Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Zahir_ETE

Pages: 1 ... 5 6 [7]
91
কানাডিয়ান স্মার্টফোন নির্মাতা রিসার্চ ইন মোশন (রিম) তাদের বিবিএম মেসেজিং সার্ভিসে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফ্রি ভয়েস সেবা চালুর কথা জানিয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

রিম ব্ল্যাকবেরি ১০ বাজারে ছাড়ার আগেই নতুন এ সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিলো। বুধবার নতুন সেবা চালুর কথা প্রকাশ করে ব্ল্যাকবেরি। উত্তর আমেরিকায় আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ব্ল্যাকবেরির বাজার তৈরি করতে রিম এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্ল্যাকবেরি ৬ ভার্সন থেকে পরবর্তী ভার্সনগুলোতে জনপ্রিয় বিবিএম মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে কল করার এ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। বিশ্বজুড়ে ৬ কোটি বিবিএম ব্যবহারকারী রয়েছে। সার্ভিসটিতে ফ্রি ভয়েস কল সিস্টেম চালু করায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর চাহিদা বাড়তে পারে বলে জানায় রিম।
ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সীমিত আকারে এ সেবা পাওয়া যাবে। নতুন এ সার্ভিসে স্প্লিট স্ক্রিন অপশনের মাধ্যমে ভয়েস কলের পাশাপাশি টেক্সট মেসেজও আদান-প্রদান করা যাবে।  বর্তমানে ব্ল্যাকবেরি অপারেটিং সিস্টেম ৬-এর পরের ভার্সনের ইউজাররা বিনামূল্যে সার্ভিসটি আপডেট করতে পারবেন।

রিম জানায়, বিবিএম ভয়েস ফিচারটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য বেশ উপযোগী। এটি সাধারণ টেক্সট মেসেজের চেয়ে আলাদা। প্রতিটি টেক্সটের জন্য আলাদাভাবে চার্জ দেয়ার প্রয়োজন হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় ব্ল্যাকবেরির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও উত্তর আমেরিকায় ডিভাইসটির বাজার সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে জানায় রিম। এছাড়া জানুয়ারির ৩০ তারিখে ব্ল্যাকবেরি ১০ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে।

92
Internet / BTRC warned over bandwidth cut
« on: May 31, 2013, 03:22:27 PM »
A parliamentary panel has warned Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC) against its earlier decision to reduce internet upload bandwidth.

At a meeting on Sunday, the Parliamentary Standing Committee on the Ministry of Posts and Telecommunications advised the telecom watchdog against a similar move in the future.

“The move to cut bandwidth is an obstacle to our transition to ‘digital Bangladesh,” Chairman Mohammad Abdus Sattar told reporters.

The telecom regulator on May 15 had asked the international internet gateway operators (IIG) to reduce upload bandwidth of the ISPs by 75 percent in an effort to prevent illegal VoIP. However, it took back the order on May 19.

A member of the parliamentary committee requesting anonymity told bdnews24.com, “BTRC backed their move saying that it meant to contain illegal VoIP. But the committee believes this argument is unacceptable.”

“They can find out how many VoIP calls are made if they check the call records. There is no need to decrease bandwidth for this,” the member added.

On May 21, the parliamentary oversight panel on information and communication ministry said it would recommend authorities increase internet bandwidth while maintaining that it was a correct decision to decrease upload speed.

The standing committee said speed was contained also as a security measure to prevent unscrupulous activities and spreading of misinformation on the internet.

The committee also discussed projects of the Ministry of Posts and Telecommunications to express their displeasure at the rate of their implementation.

93
IT Forum / Microsoft to unveil free Windows 8.1 update
« on: May 31, 2013, 03:18:47 PM »
Microsoft Corp's forthcoming update to its personal computer operating system will be called Windows 8.1 and will be available later this year free to existing Windows 8 customers, the marketing chief for the Windows unit said on Tuesday.

The world's largest software company has been touting the update, previously code-named 'Blue,' as a series of improvements to the Windows 8 software, launched in October, which has not been as popular as it had hoped.
Microsoft has sold 100 million Windows 8 licenses in the six months since launch, roughly in line with the previous version, but wants to combat sputtering interest in its flagship software with a substantial update to make it easier to use and compatible with smaller tablets.
"Windows 8.1 will be delivered as a free update to Windows 8 and to Windows RT and it will be easy to get right from the Windows start screen through the app store," said Tami Reller, head of finance and marketing at Microsoft's Windows unit.

