Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Lazminur Alam

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 18
61
Heritage/Culture / Birds of Bangladesh
« on: July 11, 2016, 10:51:39 AM »
We will post here recognized, beautiful & rare birds of Bangladesh.

62
Heritage/Culture / নীলকান মাছরাঙা
« on: July 11, 2016, 10:47:09 AM »
নীলকান মাছরাঙার ইংরেজি নাম Blue-eared Kingfisher। নীলকান মাছরাঙা নীল কান-ঢাকনি পরা মাছ শিকারি পাখি। দেহের দৈর্ঘ্য ১৬ সেন্টিমিটার, ওজন ২৭ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির পিঠ ঘন নীল ও দেহতল গাঢ় কমলা। গালের চারপাশ, ঘাড়, ডানা-ঢাকনি বেগুনি নীল। পিঠের নিচ থেকে লেজ বরাবর নীল ডানা নেমে গেছে। গলা ও ঘাড়ের পাশে সাদা পট্টি, কান-ঢাকনি উজ্জ্বল নীল। পা, পায়ের পাতা ও নখর কমলা রঙের। ঠোঁট দুই রঙের, ওপরের অংশ কালচে বা শিং-বাদামি, ঠোঁটের নিচের অংশ কমলা, মুখ বাদামি-কমলা। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন।

নীলকান মাছরাঙা পাহাড়ি নদী, প্রশস্ত পাতার চিরসবুজ বন ও উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন, জোয়ার-ভাটার সিক্ত খাঁড়ি ও প্যারাবনে বাস করে। সাধারণত একাকী বা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। পানির ওপর ঝুলন্ত ডালে অনেকক্ষণ বসে থাকে এবং সুযোগ হলে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মাছ ধরে। খাদ্যতালিকায় আছে মাছ, জলজ পোকামাকড়। সাধারণত পাতার আড়ালে বসে থাকে। তীব্র কণ্ঠে চি চি সুরে ডাকে। ডাকের ধরন শুনে কেবল একে পাতি মাছরাঙা থেকে আলাদা করা যায়। মার্চ-জুলাই মাসে বনের ধারে প্রবহমান খালের কাছে, নদীর কিনারে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম উজ্জ্বল সাদা, সংখ্যায় ৫ থেকে ৮টি। নীলকান মাছরাঙা আমাদের সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি বনের ছড়ায় ও কাপ্তাই লেকের আশপাশে ঘুরে বেড়ায়। তা ছাড়া বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, বাগেরহাট জেলার ঘন গাছপালাপূর্ণ এলাকায় দেখা যায়।

63
Inspiration Stories / A Revolutionary Entrepreneur.
« on: July 10, 2016, 12:13:49 PM »
বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্যের এক পথিকৃতের নাম আমজাদ খান চৌধুরী। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের অর্থনীতির মূলধারাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে এ দেশে এক শিল্পবিপ্লব ঘটিয়েছেন তিনি।
যখন দেশের মানুষের কাছে মাশরুমের কোনো পরিচিতি ছিল না। সবাই সেটিকে ব্যাঙের ছাতাই মনে করত। আমজাদ খান চৌধুরী এর বছর দু-এক আগে কৃষিপণ্যকে শিল্পপণ্যে রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন প্রাণ।  তিনি চিন্তা করছিলেন মাশরুমের মতো পণ্যকে টিনজাত খাদ্যপণ্য হিসেবে বিদেশে বাজারজাত করা যায় কি না। তখন বিদেশ থেকে টিনজাত মাশরুম বাংলাদেশে আসত। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে এ দেশের জন্য এটি ছিল দারুণ এক উদ্ভাবনী চিন্তা। একজন শিল্পোদ্যোক্তা অনেক কৃষি ফসল বাদ দিয়ে মাশরুম নিয়ে এমন চিন্তা করছেন জেনে তাঁর চিন্তার জায়গাটি আমার কাছেও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি বলছিলেন প্রাণ নিয়ে তাঁর স্বপ্নের যাত্রার কথা। কীভাবে বাংলাদেশের কৃষির সঙ্গে শিল্পের এক বিশাল সংযোগ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে তাঁর স্বপ্নের নানা দিক আমার সামনে তুলে ধরেন। তাঁর চিন্তার সঙ্গে আমার মনের ভেতরে তৈরি একটি দৃশ্যপটের যেন মিল খুঁজে পেলাম। মাটি ও মানুষ করতে করতেই বারবার কাঙ্ক্ষিত দৃশ্যপটটি চোখে ভাসত। গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাইওয়ে দিয়ে একটি দামি গাড়ি কৃষকের খেতের পাশে গিয়ে থামল, সফেদ স্যুট-কোটের ভেতর থেকে একটি হাত বেরিয়ে এসে কৃষকের কাদামাখা হাতের সঙ্গে যুক্ত হলো। সংযোগ তৈরি হলো প্রান্তিক কৃষকের সঙ্গে একজন শিল্পোদ্যোক্তার। মনে হলো, আমজাদ খান চৌধুরীর মতো মানুষের মাধ্যমেই এমন দৃশ্যপট রচিত হতে পারে। সেই থেকে আমজাদ খান চৌধুরীর সঙ্গে সখ্য। এই সখ্য টিকে ছিল তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
কৃষিতে এসে আমজাদ খান চৌধুরী প্রাণ কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষিপণ্যের চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ শুরু করেন। শুরুটা নরসিংদীর রূপগঞ্জে পেঁপে চাষের মধ্য দিয়ে। পর্যায়ক্রমে ঘোড়াশাল এলাকায় যুক্ত হলো কলা আর আনারস চাষ। সেখান থেকেই তাঁর মাথায় এল কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজন করা এবং ফসল খেত থেকে তোলার পর তার স্থায়িত্ব (Shelf life) বাড়ানোর চিন্তা। ভাবলেন, কৃষিপণ্যের বহুমুখী মূল্য সংযোজন ছাড়া কৃষক যেমন লাভবান হতে পারবেন না, একইভাবে এর বাণিজ্যিকীকরণও সফল হবে না। এখান থেকেই একে একে শিল্পের বিশাল সাম্রাজ্যে তাঁর সাফল্যের পথচলা। ১৯৯২ সালে নরসিংদীর ঘোড়াশালে গড়ে তোলা হলো প্রথম ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা। শুরু হলো আনারস প্রক্রিয়াজাতকরণ। সেই থেকে শুরু হয়ে সেই প্রাণ আজ বহু দূর। বাংলাদেশ নয় শুধু, সারা পৃথিবীতে শিল্পে কৃষিপণ্যের ব্যবহারের সংখ্যার হিসাবে প্রাণ এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রাণের কৃষিভিত্তিক শিল্পপণ্যের সংখ্যা এখন দুই হাজারের ওপরে। পৃথিবীর ১২৪টি দেশে প্রাণের পণ্যের একচ্ছত্র বাজার।

সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক বিষয়টি হচ্ছে, দেশের এক লাখের মতো কৃষক সরাসরি প্রাণের চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এটি যেন সেই স্বপ্নের সঙ্গে মিলে যায়। নগরের শিল্পোদ্যোক্তার সঙ্গে লক্ষাধিক কৃষকের মাটিমাখা হাত যুক্ত হয়ে গেছে। প্রাণের এই সফলতার পথ ধরে একে একে বহু শিল্পোদ্যোক্তা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষিশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
নিজস্ব শিল্প পরিমণ্ডলে আমজাদ খান চৌধুরী ছিলেন আর দশজন কর্মীর মতোই। তাঁর শিল্পবাগানে দিনে দিনে তিনি বৈতনিক কর্মী হিসেবে যোগ করেছেন ৮০ হাজার মানুষকে। দেশে-বিদেশে তাঁর কর্মযজ্ঞের সরাসরি সুফলভোগী ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। এ দেশে কৃষিপণ্যকে শিল্পপণ্যে রূপ দেওয়ার সবচেয়ে বৃহৎ আয়োজক আমজাদ খান চৌধুরী। নাটোরের প্রাণের প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে গিয়ে জেনেছি, ওই এলাকার আমবাগানের মালিক থেকে শুরু করে সাধারণ চাষি ও স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনে এক সুদিন ফিরে এসেছে প্রাণের কারখানাকে ঘিরে। একসময় আশ্বিনা আম, দেশীয় গুটি আম টক হওয়ার কারণে বাগানেই পড়ে নষ্ট হতো, সেগুলো ভালো দামে প্রাণ কিনে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ম্যাঙ্গো জুস করছে, ম্যাঙ্গো বার করছে—এগুলোই কৃষকের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতার জন্ম দিয়েছে। আজ প্রাণের ১৩টি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাকে ঘিরে অজস্র কৃষক আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন।

আমজাদ খান চৌধুরী ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী একজন মানুষ। দেশের কৃষি ও শিল্পের মধ্যে অনেক বড় একটি জায়গা তৈরির পর তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন আমাদের দুগ্ধশিল্প নিয়ে। ভারতের আমুল দুগ্ধশিল্প বিশ্বের মধ্যে আজ এক উদাহরণ। মিল্ক ভিটাকে ঘিরে তেমনি আমাদের বিরাট একটি সাফল্যের গল্প তৈরি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের রয়েছে নানা সংকট। কিন্তু এই জায়গা থেকেই দুগ্ধশিল্প পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে এমন স্বপ্নই দেখতেন আমজাদ খান চৌধুরী। তিনি দুগ্ধশিল্পের সমস্ত ব্যর্থতা ও সংকটকে স্বীকার করে নিয়েই বলেছিলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যেই আমরা দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হব।’ যখন আমাদের উৎপাদন মাত্র ২০ শতাংশ, সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁর এই উচ্চারণ সত্যিই অবাক করার মতো।

64
First see the attached images carefully & then find out.  Good Luck....

জঙ্গলের ছবিতে কী কী রয়েছে? বনের ভেতর একটি শিয়াল আর তিনটি পাখি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আর কিছু রয়েছে কি? ছবিতে শিয়াল আর তিনটি পাখি ছাড়াও রয়েছে ১২টি প্রাণী, সঙ্গে রয়েছে গাছের পাতা ও বাকলে চিত্রায়িত বেশ কয়েকটি নারী অবয়ব। খুঁজে বের করুন তো!


মার্কিন প্রিন্টমেকার কুরিয়ার অ্যান্ড আইভস ১৮৭২ সালে শিশুদের বুদ্ধি পরীক্ষার জন্য ‘পাজেলড ফক্স’ ছবিটি প্রকাশ করে। দেড়শো বছর বাদে আই পাওয়ার টেস্টের জন্য পুরোনো পাজেলটি নতুন করে আবার প্রকাশ করা হয়েছে।

প্লেবাজ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবিটি ভিউয়ারদের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরূপ দেওয়া হয়। ছবিটি ফ্লিপ না করেই মোট ১৬টি ফিগার চিহ্নিত করতে বলা হয় ভিউয়ারদের।


গাছের উপর দু’পা তুলে দেওয়া হন্তদন্ত শিয়াল ছাড়াও ছবিতে রয়েছে একটি ঘোড়া, মেষশাবক, বা’পাশের গাছের নিচে শুয়ে থাকা একটি ভেড়া ও লতাগুল্মোর ভেতর থেকে মুখ বের করা একটি শুকোর।

আরও রয়েছে বা’পাশের গাছের সঙ্গে তিনটি মুখাবয়ব ও ডানপাশের গাছের সঙ্গে আরও দুটো মুখাবয়ব। বাকি ফিগারগুলো লুকোনো ঝোপঝাড়ের ভেতর।

মূলত শিশুদের জন্য এই পাজল তৈরি করা হয়েছে।

গবেষকরা মনে করেন, শিশুর পরিপূর্ণ মেধা বিকাশে পাজল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ক্রসওয়ার্ড, সুডোকু, লজিক পাজল, ভিজুয়্যাল কোনানড্রাম মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বাড়ায়।

65
First see the attached images & then find out. Good Luck....

লাল বৃত্তটি দেখতে পাচ্ছেন? উত্তরটি সহজ- অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু এটি শুধুই কি একটি লাল বৃত্ত, এর ভেতরে কিছু রয়েছে বলে মনে হয়? এবার মাথা খাটান।

সম্প্রতি পাজেলাররা লাল বৃত্তের ভেতর থেকে লুকোনো ছবি খুঁজে বের করার একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দিকে।

ইন্টারনেট ভিশন পরীক্ষার এ ধাঁধায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কেউ  কেউ বৃত্তের ভেতর শুধুমাত্র একটি আউটলাইন, কেউ সম্পূর্ণ ছবি দেখতে পেয়েছেন। অন্যদিকে, অনেকে শুধুমাত্র বৃত্ত ছাড়া কিছুই দেখতে পাননি। আবার অনেকেই জানিয়েছেন, বৃত্তের ভেতর কিছু রয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে তবে তা কী তা বোঝা  যাচ্ছে না।

