। সাকিব আল হাসানের সৌভাগ্যই বলতে হবে, এক প্রান্ত থেকে জ্যামাইকা তালাওয়াসের সেই ঝড় দেখতে পেরেছেন। সাকিব নিজেও ১৯ রান করার পর বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালেও চলে গেছে তালাওয়াস। আগামীকাল ফাইনালে প্রতিপক্ষ গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল তালাওয়াস। ভালো শুরু করেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিস গেইল, ২৬ বলে ৩৫ রান করে আউট হয়ে গেছেন। রাসেল ও সাকিব যখন ক্রিজে, ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে একটু এলোমেলো তালাওয়াস। ম্যাচের তখন বাকি আর ১০ ওভার ৫ বল। শেষ পর্যন্ত যে তালাওয়াসের রান ১৯৫–তে পৌঁছাল, সেটা প্রায় রাসেলেরই একার কৃতিত্ব। মুখোমুখি প্রথম চার বলে ১ নিয়েছিলেন। পঞ্চম বলে সেই যে ছয় মেরে শুরু, এরপর আর থামাথামি নেই। ১১টি ছয় মেরেছেন, এর মধ্যে বেশির ভাগই আছড়ে ফেলেছেন মাঠের বাইরে। ম্যাচের আয়ু লম্বা হওয়ার জন্য রাসেলকে ‘দোষ’ দেওয়াই যায়! ৯৪ থেকে ছয় মেরেই পৌঁছেছেন সেঞ্চুরিতে। আউট হয়ে গেছেন ১০০ রান করেই। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এটাই সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের মধ্যে এর চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি করেছেন শুধু ক্রিস গেইল (৩০ বলে)। তার আগে সাকিবের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে রাসেল তুলে ফেলেছেন ৯৯ রান। এর মধ্যে সাকিবের অবদান মাত্র ১৯, ২৩ বল খেলে।

বলে বল হাতে সেই আক্ষেপ অনেকটুকুই পুষিয়ে দিয়েছেন সাকিব। প্রথম ওভারে ১২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। পরের ওভারে প্রথম বলেই হাশিম আমলা ছয় মারলেন। কিন্তু পরের বলে সেই কাজ করতে গিয়ে আমলা স্টাম্পড। সুনীল নারাইন এসে প্রথম বলেই ছয়। পরের বলেই আবার উড়িয়ে মারতে গিয়েই ক্যাচ দিলেন। পঞ্চম বলে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম নিলেন এক রান। শেষ বলে আবার উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন ডোয়াইন ব্রাভো। ১ ওভারে ১১ রান দিয়ে সাকিবের ৩ উইকেট!

তবে জ্যামাইকার ১৯৫ রান তাড়া করতে হয়নি ত্রিনবাগোকে, বৃষ্টির কারণে তাদের লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত ১২ ওভারে দাঁড়িয়েছিল ১৩০। আমলা (২৮ বলে ৩৭) ও কলিন মানরোই (২৬ বলে ৩৮), যা একটু চেষ্টা করেছিলেন। সেঞ্চুরির পর বল হাতেও উজ্জ্বল রাসেল, নিয়েছেন ২ উইকেট। হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন। সেটা না হওয়ায় অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডারের খুব একটা আফসোস থাকার কথা নয়!

32
জিততে হলে পাহাড়ই টপকাতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু চূড়ার কাছাকাছিও যেতে পারল না অস্ট্রেলিয়া, তার আগেই দম ফুরিয়ে গেল। তৃতীয় দিনের চা বিরতির আগেই ১৮৩ রানে অলআউট হয়ে গেলেন স্মিথরা, ২২৯ রানে টেস্ট জিতে গেল শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম টেস্ট জয়ের পর দ্বিতীয় জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৭ বছর। তার পরেরটি এল এক সপ্তাহের মধ্যেই! ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার।

আরও একবার স্পিন–বিষেই নাকাল অস্ট্রেলিয়া, তবে এবার রঙ্গনা হেরাথ নন, মূল হন্তারক ছিলেন দিলরুয়ান পেরেরা। গতকালই ২ উইকেট পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার এই অফ স্পিনার, আজ নিলেন আরও ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসেও ৪ উইকেট পেয়েছিলেন, ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এক টেস্টে ১০ উইকেটও নিলেন। দলের দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে করেছিলেন ৬৪ রান। একই টেস্টে ১০ উইকেট ও ফিফটির কীর্তি নেই শ্রীলঙ্কার আর কোনো ক্রিকেটারের। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতেই।

৩ উইকেটে ২৫ রান নিয়ে আজ দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ ব্যাট করছিলেন ওয়ানডে মেজাজেই, ৫ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৩৫ রান। ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন পেরেরাই। স্মিথও বেশিক্ষণ টেকেননি, ২৫ রানেই আউট হয়ে গেছেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতেই।

