Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Forman

Pages: 1 2 3 [4]
46
Internet / ২০৩০ সালের মধ্যে ৬–জি
« on: February 02, 2020, 03:07:31 PM »
পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক (৫–জি) নিয়ে এখনো বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। এখনো অনেক দেশে ৫–জি বাস্তবায়ন হয়নি। এরই মধ্যে জাপান বলছে তার ৫–জি–পরবর্তী প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করছে। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যেই ‘পোস্ট-৫–জি’ বা ৬–জি প্রযুক্তি চালু করতে চায়। আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।



বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ৫–জি প্রযুক্তির চেয়ে অন্তত ১০ গুণ দ্রুতগতির হবে ৬–জি। জাপানিরা ২০৩০ সালের মধ্যে ‘৫-পরবর্তী জি’ প্রযুক্তির জন্য একটি বিস্তৃত কৌশল পরিকল্পনা করছে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমো চায়নার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস মন্ত্রণালয় টোকিও গোশিনজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে জানুয়ারিতে একটি সরকারি-বেসরকারি গবেষণা সমিতি প্রতিষ্ঠা করবে দেশটি, যা সরাসরি মন্ত্রীপর্যায়ে তত্ত্বাবধান করা হবে।

আগামী জুনে জাপানি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনটিটি ও তোশিবাকে ৬–জির পারফরম্যান্স লক্ষ্য ও নীতিনির্ধারণী বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ৬–জি প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগকারী ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাচের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ২০ কোটি ইউনিট ৫–জি সমর্থনযোগ্য স্মার্টফোন বিক্রি হবে। শুধু চীনেই ১০ লাখ ৫–জি বেজ স্টেশন স্থাপন করা হবে।

চীনা প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা শাওমির সহপ্রতিষ্ঠাতা লেই জুন ঘোষণা দিয়েছেন ৫–জি, এআই ও আইওটি থেকে আগামী ৫ বছরে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

Source: Prothom Alo

47
সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে গুগলের সার্চই সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন অনলাইনে বিভিন্ন বিষয় খুঁজতে গুগলের সার্চ ফিচার ব্যবহার করছেন। গুগল সম্প্রতি তাদের এই সার্চে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। বিষয়টি পছন্দ হয়নি অনেক ব্যবহারকারীর। তারা গুগলের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর গুগল তাদের অবস্থান বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও উন্নত অনুসন্ধান ফল দেখানোর লক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু রাখার কথা বলেছে গুগল কর্তৃপক্ষ।



গত সপ্তাহ থেকে ডেস্কটপ থেকে গুগল ব্যবহারকারীরা সার্চের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের বিষয়টি খেয়াল করতে শুরু করেন। এ সময় লিংক প্রিভিউয়ের পাশে ফ্যাভিকন আইকন দেখানো শুরু করে গুগল। ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেন, পরিবর্তন আনার ফলে বিজ্ঞাপন ও সার্চ ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য বের করা কঠিন হয়ে যায়।

গুগল কর্তৃপক্ষ টুইট করে জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে তারা গুগল সার্চ নিয়ে আরও কিছু পরীক্ষা চালাবে। ডেস্কটপে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা মূলত দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে দেখানো সার্চ ফলাফলের মতোই। তবে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানার পর এ বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে। গুগল সব সময় তাদের সার্চ ফল উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

মোবাইল ডিভাইসে ফ্যাভিকনের ব্যবহার বহুল প্রচলিত হলেও ডেস্কটপ সার্চের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা আপত্তি করছেন। শুরুতে অবশ্যই ইতিবাচক ফল দেখা গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ব্যবহারকারীরা অসুবিধায় পড়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

Source: Prothom Alo

48
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের মেয়াদ কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ হবে তানভীর হাসানের। তিনি অপেক্ষা করছিলেন ই-পাসপোর্ট করার জন্য। ২২ জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট শুরু হওয়ার পরপরই তিনি অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে ফেলেছেন। বললেন, ই-পাসপোর্ট করতে ঝামেলা অনেক কম। এ ছাড়া দ্রুত সময়ে ১০ বছর পর্যন্ত মেয়াদের পাসপোর্ট করা যাচ্ছে। অনলাইন পেমেন্টও যুক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ই-পাসপোর্ট হচ্ছে নতুন যুগের নিরাপদ পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে সহজেই করা যাচ্ছে। এ ছাড়া আবেদনের পর কবে জমা দিতে যেতে হবে, সেই দিন–তারিখ পাওয়া যাচ্ছে বলে অনেক কাজ সহজ হয়ে যাচ্ছে।



দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ডিআইপি ডটগভ ডটবিডির তথ্য অনুযায়ী, ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক চিপ রয়েছে। এ চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য, যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মাইক্রোপ্রসেসর বা চিপ এবং অ্যান্টেনাসহ স্মার্টকার্ড প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়। ই-পাসপোর্টে যেসব বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়া হয় সেসব হলো—ছবি, আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) দিয়ে পাসপোর্ট চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনামূলক যাচাই করা হয়। পাবলিক কি ইনফ্রাষ্ট্রাকচােরর (পিকেআই) মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপে থাকা তথ্য যাচাই করা হয়। তাই জালিয়াতি করা কঠিন।

সাধারণ পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের পার্থক্য হলো, এতে মোবাইল ফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের চিপ থাকে। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য থাকবে, যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকবে লুকানো অবস্থায়। ই-পাসপোর্ট করার সময় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) তথ্যভাণ্ডারে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।

