Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Karim Sarker(Sohel)

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 26
46
Food Habit / ব্রোকলি না ক্যাপসিকাম?
« on: November 26, 2016, 06:26:36 PM »
ব্রোকলি ও ক্যাপসিকাম বর্তমানে দুটোই অনেক পরিচিত সবজি হিসেবে। আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গাতেই এই দুটি সবজির চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে সালাদের ভেতর ব্রোকলি ও ক্যাপসিকাম মিশিয়ে খাওয়া হয়। এই দুই সবজির ব্যাপারে বলেছেন পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো—

.ব্রোকলি
* ব্রোকলিতে আয়রনের পরিমাণ অনেক থাকে।
* ভিটামিন এ-এর একটি ভালো উৎস।
* ত্বকের জন্য ভালো। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
* অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।
* এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।

.ক্যাপসিকাম
সাধারণত বাজারে লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম পাওয়া যায়। অনেকে একে মরিচ ভেবে ভুল করে। স্যুপের ভেতর অথবা ভেজেও ক্যাপসিকাম খাওয়া যায়। ক্যাপসিকামের গুণাগুণ হলো—
* লাল-হলুদ ক্যাপসিকামে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি।
* সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন সি-এর উৎস।
* এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।
* হৃদ্যন্ত্রের জন্যও খুব উপকারী।
অধুনা প্রতিবেদক

Collected

47
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ হতে পারে। কিন্তু ২০১৭ সালে যাঁরা হজে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রাক্‌-নিবন্ধন, মাধ্যম, মক্কা-মদিনার বাসা, মোয়াল্লেম নম্বর, খাবার ব্যবস্থা, সব ধরনের খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখা, হজের নিয়মকানুন জানতে হবে। এ বিষয়ে গত কয়েক বছর হজ পালন করেছেন, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো।

ক. প্রাক্‌-নিবন্ধন: হজে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ প্রাক্‌-নিবন্ধন। জাতীয় পরিচয়পত্র, এমআর পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, মোবাইল নম্বরসহ (যেখানে এসএমএস পাবেন) সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য নিকটস্থ ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়, পরিচালক হজ কার্যালয় এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বৈধ হজ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক্‌-নিবন্ধন করা যাবে। আপনার প্রাক্‌-নিবন্ধিত ক্রমিক নম্বর সরকার-নির্ধারিত কোটার মধ্যে থাকলে ২০১৭ সালে হজে যাওয়ার জন্য মনোনীত হবেন।

খ. মাধ্যম: আপনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন, এটা ঠিক করতে হবে। তা হলো, যে মাধ্যমে যাবেন অর্থাৎ এজেন্সিকে কিছু প্রশ্ন করতে হবে।

১. হজ প্যাকেজ: হজ প্যাকেজ কত দিন, সৌদি আরবে অবস্থানের মেয়াদ কত দিন, কোথায় কত দিন অবস্থান এবং তা কীভাবে, বিস্তারিত জানতে হবে। গত কয়েক বছর কত নম্বর মোয়াল্লেমের অধীনে ওই এজেন্সি হজ পালন করছে তা জানতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশের হাজিদের জন্য ১ থেকে ১১৫টি মোয়াল্লেম আছে। মোয়াল্লেমের নম্বর অনুযায়ী মিনার তাঁবুর অবস্থান হয়। মোয়াল্লেম কাস্টার: ১ থেকে ৯ মোয়াল্লেম নম্বর পর্যন্ত হাজিপ্রতি খরচ ২ হাজার ৬০০ সৌদি রিয়াল (১ রিয়াল = ২১ টাকা)। ১০ থেকে মোয়াল্লেম নম্বর ২২ পর্যন্ত হাজিপ্রতি খরচ ১ হাজার ৬০০ সৌদি রিয়াল। ২৩ থেকে ৫৯ মোয়াল্লেম নম্বর পর্যন্ত হাজিপ্রতি খরচ ৮৫০ সৌদি রিয়াল। ৬০ থেকে ১১৫ মোয়াল্লেম নম্বর পর্যন্ত হাজিপ্রতি খরচ ৫০০ সৌদি রিয়াল দিতে হয়।

২. মক্কা-মদিনা বাসা কোথায়: মক্কায় বাসার ধরন এবং তা কাবা শরিফ থেকে কত দূর, বাসায় লিফট আছে কি না, বাসা বা হোটেলে বাথরুম কতজনের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে। একই কথা মদিনার বাসার জন্য প্রযোজ্য।

৩. খাবার: সৌদি আরবে পৌঁছে তিনবেলা খাবার দেওয়া হবে কি না বা বিকল্প ব্যবস্থা কী তা জানতে হবে।

৪. সব ধরনের খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখা: বিমানভাড়া, বাসাভাড়া, মোয়াল্লেম ফি দিয়ে যা পাবেন, মোয়াল্লেম ফির বাইরে ও অতিরিক্ত ফি মিনার তাঁবুর অবস্থান, বালিশ, কম্বল ইত্যাদির জন্য। হজের সময় মিনায় তাঁবুতে বা আজিজিয়ায় থাকা কিংবা না থাকা ইত্যাদি।

৫. কোরবানি: ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক বা আইডিবির ৪৬০ সৌদি রিয়াল দিয়ে কুপন কিনে দেওয়া ভালো। অথবা নিজে বা এজেন্সির লোক ছাগল কিনে কোরবানি দেবেন, তা-ও আগে থেকে জেনে নিতে হবে।

৬. মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা: হজের সফরে প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়। চাইলে যখন-তখন যানবাহন পাওয়া যায়। এটাও মাথায় রাখা। উমরায় তাওয়াফ, সাঈ, মিনা, জামারাতের পাথর মারা, মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজের তাওয়াফ, সাঈ করতে প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়। এ সবের জন্য মানসিক, শারীরিক সক্ষমতা জরুরি।

৭. ফিতরা: ফিতরা বা স্থানান্তর আছে কি না। মক্কার বাসা ফিতরা থাকলে আওয়াল ফিতরা অর্থাৎ হজের আগে ফিতরা, না আখের ফিতরা হজের পরে ফিতরা হবে, তা জানতে হবে।

৮. মিনা, আরাফাতে খাবার, যাতায়াত, মক্কায় তাওয়াফ সাঈ করতে যাওয়ার বিষয়ে কী ব্যবস্থা, তা-ও বিস্তারিত জেনে নেবেন। আপনার সঙ্গী যদি অসুস্থ বা দুর্বল হন, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থাও জেনে নিতে হবে।

৯. মোয়াল্লেম ফি দিয়ে যা যা পাবেন: ১০৮৯ সৌদি রিয়াল। বাস ভাড়া ৪৯৫ সৌদি রিয়াল। মিনার তাঁবু, ইউনাইটেড এজেন্ট, মোয়াচ্ছাসা, আদিল্লা ফি ৫৯৪ সৌদি রিয়াল।

জেদ্দা থেকে মক্কা বাসভাড়া ৩০ সৌদি রিয়াল ৫০ জনের জন্য একটি বাস। অর্থাৎ ৫০ জন পূরণ না হলে জেদ্দা থেকে বাস ছাড়তে দেরি হয়। মক্কা থেকে মদিনা বাসভাড়া ১২০ সৌদি রিয়াল, মদিনা থেকে মক্কা বাসভাড়া ১২০ সৌদি রিয়াল, মক্কা থেকে মিনা আরাফাত ১৮০ সৌদি রিয়াল, ১০০ জনের জন্য একটি বাস বা দুই ট্রিপ। অর্থাৎ এ জন্য মিনা- আরাফাতে হজযাত্রীদের দাঁড়িয়ে যেতে হয়। মক্কা থেকে জেদ্দা বাসভাড়া ৩০ সৌদি রিয়াল, মদিনা থেকে জেদ্দা বাসভাড়া ৯৭ সৌদি রিয়াল। মিনার খাবার, কম্বল, বালিশের জন্য মোয়াল্লেমকে অতিরিক্ত খরচ দিতে হয়।