অ্যাডাম ভোজেস (২৮), মিচেল মার্শরাও (১৮) আউট হয়ে গেছেন দ্রুত। ভোজেসকে আউট করেছেন পেরেরা, মার্শকে সান্ডাকান। ৩১ বলে ২৬ রান করার হেরাথের বলে বোল্ড স্টার্ক। পরে হ্যাজলউডকে আউট করে ম্যাচে নিজের দশম উইকেট পেয়েছেন পেরেরা। অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়টা তখন সময়ের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত নেভিলের রানআউটে দুঃস্বপ্নের এক টেস্ট শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।

33
Cricket / ১০ বছরে সাকিবের সেরা ১০
« on: August 06, 2016, 06:12:17 PM »
৬ আগস্ট ২০০৬, হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক সাকিব আল হাসানের। এক-দুই করে আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ১০ বছর পূর্ণ করলেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। দশক পূর্তিতে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ১০ পারফরম্যান্স-

১০৮ ও ১/৩৪, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, এপ্রিল ২০০৮, মুলতান
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১০৯ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। এক প্রান্ত আগলে রাখেন সাকিব। ৯ম উইকেট জুটিতে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে গড়েন প্রতিরোধ। এই জুটিতে তোলা ৯৭ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ২০০ পেরোয়। সাকিব খেলেন ১০৮ রানের লড়াকু এক ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেটি তাঁর দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ম্যাচটা বাংলাদেশ ৭ উইকেটে হারলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে সাকিবের হাতেই।

৭/৩৬ প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, অক্টোবর ২০০৮, চট্টগ্রাম
এই ম্যাচটি সাকিবের হৃদয়ে আলাদা জায়গা পাবে নিশ্চিত। প্রথম ইনিংসে ৩৬ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। যা এখনো টেস্টে সাকিবের সেরা বোলিং। ম্যাচে ১০ উইকেট পেতে পেতে পাননি। পেয়েছিলেন ৯ উইকেট। জ্বলে উঠেছিলেন ব্যাট হাতেও। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছিলেন ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস। চতুর্থ ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ৩১৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন ফেবারিট মনে হচ্ছিল বাংলাদেশকেই। কিন্তু প্রায় একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। ওই টেস্ট ম্যাচটি পরিণত হয়েছিল ‘সাকিব বনাম ভেট্টোরি’ লড়াইয়ে। শেষ পর্যন্ত যাতে জয় হয় কিউই অধিনায়কের।

৯২* প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, জানুয়ারি ২০০৯, মিরপুর
সাকিবের কোন পারফরম্যান্সটা প্রথমেই মনে পড়ে—এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, ‘আমার কাছে ওর সেরা ইনিংস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯২ (২০০৯ সালে মিরপুরে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে)। এর পর ও ওয়ানডেতে এক শ করেছে, টেস্টেও করেছে। তার পরও ওই ইনিংসটাকে আমার আলাদা মনে হয়। কারণ এর পর থেকেই সাকিব নিজেকে অন্য লেভেলে নিয়ে গেছে। অন্য খেলোয়াড় হয়ে গেছে।’ অধিনায়কের এমন বিশ্লেষণের পর সেই ইনিংস নিয়ে নিশ্চয়ই নতুন করে বলার নেই। ৩১ ওভারে ১৪৮ রান তাড়া করতে নেমে ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর তীব্র চাপে লঙ্কান বোলারদের তুলাধুনা করেন সাকিব। দল পায় স্মরণীয় এক জয়।

৯৬* ও ৮/১২৯ প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জুলাই ২০০৯, সেন্ট জর্জেস
গ্রেনাডা টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। বিদেশের মাটি তো বটেই, প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজে কোনো দলকে ধবলধোলাই করার অভিজ্ঞতা সেবারই প্রথম। দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টটি এতটাই সাকিবময় ছিল, দলের বাকিরা হয়ে গিয়েছিলেন পার্শ্বচরিত্র। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট। ২১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬৭ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ৯৭ বলে ৯৬ রানের সাকিবের ঝলমলে এক ইনিংস। ছক্কা মেরে ম্যাচের সমাপ্তিরেখা টানা—স্বপ্নের ম্যাচ বুঝি একেই বলে!