সাধারণ পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের আবেদনও অনলাইনে পাওয়া যাবে। চাইলে পিডিএফ ফরম নামিয়ে নিয়ে হাতেও পূরণ করা যাবে। ফরম পূরণের সময় ছবি ও সত্যায়ন করা লাগবে না। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় আবেদনকারীর ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেওয়া হবে। সেসব তথ্য চিপে যুক্ত হবে। ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ যন্ত্রের সামনে পাসপোর্টের পাতাটি ধরতেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।

ই-পাসপোর্ট দুই ধরনের। একটি ৪৮ পাতার, অন্যটি ৬৪ পাতার। সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরির জন্য ফি তিন ধরনের। দুই দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। এ জন্য ফিও বেশি গুনতে হবে।

প্রাথমিকভাবে ঢাকার উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও আগারগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৭২টি আঞ্চলিক ও বিভাগীয় অফিস এবং ৮০টি বিদেশি মিশনে চালু করা হবে।

আবেদন করবেন যেভাবে

ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে www.dip.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে গিয়ে আবেদন করা যাবে। সাইটে বাংলা বা ইংরেজি ভাষা নির্বাচন করে নেওয়ার সুবিধা আছে। সেখানে শুরুতেই অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন: নতুন/রি-ইস্যু বাটন পাওয়া যাবে। এখানে ক্লিক করে সরাসরি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এর আগে দেখে নিতে পারেন ই-পাসপোর্ট আবেদনের ৫টি (পাঁচ) ধাপ। একটি ধাপ হচ্ছে বর্তমান বসবাসরত জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না, তা দেখা। এর পরেরগুলো হচ্ছে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম, পাসপোর্ট ফি পরিশোধ, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ ও পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ। এর মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে, কাগজপত্র ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই, আবেদনকারীর ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও আইরিশের ছবি গ্রহণ, যথাযথভাবে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ হয়েছে কি না এবং তালিকাভুক্তির পর সরবরাহ করা ডেলিভারি স্লিপ সংরক্ষণ। পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া সর্বশেষ পুরোনো পাসপোর্ট (যদি থাকে) নিতে হবে। ই-পাসপোর্ট আবেদন অনলাইনে দাখিল করার সময়ে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা যাবে। পাসপোর্ট ফি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিসাব করা হবে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসের আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে। অনলাইন পেমেন্ট ছাড়াও ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া যাবে। সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট দেওয়া হয় এবং এখন পর্যন্ত চালু করা অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি হলো স্টারকার্ড, ভিসা, কিউ-ক্যাশ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বিকাশ ও ডিবিবিএল নেক্সাস। অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য আপনার ব্রাউজারের পপ-আপ ব্লকার অক্ষম করতে হবে।

ফি কত

৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনের নিয়মিত সরবরাহ ৪ হাজার ২৫ টাকা, ১০ দিনের দ্রুত সরবরাহ ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, ২ দিনে সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। ৪৮ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদি ২১ দিন ডেলিভারি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, ১০ দিনের ডেলিভারি ৮ হাজার ৫০ টাকা ও ২ দিনের ডেলিভারি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠা ৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনের ডেলিভারি ৬ হাজার ৩২৫, ১০ দিনের ডেলিভারি ৮ হাজার ৬২৫, ২ দিনের ডেলিভারি ১২ হাজার ৭৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদি ২১ দিনের ডেলিভারি ৮ হাজার ৫০, ১০ দিনের ডেলিভারি ১০ হাজার ৩৫০, ২ দিনের ডেলিভারি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা

ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা যাবে সঙ্গে সঙ্গে।

জেনে রাখুন

ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে অথবা পিডিএফ ফরমেট ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। এতে কোনো ছবি এবং কোনো ধরনের কাগজপত্র সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদপত্রসহ বাবা-মায়ের এনআইডির কপি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় হাতের ১০ আঙুলের ছাপ, ছবি ও চোখের আইরিশ ফিচার নেওয়া হবে। ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হবে। অতি জরুরি ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রি-পুলিশ ভেরিফিকেশন নিজ উদ্যোগে করে নিয়ে যেতে হবে। প্রচলিত ব্যবস্থার মতো ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ভিসার বিষয়টি একই থাকবে। ভিসা কর্তৃপক্ষ বা দূতাবাসগুলো এই পিকেডি ব্যবহার করে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে নিতে পারবে। এরপর বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার, সিল দিতে পারবে বা বাতিল করে দিতে পারবে। ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপিও চালু থাকবে। তবে নতুন করে কাউকে এমআরপি দেওয়া হবে না। পর্যায়ক্রমে সব এমআরপি তুলে নেওয়া হবে। আবেদন করার বিস্তারিত নিয়মাবলি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন চেক

ই-পাসপোর্ট পোর্টালে ‘স্ট্যাটাস চেক’ করা যাবে। জন্মতারিখ ও আবেদনের ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনার অনলাইন পোর্টাল অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার সব আবেদনের অবস্থা দেখতে পারেন।

49
অনুবাদ সেবা গুগল ট্রান্সলেটে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সুবিধা। এর মধ্যে উন্নত অনুবাদসহ রয়েছে মানুষের কথোপকথন থেকে সরাসরি শ্রুতলিখন সেবা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সুবিধাগুলোর ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।



