Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Karim Sarker(Sohel)

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 26
61
সুন্দর ব্যবহার ও আচার-আচরণ বলতে আমরা বুঝি কারও সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলা, দেখা হলে সালাম দেওয়া, কুশলাদি জিজ্ঞেস করা, কর্কশ ভাষায় কথা না বলা, ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত না হওয়া, ধমক বা রাগের সুরে কথা না বলা, পরনিন্দা না করা, অপমান-অপদস্ত না করা, উচ্চ আওয়াজে কথা না বলা, গম্ভীর মুখে কথা না বলা, সর্বদা হাসিমুখে কথা বলা, অন্যের সুখে সুখী হওয়া এবং অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়া। এছাড়া কারও বিপদে দেখা করে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করাও সুন্দর আচরণের অন্তর্ভুক্ত।

সুন্দর আচরণ আমরা সবাই প্রত্যাশা করি। কিন্তু আমরা প্রায়ই অন্যের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে ভুলে যাই। সামান্য একটু অসতর্কতার কারণে আমাদের আচরণে একজন মানুষ অনেক কষ্ট পেতে পারে। তাই আমাদের সবসময় সচেতন থাকা উচিত; যাতে আমাদের আচরণে কেউ বিন্দুমাত্র কষ্ট না পায়।

যার আচরণ যত বেশি সুন্দর সবাই তাকে তত বেশি ভালোবাসে, সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। যার আচরণ ভালো নয় সবাই তাকে ঘৃণা করে ও এড়িয়ে চলে। সুন্দর ব্যবহার সুন্দরভাবে কথা বলা সুন্দর মনের পরিচয় বহন করে।

মানুষের একটি ভালো কথা যেমন একজনের মন জয় করে নিতে পারে, তেমনি একটু খারাপ বা অশোভন আচরণ মানুষের মনে কষ্ট আসে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসেবে আমাদের উচিৎ সর্বদা মানুষের সঙ্গে ভালো ও সুন্দরভাবে কথা বলা।

সুন্দর ব্যবহারের কারণে যে মুখটি প্রিয় হয়, বিপরীতভাবে অসুন্দর ব্যবহার করায় একই মুখটি অপ্রিয় হয়ে যায়। তাই সবার সঙ্গে সুন্দর আচরণ ও সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। সুন্দর আচরণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়, পরকালে বিনিময় হিসেবে মেলে অনন্ত সুখের জান্নাত।

এ প্রসঙ্গে হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মুমিনের আমলনামায় সুন্দর আচরণের চেয়ে অধিক ভারী আমল আর কিছুই হবে না। যে ব্যক্তি অশ্লীল ও কটু কথা বলে বা অশোভন আচরণ করে, তাকে আল্লাহতায়ালা ঘৃণা করেন। আর যার ব্যবহার সুন্দর, সে তার ব্যবহারের কারণে নফল রোজা ও তাহাজ্জুদের সওয়াব লাভ করবে।’ -সুনানে তিরমিজি

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘সবচেয়ে বেশি যা মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে তা হলো- আল্লাহতায়ালার ভয় ও সুন্দর আচরণ। আর সবচেয়ে বেশি যা মানুষকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবে তা হলো- (মানুষের) মুখ এবং লজ্জাস্থান।’ -সুনানে তিরমিজি

হজরত রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সুন্দর আচরণই নেক আমল।’ –সহিহ মুসলিম

হাদিসে রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যার আচার-ব্যবহার সুন্দর, সে আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় এবং কিয়ামতের দিন সে আমার সবচেয়ে কাছে থাকবে।’ -সুনানে তিরমিজি

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেন, ‘অশোভন-অশ্লীল কথা ও আচরণের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। আর যার আচরণ যত সুন্দর তার ইসলাম তত সুন্দর।’ -মুসনাদে আহমদ

আরেক হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যার আচার-ব্যবহার সুন্দর, আমি তার জন্য সর্বোচ্চ জান্নাতে একটি বাড়ির নিশ্চয়তা প্রদান করছি। -সুনারে আবু দাউদ

হজরত রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, ‘যদি কেউ বিনম্রতা ও নম্র আচরণ লাভ করে, তাহলে সে দুনিয়া ও আখেরাতের পাওনা সব কল্যাণই লাভ করল। আর রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং সুন্দর আচরণ বাড়িঘর ও জনপদে বরকত দেয় এবং আয়ু বৃদ্ধি করে।’ –আহমদ

Collected --

62
শিশু জন্মগ্রহণ করার পর তার আকিকা করা ও নাম রাখা পিতা-মাতার দায়িত্ব। শিশুর জন্মের পর সপ্তম দিন আকিকা ও নাম রাখা সুন্নত। হাদিসে জন্মের পর পরই নাম রাখার কথা বলা হয়েছে, আবার জন্মের পর তৃতীয় দিবসে নাম রাখার কথাও উল্লেখ আছে।

তবে নাম যখনই রাখা হোক না কেন, নামকরণের ক্ষেত্রে উত্তম নাম তালাশ করা উচিত। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুর সুন্দর নাম রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন তোমাদের ডাকা হবে তোমাদের নাম এবং তোমাদের পিতার নামে। তাই তোমাদের নামগুলো সুন্দর রাখো।’

হজরত নবী করিম (সা.)-এর কাছে কোনো নতুন ব্যক্তি এলে তার নাম জিজ্ঞাসা করতেন, অপছন্দ হলে সে নাম পরিবর্তন করতেন। যেমন তিনি আসিয়া (বিদ্রোহিনী) নাম পরিবর্তন করে জামিলা (সুন্দরী) নাম দিয়েছিলেন। আর আসসারম (কঠোর) নাম পরিবর্তন করে সাঈদ (সৌভাগ্যবান) নামকরণ করেছিলেন। তিনি এভাবে অনেকের নাম পরিবর্তন করেন।

মানুষ একে অপরকে নাম ধরেই ডাকে। কারও সঙ্গে পরিচয়ের শুরুতেই জানতে চায় আপনার নাম কী? বিশেষত একজন শিশুর সঙ্গে কারো দেখা বা পরিচয় হলে তার নাম জানতে চায়। তাই শিশুর জীবনে নামকরণের বিরাট প্রভাব পড়ে। এ কারণে সন্তানের নাম সুন্দর ও অর্থবহ হওয়া জরুরি।

হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহতায়ালার সিফাতি বা গুণবাচক নামের আগে আবদ যোগ করে আবদুল্লাহ নাম রাখা উত্তম। যেমন আবদুর রহমান, আবদুল করিম প্রভৃতি। তবে এ ক্ষেত্রে নাম ডাকার সময় অবশ্যই আবদ যোগ করে ডাকতে হবে। কিন্তু অনেককে দেখা যায় আবদ যোগ না করে শুধু রহিম, রহমান, এ ধরনের আল্লাহর সিফাতি নাম ধরে ডাকেন- এটা অনূচিত। নামকরণের ক্ষেত্রে অর্থবহ সুন্দর নাম রাখা উত্তম।

অনেকের খুব দীর্ঘ নাম রাখা হয়, যার কারণে পরবর্তীতে নানা ধরনের সমস্যা পোহাতে হয়। যাদের নাম খুব দীর্ঘ তারা অন্য কোনো দেশে গেলে অনেক সময় পরিচিত নামটি হারিয়ে যায়। সে হিসেবে বলা যায়, একজন শিশুর সুন্দর, অর্থবহ, সংক্ষিপ্ত, শ্রুতিমধুর নাম হওয়া ভালো। কারণ, সুন্দর অর্থবোধক, মার্জিত, ইসলামি ভাবধারায় উজ্জীবিত নাম রাখলে তা শিশুর জীবনে প্রভাব পড়ে।

Collected .....

63
Islam / বিয়ে, কাবিন ও কিছু কথা ।
« on: November 21, 2016, 03:54:39 PM »
নাগরিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের বিয়ের নিবন্ধন প্রয়োজন। মুসলিম নারী ও পুরুষের বিয়ের নিবন্ধন আবশ্যক। কাজি বা রেজিস্ট্রারকে দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। বিয়ের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে বিবাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে বিবাহ নিবন্ধন বই পূরণ করবেন। পূরণ করার পর বর ও কনে বিবাহ নিবন্ধন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের ফলে বিয়ের সব তথ্য সরকারের তথ্যভাণ্ডারে নথিভুক্ত হয় বলে এর সত্যতা অস্বীকার করা যায় না। বিবাহে দুই পক্ষই; বিশেষ করে নারীরা আইনে প্রদত্ত সব সুরক্ষাসহ তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। স্ত্রী স্বামীর প্রতারণার শিকার হলে এই রেজিস্ট্রেশনের সনদ রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। স্বামীর মৃত্যু-পরবর্তীকালে স্বামীর সম্পত্তির বৈধ অংশসহ অন্যান্য দাবি আদায়ে এই দলিলটি অত্যাবশ্যক। এমনকি তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদের সময়ও বিবাহের রেজিস্ট্রেশন একটি অত্যাবশ্যকীয় দলিল।

বিয়ের এই রেজিস্ট্রেশনকে কাবিন বলা হয়। তবে এই কাবিন কিন্তু বিয়ের কোনো অংশ নয়। কাবিন ছাড়া বিয়ে করলে বিয়ে শুদ্ধ হবে, দাম্পত্য জীবন হালাল হবে। কাবিন হলো- প্রচলিত আইন অনুসারে বিয়ের একটা নিবন্ধন মাত্র। তাই ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- কাবিন করতে হলে পূর্বে বিয়ে করতে হবে। বিয়েই যদি সম্পাদিত না হয়ে থাকে, তাহলে নিবন্ধন কিসের হবে?

বিয়ে সম্পাদিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম দু’জন সাক্ষীর সামনে প্রস্তাব উত্থাপন করতে হয় এবং তা কবুল করতে হয়। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দ্বারাই দু’জন নর-নারীর দাম্পত্য জীবন হালাল হওয়ার শরয়ি অনুমোদন লাভ করে। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ও শ্রুতিগোচরে প্রস্তাব উত্থাপন ও তা গ্রহণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বিয়ে হয় না, সম্পর্ক হালাল হয় না, পারস্পরিক কোনো অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না।

আমাদের সমাজে প্রায়ই শোনা যায়, ‘কাবিন করে রেখেছি, বিয়ে কয়েক মাস পরে হবে।’ এটি অনুচিৎ একটি কাজ। কেননা, যেখানে বিয়েই হয়নি সেখানে কী নিবন্ধন করা হয়েছে? এ যৌক্তিক সমস্যা ছাড়াও বিয়ের আগে কাবিন করার আরও কিছু সমস্যা রয়েছে।

অনেক সময় দেখা যায়, সরকারি কাজি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তাগাদা দিতে থাকে, ‘কাবিনের কাজ শেষ করে ফেলুন। আমার জরুরি কাজ আছে। আমি চলে যাই। পরে আপনারা মসজিদের ইমাম সাহেবকে দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে নেবেন।’

মুসলিম বিয়ে নিবন্ধনের জন্য সরকার অনুমোদিত বিবাহ নিবন্ধন অফিসে সরকারি যে ফরম পূরণ করতে হয় তাতে অনেকগুলো কলাম আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- কত তারিখে বিয়ে সম্পাদিত হয়েছে? কোথায় বিবাহ পড়ানো হয়েছে? বিবাহ কে পড়িয়েছেন? আপনি যখন বিয়ে পড়ানো ছাড়াই শুধু কাবিন করে রাখছেন তখন আপনাকে বিবাহ নিবন্ধন ফরমের উপরোক্ত কলামগুলোতে মিথ্যা তথ্য লিখতে হচ্ছে। কেননা, বিয়ে হয়নি তাই বিয়ে সম্পাদনের তারিখ, স্থান আপনি কোথায় পাবেন? এক কথায়, বিয়ের আগে কাবিন করার দ্বারা বিয়ের পাত্র, পাত্রী, সাক্ষী, সনাক্তকারী, সরকারি নিবন্ধক কিংবা কাজী সবাই মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। সবাই মিথ্যা কথার ওপর স্বাক্ষর করছে। বিষয়টি কী ঠিক?

মিথ্যা কথা লেখা ছাড়াও বিয়ের আগে কাবিন করার আরেকটি জটিলতর সমস্যা আছে। বিয়ে নিবন্ধন ফরমের একটি কলামে আছে, বর কর্তৃক স্ত্রীকে তালাকে তাফবিজের ক্ষমতা প্রদান করা হইলো কি না? হইলে কী কী শর্তে? ফরমের এ কলাম পূরণকালে সাধারণত ‘হ্যাঁ’ লিখে তিনটি শর্ত উল্লেখ করা হয়। এর অর্থ হলো- স্বামী তার স্ত্রীকে শর্ত স্বাপেক্ষে তালাকে তাফবিজ গ্রহণের ক্ষমতা দিল। বিয়ের আগেই যদি কাবিন করা হয় তবে তাহলে স্বামী তার স্ত্রীকে বিয়ের আগেই তালাকে তাফবিজ গ্রহণের ক্ষমতা দিয়ে দিচ্ছে। অথচ তালাক প্রদানের অধিকার আসার জন্য বিবাহ শর্ত। বিবাহ ছাড়া তালাক হয় না। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত বিবাহ হচ্ছে না; ততক্ষণ পর্যন্ত বর নিজেই তালাক প্রদানের অধিকার লাভ করছে না। আর নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই সে কিভাবে আরেকজনকে অধিকার বা ক্ষমতা দিয়ে দেয়? বিবাহ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সে পরপুরুষ। আর পরপুরুষ তো পরনারীকে তালাক দিতে পারে না। যে নিজেই তালাক দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না সে কিভাবে কনেকে তালাকের ক্ষমতা ছেড়ে দেয়? এটা অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য।