৪৯, ৯৬ ও ৪/১৫৫, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, মার্চ ২০১০, মিরপুর
সাকিবের কাছে এটি আক্ষেপের টেস্ট হয়ে থাকবে নিশ্চয়ই। প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি পাননি ১ রানের জন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হন সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থেকে। বোলিংয়েও আফসোস আছে সাকিবের। প্রথম ইনিংসে আরেকটি উইকেট পেলেই হয়ে যেত ৫ উইকেট। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে সাকিবের বড় আক্ষেপ হতে পারে দারুণ লড়েও ম্যাচটা হেরে যাওয়ায়।

৫/১২১, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, জুন ২০১০, ওল্ড ট্রাফোর্ড
টেস্টটা বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল ৩ দিনেই। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট মনে রাখতে ইংল্যান্ডের মাটিতে সাকিবের ৫ উইকেটের জন্যই। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ের সুযোগই পাননি তিনি।

৫৮ ও ৪/৪১ , প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, অক্টোবর ২০১০, মিরপুর
সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয়বারের মত হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সাকিবের ৫৮ রানের সুবাদে বাংলাদেশ পায় ২২৮ রানের লড়াইয়ের পুঁজি। এর পর তাঁর ঘূর্ণিজাদুতে কিউইরা ব্যর্থ লক্ষ্যটা পেরোতে। ডি-এল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পায় ৯ রানের দুর্দান্ত জয়।

১০৬ ও ৩/৫৪, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, অক্টোবর ২০১০, মিরপুর
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ও অলরাউন্ডার সাকিবের হাত ধরেই। তাঁর দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ২৪২ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দুরন্ত সাকিব—৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে দেন বিরাট ধাক্কা। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি কিউইরা। নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়।

১৪৪ ও ৭/১২৯ প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ডিসেম্বর ২০১১, মিরপুর
এই টেস্ট দিয়ে সাকিব নিজেকে নিয়ে গেলেন নতুন এক উচ্চতায়। প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানের পর বোলিংয়েও উজ্জ্বল সাকিব, নিলেন ৬ উইকেট। ম্যাচে ৭ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই দুঃস্বপ্নের সিরিজে প্রাপ্তি ছিল সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ওই ম্যাচের পর ওয়ানডের মতো টেস্ট অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে ওঠেন সাকিব।

১৩৭ ও ১০/১২৪ প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, নভেম্বর ২০১৪, খুলনা
১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের পাতায় ওঠে সাকিবের নাম। সেঞ্চুরি করেছিলেন প্রথম ইনিংসে। একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট—টেস্ট ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ের এই পাতায় নাম ছিল শুধু দুজনের—ইয়ান বোথাম ও ইমরান খান। অনন্য অর্জনের সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন সাকিব! তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।

34
জেলা           নদ-নদী
   
ঢাকা           বুড়ীগঙ্গা, শীতলক্ষা, বংশী, ধলেশ্বরী, তুরাগ, বালু।         
মুন্সীগঞ্জ   ধলেশ্বর, পদ্মা, মেঘনা।         
নারায়নগঞ্জ   মেঘনা, ধলেশ্বরী,শীতলক্ষা।         
নরসিংদী   মেঘনা, শীতলক্ষা।         
মানিকগঞ্জ   পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী।   
গাজীপুর   তুরাগ, বানার, বালু।         
ময়মনসিংহ   ব্রহ্মপুত্র, বানার, ধলেশ্বরী         
কিশোরগঞ্জ   ব্রহ্মপুত্র, ধনু, মেঘনা, বাউলাই, কালনী, ধলেশ্বরী।         
জামালপুর   ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, বানার।         
শেরপুর   কংশ নদী।                  
টাঙ্গাইল   যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী।         
নেত্রকোনা   কংশ, বাউলাই, গোমেশ্বরী, মুগর।         
ফরিদপুর   মধুমতি, কুমার, পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ।         
শরিয়তপুর   পদ্মা, মেঘনা,পালং         
গোপালগঞ্জ   মধুমতি         
রাজবাড়ী   পদ্মা।   
মাদারীপুর   পদ্মা, মেঘনা।         
      

35
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রথম দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ১৯৭ বলে ১৪৩ করে। অ্যান্টিগা টেস্টে আজ দিনের প্রথম সেশন শেষে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও কোহলি ব্যাট করছিলেন ২০০ রানে, ভারতের রান ৪ উইকেটে ৪০৪। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় কোনো অধিনায়কের এটিই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ ইনিংসও।