A preview version of Windows 8.1 will be made available at the start of Microsoft's annual developer conference on June 26, Reller said, with the finished update released later this year.

94
* ড্রাইভার আপডেট রাখুন।
* তাপমাত্রা মনিটর করুন। বেশি গরম হয়ে গেলে পিসি অফ করে ঠা-া হতে দিন। ফ্যান কন্ট্রোল করতে সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
* না জেনে এবং অভিজ্ঞ কারও সাহায্য ছাড়া ওভারক্লকিংয়ের কথা চিন্তাও করবেন না।
* কিছুদিন পরপর মাদারবোর্ড থেকে কার্ড খুলে স্লট পরিষ্কার করুন।
* যথেষ্ট পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করুন।
* পারলে আমার মতো সবসময় কেসিং খুলে রাখুন যেনো দক্ষিণা হাওয়ায় গ্রাফিক্স কার্ড ভেসে যেতে পারে।

95
ICT / Establishment of Paypal
« on: May 29, 2013, 09:24:32 PM »
গত মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ই-কমার্স মেলার একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য স্বয়ংμিয় অর্থ লেনদেনের মাধ্যম বা পেমেন্ট গেটওয়ের উন্মেষ। পেমেন্ট গেটওয়ের বাজারে বিশ্বজুড়ে যে কোম্পানির আধিপত্য তার নাম প্যাপাল। আমাদের দেশে এখনও প্যাপাল চালু না হলেও শোনা যাচ্ছে চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা প্যাপালের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এবার জানা যাক, এই পেমেন্ট গেটওয়ে জায়ান্টের শুরুর কথা। ঘটনার শুরুটা ১৯৯৮ সালের আগস্টে, যখন স্ট্যানফোর্ডে অতিথি বক্তা হিসেবে পিটার থিয়েল বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত বাজার তৈরির ওপর বক্তৃতা দেন। অনুষ্ঠান শেষে ম্যাক্স লেভচিন পিটার থিয়েলের সাথে দেখা করেন। এরই সূত্র ধরে কয়েক সপ্তাহ পর এরা দু’জনে ফিল্ডলিঙ্ক নামে একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেন, যার মূল কাজ ছিল তৎকালীন বহুল প্রচলিত ‘প্যাম পাইলট’-এ অন্যান্য পিডিএ ডিভাইসে সাঙ্কেতিক
ভাষায় তথ্য সংরক্ষণ করা। এর ফলে পিডিএ ডিভাইসগুলো ডিজিটাল ওয়ালেটে রূপান্তরিত হয়। এই পদ্ধতিতে অর্থ চুরির ভয় না থাকায় জনপ্রিয়তা পেতে সময় লাগেনি। পিটার ও ম্যাক্স একই বছরের ডিসেম্বরে পিডিএ ডিভাইসগুলোর মাঝে অর্থ লেনদেনের জন্য কনফিডেন্স ও ইনফিনিটি শব্দ দুটিকে এক করে ‘ ক ন ি ফ ি ন ি ট ’ নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। কনফিনিটির একজন প্রকৌশলী ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে ‘প্যাপাল’ নামে ই-মেইলের মাধ্যমে অর্থ দেয়া- নেয়ার ব্যবস্থা চালু করেন। আজও প্যাপালের সেই লেনদেন ব্যবস্থা চালু আছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার জন্য সে সময় প্যাপাল বেশ কিছু সুবিধা চালু করেছিল। যেমন প্যাপালের জন্য নিবন্ধন করলেই ১০ মার্কিন ডলার ফ্রি দেয়া হতো। এছাড়া মানি মার্কেট ফান্ড ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, যেখানে প্যাপালের ব্যবহারকারীরা তাদের উদ্বৃত্ত অর্থের জন্য লভ্যাংশ পেতেন। প্যাপাল প্রতিষ্ঠার আগে ১৯৯৯ সালের মে মাসে ই-বে নামে অনলাইন নিলামকারী প্রতিষ্ঠান তাদের সব লেনদেনের জন্য ‘বিলপয়েন্ট’ নামে একটি অনলাইন অর্থ লেনদেনের ওয়েবসাইট কিনে নেয়। কিন্তু প্যাপালে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে এবং বেশিরভাগ ই-বে লেনদেনে প্যাপালের μমবর্ধমান ব্যবহার দেখা যায়। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যেখানে প্যাপাল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ নিলামের লেনদেন করত, সেখানে বিলপয়েন্টে সে সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ হাজার। এখানে বলে রাখা ভালো, এতদিন পর্যন্ত প্যাপাল কোনো স্বতন্ত্র কোম্পানি ছিল না, কনফিনিটি ছিল মূল কোম্পানি এবং প্যাপাল ছিল সেই কোম্পানির একটা সেবা। ২০০০ সালের মার্চে এক্স ডটকম নামে একটি অনলাইন আর্থিক সুবিধাদানকারী কোম্পানির সাথে কনফিনিটি এক হয়ে মূল কোম্পানি ‘এক্স ডটকম’ নাম ধারণ করে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। একই সাথে তাল রেখে প্যাপাল ব্যবহারকারীও বাড়তে
থাকে। ২০০০ সালের আগস্টে যেখানে প্যাপালের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ, সেখানে কনফিনিটির মূল সেবা পিডিএ ডিভাইসগুলোর মাঝে আর্থিক লেনদেনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১০ হাজার। কনফিনিটির সেই সেবা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং ২০০১ সালের জুনে এক্স ডটকম তাদের কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে প্যাপাল রাখে। পরে ই-বে ২০০২ সালের অক্টোবরে প্যাপাল কিনে নেয়। তারপর থেকে প্যাপাল ই-বের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