তা ছাড়া সিনেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যতে ছাড়া হবে এমন একটি সুবিধাও দেখানো হয়েছে গুগলের সেই সংবাদ সম্মেলনে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শ্রুতলিখনের জন্য ইন্টারনেটে যুক্ত থাকা আবশ্যক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তা থেকে দ্রুত ও নির্ভুল অনুবাদ সেবা পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে নতুন বৈশিষ্ট্যটি অডিও ফাইলগুলোতে কাজ করবে না। এটি কেবল কাজ করবে স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহার করে ধারণ করা লাইভ অডিওতে। তবে গুগল জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা আগে থেকে রেকর্ড করা অডিও প্লে করে তা অনুলিখন করে নিতে পারবেন। স্প্যানিশ, জার্মান, ফরাসিসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি ভাষায় সুবিধাটি পরীক্ষা করছে গুগল।

গত বছর প্রতিষ্ঠানটি তাদের গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপের জন্য একটি দোভাষী মোড চালু করেছিল যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যেকোনো একটি ভাষায় নির্দেশনা দিয়ে দুটি ভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে নিতে পারে।

আসন্ন সুবিধাটি ছাড়াও গুগল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর আরও কিছু উদ্যোগ দেখিয়েছে। ‘আইও ব্রেইড’ নামের একটি প্রকল্পও দেখিয়েছে তারা। যার মাধ্যমে কেব্ল নাড়াচাড়া করে কোনো ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন কোনো গান শুনছেন, তখন ইয়ারফোনের কেব্ল মুচড়িয়ে গান বন্ধ করতে বা শব্দ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এ ছাড়া গুগল হেলথ নামে আরও একটি প্রকল্প ছিল, যা রোগীদের রক্তস্বল্পতা শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। সূত্র: গ্যাজেটস নাউ

50
স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও প্রেমীদের কথা মাথায় রেখে গুগল আনল নতুন অ্যাপ ‘ট্যাংগি’। ভিডিও ও অন্যান্য সৃজনশীল ভিডিওর ক্ষেত্রে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। গুগলের এরিয়া ১২০ প্রকল্প থেকে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। আপাতত ওয়েব ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে ট্যাংগি অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। জনপ্রিয় টিকটক অ্যাপের সঙ্গে এর মিল থাকলেও ট্যাংগি দর্শককে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করবে।



গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন অ্যাপের মাধ্যমে আমরা শুধু নিজে সৃষ্ট (ডিআইওয়াই) ও সৃজনশীল কনটেন্টে নজর দিচ্ছে তারা। এক মিনিটের ভিডিও দেখে নৈপুণ্য, রান্না রান্না ও নতুন জিনিস তৈরি শেখানোই এ প্ল্যাটফর্মের উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যেই সব ধরনের ভিডিওর জন্য বিভিন্ন ভিডিও নির্মাতার সঙ্গে কাজ করা শুরু করেছে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্মাতাদের সঙ্গে দর্শকের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ট্যাংগিতে একটি বিশেষ বিভাগ থাকছে।

স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টিকটকের সফলতার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এখন এ ধরনের সেবা তৈরিতে ঝুঁকছে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম উন্মুক্ত করেছে ‘রিলস’। এতে ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে স্টোরিতে পোস্ট করতে পারেন। গত বছর নভেম্বর মাসে টিকটককে টেক্কা দিতে ফেসবুক উন্মুক্ত করেছে ল্যাসো নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন।

Source: Prothom Alo

51
জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস অ্যাভাস্টের বিরুদ্ধে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে তা মাইক্রোসফট, গুগলের মতো তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানী তদন্তে অ্যাভাস্টের এই অনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়টি উঠে আসার পর বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে অ্যাভাস্ট কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে ব্রাউজারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের চর্চা আর করবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে উইন্ডোজ, ম্যাক ও মোবাইল ফোন মিলিয়ে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডিভাইসে অ্যাভাস্ট ইনস্টল করা রয়েছে। ব্রাউজার প্লাগইন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের পর তা বিক্রি করে দেওয়ার কথা প্রকাশ করে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মাদারবোর্ড ও পিসি ম্যাগ।



আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হ্যাকিং থেকে বাঁচতে বা ডিভাইসের তথ্য সুরক্ষার জন্য বিনা মূল্যের অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা হয়। এ সুযোগটাই নেয় অ্যাভাস্ট। অনেক স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশেষ চুক্তির মাধ্যম বিক্রি করে তারা।

অ্যাভাস্টের বৈশ্বিক প্রধান নির্বাহী অন্দ্রেজ ভাইসেক আইএএনএসকে বলেছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ব্রাউজার স্টোরের মান অনুযায়ী তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। শুধু নিরাপত্তা ইঞ্জিনের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্রাউজার এক্সটেনশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা বন্ধ হয়েছে।

তদন্তের সময় অ্যাভাস্টের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান জাম্পশটের কাছেও স্পর্শকাতর তথ্য পাওয়া যায়। এখন তাদের কাছেও তথ্য দেওয়া বন্ধ করেছে অ্যাভাস্ট।

যেসব ডিভাইসে অ্যাভাস্ট ইনস্টল করা থাকে, সেখান থেকে ব্রাউজার হিস্টোরি সংগ্রহ করে অ্যাভাস্ট এরপর সেসব তথ্য কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পণ্য উপযোগী করে জাম্পশট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে। এ তথ্য ইয়েলপ, গুগল, মাইক্রোসফট, ম্যাকিনসে, স্যাফোরার মতো বড় বড় কোম্পানি কিনে নেয়।

