Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Reza.

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 26
61
Textile Engineering / Where does the melodies come from?
« on: July 15, 2019, 11:46:37 PM »


সাধারণ লেখা, ছড়া - কবিতা আর গান।
গানের আসল আকর্ষণ হল তার সুর। কবিতার হল ছন্দ। লেখার আকর্ষণ হল সঠিক শব্দ চয়ন।
এই তিনটার মধ্যে সব থেকে সহজ হল সাধারণ লেখা। এর পর কবিতা ও ছড়া। সব থেকে কঠিন হল গান বা সঙ্গীত। নিজের মনের ভাবনা গুলোকে শুধু ছন্দের মাধ্যমে প্রকাশ করাই যথেষ্ট নয়। এর সাথে যোগ করতে হবে সুর।
নিজের ভাবনা গুলোকে লেখার সাহায্যে প্রকাশ করা হল। এর পর সেই অনুভুতিগুলোকে ছন্দের মাধ্যমে কবিতায় পরিনত করা হল। পরিশেষে সেই ছন্দের সাথে সুর মিলিয়ে হল গান।
গানের কথা গুলো যদি সুর ছাড়া কবিতার মত পড়ে যাওয়া হয় তাহলে তার আকর্ষণ অনেক কমে যায়। আবার কবিতা ছন্দ ছাড়া পড়ে গেলে তা আরও আকর্ষণ হারায়।
আমাদের এই গানের সুর ও ছন্দের কি প্রয়োজন তাই ভাবতেছিলাম। সুর ও ছন্দ ছাড়া কথা গুলোই শোনাই কি যথেষ্ট নয়?
সুরের মাঝে কি জাদু আছে? সেই একই কথা গুলো তো আমরা জানতে পারি গানের কথা গুলো পড়লে।
কিছু সুর থাকে মন ভোলানো। কিছু সুর মনে কষ্ট জাগায়। কিছু সুর শুনে মন আনন্দে নেচে উঠে। মানুষ মাত্রই গানের সুর শুনে প্রভাবিত হয়। গানের কথা হয়তো ভিন্ন ভাষায় - কিন্তু সুরের মাঝে নাই কোন সীমান্তের পরিসীমা। ভাষা সেই একই গিটার, কি বোর্ড আর ড্রামের। ছোট শিশুও আনন্দে দুলে উঠে। কোন গানে হয়তো শান্ত ভাবে ঘুমিয়ে পড়ে।
হিন্দি ছায়াছবির প্রথম ও প্রধান আকর্ষণ হল তার গান। যে ছবির গান যত হিট সেই ছবিও তত হিট। আমার জানা মতে হিন্দি গানের পিছনেই সব থেকে বেশী বাজেট তারা বরাদ্দ করে।
সেই দুর্বোধ্য সুরের পিছনে আমাদের কত সময় ও অর্থ বরাদ্দ। আমরা কি জানি সুর গুলো কোথায় থাকে আর কোথা থেকে আসে? কেন এই গানের সুর আমাদের মনকে মোহনিয় করে তোলে। কেন তার এই সম্মোহন শক্তি? ছোটবেলায় আমাদের লেখা পড়তে শিখতে হয়। যে পড়তে পারে না তার কাছে লেখা কিছু আকিবুকি ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু কানে শুনতে পারে এমন সবাই সুরের ভাষা বুঝতে পারে। আলাদা ভাবে সুরের ভাষা শিখতে হয় না।

62
Permanent Campus of DIU / Where does the melodies come from?
« on: July 15, 2019, 11:45:11 PM »


সাধারণ লেখা, ছড়া - কবিতা আর গান।
গানের আসল আকর্ষণ হল তার সুর। কবিতার হল ছন্দ। লেখার আকর্ষণ হল সঠিক শব্দ চয়ন।
এই তিনটার মধ্যে সব থেকে সহজ হল সাধারণ লেখা। এর পর কবিতা ও ছড়া। সব থেকে কঠিন হল গান বা সঙ্গীত। নিজের মনের ভাবনা গুলোকে শুধু ছন্দের মাধ্যমে প্রকাশ করাই যথেষ্ট নয়। এর সাথে যোগ করতে হবে সুর।
নিজের ভাবনা গুলোকে লেখার সাহায্যে প্রকাশ করা হল। এর পর সেই অনুভুতিগুলোকে ছন্দের মাধ্যমে কবিতায় পরিনত করা হল। পরিশেষে সেই ছন্দের সাথে সুর মিলিয়ে হল গান।
গানের কথা গুলো যদি সুর ছাড়া কবিতার মত পড়ে যাওয়া হয় তাহলে তার আকর্ষণ অনেক কমে যায়। আবার কবিতা ছন্দ ছাড়া পড়ে গেলে তা আরও আকর্ষণ হারায়।
আমাদের এই গানের সুর ও ছন্দের কি প্রয়োজন তাই ভাবতেছিলাম। সুর ও ছন্দ ছাড়া কথা গুলোই শোনাই কি যথেষ্ট নয়?
সুরের মাঝে কি জাদু আছে? সেই একই কথা গুলো তো আমরা জানতে পারি গানের কথা গুলো পড়লে।
কিছু সুর থাকে মন ভোলানো। কিছু সুর মনে কষ্ট জাগায়। কিছু সুর শুনে মন আনন্দে নেচে উঠে। মানুষ মাত্রই গানের সুর শুনে প্রভাবিত হয়। গানের কথা হয়তো ভিন্ন ভাষায় - কিন্তু সুরের মাঝে নাই কোন সীমান্তের পরিসীমা। ভাষা সেই একই গিটার, কি বোর্ড আর ড্রামের। ছোট শিশুও আনন্দে দুলে উঠে। কোন গানে হয়তো শান্ত ভাবে ঘুমিয়ে পড়ে।
হিন্দি ছায়াছবির প্রথম ও প্রধান আকর্ষণ হল তার গান। যে ছবির গান যত হিট সেই ছবিও তত হিট। আমার জানা মতে হিন্দি গানের পিছনেই সব থেকে বেশী বাজেট তারা বরাদ্দ করে।
সেই দুর্বোধ্য সুরের পিছনে আমাদের কত সময় ও অর্থ বরাদ্দ। আমরা কি জানি সুর গুলো কোথায় থাকে আর কোথা থেকে আসে? কেন এই গানের সুর আমাদের মনকে মোহনিয় করে তোলে। কেন তার এই সম্মোহন শক্তি? ছোটবেলায় আমাদের লেখা পড়তে শিখতে হয়। যে পড়তে পারে না তার কাছে লেখা কিছু আকিবুকি ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু কানে শুনতে পারে এমন সবাই সুরের ভাষা বুঝতে পারে। আলাদা ভাবে সুরের ভাষা শিখতে হয় না।