অতঃপর লাল বৃত্তটি ফ্লিপ করে দেখা গেলো বৃত্তের পেছনে কেশর, লেজ, জিন ও লাগামসহ একটি ঘোড়ার ছবি। ঘোড়াটির পায়ের চারপাশে কিছু ঘাসও রয়েছে।

66
First download the attached images & analysis: Good Luck...

ছবিতে এক বাঘ দম্পতি তাদের দুই সন্তান নিয়ে বসে আছে। এক্ষেত্রে যদি প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়, ছবিটিতে ক’টি বাঘ, তাহলে নিঃসন্দেহে তা অবান্তর বলে মনে হবে। যদি বলা হয়, এখানে ১৬টি বাঘ রয়েছে, তাহলে হয়তো চোখ কপালে উঠে যাবে অনেকের।

সোজাভাবে দেখলে চারটি বাঘই নজরে পড়বে এখানে। কিন্তু ‘অপটিক্যাল ইলাসস্ট্রেশন’ পোস্টারটিতে একটু ভালো করে তাকালেই দেখতে পাবেন এখানে চারটি নয় মোট ১৬টি বাঘ রয়েছে।

মূলত শিশুদের জন্য এই ‘লজিক পাজল’ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ১২টি বাঘের মুখ লুকিয়ে রয়েছে।

গবেষকরা মনে করেন, শিশুর পরিপূর্ণ মেধা বিকাশে পাজল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক্রসওয়ার্ড, সুডোকু, লজিক পাজল, ভিজুয়্যাল কোনানড্রাম মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বাড়ায়।

ছবিটির ফোরগ্রাউন্ড-ব্যাকগ্রাউন্ড সব দিকে মনোযোগ দিলেই এখানে ১৬টি বাঘ খুঁজে পাবেন।

ছবির একদম উপরে গাছের শাখার দিকে মনোযোগ দিলেই লুকিয়ে থাকা পাঁচটি বাঘের মুখ খুঁজে পাওয়া যাবে। দু’টি বাঘ খুঁজে পাওয়া যাবে দৃশ্যমাণ বাঘের পায়ের নিচে। বামদিকে একটি, ডানদিকে তিনটি আর শেষ বাঘের মুখটি রয়েছে মাটিতে।

67
ওয়ারেন বাফেটের বাবা হাওয়ার্ড বাফেট ছিলেন শেয়ারবাজারের একজন বিনিয়োগকারী। ছোটবেলায় দেখতেন বাবা ওয়ালস্ট্রিট থেকে একগাদা কাগজপত্র নিয়ে রাতে বাসায় ফিরছেন। একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর বাবা আসলে কী করেন? মায়ের উত্তর ছিল, ‘ইনভেস্টর’।
ওয়ারেন বাফেটের জন্ম ১৯৩০ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কার ওমাহায়। ছেলেবেলায় সব শিশুরই নায়ক তার বাবা। বাফেটেরও তাই। তখনই ঠিক করে ফেললেন তাঁকেও ইনভেস্টর হতে হবে। যখন ছয়-সাত বছর বয়স, স্কুলের খাতায় নিজের নাম লিখে রেখেছিলেন ‘ওয়ারেন বাফেট: ফিউচার ইনভেস্টর’। বাফেট সেটাই হয়েছেন। তাঁর বয়সের অন্য শিশু-কিশোরেরা যখন ব্যস্ত ছিল খেলার মাঠে, তিনি তখন ব্যস্ত থেকেছেন অর্থ উপার্জনে।
দাদার ছিল গ্রোসারি বা মুদির দোকান। বাফেট সেই বয়সেই নিজের সম্পদমূল্য বাড়াতে সপ্তাহে ৫ ডলার বেতনে দাদার দোকানে কাজ নেন। মাত্র ছয় বছর বয়সেই দাদার দোকান থেকে ২৪ সেন্টে ৬ প্যাকেট কোকাকোলা কিনে একটু দূরে গিয়ে বিক্রি করে ৫ সেন্ট মুনাফা করেছিলেন। এরপর কিছু অর্থ জমিয়ে ১১ বছর বয়সে ৩৮ ডলার করে সিটিজ সার্ভিসের ছয়টি শেয়ার কেনেন তিনি। এর তিনটি দিয়ে দেন বোনকে। তবে জীবনের প্রথম শেয়ার ব্যবসা শুরুতে হতাশ করেছিল তাঁকে। কিছুদিনের মধ্যেই শেয়ারের দাম কমে ২৭ ডলার হয়ে যায়। কিন্তু তিনি অপেক্ষা করেছেন। শেয়ারের দর বেড়ে ৪০ ডলার হতেই বিক্রি করে দেন। তিনি এখনো মানেন, সেটি ছিল তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, কিছুদিনের মধ্যেই ওই শেয়ারের দাম আরও বেড়ে ২০০ ডলার হয়ে যায়। সেই ঘটনা থেকে তিনি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা পেয়েছিলেন। আর তা হলো অধ্যবসায়, যার প্রতিফলন পুরো জীবন জুড়েই ছিল।
কিন্তু তিনটি শেয়ার কিনে সামান্য লাভে সন্তুষ্ট ছিলেন না বাফেট। লক্ষ্য ছিল আরও বড়। পুঁজি বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চুইংগাম, পত্রিকা ও কোকাকোলা বিক্রি করা শুরু করেন। স্থানীয় এক সেলুনে পোকার খেলার যন্ত্রও বসান তিনি। এতে কিছু আয় বাড়লে বাবা ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে দেন। একসময় ব্যাংক থেকে নোটিশ এল যে ওয়ারেন বাফেটের নামে কিছু ডলার জমা পড়েছে। ফলে এখন আয়কর দিতে হবে। সেই সময়ে ওয়ারেন বাফেটের বাবা ছিলেন একজন কংগ্রেসম্যান। শেয়ার ব্যবসা ছেড়ে নির্বাচন করে জিতেছেন। ছেলেকে বললেন আয়কর দিতে। কারণ, তখন থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখতে হবে। বাফেটের বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর। বয়স কম হওয়ায় স্থানীয় আয়কর বিভাগ ৩৫ ডলার ফেরত দিলে বাফেট তা দিয়ে একটি বাইসাইকেল কিনেছিলেন। সেই বাইসাইকেল তিনি চালাতেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও।

