Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Lazminur Alam

Pages: 1 ... 18 19 [20] 21 22
286
Person / মানবজাতি শ্রেষ্ঠ কেন?
« on: September 02, 2014, 06:52:36 PM »
মহান রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে। এ ব্যাপারে নিম্নের বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য। এই শ্রেষ্ঠত্ব কি গুণাবলি ও কি কারণের ওপর নির্ভরশীল? উত্তরে এ কথাই বলা হবে, আল্লাহতায়ালা আদম-সন্তানকে বিভিন্ন দিক দিয়ে এমন সব বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যা অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে নেই। যেমন সুশ্রী চেহারা, সুষম দেহ, সুষম প্রকৃতি এবং অঙ্গসৌষ্ঠব ইত্যাদি। আর এ জাতিকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য। সালাত ও সবরের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছে নিজের কামনা বাসনা এবং নিজের মনের আবেগ পেশ করবে। অন্য কারও কাছে কোনো কিছু চাবে না এবং সেজদার উদ্দেশ্যে কারও কাছে নিজের মাথাও ঝুঁকাবে না। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, 'আমি জিন এবং ইনসানকে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।' সুরা জারিয়াত আয়াত ৫৬। আল্লাহতায়ালা তার মাখলুকাতের মধ্য থেকে শুধু ইবাদত করার জন্য মানবজাতিকে কেন বেছে নিলেন? তার উত্তর পাওয়া যায় পবিত্র কোরআনের অপর আয়াতের মধ্যে। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আমি আদম-সন্তানকে মর্যাদাদান করেছি। তাদের জলে ও স্থলে চলাচলের বাহন দান করেছি। তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্ট বস্তুর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। সুরা বনি ইসরাঈল আয়াত ৭০। সম্মানিত জাতি দ্বারাই মহান প্রভুর ইবাদত ও গুণকীর্তন হবে এটাই তো স্বাভাবিক। কারণ আল্লাহতায়ালা মানবজাতিকে একই সঙ্গে তিনটি জিনিস দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। ১. কুয়্যাতে শাহ্ওয়াত (যৌবনশক্তি) ২ কুয়্যাতে গজব (রাগান্বিত হওয়ার শক্তি) ৩. কুয়্যাতে আকল (বিচার বিশ্লেষণের শক্তি)। অপরদিকে মানবজাতিকে শিক্ষা দিয়েছেন তিনি উন্নত ও সুন্দর চরিত্র মাধুরী গঠনের পদ্ধতি, যা তিনি অন্য কোনো প্রাণীকে দেননি। মানবজাতি নিজের বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে, মহান রাব্বুল আলামিনের বিভিন্ন কুদরতকে দেখে নিজের পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন পরিচালনা করবে। এমনকি আল্লাহর চাহিদা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করবে। তাহলেই এই মানবজাতি আল্লাহর পক্ষ থেকে পাবে রহমত আর পরকালে পাবে অনাবিল শান্তি, তথা জান্নাত। শুধু তাই নয়, আল্লাহতায়ালা এই বিশ্ব জাহানকে কেয়ামত পর্যন্ত ঠিক রাখবেন এই মানবজাতি দ্বারাই। এ ছাড়া অন্য যত সব মাখলুকাত আছে সব মাখলুকাত মানবজাতির সেবার জন্যই আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসের সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত কোনো ইতিহাসে পাওয়া যায়নি কোনো রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক হয়েছে, কোনো বিদ্যালয়ের প্রধান হয়েছে কিংবা মসজিদের ইমাম হয়েছে মানুষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী। তাহলে বোঝা গেল যে সব মাধ্যমে বিশ্বজাহান পরিচালিত হয় তার সবই আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন মানবজাতিকে, অন্য কোনো প্রাণীকে নয়। উলি্লখিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা সুস্পষ্ট করে বলা যায়, পৃথিবীর ভেতর যত প্রাণী আছে তার মধ্যে মানবজাতিই একমাত্র শ্রেষ্ঠ, অন্য কোনো প্রাণী নয়। কিন্তু এই মানবজাতি যদি নিজেদের আল্লাহ ও তার রসুলের প্রদর্শিত পথে সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়ে অন্য কোনো পথে পরিচালিত হয়, তাহলে তাদের সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন বলেছেন, তারা (মানবজাতি) চতুষ্পদ জন্তুর মতো, বরং তার থেকে আরও নিকৃষ্টতর, বস্তুত তারাই গাফেল জাতি। সুরা আনআম আয়াত ১৭৯। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের তার হুকুম মোতাবেক ও রসুল (স.)-এর প্রদর্শিত পথের ওপর চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