63
Permanent Campus of DIU / Excess of anything is bad.
« on: July 15, 2019, 01:47:28 AM »
ভাবতেছিলাম ফেসবুকে কেন বসা হয়?
১. ফেসবুকে কিছুক্ষণ থাকলে আলাদা ভাবে পেপার পড়ার দরকার পড়ে না।
২. কেউ কেউ ফেসবুক নিজেদের ছবি / সেলফি পোষ্ট করার জন্য ব্যবহার করেন।
৩. যে কোন খেলার সময় অনলাইন আপডেট পাওয়া যায় সাথে সাথেই।
৪. নিজের পছন্দের মতবাদ শেয়ার করার কেউ কেউ জন্য ফেসবুক ব্যবহার করেন।
৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসের অনেক তথ্য ফেসবুক গ্রুপে পাওয়া যায়।
৬. বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে অনেকেই ফেসবুককে দেখেন।
৭. কখনো কখনো কেউ কেউ নিজের পণ্য কাছের মানুষের কাছে বিক্রয়ের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করেন।
৮. ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুদের কাছ থেকে জরুরী সাহায্য পাওয়া যায়।
৯. দরকারি ফাইল বা তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করা যায়।
ভাবলে দেখা যাবে ফেসবুক ব্যবহারের আরও অনেক কারণ হয়তো আছে।
দরকারি ছাড়াও অদরকারি অনেক কারণও পাওয়া যেতে পারে। অনেক গুলোই হয়তো ব্যক্তি, সমাজ বা দেশের জন্য ক্ষতিকর।
ডিনামাইট আবিস্কারের কারণ ছিল পাহাড় ভেঙ্গে সমতল পথ বা জমি তৈরি করা। কিন্তু ডিনামাইট যুদ্ধে ব্যবহারের ফলে মানবজাতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
যে ছুরি ডাক্তার ব্যবহার করে অপারেশনের মাধ্যমে রুগীকে সুস্থ্য করে তোলেন ঠিক সেই ছুরি দিয়েই হত্যাকারী হত্যা করে।
তবে মাথা ব্যথা হলে যেমন মাথা কেটে বাদ দেয়া হয় না। তেমন সব জিনিসের দোষ গুণ সবই থাকে। সতঃসিদ্ধ সিদ্ধান্ত হল অতিরিক্ত সব কিছুই ক্ষতিকর।

64
Textile Engineering / Excess of anything is bad.
« on: July 15, 2019, 01:46:38 AM »
ভাবতেছিলাম ফেসবুকে কেন বসা হয়?
১. ফেসবুকে কিছুক্ষণ থাকলে আলাদা ভাবে পেপার পড়ার দরকার পড়ে না।
২. কেউ কেউ ফেসবুক নিজেদের ছবি / সেলফি পোষ্ট করার জন্য ব্যবহার করেন।
৩. যে কোন খেলার সময় অনলাইন আপডেট পাওয়া যায় সাথে সাথেই।
৪. নিজের পছন্দের মতবাদ শেয়ার করার কেউ কেউ জন্য ফেসবুক ব্যবহার করেন।
৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসের অনেক তথ্য ফেসবুক গ্রুপে পাওয়া যায়।
৬. বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে অনেকেই ফেসবুককে দেখেন।
৭. কখনো কখনো কেউ কেউ নিজের পণ্য কাছের মানুষের কাছে বিক্রয়ের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করেন।
৮. ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুদের কাছ থেকে জরুরী সাহায্য পাওয়া যায়।
৯. দরকারি ফাইল বা তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করা যায়।
ভাবলে দেখা যাবে ফেসবুক ব্যবহারের আরও অনেক কারণ হয়তো আছে।
দরকারি ছাড়াও অদরকারি অনেক কারণও পাওয়া যেতে পারে। অনেক গুলোই হয়তো ব্যক্তি, সমাজ বা দেশের জন্য ক্ষতিকর।
ডিনামাইট আবিস্কারের কারণ ছিল পাহাড় ভেঙ্গে সমতল পথ বা জমি তৈরি করা। কিন্তু ডিনামাইট যুদ্ধে ব্যবহারের ফলে মানবজাতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
যে ছুরি ডাক্তার ব্যবহার করে অপারেশনের মাধ্যমে রুগীকে সুস্থ্য করে তোলেন ঠিক সেই ছুরি দিয়েই হত্যাকারী হত্যা করে।
তবে মাথা ব্যথা হলে যেমন মাথা কেটে বাদ দেয়া হয় না। তেমন সব জিনিসের দোষ গুণ সবই থাকে। সতঃসিদ্ধ সিদ্ধান্ত হল অতিরিক্ত সব কিছুই ক্ষতিকর।

