Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Reza.

Pages: 1 ... 20 21 [22] 23 24 ... 26
316
Permanent Campus of DIU / Topic teaches us a lot.
« on: May 15, 2017, 12:42:43 AM »
আমার ছেলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পড়তে বসে। আজকে দেখলাম পড়তেছে - "বাবার নিকট টাকা চাহিয়া পত্র লিখ।"
চিঠির শেষে তাদের একটি খাম আঁকতে হয়। যার উপরের কোনায় একটি ডাক টিকেট।
স্বাভাবিক ভাবেই খাম বা ডাকটিকেট কি সে তা জানে না। কিন্তু খুব যত্ন নিয়ে তা আকে।
আমরাও আমাদের ছাত্র জীবনে এইরকম বহু চিঠি পড়েছি ও লিখেছি।
যাই হোক তার এই চিঠি পড়া দেখে অনেক স্মৃতি মনে ঝপিয়ে পড়লো। মনে পড়লো পাবনা ক্যাডেট কলেজের সেই দিন গুলি। যখন মোবাইল বা কম্পিউটার ছিলো না। এমনকি আমাদের পুরা কলেজে একটি মাত্র ল্যান্ড ফোন ছিল।
ক্লাস এইটে আমাদের নতুন প্রিন্সিপাল স্যার নিয়ম করলেন প্রতি সপ্তাহে সবাইকে বাসায় চিঠি লিখতে হবে। প্রতি সপ্তাহের শুরুর দিন অর্থাৎ শনিবারে ফর্ম মাস্টার স্যার আমাদের চিঠি চেক করে পাঠিয়ে দিতেন।
আমাকে একবার তিনি দাড় করিয়েছিলেন সব থেকে ছোট চিঠি লেখার কারনে। আমার ব্যাখ্যা হল সাত দিন পর পর চিঠি লিখতে হলে এর থেকে আর বেশী কি লিখবো।
আমরাই শেষ জেনারেশন যারা জানি যে চিঠির মর্ম কি?
যোগাযোগের ক্ষেত্রে গত ১০ - ১৫ বছরে রেভুলুশন ঘটে গেছে। এখন আর কেউ চিঠি বা পত্র লিখে উত্তরের অপেক্ষায় বসে থাকে না।
আমার ছেলেকে চিঠি লিখতে হচ্ছে - যাতে তাদের বাংলায় দক্ষতা আসে।
আমার মনে হয় চিঠির বিষয়টি যদি এমন হত তাহলে ভালো হত। তা হল " পাঠানো টাকা তোমার প্রয়োজন নাই তাই তা ফেরত নিয়ে যেতে বাবার নিকট পত্র লিখ।"
এই চিঠিটি লিখতে হলে তাকে মিতব্যয়ীতার বিভিন্ন দিক নিয়ে ভাবতে হত। যা অদূর ভবিষ্যতে তার জন্য কল্যাণই বয়ে আনতো।

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে)

