Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - azad.ns

Pages: 1 [2] 3 4
16


বিজ্ঞানের কিছু তথ্য
« on: October 15, 2014, 03:48:46 PM »
Quote
০১. বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইড
পরিমাণ কত?
উ: ০.০৩%
০২. বায়ু প্রবাহিত হয়-
উ: উচ্চ চাপের স্থান
থেকে নিম্নচাপের দিকে
০৩. কোনটি তৈল বীজ নয়?
উ:অড়হর
০৪. বৈদ্যুতিক ঘন্টায় বিদ্যুৎ
শক্তি কোন প্রকার
শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
উ: শব্দ শক্তিতে
০৫. কোনটিতে ঋণাত্মক আধান
থাকে?
উ: ইলেক্ট্রন
০৬. পানি বরফে পরিণত
হলে কি ঘটবে?
উ: আয়তন বেড়ে যাবে
০৭. হ্যালির ধূমকেতু আবার
দেখা যাবে-
উ: ২০৬২ খ্রি.
০৮. বায়ুম-লের অক্সিজেনের
পরিমাণ
কত?
উ: ২০.৭১%
০৯. লেবুর রসে কোন এসিড থাকে?
উ: সাইট্রিক
১০. সৌরজগতের সবচেয়ে বেশি উপগ্রহ আছে?
উ: বৃহস্পতি

17

 
Posts: 1127
Working for a better life
View Profile  Golam Kibria  Email  Personal Message (Offline)

