Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mousumi Rahaman

Pages: 1 ... 11 12 [13] 14 15
181

-   এক চিমটি হিং
-   এক চা চামচ মাষকলাই ডাল
-   ৪/৬টা কারি পাতা
-   ৩টা কাঁচামরিচ, মাঝখানে ফাঁড়া
-   ৩টা মাঝারি পিঁয়াজ, ফালি করা
-   লবন স্বাদমতো
-   ১ চা চামচ চিনি
-   আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
-   ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচানো
প্রণালী

১) নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে নিন। এতে সরিষা দানা এবং জিরা দিয়ে দিন। সরিষাগুলো ফুটতে শুরু করলে এতে হিং এবং মাষকলাই দিয়ে দিন। মাষকলাইয়ের রঙ বাদামি হয়ে এলে এতে কারি পাতা, কাঁচামরিচ এবং পিঁয়াজ দিয়ে দিন। এর সাথে দিয়ে দিন এক চিমটি লবন এবং চিনি। ভালো করে মিশিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না পিঁয়াজে সোনালি রঙ ধরে।
২) এই ফাঁকে আলুগুলোকে হালকা ভর্তা করে রাখুন।
৩) পিঁয়াজ সোনালি হয়ে এলে এতে আলু, হলুদ গুঁড়ো এবং ধনেপাতার অর্ধেকটা দিয়ে দিন। ভালো করে মেশান।
৪) ওপরে একটু পানি ছিটিয়ে মিশিয়ে ফেলুন। জ্বাল কমিয়ে ঢেকে রান্না করুন দুই থেকে তিন মিনিট।
তৈরি হয়ে গেলো দোসার সাথে পরিবেশনের জন্য আলুর পুর। ওপরে বাকি ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দোসার সাথে পরিবেশন করে ফেলুন গরম গরম।

(প্রিয়.কম)

182
(প্রিয়.কম)- পনির বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা হয়। পনির সমুচা, পনির টিক্কা, পালং পনির আরও কত মজাদার খাবারই না তৈরি করা যায় পনির দিয়ে। বাজার থেকে কেনা পনির স্বাস্থ্যকর নয়। আবার সব সময় বাজার থেকে পনির কিনে আনাও সম্ভব হয় না। তাই বাসায় তৈরি করে ফেলতে পারেন দোকানের মত পনির। খুব সহজে অল্প উপাদান দিয়ে বাসায় পনির তৈরি করে নিন।
উপকরণ:
৮ কাপ দুধ
১/৪ কাপ লেবুর রস
একটি পাতলা সুতির কাপড়
প্রণালী:
১। প্রথমে একটি প্যানে দুধ জ্বাল হতে দিন।
২। দুধ বলক আসলে চামচ দিয়ে দুধ নাড়তে থাকুন। যাতে দুধ প্যানের নিচে না লাগে।
৩। দুধ ঘন হয়ে আসলে এতে লেবুর রস দিয়ে দিন।
৪। লেবুর রস দিয়ে দুধ নাড়তে থাকুন।
৫। দুধ ছানা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
৬। এবার একটি পাতলা কাপড়ে দুধ ছেঁকে পানি আর ছানা আলাদা করে ফেলুন।
৭। এমনভাবে পানি ছেঁকে ফেলবেন যাতে ছানাতে একটুও পানি না থাকে।
৮। ছানা পানি শূন্য করার জন্য পনিরের কাপড়টির ওপর একটি পানি ভর্তি বাটি দিয়ে ৩০ মিনিট চাপা দিয়ে রাখুন।
৯। ৩০ মিনিট পর কাপড়টি খুলে পনিরটি বের করে নিন।
১০। এবার পনিরগুলো কেটে আপনার পছন্দ মত আকৃতি করে নিন।
টিপস
লেবুর রসের পরিবর্তে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন।

(প্রিয়.কম)

183
একদম তেল ছাড়া স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু স্ন্যাক্স খেতে চান? জেনে নিন নাদিয়া নাতাশার একটি দারুণ রেসিপি।
উপকরণ:
সেদ্ধ মাছের কিমা ১ কাপ (এখানে রুই মাছ নেয়া হয়েছে)
ডিম সেদ্ধ করা ১ টা
পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি ৩/৪ টা
আদা বাটা ১/২চা চামচ
জিরা বাটা ১/২বাটা
রসুন বাটা ১/২চা চামচ
গোল মরিচ ১/২ চা চামচ
ফিস সস ১ চা চামচ
টমেটো সস ১ চা চামচ
লবণ পরিমাণমত
হলুদ সামান্য
রাইস পেপার ৪টা
তেল ২ চা চামচ,শসা পাতলা করে কাটা
প্রনালি:
-প্যানে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে সব মশলা দিয়ে কষিয়ে মাছের কিমাটা দিয়ে দিতে হবে।
-এবার মিশ্রনটা ভাজা ভাজা হলে নামিয়ে রাখুন।
-অন্য পাত্রে হাতে সহনীয় মাত্রার গরম পানিতে একটা করে রাইস পেপার ভেজালে তা নরম হয়ে যাবে। (রাইস পেপার দোকানে কিনতে পাবেন)
-ডিম স্লাইস করে ৪ পিস করে কাটুন।
-রাইস পেপার বিছিয়ে তাতে কিছুটা দুপিস শশা কিছুটা কিমা,একপিস ডিম দিয়ে রোল তৈরি করে নিন।
-এবার সার্ভ করুন টমেটো সসের সাথে স্বাস্থ্যকর রাইস পেপার ফিস রোল।