317
Permanent Campus of DIU / Prevention is better than cure.
« on: May 15, 2017, 12:27:23 AM »
ছোটবেলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখায় দেখতাম লেখা থাকতো - প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। এর অর্থ হল - অসুখ সারানোর থেকে অসুখ যাতে না হয় - সেই চেষ্টাই করা উচিৎ।
এই একই কথা প্রযোজ্য যে কোন ক্রাইমের ক্ষেত্রে।
যে কোন ক্রাইমের বিচার করার থেকে ক্রাইমটি না ঘটাই বেশী ভাল।
আমাদের চারিদিকে দেখলে আমরা কি দেখি?
টাকা উপার্জনের জন্য যে শিক্ষা দরকার - আমরা আমাদের কিশোর কিশোরিদের কি শুধু তাই দিচ্ছি না? শুধু এই ব্যপারেই আমাদের কোন মতানৈক্য নাই।
সত্যবাদিতা, কষ্ট সহিষ্ণুতা, দায়িত্বশীলতা, সময়ানুবরতিতা, সহনশীলতা, দানশীলতা এই সব মানবিক গুনাবলি শিক্ষা আমাদের কাছে ততটা জরুরী মনে হয় না। আমরা মনে করি যে - এই গুলো হলে ভাল না হলেও তেমন ক্ষতি নাই। আমাদের সমাজে টিকে থাকতে হলে টাকাই দরকার। অন্যান্য মানবিক গুনাবলি ততটা জরুরী নয়।
শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য যে এই সব গুলাবলী অর্জন করা তা আমরা অনেক আগেই ভুলে গেছি। এবং এই কারনেই আমাদের সমাজে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন ক্রাইম।
গাড়ী বাড়ী বা ক্ষমতা বা টাকা ওয়ালা মানেই আমাদের কাছে সফল মানুষ। আর যিনি হিসেব করে চলেন তাকে নিয়ে আমরা অনেক সময়ই পরিহাস করি। এর পিছনের কাহিনী আমাদের কাছে এখন গৌন ব্যাপার।
আমার মতে কেবল মাত্র সঠিক শিক্ষা ও ধর্মীও জ্ঞান ও আচার আচরণ শিক্ষার মাধ্যমে সাম্প্রতিক কালে পেপারে যে সব ক্রাইমের ঘটনা তোলপাড় করতেছে - তা থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারবো।
তবে যে কোন পরিক্ষায় যেমন অল্প কিছু হলেও ফেল করে - তেমন সমাজে কিছু ক্রাইম ঘটে। তাই সঠিক শিক্ষার সাথে সাথে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা রাখলেই সমাজ থেকে ক্রাইম নির্মূল সম্ভব।

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।)

318
Textile Engineering / Prevention is better than cure.
« on: May 15, 2017, 12:26:45 AM »
ছোটবেলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখায় দেখতাম লেখা থাকতো - প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। এর অর্থ হল - অসুখ সারানোর থেকে অসুখ যাতে না হয় - সেই চেষ্টাই করা উচিৎ।
এই একই কথা প্রযোজ্য যে কোন ক্রাইমের ক্ষেত্রে।
যে কোন ক্রাইমের বিচার করার থেকে ক্রাইমটি না ঘটাই বেশী ভাল।
আমাদের চারিদিকে দেখলে আমরা কি দেখি?
টাকা উপার্জনের জন্য যে শিক্ষা দরকার - আমরা আমাদের কিশোর কিশোরিদের কি শুধু তাই দিচ্ছি না? শুধু এই ব্যপারেই আমাদের কোন মতানৈক্য নাই।
সত্যবাদিতা, কষ্ট সহিষ্ণুতা, দায়িত্বশীলতা, সময়ানুবরতিতা, সহনশীলতা, দানশীলতা এই সব মানবিক গুনাবলি শিক্ষা আমাদের কাছে ততটা জরুরী মনে হয় না। আমরা মনে করি যে - এই গুলো হলে ভাল না হলেও তেমন ক্ষতি নাই। আমাদের সমাজে টিকে থাকতে হলে টাকাই দরকার। অন্যান্য মানবিক গুনাবলি ততটা জরুরী নয়।
শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য যে এই সব গুলাবলী অর্জন করা তা আমরা অনেক আগেই ভুলে গেছি। এবং এই কারনেই আমাদের সমাজে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন ক্রাইম।
গাড়ী বাড়ী বা ক্ষমতা বা টাকা ওয়ালা মানেই আমাদের কাছে সফল মানুষ। আর যিনি হিসেব করে চলেন তাকে নিয়ে আমরা অনেক সময়ই পরিহাস করি। এর পিছনের কাহিনী আমাদের কাছে এখন গৌন ব্যাপার।
আমার মতে কেবল মাত্র সঠিক শিক্ষা ও ধর্মীও জ্ঞান ও আচার আচরণ শিক্ষার মাধ্যমে সাম্প্রতিক কালে পেপারে যে সব ক্রাইমের ঘটনা তোলপাড় করতেছে - তা থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারবো।
তবে যে কোন পরিক্ষায় যেমন অল্প কিছু হলেও ফেল করে - তেমন সমাজে কিছু ক্রাইম ঘটে। তাই সঠিক শিক্ষার সাথে সাথে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা রাখলেই সমাজ থেকে ক্রাইম নির্মূল সম্ভব।

(আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।)