65
Textile Engineering / A friend - who isn't.
« on: July 10, 2019, 11:29:10 PM »
এখন আর মানুষ না খেয়ে থাকে না। তার পরিধেয় নিয়ে আর তেমন চিন্তা না করলেও চলে। এখন বলা হয় - না খেয়ে কোন মানুষকে মরতে দেখি নাই - কিন্তু খেয়ে মরতে দেখেছি অনেক।
আমরা কি ভেবে দেখেছি তাহলে আমরা সারাদিন কিসের পিছনে ছুটে চলেছি?
সেই সম্পদের অন্বেষণে। যার জন্য আমরা আমাদের সামাজিক ও আত্মিক জীবন ধ্বংস করেছি। আর প্রকৃতিকে তো বিসর্জন দিয়েছি অনেক আগেই।
আমার মতে আমাদের নিজেদের ধ্বংস হতে হবে অভাবের কারণে নয়। আমাদের ধ্বংস হতে হবে কেননা প্রকৃতি আমাদের উপর প্রতিশোধ নেবে। আমাদের জীবন এখনই বিধ্বস্ত আমাদের সামাজিক ও আত্মিক জীবনে ক্ষয়ের কারণে।
আমাদের স্বার্থপরের মত এককেন্দ্রিক ব্যাস্ততাই আমাদের বিলুপ্তির কারণ হবে।
প্রকৃতিকে একসময় আমাদের শত্রু ভাবা হত। সেই ভুল চিন্তাই আমরা এখনও আমাদের মস্তিস্কে বহন করে চলেছি।
আমাদের সচ্ছল অর্থনৈতিক জীবন আমাদের জীবনের জন্য কোন নিশ্চয়তা নয়। আমাদের সামাজিক ও আত্মিক জীবন টিকে থাকলেই আমরা টিকে থাকবো।

66
Permanent Campus of DIU / A friend - who isn't.
« on: July 10, 2019, 11:26:33 PM »
এখন আর মানুষ না খেয়ে থাকে না। তার পরিধেয় নিয়ে আর তেমন চিন্তা না করলেও চলে। এখন বলা হয় - না খেয়ে কোন মানুষকে মরতে দেখি নাই - কিন্তু খেয়ে মরতে দেখেছি অনেক।
আমরা কি ভেবে দেখেছি তাহলে আমরা সারাদিন কিসের পিছনে ছুটে চলেছি?
সেই সম্পদের অন্বেষণে। যার জন্য আমরা আমাদের সামাজিক ও আত্মিক জীবন ধ্বংস করেছি। আর প্রকৃতিকে তো বিসর্জন দিয়েছি অনেক আগেই।
আমার মতে আমাদের নিজেদের ধ্বংস হতে হবে অভাবের কারণে নয়। আমাদের ধ্বংস হতে হবে কেননা প্রকৃতি আমাদের উপর প্রতিশোধ নেবে। আমাদের জীবন এখনই বিধ্বস্ত আমাদের সামাজিক ও আত্মিক জীবনে ক্ষয়ের কারণে।
আমাদের স্বার্থপরের মত এককেন্দ্রিক ব্যাস্ততাই আমাদের বিলুপ্তির কারণ হবে।
প্রকৃতিকে একসময় আমাদের শত্রু ভাবা হত। সেই ভুল চিন্তাই আমরা এখনও আমাদের মস্তিস্কে বহন করে চলেছি।
আমাদের সচ্ছল অর্থনৈতিক জীবন আমাদের জীবনের জন্য কোন নিশ্চয়তা নয়। আমাদের সামাজিক ও আত্মিক জীবন টিকে থাকলেই আমরা টিকে থাকবো।

67
Permanent Campus of DIU / All we need is just a little patience.
« on: July 10, 2019, 03:18:32 AM »


সব দিন একই রকম হয় না। কিছু দিন আসে হতাশার।
আমার অভিজ্ঞতা বলে সবার জীবনেই এই রকম সময় আসে যখন কিছুই ঠিক মত হয় না। সে হোক অতি ক্ষমতাবান বা অর্থশালী। এই রকম সময় আবার একসময় চলে যায়। আবার আসে স্বাভাবিক সুসময়। দুঃসময়ের সময়টি কোন মতে পার করে দিতে হয়। ঠিক যেমন ব্যাঙ শীতকালে শীত নিদ্রা দেয় - ঠিক সেই রকম দুঃসময়কাল ঝিম মেরে কাটিয়ে দিতে হয়। এই সময় কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয় না। এই সময়টিতে ধৈর্য ধরে কেবল অপেক্ষার প্রহর গোনা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। রাত শেষে যেমন দিন আসে ঠিক সেই রকম দুঃসময় কেটে গিয়ে আসে সুসময়।