অতএব, যারা বিয়ের আগে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কাবিন করছে তাদের স্ত্রীরা শরিয়ত মতে তালাকের ক্ষমতা লাভ করছে না। এমতাবস্থায় যদি সেই স্ত্রী কোনোদিন নিজের ওপর তালাক গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে তার তালাক গ্রহণ শরিয়ত মতে শুদ্ধ হবে না।

ইসলামি শরিয়ত মতে বিয়ে পড়ানোর কাজ সুসম্পন্ন হওয়ার পরেই কেবল সরকারি নিয়ম মতে কাবিন করতে হবে। বিয়ের আগে কাবিন নয়। এমনকি বিয়ে পড়ানোর পাঁচ মিনিট পূর্বেও কাবিন নয়।

Collected --

64
ফল এবং সবজি হিসেবে কলার কদর আমরা সবাই করি। পুষ্টিকর এই কলা দিয়েই আজ আমরা তৈরি করছি খুব সহজ কিছু রেসিপি শুধু আপনাদের জন্য।

১/ চিপস
প্রয়োজনীয় উপকরণ - কাঁচা কলা - ২টি, মরিচ গুঁড়া - ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া - আধা চা চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, লবণ - স্বাদ মতো, তেল ভাজার জন্য।

পদ্ধতি -কলা খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার পাত্রে তেল গরম হলে চিপস আকৃতিতে গোল গোল  গ্রেট করে তেলে ছাড়ুন। এবার মরিচ, জিরা, হলুদ গুঁড়া দিয়ে স্বাদ মতো লবণ দিন।

কলার চিপসগুলো মচমচে করে ভেজে পছন্দের সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

১/ সফট কেক
বানানা সফট কেক তৈরিতে যা যা প্রয়োজন:-কলা ৩ টি, দেড় কাপ ময়দা, বেকিং পাউডার ১ টেবিল চামচ, মাখন ১/২ কাপ, খাওয়ার সোডা ১ টেবিল চামচ, ডিম ১ টি, লবণ ও চিনি স্বাদ মতো।

প্রণালী - প্রথমে ডিম খুব ভালো করে ফেটে ফোম তৈরি করুন। এবার ময়দার সঙ্গে বেকিং পাউডার এবং খাওয়ার সোডা মিশিয়ে চেলে নিয়ে ডিমের মিশ্রণের সঙ্গে বাকি উপকরণ দিয়ে ফেটে নিন।
ওভেন প্রুফ পাত্রে মিশ্রণ ঢেলে, প্রিহিটেড ওভেনে ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ২০ মিনিট বেক করুন।

৩/ কাটলেট
উপকরণ - কাঁচা কলা ৪টি, মুরগি অথবা মাছের কিমা আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুঁচি আধা চা – চামচ, ধনেপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, গরম মসলার  গুঁড়া আধা চা - চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ডিম ১ টি, টোস্টের গুঁড়া ১ কাপ, তেল ভাজার জন্য ।

প্রণালী- প্রথমে কলা সেদ্ধ করে খুব ভালো করে চটকে নিন। এবার ডিম, টোস্টের গুঁড়া ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ এক সঙ্গে মেখে নিন। মিশ্রণ থেকে পছন্দের আকারে কাটলেট তৈরি করুন। একটি পাত্রে ডিম ফেটে নিন।
ডিমের গোলায় কাটলেট ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন। সময় থাকলে কাটলেটগুলো ১০ মিনিট নরমাল ফ্রিজে রেখে তারপর ডুবো  তেলে সোনালী করে ভেজে নিন।
সবশেষে সালাদ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন দারুণ মজার কাটলেট|

Collected -

65
Food Habit / আতাফল কেন খাবেন?
« on: November 21, 2016, 03:21:52 PM »
আতা সুপরিচিত ফল। এতে রয়েছে নানা গুণ। শুধু স্বাদের কারণেই নয়, স্বাস্থ্যের জন্য এটি দারুণ উপকারী ফল। ভিটামিন সির মতো নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে এতে। শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী মুক্ত কণা থেকে মুক্তি দিতে পরে আতা। এ ছাড়া কোষ্ঠ পরিষ্কার, অরুচি দূর করা, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার প্রয়োজনে আতা খাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এ ফল শরীরের জন্য খুব কাজের। এ ফলে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের কর্নিয়া ও রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখে।

আতায় শর্করার পরিমাণ বেশি। এই ফল আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে। লালচে ও সবুজ। লালচে আতায় সবুজ রঙের আতার চেয়ে ক্যালরি ও আয়রন বেশি থাকে। কপার ও ডায়াটারি ফাইবার থাকায় এটি হজমের জন্য ভালো। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।

আতার মধ্যে আছে ভিটামিন বি৬, যা শ্বাসনালির প্রদাহ কমায়। ভবিষ্যতে হাঁপানি থেকে বাঁচতে চাইলে আতা খান। আতা খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও কমে।

আতায় আছে পটাশিয়াম, যা রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। আতায় আছে নিয়াসিন ও ফাইবার, যা প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়।
আতা ফলটি আয়রনে পরিপূর্ণ। তাই এটি খেলে লোহিত রক্তকণিকা বাড়ে। এতে রক্তশূন্যতা দূর হয়। আতায় আছে থিয়ামিন। এটি খাবারকে এনার্জিতে রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে। আতায় আছে ম্যাগনেশিয়াম, যা হাড়ের গঠন মজবুত করে।

 তথ্যসূত্র: জিনিউজ

66
Food Habit / মেথির উপকার
« on: November 21, 2016, 03:20:27 PM »
মেথি সবাই চেনেন। মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য—তিনটিই বলা চলে। স্বাদ তিতা ধরনের। এতে রয়েছে রক্তের চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি ও তারুণ্য ধরে রাখার বিস্ময়কর এক ক্ষমতা। যাঁরা নিয়মিত মেথি খান, তাঁদের বুড়িয়ে যাওয়ার গতিটা অত্যন্ত ধীর হয়।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু মরে। বিশেষত কৃমি মরে। রক্তের চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়। ডায়াবেটিসের রোগী থেকে শুরু করে হৃদ্‌রোগের রোগী পর্যন্ত সবাইকে তাঁদের খাবারে মেথি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। মেথির গুণাগুণ দেখলে একে অন্যতম সুপারফুড বলা চলে।