319
কথা বলার সময় আমরা যতবার কথা বলার বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করি - তার থেকে লেখার সময় ওই একই বিষয় নিয়ে আরো বেশী বার চিন্তা করি। 
যখন আমরা লিখি তার আগে একবার - কি লিখবো তা চিন্তা করে দেখি।
এর পর যখন লিখতে থাকি তখনো আমরা যা লিখতেছি তা চিন্তা করি।
এর পর লেখা শেষ হলে আরেকবার তা পড়ে দেখি। পড়ার সময় ওই একই জিনিস আবার চিন্তা করি।
তাই লিখে ফেললে অনেক জিনিসই পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়।

কোন বিষয় নিয়ে অমুলক ভয় লাগলে - তা লিখে ফেলুন। দেখবেন ভয়ের ব্যাপারটা কত হাস্যকর বা তা যে অমুলক তা বোঝা যাচ্ছে।
কাওকে পছন্দ করেন না? লিখে ফেলুন তাকে পছন্দ না করার কারণ গুলো। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই কারণ গুলোর কোন ভিত্তি পাবেন না।
কাওকে দেখলে বিরক্ত লাগে? লিখতে চেষ্টা করুন কারণ গুলো। বুঝবেন কত অকারনে আমরা অনেক মানুষকে এড়িয়ে চলি।

আমাদের লেখা আমাদেরকে কল্পনার জগত থেকে বাস্তবে নিয়ে আসে। লিখতে হলে বেশী মনোযোগ দিতে হয়। তাই আমাদের চিন্তা চেতনার ভুল গুলো খুব সহজেই আমরা বুঝতে পারি।   
Modify message

320
কথা বলার সময় আমরা যতবার কথা বলার বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করি - তার থেকে লেখার সময় ওই একই বিষয় নিয়ে আরো বেশী বার চিন্তা করি। 
যখন আমরা লিখি তার আগে একবার - কি লিখবো তা চিন্তা করে দেখি।
এর পর যখন লিখতে থাকি তখনো আমরা যা লিখতেছি তা চিন্তা করি।
এর পর লেখা শেষ হলে আরেকবার তা পড়ে দেখি। পড়ার সময় ওই একই জিনিস আবার চিন্তা করি।
তাই লিখে ফেললে অনেক জিনিসই পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়।

কোন বিষয় নিয়ে অমুলক ভয় লাগলে - তা লিখে ফেলুন। দেখবেন ভয়ের ব্যাপারটা কত হাস্যকর বা তা যে অমুলক তা বোঝা যাচ্ছে।
কাওকে পছন্দ করেন না? লিখে ফেলুন তাকে পছন্দ না করার কারণ গুলো। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই কারণ গুলোর কোন ভিত্তি পাবেন না।
কাওকে দেখলে বিরক্ত লাগে? লিখতে চেষ্টা করুন কারণ গুলো। বুঝবেন কত অকারনে আমরা অনেক মানুষকে এড়িয়ে চলি।

আমাদের লেখা আমাদেরকে কল্পনার জগত থেকে বাস্তবে নিয়ে আসে। লিখতে হলে বেশী মনোযোগ দিতে হয়। তাই আমাদের চিন্তা চেতনার ভুল গুলো খুব সহজেই আমরা বুঝতে পারি।   