ভাইসেক দাবি করেন, জাম্পশট কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ই–মেইল, নাম বা কন্টাক্টের বিস্তারিত জানতে পারে না। তা ছাড়া ব্যবহারকারী এখন চাইলে তথ্য শেয়ার করার বিষয়টি বন্ধ করে দিতে পারেন।

তদন্তে দেখা গেছে, গত বছর তথ্য পেতে একটি প্রতিষ্ঠান জাম্পশটকে ২০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। এ ছাড়া যাঁরা পরিচয় গোপন করে পর্নো সাইটে যান, তাঁদেরও ট্র্যাক করে রাখার পর সেসব তথ্যও বেশি দামে বিক্রি করা হয়।

ওই তদন্তে দাবি করা হয়েছে, ব্রাউজার থেকে তথ্য সংগ্রহ বন্ধের কথা বলা হলেও এখন অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমেই সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করছে অ্যাভাস্ট। তবে অ্যাভাস্টের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

52
এখন অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং বা ঘরে বসে করা যায়, এমন কাজ খোঁজেন। গুগল তাদের সার্চ ফিচারে এমন সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। গুগলে চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করার বছরখানেক পরে চাকরি খোঁজার ফিচারে নতুন এ সুবিধা যুক্ত করছে গুগল।

গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিয়োগদাতা ও চাকরি দেওয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সাহায্য করার পাশাপাশি আরও বেশি চাকরিপ্রার্থীকে যুক্ত করতে উন্নত চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করছে গুগল। এতে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি ঘরে বসে বা দূরে বসে কাজ করার সুবিধা পাওয়া যাবে।

যাঁরা ঘরে বসে কাজ খোঁজেন, তাঁদের জন্য এই ফাংশন দারুণ কাজে দেবে। গুগলের ক্লাউড পণ্য ব্যবস্থাপক জেনিফার সু গত বুধবার এক ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানান।

গুগল তাদের সাইটে ১০০টি ভাষার চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করেছে।

গুগল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন গুগল সার্চ ব্যবহারকারীরা ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা আছে, এমন কাজ খুঁজছেন বেশি। তাঁদের কথা ভেবেই নতুন সুবিধা আনা হচ্ছে।

Source: Prothom Alo

53
আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্ট ও তথ্য সুরক্ষার জন্য পাসওয়ার্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এখনো সহজে অনুমানযোগ্য ও সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন। এ কারণে তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সাইবার দুর্বৃত্তরা নানা কৌশলে সহজ পাসওয়ার্ড হ্যাক করে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ব্ল্যাকমেল করতে পারে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাইবার সার্ভে নামের একটি প্রতিষ্ঠান এক লাখ সহজ পাসওয়ার্ড বিশ্লেষণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকেরা বলেছেন, মানুষ এখনো শক্ত ও জটিল পাসওয়ার্ডের গুরুত্ব বোঝে না।

সাইবার সার্ভের গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ২ কোটি ৩২ লাখ হ্যাকের শিকার ভুক্তভোগী তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ড হিসেবে (123456) সংখ্যাটি ব্যবহার করেছেন। এটিই এখন সবচেয়ে বেশি হ্যাক হওয়া সহজ পাসওয়ার্ড।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তাকেন্দ্রের পক্ষ থেকে সহজে অনুমানযোগ্য ও হ্যাকের ঝুঁকিতে থাকা কিছু পাসওয়ার্ডের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জনসাধারণকে জানানোর উদ্দেশ্যে ও পাসওয়ার্ডের গুরুত্ব তুলে ধরার অংশ হিসেবে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, যাঁরা সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন, তাঁরা দ্রুত তা বদলে অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করতে পারেন। হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি থাকায় সহজ পাসওয়ার্ডের তালিকায় থাকা কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।

দেখে নিন সহজে হ্যাক হয়, এমন কতগুলো পাসওয়ার্ড

123456, 123456789, qwerty, Password, 1111111, Ashley, Michael, Daniel, Andrew, Joshua, Justin, Jessica, Jennifer, Anthony, Charlie

Source: Prothom Alo

54
বর্তমান সময়ে গুগল অ্যাডসেন্সের সঙ্গে কম বেশি সবাই পরিচিত। মূলত অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এই গুগল অ্যাডসেন্স।

অ্যাডসেন্সের নিয়মকানুন এবং গাইডলাইন সঠিকভাবে অনুসরণ করলে সহজেই অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভড করে সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন শো করিয়ে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন করতে সক্ষম হলেও আয় বৃদ্ধি করতে পারে না অনেকেই। গুগল অ্যাডসেন্স আয় বৃদ্ধি না হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এর সঠিক ব্যবহার করতে না পারা।

আজকের আয়োজনে গুগল অ্যাডসেন্স কী? কীভাবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় বৃদ্ধি করা যায়।

গুগল অ্যাডসেন্স

গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এটি মূলত একটি লাভ-অংশীদারি প্রকল্প যার মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারী তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর বা স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

আর গুগল অ্যাডসেন্স বর্তমান সময়ের অত্যন্ত কার্যকরী ও বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে বিশ্বের বড়-বড় ব্লগার ও ওয়েব মাস্টাররা তাদের ব্লগ/ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে টাকা আয় করে থাকেন। গুগল তাদের বার্ষিক আয়ের বড় একটি অংশ গুগল অ্যাডসেন্স থেকে করে থাকে।