এরই মধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটাও ছাড়িয়ে গেছেন কোহলি। এত দিন তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ১৬৯, যেটি খেলেছিলেন ২০১৪ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। টেস্ট ক্রিকেটে ৭৩তম ইনিংসে এসে কোহলি পেরিয়েছেন ৩ হাজার রানের মাইলফলকও। অধিনায়কত্ব পেয়েছেন খুব বেশি দিন হয়নি, এই তো ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির অনুপস্থিতিতে ভারতের হয়ে টস করতে নেমেছিলেন।
সেঞ্চুরি দিয়েই অধিনায়কত্বের অভিষেক হয়েছিল। পরে নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে শ্রীলঙ্কা সফরেও সেঞ্চুরি করেছেন। এবার হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজেও। অধিনায়ক হওয়ার পর দেশের বাইরে এ নিয়ে পাঁচটি সেঞ্চুরি করে ফেললেন কোহলি। ভারতের হয়ে দেশের বাইরে অধিনায়ক হিসেবে পাঁচটি সেঞ্চুরি আছে শুধু মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের। পূর্বসূরিকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা কোহলির জন্য এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। একটা জায়গায় অবশ্য এখনই কোহলি এগিয়ে।
অধিনায়ক আজহারের ৫ সেঞ্চুরি বিদেশের মাটিতে ৪১ ইনিংসে, অধিনায়ক হিসেবে বিদেশের মাটিতে কোহলির এটা মাত্র ১২তম ইনিংস। আরেকটা দিক দিয়েও কোহলির সেঞ্চুরিটা ‘স্পেশাল’। ওয়েস্ট ইন্ডিজে এর আগে সেঞ্চুরির কীর্তি ছিল ভারতের দুজন অধিনায়কের। ১৯৮৩ সালে পোর্ট অব স্পেনে কপিল দেব অপরাজিত ১০০ রান করেছিলেন, সেন্ট লুসিয়ায় ২০০৬ সালে রাহুল দ্রাবিড় করেছিলেন ১৪৬। ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে কোহলি ছাড়িয়ে গেছেন এ দুজনকেই।

36
আইপিএল জয় করে এবার কাউন্টি জয় করতে চলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। কাল সাসেক্সের হয়ে প্রথম ম্যাচেই ২৩ রানে ৪ উইকেট। হয়েছেন ম্যাচসেরাও। এই স্মৃতি টাটকা থাকতে থাকতেই আজ সারের বিপক্ষে মাঠে নেমে পড়ছেন। খেলা হবে ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক মাঠগুলোর একটি, ওভালে।
কাউন্টিতে তাঁর কবে কখন খেলা, এ নিয়েও অনেকের কৌতূহল। আপাতত আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত সাসেক্সের পূর্ণ সূচি বলা সম্ভব হচ্ছে। কারণ, এরপরই শুরু যাবে নকআউট পর্ব। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সেই নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে দুই টুর্নামেন্টেই নিজেদের পয়েন্ট টেবিলে কমপক্ষে ৪ নম্বরে থাকতে হবে সাসেক্সকে। ১৮টি দলকে উত্তর ও দক্ষিণ এই দুটি গ্রুপে ভাগ করে রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপ ও ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট টুর্নামেন্ট দুটি হয়।
স্টার স্পোর্টসে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় খেলাগুলো। তবে সব কটি ম্যাচ দেখাচ্ছে না চ্যানেলটি। গতকালের মতো আজও টিভিতে দেখা যাবে না মুস্তাফিজের খেলা। বাকি সূচিগুলোর কোন কোন ম্যাচ টিভিতে সম্প্রচারিত হবে, সেই ম্যাচগুলোর দিনে প্রথম আলোর খেলার টিভি সূচি ছোট পর্দায় চোখ রাখতে পারেন।
আপাতত জেনে নিন মুস্তাফিজের বাকি খেলাগুলো কবে কখন
সাসেক্সের পরবর্তী সূচি:


কী খেলা    প্রতিপক্ষ          কবে             কখন
টি-টোয়েন্টি     সারে                 ২২ জুলাই     রাত ১১.৩০
ওয়ানডে     গ্লস্টারশায়ার         ২৪ জুলাই    বিকেল ৪.০০
ওয়ানডে    হ্যাম্পশায়ার          ২৭ জুলাই     সন্ধ্যা ৭.০০
টি-টোয়েন্টি    গ্ল্যামরগান         ২৮ জুলাই     রাত ১১.৩০
ওয়ানডে    সমারসেট          ৩০ জুলাই    বিকেল ৪.০০
ওয়ানডে    কেন্ট                  ২ আগস্ট

37
১৪ ম্যাচে ৫৩ ওভারে ৩৫৬ রান দিয়ে আইপিএলে মুস্তাফিজের উইকেট ১৬.