287
বিশ্বের অন্যতম মেডিকেল জার্নাল বিএমজে বা ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল এবং ল্যানসেট-এ হাজিদের স্বাস্থ্য রক্ষায় করণীয় বিষয়ে বেশ কিছু গবেষণালব্ধ নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। সে আলোকে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে হাজিদের স্বাস্থ্য-ঝুঁকির প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতামূলক সাধারণ ব্যবস্থা সম্পর্কে লিখেছেন- শামছুল হক রাসেল 

হজ পালনের অদম্য আকাক্সক্ষা নিয়ে হজের উদ্দেশে যাত্রা করার প্রাক্কালে একজন হাজির কাছে কোনো কিছুকেই আর বাধা মনে হয় না। এ মানসিকতার বশবর্তী হয়ে অনেকে অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়েন। হজের শুরুতেই তাই শক্তি সঞ্চয়ের জন্য ধীরস্থির থাকতে হবে। অহেতুক ছোটাছুটি কাম্য নয়। হজের সময় রোদ এড়াতে কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা যেতে পারে। দরকার হলে মাথায় সাদা ছাতা ব্যবহার করতে হবে। গরমজনিত ঝুঁকি এড়াতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। রাতে ভ্রমণ করতে হবে। কিছুটা লবণাক্ত খাবার এ সময় দরকার হয়, ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া লবণের ঘাটতি মেটানোর জন্য। শরীরের পানিস্বল্পতা এড়াতে সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি রাখতে হবে। অতিরিক্ত ঘামের কারণে সৃষ্ট শারীরিক অবসাদ কাটাতে খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। এ খাবার স্যালাইন ডায়রিয়া হলেও উপকারে আসে। কাজেই সঙ্গে নিতে পারেন খাবার স্যালাইনও। 

বেশির ভাগ হাজিই গলাব্যথা, কাশি, ঘন ঘন হাঁচি, সর্দি এবং জ্বরে ভুগে থাকেন। হঠাৎ পরিবেশ পরিবর্তনের জন্য এমনটি হয়ে থাকে। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সাধারণ কিছু ওষুধ যেমন ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল, হাঁচি-সর্দির জন্য ফেক্সোফেনাডিন জাতীয় ওষুধ (ট্যাবলেট ফেনাডিন/ফিক্সাল/ফেক্সো), কাশির জন্য এডোভাস সিরাপ কিংবা সিনেকড ট্যাবলেট গ্রহণ করা যেতে পারে। এগুলো অল্প কিছু সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ভালো। এ ছাড়া হজ পালনের উদ্দেশে বের হওয়ার পর থেকে মাল্টিভিটামিন (ফিলওয়েল গোল্ড/সিলভার) গ্রহণ করা উচিত। কারণ হজের দিনগুলোতে সুষম খাবারের অভাব দেখা দিতে পারে। সে ঘাটতি পূরণে প্রতিদিনই মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করা উচিত। যদি কারও অ্যাজমা-হাঁপানি থাকে, তখন অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে হজব্রত পালনের পথে কিভাবে চলতে হবে সে বিষয়ে সম্যক ধারণা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে। কারণ হজ পালনের সময় বেশকিছু ধূলিময় স্থান অতিক্রম করতে হতে পারে। কাছে রাখতে হবে হাঁপানির প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ। 