যা ঘটে তার বেশিটাই আমাদের মনেই ঘটে। আবার আমি যেই জিনিস নিয়ে দুশ্চিন্তা করতেছি তা নাও ঘটতে পারে। আবার যেই জিনিষ দুসচিন্তার কারণ ঘটেছে তা একা একাই সমাধান হয়ে যেতে পারে।
আমাদের যা কিছু অর্জন তার সবই কি আমরা নিজেরা পরিশ্রম করে পেয়েছি? একই ভাবে বলা যায় জীবনের সব নেগেটিভ ঘটনা গুলোর কথা কি আমরা আগে থেকে ভেবে রেখেছিলাম? ভাগ্যকে কি আমাদের জীবনে আমরা কখনো অনুভব করি নাই?
কিছু সময় যায় যখন সব কিছুই সার্থক ভাবে হয়ে যায়। এর জন্য হয়তো কিছুই করেননি। আবার অনেক সময় শত চেষ্টা সত্ত্বেও কিছুই করা সম্ভব হয় না। এইরকম সময়ে শুধু অপেক্ষা করে যেতে হয় ভালো সময়টি আসার জন্য।
আমাদের এক জনের সাথে অপরজনের মিল অতি সামান্য থাকে। আমরা সবাই এক এক জন অনন্য অসাধারণ। আমাদের এক জনের যে গুণাবলি আছে তা হয়তো অপর কেউ সারাজীবন চেষ্টা করেও অর্জন করতে পারেনি। হোক তা যতই ক্ষুদ্র অথবা মূল্যহীন কোন বৈশিষ্ট্য।

তাই সময়ে সময়ে আমরা যত হতাশায় নিমজ্জিত হই না কেন - মনে রাখতে হবে মানুষ হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই অনন্য অসাধারণ।
আমরা নিজেরাও হয়তো ইতিপূর্বে অনেক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছি যার চিন্তা আমাদের মনে আগে আসে নাই। এমনকি তার জন্য কোন প্রস্তুতিও নেই নাই।

কিছু সময় পার হতে দিলে বেশীর ভাগ সময়ই অনেক কিছুই একা একাই সমাধান হয়ে যায়। সময়ে প্রায় সব কিছুই নিরাময় হয়।

68
Textile Engineering / All we need is just a little patience.
« on: July 10, 2019, 03:17:13 AM »


সব দিন একই রকম হয় না। কিছু দিন আসে হতাশার।
আমার অভিজ্ঞতা বলে সবার জীবনেই এই রকম সময় আসে যখন কিছুই ঠিক মত হয় না। সে হোক অতি ক্ষমতাবান বা অর্থশালী। এই রকম সময় আবার একসময় চলে যায়। আবার আসে স্বাভাবিক সুসময়। দুঃসময়ের সময়টি কোন মতে পার করে দিতে হয়। ঠিক যেমন ব্যাঙ শীতকালে শীত নিদ্রা দেয় - ঠিক সেই রকম দুঃসময়কাল ঝিম মেরে কাটিয়ে দিতে হয়। এই সময় কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয় না। এই সময়টিতে ধৈর্য ধরে কেবল অপেক্ষার প্রহর গোনা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। রাত শেষে যেমন দিন আসে ঠিক সেই রকম দুঃসময় কেটে গিয়ে আসে সুসময়।

যা ঘটে তার বেশিটাই আমাদের মনেই ঘটে। আবার আমি যেই জিনিস নিয়ে দুশ্চিন্তা করতেছি তা নাও ঘটতে পারে। আবার যেই জিনিষ দুসচিন্তার কারণ ঘটেছে তা একা একাই সমাধান হয়ে যেতে পারে।
আমাদের যা কিছু অর্জন তার সবই কি আমরা নিজেরা পরিশ্রম করে পেয়েছি? একই ভাবে বলা যায় জীবনের সব নেগেটিভ ঘটনা গুলোর কথা কি আমরা আগে থেকে ভেবে রেখেছিলাম? ভাগ্যকে কি আমাদের জীবনে আমরা কখনো অনুভব করি নাই?
কিছু সময় যায় যখন সব কিছুই সার্থক ভাবে হয়ে যায়। এর জন্য হয়তো কিছুই করেননি। আবার অনেক সময় শত চেষ্টা সত্ত্বেও কিছুই করা সম্ভব হয় না। এইরকম সময়ে শুধু অপেক্ষা করে যেতে হয় ভালো সময়টি আসার জন্য।
আমাদের এক জনের সাথে অপরজনের মিল অতি সামান্য থাকে। আমরা সবাই এক এক জন অনন্য অসাধারণ। আমাদের এক জনের যে গুণাবলি আছে তা হয়তো অপর কেউ সারাজীবন চেষ্টা করেও অর্জন করতে পারেনি। হোক তা যতই ক্ষুদ্র অথবা মূল্যহীন কোন বৈশিষ্ট্য।

তাই সময়ে সময়ে আমরা যত হতাশায় নিমজ্জিত হই না কেন - মনে রাখতে হবে মানুষ হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই অনন্য অসাধারণ।
আমরা নিজেরাও হয়তো ইতিপূর্বে অনেক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছি যার চিন্তা আমাদের মনে আগে আসে নাই। এমনকি তার জন্য কোন প্রস্তুতিও নেই নাই।

কিছু সময় পার হতে দিলে বেশীর ভাগ সময়ই অনেক কিছুই একা একাই সমাধান হয়ে যায়। সময়ে প্রায় সব কিছুই নিরাময় হয়। 