২.
ওয়ারেন বাফেটের এখন অনেকগুলো পরিচয়। তিনি বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬ হাজার ৬৬৪ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। একটু মনে করিয়ে দিই আমাদের নতুন বাজেটটি হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার।
ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনহিতৈষীর একজন। তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশই দানের ঘোষণা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তিনি দান করেছেন ২ হাজার ১৫০ কোটি ডলার।
যারা শেয়ারবাজারে আজ বিনিয়োগ করে কালই লাখপতি হতে চান তাঁদের অবশ্যই ওয়ারেন বাফেটের জীবনীটা পড়ে নেওয়া উচিত। কারণ, কেবল শেয়ার ব্যবসা করেই তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী হয়েছেন।
ওয়ারেন বাফেট নিয়ে একটা মধুর বিতর্ক আছে। তিনি বিনিয়োগকারী হিসেবে বেশি ভালো নাকি ব্যবস্থাপক হিসেবে। বেশির ভাগই মনে করেন, বাফেট যত ভালো বিনিয়োগকারী, তার চেয়েও ভালো ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক। ব্যবসা-বাণিজ্য কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, তা ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে ভালো কে আর জানে। তারপরও যাদের মনে সন্দেহ আছে তাদের জন্য বলছি, বিল গেটসও ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকেই ব্যবসা পরিচালনা পরামর্শ নেন।
ইউএসএ টুডে ২০০৮ সালে হিসাব দিয়ে বলেছিল ওয়ারেন বাফেটকে নিয়ে লেখা বইয়ের সংখ্যা ৪৭। জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে এর চেয়ে বেশি বই রয়েছে কেবল দালাই লামাকে নিয়ে। এর পরের আট বছরে নিঃসন্দেহে বইয়ের সংখ্যা আরও অনেক বেড়েছে। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন ওয়ারেন বাফেটকে সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষদের একজন বলেছিল। সেই প্রভাব একটুও কমেনি।
ওয়ারেন বাফেট এখন বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। ১৯৬৫ সালে ডুবতে থাকা এ প্রতিষ্ঠানটি কিনেছিলেন। আর এখন প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদ ৫৫ হাজার ২২৫ কোটি ডলার, ২০১৫ সালে নিট আয় ছিল ২ হাজার ৪০৮ কোটি ডলার। এখানে কাজ করেন ৩ লাখ ৩১ হাজার মানুষ। বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তালিকাভুক্ত হোল্ডিং কোম্পানি।

৩.
ওয়ারেন বাফেটের সাফল্যের রহস্য কী? বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫টি। কোনো প্রতিষ্ঠানেই নাক গলান না তিনি। তাঁর কাজ কেবল বার্ষিক সভায় যোগ দেওয়া। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা সিইও নিয়োগ দেওয়া আছে। তাদের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন সব।
বাফেটের নীতি হলো, প্রতিষ্ঠানকে প্রধান নির্বাহী-ম্যানেজারের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। সুতরাং মূল কাজ হচ্ছে একজন যোগ্য সিইও বা ম্যানেজার খুঁজে বের করা। বিশেষ মানবিক গুণ থাকলেও বুদ্ধিহীন লোকের পক্ষে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। আরামপ্রিয়দের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েন তাঁরা। আন্তরিকতা কম থাকা ব্যক্তিদের আবার উন্নতির চেষ্টা থাকে না খুব একটা। একধরনের মানুষ আছেন, যাঁদের পেশা শুধু উপার্জনের মাধ্যম নয়, ব্যক্তিগত গর্বও বটে। পেশাগত সমস্যা-জটিলতায় আক্রান্ত হলে এঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন সেখান থেকে বেরিয়ে আসার, অনুকূল সময়ে তাঁদের চেষ্টা থাকে উন্নতির। এ ধরনের ব্যক্তিকেই খুঁজে বের করেন তিনি।
ওয়ারেন বাফেট মনে করেন, সর্বোচ্চ সুফল পেতে চাইলে ওই রকম ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিতে হবে। এ ধরনের ব্যক্তিরা কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনচেতা হন। মানুষ কোনো ক্ষেত্রকে আপন ভাবতে শুরু করলে সেখানে স্বাধীনতা চায়ই। ঠিক এই স্বাধীনতাটাই তিনি দেন।
বছরে একবার বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের বার্ষিক সভা হয়। সেখানে ওয়ারেন বাফেট প্রতিষ্ঠানের সবাই এবং সব শেয়ারধারীর উদ্দেশে একটি দীর্ঘ চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সবকিছু উল্লেখ থাকে। ১৯৬৫ সাল থেকে তিনি প্রতিবছর একটি করে চিঠি লিখে আসছেন। বলা হয়, সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ পরামর্শ লুকিয়ে থাকে ওয়ারেন বাফেটের ওই বার্ষিক চিঠিতেই। বিল গেটসও এই চিঠির অপেক্ষায় থাকেন প্রতিবছরই।
প্রতিবছর নিয়ম করে চিঠি লিখলেও ২০১৪ সালের চিঠিটিকে বলা হয় বিশেষ কিছু। ওই চিঠির দ্বিতীয় অংশের শিরোনাম ছিল ‘বার্কশায়ার-অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’। প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাস বলার পাশাপাশি আগামী ৫০ বছরে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কীভাবে চলবে তার একটি রূপরেখাও দিয়েছেন তিনি। বিল গেটস লিখেছেন, তিন বাফেটের ৫০টি চিঠিই পড়েছেন। কিন্তু এই চিঠিটি সেরা।
চিঠিটির শুরুতেই তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার সম্ভাবনা শূন্য।
একসময় তিনি থাকবেন না। তাঁর উত্তরসূরির জন্য সবচেয়ে বড় পরামর্শ হচ্ছে, তাঁকে অবশ্যই ব্যবসা-বাণিজ্যের তিনটি খারাপ দিক থেকে দূরে থাকতে হবে। যাকে তিনি বলেছেন, ‘এবিসি অব বিজনেস ডিকেই’। যেমন: অ্যারোগেন্স (ঔদ্ধত্য), ব্যুরোক্রেসি (আমলাতন্ত্র) এবং কমপ্লাসেন্সি (আত্মতুষ্টি)।
বাফেটের উত্তরসূরি কীভাবে সিইও বাছাই করবেন তাও চিঠিতে লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক জায়গায় বসাতে হবে। আর সিইও হতে হবে তুলনামূলকভাবে তরুণ, যাতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারেন, ৬৫ বছরে অবসর নেওয়ার ভাবনায় আচ্ছন্ন না থাকেন।