হজব্রত পালনের সময় হাজিদের অনেক হাঁটতে হয়। কাজেই দেশে থাকতেই হাঁটার প্রস্তুতি নিতে হবে। হাঁটা খুব ভালো ব্যায়াম। হজের জন্য রওনা হওয়ার ৬-৮ সপ্তাহ আগে থেকেই হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে হঠাৎ অতিরিক্ত হাঁটার কারণে পায়ের মাংসপেশিতে খিল ধরতে পারে কিংবা মাংসপেশি কিছুটা ব্যথা হতে পারে। হজ পালনের সময় ভিড়ের মধ্যে অবস্থানের কারণে যে কোনো সংক্রামক রোগ এড়াতে হোটেল বা অবস্থানস্থল থেকে বের হওয়ার সময় মুখে মাস্ক বা মুখোশ পরা যেতে পারে। যারা চশমা ব্যবহার করেন, অতিরিক্ত একজোড়া চশমা সঙ্গে নেওয়া উচিত। অনেক সংক্রামক ব্যাধি আছে যেগুলো টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। যেমন অনেকেই মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত সমস্যা এবং ফ্লু-এর জন্য ভ্যাকসিন নিয়ে থাকেন। হাজিদের হাজি ক্যাম্পেই এ ধরনের ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। হজে যাওয়ার অন্তত দুই মাস আগে দাঁতের চেকআপ করানো উচিত। হজে ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের যতœ নেওয়া খুবই জরুরি। পায়ে নরম অথচ টেকসই জুতা পরতে হবে। তা না হলে সামান্য আঘাতে পায়ে ডায়াবেটিসজনিত বড় ক্ষত তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া অন্য ব্যক্তিদেরও পায়ের যতœ হিসেবে নখ কাটা উচিত। যিনি শারীরিকভাবে বেশি ফিট হজ পালনে তিনি কম স্বাস্থ্য-ঝুঁকিতে পড়বেন। আর এ কারণে হজের জন্য রওনা হওয়ার আগেই নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। শরীর ফিট করে নিতে হবে। সেই সঙ্গে গুছিয়ে নিতে হবে নিয়মিতভাবে গ্রহণ করা সব ওষুধ ও তার প্রেসক্রিপশন। বাদ যাবে না চশমা ও জুতার মতো দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহƒত উপকরণগুলোর কোনোটিই। অসুস্থ হলে দেরি করা যাবে না। খবর দিতে হবে কাছাকাছি অবস্থিত মেডিকেল ক্যাম্পে।

288
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণের হজমকারী এনজাইম পেপেন রয়েছে। এর পাতায় অ্যালকালয়েড, গ্লুকোসাইড এবং ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকে। কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।
পেঁপের বৈজ্ঞানিক নাম Carica Papaya. মেক্সিকো এবং সেন্ট্রাল আমেরিকায় এর জন্ম হলেও ক্রমে ক্রমে বিশ্বময় পেঁপে সমাদৃত। হজমকারী হিসাবে পেঁপে খুবই জনপ্রিয়। এতে পেপেইন (Papain) নামে প্রাপ্ত উপাদান প্রোটিনকে হজম করে সহজেই এবং সমগ্র পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে। ওজন কমাতে পেঁপে বেশ সহায়ক। পাকা পেঁপে অর্শ্বরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে উপকারী।

গবেষকদের মতে, লাইকোপিন ক্যান্সার প্রতিরোধী। পুষ্টি বিবেচনায় কমলার চেয়ে পেঁপেতে ৩৩% ভিটামিন 'সি' এবং ৫০% বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। অন্যদিকে, আপেলের চেয়ে পেঁপেতে তের গুণ বেশি ভিটামিন 'সি' এবং দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। আপেল ও কমলার চেয়ে পেঁপেতে ভিটামিন 'ই'-এর পরিমাণও চারগুণ বেশি।
পেঁপে পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কানসাস স্টেট ইউনির্ভাসিটির এক গবেষণা তথ্যে জানা যায়, ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ পাকা পেঁপে ধূমপানের কুফল এড়াতে সাহায্য করে। ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ খাবার খুবই প্রয়োজন।