প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলছেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন তিনি। আর আইপিএলের অভিষেক আসরেই বোলিংয়ে শীর্ষে উঠে আসার সুযোগ চলে এসেছে মুস্তাফিজের সামনে।

কিন্তু সেই সুযোগটা  বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কখনও হয়তো ফিল্ডারদের ক্যাচ মিচের কারণে। আবার হয়তো আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে।

১৪ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় এখন মুস্তাফিজের অবস্থান ৪র্থ। সতীর্থরা ক্যাচ মিস না করলে হয়তো শীর্ষস্থানে মুস্তাফিজের নামই দেখা যেত। তবে এখনও শীর্ষে ওঠার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি।

38
পরীক্ষার খাতায় মায়ের রচনা লিখে বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে এক বালক। ১১ বছরের ওই বালক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। পরীক্ষায় মা সম্পর্কে রচনা লিখতে বলা হয়। বালকটির মা মারা গেছেন।

মা ছাড়া সে কত কষ্টে আছে তাই পরীক্ষার খাতায় লিখে বালকটি। শিক্ষক পরীক্ষার ওই খাতার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়।

গল্পের নায়ক মিশরের ওসামা আহমাদ হাম্মাদ। ওসামা সিনাই প্রদেশের একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। পরীক্ষায় মা সম্পর্কে একটি রচনা লিখতে বলা হয়। এর উত্তর দিতে গিয়ে ছাত্রটি লিখেছিলো, ‘আমার মা মারা গেছেন। মা মারা যাওয়ার সঙ্গে আমার সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে।’

ওসামার শিক্ষক তখন পরীক্ষার ওই খাতার একটি ছবি তুলে অনলাইনে পোস্ট করেন। পরে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি জানতে পেরে আল-আজহার মসজিদের সর্বোচ্চ ইমাম ওসামার পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন।তিনি বলেছেন, ওসামার লেখাপড়াসহ সব খরচ তিনি বহন করবেন।

এর আগে সিনাই প্রদেশের গভর্নর ওসামাকে রাজধানী কায়রো ভ্রমণের প্রস্তাব দিয়েছেন।

39


টুর্নামেন্টে বাঁচা মরার লড়াইয়ে হায়দ্রাবাদ সানরাইজার্সেরের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর এই লড়াইয়ে জয় পেয়েছে কলকাতা। হায়দ্রাবাদকে ২২ রানে হারিয়ে শেষ চারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে এই দলটি।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইউসুফ পাঠান এবং মনিষ পান্ডের ব্যাটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে তারা; জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৯ রানেই থামতে হয় সানরাইজার্সদের।

এই ম্যাচে একে অপরের বিপক্ষে খেলেছেন মুস্তাফিজ এবং সাকিব। ব্যাটিংয়ে সাকিব করেছেন মাত্র সাত রান তবে বোলিংয়ে একটু খরুচে হলেও তুলে নিয়েছেন ভয়ঙ্কর যুবরাজের উইকেটটি।
 আর জন্য ম্যাচেশেষে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর।

অপরদিকে মুস্তাফিজও নিজের চার ওভারে রান দিয়েছেন ৩২; সাকিবের থেকে যা দুই কম, সেই সাথে উইকেটও নিয়েছেন একটি। জ্যাসন হোল্ডারকে ফিরিয়েছেন তিনি।

এদিকে ম্যাচ শেষে বেশ স্বস্তিতেই রয়েছেন কলকাতার দলপতি গৌতম গম্ভীর। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানালেন, দলের এমন জয়ই চান তিনি, সেই সাথে এই ম্যাচকে টুর্নামেন্টে নিজেদের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচও বলেছেন তিনি। পুরো দলকেও অভিনন্দন জানান তিনি। সামনের ম্যাচগুলোতে আরও ভালো ক্রিকেট প্রদর্শনেরও অঙ্গীকার করেন তিনি।

40
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নবম আসরে ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে বড় ধাধাঁর নাম মুস্তাফিজ।তার মায়াবী স্লোয়ারে একের পর এক কাবু হচ্ছে বিশ্ব সেরা সব ব্যাটসম্যানরা। আর তাকেই কিনা মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে (২ লাখ ৮ হাজার ডলার) দলে নেয় হায়দরাবাদ। তবে হায়দরাবাদে মুস্তাফিজের আরেক সতীর্থ

সফল বোলার নিউজিল্যান্ডের পেস বোলার ট্রেট বোল্টকে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারে  কিনে সানরাইর্জাস হায়দরাবাদ। কিন্তু এত দামী প্লেয়ারকে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও মাঠে নামায়নি হায়দরাবাদ কোচ।

কিন্তু এ ব্যাপারে কোন আফসোস নেই কিউই পেসারের। বোল্ট বলেন, মুস্তাফিজ আমার চেয়ে অনেক ভাল বল করছে ও বর্তমানে বিশ্বের সেরা বোলারদের একজন, আমি ওর সাথে একই টিমে থাকতে পেরে আনন্দিত।

তবে,“টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ বা আক্ষেপের কোনো ভাবনাই নেই মুস্তাফিজুর রহমানের।ভালো লাগছে আইপিএল খেলছি।

আশা ছিল যে সুযোগ পাব। মাশরাফি খেলেছেন, সাকিব ভাই এখনও খেলছেন। আমি এখানে খেলে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু নয়।