কীভাবে গুগল অ্যাডসেন্স কাজ করে

প্রথমে আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে এবং আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।

কেউ যদি সেই বিজ্ঞাপন দেখে ক্লিক করে তাহলে আপনে প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবেন। এ ছাড়া শুধু মাত্র আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি অল্পকিছু পরিমাণ টাকা পাবেন।

আর এই বিজ্ঞাপনগুলো গুগল তাদের আরেকটি প্রোগ্রাম গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকে।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় বৃদ্ধির কৌশল

গুগল অ্যাডসেন্সের পলিসি সঠিকভাবে অনুসরণ

অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে তেমন একটা ভাবেন না। হয়তো মনে করেন এটি ব্লগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। গুগল অ্যাডসেন্সের গাইডলাইন অনুসরণ না করে কোনো কিছু করলে আয় বৃদ্ধির হওয়ার পরিবর্তে যে কোনো সময় আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে। গুগল অ্যাডসেন্সের প্রধান কয়েকটি বর্জনীয় বিষয় তুলে ধরলাম।

* নিজের ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করা। * Paid Traffic বা Clicking ব্যবহার না করা। * IP Address পরিবর্তন বা গোপন করে বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করা। * অন্যকে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে উৎসাহিত না করা।

সঠিক জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড বসান

গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো এমন জায়গায় বসাতে হবে যাতে করে ভিজিটররা খুব সহজে অ্যাড-টি দেখতে পায়। আর এই পদ্ধতিটাই ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক হওয়ার অধিক সম্ভাবনা তৈরি করবে Google Adsense সবসময় কনটেন্ট Related বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, কাজেই যখন পাঠক সহজে বিজ্ঞাপন দেখতে পাবে তখন ওই জিনিসটা তার প্রয়োজন পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সে তার প্রয়োজনে অবশ্যই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। তবে ব্লগের কনটেন্ট Area-এর ভেতরে অধিক পরিমাণে বিজ্ঞাপন বসানো থেকে বিরত থাকবেন।

ব্লগের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করা

একটি দ্রুতগতির ব্লগ ভিজিটর এবং বিজ্ঞাপন ক্লিক দুটিই বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। ব্লগ যদি খুব ধীরগতির হয় তাহলে কোনোভাবেই ভিজিটর এবং পেজ ভিউ পাওয়া যায় না। কারণ ব্লগ যদি লোড নিতে বেশি সময় নেয় তাহলে ভিজিটররা বিরক্ত বোধ করবে এবং আপনার ব্লগ থেকে বেরিয়ে যাবে।

অন্যান্য বিজ্ঞাপন বাদ দেয়া

গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন থেকে আয় বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই অ্যাডসেন্স থেকে কম গুরুত্ব বহন করে এমন সব বিজ্ঞাপন পরিহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্লগের Load Time অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে।

অধিকন্তু গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে আপনি যদি অন্য কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই সেটি জবসড়াব করবেন। তা না হলে কোনোভাবে Adsense টিম আপনার আবেদন অনুমোদন করবে না।

অরিজিনাল ও কোয়ালিটি কন্টেন্ট লেখা

অ্যাডসেন্স থেকে ভালো আয় করার প্রথম শর্তই হচ্ছে ভিজিটরের চাহিদা মাফিক অরিজিনাল এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট নিয়মিত ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা।

সে জন্য অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যেন সাইটে কপি-পেস্ট কন্টেন্ট না দেয়া হয়। কোয়ালিটিসম্পন্ন কন্টেন্টে হাইপেয়িং বিজ্ঞাপনদাতাদের এডস আসে, যারা ক্লিকের জন্য বেশ ভালো সিপিসি দিতে আগ্রহী থাকে। বুঝতেই পারছেন অরিজিনাল এবং কোয়ালিটিসম্পন্ন পোস্ট লিখার গুরুত্ব কেমন।

সুতরাং অ্যাডসেন্স রেভিনিউ বৃদ্ধি করতে চাহিদা মাফিক কপি-পেস্টবিহীন কোয়ালিটি কন্টেন্ট পোস্ট করা উচিত।

নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করা

ব্লগে প্রচুর পরিমাণে নিত্যনতুন ইউনিক ভিজিটর পেতে অবশ্যই নিয়মিত নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে। SEO অনুসরণ করে ব্লগে ভালোমানের কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে।

তবে মনে রাখতে হবে বেশি কনটেন্ট শেয়ার করতে গিয়ে কপি কনটেন্ট শেয়ার না হয়ে যায়। এতে করে আয় বৃদ্ধি হওয়ার পরিবর্তে Adsense অ্যাকাউন্ট হারাতে পারে।

Source: Jugantor.com

55
ফেসবুকে নানা রকম গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা পোস্ট দেন এর সদস্যরা। তাঁরা ফেসবুককে জমিয়ে রাখেন। এখন এসব গ্রুপ যাঁরা চালান, তাঁদের খুশি করতে চাইছে ফেসবুক। গ্রুপ অ্যাডমিনদের আরও বেশি অর্থ আয় করার সুযোগ করে দিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্র্যান্ডকে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা বলেছে ফেসবুক। এতে গ্রুপ অ্যাডমিনরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডকে প্রচার করার সুযোগ পাবেন এবং অর্থ আয় করতে পারবেন।