শরীরের মেদ ঝরাতে চাইলে খাদ্যতালিকায় পেঁপে অপরিহার্য। একদিকে যেমন কম ক্যালরি আছে, অন্যদিকে এতে বিদ্যমান আঁশ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সবজি হিসেবে পেঁপে অনন্য। এছাড়া বয়সজনিত ক্ষীণদৃষ্টি রোগ প্রতিরোধেও পেঁপের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। আর নিয়মিত পেঁপে খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ার প্রবণতা ধীর হয়ে।

289
'লবঙ্গ' গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। যদিও লবঙ্গের আদি বাস ইন্দোনেশিয়া, তবে বর্তমানে এটি পৃথিবীর সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। জাঞ্জিবার, ইন্দোনেশিয়া ও মাদাগাস্কারে ব্যাপকভাবে লবঙ্গ চাষ করা হয়। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাতেও লবঙ্গের চাষ হয়ে থাকে।
পুষ্টিমান

এক টেবিল চামচ পরিমান লবঙ্গ অর্থাৎ প্রায় ছয় গ্রাম লবঙ্গ থেকে পাওয়া যায় ২১ ক্যালরি শক্তি। এতে কোন কোলেস্টেরল নেই। ফ্যাট আছে এক গ্রাম, সোডিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, ফাইবার দুই গ্রাম। প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, থায়মিন, জিংক, রিবোফ্ল্যাভিন, এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে এতে।
ব্যবহার

লবঙ্গকে আস্ত অথবা গুঁড়ো অবস্থায় রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এর গন্ধ কড়া বলে অল্প পরিমাণে দিলেই চলে। ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের প্রায় সব দেশেই এর ব্যবহার রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন সিগারেটে সুগন্ধি হিসাবে লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। চীনা ও জাপানিরা ধুপ হিসাবে লবঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। ভারতীয় উপমহাদেশের খাদ্যে দীর্ঘকাল ধরে লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে আসছে। মেক্সিকোর খাদ্যেও এর ব্যবহার রয়েছে। লবঙ্গের সুগন্ধের মূল কারণ “ইউজেনল” নামের যৌগ। এটি লবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত তেলের মূল উপাদান, এবং এই তেলের প্রায় ৭২-৯০% অংশ জুড়ে ইউজেনল বিদ্যমান। এই যৌগটির জীবাণুনাশক এবং বেদনানাশক গুণ রয়েছে।
ভেষজগুণ

# লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূর করে, মাড়ির ক্ষয় নিরাময় করে, প্রায় সব টুথপেস্টের কমন উপকরণ এই লবঙ্গ।

# লবঙ্গের সুগন্ধ বমিবমি ভাব দূর করে। লবঙ্গ কিছুটা সতেজও করে তোলে।

# সর্দিকাশির মহৌষধ হিসেবে লবঙ্গ বহুবছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

# সাইনোসাইটিস রোগে লবঙ্গ খুব উপকারি। সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় লবঙ্গ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

# পেট ফাঁপা রোগ নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহার হয়। সাধারণত চায়ের সাথে লবঙ্গ মিশিয়ে পান করলে পেট ফাঁপা থেকে উপসম পাওয়া যায়।

# লবঙ্গ কামোদ্দীপক। এর সুবাস অবসাদ দূর করে, শরীর ও মনের ক্লান্তি ঝরিয়ে দেয়। যৌনরোগেও এর বহুল ব্যবহার আর্য়ুবেদিক শাস্ত্রে রয়েছে।

# মানসিক চাপ লাঘব করে। তুলসি, পুদিনা, এলাচ ও লবঙ্গ মেশানো জলের শরবত মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে।

# লবঙ্গ ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ব্রণের দাগ দূর করতেও লবঙ্গের পেস্ট খুব কার্যকর।

# লবঙ্গ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলো সরিয়ে রক্তকে পরিশোধন করতে ভূমিকা রাখে।লবঙ্গের তেলের জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। এটি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে খুবই কার্যকর।