69
একজনকে ফোন দিতেছিলাম। কোন উত্তর নাই। ই মেইল আর মোবাইল মেসেজ পাঠিয়েও কোন লাভ হল না। কিন্তু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার সাথে সাথে দেখি তাতে সে লাভ রিয়াকশন দিয়েছে। ইতিহাসে ব্রোঞ্জ যুগ, তাম্র যুগ পড়েছি। আমাদের বর্তমান যুগ হল ফেসবুক যুগ। সব দুঃখ কষ্ট ভালো লাগা ভালবাসা মন্দ লাগা সব কিছু প্রকাশের এইটাই বর্তমানে সব থেকে শক্তিশালী মাধ্যম। কেউ রেগে গেলে হয়তো মারামারি শুরু জোরে দিত - সেও এখন ফেসবুকে তার ক্ষোভ ঝেড়ে দেয়। কি নাই এখন ফেসবুকে? ছোটবেলার বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন - পাড়া প্রতিবেশী অফিসের কলিগ সব মিলিয়ে এক জগাখিচুড়ি অবস্থা। এই সমস্যা থেকে উত্তরনে আছে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ। আপনাকে কাওকে অভিনন্দন জানাতে হলে লাইক বা লাভ কোন একটি বাটনে প্রেস করলেই চলে। কোন ঘটনায় দুঃখ বা কষ্ট পেলে স্যাড বাটন তো আছেই। মজার কোন খবরের জন্য ha ha বাটন খুব জরুরী। আর অবাক হলে আছে wow বাটন। কত সহজে আমরা মাউসের একটি ক্লিক করে নিজের অনুভুতি অন্যকে জানিয়ে দেই। কথায় আছেন তার জন্য আছে চেক ইন। কোথায় যাচ্ছেন এর জন্য আছে ট্রাভেলিং টু। মনের রিয়াকশনের যত গুলো ডাইমেনশন আছে সব গুলোই ফেসবুকে প্রোভাইড করার চেষ্টা করা হয়েছে। মন হয়তো ফেসবুকে প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু আমাদের বিবেকের কথা কি ফেসবুক ভাবে?

70
একজনকে ফোন দিতেছিলাম। কোন উত্তর নাই। ই মেইল আর মোবাইল মেসেজ পাঠিয়েও কোন লাভ হল না। কিন্তু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার সাথে সাথে দেখি তাতে সে লাভ রিয়াকশন দিয়েছে। ইতিহাসে ব্রোঞ্জ যুগ, তাম্র যুগ পড়েছি। আমাদের বর্তমান যুগ হল ফেসবুক যুগ। সব দুঃখ কষ্ট ভালো লাগা ভালবাসা মন্দ লাগা সব কিছু প্রকাশের এইটাই বর্তমানে সব থেকে শক্তিশালী মাধ্যম। কেউ রেগে গেলে হয়তো মারামারি শুরু জোরে দিত - সেও এখন ফেসবুকে তার ক্ষোভ ঝেড়ে দেয়। কি নাই এখন ফেসবুকে? ছোটবেলার বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন - পাড়া প্রতিবেশী অফিসের কলিগ সব মিলিয়ে এক জগাখিচুড়ি অবস্থা। এই সমস্যা থেকে উত্তরনে আছে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ। আপনাকে কাওকে অভিনন্দন জানাতে হলে লাইক বা লাভ কোন একটি বাটনে প্রেস করলেই চলে। কোন ঘটনায় দুঃখ বা কষ্ট পেলে স্যাড বাটন তো আছেই। মজার কোন খবরের জন্য ha ha বাটন খুব জরুরী। আর অবাক হলে আছে wow বাটন। কত সহজে আমরা মাউসের একটি ক্লিক করে নিজের অনুভুতি অন্যকে জানিয়ে দেই। কথায় আছেন তার জন্য আছে চেক ইন। কোথায় যাচ্ছেন এর জন্য আছে ট্রাভেলিং টু। মনের রিয়াকশনের যত গুলো ডাইমেনশন আছে সব গুলোই ফেসবুকে প্রোভাইড করার চেষ্টা করা হয়েছে। মন হয়তো ফেসবুকে প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু আমাদের বিবেকের কথা কি ফেসবুক ভাবে?

71
(মিথ্যাবাদীর আকাশ)

সব ছিল কেবল তার মুখের কথায়। কথা বলাতেও যে অনেক এনার্জি লাগে - এটা তাকে দেখে বোঝা যায়। মুখের প্রতিটা পেশি শক্ত হয়ে বুঝিয়ে দেয় কথাগুলোতে কত নিপুন দক্ষতা আছে। প্রতিটা শব্দের উঠানামা আর বিরতিতে স্পষ্ট সজ্ঞান আচরণ। কত নিপুণ দক্ষতায় সে কথা বলে চলে। সে সব বলে চলে - কেবল যা বলার কথা সেটি বাদে। কত সূক্ষ তার বাচন ভঙ্গী - কত নিখুঁত তার বাক্য চয়ন। ঠিক যেমন দাবাখেলার সময় মাথা কাজ করে চলে - সেই রকম সুক্ষতায় সে ভেবে চলে।
তার একমাত্র ভয় হল মোবাইল রেকর্ডার। তার চক্ষুশূল রেকর্ডার মিথ্যা গুলোকে তার বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দেয়। আর ভয় পায় সে লিখতে। তার পছন্দ হল পেন্সিলের রাবার আর কি বোর্ডের ইরেজ বাটন। কারণ এগুলো দিয়ে তার মিথ্যাগুলোকে মুছে ফেলা যায়। কখনোবা সত্য গুলোকে মিথ্যায় পরিনত করা যায়। অভিনয়ে সে অতি দক্ষ। যেভাবে মাছ শিকারির নৌকা চালানোর দরকার পড়ে - অভিনয়ও মিথ্যার সাথে অঙ্গাঙ্গী একইভাবে তার দরকার পড়ে। সে যা বলে - অস্বীকার করে তা পরের মুহূর্তেই। তার অভিনয়ের নিপুণ দক্ষতা অস্কার পাওয়ার যোগ্য।
মিথ্যাবাদীর চোখ চকচক করে উঠে। আগে কখনো লিখেনি সে। লেখাকে বরাবরই সে ঘৃণা করে। লেখা গুলো মনে হয় তার মুখের কথাকে চপাটেঘাত করে চলে। প্রতি মুহূর্তে তার মনে হয় লেখা যদি না থাকতো - থাকতো যদি শুধু মুখের কথা। সে ইচ্ছা মত কথা গুলোকে ঘুরির মত উড়িয়ে যেত। কখনো বা বেলুনের মত আকাশে পাঠিয়ে দিত। লেখা গুলো যেন তীর হয়ে কেটে দেয় ঘুরিগুলোকে আর ফাটিয়ে দেয় তার বেলুন। মুখ থেকে বের হওয়া মিথ্যার বাবল্গুলো ফেটে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায় চারিদিকে।
 