৪.
ওয়ারেন বাফেটের লেখা চিঠি বিশ্লেষণ করে অসংখ্য বই লেখা হয়েছে। এর মধ্যে বিখ্যাত হয়ে আছে ‘ম্যানেজমেন্ট সিক্রেটস’। সেখান থেকে কিছু কথা বলা যেতে পারে।
ক. ওয়ারেন বাফেট প্রতিবছর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইওর কাছে একটি চিঠি দেন। সেখানে লেখা থাকে, আজ মারা গেলে কাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানে আপনার পদে কে যোগ দিতে পারবে লিখে পাঠান। বাফেটের মতে, কোম্পানির ভেতর থেকেই উত্তরসূরি খুঁজে নেওয়া ভালো
খ. বাফেট মনে করেন, যে জিনিস আমি নিজের জন্য কিনব না, তা অন্যকে কেনার উপদেশ দেব না
গ. বাফেটের নীতি হলো, ভুল যত ক্ষুদ্র বা অগুরুত্বপূর্ণই হোক, বোঝামাত্র সেটি অকপটে স্বীকার করে নেওয়া এবং শোধরানোর চেষ্টা চালানো প্রয়োজন। ব্যবসার জন্য এটা জরুরি।
ঘ. বাফেটের পরামর্শ হচ্ছে, সুসময়ে কৃচ্ছ্র সাধন ও দুঃসময়ে সঞ্চিত অর্থ ব্যয়।
ঙ. বাফেট বলতেন, একজন ভালো ম্যানেজার বড় ফুটবল কোচের মতো। তাঁরা নিজে মাঠে না নেমেও দলকে খেলান ও জিতিয়ে আনেন। আবার জয়ী হওয়ার উপাদান রেখে যান টিমের মধ্যে, যাতে তিনি না থাকলেও জিততে পারে দলটি।
তথ্যসূত্র: বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের ওয়েবসাইট, ব্লুমবার্গ, দি বাফেট রিপোর্ট-অধ্যাপক জন প্রাইস, দি ওয়ারেন বাফেট ওয়ে-রবাট জি হাগস্ট্রর্ম, ম্যানেজমেন্ট সিক্রেটস-বণিক বার্তা।

68
Humanities & Social Science / Master of Development Studies.
« on: July 02, 2016, 05:02:04 PM »
Master of Development Studies (MDS) has launched at Daffodil International University from Fall' 2016 semester. The program in under the faculty of Humanities &Social Science.

Program Objectives:
1. To make students capable of approaching and analyzing development theories, concepts, debates and issues in the field of globalization, economic transformation, socio-cultural and political changes and environmental impacts.
2. To build constructive thinking among learners about the development policies, strategies, plans and projects. 
3. Facilitate students develop the skills required to undertake development research with a focus on appropriate methodology, data collection, policy design and implementation, monitoring and evaluation.
4. Prepare graduates for promoting careers in teaching, research and management of development organizations.

Admission Requirements:
The candidate must have a Bachelor’s degree with a second class/division or CGPA 2.5 in any discipline from a recognized public and private university.
Candidates who have CGPA less than 2.50 at any level of education are not eligible to apply.

Credit Requirements and Duration of Program:
For MDS, a student has to complete 45 credits, with 14 courses of 3 credits each plus a dissertation of 3 credits. Of the 14 courses, 4 will be foundation courses, 7 will be core courses and 3 will be elective courses. The students have to score a minimum GPA of 2.5 for acquiring the degree. The duration of the program is one and half academic years having 4 semesters and each semester will be for 4 (four) months.

For more details please visit http://mds.daffodilvarsity.edu.bd/index.php

69
Post Graduate Diploma in Information Science & Library Management has launched in Daffodil International University from Summer'2016 semester. The department name is Information Science & Library Management (ISLM) under the faculty of Humanities & Social Science.

The program is one year & equally distributed in three semester duration basis & each semester is four months duration. All classes will be conducted in the evening.

Admission eligibility is, the candidate shall have a graduate degree in any discipline or its equivalent degree.

Program Objective:
The aim of this program is to establish the significance of the dynamic role of information & library work in today's information society & knowledge based economy. And to develop the knowledge & skills needed to handle effectively the strong, retrieval, analysis & communication of information.

The program provides students with a professionally & nationally recognized qualification in library & information management & prepares students  for career as skilled librarians or knowledge and information management professionals.

For more details, you may visit http://daffodilvarsity.edu.bd/2015-06-13-06-56-45/information-science-and-library-management.html

70
শিশুদের প্রায়ই জ্বর-জারি হয়। কিন্তু কোনো কোনো শিশুর বেশি জ্বর হলে খিঁচুনি দেখা দেয়। সাধারণত ছয় মাস থেকে ছয় বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে এমনটা হতে দেখা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা ঘটে জ্বরের প্রথম দিনে। প্রচণ্ড জ্বর আর তার সঙ্গে হঠাৎ খিঁচুনির বিষয়টি মা-বাবাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে। তবে সাধারণভাবে এই খিঁচুনি কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনাআপনি থেমে যায় এবং অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে না।
খুব জ্বর হলে খেয়াল করা উচিত শিশুর খিঁচুনি শুরু হলো কি না। কীভাবে তা বুঝবেন? খিঁচুনি হলে শিশুর হাত-পা-মুখ বেঁকে যায়, গোঙাতে থাকে, একদৃষ্টে কোনো দিকে তাকিয়ে থাকে, অনেক সময় শিশু চেতনা হারায়।

এমনটা হলে কী করবেন?