41
গত কয়েক এক বছরে ক্রিকেটে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর এই সাফল্যর অন্যতম কারণ হলো টাইগারদের পেস বোলিং।  তবে বেশ কিছুদিন ধরেই স্পিন সমস্যায় ভুগছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।দলের স্পিনারদের অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। তাই বিসিবি পেস বোলারদের মতো স্পিন বোলারদের জায়গাটাও শক্তিশালী করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই ক্রিকেট বিশ্বের তিন কিংবদন্তি স্পিনার শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন, পাকিস্তানের সাকলাইন মুস্তাক ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্নের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিসিবি।

তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে নিয়োগ  দেয়ার পরিকল্পনা করছে বোর্ড। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। খুব শিগগিরই নাকি এ বিষয়ে জানা যাবে। এমন তথ্যই দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন কমিটির প্রধান আকরাম খান। বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পিন আক্রমণকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এর জন্য সাকলাইন মুস্তাক, মুত্তিয়া মুলালিধরন ও শেন ওয়ার্নকে বিভিন্ন মেয়াদে নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

42
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), ইংলিশ কাউন্টি – এর পর যে অবধারিত ভাবেই মুস্তাফিজুর রহমানের সামনে অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বিগ ব্যাশের দরজা খুলে যাবে সেটা অনুমিতই ছিল। আর হলও তাই!

বাংলাদেশের বাঁ-হাতি এই পেসারকে দলে পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তিন দল – মেলবোর্ন রেনেগেডজ, সিডনি সিক্সার্স ও সিডনি থান্ডার্স। এমন তথ্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ক্রিকেট.কম.এইউ।

আসন্ন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য বিগ ব্যাশের ষষ্ঠ আসরের ফিক্সচার এখনও চূড়ান্ত না হলেও এরই মধ্যে দলগুলো নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে। আটটা দলের মধ্যে কেবল মেলবোর্ন স্টার্সই দু্’জন বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা পূরণ করে ফেলেছে। সেই দু’জন হলেন ইংল্যান্ডের লুক রাইট ও কেভিন পিটারসেন।

বাকি সাত দলের কমপক্ষে একজন করে বিদেশি খেলোয়াড় এখনও দরকার। আর সেদিক থেকে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজকে পাওয়ার দৌড়ে এখন অবধি সবচেয়ে এগিয়ে আছে মেলবোর্ন রেনেগেডজ।

কারণ, এই দলের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন আইপিএলে মুস্তাফিজের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কোচ টম মুডি। তাদের দলের দুই বিদেশি খেলোয়াড় কোটায় কেউই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত না হলেও, দলটি আশা করছে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অল রাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোকে পাবে তারা।

এর সাথে এবার ২০ বছর বয়সী মুস্তাফিজকে যোগ করতে চাইছে তারা। আর সেটা করার ক্ষেত্রে টম মুডিকে প্রধান ভরসা মনে করছে দলটি।

সর্বশেষ মৌসুমে দলের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক ছিল না। দলের কোচ ডেভিড সাকেরও এবার দলে একজন বিদেশি বোলার নিতে মরিয়া। দ্য এজ পত্রিকাকে তিনি এ ব্যাপারে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমরা একজন বিদেশি বোলার নিতে চাই।’

ক’দিন আগেই মুস্তাফিজকে ‘লিটল জিনিয়াস’ বলেছিলেন তার সানরাইজার্স সতীর্থ মোজেস হেনরিক্স। বিগ ব্যাশে এই মোজেসই সিডনি সিক্সার্সের অধিনায়ক। তারাও আগ্রহী মুস্তাফিজের ব্যাপারে। দলের দুটি বিদেশি খেলোয়াড় কোটার একটাও এখনও পূরণ হয়নি।

এদিকে, সিডনি থান্ডার্সের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা মাইক হাসি আইপিএলের ধারাভাষ্যকক্ষে বসে ‍মুস্তাফিজকে পরখ করে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। জানা গেছে, এই সিডনি থান্ডার্সের রাডারেও আছেন মুস্তাফিজ। সেক্ষেত্রে আসন্ন মৌসুমে তিনি জুটি বাঁধবেন ওয়েস্টি ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের সাথে। থান্ডার্স চাইছে কিংবদন্তি অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের অভাব এক বোলিং দিয়েই পুষিয়ে দেবেন মুস্তাফিজ।

এদিকে পার্থ স্কর্চার্সেরও দুটি বিদেশি খেলোয়াড় কোটার একটাও পূরণ হয়নি। আর হোবার্ট, অ্যাডিলেড আর ব্রিসবেন দলে একটা করে জায়গা খালি আছে বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য।