Bangla Joint Letter (বাংলা যুক্তবর্ণের তালিকা)
« on: January 06, 2013, 09:59:54 AM »
Quote
বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়।
ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা
ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয়
ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত
ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র
ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ
ক্ম = ক + ম; যেমন- রুক্মিণী
ক্য = ক + য; যেমন- বাক্য
ক্র = ক + র; যেমন- চক্র
ক্ল = ক + ল; যেমন- ক্লান্তি
ক্ষ = ক + ষ; যেমন- পক্ষ
ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন- তীক্ষ্ণ
ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন- ইক্ষ্বাকু
ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন- লক্ষ্মী
ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন- সৌক্ষ্ম্য
ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন- লক্ষ্য
ক্স = ক + স; যেমন- বাক্স
খ্য = খ + য; যেমন- সখ্য
খ্র = খ+ র যেমন; যেমন- খ্রিস্টান
গ্ণ = গ + ণ; যেমন - রুগ্ণ
গ্ধ = গ + ধ; যেমন- মুগ্ধ
গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন- বৈদগ্ধ্য
গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন- দোগ্ধ্রী
গ্ন = গ + ন; যেমন- ভগ্ন
গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন- অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়
গ্ব = গ + ব; যেমন- দিগ্বিজয়ী
গ্ম = গ + ম; যেমন- যুগ্ম
গ্য = গ + য; যেমন- ভাগ্য
গ্র = গ + র; যেমন- গ্রাম
গ্র্য = গ + র + য; যেমন- ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য, গ্র্যাজুয়েট
গ্ল = গ + ল; যেমন- গ্লানি
ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন- কৃতঘ্ন
ঘ্য = ঘ + য; যেমন- অশ্লাঘ্য
ঘ্র = ঘ + র; যেমন- ঘ্রাণ
ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন- অঙ্ক
ঙ্ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন- পঙ্ক্তি
ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন- অঙ্ক্য
ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন- আকাঙ্ক্ষা
ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন- শঙ্খ
ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন- অঙ্গ
ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন- ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি
ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন- সঙ্ঘ
ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন- দুর্লঙ্ঘ্য
ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন- অঙ্ঘ্রি
ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন- বাঙ্ময়
চ্চ = চ + চ; যেমন- বাচ্চা
চ্ছ = চ + ছ; যেমন- ইচ্ছা
চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন- জলোচ্ছ্বাস
চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন- উচ্ছ্রায়
চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন- যাচ্ঞা
চ্ব = চ + ব; যেমন- চ্বী
চ্য = চ + য; যেমন- প্রাচ্য
জ্জ = জ + জ; যেমন- বিপজ্জনক
জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন- উজ্জ্বল
জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন- কুজ্ঝটিকা
জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন- জ্ঞান
জ্ব = জ + ব; যেমন- জ্বর
জ্য = জ + য; যেমন- রাজ্য
জ্র = জ + র; যেমন- বজ্র
ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন- অঞ্চল
ঞ্ছ = ঞ + ছ; যেমন- লাঞ্ছনা
ঞ্জ = ঞ + জ; যেমন- কুঞ্জ
ঞ্ঝ = ঞ + ঝ; যেমন- ঝঞ্ঝা
ট্ট = ট + ট; যেমন- চট্টগ্রাম
ট্ব = ট + ব; যেমন- খট্বা
ট্ম = ট + ম; যেমন- কুট্মল
ট্য = ট + য; যেমন- নাট্য
ট্র = ট + র; যেমন- ট্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড্ড = ড + ড; যেমন- আড্ডা
ড্ব = ড + ব; যেমন- অন্ড্বান
ড্য = ড + য; যেমন- জাড্য
ড্র = ড + র; যেমন- ড্রাইভার, ড্রাম (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড়্গ = ড় + গ; যেমন- খড়্গ
ঢ্য = ঢ + য; যেমন- ধনাঢ্য
ঢ্র = ঢ + র; যেমন- মেঢ্র (ত্বক) (মন্তব্য: অত্যন্ত বিরল)
ণ্ট = ণ + ট; যেমন- ঘণ্টা
ণ্ঠ = ণ + ঠ; যেমন- কণ্ঠ
ণ্ঠ্য = ণ + ঠ + য; যেমন- কণ্ঠ্য
ণ্ড = ণ + ড; যেমন- গণ্ডগোল
ণ্ড্য = ণ + ড + য; যেমন- পাণ্ড্য
ণ্ড্র = ণ + ড + র; যেমন- পুণ্ড্র
ণ্ঢ = ণ + ঢ; যেমন- ষণ্ঢ
ণ্ণ = ণ + ণ; যেমন- বিষণ্ণ
ণ্ব = ণ + ব; যেমন- স্হাণ্বীশ্বর
ণ্ম = ণ + ম; যেমন- চিণ্ময়
ণ্য = ণ + য; যেমন- পূণ্য
ৎক = ত + ক; যেমন- উৎকট
ত্ত = ত + ত; যেমন- উত্তর
ত্ত্ব = ত + ত + ব; যেমন- সত্ত্ব
ত্ত্য = ত + ত + য; যেমন- উত্ত্যক্ত
ত্থ = ত + থ; যেমন- অশ্বত্থ
ত্ন = ত + ন; যেমন- যত্ন
ত্ব = ত + ব; যেমন- রাজত্ব
ত্ম = ত + ম; যেমন- আত্মা
ত্ম্য = ত + ম + য; যেমন- দৌরাত্ম্য
ত্য = ত + য; যেমন- সত্য
ত্র = ত + র যেমন- ত্রিশ, ত্রাণ
ত্র্য = ত + র + য; যেমন- বৈচিত্র্য
ৎল = ত + ল; যেমন- কাৎলা
ৎস = ত + স; যেমন- বৎসর, উৎসব
থ্ব = থ + ব; যেমন- পৃথ্বী
থ্য = থ + য; যেমন- পথ্য
থ্র = থ + র; যেমন- থ্রি (three) (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
দ্গ = দ + গ; যেমন- উদ্গম
দ্ঘ = দ + ঘ; যেমন- উদ্ঘাটন
দ্দ = দ + দ; যেমন- উদ্দেশ্য
দ্দ্ব = দ + দ + ব; যেমন- তদ্দ্বারা
দ্ধ = দ + ধ; যেমন- রুদ্ধ
দ্ব = দ + ব; যেমন- বিদ্বান
দ্ভ = দ + ভ; যেমন- অদ্ভুত
দ্ভ্র = দ + ভ + র; যেমন- উদ্ভ্রান্ত
দ্ম = দ + ম; যেমন- ছদ্ম
দ্য = দ + য; যেমন- বাদ্য
দ্র = দ + র; যেমন- রুদ্র
দ্র্য = দ + র + য; যেমন- দারিদ্র্য
ধ্ন = ধ + ন; যেমন- অর্থগৃধ্নু
ধ্ব = ধ + ব; যেমন- ধ্বনি
ধ্ম = ধ + ম; যেমন- উদরাধ্মান
ধ্য = ধ + য; যেমন- আরাধ্য
ধ্র = ধ + র; যেমন- ধ্রুব
ন্ট = ন + ট; যেমন- প্যান্ট (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ন্ট্র = ন + ট + র; যেমন- কন্ট্রোল (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ন্ঠ = ন + ঠ; যেমন- লন্ঠন
ন্ড = ন + ড; যেমন- গন্ডার, পাউন্ড
ন্ড্র = ন + ড + র; যেমন- হান্ড্রেড
ন্ত = ন + ত; যেমন- জীবন্ত
ন্ত্ব = ন + ত + ব; যেমন- সান্ত্বনা
ন্ত্য = ন + ত + য; যেমন- অন্ত্য
ন্ত্র = ন + ত + র; যেমন- মন্ত্র
ন্ত্র্য = ন + ত + র + য; যেমন- স্বাতন্ত্র্য
ন্থ = ন + থ; যেমন- গ্রন্থ
ন্থ্র = ন + থ + র; যেমন- অ্যান্থ্রাক্স (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ন্দ = ন + দ; যেমন- ছন্দ
ন্দ্য = ন + দ + য; যেমন- অনিন্দ্য
ন্দ্ব = ন + দ + ব; যেমন- দ্বন্দ্ব
ন্দ্র = ন + দ + র; যেমন- কেন্দ্র
ন্ধ = ন + ধ; যেমন- অন্ধ
ন্ধ্য = ন + ধ + য; যেমন- বিন্ধ্য
ন্ধ্র = ন + ধ + র; যেমন- রন্ধ্র
ন্ন = ন + ন; যেমন- নবান্ন
ন্ব = ন + ব; যেমন- ধন্বন্তরি
ন্ম = ন + ম; যেমন- চিন্ময়
ন্য = ন + য; যেমন- ধন্য
প্ট = প + ট; যেমন- পাটি-সাপ্টা, ক্যাপ্টেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
প্ত = প + ত; যেমন- সুপ্ত
প্ন = প + ন; যেমন- স্বপ্ন
প্প = প + প; যেমন- ধাপ্পা
প্য = প + য; যেমন- প্রাপ্য
প্র = প + র; যেমন- ক্ষিপ্র
প্র্য = প + র + য; যেমন- প্র্যাকটিস (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
প্ল = প + ল; যেমন-আপ্লুত
প্স = প + স; যেমন- লিপ্সা
ফ্র = ফ + র; যেমন- ফ্রক, ফ্রিজ, আফ্রিকা, রেফ্রিজারেটর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ফ্ল = ফ + ল; যেমন- ফ্লেভার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ব্জ = ব + জ; যেমন- ন্যুব্জ
ব্দ = ব + দ; যেমন- জব্দ
ব্ধ = ব + ধ; যেমন- লব্ধ
ব্ব = ব + ব; যেমন- ডাব্বা
ব্য = ব + য; যেমন- দাতব্য
ব্র = ব + র; যেমন- ব্রাহ্মণ
ব্ল = ব + ল; যেমন- ব্লাউজ
ভ্ব =ভ + ব; যেমন- ভ্বা
ভ্য = ভ + য; যেমন- সভ্য
ভ্র = ভ + র; যেমন- শুভ্র
ম্ন = ম + ন; যেমন- নিম্ন
ম্প = ম + প; যেমন- কম্প
ম্প্র = ম + প + র; যেমন- সম্প্রতি
ম্ফ = ম + ফ; যেমন- লম্ফ
ম্ব = ম + ব; যেমন- প্রতিবিম্ব
ম্ব্র = ম + ব + র; যেমন- মেম্ব্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ম্ভ = ম + ভ; যেমন- দম্ভ
ম্ভ্র = ম + ভ + র; যেমন- সম্ভ্রম
ম্ম = ম + ম; যেমন- সম্মান
ম্য = ম + য; যেমন- গ্রাম্য
ম্র = ম + র; যেমন- নম্র
ম্ল = ম + ল; যেমন- অম্ল
য্য = য + য; যেমন- ন্যায্য
র্ক = র + ক; যেমন - তর্ক
র্ক্য = র + ক + য; যেমন- অতর্ক্য (তর্ক দিয়ে যার সমাধান হয় না)
র্গ্য = র + গ + য; যেমন - বর্গ্য (বর্গসম্বন্ধীয়)
র্ঘ্য = র + ঘ + য; যেমন- দৈর্ঘ্য
র্চ্য = র + চ + য; যেমন- অর্চ্য (পূজনীয়)
র্জ্য = র + জ + য; যেমন- বর্জ্য
র্ণ্য = র + ণ + য; যেমন- বৈবর্ণ্য (বিবর্ণতা)
র্ত্য = র + ত + য; যেমন- মর্ত্য
র্থ্য = র + থ + য; যেমন- সামর্থ্য
র্ব্য = র + ব + য; যেমন- নৈর্ব্যক্তিক
র্ম্য = র + ম + য; যেমন- নৈষ্কর্ম্য
র্শ্য = র + শ + য; যেমন- অস্পর্শ্য
র্ষ্য = র + ষ + য; যেমন- ঔৎকর্ষ্য
র্হ্য = র + হ + য; যেমন- গর্হ্য
র্খ = র + খ; যেমন- মূর্খ
র্গ = র + গ; যেমন- দুর্গ
র্গ্র = র + গ + র; যেমন- দুর্গ্রহ, নির্গ্রন্হ
র্ঘ = র + ঘ; যেমন- দীর্ঘ
র্চ = র + চ; যেমন- অর্চনা
র্ছ = র + ছ; যেমন- মূর্ছনা
র্জ = র + জ; যেমন- অর্জন
র্ঝ = র + ঝ; যেমন- নির্ঝর
র্ট = র + ট; যেমন- আর্ট, কোর্ট, কম্ফর্টার, শার্ট, কার্টিজ, আর্টিস্ট, পোর্টম্যানটো, সার্টিফিকেট, কনসার্ট, কার্টুন, কোয়ার্টার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
র্ড = র + ড; যেমন- অর্ডার, লর্ড, বর্ডার, কার্ড (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
র্ণ = র + ণ; যেমন- বর্ণ
র্ত = র + ত; যেমন- ক্ষুধার্ত
র্ত্র = র + ত + র; যেমন- কর্ত্রী
র্থ = র + থ; যেমন- অর্থ
র্দ = র + দ; যেমন- নির্দয়
র্দ্ব = র + দ + ব; যেমন- নির্দ্বিধা
র্দ্র = র + দ + র; যেমন- আর্দ্র
র্ধ = র + ধ; যেমন- গোলার্ধ
র্ধ্ব = র + ধ + ব; যেমন- ঊর্ধ্ব
র্ন = র + ন; যেমন- দুর্নাম
র্প = র + প; যেমন- দর্প
র্ফ = র + ফ; যেমন- স্কার্ফ (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
র্ভ = র + ভ; যেমন- গর্ভ
র্ম = র + ম; যেমন- ধর্ম
র্য = র + য; যেমন- আর্য
র্ল = র + ল; যেমন- দুর্লভ
র্শ = র + শ; যেমন- স্পর্শ
র্শ্ব = র+ শ + ব; যেমন- পার্শ্ব
র্ষ = র + ষ; যেমন- ঘর্ষণ
র্স = র + স; যেমন- জার্সি, নার্স, পার্সেল, কুর্সি (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
র্হ = র + হ; যেমন- গার্হস্থ্য
র্ঢ্য = র + ঢ + য; যেমন- দার্ঢ্য (অর্থাৎ দৃঢ়তা)
ল্ক = ল + ক; যেমন- শুল্ক
ল্ক্য = ল + ক + য; যেমন- যাজ্ঞবল্ক্য
ল্গ = ল + গ; যেমন- বল্গা
ল্ট = ল + ট; যেমন- উল্টো
ল্ড = ল + ড; যেমন- ফিল্ডিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ল্প = ল + প; যেমন- বিকল্প
ল্ফ = ল + ফ; যেমন- গল্ফ (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ল্ব = ল + ব; যেমন- বিল্ব, বাল্ব
ল্ভ = ল + ভ; যেমন- প্রগল্ভ
ল্ম = ল + ম; যেমন- গুল্ম
ল্য = ল + য; যেমন- তারল্য
ল্ল = ল + ল; যেমন- উল্লাস
শ্চ = শ + চ; যেমন- পুনশ্চ
শ্ছ = শ + ছ; যেমন- শিরশ্ছেদ
শ্ন = শ + ন; যেমন- প্রশ্ন
শ্ব = শ + ব; যেমন- বিশ্ব
শ্ম = শ + ম; যেমন- জীবাশ্ম
শ্য = শ + য; যেমন- অবশ্য
শ্র = শ + র; যেমন- মিশ্র
শ্ল = শ + ল; যেমন- অশ্লীল
ষ্ক = ষ + ক; যেমন- শুষ্ক
ষ্ক্র = ষ + ক + র; যেমন- নিষ্ক্রিয়
ষ্ট = ষ + ট; যেমন- কষ্ট
ষ্ট্য = ষ + ট + য; যেমন- বৈশিষ্ট্য
ষ্ট্র = ষ + ট + র; যেমন- রাষ্ট্র
ষ্ঠ = ষ + ঠ; যেমন- শ্রেষ্ঠ
ষ্ঠ্য = ষ + ঠ + য; যেমন- নিষ্ঠ্যূত
ষ্ণ = ষ + ণ; যেমন- কৃষ্ণ
ষ্প = ষ + প; যেমন- নিষ্পাপ
ষ্প্র = ষ + প + র; যেমন- নিষ্প্রয়োজন
ষ্ফ = ষ + ফ; যেমন- নিষ্ফল
ষ্ব = ষ + ব; যেমন- মাতৃষ্বসা
ষ্ম = ষ + ম; যেমন- উষ্ম
ষ্য = ষ + য; যেমন- শিষ্য
স্ক = স + ক; যেমন- মনোস্কামনা
স্ক্র = স + ক্র; যেমন- ইস্ক্রু (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্খ = স + খ; যেমন- স্খলন
স্ট = স + ট; যেমন- স্টেশন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্ট্র = স + ট্র; যেমন- স্ট্রাইক (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্ত = স + ত; যেমন- ব্যস্ত
স্ত্ব = স + ত + ব; যেমন- বহিস্ত্বক
স্ত্য = স + ত + য; যেমন-অস্ত্যর্থ
স্ত্র = স + ত + র; যেমন- স্ত্রী
স্থ = স + থ; যেমন- দুঃস্থ
স্থ্য = স + থ + য; যেমন- স্বাস্থ্য
স্ন = স + ন; যেমন- স্নান
স্প = স + প; যেমন- আস্পর্ধা
স্প্র = স + প +র; যেমন- স্প্রিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্প্ল = স + প + ল; যেমন- স্প্লিন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্ফ = স + ফ; যেমন- আস্ফালন
স্ব = স + ব; যেমন- স্বর
স্ম = স + ম; যেমন- স্মরণ
স্য = স + য; যেমন- শস্য
স্র = স + র; যেমন- অজস্র
স্ল = স + ল; যেমন- স্লোগান
হ্ণ = হ + ণ; যেমন- অপরাহ্ণ
হ্ন = হ + ন; যেমন- চিহ্ন
হ্ব = হ + ব; যেমন- আহ্বান
হ্ম = হ + ম; যেমন- ব্রাহ্মণ
হ্য = হ + য; যেমন- বাহ্য
হ্র = হ + র; যেমন- হ্রদ
হ্ল = হ + ল; যেমন- আহ্লাদ