মেথির উপকারিতা জেনে নিন

১. মেথিতে আছে প্রাকৃতিক তন্তু, যা ওজন কমাতে বেশ কার্যকর। দিনে দুই-তিনবার মেথি চিবাতে থাকলে বেশি না খেলেও পেট ভরা মনে হবে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা মেথি কাজে লাগাতে পারেন।

২. শীত একটু একটু করে আসছে। বাড়ছে সর্দিকাশিও। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দিকাশি পালাবে। লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।

৩. চুল পড়া ঠেকাতে মেথি খেলে উপকার পাওয়া যায়। মেথি সেদ্ধ করে সারা রাত রেখে তার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়মিত মাথায় মাখলে চুল পড়া কমে।

৪. অন্ত্রের নড়াচড়া বৃদ্ধি করে মেথি। যাঁদের পেট জ্বালা বা হজমে সমস্যা আছে, তাঁরা নিয়মিত মেথি খেতে পারেন। এতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। মেথি ঝরানো পানি খেলেও হজমের সমস্যা দূর হবে। এমনকি পেপটিক আলসার সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে।

৫. রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর অসাধারণ এক শক্তি থাকায় ডায়াবেটিস রোগের জন্য খুব ভালো এই মেথি।

৬. নিয়মিত মেথি খেলে পেটে কৃমি হয় না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।

৭. মেথি আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তস্বল্পতা, অর্থাৎ অ্যানিমিয়া রোগের পথ্য হিসেবে কাজ করতে পারে।

৮. মাতৃদুগ্ধ বাড়াতে ওষুধের বিকল্প হলো মেথি। সদ্য মা হওয়া নারীর জন্য মেথি উপকারী।

৯. ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে মেথি, বিশেষ করে স্তন ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য মেথি কার্যকর। মেনোপজ হলে নারীর শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। হরমোনের এই পরিবর্তনের কালে মেথি ভালো একটি পথ্য।

১০. মেথি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।

তথ্যসূত্র: বারডেম, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

67
Food Habit / মুলা কেন খাবেন?
« on: November 21, 2016, 03:17:29 PM »
মুলা! নাম শুনেই অনেকে চোখ কুঁচকান। অনেকেই মুলা খেতে চান না। কিন্তু মুলায় মেলে নানা উপকার। তরকারি হিসেবে বা সালাদে নানাভাবে মুলা খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, মুলার মেলা পুষ্টিগুণ। যকৃৎ ও পাকস্থলী পরিষ্কারে মুলার জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত তাই খাবার টেবিলে মুলা রাখতেই পারেন।

মুলার নানা উপকারের কথা জেনে নিন
যকৃৎ ও পাকস্থলী বিষমুক্ত করতে পারে মুলা। মুলা সাদা, লাল বা কালো রঙের হতে পারে। শীতকালে সাদা মুলা সহজে চোখে পড়ে। এ মুলায় প্রচুর ভিটামিন সি আছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। কালো রঙের মুলা ও এর পাতা অনেক দিন ধরে জন্ডিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মুলায় যে উপাদান আছে, তা রক্ত শোধনে সহায়তা করে। মুলায় আছে প্রচুর সালফার।

১. রক্তে অক্সিজেন বাড়ায়: রক্তের লোহিত কণিকা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে মুলা। মুলা খেলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে।

২. যকৃৎ সুরক্ষা করে: মুলায় প্রচুর ফাইবার আছে। প্রতিদিন যদি সালাদের সঙ্গে অল্প পরিমাণে মুলা খাওয়া যায়, তবে শরীরে ফাইবার আসায় হজম ভালো হয়। এটি পিত্ত উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে, যকৃৎ ও গল ব্লাডারকে রক্ষা করে। শরীরে পানি ধারণক্ষমতার বাড়াতে মুলা খাওয়া যেতে পারে।

৩. হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষায়: হৃদ্‌যন্ত্র সুরক্ষা করতে পারে মুলা। এতে আছে অ্যান্থোসায়ানিনস, যা হৃদ্‌যন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই বেশি মুলা খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে। এটি ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড ও ফ্লাভোনয়েডসের ভালো উৎস।

৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: মুলায় আছে পটাশিয়াম, যা শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁরা মুলা খেতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, রক্ত শীতলকারী প্রভাব আছে মুলায়।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় সাধারণ সর্দিকাশি থেকে সুরক্ষা দেয় এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত মুলা খেলে শরীরে ক্ষতিকর মুক্ত উপাদান তৈরি হয় না। এ ছাড়া প্রদাহ ও অকালবার্ধক্য দূর হয়।

৬. রক্তনালি শক্তিশালী করে: কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মুলা, যা রক্তনালিকে শক্তিশালী করে এবং অথেরোসক্লেরোসিস নামের ধমনির রোগ হতে বাধা দেয়।

৭. বিপাকের বন্ধু: শুধু পাচনতন্ত্রই নয়, এটি বিপাকেরও ভালো বন্ধু। অম্ল, স্থূলতা, গ্যাসট্রিক, মাথাব্যথা, বমিভাব দূর করে মুলা।

৮. উচ্চ পুষ্টিগুণ: লাল মুলায় ভিটামিন ই, এ, সি, বি৬ ও কে আছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও ভরপুর। এতে আছে ফাইবার, জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাংগানিজ। এসব উপাদান আমাদের শরীরকে কর্মঠ রাখতে সাহায্য করে।

৯. ত্বকের জন্য ভালো: প্রতিদিন মুলার জুস খেলে ত্বক সতেজ থাকে। মুলায় থাকা ভিটামিন সি, জিংক ও ফসফরাস এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ত্বকের শুষ্কতা, ব্রণ বা দাগ দূর করতে পারে। মুলার পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখলে ত্বক সজীব থাকে। এ ছাড়া চুলের খুশকি দূর করতে, চুল পড়া বন্ধ করতে, চুলের গোড়া শক্ত করতে পারে মুলা।

১০. শরীর আর্দ্র রাখে: মুলায় জলীয় পরিমাণ বেশি থাকায় এটি শরীরকে আর্দ্র রাখে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

Collected by http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1025161/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8