96
ICT / ওয়েবমেইলের উত্থান
« on: May 29, 2013, 09:21:33 PM »
ই-মেইল। বর্তমান দৈনন্দিন জীবনের খুব পরিচিত একটি শব্দ। চাইলেই যেকেউ যেকোনো সময় ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। শুরুর দিকে ব্যাপারটা কিন্তু এমন ছিল না। তখন একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস পাওয়া শুধু কষ্টসাধ্যই ছিল না, গুনতে হতো পকেটের অনেক টাকা। আইএসপিনির্ভর সেসব ই-মেইলের ইনবক্স সব জায়গা থেকে ব্যবহার করাও যেত না। কারণ তখনও ওয়েবমেইল সেবা চালু হয়নি। ই -মেইল ব্যবহার করতে হতো নির্দিষ্ট ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার দিয়ে। এই ক্লায়েন্ট সফটওয়্যারগুলো সাধারণত আইএসপি থেকে সরবরাহ করা হতো। অপরদিকে ওয়েবভিত্তিক ই-মেইল হলো আমরা বর্তমানে সাধারণত যে ই-মেইল সেবা ব্যবহার করি সেটি। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ই-মেইলে লগইন করে ই-মেইল সেবা ব্যবহার করার নাম ওয়েবমেইল। প্রথম উল্লেখযোগ্য, নির্ভরযোগ্য এবং বিনামূল্যে ওয়েবমেইল সেবা ছিল ১৯৯৬-এর হটমেইল। তবে এর আগে ১৯৯৪-৯৫ সালে চেষ্টা করা হয়েছিল। এর মাঝে ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত সোরেন ভাজরুমের ‘ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ মেইল’, ১৯৯৫ সালের ৩০ মার্চে প্রদর্শিত লুকা মানুনজার ‘ওয়েবমেইল’, ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে প্রদর্শিত রেমি ওয়েটজেলের ‘ওয়েবমেইল’ এবং ১৯৯৫ সালের ৮ আগস্ট প্রদর্শিত ম্যাট ম্যানকিনসের ‘ওয়েবেক্স’ উল্লেখযোগ্য। তবে ওয়েবমেইলকে জনপ্রিয় করতে হটমেইল ও রকেটমেইলের অবদান অনস্বীকার্য। এগুলোর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ ছিল এই ই-মেইল সেবা পাওয়া যেত বিনামূল্যে।

97
ব্রেন কমপিউটার ইন্টারফেস। সংক্ষেপে বিসিআই। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি জগতের গুরুত্বপূর্ণ এক প্রযুক্তি। এই বিসিআই প্রযুক্তি আরো নানা নামে পরিচিত। কেউ বলেন
মাইন্ড মেশিন ইন্টারফেস (এমএমআই), কেউ বলেন ডাইরেক্ট নিউরাল ইন্টারফেস (ডিএনআই) কিংবা ব্রেন মেশিন ইন্টারফেস (বিএমআই)। যে নামেই ডাকি, এই বিসিআই প্রযুক্তি হচ্ছে এমন এক প্রযুক্তি, যা সরাসরি সংযোগ গড়ে তোলে মানবমস্তিষ্ক ও একটি বাহ্যিক যন্ত্রের মধ্যে। এটি মানবমস্তিষ্ক ও যন্ত্রের মধ্যে সরাসরি সংযোগ গড়ে তোলার একটি উপায়।