321
Textile Engineering / I tried to write some poems.
« on: April 22, 2017, 04:06:40 PM »
১. (পরাজিত সপ্নচারি)

যে নদীর স্বপ্ন চোখে ভাসে - কেন যেন মনে হয় তার পাশ দিয়েই তো হেটে চলেছি। শুধু ছোঁয়া যাচ্ছে না।
যে সুর মনের মধ্যে বেজে চলে - অস্পস্ট ভাবে শুনি দূর থেকে আসা সেই সুরের মূর্ছনা। কিন্তু কখনোই স্পষ্ট হয় না।
মায়াবি রোদের আলোয় হেটে চলি। কখনো বা জ্যোৎস্নার আলোয় বসে পড়ি - শুনি হায়েনার ডাক। নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকি হিংস্র শ্বাপদ সংকুল বনানীতে।
দূর থেকে শুধুই সমুদ্রের শব্দ শোনা যায়। কত কাছে মনে হয়। জানি খুজে কোন লাভ নাই। কিংবা কখনো বা বৃষ্টির শব্দ ভেসে আসে। ভেজা মাটির গন্ধ পাওয়া যায়। তার পরও তৃষ্ণা থেকে যায়।
কখনো নিঃশব্দ জনসমুদ্রের মাঝে হেটে চলি। যে নীরাবতা খান খান হয়ে চূর্ণ হয়ে যাবে শুধু একটি দীর্ঘশ্বাসের শব্দে। কখনো ভারবাহী পশুর কষ্ট, কখনো খাঁচায় বন্দি পাখির আর্তনাদ, কখনো বা খরায় পুরে যাওয়া গাছের অঙ্গারের বেদনা অনুভব হয়। বুঝি যে আমি একা নই। ছায়া গুনলে সংখ্যায় হবে অজশ্র।
কষ্ট গুলোকে মনে হয় খালি চোখেই দেখা যায়। তাদের গোনাও যায়। তাই গুনে চলি অক্লান্ত। কখনো বা তারাই ঝকঝক করে উঠে। মনে হয় কিছু ভুল কষ্ট গোনা হয়েছে। ঝুলিটা ফেলে দেই ওই সৈকতে। আমিও ফিরে চলি ঘরে। শুন্য হাতে।

২.

কোন কোন দিন মনের উপর ছায়া পড়ে।
যেদিন সূর্য কর্কশ ভাবে জেগে উঠে। সব কিছুরই ছায়া পড়ে মাটিতে।
মনে হয় লুকানোর কোন পথ নাই। যতই লুকাই না কেন তার স্পস্ট ছায়া পড়ে জানান দিয়ে যায় তারা আছে আসেপাশেই।
কখনো বা খুশি খুশি ভাব কখনো বা কৌতুক কখনো বিরক্তি। কিন্তু স্পষ্টই দেখা যায় মনের উপরের ছায়াটি।
বসে একঘেয়ে সুরে শোনা যাবে ছায়াটির ক্রন্দন। কখনো বা মৃদু তালে নেচে চলে ছায়াটি। শুধু আমি আর মনের ছায়া। আর কেউ নাই চারিপাশে।
যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকে - দেখে যাই আপন ছায়াকে। ছায়ার মাঝে খুজে পাই সব ক্ষোভ অপমান আর জ্বালা।
ছায়া ছাড়া কে থাকে? সারাজীবন নীরবে সে দেখে চলে সব।
পানিতে ছায়া পড়ে শুকিয়ে নিয়ে যায় চোখের সব জল। দেওয়ালে ছায়া পড়ে জানান দিয়ে যায় গন্ডি এর মাঝেই। কখনোবা ছায়া অনুকরণ করে চলে নিষ্ঠুর ভাবে। হাস্যকর মনে হয় নিজেকে।
ছায়াকে যখন পিছনে ফেলি - সে চলে পিছু পিছু।
হেটে চলি তার পিছু - দূর থেকে দূরে সরে যায় সে। কি এক দুর্বোধ্য আশায় ধরতে চাই আপন ছায়াকে। এতো কাছে তবু মনে হয় কত দূরে।
অক্লান্ত আমি খুজে চলি আমার ছায়া। রাতের আধারে চাঁদের আলোয় আবারও স্পস্ট হয়। দেখতে পাই কিছু রাত জাগা মানুষ। যাদের পথ দেখায় তাদের ছায়া। কি এক দুর্বোধ্য আশায় অনুসরণ করে চলে কি এক মরিচিকার।
আলো মিলাবার সাথে সাথে চলে যাবে ছায়া। হয়ত স্বপ্নের দেশে।
কোথায় তা কেউ জানেনা।
কিন্তু নিশ্চিত আছে - আছে তাই মনের উপর ছায়া পড়ে। প্রতিদিন।