যদি মনে হয় শিশুর এ খিঁচুনি জ্বরের কারণে, তবে শান্ত থাকতে চেষ্টা করুন।
শিশু পড়ে গিয়ে বা কোনো কিছুতে ধাক্কা লেগে যেন আঘাত না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিশুকে কাত করে শুইয়ে দিন, যেন শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ না হয়ে যায়।
শিশুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি না, খেয়াল করুন। বিশেষত ঠোঁট ও জিব নীল হয়ে আছে কি না।
যতক্ষণ পর্যন্ত না খিঁচুনি বন্ধ হচ্ছে ততক্ষণ একইভাবে কাত করে শুইয়ে রাখুন।
খিঁচুনি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুকে পরীক্ষা করান।
খিঁচুনি ১০ মিনিটের বেশি স্থায়ী হলে, শিশু নীল হয়ে গেলে, খিঁচুনির সঙ্গে বমি হতে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া উচিত।
জ্বর হলে শিশুকে প্যারাসিটামল দিয়ে ও স্পঞ্জ করে তাপমাত্রা কমাবেন। যেসব শিশুর জ্বর হলেই খিঁচুনি হয়, তাদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হঠাৎ অনেক জ্বর, খিঁচুনি ও ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া অনেক সময় মেনিনজাইটিসের লক্ষণও হতে পারে। তাই সতর্ক থাকাই ভালো।

ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ



http://www.prothom-alo.com/life-style/article/901456/শিশুর-জ্বরের-সঙ্গে-খিঁচুনি

71
বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার বা ব্রাউজার হিসেবে বেছে নেন গুগল ক্রোম। জনপ্রিয়তার বিচারে তাই এটি যে শীর্ষে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয় বলেও দুর্নাম আছে একসঙ্গে অনেক ট্যাব খুলে রাখা, অপ্রয়োজনীয় এক্সটেনশন যুক্ত করা এবং অনেক প্লাগ-ইনসের ব্যবহার আপনাকে ঝামেলায় ফেলতে পারে। এখানে তাই কিছু চটজলদি পরামর্শ দেওয়া হলো। এগুলো অনুসরণ করে গুগল ক্রোমের গতি বাড়িয়ে আপনার কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারেন।
অব্যবহৃত প্লাগ-ইন সরিয়ে ফেলুন
ক্রোমের অ্যাড্রেস বারে ‘chrome://plugins’ লিখে এন্টার করুন। প্লাগ-ইনসের তালিকা দেখাবে। প্লাগ-ইন ব্যবহার করেন না কিংবা কম ব্যবহার করা হয়, সেটি Disable
করে দিন।
বাকি প্লাগ-ইন আয়ত্তে রাখুন
অপ্রয়োজনীয় প্লাগ-ইনস মুছে দেওয়ার পর যেগুলো থাকে, সেগুলো যেন ক্রোমের ওপর কম প্রভাব ফেলে সে ব্যবস্থা করে রাখতে পারেন। প্রয়োজন বাদে বাকি সময় এগুলো থামিয়ে রাখা যায়। এ জন্য সেটিংসে গিয়ে একদম নিচে show advanced settings-এ ক্লিক করে privacy-এর নিচের content settings-এ ক্লিক করুন। এরপর plugins থেকে Let me chose when to run plug-in content নির্বাচন করে দিন। এরপর থেকে ফ্লাশ ভিডিওর মতো প্লাগ-ইনসগুলো কার্যকর হওয়ার আগে আপনার অনুমতি নেবে।
অপ্রয়োজনীয় এক্সটেনশন সরিয়ে ফেলুন
এক্সটেনশন অনেক সময় কম্পিউটারের মেমোরি ব্যস্ত রাখে। ফলে কমে যেতে পারে কম্পিউটারের গতি। ক্রোমের অ্যাড্রেস বারে ‘chrome://extensions’ লিখে এন্টার করুন। প্রতিটা এক্সটেনশনের পাশে enabled-এর টিক চিহ্ন তুলে দিলে সেটি কাজ করা বন্ধ হয়ে যাবে। একেবারে মুছে ফেলতে পাশের ডাস্টবিন আইকনে ক্লিক করুন।
অদরকারি ট্যাব বাতিল করুন
Great suspender-এর মতো এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন, যা নির্ধারিত সময়ের বেশি অকার্যকর থাকলে নিজে থেকেই ট্যাব অকার্যকর (সাসপেন্ড) করে দেয়। ফলে ট্যাবটি মেমোরি দখল করে রাখবে না। আবার দরকার পড়লে শুধু একটি ক্লিকই যথেষ্ট, পুনরায় লোড হয়ে যাবে ট্যাবটি। সমস্যা একটাই, ওয়েবসাইটটির ঠিকানা পরিবর্তন হলে কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে ওই ট্যাবের ওয়েবপেজটি তখন আর লোড হবে না।
ব্রাউজার সেশন সংরক্ষণ করে রাখুন
একটি একটি করে ট্যাব সাসপেন্ড না করে কম্পিউটারের মেমোরির ব্যবহার কমিয়ে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন TabCloud+ (https://goo.gl/MUXz7o) এবং Session Buddy (https://goo.gl/wCa5Rj)-এর মতো এক্সটেনশন। এগুলোর সাহায্যে গোটা ব্রাউজারের সবগুলো ট্যাবের তথ্য একসঙ্গে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। এরপর ট্যাব মুছে ফেললেও সমস্যা নেই।
‘ব্যাকগ্রাউন্ড প্রিফেচিং’ বন্ধ রাখা
আপনার ব্রাউজিংয়ের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে ক্রোম নিজে থেকেই বুঝতে চেষ্টা করে এরপর আপনি কোথায় যেতে পারেন। সে অনুযায়ী ব্যাকগ্রাউন্ডেই কিছু পেজ খুলে রাখে ক্রোম। এই সুবিধার নাম প্রিফেচিং। এটি বন্ধ করতে আগের মতোই Show advanced settings-এর প্রাইভেসিতে গিয়ে Use prediction service to load pages more quickly এর পাশের টিক তুলে দিন। তবে এতে ব্রাউজিং গতি কমে যেতে পারে।
‘ডেটা সেভার’ ব্যবহার করুন
ওয়েবসাইট লোড হতে বেশি সময় লাগার পেছনের কারণ ইন্টারনেটের ধীরগতিও হতে পারে। ‘ডেটা সেভার’ কাজে আসতে পারে। এতে ক্রোমের প্রতিটি পাতায় কম তথ্য লোড হয়। ডেটা সেভার এক্সটেনশন নামিয়ে নেওয়ার ঠিকানা: https://goo.gl/RQzk75