আকাশটা ছিল ঘন নীল। বাতাসে ছিল সৌরভ। চারিদিকে ছিল পাখির কলতান আর ছিল সবুজ ঘাস। এখানে কবিতা লিখে চলা যায় অনন্তকাল। ছবি আঁকা যায় তুলির টানে। মিথ্যাবাদী কবিতা লিখতে চায়। সে জানে লেখা হবে না কিছুই। মিথ্যা দিয়ে কবিতা হয় না। আঁকা যায় না ছবি।

সে জানে না তাকে নিয়ে একজন কবিতা লেখার চেষ্টা করে চলেছে।জানে না সে নিজেই একটা নাটকের খল চরিত্র। তার কথা বলার ভঙ্গী কত নিখুঁত ভাবে অনুসরন করে চলে লেখক শুধু একেকটি ডায়ালগ লেখার জন্য। তার বাচনভঙ্গি অনুকরণ করা হয়েছে সিনেমার ভিলেন চরিত্রের ডায়ালগে - তা তার জানা নেই। হি হিমসেলফ ইজ এ পিস অফ আর্ট।

72
Textile Engineering / মিথ্যাবাদীর আকাশ
« on: June 24, 2019, 12:28:45 AM »
(মিথ্যাবাদীর আকাশ)

সব ছিল কেবল তার মুখের কথায়। কথা বলাতেও যে অনেক এনার্জি লাগে - এটা তাকে দেখে বোঝা যায়। মুখের প্রতিটা পেশি শক্ত হয়ে বুঝিয়ে দেয় কথাগুলোতে কত নিপুন দক্ষতা আছে। প্রতিটা শব্দের উঠানামা আর বিরতিতে স্পষ্ট সজ্ঞান আচরণ। কত নিপুণ দক্ষতায় সে কথা বলে চলে। সে সব বলে চলে - কেবল যা বলার কথা সেটি বাদে। কত সূক্ষ তার বাচন ভঙ্গী - কত নিখুঁত তার বাক্য চয়ন। ঠিক যেমন দাবাখেলার সময় মাথা কাজ করে চলে - সেই রকম সুক্ষতায় সে ভেবে চলে।
তার একমাত্র ভয় হল মোবাইল রেকর্ডার। তার চক্ষুশূল রেকর্ডার মিথ্যা গুলোকে তার বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দেয়। আর ভয় পায় সে লিখতে। তার পছন্দ হল পেন্সিলের রাবার আর কি বোর্ডের ইরেজ বাটন। কারণ এগুলো দিয়ে তার মিথ্যাগুলোকে মুছে ফেলা যায়। কখনোবা সত্য গুলোকে মিথ্যায় পরিনত করা যায়। অভিনয়ে সে অতি দক্ষ। যেভাবে মাছ শিকারির নৌকা চালানোর দরকার পড়ে - অভিনয়ও মিথ্যার সাথে অঙ্গাঙ্গী একইভাবে তার দরকার পড়ে। সে যা বলে - অস্বীকার করে তা পরের মুহূর্তেই। তার অভিনয়ের নিপুণ দক্ষতা অস্কার পাওয়ার যোগ্য।
মিথ্যাবাদীর চোখ চকচক করে উঠে। আগে কখনো লিখেনি সে। লেখাকে বরাবরই সে ঘৃণা করে। লেখা গুলো মনে হয় তার মুখের কথাকে চপাটেঘাত করে চলে। প্রতি মুহূর্তে তার মনে হয় লেখা যদি না থাকতো - থাকতো যদি শুধু মুখের কথা। সে ইচ্ছা মত কথা গুলোকে ঘুরির মত উড়িয়ে যেত। কখনো বা বেলুনের মত আকাশে পাঠিয়ে দিত। লেখা গুলো যেন তীর হয়ে কেটে দেয় ঘুরিগুলোকে আর ফাটিয়ে দেয় তার বেলুন। মুখ থেকে বের হওয়া মিথ্যার বাবল্গুলো ফেটে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায় চারিদিকে।
 
আকাশটা ছিল ঘন নীল। বাতাসে ছিল সৌরভ। চারিদিকে ছিল পাখির কলতান আর ছিল সবুজ ঘাস। এখানে কবিতা লিখে চলা যায় অনন্তকাল। ছবি আঁকা যায় তুলির টানে। মিথ্যাবাদী কবিতা লিখতে চায়। সে জানে লেখা হবে না কিছুই। মিথ্যা দিয়ে কবিতা হয় না। আঁকা যায় না ছবি।