322
Textile Engineering / Some places remained the same since long time
« on: April 21, 2017, 09:30:30 PM »
৭ - ৮ বছর আগের কথা। জুট ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কিছু স্টাডি করতে চেয়েছিলাম। একটি জুট ইন্ডাস্ট্রিতে খুব সহজেই অনুমতি পাওয়া গেল। শুধু তাই নয় যেদিন সেখানে যেতাম দুপুরের লাঞ্চও রেডি থাকতো।
আমার শুক্র ও শনিবারে ইউনিভার্সিটি বন্ধ থাকতো। শনিবারে সকালে উত্তরা থেকে সোজা চলে যেতাম ডেমরা পার হয়ে। ফ্যাক্টরিতে ঢুকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন মেশিন ও ক্যালকুলেশন নিয়ে আলাপ করতাম অনেকের সাথে। ভাল লাগতো সেই সব পুরানো দিনের মানুষদেরকে। আমি রেগুলার ক্লাস নেই। অনেক ক্ষেত্রেই জুটের প্রায় সব কিছুই পড়ানোও এর অংশ। কিন্তু এই পুরানো দিনের মানুষেরা আমাকেও প্রায় স্টুডেন্টদের মত শেখাতে চাইতো। একজনের কথা মনে আছে যিনি আমাকে সাথে সাথে লিখে নিতে বলতেন। ভাল লাগত তাদের এই আন্তরিকতা।
প্রথম দিনই চোখ আটকে গেল ওই জুট ফ্যাক্টরির রেস্ট হাউসের প্রতি। বহু আগে তৈরি হয়েছিল সেটা। পুরানো আসবারপত্র ও বিশাল বিশাল রুম সেখানে।
যাই হোক নিজের জন্য কিছু ডাটা সংগ্রহ করার পর আর কাজে আগ্রহ থাকলো না। তার পরও যেতাম সেখানে। শীতলক্ষ্যা নদীর পাশ দিয়ে নৌকা ও বারজের যাওয়া আসা দেখতাম। আর জুট ফ্যাক্টরি ঘুড়ে ঘুড়ে পুরানো দিনের বিল্ডিং ও শেড গুলো দেখতাম। পুরা ফ্যাক্টরিতে রেল লাইন বসানো। ফ্যাক্টরির জিনিস পরিবহণ করা হত এগুলো দিয়ে। এখন সব পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে আছে। রিপেয়ার শপের বিশাল শেড।
শখ মিটিয়ে নস্টালজিয়া উপভোগ করতাম - যদিও আমার নিজের কোন স্মৃতি সেখানে নাই। সত্যি বলতে ওখানে যারা চাকুরী করত তাদের দেখে কিছুটা ঈর্ষাই হত। কি সুন্দর জায়গায় তারা থাকে। যেখানে রুমের ছাদ অনেক উপরে। আসবারপত্র গুলো কম করে হলেও ৪০ - ৪৫ বছরের পুরানো। জানালা ও দরজা গুলো বিশাল বিশাল। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। মানুষের কোলাহল নাই। খুব ইচ্ছা জাগত রাতে সেখানে থেকে যেতে। আমি আমার খোলা চোখেই যেন সেই পুরানো সময় দেখতে পেতাম।
মনে হত আমি টাইম মেশিনে করে চলে গেছি সেই সময়ে যখন আমার জন্মই হয় নাই।
কিন্তু বিকালে আবার ফিরে আসতে হত যান্ত্রিক জীবনে। যেখানে পরিবর্তন হয় প্রতি মুহূর্তে। সব কিছুই হিসেব করে কাটছাঁট করা। নাই বাড়তি কোন স্পেস। সময় যেখানে ছুটে চলে সময়েরও আগে।