290
ষড়যন্ত্র ও অনর্থক হত্যাকাণ্ড পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে বারবার বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ইসলামের তিন মহান খলিফাও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে প্রাণ হারান। প্রতিটি মুমিন মুসলমানের উচিত ষড়যন্ত্র ও হত্যার অপচর্চা থেকে দূরে থাকা। রসুল (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমানের হত্যাকাণ্ড আল্লাহর কাছে সারা দুনিয়া ধ্বংসের চেয়েও অধিক মারাত্মক। তিনি বলেছেন, আল্লাহর সঙ্গে কারও শরিক করা ও মানুষ হত্যা হলো জঘন্য কবিরা গুনাহ। পবিত্র কোরআনের সুরা আননিসার ৯৩নং আয়াতে মহান প্রভু আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন, 'যে লোক ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো বিশ্বাসী মুমিনকে খুন করবে, তার পরিণাম হবে চিরকালীন দোজখবাস। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুব্ধ হন, তাকে অভিশাপ দেন এবং তার জন্য ভয়ঙ্কর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। সুরা আল মায়েদার ৩২নং আয়াতে আল্লাহপাক ঘোষণা করেন, 'এ কারণেই আমি বনি ইসরাইলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে কেউ কোনো হত্যার বিনিময়ে অথবা পৃথিবীতে গোলযোগ সৃষ্টি করার অপরাধ ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন সমগ্র মানবকুলকে হত্যা করল, আর যে কারও জীবন বাঁচাল সে যেন সমগ্র মানবকুলের জীবন বাঁচাল।'

সুরা আল ফুরকানের ৬৮-৭০ আয়াতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আরও ঘোষণা দেন- 'আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অপর কোনো প্রভুকে আহ্বান করে না, আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ প্রাণকে যথার্থ কারণ ছাড়া হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না (আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারাই), আর যারা এসব করে তারা মহাপাপী। বিচার দিবসে তাদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেথায় তারা অপমানিত হয়ে চিরকাল অবস্থান করবে। কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নেক আমল করে তারা উক্ত আজাব থেকে পরিত্রাণ পাবে।'

রসুল (সা.)-এর হাদিসে বলা হয়েছে- এক লোক রসুল (সা.) সমীপে নিবেদন করল, আল্লাহর কাছে কোন পাপটি সবচেয়ে জঘন্য। তিনি বললেন, 'কাউকে আল্লাহর সমান মনে করা, অথচ তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন।' লোকটি বলল, তারপর কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন, 'তোমার জীবিকায় অংশীদার হবে এ ভয়ে তোমার সন্তানকে মেরে ফেলা।' সে আবার আরজ করল, তারপর কোনটি? তিনি জওয়াব দিলেন, 'পড়শির স্ত্রীর সঙ্গে জিনায় লিপ্ত হওয়া।' অনন্তর এর সমর্থনে আল্লাহপাক ঘোষণা দিলেন, 'যারা আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাবুদের ইবাদত করে না, আল্লাহর নিষিদ্ধকৃত হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না (তারাই প্রকৃত ইমানদার)।' -সূরা আল ফুরকান-৬৮। যারা হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় তাদের পরিণাম সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে আল্লাহ তাদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের পরিণাম কখনো ভালো হয় না। তারা সত্যিকার অর্থেই অভিশপ্ত। তাদের পরিণতি দেখলে স্পষ্ট হয় আল্লাহর বিধান কতটা অলঙ্ঘনীয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে অসত্য পথ থেকে দূরে থাকতে এবং শান্তি ও কল্যাণের পথে চলার তৌফিক দিন। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন দেশ ও জাতির সেসব সুসন্তানকে আল্লাহ জান্নাতবাসী করুন। আমিন।