http://www.prothom-alo.com/technology/article/900115/গুগল-ক্রোমের-গতি-কমে-গেলে

72
Science Discussion Forum / মাটির ফ্রিজ
« on: June 25, 2016, 07:42:42 PM »
মরক্কোর অনেক বিদ্যুৎহীন গ্রামের একটির বাসিন্দা ফাতিমা। তাপমাত্রা আর আর্দ্রতার কারণে পরিবারের খাবারদাবার পচে নষ্ট হয়ে যাওয়া চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া তাঁর আর কোনো উপায় ছিল না। অপচয় রোধে ফাতিমা তাঁর পরিবারের খাওয়াদাওয়ার আয়োজন পরিবর্তন করেন। কিন্তু তাতে দেখা দিল স্বাস্থ্যের সমস্যা। খাদ্যের পুষ্টিগুণের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেল। হাটবারের দিনের পরপর ফলমূল শাকসবজিতে ঠাসা খাবার থালা। কিন্তু সপ্তাহের শেষের দিনগুলোতে শ্বেতসার ও শিম বা মোটর-জাতীয় দানাদার খাদ্যের ওপর বেশি নির্ভর করতে হয়।
রাওউইয়া লামহার ও তাঁর কাদামাটির প্রাকৃতিক ফ্রিজ। ছবি: গো এনার্জিলেসবিদ্যুৎহীন গ্রাম ও শহরতলির দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য দ্রুত পচনশীল খাদ্যসামগ্রী দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা খুব জরুরি।
গো এনার্জিলেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাওউইয়া লামহার বলেন, ‘আমি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এনাক্টাসের সদস্য। মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে প্রাকৃতিক ফ্রিজের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করি। সেখান থেকেই এই প্রকল্পের চিন্তা মাথায় আসে।’ গত বছরের শুরুর দিকে রাওউইয়া ও তাঁর সহকর্মীরা দেশটির মোহাম্মেদিয়া শহরের কাছের জেনাতা এলাকার কুমোরদের সহযোগিতায় প্রথম মাটির তৈরি ফ্রিজের একটি নমুনা দাঁড় করান। অবস্থাভেদে এ ধরনের ফ্রিজে ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী সংরক্ষণ করা যায়।

এই প্রাচীন শীতলীকরণ পদ্ধতির সুবাদে আজকের দিনে ফাতিমার মতো নারীরা এখন খরচ ২০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পেরেছেন
এঁটেল মাটির প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক গুণাবলি আর কুমোরদের দক্ষতার কথা বিবেচনা করে গো এনার্জিলেস তাদের প্রকল্পটি জেনাতা এলাকা থেকে মারাকেশ এলাকায় সরিয়ে আনে। রাওউইয়া বলেন, ‘এ বিশেষ এলাকার এঁটেল মাটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত গুণাগুণের বিশেষ উপযোগী। তা ছাড়া যে দুজন কুমোর আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন, তাঁদের কাজের মান অনেক উন্নত।’
এই প্রাচীন শীতলীকরণ পদ্ধতির সুবাদে আজকের দিনে ফাতিমার মতো নারীরা এখন খরচ ২০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পেরেছেন। সেই সঙ্গে তাঁরা তাঁদের খাবারদাবারে বৈচিত্র্য বজায় রাখতে পারছেন। তবে, শুধু খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নয়, এই প্রাকৃতিক ফ্রিজ আরও গুরুতর একটা সমস্যার অভাবনীয় সমাধান দিয়েছে: বিদ্যুতের ব্যবহার ছাড়াই এ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে জীবন রক্ষাকারী জরুরি ওষুধপত্র।
বিদ্যুৎ​ ছাড়াই সতেজ থাকবে ফলমূলযথাযথ অবস্থায়, আলো ও তাপ থেকে দূরে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ না করলে ইনসুলিনের মতো ওষুধ কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। মরক্কোর বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে, যেখানে গ্রীষ্মকালে কখনো কখনো ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা থাকে, সেখানে হিমায়ন কৌশলের অভাবে জীবন হুমকির মুখে পড়ে।
মরক্কোর মেকনেস শহরের অদূরে আহদ্রি অঞ্চলের বাসিন্দা আহমেদকে ইতিমধ্যে এ ধরনের স্থানীয় ও সহজলভ্য ফ্রিজের অভাবে মূল্য দিতে হয়েছে। ডায়াবেটিসে ভুগছেন তিনি। গরমে গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়া ইনসুলিন নিয়েছিলেন। এ কারণে তাঁকে হাসপাতালের বিছানায় আশ্রয় নিতে হয়। চার দিন থাকতে হয় হাইপারগিসেমিক কোমায়।
ইনসুলিন স্বল্প তাপমাত্রায় সংরক্ষণের বিষয়ে আহমদের একটি মাত্র উপায়ই জানা ছিল। আর তা হলো, ভেজা মাটির স্তরের নিচে পুঁটলিতে ইনসুলিন পুঁতে রাখা। পানীয় জল সরবরাহে এটি হয়তো একসময় পূর্বপুরুষের জন্য কার্যকর পদ্ধতি ছিল, কিন্তু ইনসুলিনের মতো জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সংরক্ষণে এ মোটেও আদর্শ উপায় নয়। ‘বিদ্যুতের ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিক ফ্রিজে তৈরির ফলে, ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী সংরক্ষণে আমাদের সামর্থ্য অনেক বেড়ে গেছে’, বলেন রাওউইয়া।
.আজ, নবীন এই কোম্পানি দুই ধরনের প্রাকৃতিক ফ্রিজ দিচ্ছে। প্রথমটি বড় বেশি বুনিয়াদি মডেলের, এটির নকশা করা হয়েছে বিদ্যুৎ বঞ্চিত মানুষের কথা মাথায় রেখে। খরচও কম, মাত্র ২২০ দিরহাম (প্রায় ২০ ইউরো)। দ্বিতীয়টির নকশায় আছে নান্দনিকতার ছাপ। যারা জৈব-জ্বালানি ব্যবহার করে থাকেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে এই ফ্রিজ। এর মূল্য ৩৫০ দিরহাম (প্রায় ৩৩ ইউরো)। এসব মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে শুধু উৎপাদন খরচ মেটাতে।
রাওউইয়া তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমার পঞ্চম বর্ষে পড়ছেন। পানি ও পরিবেশ প্রকৌশল বিষয়ে দক্ষতা তৈরি করছেন তিনি। এরই মধ্যে উদ্যোক্তা হিসেবে আবির্ভাব ঘটেছে তাঁর। গো এনার্জিলেস কোম্পানির তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটি প্রাকৃতিক ফ্রিজ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। শক্তিশালী বিপণন কৌশল অবলম্বনের পরিকল্পনা করছে তারা। উৎপাদন প্রক্রিয়ায়ও গতি আনা হবে। গত বছর প্রাথমিকভাবে ৫০টি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিজের নমুনা প্রকাশ করার পর, এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।