সে জানে না তাকে নিয়ে একজন কবিতা লেখার চেষ্টা করে চলেছে।জানে না সে নিজেই একটা নাটকের খল চরিত্র। তার কথা বলার ভঙ্গী কত নিখুঁত ভাবে অনুসরন করে চলে লেখক শুধু একেকটি ডায়ালগ লেখার জন্য। তার বাচনভঙ্গি অনুকরণ করা হয়েছে সিনেমার ভিলেন চরিত্রের ডায়ালগে - তা তার জানা নেই। হি হিমসেলফ ইজ এ পিস অফ আর্ট।

73
Permanent Campus of DIU / If you are feeling down - visit hospitals.
« on: June 13, 2019, 11:04:45 PM »
হাসপাতালের এইচ ডি ইউ। হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট।
এখানে সবাই অনেক সিরিয়াস অবস্থার রুগী। প্রায় সবাই অচেতন অবস্থায় বেডে শুয়ে আছে। কেউ লাইফ সাপোর্টে। কারো মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। পুরো এইচ ডি ইউয়ে ২৪ ঘন্টা একই রকম আলো ও তাপমাত্রা। দিন রাত্রির কোন পার্থক্য করা যায় না। না জানলে যে কেউ আশ্চর্য হয়ে ভাববে কিছু মানুষ যেন ঘুমিয়ে আছে অনন্তকাল কি এক মোহনিয় পরিবেশে। যেন তাদেরকে ডাক দিলেই এক এক জন জেগে উঠবে - চোখ কচলিয়ে ঘুম থেকে উঠে কথা বলে উঠবে। মেশিনের টিক টিক শব্দের সাথে নিশ্বাস নেয়ার ফোঁস ফোঁস শব্দ শোনা যায়। মনে হয় কিছু একটার জন্য সময় গননা চলতেছে।
এইচ ডি ইউ এর ভর্তি রুগীদের সাথে তাদের আত্মীয় স্বজনরা ভিতরে গিয়ে সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত তাদের স্বজনকে দেখতে পারে।
সকাল ১০ঃ৫৫। এইচ ডি ইউয়ের গেটে ২০ - ২৫ জন আত্মীয়ের ভীর। তারা ব্যস্ত তাদের মুখে মাস্ক মাথায় টুপি পায়ের কভার আর আপ্রন পড়ার কাজে। শুধু ১১ঃ০০ টা বাজার অপেক্ষা। খুব দ্রুত তারা হাত দিয়ে আপ্রন মাস্ক পড়ে চলে। এই এক ঘন্টার প্রতি মুহূর্ত অতি মূল্যবান।
১১ঃ০০ টা বাজার সাথে সাথে সবাই প্রায় ছুটে চলে এইচ ডি ইউ এর ভিতরে। ছোটবেলায় স্কুল ছুটি হলে যে চিত্র ফুটে উঠে তার সাথে এর কিছুটা মিল আছে। এইচ ডি ইউ এ সব কিছুর হিসেব ভিন্ন। এখানে স্বজনের নিঃশ্বাস চলতেছে এইটা দেখাও যেন বহু মুল্যবান একটি উপহার। এখানে নাই কোন হিংসা শত্রুতার হিসেব। নাই কোন প্রথম হওয়ার বা লাভ ক্ষতির হিসেব। এখানে শুধুই হার্টবিট আর নিঃশ্বাস চলার হিসেব। প্রিয় জনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা। প্রতিদিনই তো কাছে থেকে দেখা হত। কিন্তু এখন সেই একই মানুষের মুখে কথা না থাকলেও অনেক মমতা উথলে উঠে। দুপুর ১২ঃ০০ টা বাজে। মনে হয় কত দ্রুত চলে গেল সময়টুকু। মেডিক্যাল এসিস্টেন্টদের বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু সময় নেয়া। যতক্ষণ কাছে থাকা যায় প্রিয়জনের। বের হতে হতে বার বার পিছনে প্রিয়জনের দিকে ফিরে তাকানো। বের হওয়ার সময় গেটে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা।
রাত ১২ঃ০০ টা। এইচ ডি ইউয়ের গেট বন্ধ। বাইরে লম্বা বারান্দা। পুরো জায়গা সুনসান জনমানবহীন। কিন্তু জানি এখানে মন পড়ে আছে স্বজনদের। ঝড়ো বাতাস উঠে চলেছে। কিছুক্ষণ পরে ঝড় উঠবে। স্বজনের তাতে কোন ভ্রূক্ষেপ নাই। লম্বা বারান্দায় আনমনে হেটে চলে অক্লান্ত। বারান্দার বাইরে বড়বড় গাছের ডাল পালা ঝড়ে দুলে চলে। মনে পড়ে সেই শ্বাসের শব্দ। কিছুটা রহস্যময় মনে হয়। যেন ঝড় জানে অনেক কিছু। সেই অচেতন রুগীর কথা তার স্বজনের মনের কথা।