323
৭ - ৮ বছর আগের কথা। জুট ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কিছু স্টাডি করতে চেয়েছিলাম। একটি জুট ইন্ডাস্ট্রিতে খুব সহজেই অনুমতি পাওয়া গেল। শুধু তাই নয় যেদিন সেখানে যেতাম দুপুরের লাঞ্চও রেডি থাকতো।
আমার শুক্র ও শনিবারে ইউনিভার্সিটি বন্ধ থাকতো। শনিবারে সকালে উত্তরা থেকে সোজা চলে যেতাম ডেমরা পার হয়ে। ফ্যাক্টরিতে ঢুকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন মেশিন ও ক্যালকুলেশন নিয়ে আলাপ করতাম অনেকের সাথে। ভাল লাগতো সেই সব পুরানো দিনের মানুষদেরকে। আমি রেগুলার ক্লাস নেই। অনেক ক্ষেত্রেই জুটের প্রায় সব কিছুই পড়ানোও এর অংশ। কিন্তু এই পুরানো দিনের মানুষেরা আমাকেও প্রায় স্টুডেন্টদের মত শেখাতে চাইতো। একজনের কথা মনে আছে যিনি আমাকে সাথে সাথে লিখে নিতে বলতেন। ভাল লাগত তাদের এই আন্তরিকতা।
প্রথম দিনই চোখ আটকে গেল ওই জুট ফ্যাক্টরির রেস্ট হাউসের প্রতি। বহু আগে তৈরি হয়েছিল সেটা। পুরানো আসবারপত্র ও বিশাল বিশাল রুম সেখানে।
যাই হোক নিজের জন্য কিছু ডাটা সংগ্রহ করার পর আর কাজে আগ্রহ থাকলো না। তার পরও যেতাম সেখানে। শীতলক্ষ্যা নদীর পাশ দিয়ে নৌকা ও বারজের যাওয়া আসা দেখতাম। আর জুট ফ্যাক্টরি ঘুড়ে ঘুড়ে পুরানো দিনের বিল্ডিং ও শেড গুলো দেখতাম। পুরা ফ্যাক্টরিতে রেল লাইন বসানো। ফ্যাক্টরির জিনিস পরিবহণ করা হত এগুলো দিয়ে। এখন সব পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে আছে। রিপেয়ার শপের বিশাল শেড।
শখ মিটিয়ে নস্টালজিয়া উপভোগ করতাম - যদিও আমার নিজের কোন স্মৃতি সেখানে নাই। সত্যি বলতে ওখানে যারা চাকুরী করত তাদের দেখে কিছুটা ঈর্ষাই হত। কি সুন্দর জায়গায় তারা থাকে। যেখানে রুমের ছাদ অনেক উপরে। আসবারপত্র গুলো কম করে হলেও ৪০ - ৪৫ বছরের পুরানো। জানালা ও দরজা গুলো বিশাল বিশাল। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। মানুষের কোলাহল নাই। খুব ইচ্ছা জাগত রাতে সেখানে থেকে যেতে। আমি আমার খোলা চোখেই যেন সেই পুরানো সময় দেখতে পেতাম।
মনে হত আমি টাইম মেশিনে করে চলে গেছি সেই সময়ে যখন আমার জন্মই হয় নাই।
কিন্তু বিকালে আবার ফিরে আসতে হত যান্ত্রিক জীবনে। যেখানে পরিবর্তন হয় প্রতি মুহূর্তে। সব কিছুই হিসেব করে কাটছাঁট করা। নাই বাড়তি কোন স্পেস। সময় যেখানে ছুটে চলে সময়েরও আগে।

324
Permanent Campus of DIU / I tried to write some poetry.
« on: April 17, 2017, 12:13:41 AM »
১. (পরাজিত সপ্নচারি)

যে নদীর স্বপ্ন চোখে ভাসে - কেন যেন মনে হয় তার পাশ দিয়েই তো হেটে চলেছি। শুধু ছোঁয়া যাচ্ছে না।
যে সুর মনের মধ্যে বেজে চলে - অস্পস্ট ভাবে শুনি দূর থেকে আসা সেই সুরের মূর্ছনা। কিন্তু কখনোই স্পষ্ট হয় না।
মায়াবি রোদের আলোয় হেটে চলি। কখনো বা জ্যোৎস্নার আলোয় বসে পড়ি - শুনি হায়েনার ডাক। নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকি হিংস্র শ্বাপদ সংকুল বনানীতে।
দূর থেকে শুধুই সমুদ্রের শব্দ শোনা যায়। কত কাছে মনে হয়। জানি খুজে কোন লাভ নাই। কিংবা কখনো বা বৃষ্টির শব্দ ভেসে আসে। ভেজা মাটির গন্ধ পাওয়া যায়। তার পরও তৃষ্ণা থেকে যায়।
কখনো নিঃশব্দ জনসমুদ্রের মাঝে হেটে চলি। যে নীরাবতা খান খান হয়ে চূর্ণ হয়ে যাবে শুধু একটি দীর্ঘশ্বাসের শব্দে। কখনো ভারবাহী পশুর কষ্ট, কখনো খাঁচায় বন্দি পাখির আর্তনাদ, কখনো বা খরায় পুরে যাওয়া গাছের অঙ্গারের বেদনা অনুভব হয়। বুঝি যে আমি একা নই। ছায়া গুনলে সংখ্যায় হবে অজশ্র।
কষ্ট গুলোকে মনে হয় খালি চোখেই দেখা যায়। তাদের গোনাও যায়। তাই গুনে চলি অক্লান্ত। কখনো বা তারাই ঝকঝক করে উঠে। মনে হয় কিছু ভুল কষ্ট গোনা হয়েছে। ঝুলিটা ফেলে দেই ওই সৈকতে। আমিও ফিরে চলি ঘরে। শুন্য হাতে।