(প্রিয়.কম)

184
পৃথিবীর সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, রয়েছে নির্দিষ্ট মাত্রা। এ কথাটি যেমন জীবনের আর দশটা কাজের ক্ষেত্রে সত্যি, তেমনি সত্যি ঘুমানোর ক্ষেত্রেও। দিনে ঠিক কত ঘন্টা ঘুমান আপনি? পাঁচ, ছয়, নাকি আট? এরকম কোন একটাই যদি হয় আপনার ঘুমোবার সময়ের পরিমাণ, তাহলে বলতে হবে পৃথিবীর আরো অনেকের সাথে সাথে আপনিও রয়েছেন ভয়ানক ঝুঁকির মুখে।
সম্প্রতি এক গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে বা যারা দিনে সাত ঘন্টার কম বা বেশি ঘুমিয়ে থাকেন তাদের ভেতরে রয়েছে ভয়ানকভাবে হৃযন্ত্রের সমস্যা হবার সম্ভাবনা (এবিসি)। এছাড়াও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিম্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত একটি গবেষনানুসারে পাঁচ ঘন্টার কম যারা ঘুমিয়ে থাকেন তাদের ভেতরে রয়েছে স্ট্রোক, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, হার্ট অ্যাটাকসহ আরো নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার দ্বিগুন ঝুঁকি।
শুধু তাই নয়, গবেষনায় আরো জানা যায় এ সম্ভাবনা বেশি রয়েছে ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে। এছাড়াও নারীদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি রয়েছে প্রায় আড়াই গুন বেশি। এ ব্যাপারে যথাযথ তথ্য পেতে গিয়ে ২০০৫ সালে এই গবেষকেরা মোট ৩০,০০০ বয়স্ক মানুষকে পরীক্ষা করেন। লিপিবদ্ধ করেন তাদের বয়স, উচ্চতা, খাদ্যাভ্যাসসহ আরো নানারকম তথ্য। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সবকিছু ঠিক থাকলেও কেবল ঘুমের কারণে শরীরে কোনরকম সমস্যা দেখা যায় কিনা।
ফলাফল ইতিবাচক আসে এবং প্রমাণিত হয় যে কম ঘুম মানুষের দেহের খাদ্য হজম আর অন্যান্য ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ইনসুলিন আর রক্তচাপের ক্ষেত্রে গড়বড় হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে মানুষের ভেতরে তৈরি হয় নানা সমস্যা।
অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লীপ মেডিসিন অনুসারেও, একজন পুর্ণবয়স্কের উচিত প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা করে ঘুমানো। তবে এক্ষেত্রে যদি কারো কোনভাবেই সাত ঘন্টা করে ঘুম না হয় তাহলে চেষ্টা করতে হবে কেবল শুয়ে থাকতে। পরীক্ষায় দেখা যায় যে সাত ঘন্টা না ঘুমোলেও সেই পরিমাণ শুয়ে থাকা মানুষের শরীরে যথেষ্ট পরিবর্তন আনে।
তাই একদম দেরী না করে আজকেই নিজের ঘুমোবার অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন আর ঘড়িকে বলে রাখুন ঠিক সাত ঘন্টা অব্দি আপনাকে ঘুমোতে দিতে। অন্যথায় খুব সহজেই আপনার শরীর হতে পারে কঠিন কোন রোগের মুখোমুখি।
তাহলে এবার বলুন, ঘুমোবেন তো সাত ঘন্টা?

(প্রিয়.কম)