291
Food / শুক্রানু বাড়ায় কাঠবাদাম
« on: August 14, 2014, 12:44:59 PM »
রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়ে আসলেও কমে যাচ্ছে প্রজনন ক্ষমতা। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য থেকে বিচ্ছুরিত নানা রকম রেডিয়েশন, কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে কমে যাচ্ছে পুরুষের শ্রুক্রানু উৎপাদন ক্ষমতা। কমে যাচ্ছে শু্ক্রানুর মানও। তাই একটি সন্তানের আশায় অনেক দম্পতিকেই বছরের পর বছর ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে দেখা যায়। অথচ দৈনিক মাত্র সাতটি কাঠবাদাম গ্রহণে পুরুষদের শুক্রানুর পরিমাণ এবং গুণগতমান উভয়ই বাড়বে বলে জানিয়েছে ইতালির একদল বিশেষজ্ঞ।

তুরিনের এক হাসপাতালে একশ’ জনের উপর এই জরিপ চালানো হয়। এই জরিপে প্রমাণিত হয় দৈনিক মাত্র সাতটি কাঠবাদামে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতার উন্নতি সাধন করবে বহুলাংশে। শুধু কাঠবাদামই নয়, যে কোন ধরণের বাদামই শুক্রানুর গুণগত মান বাড়াতে সাহায্য করে বলে ওই জরিপে উঠে এসেছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। এরপর একদলের দৈনিক খাদ্য তালিকায় সাতটি বাদাম যুক্ত করা হয় এবং অপর দলকে বেশি করে সামুদ্রিক মাছ এবং শস্য জাতীয় খাদ্য দেয়া হয়। দ্বিতীয় দলের খাদ্য তালিকা থেকে প্রক্রিয়াকরণ মাংস ও অন্যান্য খাদ্য বাদ দেয়া হয়। তবে প্রথম দলের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকা বলবৎ থাকে।

নির্দিষ্ট সময় পরে দেখা যায়, উভয় দলেরই প্রজনন ক্ষমতা বেড়েছে এবং শারীরিক প্রদাহ কমেছে।

292
Hadith / অসুস্থদের দেখতে যাওয়া
« on: August 14, 2014, 12:37:55 PM »
অসুস্থদের দেখতে গেলে, তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করলে, তারা অধিকতর স্বস্তিবোধ করেন। সুতরাং শুধু বন্ধুবান্ধব ও আত্দীয়স্বজনই নন বরং যারা দূরসম্পর্কের আত্দীয় ও স্বল্প পরিচিত, সেসব অসুস্থ লোকও দেখতে যাওয়া উচিত। অসুস্থদের দেখতে যাওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করে নিলে ভালো হয়, অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে থাকলে রোগী পরিদর্শনের সময়সূচি মেনে চলতে হবে এবং সেখানে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা থাকলে তাও মেনে চলতে হবে। অসুস্থতার ধরনের ওপর পরিদর্শনের প্রকৃতি ও সময়ের পরিমাণ নির্ভর করে। অসুস্থদের দেখার ব্যাপারে চিকিৎসকের নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে অথবা তাদের সংক্ষিপ্ত সময়ে দেখা যেতে পারে। চিকিৎসকদের অনুমতি থাকলে অসুস্থদের পাশে দীর্ঘ সময় কাটানো আবশ্যক, যাতে তারা অনুধাবন করতে পারেন, তার প্রতি অবহেলা করা হচ্ছে না। পরিদর্শনকারীকে রোগীর পাশেই বসতে হবে এবং তার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে হবে। রোগী পরিদর্শনকালে তার আরোগ্যের জন্য দোয়া করা উচিত। এই অসুস্থতা পাপ মোচনের জন্যও হতে পারে। রসূলে করিম (সা.) রোগী পরিদর্শনকালে বলতেন : 'লা-বা'স ত্বাগুর ইনশাআল্লাহ' (কোনো ক্ষতির কারণ নেই, যদি আল্লাহর ইচ্ছা হয় সংশোধন করা)।