গত বছরের জুন মাসে ফেসবুকের গ্রুপ যাঁরা চালান, তাঁদের জন্য গ্রুপের সদস্য হতে গেলে সাবসক্রিপশন মডেল চালু করে ফেসবুক। এর মাধ্যমে গ্রুপ অ্যাডমিনরা প্রচলিত গ্রুপের বাইরে সাবসক্রিপশনভিত্তিক বিশেষ গ্রুপ তৈরি করতে পারেন।

গত বৃহস্পতিবার মেনলো পার্কে আয়োজিত ফেসবুক কমিউনিটিজ সম্মেলনে গ্রুপ অ্যাডমিনদের জন্য নতুন উদ্যোগের ঘোষণা দেয় ফেসবুক। এতে সাবসক্রিপশন গ্রুপকে আরও সহযোগীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগের কথা বলা হয়। এর ফলে যে বিষয়ের গ্রুপ, সে ধরনের ব্র্যান্ডগুলোকে সহযোগী হিসেবে নেওয়া যাবে। গ্রুপে পোস্ট দেওয়ার জন্য নতুন ফরম্যাটিং টুল আনা হচ্ছে। এ ছাড়া কেউ গ্রুপের নিয়ম ভাঙলে তাঁকে জানানো, গ্রুপ পোস্ট ফিল্টার করা, সদস্য হওয়ার অনুরোধ অনুসন্ধানগুলো সহজ করা হচ্ছে।

এর আগে গ্রুপকে গুরুত্ব দিয়ে ফেসবুক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ফেসবুক গ্রুপে নিষ্ক্রিয় সদস্যদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে অনেক গ্রুপে সদস্য কমে গেছে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সোশ্যাল মিডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুক তাদের নতুন নীতিমালায় গ্রুপের নিষ্ক্রিয় সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। হালনাগাদ ওই নীতিমালায় ফেসবুক ‘কিকড আউট’ শব্দ ব্যবহার করেছে।

এ নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বন্ধু চাইলে কাউকে আর সরাসরি কোনো গ্রুপে যুক্ত করতে পারবেন না। এর বদলে বন্ধুদের গ্রুপে সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই বন্ধু সে আমন্ত্রণ রক্ষা করবেন এবং গ্রুপে যুক্ত হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে ওই গ্রুপের সদস্য হিসেবে ধরা হবে না। তাঁকে সম্ভাব্য গ্রুপ সদস্য হিসেবে ‘ইনভাইটেড’ তালিকায় রাখা হবে।

এর আগে যাঁদের বন্ধুরা ফেসবুকের কোনো গ্রুপে যুক্ত করেছেন কিন্তু তিনি সে গ্রুপে যাননি এবং নিউজ ফিডে পোস্ট দেখেছেন, তাঁদেরও গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ইনভাইটেড তালিকায় যুক্ত হবে।

গ্রুপ অ্যাডমিনদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ফটো শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে দান করার ফিচার আসবে। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজের মধ্যে থাকবে ডোনেশন স্টিকার। ফেসবুকে ইতিমধ্যে এ ধরনের সুবিধা রয়েছে। গত নভেম্বরে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে, অলাভজনক নানা প্রতিষ্ঠানের জন্য তাদের ফিচার ব্যবহার করে ১০০ কোটি ডলার অর্থ তুলতে পেরেছে ফেসবুক।

Source: Prothom Alo

56
Freelancing / সহজে লোগো বানানো
« on: April 01, 2019, 11:24:50 AM »
ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানের একটি অপরিহার্য অংশ লোগো। লোগো প্রতিষ্ঠানের পরিচয় বহন করে। লোগো তৈরির অনেক উপায় আছে। যেমন অ্যাডোবি ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে, অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ইত্যাদি। তবে কোন মাধ্যমে অথবা কীভাবে লোগো ব্যবহৃত হবে, তার ওপর নির্ভর করে লোগো তৈরি করা উচিত। যদি ব্যক্তিগতভাবে ফেসবুক বা ইউটিউবের জন্য লোগোর প্রয়োজন হয়, তাহলে অনলাইনে বিনা মূল্যে লোগো তৈরি করে নেওয়া যায়। আর যদি বাণিজ্যিকভাবে ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড বা বড় কাজের জন্য লোগো লাগে, তবে অবশ্যই ভেক্টর লোগো তৈরি করতে হবে অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরে।

অনলাইনে বিনা মূল্যের প্রোগ্রাম দিয়ে লোগো তৈরি করলে লোগোর রেজল্যুশন ভালো হয় না। ফলে লোগো বড় করলে তা ফেটে যায়। তা ছাড়া অনলাইনে বিনা মূল্যে লোগো তৈরি করলে তা অন্যের লোগোর সঙ্গে মিলে যেতে পারে। অন্যদিকে অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরে ভেক্টর লোগো তৈরি করলে তা বড় করলেও কোনো সমস্যা হয় না এবং নিজের মনের মতো বিভিন্ন শেপ তৈরি করে স্বতন্ত্র লোগো তৈরি করা যায়।