98
নিঃসন্দেহে বলা যায়, লিনআক্সভিত্তিক মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়িড বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। বয়স খুব বেশিদিন না হলেও অ্যান্ড্রয়িডের রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ পটভূমি। সবার ধারণা গুগল অ্যান্ড্রয়িডের প্রবক্তা কোম্পানি। ব্যাপারটা কিছুটা ভিনড়ব। তথ্যপ্রযুক্তি জগতের বাঘা বাঘা কিছু উদ্যোক্তা ২০০৩ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যান্ড্রয়িড ইনকরপোরেটেড। ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অলটোভিত্তিক এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাদের তালিকায় ছিলেন সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানি ড্যাঞ্জারের (পরে মাইμোসফট স্বত্ব কিনে নেয়) সহপ্রতিষ্ঠাতাএবং অ্যাপল, ওয়েবটিভি ও ফিলিপসের পূর্বতন কর্মী অ্যান্ডি রুবিন, ওয়াইল্ডফায়ার কমিউনিকেশনস ইনকরপোরেটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিচ মাইনার, টি-মোবাইলের আগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক সিয়ারস এবং ওয়েবটিভির ডিজাইন ও ইন্টারফেস উনড়বয়ন বিভাগের
প্রধান μিস হোয়াইট। অ্যান্ড্রয়িডের উনড়বয়ন কার্যμম গোপনে চলতে থাকে। শুধু এটুকু জানানো হয় যে তারা মোবাইলের জন্য সফটওয়্যার নির্মাণ করছে। রুবিন সে বছরে অর্থাভাবে পড়লে তার বন্ধু স্টিভ পার্লম্যান তাকে বিনাশর্তে ১০ হাজার মার্কিন ডলার দেন। অ্যান্ড্রয়িডের পরবর্তী ইতিহাসের প্রধান অংশ গুগল। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট
অ্যান্ড্রয়িড ইনকরপোরেটেড কিনে নিয়ে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি বিভাগে পরিণত করে গুগল। রুবিনসহ অন্যান কর্মকর্তা যেমন ছিলেন তেমনই থাকলেন, শুধু স্বত্ব হস্তান্তর করা হয় গুগলের কাছে। এরপরও অনেক দিন ধরে অ্যান্ড্রয়িডের খবর গোপন রাখা হয়। এদিকে মোবাইল প্রযুক্তি জগতে কানাঘুষা আর গুজবের ছড়াছড়ি শুরু হয়ে যায়। এমনকি
বিবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো পত্রিকাও তাদের মতামত জানাতে বাদ রাখল না। এদিকে মোবাইল ফোন নির্মাতা ও নেটওয়ার্কিং কোম্পানিগুলোর সাথে নিরবচ্ছিনড়বভাবে কাজ করে যায় গুগল। ২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর গুগলের নেতৃত্বে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানি, নেটওয়ার্ক কোম্পানি, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর সমন্বয়ে ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স গঠন করা হয়। তাদের সবার লক্ষ্য ছিল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতের জন্য একটি নির্দিষ্ট মান নির্ধারণ করা। একই দিনে লিনআক্স কার্নেলভিত্তিক মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়িড আত্মপ্রকাশ করে। ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা প্রথম অ্যান্ড্রয়িড
ডিভাইস ছিল এইচটিসি ড্রিম। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বহু উনড়বয়ন ও নতুন প্রযুক্তির সংযোজনের পর অ্যান্ড্রয়িডের সর্বশেষ সংস্করণ ৪.২ জেলি বিন এখন বাজারে। সম্প্রতি এক খবরে জানা যায়, গুগলের অন্য বিভাগে কাজ করার জন্য রুবিন অ্যান্ড্রয়িডের কাজ ছেড়ে দিয়েছেন, তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গুগল μোম
প্রজেক্টের প্রধান সুন্দর পিচাই।