68
“অন্ধের রাস্থা” এটি একটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের নাম যার মাধ্যমে অন্ধ ব্যক্তিরা যে কোন স্থানে অন্য ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া চলাচল করতে পারবে। এতে ব্যাবহার করা হয়েছে সাউন্ড ওয়েভ যার মাধ্যমে কোন বস্তুর অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। এ ডিভাইসটি কোন বস্তুকে নির্ণয় করার সাথে সাথে ব্যক্তিকে বস্তুর অবস্থান সম্পর্কে বলে দেয়।


এ জন্য ডিভাইসটিতে একটি হেডফোন লাগানো আছে যার মাধ্যমে বস্তুর অবস্থান সম্পর্কে সিলেটী ভাষায় বলে দেবে এবং কোন দিকে রাস্থা আছে সেটাও বলে দেবে। এ ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যক্তির সামনে উচু-নিচু বস্তুর অবস্থান সনাক্ত করা যায়। এ ডিভাইস ব্যক্তিকে এখন দিন না রাত, সেটাও বলে দিতে সক্ষম।

সিলেট মেট্রপলিটন ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মোঃ রাজু মিয়া এ ডিভাইসটি তৈরি করেন। অন্ধ ব্যক্তিদের হয়ত চোখের আলো ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না, তবে যাতে করে অন্ধ ব্যক্তিরা অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাচল করতে পারে কেবল সেজন্যেই এটা তৈরি করেন। তাদের কথা মাথায় রেখে তিনি এটা অনেক কম খরচে তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, এ ডিভাইসের সাথে রয়েছে একটি স্টিক বা লাটি যার মাধ্যমে ব্যক্তিকে সামনে কোন কিছুর অবস্থান সম্পর্কে বলে দিবে। ডিভাইসটি পোর্টেবল হওয়ার কারনে খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। ডিভাইসটির আনুমানিক ৭০সে.মি. পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

মো: রাজু মিয়া আরো বলেন, এ ডিভাইসটিতে আরো কিছু তথ্য-প্রযুক্তি যোগ করা হচ্ছে। তবে এটাতে লোকাল ম্যাপ যোগ করার কাজ চলছে, খুব সহজে যে কোন অন্ধব্যক্তি এই ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবেন। এই ডিভাইসটি তৈরি করে নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তিনি ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস রোগীদের ঘা শোকানোর বেক থেরাপী মেশিন অল্প মূল্যে নিয়ে বানানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানান।

মো: রাজু মিয়া কুয়েটে অনুষ্ঠিত টেক ফেস্টা ২০১৬ এর রোবটিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ৪৬টি দলের সাথে প্রতিযোগিতা করে তার তৈরী রোবট (তবহবৎ উরড়ফব) প্রথম স্থান অর্জন করে।
Collected from
http://banglaralo.org/more/tech/8287-2016-09-22-06-23-44

69
সারা বছর মশার প্রচন্ড উপদ্রব-এ আমরা প্রচুর বিরক্ত। মশা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনার মনে হয়তোবা কয়েলের ছবি ভাসছে। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন, এক বছরে আপনি কয়েলের পিছনে কত টাকা খরচ করেছেন? আর সব থেকে বড় কথা হলো, কয়েল মানব শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা কি আপনি জানেন?
 
আপনি হয়তোবা বলতে পারেন আমি কয়েল ব্যবহার করিনা। আমার আছে এ্যারোসল! সেটাতো মানব শরীরের জন্য আরো ভয়াবহ ক্ষতিকর । অথবা আপনি বলতে পারেন আমার কাছে ব্যাট আছে। কিন্তু মশার সাথে কতদিন ব্যাডমিন্টন খেলবেন? ১০টা মারবেন ১০০ মশা সামনে এসে হাজির হবে। আপনি মরে যাবেন কিন্তু আপনার মশা মারা আর শেষ হবে না!
আজকে আপনাদের শেখাব কিভাবে মাত্র ২০ টাকা খরচ করে পুরো ১ বছর মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে তার আগে আপনাকে কয়েল এবং এ্যারোসলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে হবে। তা নাহলে আপনার মাথায় ওগুলোই ঘুরপাক খাবে।
কিভাবে বানাবেন মশার ফাঁদঃ
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
(১) দুই লিটারের একটি প্লাস্টিকের বোতল (সেভেনআপ/কোক/ফান্টা/আরসি কোলা যে কোন পিইটি বোতল)
(২) এক গ্লাসের তিন ভাগের দুই ভাগ (২০০ এমএল) ফুঁটানো ইষৎ গরম পানি
(৩) এক কাপের তিন ভাগের ২ ভাগ ব্রাউন সুগার (খোলা চিনি হলে ভালো তবে পরিশোধিত চিনি হলেও চলবে)
(৪) এক চামচ ইষ্ট (যে কোন সুপার শপ বা বড় মুদি দোকানে পাবেন)
প্রস্তুত প্রনালীঃ
মশা থেকে মুক্ত থাকতে হলে আপনাকে প্রস্তুত প্রানালী ধাপে ধাপে অনুসরন করতে হবে। প্রথমে প্লাষ্টিকের বোতলটি উপর থেকে ৩/৪ ইঞ্চি রেখে একটি চাকু দিয়ে কেটে ফেলুন। তারপর নিচের বড় (বোতল) অংশটিতে ব্রাউন সুগার বা খোলা চিনা বা পরিশোধিত চিনি ঢেলে দিন। নাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। তারপর এক কাপ ফুটানো পানি ঢালুন। তারপর এক চামচের তিন ভাগের দুই ভাগ ইষ্ট ছেড়ে দিন। এবার বোতলের উপরের অংশটিকে চিৎ করে বড় বোতলের ভেতর বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন বোতলের উপরের অংশের মুখের ছিপিটি যেন অবশ্যই খোলা রাখেন। কারন ওখান থেকেই মশা ভেতরে ঢুকবে। এরপর একটি টেপ দিয়ে বড় এবং ছোট অংশটির জোরা শক্ত করে লাগিয়ে দিন। ব্যস! হয়ে গেলো মশা মারার হোমমেড ফাঁদ। এবার ফাঁদটিকে ঘরের যেকোন কোনায় রেখে দিন। চলতে পারবেন পুরো এক বছর।
সর্তকতাঃ
বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। যাতে তারা ভুলে খেয়ে না ফেলে।
ভালোভাবে বুঝতে ভিডিওটি দেখুন আর হ্যা! যদি মনে করেন এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হতে পারে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না আর কেমন লেগেছে সেটা আমাদের কমেন্টস করে জানাতেও ভুলবেন না। মশা থেকে মুক্ত থাকুন
Collected from
http://banglaralo.org/oddly/8658-2016-09-27-06-42-09