লোগো তৈরির আগে চারটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত।

১. কী ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য লোগো তৈরি করা হচ্ছে

২. কী ধরনের শেপ ব্যবহার করলে লোগোটি অর্থবহ হবে

৩. কী রং ভালো ফুটবে

৪. টেক্সটের ফন্ট কেমন হওয়া উচিত

অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরে লোগো তৈরি
অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরে লোগো তৈরি করতে অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর খুলে ফাইল মেনু থেকে নিউয়ে ক্লিক করে নতুন প্রজেক্ট তৈরি করুন। বাম পাশে থাকা বিভিন্ন টুল অপশনের সঙ্গে পরিচিত হোন। উচ্চতা ও প্রস্থ নির্ধারণ করে আয়তাকার, বর্গাকার, বৃত্তাকার বা পছন্দমতো বিভিন্ন আকৃতি (শেপ) তৈরি করুন। বিভিন্ন আকৃতি কেটে বা জোড়া লাগিয়ে নিজের পছন্দ ও প্রয়োজনমতো আকৃতি তৈরি করুন। একাধিক আকৃতির অ্যালাইনমেন্ট ঠিক করার জন্য উইন্ডো মেনু থেকে অ্যালাইন অপশনটি নির্বাচন করলে একটি বক্স আসবে। সেখান থেকে প্রয়োজনমতো আকৃতি অ্যালাইন করে নিন।

অনুরূপভাবে, ওপরে-নিচে থাকা একাধিক আকৃতির বিভিন্ন অংশ জোড়া লাগাতে বা আলাদা করতে উইন্ডো মেনু থেকে পাথফাইন্ডার অপশনটি নির্বাচন করলে একটি বক্স আসবে। সেখান থেকে প্রয়োজনমতো শেপগুলো জোড়া লাগিয়ে বা আলাদা করে নিন। প্রয়োজনমতো বিভিন্ন শেপ গ্রুপ ও আনগ্রুপ করে নিন। শেপের ফিল কালার ব্যবহার না করে স্ট্রোক ব্যবহার করেও ডিজাইন করা যায়। গ্রেডিয়েন্টও ব্যবহার করা যায়।

চাইলে freepik.com, freevector.com-সহ অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি ভেক্টর নিয়ে কাজ করা যায়। টাইপ টুল ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় টেক্সট লিখে পছন্দমতো ফন্ট ও রং নির্বাচন করে নিন। কাস্টমাইজ করতে অন্য টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কাজ শেষে ফাইল মেনুতে গিয়ে সেভ করে নিন।

অনলাইনে লোগো তৈরি
অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লোগো তৈরি করা যায়। সে ক্ষেত্রে নাম ও ক্যাটাগরি নির্বাচন করে দিলে বিভিন্ন সাজেশন দেখানো হয়। সেখান থেকে পছন্দমতো লোগো নির্বাচন করে রং, ফন্ট ও আকার পরিবর্তন করে নেওয়া যায়। logomakr. com, freelogodesign. org-সহ আরও অনেক ওয়েবসাইট থেকে লোগো তৈরি করা যায়। ফ্রি সার্ভিসের জন্য কম সুবিধা আর পেইড সার্ভিসের জন্য বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।

Source: Prothom Alo

57
ইন্টারনেট (Internet) কী

ইন্টারনেট হলো বিভিন্ন নেটওয়ার্কের একটি সমন্বিত সংযোগ। এই সংযোগগুলো পরিচালিত হয় কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম- নীতির মাধ্যমে, যাকে বলা হয় প্রোটকলস (Protocols)। এই নিয়মগুলোই সব নেটওয়ার্কের মধ্যে সহজভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে। তবে এ সবকিছুই নির্ভর করে রাউটার, নেটয়ার্ক এক্সেস পয়েন্ট (Network Access Points (NAP) এবং কম্পিউটার সিস্টেমের ওপর। এর সঙ্গে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল পাঠানোর জন্য প্রয়োজন কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট, হাজার হাজার মাইল বিস্তৃত কেবল এবং সহস্র ওয়্যারলেস রাউটার। এত কিছুর সমন্বয়ে যে বৈশ্বিক সিস্টেম গঠিত হয়েছে, তা কোনো কিছুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারেনি, অতিক্রম করে চলেছে দেশের পর দেশ, সাগর, মহাসাগর এবং পাহাড়-পর্বত।

কোনো দেশের সীমানা আটকে রাখতে পারেনি এই চলমান প্রযুক্তির আশীর্বাদকে। দিনের পর দিন এটি সংযুক্ত করছে শত শত নেটওয়ার্ক। এটি যেন অনেকটা সেই নোকিয়া ফোনের সাপের গেমটার মতো, খাবার খাচ্ছে আর বড় হচ্ছে। বলতে গেলে বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই এখন ইন্টারনেট সংযোগ আছে। বর্তমান বিশ্বের সবাই এখন একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন হলো, এই বিশাল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করছে কে?
অনেক ছোট ছোট সিস্টেম মিলে যে দৈত্যাকার ইন্টারনেট তৈরি করেছে, তাকে আমরা একটা বিশেষ সত্তা বলতেই পারি। এখন এই সত্তার স্বত্ব কার হবে? এটি কি একজন নিয়ন্ত্রণ করে, নাকি অনেকেই বা বিশেষ কোনো গোষ্ঠী? এটা কি সত্যিই কোনো বিশেষ একজনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব?

ইন্টারনেটের সত্যিকারের মালিক কে?