99
১৯৪৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রফেসর জন ভন নিউম্যান কমপিউটার ভাইরাসের ধারণা প্রকাশ করেন। তিনি দেখিয়েছিলেন কিভাবে একটি প্রোগ্রাম স্বয়ংμিয়ভাবে বাড়ে ও ছড়িয়ে পড়ার কাজ করে। নিউম্যান প্রথমবারের মতো এমন একটি কমপিউটার প্রোগ্রামের নকশা করেছিলেন, যা নিজ থেকে তৈরি হতে পারে। আর সে কারণেই তাকে কমপিউটার ভাইরাসের জনক বলা হয়। পরে নিউম্যানের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ১৯৭২ সালে ভেইথ রিসাক তার গবেষণার ফল প্রকাশ করেন। সিমেন্স ৪০০৪/৩৫ কমপিউটারের জন্য অ্যাসেম্বলার ল্যাঙ্গুয়েজে একটি পূর্ণাঙ্গ কমপিউটার ভাইরাসের কথা সেখানে লেখা ছিল। ১৯৮০ সালে জারগেন μস তার গবেষণাপত্রে স্বয়ংμিয়ভাবে তৈরি ও ছড়িয়ে পড়া কমপিউটার ভাইরাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা মানুষের শরীরের ভাইরাসের মতো আচরণ করে। যা হোক, এসবই ছিল তত্ত্ব ও গবেষণার ফল। যেখানে কোথাও ‘ভাইরাস’ শব্দটির উল্লেখ ছিল না। উপরোল্লিখিত সবাই এ ধরনের কমপিউটার প্রোগ্রামকে ‘অটোম্যাটা’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং কেউ এর ধ্বংসাত্মক দিকে প্রাধান্য দেননি। স্বয়ংμিয় এমন কমপিউটার প্রোগ্রামকে প্রথমবারের মতো ভাইরাস নামে অভিহিত করা হয় ১৯৬৯ সালে গ্যালাক্সি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ডেভিড গ্যারল্ডের ছোট গল্পে। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত তার উপন্যাস হোয়েন হারলি ওয়াজ ওয়ানেও তিনি এমন প্রোগ্রামকে ভাইরাস বলে উল্লেখ করেন। প্রথম কর্মক্ষম ভাইরাস তৈরি করা হয় ১৯৭১ সালে। বিবিএন টেকনোলজিসের বব থমাস পরীক্ষামূলকভাবে ‘μিপার’ নামে একটি ভাইরাস তৈরি করেন, যা শুধু টেনেক্স অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিইসি পিডিপি-১০ কমপিউটারকে আμান্ত করে। ভাইরাসটি এআরপিএনেটের মাধ্যমে বিভিনড়ব টার্মিনালে ছড়িয়ে পড়ে একটি বার্তা প্রদর্শন করতÑ আই অ্যাম দ্য μিপার, ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান! μিপার ভাইরাসকে মুছে ফেলতে ‘রিপার’ নামে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছিল। তবে μিপার তৈরি করা হয়েছিল গবেষণাগারে, উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষা করে দেখা। তবে এমন পেশাজীবী গবেষকের দিয়ে বা গবেষণাগারের বাইরে তৈরি
প্রথম কমপিউটার ভাইরাস ‘এলক ক্লোনার’। হাই স্কুলে পড়ার সময় রিচার্ড ¯েঙঊনটা শুধু মজা করার জন্য ১৯৮১ সালে এলক ক্লোনার তৈরি করেন, যা ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে অ্যাপল ডস ৩.৩ অপারেটিং সিস্টেমকে আμান্ত করত। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ফ্রেড কোহেন তার গবেষণাপত্রে ১৯৮৪ সালে এমন ধ্বংসাত্মক কমপিউটার প্রোগ্রামকে ভাইরাস বলে উল্লেখ করেন।