185
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা যাদের আছে তাদেরকে বাসায় রক্তচাপ পরিমাপের পরামর্শ দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে রক্তচাপ পরিমাপ করাটাই আসলে বেশি ভালো। কারণ বিকেলে পরিমাপের চাইতে সকালে পরিমাপে স্ট্রোকের সম্ভাবনা ধরা পড়ে সহজে।
এই গবেষণায় মূলত জাপানের মানুষদের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ফলাফলে পৌঁছানো যায়। দেখা যায়, সকালে ব্লাড প্রেশার মাপার পর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তার সাথে স্ট্রোকের সম্পর্কটা ভালোভাবে বোঝা যায়। কিন্তু সন্ধ্যায় উচ্চ রক্তচাপ থাকলেই যে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকবে, এমনটা বলা যায় না।
সকালে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাবার প্রবণতা দেখা যায়। আর এই প্রবণতা পাশ্চাত্যের দেশগুলোর চাইতে এশিয় দেশগুলোতে বেশি বলে জানান ডক্টর সাতোশি হোশিদে, জিচি মেডিকেল ইউনিভার্সিটির কার্ডিওভাস্কুলার মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং এই গবেষণার মূল লেখক। তিনি Live Science কে আরও বলেন, এই কারণ এশিয়দের মাঝে সকালে রক্তচাপ পরিমাপ করাটা জরুরী।
গবেষণায় ৪,৩০০ এর বেশি জাপানি মানুষ অংশ নেন যাদের কোনো না কোনো হৃদরোগের ঝুঁকি ছিলো যেমন উচ্চ রক্তাচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল বা ডায়াবেটিস। দুই সপ্তাহ ধরে তারা দিনে দুইবার করে বাড়িতে ব্লাড প্রেশার মাপেন। একবার সকালে এবং একবার বিকালে। এরপর চার বছর ধরে তাদেরকে ফলো-আপে রাখা হয়। ফলো-আপে দেখা যায়, এদের মাঝে ৭৫ জনের স্ট্রোক হয়।
গবেষকেরা দেখেন, সকালে ব্লাড প্রেশার মাপা হলে তা যদি ১৫৫ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয়, তাহলে যাদের ব্লাড প্রেশার ১৩৫ এর কম তাদের চেয়ে এই বেশি রক্তচাপের মানুষের স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে সাতগুণ বেশি। কিন্তু সন্ধ্যায় ১৫৫ এর বেশি রক্তচাপ থাকলেও সেটার সাথে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ার কোনো সংযোগ পাওয়া যায় না।
কিন্তু সন্ধ্যাবেলা ব্লাড প্রেশার মাপা হলে তার সাথে স্ট্রোকের ঝুঁকির সম্পর্ক পাওয়া যায় না কেন? কারণ সন্ধ্যাবেলা হতে হতে সারাদিনের অনেক ব্যাপারেই ব্লাড প্রেশার বাড়তে পারে। যেমন গরম পানিতে গোসল (যেটা জাপানি মানুষ খুব পছন্দ করে), খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি।
কিন্তু সকালে রক্ত চাপ বেড়ে গেলে সেটার সাথে সরাসরি স্ট্রোকের সম্পর্ক থাকে। কারণ সকাল সকাল উঠেই শারীরিক ব্যাপার ছাড়া অন্য কিছু শরীরকে তেমন প্রভাবিত করে না।
সকালে ব্লাড প্রেশার বেশি থাকলে তার থেকে স্ট্রোকের ঝুঁকি বোঝা যায়। কিন্তু সকালে ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খাওয়াটা আবার বিকেলে খাওয়ার চাইতে তেমন বেশি কার্যকরী নয় বলে দেখা যায় এই গবেষণায়।
তবে এই গবেষণা যেহেতু শুধুমাত্র জাপানি মানুষের ওপরে করা হয়, তাই অন্যান্য জাতির মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম হতেও পারে।
Mayo Clinic এর মতে, দিনে দুবার করে রক্তচাপ মাপাটা ভালো। সকালে কোনোকিছু খাওয়া বা ওষুধ গ্রহণের আগে একবার ব্লাড প্রেশার মাপা ভালো। আবার সন্ধ্যায় আরেকবার মাপা ভালো। প্রতি বার মাপার সময়ে ২-৩বার করে রিডিং নিলে সঠিক রক্তচাপটা পাওয়া যেতে পারে। কারও কারও ডাক্তার দিনে আরও বেশিবার রক্তচাপ নিতে বলতে পারেন যাতে অতিরিক্ত ওঠানামা করে কিনা তা বোঝা যায়।
WebMD পরামর্শ দেয়, প্রতিদিন একই সময়ে রক্তচাপ নিলে সেটা ভালো। শব্দ কম আসে এমন কোন শান্ত জায়গায় বসে রক্তচাপ নিতে হবে। এর আগে বাথরুম করে নিলে ভালো, ব্লাডার খালি থাকলে ব্লাড প্রেশারের সঠিক মাপ পাওয়া যায়। এছাড়াও রক্তচাপ মাপার আগে এড়িয়ে চলুন ধূমপান, চা-কফি পান, ব্যায়াম এবং কিছু কিছু ওষুধ। 
লেখক
কে এন দেয়া
অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম

186
নিমের বৈজ্ঞানিক নাম Azadirachta indica । নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাকও বলা হয়। আমাদের সবার পরিচিত নিম আয়ুর্বেদ, প্রাকৃতিক, ইউনানি এবং হোমিওপ্যাথি ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নিমে ব্যাকটেরিয়া নাশক, ভাইরাস নাশক, ছত্রাক নাশক, বেদনানাশক, জ্বর নাশক, পচন নিবারক, জীবাণুনাশক, অ্যান্টি ডায়াবেটিক, রক্ত পরিষ্কারক এবং স্পারমিসাইডাল উপাদান আছে। নিমের নানাবিধ ঔষধি গুণের জন্য একে ‘ওয়ান ট্রি ফার্মেসি’ও বলা হয়। নিম গাছ পরিবেশের জন্যও অনেক উপকারী। নিম গাছের প্রতিটা অংশ- শিকড়, বাকল, আঠা, পাতা, ফল, ডাল,বীজ এবং বীজের তেল ভেষজ ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয়। নিমের কয়েকটি উপকারিতার বিষয়ে আমরা জেনে নেব আজ।
১। খুশকির চিকিৎসায়
নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে।
-চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিমের পাতা দিয়ে গরম করতে হবে যতক্ষণ না পানিটা সবুজ বর্ণ ধারণ করে
-এই পানি ঠান্ডা হলে চুল শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।নিমের পানি কন্ডিশনারের মত কাজ করবে।
-সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করুন যতদিন না খুশকি দূর হয়।
২। ওজন কমাতে
যদি আপনি ওজন কমাতে চান বিশেষ করে পেটের তাহলে নিমের ফুলের জুস খেতে হবে আপনাকে। নিম ফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরের চর্বি ভাংতে সাহায্য করে।
  -একমুঠো নিম ফুল চূর্ণ করে নিন
  -এর সাথে এক চামুচ মধু এবং আধা চামুচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশান।
  -প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন।
৩। রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে
নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।
৪। ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে 
যদি আপনার পায়ে কোন ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকে নিম ব্যবহার করুন। নিমে নিম্বিডল এবং জেডুনিন আছে যা ফাঙ্গাস ধ্বংস করতে পারে। নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে নিরাময় লাভ করা যায়। আক্রান্ত স্থানে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল দিনে তিনবার লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
৬। ত্বকের সমস্যা দূর করতে 
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন– ব্রণ, র‍্যাশ, এক্সিমা ও সোরিয়াসিস এর সমস্যা দূর করতে পারে নিম।
৭। উকুনের চিকিৎসায়
নিমের ব্যাবহারে উকুনের সমস্যা দূর হয়। নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, তারপর মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান।সপ্তাহে ২-৩ বার এটা করুন। ২ মাস এভাবে করুন। উকুন দূর হবে।
এরকম আরো নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে যেমন- মুখের অতিরিক্ত তেল দূর করে,ব্রণ ও ব্ল্যাক হেডস দূর করে,মাড়ি ও দাঁতের রোগ দূর করে, হেপাটাইটিসের নিরাময়কে ত্বরান্বিত করে,মশার কামড় থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় নিম কার্যকরী ভুমিকা রাখে।
                                                 
লেখক-
সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম

187
মানুষের বুদ্ধিমত্তা প্রকৃতির অনেক বড় দান। এর মাধ্যমেই মানুষ তাঁর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে নানা প্রকার শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। জীবন একটা দীর্ঘ ভ্রমণ। এই ভ্রমণে মানুষকে নানা বাঁধা বিপত্তি পার হয়ে এগিয়ে যেতে হয়। আর এই জীবন চলার পথের সবচেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছে প্রকৃতি। এবার তাহলে জেনে নেই প্রকৃতি থেকে আমরা কী কী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। 
১। অনুপ্রেরণা
সুন্দর প্রকৃতি সবসময়ই মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়। সূর্য যখন উদিত হয় তখন চারপাশের অন্ধকার দূর হয়ে যায়, যা আমাদেরকে ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করার ও সামনের দিকে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা দেয়। খুঁজতে চাইলে এমন আরও অসংখ্য অনুপ্রেরণা পাবেন প্রকৃতির পরতে পরতে।
২। সমস্যার মোকাবেলা
মানুষ সব সময় বাঁধামুক্ত ভাবে এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু আমরা যদি নদীর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো যে নদীর চলার পথে যত বাঁধাই আসুক না কেন সে সামনের দিকেই এগিয়ে চলে এবং তার লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছায়। নদীর একমাত্র লক্ষ্য সমুদ্রে গিয়ে মেশা। আমাদের প্রত্যেকেরই এই রকম একটি লক্ষ্য থাকা উচিৎ এবং এই লক্ষ্য অর্জনে সকল বাঁধা অতিক্রমের সাহস ও শক্তি অর্জন করা উচিত। তাহলেই আমাদের জীবন অর্থবহ হবে।
৩। নমনীয়তা 
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে উদ্ভিদের মধ্যে নানা রকম পরিবর্তন দেখা যায়। সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে নতুন রূপে ঢেলে সাজায় প্রকৃতি। আবার দুঃসময় পেরিয়ে গেলেই ফিরে আসে নিজের আপন রূপে। প্রকৃতি এভাবেই আমাদেরকে নমনীয় হতে শেখায়।   
৪। এমন কিছু বিষয় আছে যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় চারপাশের সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন পরই আবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে যার নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে থাকেনা। তাই তেমন কোন ঘটনা ঘটে গেলেও জীবন থেমে থাকবেনা। এবং এর জন্য হা হুতাশ না করাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।
এমনই আরো কিছু বিষয় প্রকৃতি থেকে আমরা শিখতে পারি, যেমন- সরলতা, শান্তি, পরোপকার, মহানতা ইত্যাদি। 
লিখেছেন-
সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম


188
Faculty Sections / মুরগি-সবজি হালিম
« on: July 01, 2015, 09:53:16 AM »
উপকরণ:
মুরগির মাংস ১ কাপ (কিউব কাট), গাজর আধা কাপ, আলু আধা কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, হালিম মিক্স ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, মালাই ২ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হালিম মসলা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা ১ মুঠ, তেল আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো।


প্রণালি:
সব সবজি কিউব করে কেটে নিন। একটি পাত্রে ঘি দিয়ে মুরগিতে একটু লবণ মাখিয়ে ভেজে উঠিয়ে নিন। একই পাত্রে সবজিগুলো হালকা করে ভেজে নিন। তেলে পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে একে একে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার হালিম মিক্স দিয়ে কষিয়ে সেদ্ধ হওয়ার জন্য পানি দিন। হয়ে গেলে মালাই, বেরেস্তা, চিনি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দমে রাখুন। একটু পর নামিয়ে পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপি- নাজমা হুদা
 নকশা

189
Faculty Sections / মাখন পনির হালিম
« on: July 01, 2015, 09:50:24 AM »
মাখন পনির হালিম

মাখন পনির হালিমউপকরণ: পনির ২ লিটার দুধের, কাজুবাদাম আধা কাপ, মাখন ৫০ গ্রাম, তেল আধা কাপ, হালিম মিক্স ১ কাপ (পানিতে ভেজানো), পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, বেরেস্তা (সোনালি রং) ৪ টেবিল চামচ, ক্রিম ১ টিন, কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, দই ২ টেবিল চামচ, হালিম মিক্স ২ কাপ (সেদ্ধ করা), হালিম মসলা ১ চা-চামচ, কাসুরি মেথি ১ টেবিল চামচ, টমেটোকুচি ১ কাপ, আদা-রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: প্যানে মাখন দিয়ে আদা, রসুনকুচি দিয়ে একটু ভেজে পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজ একটু সেদ্ধ হয়ে এলে টমেটোকুচি ও কাজুবাদাম দিয়ে ভেজে নিন। এটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন। পনির ছোট ছোট করে টুকরা করে সামান্য বাগার দিয়ে একটু ভেজে নিন। এবার পাত্রে তেল দিয়ে ব্লেন্ড করা মসলা ঢেলে তার মধ্যে কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া ও হালিম মসলা দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিন। সেদ্ধ করা হালিম মিক্স দিয়ে দিন। হালিম হয়ে এলে ভাজা পনির ও কিছু কাজু দিয়ে ক্রিম ও বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন। নামানোর আগে মাখনে কাসুরি মেথি দিয়ে হালিমের মধ্যে ঢেলে দিন। ইচ্ছে করলে একটু চিনি দেওয়া যায়।

পনির তৈরি
উপকরণ: দুধ ২ লিটার, সিরকা ১ কাপ (ছানার পানি দিয়েও হবে), পানি ১ কাপ।
প্রণালি: চুলায় দুধ জ্বাল দিয়ে বলক উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন। সিরকার সঙ্গে পানি মিশিয়ে আস্তে আস্তে দুধের মধ্যে ঢালুন। সবুজ পানি বের হলে একটু ঢেকে রেখে দিন। এবার একটা কাপড়ের মধ্যে নিয়ে খুব ভালো করে চিপে পানি বের করে নিন। এবার কাপড়ে থাকা ছানার ওপর একটি ভারী পাথর চাপা দিয়ে তিন ঘণ্টা রাখুন। হয়ে গেল পনির।

 রেসিপি- নাজমা হুদা
 নকশা

190

বরফ মিশ্রিত মাঠা
এটি রোজায় অন্যতম একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় যা গরমের মাঝে শুধুমাত্র আপনার তৃষ্ণাই পূরণ করবে না সেই সাথে শরীরের জন্য খুব উপকারী। দইয়ের সাথে এক চিমটি লবন, কিছু শুকনো বা তাজা পুদিনা পাতা, সামান্য মধু ও তার সাথে চাইলে স্ট্রবেরি বা যেকোনো বেরী ফল বরফ দিয়ে ব্লেন্ড করে ইফতারের সময় পান করুন।

দইয়ের লাচ্ছি
এটি উচ্চ প্রবায়োটিক (ভালো ব্যাকটেরিয়া), অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ। এটি শরীরকে পানিশূন্যতা ও গরমের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এক কাপ দই, এক কাপ পানি, সামান্য জিরা, সামান্য আদা কুচি করে কেটে এবং এক চিমটি লবন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পান করুন।

লেবু ও পুদিনা পাতার জুস
রোজার মাসে গরমের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটি খুব ভালো পানীয়। এক গ্লাস পানিতে কিছু পুদিনা পাতা ও লেবুর টুকরো নিয়ে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করে সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

টক পানীয়
যদিও একটু কটু স্বাদযুক্ত কিন্তু এটা উচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খুবই স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। এই পানীয়টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুনাগুনের জন্য এটি খেলে গরমে র্যা শ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বাঁচা যায়। এক গ্লাস পানিতে কিছু শশার স্লাইস, কমলার স্লাইস এবং সামান্য পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি করতে হবে এটা।