১০. হজের নিয়ম কানুন জানা: প্রয়োজনীয় বই-পুস্তক, হজ গাইড সংগ্রহ করে পড়ুন। কয়েক বছর ধরে প্রথম আলো হজযাত্রীদের সহায়ক হজ গাইড প্রকাশ করে বিনা মূল্যে তা বিতরণ করে। এটি প্রথম আলোর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। যাঁরা পড়তে পারেন না, তাঁরা হজে যাঁরা গেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করুন।
Collected-

48
একটানা কাজ করতে করতে হাতের আঙুলে জড়তা বা ব্যথা অনুভব অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে যাঁরা কম্পিউটারের কি-বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করেন, তাঁরা এমন সমস্যা এড়াতে কাজের ফাঁকেই কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। এ বিষয়ে জেনে নিন:
*বুড়ো আঙুল ছাড়া বাকি চারটি আঙুল একসঙ্গে ভাঁজ করুন এমনভাবে, যেন আঙুলের মাথাগুলো যথাসম্ভব কবজির কাছাকাছি আসে। এরপর আঙুলগুলো প্রসারিত করুন। মনে মনে ১ থেকে ১০ গুনতে গুনতে ১০ বার এই ব্যায়াম করুন। এক হাতে শেষ হলে অপর হাতের ব্যায়াম করুন একইভাবে।
*এবার এই চারটি আঙুল এমনভাবে ভাঁজ করুন, যেন আঙুলের মাথাগুলো তালুর মাঝামাঝি স্থান স্পর্শ করে এবং আঙুলগুলোর প্রতিটি জোড়া বা অস্থিসন্ধি ভাঁজ হয়ে থাকে। এরপর আঙুল ছড়িয়ে দিন। এভাবে ধীরে ধীরে ব্যায়ামটি করুন ১০ বার, এক হাত শেষে অন্য হাতে।
*বুড়ো আঙুল ভাঁজ করে তালুতে স্পর্শ করুন। এরপর আঙুল প্রসারিত করুন। ১০ বার করে দুই হাতেই এটা চর্চা করুন।
*ডান হাতের বুড়ো আঙুল স্থির রেখে অন্য আঙুলগুলো দিয়ে একে একে বুড়ো আঙুলটির মাথা স্পর্শ করুন। এভাবে দুবার ব্যায়ামটি করার পর একই নিয়মে বাম হাতের আঙুলগুলোর ব্যায়াম করুন।
*ডান হাতের আঙুলগুলোর চারপাশে একটি রাবার ব্যান্ড পেঁচিয়ে নিন। রাবার ব্যান্ডের অবস্থান হবে আঙুলগুলোর মাঝ বরাবর। এবার ধীরে ধীরে রাবার ব্যান্ডের টানের বিরুদ্ধে গিয়ে টান টান করুন হাতের আঙুলগুলো। ১০ বার এভাবে ব্যায়ামটি করতে হবে। এরপর একই নিয়মে বাম হাতের আঙুলের ব্যায়াম করুন।
Collected -

49
Pain / শীতে বাড়ে বাত রোগ?
« on: November 26, 2016, 05:52:40 PM »
শীতে কি বাত রোগ হয়, নাকি শীতের কারণেও বাত রোগ হয়? আসলে কোনোটিই ঠিক না, রোগীর ব্যথা শীতে বাড়ে। এটা কোনো রোগ নয়, এটা বিভিন্ন রোগের উপসর্গ মাত্র। গরমকালে বাতের ব্যথার তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। শীতকালে অনেক সময় জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে এবং জোড়া বা বাতের ব্যথা মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। বয়স্ক লোকজন, বিশেষ করে যারা প্রদাহ আর্থ্রাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ভুগছেন তাঁদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথা তীব্ররূপ ধারণ করে।
 কারা বেশি আক্রান্ত হয়
শীতকালে ঘাড়, কোমর ও হাঁটুর ব্যথা বেশি বাড়ে। সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব মহিলা ও পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষ বয়সজনিত শরীরের জয়েন্টের সমস্যা বা সন্ধিস্থলের ব্যথায় ভুগে থাকেন। আমাদের দেশে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী জনসংখ্যার শতকরা ৬৫ ভাগ লোক ব্যথাজনিত সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে যেসব সন্ধিস্থল শরীরের ওজন বহন করে এবং অতিরিক্ত ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ঘাড়, কোমর, কাঁধ বা শোল্ডার জয়েন্ট এবং হাঁটু ব্যথার রোগী সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
যে কারণে বাড়ে
শীতকালে স্বাভাবিক নড়াচড়া কম হয়। ফলে জোড়া জমে যায় এবং ব্যথার উদ্রেক করে। শীতের প্রকোপে শরীরের রক্তনালির খিঁচুনি ও সংকচিত হলে জোড়া, পেশি ও হাড়ে রক্ত চলাচল কমে যায় এবং ব্যথা বেড়ে যায়। শীতকালে স্নায়ুর সহ্যক্ষমতাও কম থাকে। এ কারণে ব্যথার অনুভূতি বেড়ে যায়।
যাক রণীয়
গরম কাপড় পরিধান করে শীত থেকে জোড়াকে রক্ষা করতে হবে। হালকা ব্যায়াম জোড়া ব্যথা উপশমে মোক্ষম ভূমিকা পালন করে। ব্যথা বেশি হলে ৭ দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেবেন। কুসুম গরম পানির সেঁক (ময়েস্ট হিট) আর্থ্রাইটিসের ব্যথার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক অবস্থায় (বসা, দাঁড়ানো) আক্রান্ত জোড়াকে বেশিক্ষণ রাখা যাবে না। ফোম ও জাজিমে না শুয়ে উঁচু শক্ত সমান বিছানায় শোবেন। বিছানায় শোয়া ও ওঠার সময় যেকোনো একদিকে কাত হয়ে হাতের ওপর ভর দিয়ে শোবেন ও উঠবেন।

গরম কাপড় পরিধান করে শীত থেকে জোড়াকে রক্ষা করতে হবে। হালকা ব্যায়াম জোড়া ব্যথা উপশমে মোক্ষম ভূমিকা পালন করে। ব্যথা বেশি হলে ৭ দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেবেন
মেরুদণ্ড ও ঘাড় নিচু করে কোনো কাজ করবেন না। নিচু জিনিস যেমন: পিঁড়ি, মোড়া বা ফ্লোরে না বসে চেয়ারে পিঠ সাপোর্ট দিয়ে মেরুদণ্ড সোজা করে বসবেন। মাথায় বা হাতে ভারী বোঝা নেওয়া যাবে না। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা কম করতে হবে। প্রয়োজনে হাতে স্টিক, পায়ে কুশনযুক্ত জুতা এবং গোড়ালি, হাঁটু, কোমর, ঘাড়, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে সাপোর্ট বা ব্রেচ ব্যবহার করতে হবে। রান্না করতে হলে দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসে রান্না করুন। হিলযুক্ত জুতা ব্যবহার করবেন না, তার বদলে নরম জুতা বেছে নিন। ব্যথা তীব্র হলে টয়লেটে উঁচু কমোড ব্যবহারের চেষ্টা করুন। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের অন্যান্য ওষুধ খেতে হবে। শীতকালে উপযুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল ব্যথা নিরাময়ে খুবই উপকারী।
Collected ---