70
কয়েলের মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর দিকঃ
(১) আপনি যদি একটি মশার কয়েল টানা ৮ ঘন্টা জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে ১৩৭টি সিগারেটের পরিমান বিষাক্ত ধোঁয়া আপনি গিলছেন।
(২) কয়েলে যে গুঁড়া দেখেন সেটা এতটাই সূক্ষ্ম যে তা সহজেই আমাদের শ্বাসনালীর এবং ফুসফুসের পথে গিয়ে জমা হয়ে বিষাক্ততা তৈরি করে।
(৩) কয়েলের ধোঁয়া চোখের ভীষন ক্ষতি করে, দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখের ভয়াবহ ক্ষতিসাধন হতে পারে।
(৪) কয়েল মশাকে তাৎক্ষনিক মারে কিন্তু মানব দেহে
স্লো পয়জনিং করে, ধীরে ধীরে মানুষ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়
এ্যারোসলে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর দিকঃ
(১) এ্যারোসল হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মানব দেহের হার্ট সরাসরি এ্যারোসলের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
(২) এ্যারোসলের ক্যামিকেল চোখের ক্ষতি করে, দীর্ঘদিনের ব্যবহারে চোখের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

Collected From
http://banglaralo.org/oddly/8658-2016-09-27-06-42-09

71
প্রায়ই শোনা যায় লেখাপড়া না করেও অনেকেই সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন অসৎ উপায়ে। আবার কেউ মূল সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়ার পর তথ্য সঠিক রেখে প্রযুক্তির সহায়তায় নকল সার্টিফিকেট তৈরি করেন। সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে তারা চাকরি নেয়ার চেষ্টাও করেন। অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ জানতেই পারেন না, তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারির জমা দেয়া সার্টিফিকেট আসল নাকি নকল। কিন্তু সার্টিফিকেট আসল, না নকল তা চেনার কয়েকটি উপায় রয়েছে, যা জানা নাই আপনার।
নিজে সার্টিফিকেট যাচাই করবেন যেভাবে :

সার্টিফিকেট আসল নাকি নকল তা নিজেই যাচাই করা সম্ভব। এসএসসি ও এইচএসসি’র সার্টিফিকেট যাচাই করতে হলে প্রথমে সার্টিফিকেটটি হাতে নিয়ে আলোর সামনে ধরলে সার্টিফিকেটটিতে একটি শাপলা ফুলের জলছাপ দেখা যাবে। আবার সার্টিফিকেটটির যেকোনো একপাশ থেকে দেড় ইঞ্চি ভেতরে আড়াআড়িভাবে একটি নিরাপত্তা সুতা থাকে। ওই সুতার ভেতরে উল্টা ও সোজাভাবে লেখা থাকে ‘শিক্ষা বোর্ড’ যা আলোর সামনে ধরলে স্পষ্টভাবেই লেখাটি বোঝা যাবে। এই দুটি চিহ্ন দেখতে পেলেই প্রাথমিকভাবে বোঝা যাবে সার্টিফিকেটটি আসল। কিন্তু যে সার্টিফিকেটে এ দুটি চিহ্ন না থাকলে বুঝতে হবে তা নকল।
অন্যদিকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অসাধুরা নকল সার্টিফিকেট তৈরি করেন। অনেক সময় সাটিফিকেট হারিয়ে ফেললে শিক্ষার্টথীরা টাকা খরচ করে নকল সার্টিফিকেট তৈরি করেন। কিন্তু ওই সার্টিফিকেটটিও আসল নয়। কারণ নকল সার্টিফিকেটে শাপলা ফুলের জলছাপ এবং নিরাপত্তা সুতা থাকে না।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার এ বিষয়ে বলেন, ‘অনেকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্টিফিকেটে জলছাপ এবং নিরাপত্তা সুতা দিতে পারলেও সুতার ভেতরে ‘শিক্ষা বোর্ড’ শব্দটি লিখতে পারেনা’।
বোর্ড থেকে যাচাই করবেন যেভাবে :
সার্টিফিকেটটি যে বোর্ড থেকে দেয়া হয় ওই বোর্ডের ওয়েবসাইট অথবা শিক্ষাবোর্ড থেকে সার্টিফিকেট যাচাই ফরম সংগ্রহ করে তা ফরম পূরণ করে বোর্ডে আবেদন করতে হয়। সার্টিফিকেট প্রতি ৫০ টাকা হারে ব্যাংক ড্রাফট করে সার্টিফিকেট জমা দিলে তা যাচাই করে দেয় বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘মাঝে মাঝেই সার্টিফিকেট যাচাই করার জন্য আমরা আবেদন পায়। সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করলে আমরা তিন কর্মদিবসের মধ্যে সার্টিফিকেট যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন করি।’
অন্যদিকে মূল সার্টিফিকেটের ফটোকপি যাচাই করে নিতে বা সত্যায়িত করে নিতে হলে একই ফরমে একই পদ্ধতিতে আবেদন করতে হয়। তবে আবেদন ফরমের সঙ্গে মূল সার্টিফিকেট এবং ওই সার্টিফিকেটের চার কপি ফটোকপি বোর্ডে জমা দিতে হয়। ওই ৪ কপি সার্টিফিকেট সত্যায়িত করতে ব্যাংক ড্রাফট বাবদ খরচ হয় ১০০ টাকা।
হারিয়ে গেলেও মূল সার্টিফিকেট ফিরে পাবেন যেভাবে :
বিভিন্ন কারণে অনেকের মূল সার্টিফিকেট হারিয়ে যায়। ফলে নিরুপায় হয়ে সকল তথ্য সঠিক রেখে নতুনভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে (নকল) সার্টিফিকেট তৈরি করে নেন। কিন্তু এটা দিয়ে আসলে তার কোনও কাজেই আসেনা। কিন্তু মূল সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে আবারও মূলটিই পাওয়া সম্ভব এটা অনেকেই জানেন না। মূল সার্টিফিকেট ফিরে পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ঠ বোর্ডে আবেদন করতে হয়।
প্রথমত, স্থানীয় থানায় সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে এই মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি করতে হয়। এছাড়া একটি জাতায় দৈনিক পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। সার্টিফিকেট পেতে ব্যাংক ড্রাফট বাবদ ৫০০ টাকা খরচ হয়। মূল সার্টিফিকেট ফিরে পেতে সাধারণ ডায়েরির একটি ফটোকপি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির একটি কাটিং যুক্ত করে আবেদন করলে তিন কর্মদিবসের মধ্যে বোর্ড মূল সার্টিফিকেট সরবরাহ করে। যা কোনো ভাবেই নকল নয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘হারিয়ে যাওয়া সাটিফিকেট ফিরে পেতে নিয়ম মেনে শিক্ষাবোর্ড বরাবর আবেদন করলেই আমরা মূল সার্টিফিকেট সরবরাহ করি। কিন্তু মূল সার্টিফিকেট ফিরে পাওয়া সম্ভব এটা অনেকেই না জানার কারণে তারা অবৈধভাবে সার্টিফিকেট তৈরি করে নেন’।
অন্যান্য সার্টিফিকেট যাচাই করবেন যেভাবে :
এসএসসি ও এইচএসসি ছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এমনকি অন্যান্য অনেক সরকারি-বেসরকারি ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট যাচাই করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে সার্টিফিকেট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে সরাসরি যোগাযোগ করে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ম মেনে আবেদন করা।