রোগী পরিদর্শনকারীকে সতর্কতার সঙ্গে সান্ত্বনার বাক্য বেছে বেছে বলতে হবে; ভাগ্যের প্রতি আপত্তির কোনো মন্তব্য, অসুস্থতাকে পাপ হিসেবে উল্লেখ করা অথবা এমন কোনো কথা বলা যা রোগীর ওপর খারাপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে ইত্যাদি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা এবং খোদা সবার মঙ্গল করবেন- এরূপ ধারণা রাখতে বলা আবশ্যক। পীড়িত ব্যক্তির অবস্থা নৈরাশ্যকর অবস্থায় উপনীত হলে বলতে হবে, 'ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' (নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার দিকেই আমরা ফিরে যাব)।

কোনো মুসলমানের অসুস্থ ব্যক্তিকে তার সাহচর্য থেকে বঞ্চিত রাখা উচিত নয়। অসুস্থ ব্যক্তি তার ব্যাপারে ঘনিষ্ঠতাবোধ করলে তার কাছে যখনই প্রয়োজন হয় যাওয়া দরকার। শুধু রোগী দেখার মধ্যেই সীমিত রাখলে হবে না। সময়ে সময়ে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরিবারের কাছে খোঁজখবর নিতে হবে। বন্ধু বা প্রতিবেশী অমুসলিম হলেও অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যেতে হবে।

293
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, যা পৃথিবীর বুকে প্রতিটি মানুষের হক বা অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশেষ করে আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার ক্ষেত্রে ইসলাম যে অবদান রেখেছে তা অতুলীয়। যা মানব জাতির অস্তিত্বের স্তম্ভ 'কোরআন' এবং আমাদের প্রিয়তম নবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.)-এর অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। জন্মসূত্রেই মূলত মানুষ পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আত্মীয়স্বজনের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিকে ইসলামী পরিভাষায় সেলায়ে রেহমি বলা হয়। আর এতে কোনো রকম ব্যত্যয় সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয়, 'কেত্বয়ে-রেহমি'।

কোরআনে আত্মীয়তার সম্পর্কের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহতায়ালা কোরআনে বলেছেন : এবং আত্মীয়দের (অধিকার খর্ব করা) কে ভয় কর। নিশ্চিত জানিও আল্লাহ তোমাদের প্রতি লক্ষ্য রেখেছেন। (সূরা নিসা-আয়াত-১)

হাদিস শরিফেও আত্মীয়তার সম্পর্কের ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন : যে ব্যক্তি রিজিকে প্রাচুর্য এবং দীর্ঘ জীবনের প্রত্যাশা করে, তার উচিত আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। (মেশকাত শরিফ, পৃঃ ৪১৯)

এ হাদিসে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার দুটি উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমত আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলে পরকালে তো কল্যাণ লাভ হবেই, ইহকালেও সম্পদের প্রাচুর্য এবং আল্লাহর রাসূলের (সা.) পক্ষ থেকে দীর্ঘজীবন লাভের আশ্বাস সম্পর্কিত সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দুনিয়ার জীবনে মানুষের জন্য পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে সুখময় করতে হলে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা অতীব আবশ্যক। আর কেউ যদি আত্মীয়তার এ সম্পর্ককে ছিন্ন করে তাহলে পারিবারিক জীবন তার জন্য যেমন বিষাক্ত হয়ে ওঠে; তার চেয়েও ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ হলো সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। কেননা রসুল (সা.)-এর স্পষ্ট হাদিস : 'আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।' (তিরমিজি শরিফ)

আল্লাহ ভীতি এবং পরকালের ভয় ছাড়াও এই বন্ধনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হচ্ছে পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একে অন্যের অধিকারের প্রতি পুরোপুরি সম্মান প্রদর্শন করে উঁচু-নিচু, ইতর-ভদ্রের ব্যবধান ভুলে গিয়ে সবাই একই মানদণ্ডে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে নেওয়া। কেননা এর মধ্যেই আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন সুখময় হয়ে উঠবে।

294
Common Forum/Request/Suggestions / 100 Years of Panama Canal
« on: August 14, 2014, 10:54:33 AM »
100 Years of Panama Canal.