50
Children / শীতের শুরুতে শিশুর যত্ন
« on: November 26, 2016, 04:32:08 PM »
শীত কড়া নাড়ছে দরজায়, কিন্তু দিনের বেলায় গরমের দাপট। এই মিশ্র আবহাওয়ায় সোনামণিরা ঠিক মানিয়ে নিতে পারছে না, হয়ে পড়ছে অসুস্থ। তাই এ সময় প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। সর্দি-কাশি এখনকার নিত্যসঙ্গী। ভাইরাস এর প্রধান কারণ হলেও ধুলাবালিও কম দায়ী নয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতাও কম। তাই যাদের ধুলাবালিতে অ্যালার্জি, তারা বাইরে গেলে মাস্ক পরা উচিত। ঠান্ডা পানি ও আইসক্রিম এ সময় একদম নয়। তবে কাশির ভয়ে বাচ্চাদের গোসল থেকে বিরত রাখবেন না। হালকা গরম পানিতে এক দিন পরপর গোসল করান। গোসলে ধুলা-ময়লার সঙ্গে জীবাণুও দূর হয়।
এই সময়টায় সোয়েটার পরানোর মতো শীত না পড়লেও রাতে বের হলে ফুলহাতা জামা পরানো উচিত। রাতে ফ্যানের গতি কমিয়ে দিন আর শিশুর গায়ে পাতলা চাদর দিন। বেশির ভাগ সময় ওরা গায়ে চাদর বা কাঁথা রাখতে চায় না, কিন্তু এ সময় রাতের শেষের দিকে তাপমাত্রা কমে যায়। তাতে সর্দি-কাশি হতে পারে। শিশুর ত্বকের দিকেও খেয়াল রাখুন। শুষ্কতা থেকে রক্ষা পেতে শরীরে লোশন বা তেল আর ঠোঁটে ভেসলিনের ব্যবহার এখন থেকেই শুরু করা উচিত।
এ সময় অনেক শিশুরই জ্বর হচ্ছে। সর্দি-কাশির মতো এই জ্বরও ভাইরাসজনিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বরের ওষুধ, প্রচুর পানি বা তরল এবং পুষ্টিকর খাবার খেলে পাঁচ থেকে সাত দিনেই এই জ্বর ভালো হয়ে যায়। তবে জ্বর দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে কিংবা পেটে ব্যথা, খিঁচুনি অথবা অন্যান্য জটিলতা দেখে দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Collected

51
পেটে ব্যথা, অস্বস্তি হলেই আমাদের প্রথম মনে হয়, নিশ্চয়ই পেটে গ্যাস হয়েছে। বেশির ভাগ সময় গ্যাস্ট্রিক ধরে নিয়ে অ্যান্টাসিড বা ওমিপ্রাজলের মতো ওষুধ সঙ্গে সঙ্গে খেয়েও ফেলি কেউ কেউ।
দুটো বিষয় লক্ষ করা উচিত। প্রথমত, পেটব্যথা মানেই গ্যাসের ব্যথা নয়। দ্বিতীয়ত, দিনের পর দিন না বুঝে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ মুড়ি-মুড়কির মতো খাওয়াটা ঠিক নয়।
পেটের ওপরের দিকে ব্যথা হলে তা পেপটিক বা গ্যাস্ট্রিক আলসার ছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে। যেমন: নন-আলসার ডিসপেপশিয়া হলে পেটে অস্বস্তি, পেট ভার, বুকজ্বালা, বমি ভাব হতে পারে। পিত্তথলিতে পাথর থাকলেও এ ধরনের উপসর্গ হতে পারে। এমনকি কখনো কখনো হৃদ্রোগেও বুকে ব্যথা না হয়ে পেটের ওপরের দিকে ব্যথা হয় এবং রোগীকে ভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। যকৃৎ বা অগ্ন্যাশয়ের কোনো রোগে পেটের উপরিভাগে ব্যথা হতে পারে। মানসিক টানাপোড়েনেও কিন্তু পেটব্যথা বা জ্বালা করে।
আইবিএস বা ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোমে পেটের যেকোনো ব্যথার সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য বা বেশি বেশি পায়খানা হয়। দিনের প্রথমার্ধে বা সকালেই ব্যথা বেশি থাকে, বারবার টয়লেটে যেতে হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে তেমন কিছু পাওয়া যায় না। পেপটিক আলসার পাকস্থলীতে হলে খাওয়ার পরে বাড়ে। পিত্তথলির ব্যথাও খাওয়ার পরে, বিশেষ করে ভারী খাবার খেলে বাড়ে। কিন্তু অন্ত্রের আলসার বা ডিওডেনাল আলসার খালি পেটেই বেশি হয়। পেটব্যথার সঙ্গে অরুচি এবং ওজন কমে গেলে পাকস্থলী বা অন্ত্রে ক্যানসার আছে কি না সন্দেহ করা উচিত। হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের রোগজীবাণু পাকস্থলীতে প্রদাহ সৃষ্টি করলে পেটব্যথা হয়। এ ধরনের ব্যথায় এন্ডোসকপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি সংক্রমণে ওষুধের কোর্স শেষ করতে হয়।
পেটব্যথার কারণ না জেনে-বুঝে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে থাকলে পাকস্থলীর পিএইচ বা রাসায়নিক পরিবেশ বিনষ্ট হতে পারে। নানা ধরনের ভিটামিন খনিজ শোষণে সমস্যা হতে পারে এবং সে কারণে ভিটামিনশূন্যতা ও রক্তশূন্যতা হতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, এসব ওষুধ দীর্ঘ মেয়াদে খেলে অস্টিওপোরোসিস, কিডনির ক্ষতি ইত্যাদি হতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দিনের পর দিন খেলে অনেক সময় উপসর্গ রহিত হয় এবং জটিল কোনো রোগ, যেমন ক্যানসার বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা সহজে ধরা পড়ে না।
তাই মাঝেমধ্যেই পেটব্যথা, অস্বস্তি হলে চট করে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি অরুচি, ওজন হ্রাস, রক্তশূন্যতা, কোষ্ঠ অভ্যাসের আকস্মিক পরিবর্তন থাকলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Collected-

52
Food Habit / মধু কেন খাবেন
« on: November 26, 2016, 04:19:59 PM »
মধুর গুণ অনেক। কেউ কেউ বলেন, এটি সর্বরোগের মহৌষধ। চলুন জেনে নিই, মধুতে কী কী উপাদান আছে। ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মাল্টোজ। এর সবগুলোই শর্করা। এ ছাড়া আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ ও এনজাইম।
১০০ গ্রাম মধুতে ২৮৮ ক্যালরি পাওয়া যায়। মধুতে বিদ্যমান শর্করা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে। তাই এটি রেডি এনার্জি হিসেবে কাজ করে। আধা গ্লাস হালকা গরম লেবুপানিতে এক চা-চামচ মধু ভোরবেলায় খালি পেটে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। রক্তস্বল্পতায় মধু বেশ কার্যকর ওষুধ। কেননা, এতে কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও আয়রন রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এটা প্রমাণিত যে দেহের ক্ষত নিরাময়ে মধু চমৎকার কাজ করে। এটি জীবাণুনাশক ও ব্যথা প্রশমক। তাই অনেক সময় শল্যচিকিৎসায় মধু ড্রেসিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ সর্দি-কাশি ও ফ্যারিনজাইটিসে মধু উপকারী।
মধুমিশ্রিত পানি দিয়ে কুলি করলে মাড়ির প্রদাহ কমে। এ ছাড়া দাঁতের ক্ষয় রোধ হয়। হজমের গোলমালেও মধুর উপকারিতা আছে। এটি পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ কমায় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা দূর হয়। মধু বিপাকজনিত তাপ উৎপাদন বাড়ায় বলে শীতকালে দেহের উষ্ণতা বাড়ায়।
তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে মধু। তাই তাঁরা সরাসরি মধু না খেলেই ভালো হয়। এ ছাড়া ওজন কমানোর বেলায় মধুরকোনো ভূমিকা নেই। নবজাতকের মুখে মধু দেওয়ার যে রীতি চালু আছে, তা-ও বিপজ্জনক। কারণ নবজাতককে বুকের দুধ ছাড়া কিছু দেওয়া যাবে না।
Collected-

53
Food Habit / ফিট থাকতে বিট
« on: November 26, 2016, 04:08:27 PM »
শরীর ফিট বা ঠিক রাখতে চাইলে খাদ্যতালিকায় বিট রাখতে পারেন। যাঁরা এই শীতের মৌসুমেও সতেজ ত্বক চান, তাঁদের জন্য সেরা শীতের সবজি এই বিট। শরীরে ক্ষতিকর উপাদান বা বিষমুক্ত করার বিশেষ উপাদান আছে বিটে।