যে ফিজিক্যাল নেটওয়ার্ক বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে ইন্টারনেট ট্রাফিক পরিবহন করে, তাকে বলা হয় ইন্টারনেটের মেরুদণ্ড (Internet Backbone)। আগেকার দিনের ইন্টারনেট সিস্টেমে ARPANET ইন্টারনেটের মেরুদণ্ড বা Backbone হিসাবে কাজ করেছে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি, যারা রাউটার এবং ক্যাবল যোগানের মাধ্যমে ইন্টারনেটের মেরুদণ্ড হিসাবে কাজ করছে। এই কোম্পানিগুলোকেই বলা হয় ইন্টারনেট সেবাদাতা বা আইএসপি (Internet Service Provider)।
এখন কোনো দেশ বা যদি কেউ নিজের প্রয়োজনে ইন্টারনেট এক্সেস পেতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই এই আইএসপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। বিশ্বের যেসব আইএসপি বা ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিখ্যাত তারা হলো—ইউইউনেট (UUNET), লেভেল ৩ (Level 3), ভেরাইজন (Verizon), এটিঅ্যান্ডটি (AT&T), কোয়েস্ট (Qwest), স্প্রিন্ট (Sprint), আইবিএম (IBM) ইত্যাদি।

বড় বড় আইএসপিগুলো থেকে আবার ছোট ছোট আইএসপি সৃষ্টি হয়েছে। যারা আমাদের সেবা দিয়ে থাকে। এখানে মনে রাখা প্রয়োজন, যে সিস্টেম আমাদের কম্পিউটার টু কম্পিউটার ডাটা এক্সচেঞ্জ করে থাকে, তাকে বলা হয় Internet Exchange Points (IXP)। বিভিন্ন কোম্পানি এবং অলাভজনক কিছু প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

এখন কথা হলো, প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা আইএসপির আলাদা ইন্টারনেট থাকে। এখন আপনি এককভাবে যদি কোনো কম্পিউটার দিয়ে সেই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হন, তাহলে সেই ইন্টারনেটের মালিক আপনিও। মানে হলো, আপনি নিজেও ইন্টারনেটের একটা অংশের মালিক। কারণ পুরো ইন্টারনেটের কোনো মালিকানা হয় না। যদিও অনেক প্রতিষ্ঠান বা দেশের সরকার নিজেদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে, যাকে বলা হয় লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN (Local Area Network)। যা হোক, মোদ্দা কথা হলো, আপনি এবং আমি আমরা সবাই একেকজন একেকটা ইন্টারনেট অংশের মালিক।

ইন্টারনেট ব্যবস্থাটা চলে কিছু নিয়মের ওপর, যাকে আমরা প্রটোকলস (Protocols) বলি। সেই প্রটোকলগুলো মেনেই একটি কম্পিউটার ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সাহায্যে অন্য কম্পিউটারে তথ্য প্রদান করে। প্রটোকল না মেনে কোনো কম্পিউটার তথ্য প্রদান করতে পারে না। এখন যদি কোনো প্রটোকল না থাকে, তাহলে আপনাকে আগে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে আপনি অন্য কম্পিউটারে যে তথ্য প্রদান করছেন, তার জন্য আপনাদের বোঝাপড়া আছে এবং আপনার পাঠানো তথ্য সঠিক গন্তব্যেই পৌঁছাতে পারবে।

ইন্টারনেটের যে হারে উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে বিংশ শতাব্দীর প্রটোকলের সঙ্গে একবিংশ শতাব্দীর প্রটোকল বা আগের বছরের সঙ্গে পরের বছরের প্রটোকল একই রকম থাকবে—এটা ভাবা বোকামি। ইন্টারনেটের উন্নতির সঙ্গে এই প্রটোকলগুলোরও উন্নতি প্রয়োজন। তার মানে দাঁড়াল, কাউকে না কাউকে এই নিয়মগুলো, মানে প্রটোকল পরিবর্তন করতে হবে। পুরো ইন্টারনেট কাঠামো এবং প্রটোকল ঠিক করে দেওয়ার জন্য রয়েছে অনেকগুলো সংগঠন, যারা নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

এবার সংগঠনগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

দি ইন্টারনেট সোসাইটি: একটি অলাভজনক সংগঠন, যারা ইন্টারনেট স্ট্যান্ডার্ড এবং পলিসি নির্ধারণ ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

দি ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স (IETF): এটি একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যাদের রয়েছে ওপেন মেম্বারশিপ পলিসি এবং এরা বিভিন্ন গ্রুপভিত্তিক কাজ করে থাকে। ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিষয়কে এরা আলাদা আলাদা ভাগ করে প্রত্যেক ভাগের জন্য দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগায় এ সংগঠনটি। বর্তমান ইন্টারনেটের এই স্থিতিশীলতা এই সংগঠনের অনবদ্য অবদান।

দি ইন্টারনেট আর্কিটেকচার বোর্ড (IAB): এরা সাধারণত ইন্টারনেট প্রটোকল প্রণয়ন এবং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণে কাজ করে থাকে।

দি ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইন্ড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস (ICANN): এ সংগঠনটি ব্যক্তিগত কিন্তু অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান, যাদের কাজ হলো এটা নিশ্চিত করা যে, প্রত্যেকটা ডোমেইন নেইম সিস্টেমের (Domain Name System (DNS) সঙ্গে সঠিক আইপি অ্যাড্রেসটি লিঙ্ক করা আছে কি না।

 এই সংগঠনগুলো ইন্টারনেটের জন্য সবকিছু করলেও এরা কখনো ইন্টারনেটের মালিকানা দাবি করতে পারে না। আসল কথা হলো, কেন্দ্রীয়ভাবে ইন্টারনেটের কোনো মালিকানা নেই। অনেকেই এর উন্নয়নে কাজ করলেও এখন পর্যন্ত কেউ এটার মালিকানা দাবি করতে পারেনি।

Pages: 1 2 3 [4]