100
আমরা আগেই জেনেছি ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সরকারি সংস্থা তাদের নিজস্ব কমপিউটারগুলোর মাঝে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি নেটওয়ার্ক বা এআরপিএনেট। অল্প পরিসরের সেই কমপিউটার নেটওয়ার্কের প্রতিটি কমপিউটার আলাদাভাবে শনাক্ত করা এমন কোনো কঠিন কাজ ছিল না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যখন নেটওয়ার্ক বড় হতে শুরু করল, বেশি কমপিউটার নেটওয়ার্কের অন্তর্গত করা হলে প্রতিটি কমপিউটারকে আলাদা এবং অনন্য নাম্বার দিয়ে শনাক্ত করার ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল। ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইনফরমেশন সিস্টেম এজেন্সি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত প্রতিটি কমপিউটারকে শনাক্তকারী নাম্বার দেয়ার জন্য ইন্টারনেট অ্যাসাইনড নাম্বার অথরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এরই সূত্র ধরে ১৯৭৩ সালে শনাক্তকারী নাম্বার হিসেবে ইন্টারনেট প্রটোকল বা
আইপি অ্যাড্রেস সর্বজন গ্রাহ্য মান হিসেবে গৃহীত হয়। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কমপিউটারের সংখ্যা বাড়ে, নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত হলো, সব মিলিয়ে কমপিউটার
প্রযুক্তির তখন রমরমা অবস্থা। জটিল ও মনে রাখা কঠিন এমন আইপি অ্যাড্রেস নিয়ে মানুষ অভিযোগ করতে শুরু করেছিল। এদিকে গবেষকেরাও থেমে ছিলেন না। অবশেষে জন পোস্টেলের অনুরোধে ১৯৮৩ সালে পল মোকাপেট্রিস ডোমেইন নেম সিস্টেম এবং ১৯৮৪ সালে উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ও প্রযুক্তিবিদ নেম সার্ভার আবিষ্কার করেন। নেম সার্ভার হলো ডোমেইন নেমকে আইপি অ্যাড্রেসের সাথে যুক্ত করার পদ্ধতি। এর প্রায় বছরখানেক পর ১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চে বিশ্বের সর্বপ্রথম ডট কম
ডোমেইন নেম হিসেবে ংুসনড়ষরপং.পড়স নিবন্ধিত হয়। সে সময় ডোমেইন নেম নিবন্ধন করতে পকেটের স্বাস্থ্যের কোনো পরিবর্তন হতো না। কিন্তু প্রচুর চাহিদা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের জন্য ১৯৯৫ সালে প্রতি দুই বছরের জন্য নিবন্ধন মূল্য হিসেবে একশ’ আমেরিকান ডলার নির্ধারিত হয়েছিল। ছোট পরিসরের সেই কমপিউটার নেটওয়ার্ক বর্তমানে ইন্টারনেটে পরিণত হয়েছে। এর সাথে হাত ধরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে ডোমেইন নেম। এই দীর্ঘ পথপরিμমায় অনেক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল
ডোমেইন নেম নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য। বর্তমানে এই কাজটি করে চলেছে ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস বা আইসিএএনএন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইন্টারনেট, ওয়েব এবং ডোমেইনের ব্যবহার কী হারে বেড়েছে তা আমাদের অজানা নেই। এ বছরের জানুয়ারিতে ডট কম ডোমেইন দশ কোটির মাইলফলক ছুঁয়েছে।