বিট পছন্দ করুন বা না করুন এর পুষ্টিগুণ কিন্তু অনেক। দেখে নিন কী আছে বিটে:
বিটে আছে পুষ্টি: বিটে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি৬, এ, সি, নাইট্রেট আছে। শরীরকে সুস্থ রাখার নানা উপাদান থাকায় শীতের সবজি হিসেবে বিট খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

ত্বকের সুরক্ষায়: ত্বকের সুরক্ষার জন্য নানা উপাদান আছে বিটে। ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে নিয়মিত বিট খেতে পারেন। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত ও ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি, তাঁরা বেশি করে বিট খাবেন। এতে প্রদাহবিরোধী উপাদান থাকায় বিটের জুস নিয়মিত খেলে মুখে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।

শরীরকে বিষমুক্ত করে: শরীরকে বিষমুক্ত করার উপাদান আছে বিটে। নিয়মিত বিটের জুস খেলে শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা বিষাক্ত উপাদান দূর হয়ে শরীর পরিষ্কার হয়, ত্বক সুন্দর হয়। সবচেয়ে ভালো ফল পেতে প্রতিদিন সকালে সতেজ বিটের জুস খেতে হবে।


নানা পদের খাবার: বিট কিন্তু নানাভাবে খাওয়া যায়। জুস ছাড়াও সালাদ ও সুপ হিসেবে, এমনকি রান্না করেও খাওয়া যায়।


শরীর আর্দ্র রাখে: শীতের সময় ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। শীতের এই শুষ্কতা দূর করতে শুধু বাইরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলেই হবে না; ভেতর থেকে শরীরকে আর্দ্র করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর ফল ও শাকসবজি খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। শরীর আর্দ্র রাখতে পারে বিট।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াটাইমস।


54
জাভা

কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য হিসাবরক্ষণের সফটওয়্যার তৈরি করতে হলে সেই অফিসের কর্মী, আসবাব, নথি, ক্রেতা বা ভোক্তার তালিকা, আয়-ব্যয়—সব কিছুর তথ্য সঠিকভাবে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সফটওয়্যার নির্মাতাকে কিউ, উইন্ডো, চেক বক্স ইত্যাদি তৈরি করতে হয়। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের ভাষায় এগুলোকে ‘অবজেক্ট’ বলে। প্রোগ্রামিংয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অবজেক্ট নির্ধারণ। অবজেক্ট নির্ধারণ সঠিক না হলে সফটওয়্যার বা অ্যাপলিকেশন শতভাগ কার্যকর হবে না। এসব তৈরিতে সবচেয়ে কার্যকর প্রোগ্রামিং ভাষা ‘জাভা’। কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভাষায় তাই জাভাকে ‘অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড’ ভাষা বলা হয়।

সিলিকন ভ্যালির সান মাইক্রোসিস্টেম নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে জাভা তৈরি করে। নিরাপত্তা ও ওয়েবের অন্যান্য প্রযুক্তির (টুল) সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুবিধার জন্য দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় ভাষাটি। মোবাইলে বহুল ব্যবহৃত অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপলিকেশন তৈরিতে জাভার বিকল্প নেই। ব্যবসায়িক বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরিতেও জাভা কাজে লাগে। দেশ-বিদেশে চাকরির বাজারে জাভা প্রোগ্রামারদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় অ্যাপ তৈরিতে জাভার ব্যবহার বাড়ছে।

প্রশিক্ষণকেন্দ্রের পাশাপাশি ঘরে বসে অনলাইনেও জাভা শেখা যায়। বাংলা ভাষায় লেখা জাভা নিয়ে নির্দেশিকা পাওয়া যাবে http://java.howtocode.com.bd/- এ। https://goo.gl/lYeukx এবং https://goo.gl/l3r890- এ পাওয়া যাবে বাংলা ভাষায় তৈরি ভিডিও টিউটরিয়াল।

ইংরেজিতে হলেও https://goo.gl/Szxvw7 এবং https://goo.gl/gzDjwO সাইট দুটি জাভা শিখতে কাজে আসবে।

সি

‘সি’ দিয়ে তৈরি প্রোগ্রাম যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে চালানো যায়। এই সুবিধার জন্য সি বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা। বিভিন্ন ডেস্কটপ সফটওয়্যার ও ভিডিও গেইম সি দিয়ে তৈরি। অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরিতেও সি ব্যবহার করা হয়।

ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমে কোড লেখা সহজ করতে সত্তরের দশকে ভাষাটি তৈরি হয়।

দেশের জনপ্রিয় প্রোগ্রামিংবিষয়ক লেখক তামিম শাহরিয়ারের সি নিয়ে লেখা নির্দেশিকা পাওয়া যাবে http://cpbook.subeen.com/-এ। http://goo.gl/ICm4tp-এ গিয়ে বাংলায় ভিডিও টিউটরিয়াল দেখেও প্রোগ্রামটি শেখা যাবে। সি নিয়ে মানসম্পন্ন নির্দেশিকা আছে http://www.cprogramming.com/ এবং https://goo.gl/Y5gcBg সাইটেও।

পাইথন

লিনাক্স, ম্যাক ওএসএক্স ও উইন্ডোজ—তিন ধরনের অপারেটিং সিস্টেমেই পাইথন চলে। প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক বিষয় জানা না থাকলে পাইথন শেখা কষ্টসাধ্য। সি বা জাভার মতো কমপক্ষে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কে ধারণা থাকলে ‘পাইথন’ শেখা সহজ হবে।

১৯৯১ সালে বাজারে আসে প্রোগ্রামটি। কোর সিকিউরিটি টুল এবং ওয়েব অ্যাপলিকেশনের ক্ষেত্রে উচ্চমানের তথ্য নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকায় ইউটিউব, বিটটরেন্ট, গুগল ও নাসার বিভিন্ন প্রকল্পে পাইথন ব্যবহার করা হয়েছে।

https://goo.gl/bgsK2 সাইটে গল্পের ছলে পাইথন শেখা যাবে। https://goo.gl/p1OcdZ-এ রয়েছে পাইথন নিয়ে ভিডিও লেকচার। https://goo.gl/O7mVr3 ব্লগে ইংরেজিতে পাইথন নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশিকা পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে পাইথন প্রোগ্রামারদের ফেইসবুক গ্রুপ https://www.facebook.com/groups/pythonbd/

পিএইচপি

প্রোগ্রামটি তৈরি হয় ১৯৯৫ সালে। ওয়েবসাইট তৈরিতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে পিএইপি। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০ লাখের বেশি ওয়েবসাইট ও ১০ লাখ ওয়েব সার্ভারে পিএইচপি ব্যবহৃত হচ্ছে। বেশির ভাগ অপারেটিং সিস্টেমে প্রোগ্রামটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। নতুনদের জন্য https://goo.gl/nPRad8 সাইটে পিএইচপি নিয়ে বাংলা ভাষায় টিউটরিয়াল রয়েছে। ইংরেজি ভাষায় পিএইচপি শিখতে https://goo.gl/LOc2cv এবং https://goo.gl/e3K3zY বেশ সহায়ক।

ভিজ্যুয়াল বেসিক

পুরনো প্রোগ্রামিং ভাষা ‘বেসিক’-এর উন্নত সংস্করণ হিসেবে ১৯৯১ সালে ‘ভিজ্যুয়াল বেসিক’ বাজারে আনে মাইক্রোসফট। কম্পিউটারের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ভাষা এটি। পুরনো হলেও এখনো ভাষাটির বেশ কদর আছে। গ্রাফিকসের ব্যবহার আছে এমন ইন্টারফেস ও তথ্যভাণ্ডার (ডাটা বেইস) তৈরিতে এই ভাষার ব্যবহার বেশি।

ভিজ্যুয়াল বেসিক নিয়ে ভিডিও টিউটরিয়াল পাওয়া যাবে https://goo.gl/QFMnYP-এ। https://goo.gl/I88UqH-এও পাওয়া যাবে কিছু কার্যকর নির্দেশিকা।