72
সংসারে অভাব ও অনটনের কারণে বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সোহেল রানা।
নলছিটি ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি জিপিএ ৫ পান। লেখাপড়ার প্রতি ছিল তার প্রবল আগ্রহ। হার না মানা পরিশ্রম ও প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তিই তাকে সফলতা এনে দেয়।   

চায়ের দোকানে বিকিকিনি কম থাকায় মাঝে-মধ্যে একাই কলেজের সামনে ভ্রাম্যমাণ চৌকি বসিয়ে জিলাপি, ছোলা ও পিয়াজু বিক্রি করে সংসারের এবং লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছেন।
অনগ্রসর কিছু লোকের মাঝে বসবাস করেও (বস্তিতে) লেখাপড়া করে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সোহেল। সোহেল রানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে একজন সরকারি কর্মকর্তা হতে চায়।
সোহেল জানান, নলছিটি শহরের খাসমহল বস্তিতে ছোট একটি খুপড়ি ঘরে বাসবাস করে তারা। বাবা মা ও চার ভাই বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। তাই দায়িত্বটাও বেশি।
অনগ্রসর কিছু মানুষের মধ্যে বসবাস করেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ ছিল তার। সংসারে খরচ জোগানোর দায়টা বাবা তোফাজ্জেল হোসেনের একার ওপরই ছিল। বাবার কষ্টের কথা বিবেচনা করে ছোট থেকেই লঞ্চঘাটে ছোট একটি চায়ের দোকানে বাবার সঙ্গে কাজ করতো সে। বাবার কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে বেশির ভাগ সময়ই দোকানে কাজ করতে সোহেল রানা। রাতে বাবাকে বিশ্রামের জন্য বাসায় পাঠিয়ে নিজেই সকালের পরাটা বানানোর খামি তৈরি করতো।
দোকানের কাজ সেরে বাসায় ফিরে লেখাপড়া করতে করতে সকাল হয়ে যেতো। আবার সকালে ঢাকার লঞ্চের যাত্রীদের কাছে চা ও পরাটা বিক্রি করার জন্য ছুটে আসতে হতো দোকানে। সারা রাত ঘুমোতে পারেনি, এমন সময়ও পার করেছে সোহেল রানা। পরীক্ষার আগেও ক্লাস শেষ করে অনেক সময় কলেজের সামনেই চৌকি বসিয়ে জিলাপি, ছোলা ও পিয়াজু ভেজে তা বিক্রি করতো সে। তবুও সে থেমে যায়নি।
দরিদ্রতা দমিয়ে রাখতে পারেনি তাকে। কষ্টের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পায় সে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় তাকে নলছিটির উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কলেজের শিক্ষকরা। বাবা মায়ের পরিশ্রম, শিক্ষকদের পরামর্শ ও সহপাঠীদের  সহযোগিতা তাকে সফলতা এনে দিয়েছে।
সোহেল রানা বলেন, আমি ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে একজন সরকারি কর্মকর্তা হতে চাই।
সোহেলের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমার ছেলে অনেক পরিশ্রমী। তার মধ্যে কখনো কাজের প্রতি লজ্জা ছিল না। আমার সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বসে বেচাকেনা করেছে। তার লেখাপড়ার খরচ বহনের সামর্থ্য আমাদের নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার জন্য আমি দেশের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।
নলছিটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম নূরুল ইসলাম খান বলেন, সোহেল রানা মেধাবী শিক্ষার্থী বিধায়, সব সময় তার প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর ছিল। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়েও লেখাপড়া বন্ধ হয়নি তার। ভালো ফলাফল করায় তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। সে নলছিটির উজ্জ্বল নক্ষত্র।
Collected from
http://banglaralo.org/education/6147-2016-08-20-07-10-59

73
মুখের কালো দাগের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সাধারণত ব্রণ, ফুসকুড়ি সেরে যাওয়ার পর মুখের ত্বকে এই ধরনের কালো দাগ রেখে যায়। মুখের মধ্যে এমন দাগ থাকলে যে বিশ্রী দেখায়, তা বলাই বাহুল্য। যাঁর মুখে রয়েছে এই ধরনের দাগ, তিনিও সামাজিক মেলামেশার সময়ে কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগতে পারেন। ঠিকঠাক চিকিৎসায় ব্রণ এবং দাগের হাত থেকে মুক্তি মেলে ঠিকই, কিন্তু তার জন্য যেসব ওষুধ বা ক্রিম জাতীয় জিনিস ব্যবহার করতে হয় সেগুলি যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই সেইসব ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও থেকে যায়। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি কোনও প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করা যায় এই ধরনের কালো দাগ। আয়ুর্বেদিক জার্নাল ফর মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাত্রে হদিশ দেওয়া হয়েছে তেমনই এক সহজ, ঘরোয়া এবং নির্ভরযোগ্য উপায়ের, যার সাহায্যে মাত্র ৭ দিনে মুখকে করে তোলা যাবে দাগমুক্ত।
এই বিশেষ কৌশলের মূলে রয়েছে একটি সামান্য ঘরোয়া উপাদান, এবং সেটি হল পাতিলেবুর রস। মুখের দাগ তোলার জন্য তিনটি কৌশলে পাতিলেবুর রস প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে। কীরকম? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—   

 
১. লেবুর রস সরাসরি মুখের দাগযুক্ত অংশে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পরে সাদা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে দু’বার এমনটা করুন।
২. এক চা চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চা চামচ পাতিলেবুর রস। এই মিশ্রণ মুখের কালো দাগের উপর আলতোভাবে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন মুখ।
Collected from
http://banglaralo.org/lifestyle/8664-2016-09-27-07-43-40