18
General Knowledge / Re: 64 Important Elaboration
« on: June 16, 2017, 07:53:40 PM »
৬৪টি সংক্ষিপ্ত শব্দের পুর্ন রুপ জানুন
১। Wi-Fi র পূর্ণরূপ — Wireless Fidelity.
২। HTTP এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer
Protocol.
৩। HTTPS এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Transfer
Protocol Secure.
৪। URL এর পূর্ণরূপ — Uniform Resource Locator.
৫। IP এর পূর্ণরূপ— Internet Protocol
৬। VIRUS এর পূর্ণরূপ — Vital Information
Resource Under Seized.
৭। SIM এর পূর্ণরূপ — Subscriber Identity Module.
৮। 3G এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation.
৯। GSM এর পূর্ণরূপ — Global System for Mobile
Communication.
১০। CDMA এর পূর্ণরূপ — Code Divison Multiple
Access.
১১। UMTS এর পূর্ণরূপ — Universal Mobile
Telecommunication
System.
১২। RTS এর পূর্ণরূপ — Real Time Streaming
১৩। AVI এর পূর্ণরূপ — Audio Video Interleave
১৪। SIS এর পূর্ণরূপ — Symbian OS Installer File
১৫। AMR এর পূর্ণরূপ — Adaptive Multi-Rate
Codec
১৬। JAD এর পূর্ণরূপ — Java Application
Descriptor
১৭। JAR এর পূর্ণরূপ — Java Archive
১৮। MP3 এর পূর্ণরূপ — MPEG player lll
১৯। 3GPP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation
Partnership Project
২০। 3GP এর পূর্ণরূপ — 3rd Generation Project
২১। MP4 এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 video file
২২। AAC এর পূর্ণরূপ — Advanced Audio Coding
২৩। GIF এর পূর্ণরূপ — Graphic Interchangeable
Format
২৪। BMP এর পূর্ণরূপ — Bitmap
২৫। JPEG এর পূর্ণরূপ — Joint Photographic
Expert Group
২৬। SWF এর পূর্ণরূপ — Shock Wave Flash
২৭। WMV এর পূর্ণরূপ — Windows Media Video
২৮। WMA এর পূর্ণরূপ — Windows Media Audio
২৯। WAV এর পূর্ণরূপ — Waveform Audio
৩০। PNG এর পূর্ণরূপ — Portable Network
Graphics
৩১। DOC এর পূর্ণরূপ — Doc**ent (Microsoft
Corporation)
৩২। PDF এর পূর্ণরূপ — Portable Doc**ent Format
৩৩। M3G এর পূর্ণরূপ — Mobile 3D Graphics
৩৪। M4A এর পূর্ণরূপ — MPEG-4 Audio File
৩৫। NTH এর পূর্ণরূপ — Nokia Theme(series 40)
৩৬। THM এর পূর্ণরূপ — Themes (Sony Ericsson)
৩৭। MMF এর পূর্ণরূপ — Synthetic Music Mobile
Application File
৩৮। NRT এর পূর্ণরূপ — Nokia Ringtone
৩৯। XMF এর পূর্ণরূপ — Extensible Music File
৪০। WBMP এর পূর্ণরূপ — Wireless Bitmap Image
৪১। DVX এর পূর্ণরূপ — DivX Video
৪২। HTML এর পূর্ণরূপ — Hyper Text Markup
Language
৪৩। WML এর পূর্ণরূপ — Wireless Markup
Language
৪৪। CD এর পূর্ণরূপ — Compact Disk.
৪৫। DVD এর পূর্ণরূপ — Digital Versatile Disk.
৪৬। CRT — Cathode Ray Tube.
৪৭। DAT এর পূর্ণরূপ — Digital Audio Tape.
৪৮। DOS এর পূর্ণরূপ — Disk Operating System.
৪৯। GUI এর পূর্ণরূপ — Graphical User Interface.
৫০। ISP এর পূর্ণরূপ — Internet Service Provider.
৫১। TCP এর পূর্ণরূপ — Transmission Control
Protocol.
৫২। UPS এর পূর্ণরূপ — Uninterruptible Power
Supply.
৫৩। HSDPA এর পূর্ণরূপ — High Speed Downlink
Packet Access.
৫৪। EDGE এর পূর্ণরূপ — Enhanced Data Rate for
GSM [Global System for Mobile Communication]
৫৫। VHF এর পূর্ণরূপ — Very High Frequency.
৫৬। UHF এর পূর্ণরূপ — Ultra High Frequency.
৫৭। GPRS এর পূর্ণরূপ — General Packet Radio
Service.
৫৮। WAP এর পূর্ণরূপ — Wireless
Application Protocol.
৫৯। ARPANET এর পূর্ণরূপ — Advanced Research
Project Agency Network.
৬০। IBM এর পূর্ণরূপ — International Business
Machines.
৬১। HP এর পূর্ণরূপ — Hewlett Packard.
৬২। AM/FM এর পূর্ণরূপ — Amplitude/ Frequency
Modulation.
৬৩। WLAN এর পূর্ণরূপ — Wireless Local Area
Network
৬৪। USB এর পূর্ণরূপ — Universal Serial Bus.
MZ

19
যখন স্বাভাবিক চাপের হারের চেয়ে বেশি উচ্চ মাত্রায় ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয় তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হয়েছে বলা হয়। এর  ফলে ধমনী ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এটি বেশিরভাগ পূর্ণ বয়স্ক মানুষের সাধারণ স্বাস্থ্যগত সমস্যা হলেও বছরের পর বছর তা অলক্ষেই থেকে যায়। এই অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে, যাতে রক্তনালী গুলো উন্মুক্ত ও প্রসারিত থাকে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বাহির হয়ে যায়। যদি আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে কিছু স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু ও হার্টের জন্য উপকারি বেছে নিতে পারেন। আমরা জানি উচ্চমাত্রার সম্পৃক্তচর্বি ও কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করে রক্তচাপ কমানো যায়। তাজা ফলমূল, শাকসবজি, কম চর্বিযুক্ত দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেলে রক্তচাপ কমে। আজ তাহলে এমন কিছু খাবারের কথাই জেনে নেই আসুন যা আপনাকে হাইপারটেনশন মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।
১। কলা
কলা শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয় বরং স্ট্রোক ও হার্ট ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। কলাতে পটাসিয়াম থেকে সোডিয়াম পর্যন্ত সকল ধরণের খনিজ থাকে। একটি মাঝারি আকারের কলাতে ১% ক্যালসিয়াম, ৮% ম্যাগনেসিয়াম এবং ১২% পটাসিয়াম থাকে। মূত্রবর্ধক হিসেবে পটাসিয়াম খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তাই দিনে একটি বা দুটি কলা খেলে রক্তের সুগার লেভেল পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
২। সূর্যমুখীর বীজ
ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস সূর্যমুখীর বীজ। এক কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ সূর্যমুখীর বীজ স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন। তবে অবশ্যই লবণ ছাড়া যেনো হয়।
৩। ডার্ক চকলেট
২০০৭ সালের জুলাই মাসে “দ্যা জার্নাল অফ দ্যা আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন” (JAMA)  তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয় যে, প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে ডার্ক চকলেট খেলে রক্তচাপ কমে। ডার্ক চকলেটে ফ্লেভোনলস নামক উপাদান থাকে যা কারডিওভাস্কুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায়।
৪। পালংশাক
সবুজ শাক বিশেষ করে পালংশাকে ক্যালোরি কম থাকে, উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে এবং হৃদস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর উপাদান যেমন- পটাসিয়াম, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়ামে পরিপূর্ণ থাকে। রক্তচাপের মাত্রা স্বাস্থ্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণের মূল উপাদানই এগুলো।
৫। টমেটো
লাইকোপেন ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে টমেটোতে যা রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে। পটাসিয়াম এর একটি ভালো উৎস টমেটো। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে উচ্চরক্তচাপ কমতে ও হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়।
৬। রসুন
রসুন হাইপারটেনশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার একটি ভালো উপাদান। কারণ রসুন রক্তকে পাতলা করে। যখন রসুনকে টুকরো টুকরো করা হয় তখন আলিসিন উৎপন্ন হয় যা একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এটি হাইপারটেনশনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে যেমন- স্টোক, হার্ট ডিজিজ ইত্যাদি। রসুন কোলেস্টেরল কমতেও সাহায্য করে।
৭। পাস্তুরিত দুধ
এটি শরীরের জন্য সত্যিই উপকারি। পাস্তুরিত দুধ ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিটামিন ডি প্রদান করে। এই ৩টি উপাদান একত্রে একটি টিমের মত কাজ করে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা ৩-১০% পর্যন্ত কমাতে পারে।
৮। সিদ্ধ আলু
ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম এ ভরপুর সিদ্ধ আলু যা হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। যখন পটাসিয়াম কমে যায় তখন শরীর অতিরিক্ত সোডিয়াম ধরে রাখে এবং সোডিয়াম বৃদ্ধি পেলে রক্তচাপ ও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে যখন আমরা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাই তখন শরীর অতিরিক্ত সোডিয়াম বাহির করে দেয়। ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম এর মত খনিজ উপাদানগুলো একসাথে রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটায়।                                                     
উচ্চ রক্তচাপের উপর আরো অনেক কারণই প্রভাব বিস্তার করে যেমন- শারীরিক কার্যকারিতা, পর্যাপ্ত ঘুম, সান এক্সপোজার, মেডিটেশন এবং অন্যান্য স্ট্রেস ব্যবস্থাপনার কাজগুলো করা ইত্যাদি। তবে আপনি কি খাচ্ছেন তা অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এমন আরো অনেক খাবারই আছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যেমন- সয়াবিন, মটরশুঁটি, জলপাই তেল, গ্রিনটি, হলুদ, কাঠবাদাম, বিট ও মাছের তেল, কিউই, পিচফল, টকদই, আস্ত শস্যদানা ইত্যাদি।       
লিখেছেন-
সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম

20
হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সঠিক খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে এর থেকে দূরে থাকা সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য এমন সব খাবারের পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে থাকবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।
কারণ খাদ্যের এসব উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাদ্য যেমন দই ইত্যাদিতে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম।
তাজা ফল যেমন আপেল, কলা আর শাকসবজি হচ্ছে পটাশিয়ামের ভালো উৎস। টমেটোতেও আছে বেশ পটাশিয়াম।
বেশি ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় দানা শস্য বা গোটা শস্য, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, শিমের বিচি, ডাল, ছোলা, লাল চালের ভাত, লাল আটা, আলু, সবুজ শাকসবজি, টমেটো, তরমুজ, দুধ ও দই ইত্যাদিতে।

১. কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে ২ থেকে ৩ সার্ভিং। এক সার্ভিং দুধ বা দুধজাত খাবার মানে আধা পাউন্ড বা এক গ্লাস দুধ অথবা এক কাপ দই।

৩. ফল ৪ থেকে ৫ সার্ভিং প্রতিদিন। টুকরো টুকরো করে কাটা আধা কাপ ফল কিংবা মাঝারি সাইজের একটা আপেল বা অর্ধেকটা কলা অথবা আধা কাপ ফলের রস এতে হবে ফলের এক সার্ভিং। ফলের রসের চেয়ে আস্ত ফলই ভালো।