জাভা স্ক্রিপ্ট

নামে জাভার কাছাকাছি হলেও জাভা স্ক্রিপ্ট সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের ভাষা। মূলত ওয়েবনির্ভর অ্যাপলিকেশন তৈরিতে জাভা স্ক্রিপ্ট ব্যবহৃত হয়।

জাভা স্ক্রিপ্টের সাহায্যে ওয়েবসাইটকে আরো সুন্দর করে তোলা যায়। বাংলায় এর টিউটরিয়াল রয়েছে https://goo.gl/fUD3Ub ঠিকানায়। পাশাপাশি https://goo.gl/fXASxF-এও জাভা স্ক্রিপ্ট নিয়ে ধারাবাহিক নির্দেশিকা পাওয়া যাবে।

আর

উন্মুক্ত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা ‘আর’। পরিসংখ্যানবিষয়ক অ্যাপলিকেশন তৈরিতে প্রোগ্রামটির ব্যবহার বেশি। গ্রাফিক্যাল প্রোগ্রামেও এর ব্যবহার আছে।

https://goo.gl/KZH3BK এবং https://goo.gl/cVol9R-এ গিয়ে ভিডিও টিউটরিয়াল দেখে শেখা যাবে ভাষাটি।

বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামটি শেখা যাবে https://goo.gl/oFYaa3-এ গিয়ে।

গো

‘গো’ গুগলের তৈরি প্রোগ্রামিং ভাষা। পাইথনের সঙ্গে এই ভাষার সামঞ্জস্য আছে।

https://goo.gl/CiNX0n-এ গিয়ে ভাষাটি শেখা যাবে। বাংলা ভাষায় গো শেখা যাবে https://goo.gl/hGOQTV ঠিকানায়।

রুবি

‘রুবি’ ব্যবহার করে ডেস্কটপ ও ওয়েব অ্যাপ তৈরি করা যায়। এই ভাষার কোড নিয়ন্ত্রণ সহজ। কোন কোড কী উদ্দেশ্যে লেখা তা অল্পতেই বোঝা যায়।

রুবি শিখতে বিনা মূল্যের টিউটরিয়াল মিলবে https://goo.gl/nXZJFQ ঠিকানায়। http://ruby-for-beginners.rubymonstas.org/-এ গিয়ে নতুনরা ধারাবাহিকভাবে শিখতে পারবেন ভাষাটি।

সুইফট

অ্যাপলের প্রোগ্রামিং ভাষা ‘সুইফট’। সির চেয়েও দ্রুত কাজ করে ভাষাটি। সুইফটে কোড লেখার সঙ্গে সঙ্গে তার ফলাফল দেখতে পারবেন প্রোগ্রামার। https://goo.gl/lzkLsr-এ গিয়ে সুইফট শেখা যাবে বিনা মূল্যে। https://goo.gl/QAyYb4-এ গিয়ে ভিডিও দেখে সুইফট শেখাও নতুনদের জন্য সহায়ক হবে।

অবজেক্টিভ সি

এটি মূলত ম্যাক ওএসএক্স এবং আইফোন ওএসে ব্যবহৃত হয়। বাংলায় শেখা যাবে https://goo.gl/tyGvHA থেকে।

ম্যাটল্যাব

প্রকৌশল ও বৈজ্ঞানিক নানা ক্ষেত্রে গাণিতিক হিসাব করার সফটওয়্যার ম্যাটল্যাব। মূলত ম্যাট্রিক্সের হিসাব-নিকাশ করার টুল ও কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।

বাংলা ভাষায় https://goo.gl/hG2V86-

এ গিয়ে ম্যাটল্যাবের টিউটরিয়াল পাওয়া যাবে বিনা মূল্যে।এ ছাড়া গ্রেবি, অ্যাসেমবলি, জে, প্যাসকেল ও ভাষার প্রোগ্রামারদের চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে।

55
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দীপ্তি) দেশের আর্থ–সামাজিক উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন খাতের উপর ২০০৪ সাল থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার অনেক বেশি হওয়ায় এই বিষয়ের উপরেও দীপ্তির রয়েছে প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ। বর্তমানে এই বিষয়সংশ্লিষ্ট প্রফেশনাল কোর্সগুলোতে বছরে ৪টি সেশনে (মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর, ডিসেম্বর ) এবং ৩টি শিফটে (সকাল/বিকাল/সান্ধ্যকালীন) ভর্তি করা হয়। এসব কোর্সের মধ্যে রয়েছে ডিপ্লোমা ইন আর্কিটেকচারাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন, ডিপ্লোমা ইন থ্রিডি অ্যানিমেশন অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল এফ/এক্স এবং ডিপ্লোমা ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন। ০১৭১৩৪৯৩২৩৩, ৯১০৪৪৬০ নম্বরে ফোন করে এসব কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে নতুন নতুন সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ রয়েছে প্রায় ৬০০টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এবং অসংখ্য মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন হাউজ। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্যই প্রয়োজন আর্কিটেকচারাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন, অ্যানিমেশন ও ইন্টেরিয়র ডিজাইন জানা প্রচুর দক্ষ জনবল। তাই এসব কোর্স চালু করেছে দীপ্তি। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে ৩–৬ মাস মেয়াদি থ্রিডি ম্যাক্স, মায়া, মাল্টিমিডিয়া, ম্যাক্রোমিডিয়া ফ্ল্যাশ, ভিডিও এডিটিং, অটোক্যাড, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনের উপর সার্টিফিকেট কোর্স। কোর্সগুলি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারিক ক্লাসভিত্তিক যা সার্টিফায়েড প্রফেশনাল প্রশিক্ষকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। কোর্স শেষে রয়েছে বাধ্যতামূলক বাস্তব কাজের প্রজেক্ট ওয়ার্ক এবং ১ থেকে ৩ মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপ। দীপ্তি পরিচালিত কোর্সে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে মেয়েদের জন্য ২৫% ছাড়। ন্যূনতম এসএসসি উত্তীর্ণ যে কেউ এই কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে পারবে।

56
তথ্য প্রযুক্তি বা আইটি বিষয়ে পড়ার পরিকল্পনা অনেকেরই। এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছে নতুন স্বপ্ন, নতুন সম্ভাবনা। সময়টা এখন প্রযুক্তির। প্রযুক্তি এখন জীবনের প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির ওপর ভর করে। প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা মানেই পিছিয়ে পড়া। প্রযুক্তির বিশ্ব বাস্তবতায় তাই অনেকেই আইটি শিক্ষায় উত্সাহিত হচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে নিত্যনতুন বিষয় যোগ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থায়। শিক্ষার্থীদের সামনে পেশাজীবনে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনা। তরুণরা খুঁজে পাচ্ছেন নতুন দিকনির্দেশনা। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তি এখন সবচেয়ে যুগোপযোগি।

প্রতিটি ভালো ছাত্রের স্বপ্ন হচ্ছে বিদেশে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানিসহ ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন। তবে স্বপ্ন পূরনের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে বিপুল খরচ যা আমাদের দেশের তুলনায় প্রায় দশগুন। তাই ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও সকলের পক্ষে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা সম্ভব হয় না। একদিকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের প্রবল আকাঙ্ক্ষা অন্যদিকে আর্থিক অস্বচ্ছলতা, এই বাস্তবতাকে উপলদ্ধি করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের লক্ষ্যে একটি সহজ সুযোগ সৃষ্টি করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি (www.daffodil.ac)। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় বৃটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে ফাইনাল পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র পরীক্ষিত হয় যুক্তরাজ্যে। এর যাবতীয় ক্লাশ অনুষ্ঠিত হয় ডিআইএতে। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্তরাজ্যের গ্রীনিচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিএসসি অনার্স ইন বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের সহস্রাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে।