মুস্তাফিজকে এবার বিগ ব্যাশে খেলে ফেললে সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সম্মানজনক এই আসরে খেলার সুযোগ পাবেন। সাকিব বিগ ব্যাশের দ্বিতীয় ও চতুর্থ আসরে যথাক্রমে খেলেছেন অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স ও মেলবোর্ন রেনেগেডজের হয়ে।

ক্রিকেট মাঠে মুস্তাফিজের কীর্তির কথা বার বার বলতে বলতে ক্লিশে হয়ে গেছে। মার্চে বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনি র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২২ রান দিয়ে পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট।

এবারের আইপিএলেও ১৩ উইকেট নিয়ে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী আন্দ্রে রাসেল ও মিশেল ম্যাকক্লেনাঘানের পরেই অবস্থান করছেন। তার ইকোনমি রেট মোটে ৬.১৫ – সর্বনিম্ন ১০ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে যেটা সর্বনিম্ন।

এবার কি বিগ ব্যাশেও সেই ‍মুস্তাফিজের দেখা মিলবে?

43
২৩ এপ্রিল রাতে বাংলায় বলেছিলেন, ‘ভালো লাগছে।’ এদিন কী বলেন, সে প্রতীক্ষায় টিভি পর্দার দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই। ম্যাচসেরা তো মুস্তাফিজুর রহমানই। কিন্তু পরশু আর তা হলো না, ম্যান অব দ্য ম্যাচ হিসেবে ঘোষিত হলো মুস্তাফিজের সতীর্থ ভুবনেশ্বর কুমারের নাম। যা একটু বিস্ময়ই জাগাল।
এই ম্যাচের আগে আইপিএলে মুস্তাফিজের সেরা বোলিং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে (৪-১-৯-২)। পরশুর ম্যাচের পরও ২৩ এপ্রিলের সেই পারফরম্যান্সই সেরা হয়ে থাকল। তবে পরশু সেটি নতুন করে লেখার সম্ভাবনা ভালোই জাগিয়েছিলেন। প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন, কিন্তু শিখর ধাওয়ান ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় পেলেন না। চতুর্থ বলে কেন উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত ক্যাচে সে দুঃখ ঘুচল। মুস্তাফিজ এর পরও ধাঁধাই হয়ে থাকলেন ব্যাটসম্যানদের কাছে। কাটার, স্লোয়ার কিংবা হঠাৎ তীব্র গতি—পেস বোলিংয়ের অনুপম এক প্রদর্শনীতে প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ফেরালেন রবীন্দ্র জাদেজাকেও। পঞ্চম বলে অ্যারন ফিঞ্চের ছক্কার পরও ওই ওভার থেকে রান এল মাত্র ৮। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট, এরপরও অন্য কেউ ম্যাচসেরা হন কী করে! ভুবনেশ্বরের ২ উইকেট যেখানে ২৮ রান খরচ করে।
ভুবনেশ্বরের পক্ষে যুক্তি হতে পারে, বোলিং ওপেন করতে এসেই মেডেন ওভার, পরের ২ ওভারে ফিরিয়ে দিয়েছেন দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে অবশ্য তিনিও মুস্তাফিজের প্রশংসাতেই মাতলেন, ‘আমি বোলিং নিয়ে মুস্তাফিজকে কিছু বলতে যাই না। তাঁর স্লোয়ারগুলো ভয়ংকর। আর ওর কারণেই শেষ দিকে আমার ও নেহরার ওপর চাপ থাকে না।’
পরশু মুস্তাফিজের বাংলা শুনতে না পেলেও এ নিয়ে দারুণ মজা চলছে সানরাইজার্সের ড্রেসিংরুমে। দলের কোচ টম মুডি, অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ বাংলায় টুইট করেছেন। মুস্তাফিজের ইংরেজি বলতে না-পারা নিয়ে একটু বেশিই কথা হচ্ছে ভেবেই কি না ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুডি বলেছেন, ‘ওর ভাষা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সে ইংরেজিতে ঠিক স্বচ্ছন্দ নয়, আমরাও সেভাবে বাংলা বলতে পারি না। তবে ক্রিকেটের ভাষা সর্বজনীন, আমাদের তাই ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমস্যা হয় না।’
আইপিএল শুরুর আগেই মুডি বলেছিলেন, দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে মুস্তাফিজের সমস্যা হবে না। প্রথম ম্যাচ থেকেই মুডির কথাকে ঠিক প্রমাণ করে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তবে এটি খুব সামান্যই বোঝাতে পারছে মুস্তাফিজের প্রভাব। এই আইপিএলে কমপক্ষে ২০ ওভার করেছেন, এমন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী মুস্তাফিজ (ওভারপ্রতি রান ৬.২৩)। বোলিং গড়ের বিচারে তৃতীয় (১৮.৭০)। বোলার মুস্তাফিজের আসল মহিমা অবশ্য অন্যখানে, যেভাবে ব্যাটসম্যানদের নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছেন, তা না দেখলে ঠিক বোঝানো যায় না।
বোলার মুস্তাফিজকে বিশ্ব দেখছে। মানুষ মুস্তাফিজকে দেখার সুযোগ পাচ্ছে শুধু তাঁর দলই। টম মুডি সেটিতেও মুগ্ধ, ‘মানুষ হিসেবে সে দারুণ। দলের সঙ্গে ভালো মানিয়ে নিয়েছে। খুব মজার ছেলে, রসবোধও দারুণ। সহজেই সবার সঙ্গে মিশে যায়। মাঠে সে যা করেছে, সেটা এরই মধ্যে সবার নজর কেড়েছে। আর মাঠের বাইরে সে যা করছে, সেটাও দলের জন্য দারুণ।’