৪. শাকসবজি প্রতিদিন প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। শাকসবজির এক সার্ভিং মানে এক কাপ কাঁচা শাক বা আধা কাপ রান্না করা শাক।

৫. দানা শস্য প্রতিদিন দরকার ৭ থেকে ৮ সার্ভিং। দানা শস্যের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক স্লাইস রুটি অথবা আধাকাপ ভাত বা এক কাপ পরিমাণ গোটা দানা শস্য।

৬. বিচি জাতীয় খাবার প্রতি সপ্তাহে প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। বিচি জাতীয় খাবারের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ বাদাম বা আধাকাপ রান্না করা শিম বা মটরশুঁটি।

21
ডায়াবেটিসের রোগীদের শরীর ঠিক রেখে রোজা পালনের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া ভালো। রমজানে হঠাৎ যেকোনো সময় রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। আর দিনের শেষে হঠাৎ অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়ার কারণে বাড়তে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা। শরীরে পানিশূন্যতা ও লবণস্বল্পতাও হতে পারে। এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি পরামর্শ:
*রমজানের আগেই ডায়াবেটিস রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের কাছে জেনে নিতে হবে, তাঁর শারীরিক অবস্থা রোজা পালনের উপযুক্ত কি না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে ধারণা নিন। এ মাসের জন্য পৃথক খাদ্যতালিকা সংগ্রহ করুন।
*রমজানে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত খাবারগুলোকে তিন ভাগ করে নিতে হবে। চিনিযুক্ত পানীয়, জিলাপি বা মিষ্টি খাবার বর্জনীয়। দু-একটা খেজুর খাওয়া যাবে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার বর্জন করাই ভালো। সন্ধ্যার পর প্রচুর পানি, লেবু-পানি (লবণ দিয়ে) বা ডাবের পানি পান করুন। সেহ্রি অবশ্যই খেতে হবে। দিনের বেলায় ব্যায়াম না করাই ভালো। ইফতারের দু-এক ঘণ্টা পর ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন।
*রমজানে কিছু ওষুধের কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হয় না, আবার কোনো কোনো ওষুধ ও ইনসুলিনের পরিমাণ, মাত্রা ও প্রয়োগের সময় বদলাতে হয়। এ বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করে জেনে নিন। রোজাদার ডায়াবেটিস রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পরিবারের অন্যান্য সদস্যকেও সচেতন থাকতে হবে।
অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান
বিভাগীয় প্রধান, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

 

22
পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু যারা ভাত খান তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিজ্ঞানীদের মতে, সাদা ভাতের শ্বেতসার যে ক্যালোরি পাওয়া যায়, তা দেহে শর্করা এবং মেদের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

বিজ্ঞানীদের হিসেব মতে, এক কাপ ভাত থেকে প্রায় ২০০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে, ভাতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি হয়; যা আক্রান্ত রোগীর শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থ থাকতে প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকের পরামর্শে কম পরিমাণে ভাত খাওয়া নিয়ে সব সময় নানা অভিযোগ তুলেন ভাত খেয়ে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা। এ অভিযোগের সমাপ্তি ঘটতে চলেছে। এমনটাই দাবি করেছেন শ্রীলঙ্কার বিজ্ঞানী সুদাহির জেমস এবং ড. পুষ্পরাজা তাবরাজা।

দেশটির কলেজ অব কেমিক্যাল সায়েন্সে দীর্ঘ গবেষণার পর তারা জানান, ভাতে ক্যালোরির পরিমাণ কমিয়ে আনলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যায়। ভাত রান্নার বিশেষ কৌশল অবলম্বন করলে এ ক্যালোরির পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব।

আজ সোমবার আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির জাতীয় সভায় ওই গবেষণার প্রাথমিক ফল প্রকাশ করেন তারা।

এতে রান্নার বিষেয় কৌশলের বর্ণনা দিয়েছেন গবেষক সুদাহির জেমস। তিনি বলেন, প্রথমে একটি পাত্রে পানি ফোটাতে হবে। ওই পানিতে যে পরিমাণ চাল রান্না করা হবে, তার ৩ শতাংশ পরিমাণ নারকেল তেল দিতে হবে। এরপর সেই পানিতে চাল দিতে হবে। ভাত হওয়ার পর তা ফ্রিজে ১২ ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা করতে হবে।
ড. পুষ্পরাজা বলেন, বিভিন্ন ধরনের চালে ১০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যালোরি থাকে। নারকেল তেল দিয়ে ভাত রান্নার পর তা টানা ১২ ঘণ্টা ধরে ফ্রিজে রাখার ফলে ভাতে যে শ্বেতসার থাকে- তার রাসায়নিক প্রকৃতি বদলে যায়। এতে ভাতের ক্যালোরির পরিমাণও কমে যায়। ক্যালোরির পরিমাণ কমলে ভাতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে যায়।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত শ্রীলংকার ৩৮ প্রজাতির চাল দিয়ে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর সব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ পদ্ধতি রান্নার ফলে সব ধরনের চালের ক্যালোরির পরিমাণ অনেকাংশ কমে যায়। আরও ৪ প্রজাতির চালে এ পরীক্ষা চালানো হবে। একইসঙ্গে নারকেল তেল ছাড়া অন্য কোনো তেলে এই সুফল পাওয়া যায় কি না- তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।

23
ইদানীং ক্লান্তি লাগে। স্ট্যামিনা যেন কমে যাচ্ছে। এনার্জি লেভেল লো। আগে অনেক পরিশ্রম করেও হাঁপিয়ে উঠতেন না। এখন অফিস থেকে ফিরে এত ক্লান্তি লাগে যে বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও আর বেরোতে ইচ্ছা হয় না। একি বয়স বাড়ার ফল? বুড়িয়ে যাওয়ার উপসর্গ? অনেকে তো অনেক বেশি বয়সেও এত উদ্দীপ্ত থাকেন, যেন চিরতরুণ। তবে আপনার এমন লাগবে কেন?

এক. অনেক সময় কিছু সাধারণ রোগের জন্য শক্তি কমে যেতে থাকে। ক্লান্তি ও অবসাদ লাগে। এর অন্যতম হলো ডায়াবেটিস। এ ছাড়া থাইরয়েডের সমস্যা, রক্তশূন্যতা বা হৃদ্রোগ আপনার শক্তি ও উদ্দীপনা কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি নির্ঘুমতা, স্লিপ এপনিয়া বা বিষণ্নতায় ভুগলে সারা দিন অবসাদগ্রস্ত লাগে। কিছু করতে ইচ্ছা হয় না। জেনে নিন, আপনার এ ধরনের কোনো সমস্যা আছে কি না।
দুই. অনেক ওষুধ আছে যেগুলো সেবন করলে সাময়িকভাবে ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ত লাগে। যেমন স্নায়ুরোগে ব্যবহৃত কিছু ওষুধ, ডাইউরেটিক, অ্যান্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ। কোনো ওষুধ শুরু করার পর আপনার খারাপ লাগলে চিকিৎসককে অবহিত করুন।
তিন. খাদ্যাভ্যাসে কোনো সমস্যা আছে কি না, খেয়াল করুন। অনেকেই কিছু না বুঝে উল্টাপাল্টা ডায়েট শুরু করে দিয়ে এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন। ডায়েট করার সময় ক্যালরি মেপে চার্ট করে নিতে হবে যেন ক্যালরি প্রয়োজনের তুলনায় কম না হয়ে যায়। তাহলে আপনার অবসাদ লাগবে। ডায়েট করার অর্থ না খেয়ে থাকা নয়। কোনো খাবার, বিশেষ করে সকালের নাশতা বাদ দেওয়া যাবে না। বিপাক ক্রিয়া বা মেটাবলিজম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে। নিয়মিত বিরতিতে খেতে হবে।
চার. এমন হতে পারে যে আসলে আপনার ফিটনেস কমে যাচ্ছে। ফিটনেস বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো কৌশল হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা বা হাঁটা। ব্যায়াম আপনার ফুসফুস, হৃদ্যন্ত্র ও পেশির কর্মক্ষমতা বাড়ায়, জ্বালানি জোগায়। গবেষণায় প্রমাণিত যে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পাঁচ. কর্মদক্ষতা ও উদ্দীপনা ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ভালো ঘুম চাই। রাত জেগে কাজ করবেন না। সময়মতো ঘুমাতে যান এবং সময়মতো ঘুম থেকে উঠুন। যাঁরা কাজের জন্য রাতে যথেষ্ট ঘুমাতে পারেন না বা খুব ভোরে ওঠেন, তাঁরা দুপুরে সময় পেলে আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে পারেন। এতে ক্লান্তি দূর হয়।
ছয়. যথেষ্ট পানি পান করুন। গরমে পানিশূন্যতা ও লবণশূন্যতা ক্লান্তি আনে। গরমের দিনে পানির সঙ্গে ফলের রস, ডাবের পানি, লেবু পানি, টক দই ইত্যাদি খেতে পারেন। এতে স্ট্যামিনা ফিরে পাবেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন একমুঠো বাদামে ম্যাগনেসিয়াম পাবেন, যা উদ্দীপনা বাড়ায়। আমিষ খাবেন যথেষ্ট। বিশেষ করে মাছ। এ ছাড়া খাবেন দুধ। ভিটামিন ডি আছে সূর্যালোকে, তাই বাইরে গিয়ে হাঁটুন। ভিটামিন ডি-এর অভাব কিন্তু অবসাদ বাড়াতে পারে।
সাত. একঘেয়ে জীবনযাপন অনেক সময় শরীর-মনে ক্লান্তি আনে। তাই মাঝে মাঝে রুটিন বদলানো ভালো। দু-এক দিনের সুযোগ পেলে সপরিবার বা সবান্ধব ঘুরতে চলে যান।

মেডিসিন বিভাগ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

24

 
Posts: 105
Test
View Profile  Email  Personal Message (Offline)

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ফোরজি স্মার্টফোন
« on: May 06, 2017, 01:12:17 PM »
Quote
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ফোরজি স্মার্টফোন

ফোনটির নাম হবে জেলি। চলবে অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নোগাট সংস্করণে। এতে দুটি ন্যানো সিম সমর্থন করবে। ফোরজি নেটওয়ার্ক-সমর্থিত বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ফোন হবে এটি।