http://www.prothom-alo.com/pachmisheli/article/898084/মাটির-ফ্রিজ

73
ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে
পক্ষাঘাত বা স্ট্রোক মধ্য বয়সের পর একটি বড় সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি হলে এবং মানসিক চাপের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা রক্তনালি বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হতে পারে। এতে মৃত্যুঝুঁকি যেমন আছে, তেমনি আছে কোনো অঙ্গ বা শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ার ঝুঁকি।
আজকাল তুলনামূলক কম বয়সেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারে বাড়তি লবণ একেবারেই বাদ দিন। রান্নায়ও লবণ দিতে হবে পরিমিত। বেশি লবণযুক্ত খাবার, সয়াসস, কেচআপ ইত্যাদি কম খান। এড়িয়ে চলুন তেল-চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার। এগুলো রক্তনালিতে চর্বি জমতে এবং ব্লক তৈরি করতে সাহায্য করে।

ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বলে প্রমাণ মিলেছে। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, শাক, বরবটি এবং টক ফলে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড থাকে।

তাজা ফলমূল প্রচুর পরিমাণে খান। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা রক্তনালিকে প্রসারিত করে, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এসব ফলমূলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টও থাকে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। ধূমপান অবশ্যই বর্জন করুন।

বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে বছরে দু-একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। শরীরের ওজন এবং রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির মাত্রা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করুন।

74
Successful Entrepreneur / সফলতার দশ সূত্র
« on: June 19, 2016, 04:24:13 PM »
১. যত দ্রুত সম্ভব, শুরু করুন: বুড়ো বয়সে ‘যৌবনে কী-ই না করতে পারতাম!’—এই আফসোস যেন আপনাকে না ভোগায়। তাই বিল গেটস সব সময় বলেছেন, ‘শুরু করুন।’ যে ‘আইডিয়া’ আপনি মাথায় নিয়ে বসে আছেন, সেটা কাজে লাগিয়ে হয়তো কয়েক বছর পর অন্য কেউ সফল হবে। ছাত্রজীবন থেকেই স্বপ্নপূরণের শুরুটা হলে আপনার সফলতার সম্ভাবনা যতটুকুই থাকুক, অন্তত হাল ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।
২. প্রতিদিন নিজের সেরাটা দিতে হবে: বিল গেটস বলছেন, ‘জীবনটা সেমিস্টার হিসেবে ভাগ করা নেই, যে দশ সপ্তাহ পর পর আপনি ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি এখানে “ব্রেক” বলেও কিছু নেই।’ অতএব, প্রতিদিন আপনাকে আপনার সেরাটাই দিতে হবে।
৩. নিজেই নিজের বস হোন: আপনি নিজেই যদি নিজের স্বপ্নপূরণের কাজে না নামেন, অন্য কেউ তাঁর স্বপ্ন পূরণে আপনাকে নিয়োগ করবে। তার চেয়ে বরং এই শ্রম নিজের স্বপ্নপূরণের পেছনে খরচ করুন।
৪. ‘না’ বলা শিখুন: আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, দিনে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় আপনি পাচ্ছেন না। এই ২৪ ঘণ্টা কে কীভাবে ব্যবহার করে, সেটাই সফল এবং অসফল মানুষের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তব্যে একবার বিল গেটস বলেছিলেন, ‘জীবনের সেরা উপদেশ আমি পেয়েছি আমার বন্ধু ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে। সে বলেছিল, তোমাকে “না” বলতে জানতে হবে।’ বিল গেটস মনে করেন, কখনো কখনো ‘না’ বলতে পারা আপনাকে লক্ষ্যে অবিচল থাকতে সাহায্য করবে।
৫. প্রতিজ্ঞ হোন, প্রত্যয়ী হোন: সব সফল উদ্যোক্তাই জোর দিয়ে এই পরামর্শ দিয়েছেন। যে কাজটি করছেন, তার প্রতি ভালোবাসা থাকতেই হবে। সফল মানুষেরা একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই কঠিন কাজটাকে সহজে করেন।
৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, জীবনই সেরা স্কুল: যত বই-ই পড়েন না কেন, শিক্ষাজীবনে যত পরীক্ষাই দেন না কেন—এসব কখনোই পুরোপুরি আপনাকে সত্যিকার জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা শেখাবে না। নিজের জীবন থেকে শিখেই তৈরি হতে হবে।
৭. আশা হারাবেন না: লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হতাশাবাদী হলে চলবে না। বরং সব সময় আশাবাদী হতে হবে। ২০১৩ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিল গেটস বলেছিলেন, ‘আশাবাদ অনেক সময় মিথ্যে আশায় পরিণত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, “মিথ্যে হতাশা” বলেও কিছু আছে।’

৮. সমালোচনাকে স্বাগত জানান: বিল গেটস তাঁর বিজনেস অ্যাট দ্য স্পিড অব থট বইয়ে সমালোচনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, অভিযোগ আর অসন্তুষ্টি আপনাকে আরও ভালো করার সুযোগ করে দেয়। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার সবচেয়ে অসন্তুষ্ট কাস্টমাররাই আপনার শেখার সবচেয়ে বড় উৎস।’

৯. সাফল্যের হিসাব করুন: ২০০৩ সালে বিল গেটস দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল আইডিয়া ইন দ্য ওয়ার্ল্ড নামে একটা বই থেকে তাঁর শিক্ষা কী, তা বলেছেন। ‘আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে সব সময় হিসাব করেন, আপনি কতটুকু এগোলেন, তাহলেই লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারবেন।’ সঙ্গে তিনি এ-ও যোগ করেছেন, ‘এটা বলা যত সহজ, করা ততটাই কঠিন।’

১০. জীবনটা সহজ নয়, এটা মেনে নিন: আপনি যতই কঠোর পরিশ্রম করেন না কেন, এমন একটা সময় নিশ্চয়ই আসবে, যখন সবকিছু আপনার মনমতো হবে না। সবকিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আপনি পড়ে যাবেন, কিন্তু আপনাকে আবার দাঁড়াতে হবে।

75
For details please visit:

http://www.prothom-alo.com/opinion/article/891073/বাল্যবিবাহ-রোধে-সবচেয়ে-কার্যকর-উপায়

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 18