44
মুস্তাফিজুর রহমান বোলিংয়ে আসার আগেই ম্যাচ প্রায় করে ফেলেছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পেসাররা। তারপরও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে দলের ৮৫ রানের জয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই বোলিং সেনসেশন।
আক্রমণে এসে বরাবরের মতোই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মুস্তাফিজ। তিন ওভারের স্পেলে প্রতি ওভারে তিনি নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ১৬ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট, যা আইপিএলে এখন পর্যন্ত তার সেরা বোলিং ফিগার।
রোববার বিশাখাপত্তনমের ড. ওয়াই এস রাজাশেখর রেড্ডি এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করে হায়দরাবাদ। জবাবে ১৬ ওভার তিন বলে ৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় মুম্বাই। মুস্তাফিজ বোলিংয়ে আসার আগে ৯ ওভারে ৫০ রান তুলতেই ফিরে যায় দলটির প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান।
অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার এদিন একটু দেরিতে বোলিংয়ে আনেন মুস্তাফিজকে। নিজের প্রথম বলেই অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে উইকেটরক্ষক নামান ওঝার ক্যাচে পরিণত করে উইকেট-শিকার উৎসবে যোগ দেন তিনি।
পরের ওভারে ফিরে আবার প্রথম বলে আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। এবার ফিরিয়ে দেন টিম সাউদিকে। হার্দিকের মতো সাউদিও উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দি হন। নিজের তৃতীয় ওভারে স্লোয়ার বলে মিচেল ম্যাকক্লেনগানকে ফিরিয়ে দলকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান মুস্তাফিজ।
এরপর আর বেশিদূর এগোয়নি মুম্বাইয়ের ইনিংস।
অভিজ্ঞ আশিস নেহরা ৩ উইকেট নেন ১৫ রানে।
এর আগে ওয়ার্নার সঙ্গে ধাওয়ানের ৮৫ রানের উদ্বোধনী জুটি হায়দরাবাদকে ভালো সূচনা এনে দেয়। ৬ রানের মধ্যে ওয়ার্নার (৩৩ বলে ৪৮) ও কেন উইলিয়ামসনের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে হায়দরাবাদ।
তবে যুবরাজ সিংয়ের (২৩ বলে ৩৯) সঙ্গে ধাওয়ানের আরেকটি ৮৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ গড়ে হায়দরাবাদ। ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন ধাওয়ান। তার ৫৭ বলের ইনিংসটি গড়া ১০টি চার ও একটি ছক্কায়।

45
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সকে টস জিতে ব্যাট করতে পাঠাল গুজরাট লায়ন্স। আজও দলে রায়েছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ঘরের মাঠে রায়নাদের বিরুদ্ধে জয় ধরে রাখাই লক্ষ্য এখন গম্ভীর বাহিনীর। যদিও ইডেনের পিচ বলছে আজ
তৃতীয় ওভারে নাইট শিবিরে প্রথম আঘাতটি অবশ্য আনেন প্রবীন কুমার।কুমারের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন কলকাতার অধিপতি।
একই ওভারের তৃতীয় বলে কুমারের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হয় মানিষ পান্ডে। কলকাতার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যাদের ব্যর্থতায় মাত্র ২৪ রানে ৪ ইউকেট হারায় গম্ভীরবাহিনী। বিপর্যস্ত কলকাতাকে টেনে তুলতে ব্যাট হাতে সাকিবের সাথে জুটি বাধে ইউসুফ পাঠান।
ইতিমধ্যে ৮৪ রানে পার্টনারশিপ করে এই জুটি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কলকাতার সংগ্রহ ৪ ইউকেট হারিয়ে ১৩২ রান। সাকিব ৩৯ বলে ৪৬ ও পাঠান ৩৭ বলে ৫৯ রান নিয়ে ব্যাট করছে।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 13