চীনের সাংহাইভিত্তিক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ইউনিহার্জ এই স্মার্টফোন তৈরির জন্য তহবিল সংগ্রহে নেমেছে। কিকস্টার্টারে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে সে লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেছে। ফোনটি সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এটি কয়েন পকেট, ব্যাগের ছোট অংশ, জামার সামনের পকেট এমনকি হাতের তালুর মধ্যে সহজে ধরে যাবে। সাদা, নীল ও কালো রঙে এটি বাজারে আসবে। স্টোরেজের ভিত্তিতে এর দুটি মডেল বাজারে পাওয়া যাবে। এক জিবি র‍্যাম ও আট জিবি স্টোরেজের স্মার্টফোনটির দাম হবে ১০৯ মার্কিন ডলার আর ২ জিবি র‍্যাম ও ১৬ জিবি স্টোরেজের মডেলটির দাম হবে ১২৫ মার্কিন ডলার।

একটিকে বলা হবে জেলি ও আরেকটিকে বলা হবে জেলি প্রো। চলতি বছরের আগস্ট মাসে এটি বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে চীনের ওই প্রতিষ্ঠানটির। জেলি স্মার্টফোনটি হবে ২ দশমিক ৪৫ ইঞ্চি (২৪০ বাই ৪৩২ পিক্সেল) মাপের। এতে থাকবে টিএফটি এলসিডি ডিসপ্লে। ১ দশমিক ১ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর প্রসেসরের ফোনটিতে মাইক্রোএসডি কার্ড সমর্থন করবে। ফোনটির পেছনে ৮ ও সামনে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকবে। ব্যাটারি হবে ৯৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার। জিপিএস, ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকবে এতে।

বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার লক্ষ্য নেই ইউনিহার্জের। ব্যাকআপ ফোন বা স্মার্টফোনের পাশাপাশি বাড়তি আরেকটি দরকারি ফোন হিসেবে জেলি ব্যবহার করা যাবে বলে মনে করছে ইউনিহার্জ। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

25
Technology News / Re: How to charge Smartphone.
« on: June 16, 2017, 07:47:00 PM »

Posts: 625
Focuse on implementation and result...
View Profile  Email  Personal Message (Offline)

How to charge Smartphone.
« on: June 04, 2017, 03:16:31 PM »
Quote
স্মার্টফোনে চার্জ দেওয়ার নিয়ম

প্রতিটি ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষেত্রেও তা-ই। স্মার্টফোন ব্যবহারের ধরনের ওপর এর ব্যাটারির আয়ু নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে মুঠোফোনে চার্জ দেওয়ার পদ্ধতি ও চার্জারের ধরন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন সারা রাত মুঠোফোন চার্জ দিয়ে রাখলে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটারির আয়ু কমে। অন্যদিকে সস্তা চার্জার ব্যবহারে স্মার্টফোন ও ব্যাটারির বিপদ ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। স্মার্টফোনে চার্জ দেওয়ার কয়েকটি পরামর্শ জেনে নিন:

সব সময় নিজস্ব চার্জার
স্মার্টফোনে চার্জ দেওয়ার সময় নিজস্ব চার্জার বিশেষ করে ফোনের সঙ্গে থাকা আসল চার্জারটি ব্যবহার করুন। স্মার্টফোনে মাইক্রো ইউএসবি পোর্টে অনেক চার্জার সমর্থন করতে পারে। তবে আসল চার্জার ব্যবহার না করলে ধীরে ধীরে ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা কমতে থাকে।

সস্তা চার্জারকে না বলুন
অপরিচিত নির্মাতার তৈরি চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। কারণ এ ধরনের চার্জারে কোনো নিরাপত্তাপদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না। এতে ফোনে অতিরিক্ত চার্জ বা ফোন গরম হয়ে যেতে পারে। অ্যাডাপ্টারে সমস্যা দেখা দিলে ফোন ও ব্যাটারি দুটোই নষ্ট হতে পারে।

চার্জের সময় সুরক্ষা কেস খুলে রাখুন
অনেকেই ফোনের বাড়তি সুরক্ষার জন্য কেসিং ব্যবহার করেন। কিন্তু চার্জ দেওয়ার সময় কেসিং খুলে রাখা ভালো। সাধারণত ফোন চার্জ দিলে ব্যাটারি কিছুটা গরম হয়। কিন্তু ফোনের কেসিং থাকলে তাপ আটকে ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়।

দ্রুতগতিতে চার্জ সুবিধাজনক নয়
সব সময় দ্রুতগতিতে চার্জ হয় এমন চার্জার সুবিধাজনক নয়। ব্যাটারি ভালো রাখতে দ্রুতগতির চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুতগতির চার্জার ফোনের ব্যাটারিতে উচ্চ ভোল্টেজ পাঠায়, যা দ্রুত তাপমাত্রা বাড়ায়। স্বাভাবিক চার্জিং পদ্ধতিতে চার্জ দিতে পারেন।

সারা রাত চার্জ নয়
সারা রাত ফোন চার্জে রাখা ঠিক নয়। অতিরিক্ত চার্জ ব্যাটারির ক্ষতি করে।

থার্ড পার্টি ব্যাটারি অ্যাপস
অনেকে মুঠোফোনের ব্যাটারি দীর্ঘক্ষণ চালানোর জন্য থার্ড পার্টির অ্যাপস ব্যবহার করেন। ব্যাটারি দীর্ঘদিন টেকাতে এসব অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অনেক অ্যাপ্লিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে বলে ব্যাটারির ওপর প্রভাব ফেলে।

ফোন ৮০ শতাংশ চার্জ দিয়ে রাখুন
যখনই চার্জ দেবেন, তখন কমপক্ষে ব্যাটারির চার্জ ৮০ শতাংশ পূর্ণ করবেন। সব সময় শতভাগ চার্জ পূর্ণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

সব চার্জ শেষ করে ফেলবেন না
স্মার্টফোনে ২০ শতাংশের ওপরে চার্জ থাকা অবস্থায় আবার চার্জে দেবেন না। বারবার ও অপ্রয়োজনীয় রিচার্জে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। ব্যাটারির চার্জ একেবারে শূন্য করে ফেলবেন না। এতেও ব্যাটারির আয়ু কমতে থাকে।

শট-সার্কিট ঠেকাতে পাওয়ার ব্যাংক
ভোল্টেজ ওঠা-নামা, শট-সার্কিট, অতিরিক্ত চার্জ ঠেকাতে সক্ষম এমন পাওয়ার ব্যাংক কাজে লাগাতে পারেন। পাওয়ার ব্যাংকের সঙ্গে লাগানো অবস্থায় স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না। এতে স্মার্টফোন বেশি গরম হয় এবং ব্যাটারির ক্ষতি হয়। তথ্যসূত্র: টিএনএন।

Source: https://goo.gl/8o1QQQ

26

সেই গ্রহ, যা উবে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
যেন একটা কেটলিতে জল ফুটছে আর সেই কেটলির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে গরম ধোঁয়া! আর সেই জল কেটলিতে ফুটতে ফুটতে পুরোটাই উবে যাচ্ছে! ধীরে ধীরে। কিছু ক্ষণ পর দেখা যাবে সেই কেটলিতে আর একটুও জল পড়ে নেই। পুরোটাই উবে গিয়েছে।
ঠিক একই রকম অবস্থা হয়েছে মহাকাশে। আমাদের সূর্যের চেয়ে অনেক অনেক বেশি দাউদাউ করে জ্বলা একটা তারা বা নক্ষত্র নিজেরই একটা ‘সন্তান’, আস্ত একটা গ্রহকে যেন গিলে খাচ্ছে। ওই তারার গা পুড়িয়ে দেওয়া তাপে তাকে পাক মেরে চলা আস্ত একটা গ্রহ ধীরে ধীরে উবে যাচ্ছে! এমন একটা দিন আসবে যখন ওই ভিন গ্রহটির আর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।
একেবারে হালে সেই রাক্ষুসে তারা আর তাকে পাক মেরে চলা ও ধীরে ধীরে উবে যাওয়া গ্রহ ‘কেল্ট-৯বি’ ধরা পড়েছে ২৭ বছর ধরে মহাকাশে থাকা হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপের চোখে। অন্য নক্ষত্রমণ্ডলের সেই ভিন গ্রহটি চেহারায়, আকারে-আকৃতিতে দেখতে অনেকটা আমাদের বৃহস্পতির মতো। পুরোটাই গ্যাসে ভরা। আর অসম্ভব গরম সেই গ্রহটি।
ওই আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি হালে প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি টেক্সাসের অস্টিনে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির গ্রীষ্মকালীন বৈঠকে সেই গবেষণাপত্রটি নিয়ে সবিস্তার আলোচনার পর তা নিয়ে শোরগোলও শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্ব জুড়ে।

জ্বলে পুড়ে খাক হতে হতে উবে যাচ্ছে এই সেই গ্রহ
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এত গরম ভিন গ্রহের হদিশ এর আগে মেলেনি। ‘কেল্ট-৯বি’ ভিন গ্রহটিই এই ব্রহ্মাণ্ডে আপাতত সবচেয়ে উষ্ণ কোনও গ্রহ। শুধু তাই নয়, সূর্যের মতো যত তারা বা নক্ষত্রের হদিশ মিলেছে এখনও পর্যন্ত, তাদের বেশির ভাগের চেয়েই অনেক অনেক বেশি গরম, গা অনেক বেশি তেতেপুড়ে যাচ্ছে এই সদ্য অবিষ্কৃত ভিন গ্রহ- ‘কেল্ট-৯বি’র।

নক্ষত্র ‘কেল্ট-৯’ (বাঁ দিকে) আর উবে যাচ্ছে যে গ্রহ, সেই ‘কেল্ট-৯বি’

নক্ষত্র ‘কেল্ট-৯’ (ডান দিকে) আর উবে যাচ্ছে যে গ্রহ, সেই ‘কেল্ট-৯বি’
চাঁদ যেমন তার একটা পিঠ সব সময় রাখে পৃথিবীর দিকে, এই ‘কেল্ট-৯বি’ ভিন গ্রহটিও তেমনই তার একটা পিঠ সব সময় রাখে তার নক্ষত্র ‘কেল্ট-৯’-এর দিকে। আর তার অন্য পিঠটি সব সময়েই থেকে যায় অন্ধকারে।
ওই ভিন গ্রহের যে পিঠটি সব সময় তার নক্ষত্রের দিকে থাকে, তার নাম- ‘ডেসাইড সারফেস’। অন্য পিঠটির নাম- ‘নাইটসাইড সারফেস’। বছরভর, সারা ক্ষণ সেই গ্রহটির ‘ডেসাইড সারফেস’-এর তাপমাত্রা থাকে ৭ হাজার ৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা, ৪ হাজার ৩১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪ হাজার ৬০০ কেলভিন)।
মূল গবেষক কলাম্বাসের ওহায়ো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক স্কট গাউরির সঙ্গে আনন্দবাজারের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল, টেলিফোনে। গাউরির দাবি, ‘‘এত গরম, গ্যাসে ভরা ভিন গ্রহের হদিশ এর আগে মেলেনি। আমাদের বৃহস্পতির মতো গ্যাসে ভরা গ্রহ হলেও ‘কেল্ট-৯বি’ ভিন গ্রহটি ‘গুরুগ্রহ’-এর চেয়ে প্রায় তিন (সঠিক হিসেবে, ২.৮ গুণ) গুণ ভারী। যদিও তার ঘনত্ব আমাদের বৃহস্পতির প্রায় অর্ধেক।’’
এটা কি সত্যি-সত্যিই কোনও গ্রহ? নাকি অন্য ধরনের কোনও মহাজাগতিক বস্তু?