ইতোমধ্যে ডিআইএ হতে ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ক্রেডিট ট্রান্সফার করে যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে এবং অনেকেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।  ডিআইএ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ, অভিজ্ঞ শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ ফলাফল ও অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তরাজ্যের এনসিসি এডুকেশন কর্তৃক বেস্ট পার্টনার ও একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে যা দেশের জন্য একটি বিরল সম্মান। পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রের জন্য রয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইউনিভার্সিটি অব গ্রীনিচ ও এনসিসি এডুকেশন, ইউকে। যেকোনো গ্রুপে এইচএসসি বা এ লেভেল অথবা সমমান পাশ। তাছাড়াও ৪ বছর মেয়াদি কম্পিউটার ডিপ্লোমাধারীরা দুই বছরে বিএসসি (অনার্স) ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি প্রোগ্রামটি সম্পন্ন করতে পারবে। এ বিষয়ে আরও জানতে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭১৩৪৯৩১৬৩ নম্বরে।

যুক্তরাজ্যে একই প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে যেখানে ৮০-৯০ লাখ টাকা খরচ, সেখানে বাংলাদেশে একই প্রোগ্রাম মাত্র ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়, যা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। পাশকৃত গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের হার শতভাগ। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষার্থীও বেকার নেই। ডিআইআইটির শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠানে এবং বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারী, বেসরকারী ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে কর্মরত আছে। ডিআইএ’র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচালিত সফটওয়্যার ফার্মে কাজ করার বিশেষ সুযোগের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। ডিআইএ’তে রয়েছে কয়েক হাজার বই সম্বলিত আধুনিক লাইব্রেরী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ওয়াইফাই ক্যাম্পাস জোন ব্যবহারের সুবিধা। মেধাবী ও অসচ্ছলদের জন্য রয়েছে ১০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুবিধা। এখানে বছরে ৪টি সেশনে চাকরিজীবীরা সান্ধ্যকালীন শিফটে অংশগ্রহণ করতে পারে।

57
আইসিটি বা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপশি নারীরাও সমান তালে এগিয়ে চলেছেন। কিছু দিন আগেও এ খাতের শিক্ষা, সেবা ও ব্যবসায় যারা নিয়োজিত ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। ধীরে ধীরে চিত্র পাল্টেছে। বাংতথ্যপ্রযুক্তিলাদেশের নারীরা এগিয়ে এসেছেন তথ্য প্রযুক্তিতে।

পোশাক শিল্প, ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষকতা, গবেষণা, ব্যাংকিংসহ অন্যান্য খাতে নারীর পদচারণা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের মাত্র শতকরা ৪ ভাগ তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত। এ খাতে নারীর অংশগ্রহণ কম হলেও যোগ্যতায় পিছিয়ে নেই। তবে এখনও পর্যন্ত বেসরকারি খাতে নারীদের অংশগ্রহন বেশী। কম্পিউটার কৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলের মতো বিষয়গুলো নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।

আইসিটি খাতে নারীদের সম্ভাবনা যথেষ্ট। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশে এ সুযোগের সম্ভাবনা আরও বেশি। কারণ অর্থনীতিতে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা দেশের নারীরা আইসিটি খাতের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন এবং এ খাতেই কর্মজীবন ও পেশাজীবন গড়ার কথা ভাবছেন। বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৪, এবারের সেরা নারী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সম্মাননা পেলেন সুলতানা পারভীন, সায়মা মুহিব ও মাহফুজা সেলিম। তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের কাজের স্বীকৃতি দিতে সম্প্রতি চতুর্থবারের মতো সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসেস (বেসিস)। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা পর্যায়ে ও নারী বিভাগে দেয়া হয়েছে মোট ১০০টি আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড।

দুনিয়ার প্রায় সব দেশেই কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে প্রচুর কর্মসংস্থান। পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোতেও উচ্চ প্রযুক্তির দক্ষ কর্মীর যথেষ্ট অভাব। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার হিসাবেও দেখা গেছে, দিন দিন বিশ্বে আইসিটির বাজার বেড়েই যাচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ। নারীরা বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারে মোটেই পিছিয়ে নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৬ থেকে ৫৪ বছর বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নারী ও পুরুষদের সংখ্যা প্রায় সমান। কাজেই আইসিটি খাতে ওয়েবভিত্তিক অনেক কাজ আছে যেগুলো ঘরে বসেই করা যায়। যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে নেই, তাই এ ধরনের কাজ করার সুযোগ নারীদেরই বেশি।

তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো ও নারী সচেতনতার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপও নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মহিলা সংস্থা ‘জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল ১৫ হাজার শিক্ষিত মহিলাদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থান এবং যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্প ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ে বাস্তবায়িত হয়েছে।
জাতীয় মহিলা সংস্থার একটি প্রকল্প ‘তথ্য আপা’। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প এটি। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য- নারীর ক্ষমতায়নে তাকে তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করা। তথ্য ও জ্ঞানের রাজ্যে নারীর সহজ প্রবেশ নিশ্চিত করবে তথ্যপ্রযুক্তির হালনাগাদ ব্যবহার। প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য একটি ডিজিটাল তথ্যভান্ডার সৃষ্টি, যেখানে সবস্তরের নারীর প্রবেশ ও তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত হবে।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আইসিটিতে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কাজ করেছে ডিনেট। এ প্রতিষ্ঠানটির তথ্যকল্যাণী বা ইনফোলেডি প্রকল্প ব্যাপক সাড়াও ফেলেছে। সাইকেল চালিয়ে একজন তরুণী মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। সঙ্গে ল্যাপটপ বা নেটবুক। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তিনি কখনও স্বাস্থ্য সেবা দেন, আবার কখনও গ্রামের মেয়েদের বা স্কুলের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের কম্পিউটার ব্যবহার শেখান। এদের নাম ‘ইনফো-লেডি’ বা ‘তথ্যকল্যাণী’। তথ্যকল্যাণীরা তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবাকে নিয়ে যাচ্ছেন সরাসরি গ্রামীণ জনগণের দরজায়।

নানা বাধা পেরিয়েও দেশের আইসিটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা নারীর সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিয়োজিত নারীরা নিজেদের অবস্থা সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তুলছেন। বাংলাদেশেও গড়ে উঠছে এমন সংগঠন। তেমন একটি সংস্থা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি’। সংগঠনটির নারীরা কোন না কোনভাবে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে পেশাগতভাবে জড়িত নারীদের এখন পর্যন্ত প্রধান সংগঠন এটি। সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য আইটি খাতের সঙ্গে জড়িত নারীদের একত্রিত করে তাদের পরিচিতির ব্যবস্থা করা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করা। সংগঠনটি তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে এবং এই শিল্পে উদ্যোগী হতে উৎসাহিত করে থাকে। নারী উদ্যোক্তা এবং পেশাজীবীদের আইসিটিতে সাফল্য অর্জনের জন্য নেতৃত্ব গুণাবলীসহ অন্যান্য দক্ষতা বাড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টাও করা হয় এই সংগঠনটির পক্ষ থেকে। কাজেই যে নারীরা বাংলাদেশের আইসিটি খাতের সঙ্গে যুক্ত তারা খুব সহজেই এর সদস্য হতে পারেন।

এই খাতে নারীদের অংশগ্রহন আরো বৃদ্ধি করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোতেই পুরুষের সমানতালে নারীরা সুযোগ গ্রহন করতে পারছে না। এ লক্ষ্যে সরকার কিংবা বিভিন্ন এনজিও এবং নারী উন্নয়ন সংস্থার অবদান রাখা জরুরি। তারা তথ্য প্রযুক্তি খাতে নারীদেরকে পুরুষের পাশাপাশি এগিয়ে আসার জন্য কাজ কৌশলগত সহযোগিতা দিতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অল্প শিক্ষিত নারীরা স্বল্প কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব সাইট ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন কাজে সাফল্য আনছে।