295
Common Forum / Now 22 million people is poor in this world
« on: July 25, 2014, 09:23:30 AM »
Now 22 million people is poor in this world. A publication of United Nations Development program which is appeared in the Daily Prothom-Alo on 25 July 2014.

296
Common Forum / 232 tooth of a young boy
« on: July 25, 2014, 09:13:07 AM »
232 tooth is found in the mouth of a young boy.

297
Common Forum / All world cup football image
« on: July 25, 2014, 09:05:07 AM »
Here is the image of all world cup football image.

298
World Quality Congress conferred the “Global Award for Outstanding Contribution to Quality & Leadership” to Mr. Md. Sabur Khan, Chairman, Daffodil Group and Former President of Dhaka Chamber of Commerce and Industry (DCCI) on June 28, 2014 at its summit held at Taj Lands End, Mumbai, India.

Mr. Md. Sabur Khan was nominated for Global Awards for Excellence in Quality Management & Leadership award considering his dynamic leadership and outstanding Presidential service in Dhaka Chamber of Commerce & Industry (DCCI) in the year 2013 and his great initiative of the project of creating two thousand entrepreneurs.

The Award consists of a Trophy and a Citation. The aim of the Awards is to recognize the Best of the Best for Excellence in Quality Management, Leadership, Business Process Improvement and Benchmarking of Quality practices.

299
Mr. Md. Sabur Khan, Chairman, Board of Trustees of Daffodil International University met with Ms. Aung San Suu Kyi, Nobel Laureate for Peace, Visionary leader and Chairperson of National League for Democracy, Myanmar on June 29, 2014 at her residence in Myanmar. During the meeting, Mr.  Sabur Khan shared his views and lot of issues and handed over the invitation letter to visit Bangladesh and join any convocation of the university in future. While discussing Ms. Suu Kyi emphasized repeatedly about education which must need to spread to all people and she stressed that for keeping everyone healthy we need education.

She also expressed that as a neighboring country Bangladesh and Myanmar should work together because this geographical location will lead next economical scope. Myanmar have linkage with China, Thailand,  Laos, Cambodia and Bangladesh have linkage with India, So total networking is of almost 250 crore people which is  two third of world population.

Ms. Suu Kyi accepted the invitation of Daffodil International University and showed her keen interest and willingness to join in future. While Mr. Md. Sabur Khan handed over a souvenir of our Rickshaw she praised a lot.

300
‘Social Business-The Next Generation’s Business’ workshop in Jahangirnagar University

“Social Business-The Next Generation’s Business” a seminar to encourage youth generation for being involved in the social business for the betterment of the society and community, has been organized by the Business Research Club (BRC) in association with MyVision SBSF- Jahangirnagar University Chapter and Daffodil International University (DIU) on 1st July in Jahangirnagar University.

In the seminar, Joanna Klimczak, CEO of MyVision and Luisa Brunori, Professor of University of Bologna, Italy have honored the position of Keynote speakers.

Dr. Md. Bellal Hossain, Associate Professor, NF&E, DIU is discussing about DIU Social Business Project Initiative.
Dr. Md. Belal Hossain, Associate Professor, Daffodil International University and an ex-student of Jahangirnagar University and  Kazi Misu and Md Asraful Alam Sunny from Social Business Students Forum (SBSF) were present as guest speakers.

In the seminar Mr. Awal-Al Kabir, member of advisory panel of Business Research Club was also present. Awal-Al Kabir said “The new entrepreneurs of social business should start from Zero and should be confident enough to make it successfully established”. Joanna Klimczak opined “Social business is the best form business in where you can make profit as well as do something great for the society and your community. She added “Young people of Bangladesh should come forward to undertake social venture and perform their social responsibility towards society they are belongings. 

At present Myvision and MyVision SBSF Jahangirnagar University Chapter are working together to promote social business among the university students to change the country to be free from socio-economic problems.

Pages: 1 ... 18 19 [20] 21 22