সেই উবে যাওয়া ভিন গ্রহ (লাল রং), যা পাক মারছে তার নীলচে নক্ষত্রের চার পাশে, কক্ষপথে
আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির গত সপ্তাহের বৈঠকে ওই গবেষণাপত্রটি নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে ‘নানা মুনির নানা মত’। কেউ বলছেন, সত্যি-সত্যিই কি কোনও গ্রহ অতটা গরম হতে পারে? অনেক তারা বা নক্ষত্রের চেয়েও যে বেশি গরম ‘কেল্ট-৯বি’ ভিন গ্রহটি। তাঁদের সংশয়, অন্য কোনও ধরনের মহাজাগতিক বস্তু নয় তো ‘কেল্ট-৯বি’?
আরও পড়ুন- ফের পাশ করলেন আইনস্টাইন, সংশয় কাটাল অ্যাস্ট্রোস্যাট
সহযোগী গবেষকদের অন্যতম, জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বসন্ত রেড্ডি আনন্দবাজারের পাঠানো প্রশ্নের জবাবে ই-মেলে লিখেছেন, ‘‘ভরের নিরিখে ‘কেল্ট-৯বি’কে গ্রহ বলে মনে হলেও, তার যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত আমাদের অনুমান, তা কোনও গ্রহের হতে পারে বলে আমাদের জানা নেই। ওই গ্যাসে ভরা ভিন গ্রহটির যে পিঠটি সব সময় তার নক্ষত্র ‘কেল্ট-৯’-এর দিকে থাকে, তার যা তাপমাত্রা জানা গিয়েছে, তা কোনও গ্রহের হলে আর সর্ব ক্ষণ সেই গ্রহটিকে সেই তাপমাত্রায় পুড়ে যেতে হলে, সেই গ্রহের বেশি দিন টিঁকে থাকা সম্ভব নয়। আর সেই গ্রহটির যদি বায়ুমণ্ডল থেকেও থাকে, তার অত গরম নক্ষত্রের সুতীব্র বিকিরণে সেই বায়ুমণ্ডলের উবে যেতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়।’’
কতটা তীব্র সেই বিকিরণ? কেন বিজ্ঞানীরা ভাবছেন, উবে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ওই ভিন গ্রহটির?
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভিজিটিং প্রফেসর অর্ণবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘যে নক্ষত্রটিকে পাক মারছে ওই ভিন গ্রহটি, সেই ‘কেল্ট-৯’ খুব বেশি দিন আগেকার তারা নয়। তার জন্ম হয়েছিল বড়জোর ৩০ কোটি বছর আগে। যেখানে আমাদের সূর্যের জন্ম হয়েছিল প্রায় ৫০০/৫৫০ কোটি বছর আগে। কিন্তু সেটি আমাদের সূর্যের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বড়। আর সূর্যের চেয়ে তা প্রায় দ্বিগুণ গরমও। যে ভাবে সর্ব ক্ষণ ওই গ্রহ ‘কেল্ট-৯বি’-র একটা পিঠে আছড়ে পড়ছে তার নক্ষত্র থেকে বেরিয়ে আসা আলট্রা-ভায়োলেট রে’ বা অতিবেগুনি রশ্মি, তাতে তার বায়ুমণ্ডলের একটা বড় অংশই উবে যেতে বাধ্য। আর সেটা মহাকাশে বেরিয়ে আসবে অনেকটা ধূমকেতুর পুচ্ছ বা ‘টেল’-এর মতো। ওই অতিবেগুনি রশ্মির তাপেই ধীরে ধীরে উবে যাচ্ছে ভিন গ্রহ ‘কেল্ট-৯বি’-র বায়ুমণ্ডল।’’
তবে বিজ্ঞানীদের এটাও অনুমান, যে ভাবে অসম্ভব তাপ ঠিকরে বেরচ্ছে ওই নক্ষত্র ‘কেল্ট-৯’-র পিঠ থেকে, তাতে সেই তারাটিও আর খুব বেশি দিন ওই অবস্থায় থাকবে না। হয়ে যাবে ‘লাল দানব নক্ষত্র’ বা ‘রেড জায়ান্ট স্টার’।

27
কলকাতায় নাকি ডাইনোসর আছে!
আছেই তো, কিন্তু কোথায় সেটি বোধহয় জানা নেই অনেকরই। কেউ কেউ হয়তো বলবেন, কেন, ভারতীয় জাদুঘরে। আসলে তা নয়, জাদুঘরে ডাইনোসর নেই, সেটি আছে বরাহনগরের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে। এবং আশ্চর্যের বিষয়, সেটি রবীন্দ্রনাথের নামেই নামাঙ্কিত! অবাক লাগছে তো! একটু গোড়া থেকেই বলি। ১৮৯৩ সালের ২৯ জুন নীরোদবাসিনী দেবী এবং প্রবোধচন্দ্র মহলানবিশের প্রথম সন্তান প্রশান্তচন্দ্রের জন্ম হয়। সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গুরুচরণ মহলানবিশ প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুলে প্রশান্তচন্দ্রের শিক্ষারম্ভ হয়। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯১২-য় পদার্থবিদ্যায় সাম্মানিক বিএসসি পাশ করেন। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে তিনি ‘ট্রাইপস’ পাশ করেন এবং প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই সম্মান অর্জন করেছিলেন। দেশে ফিরে ১৯১৫-য় তিনি প্রেসিডেন্সিতেই পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত হন। রাশিবিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ ছিল বলে এখানেই কয়েক জনকে নিয়ে তিনি একটি স্ট্যাটিস্টিক্যাল ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করেন, সেটি ১৯২০-র কথা। সার্বিক ভাবে দেশের আবহাওয়া, বন্যা অথবা নৃতত্ব বিষয়ে রাশিবিজ্ঞানের প্রয়োগ নিয়ে এখানে উল্লেখযোগ্য কাজ শুরু হয়। কিন্তু তাঁর মনের একান্ত ইচ্ছে ছিল রাশিবিজ্ঞানের প্রয়োগ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।১৯৩৩-সালে তৈরি হয়েছিল ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট
১৯৩৩-এ ওঁর সেই স্বপ্নপূরণ সম্ভব হয়, তৈরি হয় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট। ১৯৪০-এ প্রশান্তচন্দ্র বরাহনগরে একটি পুরনো বাগান বাড়ি কিনেছিলেন। সবুজ গাছপালা পুকুর সম্বলিত এই বাড়িটি সংস্কার করে এখানেই তিনি থাকতে শুরু করেন। শিক্ষক জীবনের সঙ্গেই ওঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠতে থাকে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। ক্রমে সেই পরিচয় গাঢ় হয়। নিজের জীবন ও মননে রবীন্দ্র আদর্শকে গ্রহণ করেন প্রশান্তচন্দ্র। ওঁর তৈরি ইনস্টিটিউটটি পরে এখানেই স্থানান্তরিত হয়। প্রশান্তচন্দ্র রাশিবিজ্ঞানে অনেকগুলি সূত্র এবং পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। নমুনা সমীক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণাপত্রের জন্য ১৯৪৫ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। প্রশান্তচন্দ্রের আন্তরিক উদ্যোগে এই প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে রাশিবিজ্ঞানের প্রয়োগ ঘটতে থাকে। ওঁর ভাবনায় ছিল এই বৃহৎ দেশের নানাবিধ বিষয়। একসময়, গণ্ডোয়ানা-ল্যান্ড যখন ছিল সেই সময় এ দেশেও চড়ে বেড়াত বৃহদাকার ডাইনোসরের দল। পরে ভূতাত্ত্বিক প্লেট সরে যাওয়ার সময় সেই ডাইনোর দল চলে যায় অন্যত্র। কিন্তু এখানে রয়ে যায় তাদেরই একটির কঙ্কাল। বিজ্ঞানের এই বিষয়গুলি নিয়েও ভাবিত ছিলেন প্রশান্তচন্দ্র। এ বিষয়ে এক দিন নতুন কোনও আশার আলো দেখা যাবে এই বিশ্বাস ছিল তার মনে।
১৯৫৭-য় গবেষক-অধ্যাপক পামেলা লামপ্লাউ রবিনসনকে আমন্ত্রণ করেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে উনি এসে হাজির হন এখানে। বরাহনগরের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে তিনি একটি ভূতাত্ত্বিক বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। উদ্দেশ্য ছিল, এ দেশের ভূতাত্ত্বিক বিষয়গুলি নিয়ে নতুন ক্ষেত্রের গবেষণা করা। রবিনসনের নেতৃত্বে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের কোল ঘেঁষে গোদাবরী উপত্যকায় অনুসন্ধান শুরু হয়। এই অনুসন্ধানের ফলে কিছু ফসিল মাছ পেয়ে যান তাঁরা। পরে ১৯৬১-তে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তাঁরা একটি ডাইনোসরের হাড়গোড় আবিষ্কার করেন গোদাবরী উপত্যকায়। ভারতে প্রথম এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের পর কয়েক টন হাড় কলকাতায় এনে জড়ো করা হয়। অতঃপর, আবিষ্কারস্থলের ছবি মিলিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয় এই ডাইনোসরটিকে। পাওয়া যায় অতিকায় প্রাণীটির পূর্ণাঙ্গ চেহারা। এর নাম দেওয়া হয় ‘বরাপাসউরাস টেগোরেই’। বরাপাসউরাস শব্দের অর্থ বড় পা যুক্ত গিরগিটি এবং টেগোরেই শব্দটি যুক্ত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। ঘটনাক্রমে সেই বছর ছিল রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ। সে কারণেই এই উদ্যোগ। এ ভাবেই এই উপমহাদেশের এক এবং অদ্বিতীয় ডাইনোসরের সঙ্গে জুড়ে গেছে কবিগুরুর নাম!