নারীর পূর্ণ ক্ষমতায়ন প্রযুক্তি জ্ঞান ছাড়া সম্ভব হবে না। এর জন্য আইসিটি খাতে নারীদেরকে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে আইন করে হলেও আইসিটিতে নারীদের এগিয়ে আসা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এই বিশাল জন শক্তিকে প্রযুক্তির জ্ঞানে জ্ঞানী করতে পারলে তারা আমাদের বোঝা হবে না, তারা হবে দেশের সম্পদ। আমাদের দেশে অনেক নারী ঘর থেকে বের হতে চায় না। তারা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ পেলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের ঘরে বসে আউট সোর্সিং ও ফ্রিলানসিং কওে বৈদেশিক মুদ্রাসহ বিপুল অর্থ আয় করতে পারবে। স্বল্প শিক্ষিত নারীদের সামান্য প্রশিক্ষণ দিতে পারলে ভালো একটি সফলতা পাওয়া যাবে।

আমাদের দেশে গ্রামগঞ্জের পিছিয়ে পড়া অল্প শিক্ষিত নারীদের আইসিটি খাতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের হাতকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে আগামীতে আমাদের অর্থনীতিতে জাতীয় উন্নয়নে নারীর সাফল্য পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাবে। জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির বাড়বে। নারীদের উন্নয়ন করতে হলে এখনই আইসিটি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নারীদের বাদ দিয়ে আইসিটি খাতে উন্নয়ন আনা যাবে না। আর বর্তমানে যুগে আইসিটি খাতের উন্নয়ন ছাড়া পৃথিবীর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লাদিয়ে পিছিয়ে পরবে।

আইসিটি খাতে একজন নারী যদি তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেন তবে সামাজিক ধ্যান-ধারণা, ধর্মীয় গোড়ামি অনেকাংশে কমে আসবে। ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হলে তথ্য প্রযুক্তি খাতে নারীর অংশ গ্রহণ জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য প্রযুক্তি খাতে অনেক পরিবর্তন ঘটছে। তরুণ সমাজ এখন সামজিক সাইটের মাধ্যমে তথ্যের আদান প্রদান করছে। তবে এত কিছুর পরেও এখানে একটি ‘জেন্ডার ডিভাইড’ রয়ে গেছে। এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হলে গ্রাম গঞ্জের আইসিটি খাতে নারীদেরকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় উদ্যোগ সরকারের নিতে হবে।

58
যে কোন অফিসের রিসিপশন রুম থাকে দরজা খোলার পর একেবারে প্রথমে। সব অফিসই তাদের স্পটে রুচি অনুযায়ী অভ্যর্থনা কক্ষ সাজিয়ে থাকে। তবে প্রথমদিকে এই অভ্যর্থনা কক্ষে পুরুষকর্মী থাকলেও বর্তমানে প্রায় অফিসেই রিসিপশনিস্ট হিসেবে মেয়েদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এই কক্ষে সাধারণত বসার বাড়তি জায়গা থাকে। চেয়ার, সোফা এবং প্রাতিষ্ঠানিক কিছু পরিচয়সহ পত্রপত্রিকা থাকে। রিসিপশনিস্টের টেবিলে থাকে পুরো অফিসের টেলিফোন সংযোগ। অন্যদিকে প্রাথমিক ফোনও রিসিপশনিস্ট গ্রহণ করে থাকেন। প্রায় সব বড় অফিসের রিসিপশনেই থাকে কম্পিউটার। যে কারণে সাধারণ অভ্যর্থনায় টেলিফোন অপারেটর ছাড়াও বেশ কিছু কম্পিউটার বেজড কাজ করতে হয়। পক্ষান্তরে রিসিপশনে থাকে একাধিক কর্মী এবং তাদের কার্যকলাপ। এখানে কে আসে সেটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বসানো থাকে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রথমদিকে স্বল্পশিক্ষিত কর্মীদের রিসিপশনে চাকরি দেয়া হলেও বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিতদের এ পেশায় নিয়োগ দেয়া হয়। কেননা, কাস্টমার কেয়ারের প্রাথমিক অনেক বিষয়ও তাকে নির্বাহ করতে হয়। যে কারণে অন্যান্য বহু দায়িত্ব পালন করার জন্য উচ্চ শিক্ষিত ম্যান পাওয়ারের প্রয়োজন পড়ছে।

রিসিপশনিস্ট হতে হলে শিক্ষা ছাড়াও সুন্দর বাচনভঙ্গি ও দেখতে সুন্দর হওয়া আবশ্যক। ব্যবহারে মার্জিত এবং আচরণে বিনয়ী হওয়া উচিত। এছাড়া ধৈর্যশীল এবং কথা বলার ক্ষেত্রে অফিসিয়াল ও পরিচিত হওয়া আবশ্যক। সাধরণত, ছোট অফিসগুলোর রিসিপশনিস্ট এসএসসি বা এইচএসসি পাস হয়ে থাকে। কিন্তু একটু বড় ও কর্পোরেট  অফিসগুলোয় এখন গ্রাজুয়েট ও মাস্টার্স পাস কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। কারো কথায় বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না। রিসিপশনে বসে উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না, অতিরিক্ত কথা বলা যাবে না। অফিসে আগতদের অহেতুক দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না এবং ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না। অফিসের কোন নির্বাহী বা আগন্তুক অপ্রস্তুত হয় এমন কথা বলা যাবে না। কোন বিষয়ে তথ্য জানা না থাকলে সরাসরি না বলে সরি বলে তা পরে জানানোর কথা বলতে হবে। কারও সঙ্গে  দেখা করতে এলে তার অনুমতি ছাড়া কোনোভাবেই আগন্তুককে যেতে দেয়া যাবে না। অফিসের কারও সম্পর্কে সমালোচনা করা যাবে না। সর্বোপরি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না।

রিসিপশনিস্টদের বেতন যথেষ্ট ভালো। একেবারে ছোট প্রতিষ্ঠানেও একজন রিসিপশনিস্ট ৭/৮ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে বড় প্রতিষ্ঠানে রিসিপশনিস্টদের বেতন হয় ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। যদিও রিসিপশনিস্ট হওয়ার জন্য কোনো পৃথক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তবে এ জন্য শুদ্ধভাবে কথা বলা, সুন্দর বাচনভঙ্গি, টেলিফোন অপারেটিং এবং অফিসিয়াল কথা বলার জ্ঞান অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকাটাও জরুরি। কারণ এ পেশার অন্যতম গুণ সুন্দর ব্যবহার।

59
Food Habit / কোন খাবারগুলো কম কম খাব?
« on: November 21, 2016, 06:02:29 PM »
ওজন কমাতে, রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে একটু বয়স হলে কিছু খাবারদাবারে আনা চাই নিয়ন্ত্রণ। আমরা সবাই জানি যে খাবার হওয়া চাই সুষম, অর্থাৎ আমিষ, শর্করা, চর্বি ও ভিটামিন, খনিজের সমাহার থাকা চাই। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার আছে, যা কম কম খাওয়াই ভালো। আসুন তৈরি করে নিই এমন একটা তালিকা।

১/ চিনি ও চিনিযুক্ত পানীয়: সাদা চিনি, বাদামি চিনি, ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ, কর্ন সুগার, মধু—নানা নামের চিনি যুক্ত করা হয় বাজারজাত পানীয়তে। যে নামেই থাকুক, এগুলো সবই সহজ শর্করা, যা রক্তে শর্করা ও ওজন বাড়ায়। প্রতিদিন কেবল ছোট সাইজের এক ক্যান চিনিযুক্ত পানীয় (কোলা, জুস ইত্যাদি) বছরে আপনার ওজন বাড়াবে ১৫ পাউন্ড।

২/ বেকারি: কেক, পেস্ট্রি, ডোনাট, কুকিজ—এসব বেকারির খাবারে থাকে বাড়তি চিনি, কিছু লবণ, প্রক্রিয়াজাত শর্করা, ট্রান্সফ্যাট নামের খারাপ চর্বি। এগুলো ক্ষতিকর।

৩/ সাদা শর্করা: শর্করা আমাদের মূল খাবার। কিন্তু সাদা ভাত, ময়দার তৈরি রুটি বা পরোটা, সাদা পাউরুটি, নুডলস, পাস্তা এগুলো সহজেই শর্করা ও ওজন বাড়ায়। তাই আঁশযুক্ত বা গোটা শস্যের তৈরি খাবার থেকে শর্করা বেছে নিন। বেছে নিন লাল বা মোটা ভাত, আটার রুটি, ব্রাউন ব্রেড, ব্রাউন পাস্তা ইত্যাদি।

৪/ দুগ্ধজাত খাবার: বেশির ভাগ দুগ্ধজাত খাবারই মিষ্টিদ্রব্য। এ ছাড়া ঘন দুধ ও দুধের তৈরি পনির, মাখন, পায়েস, পুডিং, আইসক্রিম এগুলো সবই উচ্চ ক্যালরিযুক্ত। ননিহীন দুধ বা কম ননিযুক্ত দুধ বেছে নেওয়া ভালো।

৫/ লাল মাংস: গরু ও খাসির মাংসের তৈরি নানা লোভনীয় পদের খাবার মাসে এক-দুই দিনে সীমিত করে নিন। আমিষের উৎস হিসেবে বেছে নিন মাছ, দুধ, ডিম, মুরগি, বাদাম ও ডাল।

Collected .