74
Textile Engineering / If you are feeling down - visit hospitals.
« on: June 13, 2019, 11:04:00 PM »
হাসপাতালের এইচ ডি ইউ। হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট।
এখানে সবাই অনেক সিরিয়াস অবস্থার রুগী। প্রায় সবাই অচেতন অবস্থায় বেডে শুয়ে আছে। কেউ লাইফ সাপোর্টে। কারো মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। পুরো এইচ ডি ইউয়ে ২৪ ঘন্টা একই রকম আলো ও তাপমাত্রা। দিন রাত্রির কোন পার্থক্য করা যায় না। না জানলে যে কেউ আশ্চর্য হয়ে ভাববে কিছু মানুষ যেন ঘুমিয়ে আছে অনন্তকাল কি এক মোহনিয় পরিবেশে। যেন তাদেরকে ডাক দিলেই এক এক জন জেগে উঠবে - চোখ কচলিয়ে ঘুম থেকে উঠে কথা বলে উঠবে। মেশিনের টিক টিক শব্দের সাথে নিশ্বাস নেয়ার ফোঁস ফোঁস শব্দ শোনা যায়। মনে হয় কিছু একটার জন্য সময় গননা চলতেছে।
এইচ ডি ইউ এর ভর্তি রুগীদের সাথে তাদের আত্মীয় স্বজনরা ভিতরে গিয়ে সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত তাদের স্বজনকে দেখতে পারে।
সকাল ১০ঃ৫৫। এইচ ডি ইউয়ের গেটে ২০ - ২৫ জন আত্মীয়ের ভীর। তারা ব্যস্ত তাদের মুখে মাস্ক মাথায় টুপি পায়ের কভার আর আপ্রন পড়ার কাজে। শুধু ১১ঃ০০ টা বাজার অপেক্ষা। খুব দ্রুত তারা হাত দিয়ে আপ্রন মাস্ক পড়ে চলে। এই এক ঘন্টার প্রতি মুহূর্ত অতি মূল্যবান।
১১ঃ০০ টা বাজার সাথে সাথে সবাই প্রায় ছুটে চলে এইচ ডি ইউ এর ভিতরে। ছোটবেলায় স্কুল ছুটি হলে যে চিত্র ফুটে উঠে তার সাথে এর কিছুটা মিল আছে। এইচ ডি ইউ এ সব কিছুর হিসেব ভিন্ন। এখানে স্বজনের নিঃশ্বাস চলতেছে এইটা দেখাও যেন বহু মুল্যবান একটি উপহার। এখানে নাই কোন হিংসা শত্রুতার হিসেব। নাই কোন প্রথম হওয়ার বা লাভ ক্ষতির হিসেব। এখানে শুধুই হার্টবিট আর নিঃশ্বাস চলার হিসেব। প্রিয় জনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা। প্রতিদিনই তো কাছে থেকে দেখা হত। কিন্তু এখন সেই একই মানুষের মুখে কথা না থাকলেও অনেক মমতা উথলে উঠে। দুপুর ১২ঃ০০ টা বাজে। মনে হয় কত দ্রুত চলে গেল সময়টুকু। মেডিক্যাল এসিস্টেন্টদের বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু সময় নেয়া। যতক্ষণ কাছে থাকা যায় প্রিয়জনের। বের হতে হতে বার বার পিছনে প্রিয়জনের দিকে ফিরে তাকানো। বের হওয়ার সময় গেটে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা।
রাত ১২ঃ০০ টা। এইচ ডি ইউয়ের গেট বন্ধ। বাইরে লম্বা বারান্দা। পুরো জায়গা সুনসান জনমানবহীন। কিন্তু জানি এখানে মন পড়ে আছে স্বজনদের। ঝড়ো বাতাস উঠে চলেছে। কিছুক্ষণ পরে ঝড় উঠবে। স্বজনের তাতে কোন ভ্রূক্ষেপ নাই। লম্বা বারান্দায় আনমনে হেটে চলে অক্লান্ত। বারান্দার বাইরে বড়বড় গাছের ডাল পালা ঝড়ে দুলে চলে। মনে পড়ে সেই শ্বাসের শব্দ। কিছুটা রহস্যময় মনে হয়। যেন ঝড় জানে অনেক কিছু। সেই অচেতন রুগীর কথা তার স্বজনের মনের কথা।

75
১. স্পষ্ট মনে আছে। একেবারে ছোটবেলায় থাকতাম মোহাম্মাদপুরে। প্রথমে অনেক বছর আমাদের বাসার রান্না হত কেরোসিনের চুলাতে। কেননা সেখানে তখনও গ্যাস আসে নাই। তখন রবিবারে ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। রবিবারে বাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল রান্নার জন্য দুইটা বড় ক্যান ভরে কেরসিন কেনা। তখন আমাদের বাসায় ছিল না কোন টেলিভিশন, ফ্রিজ। ল্যান্ড ফোনও ছিল না আমাদের বাসায়। (মোবাইল মনে হয় তখনও আবিস্কার হয় নাই। কম্পিউটার এর কথা বাদই দিলাম।)
জীবন তখন কতটুকু কঠিন ছিল না সহজ ছিল তা আমার জানা নাই। তবে আমরা স্কুলের পরে সারাদিন খেলা ধুলা করে বেড়াতাম। আমার বাবাও অফিস থেকে এসে আমাদের সাথে পুরো অবসর সময় কাটাতেন। আমাদের সাথে খেলতেন বা বাসার জন্য কিছু কাজ করতেন।
২. এখন আমাদের বাসায় কি নাই? জীবনকে সহজ করার জন্য ফ্রিজ টেলিভিশন, মোবাইল, ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, এক দুইটা কম্পিউটার, ল্যাপ্টপ, অ্যাই পি এস সবই আছে। রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা, নব ধরে ঘুরালে আগুন জ্বলে উঠে।
ভাবতেছি - আমাদের জীবন কি এই সব উপকরণের ফলে আগের থেকে সহজ হয়েছে? আমাদের অবসর সময় কি বেড়েছে? না সব সময় ক্লান্ত পরিশ্রান্ত আমরা আগের থেকে?

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 26