74
শিশুদের দেখলেই তাকে আদর করতে কে না চান? কোলে নিয়ে একটু খুনসুটি বা একটা চুমু সবাই দিতে চান। কিন্তু এক মা কোনো শিশুকে চুমু দেওয়ার আগে আরেকবার ভেবে দেখতে বলেছেন। এ নিয়ে সাবধান করে ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি। তার নিজের ছেলেটি কিভাবে যেনো হারপেস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথের অ্যামি স্টিনটনের ছেলেটির বয়স মাত্র ১৪ মাস। তার নাম অলিভার। বাচ্চাটির পায়ের ওপরের দিকে এবং পাতার ওখানে লালচে দাগ উঠে ভরে গেছে। সেখানে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে।   

 
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ঠোঁটে বা মুখের বাইর ও ভেতরের দিকে এক ধরনের ঘা হয়। এর সংস্পর্শে আসলে বাচ্চাদের এমন হতে পারে। অলিভারকে এখন এই ভাইরাস আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। কাজেই কোনো শিশুকে চুমু খাওয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে নিতে হবে।
পায়ে এসব র‌্যাশ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই বাবা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় ছিল, চিকিৎসক তাকে সরাসরি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন, জানান স্টিনটন। তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে নেওয়া হয়। যদি দেরি হতো, তবে ভাইরাসটি তার অন্যান্য প্রত্যঙ্গ আক্রমণ করতো।
অলিভারের দেহে হারপেস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ধরা পড়ে। অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োগে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। হারপেস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের কারণে ঠোঁট ও মুখের ঘা হয়ে থাকে।
নবজাতকদের মাঝে এই ভাইরাস মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করে। এটি তাদের মস্তিষ্ক, ফুসফুস, লিভার ও ত্বকে আক্রমণ করে।
২০১৫ সালে আরেক মা তার কন্যাশিশুর দেহে এমস সংক্রমণের ছবি তুলে দেন।
জনকাস্টারের ক্লেয়ার হেনডারসন লিখেছেন, এ বিষয়টি সব নতুন মায়েদের জানা উচিত।
অক্সফোর্ড অনলাইন ফার্মেসি’র ড. হেলেন ওয়েবারলি জানিয়েছেন, পারপেস ভাইরাসটি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। রক্তে মিশে গিয়ে মস্তিষ্কে চলে যেতে পারে। বাচ্চাদের মাঝে এ জাতীয় কোনো চিহ্ন দেখামাত্রই যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হবে।
আর যাদের ঠোঁটে বা মুখে ঘা আছে, তারা শিশুকে অবশ্যই চুমু দেবেন না।
সূত্র : kalerkantho
Collected from
http://banglaralo.org/more/health/8435-2016-09-24-08-03-37

75
একজন মানুষের সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য তার সবগুলো অঙ্গের সুস্থতা দরকার। তা সেটা বাহ্যিকভাবে হোক অথবা অভ্যন্তরীণভাবে হোক। আমাদের শরীরের ভেতরের সমস্যা থেকেই শরীরের বাইরে সমস্যা দেখা দেয়। যেকোনো একটি অঙ্গ বাদ দিলেই মানুষ অচল হয়ে পড়তে পারে। আমাদের দেহের একেকটি অঙ্গ অপর অঙ্গের পরিপূরক। তাই আমাদের উচিত সব অঙ্গের সমানভাবে যত্ন নেওয়া।   
 
তবে ওষুধের প্রতি বেশি নির্ভরশীল না হয়ে বাড়িতে প্রাকৃতিকভাবে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া ভালো। সুস্থ থাকার জন্য অবশ্য সারা বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং সবুজ শাকসবজি খান তাহলে দেখবেন গত বছরের তুলনায় এই বছরে আপনার রোগ বালাই কম হয়েছে।
আরও পড়ুন:  একটি মাত্র উপায়ে কোমরে ব্যথা দূর করে দিন চিরকালের জন্য!
লিভার বা যকৃত মানুষের শরীরের একটি অন্যতম অঙ্গ। শরীরে লিভারের কাজ হলো খাদ্য ও চর্বিকে পরিশুদ্ধ করা, টক্সিন দূর করা, খাবার থেকে দেহের জন্য ক্ষতিকর দ্রব্যগুলো সরিয়ে ফেলা। যদি কোনো কারণে লিভার হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়বো এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। তাই সবাই উচিত লিভারের যত্ন নেওয়া।
লিভারের অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে একটি হলো লিভারে চর্বি জমে যাওয়া। সাধারণত ডাক্তারের কাছে গেলে, এই সমস্যার কারণে দীর্ঘ মেয়াদী ওষুধ দিয়ে দেন। আবার সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্যও ওষুধ খেতে হয়। তবে আপনি জানেন কী যে, বাড়িতে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে লিভার থেকে চর্বি দূর করা সম্ভব। শুধু চর্বি নয় এটি আপনার সম্পূর্ণ লিভারকে পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার করে দেবে। আর এজন্য আপনাকে আপনাকে পান করতে হবে একটি পানীয়। লিভারের পাশাপাশি এই পানীয় আপনার শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। জেনে নিন, ঘরে কীভাবে তৈরি করবেন লিভারের জন্য উপকারী এই পানীয়।
আরও পড়ুন:  অনিয়মিত হৃৎকম্পন স্ট্রোক ছাড়াও অনেক বিপদের কারণ হতে পারে
প্রয়োজনীয় উপাদান:
* ১২৫ গ্রাম সতেজ বাঁধাকপি
* ১টি লেবু
* ২৫ গ্রাম সতেজ পুইশাক
* ২৫০ গ্রাম সতেজ নাশপাতি
* এক টুকরা আদা (২ সে.মি. লম্বা)
* ৫০০ মিলি লিটার পানি
* ১০ গ্রাম পুদিনা পাতা
প্রস্তুত প্রণালী:
বাঁধাকপি, পুইশাক, নাশপাতি এবং পুদিনা পাতা ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। অর্ধেকটা পানি মেশান। এর পর ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। পুরোপুরি ব্লেন্ড হয়ে গেলে লেবুর রস এবং বাকি পানি টুকু দিয়ে দিন। এর পর আবার ব্লেন্ড করুন। ব্যস হয়ে গেল। এবার গ্লাসে ঢেলে খেয়ে নিন।
ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন দুবার করে খাবেন। সকালে এবং সন্ধ্যায়। এতে আপনার লিভারসহ সম্পূর্ণ শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়ে যাবে। নিজেকে বেশ সতেজ মনে হবে। যদিও পানীয়টি খেতে একেবারেই সুস্বাদু নয় তবুও যদি আপনি এই পানীয়টি আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী বানাতে পারেন বা আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে আপনি হয়ে উঠবেন কম রোগ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন।
Collected from
http://banglaralo.org/health/8628-2016-09-26-08-57-31?q=12

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 26