101
ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর দূরপ্রান্তের কমপিউটারের মাঝে সংযোগ স্থাপন করার সমস্যা তো দূর হলো, কিন্তু তা কতটুকু কাজের ছিল? আইবিএমের পিসি, অ্যাপলের ম্যাকিনটোশ ও সে সময়ের অন্যান্য মাইμোকমপিউটার বাজারে আসার পর কমপিউটার ব্যক্তি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। সাধারণ ব্যবহারকারীর হাতের নাগালে কমপিউটার থাকলেও
কমপিউটার নেটওয়ার্কের দখল ছিল সরকারি দফতর, সামরিক বিভাগ ও গবেষকদের হাতে। এই সমস্যার কথা অনেকে ভাবে লও ইউরোপীয় গবেষণা সংস্থা সার্নের তৎকালীন
সফটওয়্যার প্রকৌশলী টিম বারনার্স লি’র মাথায় হয়তো বেশি করে কাজ করেছিল। পৃথিবীব্যাপী লাখ লাখ ক ম ি প উ ট া র ব্যবহারকারীকে এক সুতায় বেঁধে নতুন
সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করতে চেয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে তিনি তার পরিকল্পনা লিখিত আকারে জমা দিয়েছিলেন সার্নে। যেখানে কিছু প্রযুক্তির কথা উল্লেখ ছিল, যা ইন্টারনেটকে সব ব্যবহারকারীর কাছে ব্যবহারযোগ্য করে তুলবে। কিন্তু সার্নে তার প্রকল্প প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা না পেলেও সহযোগী রবার্ট ক্যালিও’র সহযোগিতায় পরের বছরের অক্টোবরে তিনি সেই প্রকল্পে কাজ শুরু করেন। এবার তিনি তিনটি মৌলিক প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করেন। প্রথমটি ছিল হাইপার টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ বা এইচটিএমএল, যা ওয়েব পেজকে উপস্থাপন করবে। দ্বিতীয়টি ছিল ইউনিফর্ম রিসোর্স আইডেন্টিফায়ার বা ইউআরআই, যা অনেকটা ঠিকানার মতো যে ঠিকানার মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি খুঁজে পাওয়া যাবে। শেষটি ছিল হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল বা এইচটিটিপি, যা ইউআরআইর মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি প্রদর্শন করতে সাহায্য
করবে। এটা নিশ্চয় আপনাদের বলে দিতে হবে না যে আজও তার সেই প্রযুক্তিতেই ইন্টারনেট চালিত হচ্ছে। টিম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে বিশ্বের প্রথম ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করেন, যা দিয়ে একই সাথে ওয়েব পেজ সম্পাদনার কাজও করা যেত। তিনি এইচটিটিপিডি নামে একটি ওয়েব সার্ভারও তৈরি করেন। ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে সার্নের পক্ষ থেকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকে রয়্যালটি ফ্রি ঘোষণার পর যে বিপ্লব ঘটে গেছে, তা আপনাদের চোখের সামনেই। ইন্টারনেটকে জনসাধারণের কাজে লাগানোর প্রবাদ পুরুষ এই ব্রিটিশ কমপিউটার বিজ্ঞানী বর্তমানে ডব্লিউ থ্রি কনসোর্টিয়ামের ডিরেক্টরসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মান অক্ষুণড়ব রাখতে এবং নিয়মিত উনড়বয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য ১৯৯৪ সালে ডব্লিউ থ্রি কনসোর্টিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়।

102
IT Forum / িগগািবট ওয়াইফাই
« on: May 29, 2013, 08:35:58 PM »
আমরা অনেকেই আমরা অনেকেই ওয়াইফাই শব্দটির সাথে পরিচিত। কিন্তু অনেকেই এর অর্থ জানেন না। ওয়াইফাই হচ্ছে ওয়্যারলেস ফিডেলিটির সংক্ষিপ্ত রূপ। তারবিহীন এ জনপ্রিয় দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক কানেকশনের গতি আরো বাড়িয়ে তাকে নতুনরূপে তুলে ধরা হচ্ছে নতুন বছরে। ওয়াইফাই টার্মটিকে ট্রেডমার্ক করা হচ্ছে আইইইই ৮০২.১১এক্স হিসেবে। এক্সের জায়গায় ছোট হাতের এ, বি, সি দিয়ে এর ভার্সন ও ক্ষমতা প্রকাশ করা হয়। আইইইই-ও বড় রূপ হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স। আরো উনড়বত ও দ্রুতগতির
এ নতুন ওয়্যারলেস কানেকশনের নাম দেয়া হয়েছে গিগাবিট ওয়াইফাই, যার স্ট্যান্ডার্ড নাম হচ্ছে আইইইই ৮০২.১১এসি। আগের তুলনায় এটি
তিনগুণ বেশি গতিতে কাজ করতে পারবে। সিঙ্গেল স্ট্রিমে ১৫০ এমবিপিএসের জায়গায় এটি পাবে ৪৫০ এমবিপিএস। একইভাবে ডুয়াল
ও ট্রিপল স্ট্রিমে পাবে যথাμমে ৯০০ এমবিপিএস ও ১.৩ গিগাহার্টজ। এটি ২.৪ গিগাহার্টজের আগের ওয়াইফাই ব্যান্ডের চেয়ে ৮এক্স বেশি চ্যানেল দিতে পারবে, যা ভিডিও স্ট্রিমিং ও গেমিংয়ের জন্য বেশ সুফল বয়ে আনবে। নতুন ওয়াইফাইটির ব্যান্ড হচ্ছে ৫ গিগাহার্টজ। এটি কাজ করবে বিম টেকনোলজিতে, যার ফলে ডেড স্পট পড়বে কম এবং অনেকদূর পর্যন্ত কানেকশন ছড়িয়ে দিতে পারবে।

Pages: 1 ... 5 6 [7]