রানি ও প্রশান্তচন্দ্র মহালানবিশকে দেওয়া রবীন্দ্রনাথের উপহার
যদিও সেই প্রাণীটির মাথা পাওয়া যায়নি সে সময়। পরে এই সংস্থার অনুরোধে বিদেশ থেকে একটি মাথা উপহার হিসেবে আসে এই প্রাণীটির ধড়ে! বরাহনগরের এই ক্যাম্পাসে কয়েক বার এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রশান্ত এবং রানি মহলানবিশের এই বাড়িটির নাম আম্রপালি, সেটিও রবীন্দ্রনাথের দেওয়া। এই বাড়িটিতেই একটি সংগ্রহশালা এবং লেখ্যাগার গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। অতঃপর, প্রশান্তচন্দ্রের জন্মশতবর্ষে, ১৯৯৩-এর ২৯ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাও নবরূপে সজ্জিত ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্কাইভ-টির উদ্বোধন করেন। প্রশান্তচন্দ্র এবং রানি মহালানবিশের বিবাহের সময় গুরুদেব আশীর্বাদী লিখে দিয়েছিলেন, ‘প্রশান্ত, রাণী। তোমাদের এই মিলন-বসন্তে/দিলেন কবি বসন্ত-গান আনি।/সুন্দর প্রেম সাজুক আনন্দে/ পরুক গলায় সুরের মালাখানি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৫ ফাল্গুন ১৩২৯।’ এখানকার সংগ্রহশালায় এলে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথের এই লেখা। আর জুরাসিক পার্কের সেই ডাইনোসরটি দেখা যাবে এখানকার ভূতাত্ত্বিক বিভাগের সংগ্রহশালায়, সঙ্গে রয়েছে সে দিনের অনুসন্ধান থেকে আবিষ্কৃত সেই সব মাছ বা অন্যান্য ফসিলের সম্ভারও।

28
Cricket / পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়
« on: June 11, 2017, 09:19:00 AM »
‘বাংলাদেশের একজন নায়ক দরকার ছিল। তারা দুজন পেয়ে গেল!’
ধারাভাষ্য দিতে থাকা সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম যখন কথাটা বলছিলেন, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ প্রায় শূন্য থেকে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্নটাকে আবার বাঁচিয়ে তুলেছেন। কার্ডিফে স্টেডিয়ামে আসা ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’ স্লোগানে উচ্ছ্বসিত কয়েক হাজার সমর্থক আবার জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্নে রঙিন হাজার পাঁচেক মাইল দূরে থাকা প্রায় সতেরো কোটি চোখও—কার্ডিফে ২০০৫ রূপকথার মতো আরেকটি রূপকথা লেখা হবে!
স্বপ্নটা সত্যি হলো। দুই মহানায়কের মহাকাব্যিক দুই ইনিংসে জিতে গেল বাংলাদেশ। স্টেডিয়ামে আসা দর্শক নাচলেন, গাইলেন। আনন্দাশ্রু ঝরল ওই সতেরো কোটি চোখে। বাকি বিশ্ব তাকিয়ে রইল অবাক চোখে। বাংলাদেশ সত্যিই মহাকাব্য লিখেছে! বছর তিনেক ধরে যে উন্নতির সুর শোনাচ্ছিল লাল-সবুজ জার্সির দলটি, সেটি পরশু কার্ডিফে আরেকবার তুলল ঝংকার।
সে সুরে সবচেয়ে বিমোহিত যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সম্ভবত ওপরের দিকেই থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বেসুরো দিনগুলোরও সাক্ষী হার্শা ভোগলের নাম। বাংলাদেশ জিতে যাওয়ার পরই এই ধারাভাষ্যকারের টুইট, ‘একটা সময় ছিল যখন দলগুলো বাংলাদেশে গিয়ে চাইত, যেন স্বাগতিক দলটি আগে ব্যাটিং করে। তাতে ম্যাচ তাড়াতাড়ি শেষ হবে। (বাংলাদেশের) পালাবদলের কী দুর্দান্ত গল্প!’
পেশাগত প্রয়োজনেই হোক আর আগ্রহের কারণে, ম্যাচজুড়েই বাংলাদেশের খেলার খুঁটিনাটি, সাকিব-মাহমুদউল্লাহ জুটির প্রশংসা করে টুইট করেছেন ভোগলে। ২৬৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ যখন মাহমুদউল্লাহ-সাকিবে চড়ে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন লিখেছেন, ‘স্বীকার করতেই হবে, ভেবেছিলাম বাংলাদেশ ভজকট পাকিয়ে ফেলবে। কিন্তু এখন ওদের এই মনোভাবটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে দল হিসেবে ওরা কতটা এগিয়েছে।’ আলাদা করে প্রশংসা করেছেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহরও। ২০১৫ বিশ্বকাপে টানা দুই সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্দান্ত দুই জয়েই (অন্যটি গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) তাহলে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিটা কমন ব্যাপার হয়ে গেল। দুর্দান্ত খেলোয়াড়।’ আর সাকিবকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এভাবে, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিগুলোর একটি এল দেশটির সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের হাতে।’
আসলে কে মুগ্ধ হননি পরশু বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে, মাহমুদউল্লাহ-সাকিবে? সম্ভাবনার প্রায় শূন্য থালাটা বাংলাদেশের ওভাবে পূর্ণ করা নাড়িয়ে দিয়েছে কুমার সাঙ্গাকারাকেও। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তির টুইট, ‘দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ, দুর্দান্ত ব্যাটিং!’ সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি লিখেছেন, ‘দারুণভাবে রান তাড়া করেছে বাংলাদেশ। অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের দুর্দান্ত জুটি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জীবন্ত হয়ে উঠেছে।’
পেছনে ফিরে ভাবলে হয়তো এখনো শিহরণ জাগায় মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের ওই জুটি। কী চাপে শুরু করেছিলেন, কিন্তু ব্যাটিংটা দুজনে করলেন কী দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণে! ২২৪ রানের জুটিটা বাংলাদেশের যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। ২০৯ বলের জুটিতে ওভারপ্রতি রান নিয়েছেন ছয়ের বেশি করে (৬.৪৩)। চার-ছক্কা যেমন মেরেছেন, তেমনি ১১৯ রানও নিয়েছেন সিঙ্গেল-ডাবলসে। ধ্রুপদি জুটিটা একটু ধন্দেই ফেলে দিয়েছে মাইকেল ভনকে। হ্যাশট্যাগে ‘বেস্ট এভার’ লিখে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়কের টুইট, ‘ওয়ানডেতে এর চেয়ে ভালো জুটি আর দেখেছি কি না মনে করতে পারছি না। জিততেই হবে এমন ম্যাচ, ৩৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল, বল সুইং করছিল...!’ আর ভারতের কিংবদন্তি অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর চোখে জুটিটি বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য শিক্ষা, ‘চাপের মধ্যে কীভাবে জুটি গড়তে হয়, সাকিব-মাহমুদউল্লাহ তা দারুণভাবেই দেখিয়েছে।’ টুইটার।

29
টুর্নামেন্ট শুরু হতে তখনো এক মাসেরও বেশি বাকি। প্রশ্নটা শুনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা একটু হেসে বলেছিলেন, ‘মনে বড় একটা চিন্তাই আছে। কারণ চিন্তা বড় করলে না বড় কিছু পাবেন।’ তারপর দার্শনিকের ভঙ্গিতে এমন একটা কথা বলেছিলেন, যেটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে প্রথম আলোর বিশেষ ম্যাগাজিনে মাশরাফির সাক্ষাৎকারের শিরোনাম হয়েছিল। ‘কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।’

কোনো কিছুই যেহেতু অসম্ভব নয়, ‘গ্রুপ অব ডেথ’ থেকে সেমিফাইনালে ওঠাই বা তা হবে কেন? ‘গ্রুপ অব ডেথ’-ই তো! গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। তিনটিই বাংলাদেশের চেয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে ওপরে। মাশরাফির মনে যত ‘বড় চিন্তা’ই থাক, এই গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে যাবে, এটা একটু আকাশকুসুম কল্পনাই ছিল। অথচ সেটিই এখন ঘোরতর বাস্তব এবং ‘কোনো কিছুই অসম্ভব নয়’ মনে করা মাশরাফিও যাতে একটু হকচকিয়ে গেছেন!

এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর মাশরাফির প্রতিক্রিয়ায় প্রথমে তাই একটি মাত্র শব্দই থাকল—‘অবিশ্বাস্য!’ বিকেলের দিকে একটা কাজে হোটেলের বাইরে গিয়েছিলেন। একটু পরপরই চোখ চলে যাচ্ছিল মোবাইলের পর্দায়। ক্রিকইনফোতে খবর রাখছিলেন খেলার। অস্ট্রেলিয়ার হেরে যাওয়ার খবরটা সেখান থেকেই পেলেন। যা তাঁকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল আনন্দের বন্যায়। উচ্ছ্বাস ফুটে বেরোল কথাতেও, ‘এই গ্রুপ থেকে আমরা সেমিফাইনাল খেলছি, এটা ভাবতে কী যে ভালো লাগছে!’

যেটির বৃহত্তর একটা তাৎপর্যও দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এই ধরনের টুর্নামেন্টগুলো নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য খুব আদর্শ। এখন অন্তত ১৫ তারিখ পর্যন্ত সবাই আমাদের সম্মানের চোখে দেখবে।’

কাল যেখানে অস্ট্রেলিয়ার আশার সমাধি হলো, আগামী ১৫ জুন বার্মিংহামের সেই এজবাস্টন মাঠেই বাংলাদেশের সেমিফাইনাল। প্রতিপক্ষ এখনো অজানা। ‘এ’ গ্রুপের খেলা শেষ। ইংল্যান্ড আর বাংলাদেশ উঠে গেছে সেমিফাইনালে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে কোন দুই দল, সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ ও আগামীকালের ম্যাচে।

আইসিসির স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। গ্রুপ পর্বের শেষ চারটি ম্যাচই পরিণত হয়েছে নকআউটে। ‘বি’ গ্রুপে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা তো আক্ষরিক অর্থেই ‘কোয়ার্টার ফাইনাল’। এমনই মজার টুর্নামেন্ট যে সেমিফাইনাল নিয়ে ইংল্যান্ড বা বাংলাদেশের হোমওয়ার্ক করার কোনো উপায় নেই। চার দলের যেকোনোটির বিপক্ষেই যে খেলতে হতে পারে!