গোলাপের পানীয়
পানিতে কিছু জাফরান ও গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রেখে ফুটিয়ে নিয়ে ৭/৮ ঘণ্টা বা সারারাত রেখে দিতে হবে। তারপর তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। এটা গরমকালের সবচেয়ে ভালো পানীয়।

শসা ও বাঙ্গির জুস
শসা ও বাঙ্গি নিয়ে এক সাথে ব্লেন্ড করে তাতে আধা চা চামচ মধু ও সামান্য লবন যোগ করুন। চাইলে সামান্য জিরা ও পুদিনা পাতাও দিতে পারেন। এই পানীয়টি দেহকে শীতল করার সাথে সাথে ঘামের পরিমান কমাবে।

কমলার জুস
কমলার রস বের করে সামান্য লবন যোগ করে ঠাণ্ডা করে খেতে হবে। এই পানীয়তে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি এবং ইলেক্ট্রোলাইট গরমে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এবং পানি শূন্যতার হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।

নন ফ্যাট বা ননীমুক্ত দুধ
এই পানীয় টি উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালরিযুক্ত। গরমের সময় এই পানীয়টি তৃষ্ণা মিটিয়ে আপনার ক্ষুধাও মেটাতে সাহায্য করে।প্রচণ্ড গরমের তাপ থেকে মুক্তি পেতে ঠাণ্ডা ননীমুক্ত দুধ পান করতে পারেন। গরমের সময়ের এই কার্যকরী পানীয়টি রোজায় ইফতারে পান করলে দেহের পানিশূন্যতা পূরণ হয়।

তরমুজের জুস
তরমুজ ব্লেন্ড করে তাতে ২ চা চামচ লেবুর রস এবং এক চিমটি লবন দিয়ে তৈরি করুন জুস। এই পানীয়টি গরমে দেহের জন্য যেসব অত্যাবশ্যকীয় খনিজ পদার্থের প্রয়োজন হয় তা সরবরাহ করে। দেহের পানি শূন্যতা দূর করার ক্ষেত্রে উত্তম একটি পানীয় হচ্ছে তরমুজের জুস।

গ্রীন টি
গরমকালে যদি চা খাওয়া হয় তখন তা দেহকে পানিশূন্য করে দেয় এতে থাকা ক্যাফেইনের কারনে। কিন্তু সবুজ চা হচ্ছে এর ব্যাতিক্রম।তাই সামান্য লেবু দিয়ে সবুজ চা যেকোনো সময় খাওয়া যায়। ঠাণ্ডা খেতে চাইলে এতে কিছু বরফ যোগ করতে পারেন।

লেখিকা
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)


191

উপকরণ: বোম্বাই মরিচ (বোঁটা ছাড়ানো আস্ত) ১ কাপ, কাঁচা আমঝুরি ১ কাপ, বোম্বাই মরিচ (কুচি করা) ৫/৬টি, রসুন কোয়া ১ কাপ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, সরিষাবাটা ১ টেবিল-চামচ, সরিষাবাটা ১ টেবিল-চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, লবণ ১ টেবিল-চামচ, সিরকা আধা কাপ।


প্রণালি: মরিচ ও রসুন কোয়া ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ননস্টিক প্যানে সরিষার তেল গরম করে তাতে সরিষাবাটা ও রসুনবাটা দিয়ে এক মিনিট কষান। এবার রসুন কোয়া দিন। ৫/৭ মিনিট পর আমের ঝুরি দিন। এবার চিনি ও লবণ দিয়ে ৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। গোটা বোম্বাই মরিচগুলো দিয়ে দিন। ৫ মিনিট ধরে নাড়ুন। এবার বোম্বাই মরিচ কুচি ও সিরকা দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে নিন। মৃদু আঁচে দশ মিনিট রাখুন। মরিচ সেদ্ধ হওয়ার পর নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
ঠান্ডা করে জারে ভরে রাখুন। এই আচার ফ্রিজে রেখে এক বছর সংরক্ষণ করা যাবে।


রেসিপি- আতিয়া আমজাদ

192
Faculty Sections / মাশরুম আচার
« on: June 29, 2015, 08:46:36 AM »

উপকরণ: বাটন মাশরুম (ক্যান) ২০০ গ্রাম, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ, সয়াবিন তেল ২ টেবিল-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ, আঙুরের রস আধা কাপ, রসুন কোয়া ২টি (ছেঁচে নেওয়া), ধনেপাতা কুচি ১ চা-চামচ, অরিগেনো আধা চা-চামচ, টালা শুকনা মরিচ ফাঁকি আধা চা-চামচ, তেঁতুলের ঘন ক্বাথ ৩ টেবিল-চামচ, কালিজিরা সিকি চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, লেমন জেস্ট (লেবুর খোসার ওপরের সবুজ অংশ কুচি) ১ চা-চামচ, কালো গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, গোটা শুকনা মরিচ ২/৩টি।