60
ইসলামে সম্পদ খরচের ক্ষেত্রে কৃপণ হওয়া যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি প্রাচুর্যের সময় অপচয় অপব্যয় করে সম্পদ খরচ করাও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে কারিমে অপচয় ত্যাগের কঠোর নির্দশ জারি করে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আহার এবং পান করো, আর অপচয় করো না; তিনি (আল্লাহ) অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ -সূরা আরাফ: ৩২

অপচয় এবং কৃপণতা দু’টোই ইসলামে অনুনমোদিত। এই দুই প্রান্তিকতার মাঝখানে মধ্যমপন্থা হিসেবে মিতব্যয়ী হয়ে ভবিষ্যতের জন্য কিছু অর্থ সঞ্চয় করে রাখা ইসলামের শিক্ষা। যারা অপচয় এবং কৃপণতার পথ পরিহার করে মিতব্যয়িতার পথ অবলম্বন করবে আল্লাহ তাদেরকে নিজের বান্দা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘(রহমানের বান্দা তো তারাই) যারা অপব্যায়ও করে না আবার কৃপণতাও করে না। তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী।’ -সূরা ফুরকান: ৬৭

অর্থোপার্জন, খরচ ও সঞ্চয়ের ব্যাপারে মাধ্যমপন্থার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। মনে রাখতে হবে, সঞ্চয় করতে গিয়ে কৃপণের তালিকায় যেন আপনার নাম না উঠে। কৃপণতা ও অপব্যয় সম্পর্কে সমাজের প্রচলিত ধারণাটি ভুল। যাকে বলে গোড়ায় গলদ। অনেকে মনে করেন, জন্মদিন, মৃত্যুদিবস, বিয়েবার্ষিকী ও ভালোবাসা দিবসের মতো বিভিন্ন দিবস কিংবা বার্ষিকীতে প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে নির্বিচারে ধার-দেনা করে হলেও খরচ করতে পারাই যেন উদারতা। ক্রমবর্ধমান এমন অযাচিত খরচের জোগান ও আনুষ্ঠানিকতায় তাল মেলাতে কালো টাকার পেছনে দৌড়ানো এবং চোরাপথ আবিস্কার করাও যেন দূষণীয় নয়!

পক্ষান্তরে যে হালাল-হারাম, পাপ-পুণ্য, প্রয়োজন-অপ্রয়োজন বিবেচনা করে খরচ করেন এবং অপব্যয়-অপচয় থেকে বিরত থাকেন- তাকে মনে করা হয় ‘কৃপণ’। স্ত্রী, সন্তান-সন্ততির ভরণপোষণ, পিতামাতার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের মতো আল্লাহ নির্দেশিত খাতে খরচ করতে অবহেলাই হলো- প্রকৃত কৃপণতা। অনেকে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচটুকু করতে করে না, অভাবগ্রস্থকে কিছু দান করে না; জরুরী দ্বীনি কাজে অর্থ ব্যয় করে না- তাকেও কৃপণ বলা হয়।

এর বাইরে যে ব্যক্তি এসব খাতে খরচ করতে অকুণ্ঠ কিংবা দ্বিধাবোধ করেন না, তবে বিভিন্ন দিবস-বার্ষিকীর অপ্রয়োজনীয় ও অবৈধ খরচে রাজি নন- সমাজের কিছু লোক তাকে ‘মহাকৃপণ’ বললেও তিনি কিছুতেই কৃপণ নন। বরং তিনি মিতব্যয়ী।

বস্তুত হালাল-হারামের বিধিনিষেধ মেনে খরচকে সীমাবদ্ধ করতে হবে। প্রাচুর্যের সময় খরচের উৎসবে মেতে না উঠে অপ্রয়োজনীয় কিংবা হারাম খরচ বাদ দিয়ে মিতব্যয়িতার পথ অবলম্বন করে উদ্ধৃত অর্থ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে হবে। যেন পরে নিজের প্রয়োজনে অন্যের কাছে হাত পাতার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়।

পবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, তুমি (কৃপণতাবশে) নিজের হাত ঘাড়ের সঙ্গে বেঁধে রেখে একেবারে ব্যয়-কুণ্ঠ হয়ো না। আবার (অপব্যায়ী হয়ে) একোবরে মুক্তহস্তও হয়ো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে বসে থাকবে।’ –সূরা বনি ইসরাইল: ২৯

অপব্যায় না করে সন্তানদের জন্য কিছু সঞ্চয় করাও ইসলামের শিক্ষা। সন্তানদের কারও মুখাপেক্ষী রেখে যাওয়া নবীজি (সা.) পছন্দ করেননি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার উত্তরাধিকারীদেরকে মানুষের করুণার মুখাপেক্ষী রেখে যাওয়ার চেয়ে তাদেরকে সচ্ছল রেখে যাবে- এটাই উত্তম।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

ইসলাম সঞ্চয়কে কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছে তা আরও স্পষ্ট হয় রাসূলে কারিম (সা.)-এর হাদিস থেকে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘উত্তম দান তাই, যা নিজ অভাবমুক্ততা রক্ষার সঙ্গে হয়।’ –সহিহ বোখারি: ২/১১২

কৃপণ না হয়ে ইসলাম নির্দেশিত খাতে খরচে কোনো রকম দ্বিধা না করে, হারাম পথে খরচের সব পথ বন্ধ করে দিয়ে; অপচয়-অপব্যয় না করার মাধ্যমে মিতব্যয়ী হলে দারিদ্রমুক্ত জীবন আল্লাহ তাকে দান করবেন। এটা রাসূলে কারিম (সা.)-এর ভবিষ্যতবাণী।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলে কারিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পরিমিত ব্যয় করে সে নিঃস্ব হয় না।’ -মুসনাদে আহমাদ: ৭/৩০৩

অর্থাৎ যে ব্যক্তি অর্থব্যয়ে পরিমিতবোধের চর্চা করবে, অনটন তার নাগাল পাবে না। ইসলামের এ মহান শিক্ষাটি যথাযথ অনুসরণ না করার কারণে মানুষ উপার্জনের যাচিত সুফল থেকে বঞ্চিত।

কৃপণ না হয়ে মিতব্যয়ী হয়ে সঞ্চয় করলে হাজার কোটি টাকার মালিক হতেও ইসলাম নিষেধ করে না। সঞ্চিত অর্থ থাকলেই তো অর্থনির্ভর আমলগুলো করা যাবে। রোজাদারকে ইফতার করানো যাবে। শরিক হওয়া যাবে জনকল্যাণমূলক নানা কাজে। চালু করা যাবে সদকায়ে জারিয়ার অফুরন্ত ধারা। আবার উদ্ধৃত অর্থ যখন নেসাব পরিমাণ হবে এবং তা বর্ষপূর্তি হবে তখন সেখানে এসে যাবে জাকাতের মতো আরেকটি মহান ইবাদতের সুযোগ।

লেখক: খতিব, বাইতুশ শফিক মসজিদ, বোর্ড বাজার, গাজীপুর

Collected ..

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 26