ইংল্যান্ড তিন ম্যাচেই জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে। বাংলাদেশের মাত্র একটিই জয়। তবে সেই জয় বিশ্ব ক্রিকেটে এমনই এক আলোড়ন যে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে উঠে যাওয়াটাকে শুধুই ভাগ্যের বদান্যতা বলার আগে সবাই দুবার ভাবছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জীবন-মরণ ম্যাচে বাংলাদেশ যে খেলাটা খেলেছে, কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া তা খেলতে পারলে তো গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় না।

হ্যাঁ, ভাগ্যের ছোঁয়া তো একটু পেয়েছেই বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বৃষ্টির কল্যাণে পাওয়া ১ পয়েন্টেই তো খুলে গেছে সেমিফাইনালের দুয়ার। যা মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৯২ বিশ্বকাপের পাকিস্তানের কথা। এখন পর্যন্ত যেটির সঙ্গে এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশের আশ্চর্য মিল। সেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েও বৃষ্টির বদান্যতায় ১ পয়েন্ট পেয়েছিল পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত সেটিই তাদের নিয়ে যায় সেমিফাইনালে। মিলটা এখানেই শেষ নয়। এখানে বাংলাদেশের মতো সেবার পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠাও নিজেদের হাতে ছিল না। চেয়ে থাকতে হয়েছিল অন্য দুই দলের খেলার দিকে। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ, যাতে জিতলে পাকিস্তানের বদলে সেমিফাইনালে চলে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়া আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ায় পাকিস্তানের একটু ভয়ও ছিল, বোর্ডারের দল না একটু গা ছাড়া দেয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অস্ট্রেলিয়াই জেতে।

ওই ম্যাচটা হয়েছিল মেলবোর্নে। পাকিস্তান দল সেদিন ক্রাইস্টচার্চে অপেক্ষায়। দেশে ফেরত যেতে হবে, না সেমিফাইনাল খেলতে অকল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চের হোটেলে ইমরান খান দলের সব খেলোয়াড়কে নিয়ে একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দেখেছিলেন টিভিতে। কার্ডিফে এমন কোনো গল্প নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সারা দিন যে যার মতো ঘুরে বেড়ালেন। নিজের হোটেল রুমেই বন্দী থাকলেন অনেকে। যে চ্যানেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দেখা যাচ্ছে, হোটেলে তা নেই। বাংলাদেশ দলের মিটিং রুমের টিভিতে বিশেষ ব্যবস্থায় ওই চ্যানেলটা আনা হয়েছিল, তবে সেখানে বসে নিরবচ্ছিন্ন কেউই খেলা দেখেননি।

এজবাস্টনের খবর অবশ্য সবাই রাখছিলেন। লাগেজ-টাগেজ গোছানোর কাজও চলছিল। বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠুক না উঠুক, পরদিন বার্মিংহাম যাওয়া নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। পার্থক্য বলতে সেমিফাইনালে উঠলে বার্মিংহামে গিয়ে থাকবে দল। না উঠলে দেশে ফেরার বিমানে চড়বে। বাংলাদেশের ফিরতি ফ্লাইট যে বার্মিংহাম থেকেই।

এই দেখুন, ১৯৯২ বিশ্বকাপের পাকিস্তানের সঙ্গে আরেকটি মিল। সেমিফাইনালে উঠুক না উঠুক, পরদিন পাকিস্তান দলকেও অকল্যান্ডে যেতেই হতো। হয় সেমিফাইনাল খেলতে, নয়তো দেশে ফিরতি ফ্লাইট ধরতে।

এত যখন মিল, মাশরাফির বাংলাদেশ কি শেষটাও মিলিয়ে দেবে ইমরানের পাকিস্তানের সঙ্গে! সেই বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, আপনি জানেন নিশ্চয়ই।

 

30

সূর্যকে ছুঁতে যাচ্ছে নাসার সেই মহাকাশযান ‘সোলার প্রোব প্লাস’।- নাসা
মঙ্গল, বৃহস্পতি বা শনি নয়। নয় এই সৌরমণ্ডলের বাইরে ভিন গ্রহের কোনও ভিন মুলুকও। এ বার সরাসরি সূর্যকে ছুঁতে যাচ্ছে মানবসভ্যতা!
এই প্রথম সরাসরি সূর্যের বায়ুমণ্ডল বা ‘করোনা’য় ঢুকে যাবে কোনও মহাকাশযান। গনগনে তাপে ঝলসে যাওয়া সূর্যকে ছোঁয়ার যে দুঃসাহস এর আগে আর কোনও মহাকাশযানই দেখাতে পারেনি।
সূর্যের পিঠ থেকে মাত্র ৪০ লক্ষ মাইল দূরে ‘করোনা’য় একটি কক্ষপথে পৌঁছে যাবে নাসার রোবটিক মহাকাশযান ‘সোলার প্রোব প্লাস’(এসপিপি)। এর আগে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছনোর দুঃসাহস দেখাতে পেরেছিল আর যে সব মহাকাশযান, তাদের চেয়ে ৭ গুণ বেশি কাছাকাছি পৌঁছে যাবে এই সোলার প্রো‌ব প্লাস। ফলে, অসম্ভব রকমের তাপে তাকে ঝলসে যেতে হবে প্রতি মুহূর্তে।
বুধবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় নাসার তরফে ওই দুঃসাহসিক অভিযানের কথা ঘোষণা করা হল শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলিয়াম এখহার্ডট রিসার্চ সেন্টার অডিটোরিয়ামে। সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন ওয়াশিংটনের নাসা সায়েন্স মিশন ডায়রেক্টটরেটের অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর টমাস ঝুরবুশেন, জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিশন প্রজেক্ট  সায়েন্টিস্ট নিকোলে ফক্স, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ইউজিন পার্কার ও অধ্যাপক এরিক আইজ্যাক্স এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিকাল সায়েন্স ডিভিশনের ডিন রকি কোল্ব। নাসা এই অভিযানটির নাম দিয়েছে বিশিষ্ট সৌর পদার্থবিদ ইউজিন পার্কারের নামেই। পার্কার সোলার প্রোব। এই প্রথম কোনও জীবিত বিজ্ঞানীর নামে কোনও মহাকাশযানের নামকরণ করল নাসা।

এই সেই সোলার প্রোব প্লাস
নাসার তরফে খবর, ২০১৮-র ৩১ জুলাই থেকে ১৯ অগস্টের মধ্যে সূর্যকে ছুঁতে পৃথিবী থেকে রওনা হয়ে যাবে সোলার প্রোব প্লাস। কেপ কানাভেরাল থেকে ডেল্টা ফোর রকেটের পিঠে চাপিয়ে সোলার প্রোব প্লাসকে পাঠানো হবে সূর্যের মুলুকে। বুধকে পাশ কাটিয়ে তা সূর্যের বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে আজ থেকে ঠিক সাত বছর পর, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর। তার আগে পৃথিবী থেকে রওনা হয়ে সোলার প্রোব প্লাস বুধের কাছাকাছি প্রথম পৌঁছবে ২০১৮-র ২৭ সেপ্টেম্বর। আর সোলার প্রোব প্লাস সূর্যের মুলুকে ঢুকে পড়ার আগে বুধকে শেষ বারের জন্য টা টা জানাবে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর।
কেন পাঠানো হচ্ছে সোলার প্রোব প্লাস? দেখুন ভিডিও

কতটা বড় ওই মহাকাশযান? কেমন তার চেহারা?
সোলার প্রোব প্লাস প্রকল্পে জড়িত মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সোলার ফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘উৎক্ষেপণের সময় ওই মহাকাশযানটির ওজন থাকবে ৬১০ কেজি। একটা বড় গাড়ির মতো চেহারা ওই সোলার প্রোব প্লাসের। করোনায় সূর্যের কক্ষপথে পৌঁছে মহাকাশযানটি দৌড়বে সেকেন্ডে ২০০ কিলোমিটার বা ১২০ মাইল গতিবেগে। সূর্যের তাপ আর সৌর বিকিরণের হাত থেকে বাঁচাতে থাকবে সোলার প্রোব প্লাসের ‘হিট শিল্ড’। যাকে সহ্য করতে হবে প্রায় ১৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।’’
যে রুট ধরে পৃথিবী থেকে সূর্যের মুলুকে পৌঁছবে সোলার প্রোব প্লাস

সোলার প্রোব প্লাসকে কেন পাঠানো হচ্ছে সূর্যের মুলুকে?
মিশন প্রোজেক্ট সায়েন্টিস্ট, জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকোলা ফক্স আনন্দবাজারের পাঠানো প্রশ্নের ই-মেল জবাবে লিখেছেন, ‘‘সৌরবায়ু (সোলার উইন্ড), সৌরঝড় (সোলার স্টর্ম) ও করোনাল মাস ইজেকশনের (সিএমই) মতো কিছু ঘটনা রয়েছে যা মানবসভ্যতার পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাদের উৎস বা মতিগতি সম্পর্কে আমাদের এখনও ততটা ধারণা নেই। যা থাকলে আমরা সভ্যতাকে বাঁচানোর প্রস্তুতি নিতে পারি, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারি। এই অভিযান বিজ্ঞানীদের সামনে সেই সুযোগটা এনে দেবে।’’
আরও পড়ুন- পৃথিবীর কোথা থেকে বেরচ্ছে ওই হিরে ঠিকরোনো আলো?
এ ছাড়াও সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রগুলিকে বোঝা, সৌরবায়ুর সময় সেই চৌম্বক ক্ষেত্রের আচার-আচরণ কেমন হয়, তা জানার দরজাটাও খুলে দেবে এই সোলার প্রোব প্লাস। জানা যাবে কেন সূর্যের বায়ুমণ্ডল বা করোনা অতটা গরম, সৌরবায়ুর গতি বাড়িয়ে দেয় কে, তা-ও।
ছবি সৌজন্যে: নাসা


Pages: 1 [2] 3 4