প্রণালি: মাশরুম গোটা বা দুই টুকরা করে নিন। ননস্টিক প্যানে সয়াবিন ও সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করে নিন। তাতে গোটা শুকনা মরিচ ও কালিজিরা ফোড়ন দিন। এবার মাশরুম, গোলমরিচ গুঁড়া, ছেঁচা রসুন ও লবণ দিয়ে ১ মিনিট ভাজুন। অরিগেনো ও তেঁতুল ক্বাথ দিয়ে ৩ মিনিট রাখুন। এবার টালা শুকনা মরিচ ফাঁকি ও আঙুরের রস দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রাখুন। ৫ মিনিট পর ধনেপাতাকুচি ছিটিয়ে নামান।
ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে হবে। এটি ফ্রিজে ১ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন।


 রেসিপি - আতিয়া আমজাদ

193
Faculty Sections / আম-ক্যাপসিকাম আচার
« on: June 29, 2015, 08:43:59 AM »
উপকরণ: ক্যাপসিকাম ৩টি (৩ রঙের) কিউব করে কাটা, কাঁচা আমঝুরি ১ কাপ, গাজর কিউব আধা কাপ, আদাবাটা ও রসুনবাটা আধা চা-চামচ করে, সরিষাবাটা দেড় টেবিল-চামচ, গুঁড়া মরিচ আধা চা-চামচ, রসুন কোয়া ৮/১০টি, কাঁচা মরিচ ৮/১০টি, তেঁতুলের ঘন ক্বাথ ২ টেবিল-চামচ, গোটা শুকনা মরিচ ৪/৫টি, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ টেবিল-চামচ, সিরকা আধা কাপ, সরিষার তেল আধা কাপ, কালিজিরা আধা চা-চামচ।

প্রণালি: ক্যাপসিকাম, গাজর, কাঁচা মরিচ ও রসুন ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এসবের সঙ্গে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা, চিনি ও লবণ দিয়ে মেখে রাখুন। ননস্টিক প্যানে সরিষার তেল গরম করে তাতে শুকনা মরিচ ও কালিজিরা দিয়ে ফোড়ন দিন। এবার মসলা মাখানো ক্যাপসিকামের মিশ্রণটি দিয়ে দিন। ২ মিনিট চুলায় রেখে তেঁতুলের ক্বাথ দিন। সিরকা দিয়ে আরও ৫ মিনিট চুলায় রাখুন। আচার তৈরি হয়ে গেল।
কাচের জার গরম পানিতে ৫/৭ মিনিট ফুটিয়ে মুছে নিন। আচার ঠান্ডা হলে এই জারে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। তিন মাস ফ্রিজে রাখা যাবে।
ক্যাপসিকাম, গাজর, কাঁচা মরিচ ও রসুন ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এসবের সঙ্গে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা, চিনি ও লবণ দিয়ে মেখে রাখুন। ননস্টিক প্যানে সরিষার তেল গরম করে তাতে শুকনা মরিচ ও কালিজিরা দিয়ে ফোড়ন দিন। এবার মসলা মাখানো ক্যাপসিকামের মিশ্রণটি দিয়ে দিন। ২ মিনিট চুলায় রেখে তেঁতুলের ক্বাথ দিন। সিরকা দিয়ে আরও ৫ মিনিট চুলায় রাখুন। আচার তৈরি হয়ে গেল।

কাচের জার গরম পানিতে ৫/৭ মিনিট ফুটিয়ে মুছে নিন। আচার ঠান্ডা হলে এই জারে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। তিন মাস ফ্রিজে রাখা যাবে।

রেসিপি - আতিয়া আমজাদ

194
অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে হজমের সমস্যা, প্রদাহ, অতিরিক্ত টক্সিনের সমস্যা ইত্যাদি তৈরি হতে পারে। কোলাজেন নষ্ট হয়ে ত্বকে ফুসকুড়ি ও বলিরেখাও পড়তে পারে। টিএনএন এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে জানিয়েছে।

প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি খাবার
ছোটবেলায় চকলেট, ক্যান্ডি খেতে কতই না মজা লাগত! কিন্তু বড় হয়ে তো অনেক অভ্যাসই আমাদের বাদ দিতে হয়। বড়রাও যদি নিয়মিত ক্যান্ডিতে অভ্যস্ত থাকেন তাহলে শরীরে প্রক্রিয়াজাত চিনির মারাত্মক চাপ পড়বে। প্রক্রিয়াজাত চিনি ত্বকের জন্য এক বড় সমস্যা। অতিরিক্ত চিনির কারণে কোলাজেন নষ্ট হয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে যেতে পারে।

ভাজাপোড়া খাবারদাবার
ফ্রাইড স্ন্যাকস বা ভাজাপোড়া খাবার যাই বলেন না কেন, এসব খাবারের আসক্তিটা আপনাকে ছাড়তেই হবে। এসব খাবারে থাকা প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট দীর্ঘ মেয়াদে শরীরের জন্য খুবই খারাপ। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবারে আপনার ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ি পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।



prothom-alo.com

সোডা জাতীয় পানীয়
সোডা বা নানা ধরনের কোমল পানীয় পানে অনেকেরই অভ্যস্ততা আছে। কিন্তু এ জাতীয় পানীয় ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এসব পানীয়ে থাকা অতিরিক্ত মাত্রার প্রক্রিয়াজাত চিনি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে আপনার ত্বকের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া ত্বক না চাইলে সোডা জাতীয় পানীয়ের অভ্যাস ছাড়ুন।

জাঙ্ক ফুড
কারণ নিশ্চয়ই আছে, নইলে খাবারকে ‘জাঙ্ক ফুড’ বলা হবে কেন। অতিরিক্ত মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার মতো নানা উপাদানে ঠাসা থাকে এসব খাবার। খেতে যত মজাই হোক আপনার ত্বকে স্বাস্থ্যের জন্য এগুলো খুবই ক্ষতিকর। জাঙ্ক ফুডের বদলে ফল-মূল-শাক-সবজি-দুগ্ধজাত খাবারদাবারের প্রতি মনোযোগ বাড়ান।

ক্যাফেইন আসক্তি
ক্যাফেইনে আসক্তি আছে অনেকেরই। এক কাপ কফিতে চাঙা হয়ে ওঠাটা অনেক সময়ই দারুণ ব্যাপার। কিন্তু এই আসক্তিতে মজে গিয়ে একের পর এক কফি পান করতে থাকা কিন্তু ভয়ংকর ব্যাপার। ক্যাফেইন আপনার ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। অতিরিক্ত কফি নির্ভরতায় ত্বক শুকনো খটখটে হয়ে যেতে পারে। ফলে ত্বকের ভালো চাইলে এ আসক্তি কমান।

195
Faculty Sections / হঠাৎ হাতে ঝিঁঝি
« on: June 24, 2015, 09:39:01 AM »
কবজি থেকে শুরু করে পুরো হাতটা ঝিঁঝি ধরে বা অনুভূতিশূন্য হয়ে যায়। কখনো কামড়ায় বা ব্যথা করে। আঙুল নাড়াচাড়া করতেও কষ্ট হতে পারে; বিশেষ করে রাতের বেলা বা ঘুম থেকে ওঠার পর। এই সমস্যার নাম কারপাল টানেল সিনড্রোম বা সংক্ষেপে সিটিএস।
আমাদের হাতের পাতার ঠিক শুরুতে কবজির কাছে চামড়ার নিচ দিয়ে চলে গেছে একটা টানেল। এর ভেতর দিয়ে বিভিন্ন স্নায়ু ও শিরার প্রবাহ। এটিরই নাম কারপাল টানেল। কোনো কারণে এই টানেলের ওপর চাপ পড়লে সংশ্লিষ্ট স্নায়ুকোষগুলোর ওপরও চাপ পড়ে। তারই পরিণামে হাত ঝিঁঝি করে বা অস্বাভাবিক অনুভূতি শুরু হয়।

কী হয় সিটিএস হলে?
কারপাল টানেল সিনড্রোম হলে হাত ও হাতের আঙুলগুলো অবশ হয়ে আসে বা অস্বস্তি হয়। বুড়ো আঙুল, মধ্যমা ও তর্জনীতে সমস্যা হয় বেশি, আর সাধারণত কনিষ্ঠ আঙুল ভালোই থাকে। কোনো কিছু ধরে কাজ করার সময়, যেমন ফোনে কথা বলা বা গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে রাখার সময় হাত দুটো অবশ হয়ে আসে বা ঝিঁঝি ধরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাতে ঘুম ভেঙে যায় হাতের ওই অস্বস্তির কারণে। কখনো কখনো হাত দিয়ে কিছু ধরে রাখার সামর্থ্যও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং হাত থেকে জিনিসপত্র পড়ে যায়।

কারণ
কারপাল টানেলের ভেতর দিয়ে যেসব জিনিস প্রবাহিত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মিডিয়ান নার্ভ, যা হাতের

আঙুলের পেশি ও ত্বকের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো কারণে কারপাল টানেলের ভেতর এই মিডিয়ান নার্ভের ওপর চাপ পড়ার কারণেই সব সমস্যার শুরু, যা নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। গর্ভাবস্থায় ত্বকের নিচে বা কলার ফাঁকে পানি জমলে কারপাল টানেল সরু হয়ে যায় এবং ¯স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। একই ব্যাপার ঘটে কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যায়ও। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ঝুঁকি বাড়ায়। কবজিতে আঘাতজনিত কারণেও হতে পারে এ সমস্যা।

করণীয়
চিকিৎসক হাতের পেশি ও স্নায়ুগুলো পরীক্ষা করে বেশ খানিকটা আঁচ করতে পারবেন সমস্যা সম্পর্কে। ঝুঁকিগুলোও নির্ণয় করা দরকার। প্রয়োজনে হাতের এক্স-রে, নার্ভ কনডাকশন স্টাডি বা ইলেকট্রোমায়েলোগ্রামও করা লাগতে পারে। চিকিৎসা হিসেবে ব্যথানাশক, ¯স্নায়ুরোগের ওষুধ বা স্টেরয়েড ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়। সমস্যা দূর না হলে শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।
prothom-alo.com

Pages: 1 ... 11 12 [13] 14 15