২.

কোন কোন দিন মনের উপর ছায়া পড়ে।
যেদিন সূর্য কর্কশ ভাবে জেগে উঠে। সব কিছুরই ছায়া পড়ে মাটিতে।
মনে হয় লুকানোর কোন পথ নাই। যতই লুকাই না কেন তার স্পস্ট ছায়া পড়ে জানান দিয়ে যায় তারা আছে আসেপাশেই।
কখনো বা খুশি খুশি ভাব কখনো বা কৌতুক কখনো বিরক্তি। কিন্তু স্পষ্টই দেখা যায় মনের উপরের ছায়াটি।
বসে একঘেয়ে সুরে শোনা যাবে ছায়াটির ক্রন্দন। কখনো বা মৃদু তালে নেচে চলে ছায়াটি। শুধু আমি আর মনের ছায়া। আর কেউ নাই চারিপাশে।
যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকে - দেখে যাই আপন ছায়াকে। ছায়ার মাঝে খুজে পাই সব ক্ষোভ অপমান আর জ্বালা।
ছায়া ছাড়া কে থাকে? সারাজীবন নীরবে সে দেখে চলে সব।
পানিতে ছায়া পড়ে শুকিয়ে নিয়ে যায় চোখের সব জল। দেওয়ালে ছায়া পড়ে জানান দিয়ে যায় গন্ডি এর মাঝেই। কখনোবা ছায়া অনুকরণ করে চলে নিষ্ঠুর ভাবে। হাস্যকর মনে হয় নিজেকে।
ছায়াকে যখন পিছনে ফেলি - সে চলে পিছু পিছু।
হেটে চলি তার পিছু - দূর থেকে দূরে সরে যায় সে। কি এক দুর্বোধ্য আশায় ধরতে চাই আপন ছায়াকে। এতো কাছে তবু মনে হয় কত দূরে।
অক্লান্ত আমি খুজে চলি আমার ছায়া। রাতের আধারে চাঁদের আলোয় আবারও স্পস্ট হয়। দেখতে পাই কিছু রাত জাগা মানুষ। যাদের পথ দেখায় তাদের ছায়া। কি এক দুর্বোধ্য আশায় অনুসরণ করে চলে কি এক মরিচিকার।
আলো মিলাবার সাথে সাথে চলে যাবে ছায়া। হয়ত স্বপ্নের দেশে।
কোথায় তা কেউ জানেনা।
কিন্তু নিশ্চিত আছে - আছে তাই মনের উপর ছায়া পড়ে। প্রতিদিন।


(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে)

325
Textile Engineering / Actually we all are alone in this human crowd.
« on: April 15, 2017, 12:11:02 AM »
ছোটবেলায় আমার বড় দুই ভাই বোন স্কুলে যেত। আমি সকাল থেকে দোতালার বারান্দায় ঘুড়ে বেড়াতাম। তখন আমার জীবনে আমার জগত বলতে আমার ভাই বোন ও বাবা মা।
এর পর আমিও স্কুলে ভর্তি হলাম। তৈরি হল আমার নিজের বলয়। স্কুলে নিজের সহপাঠীরা ও বাসায় আমার পরিবার।
আমার স্কুল পরিবর্তন হল। পুরানো বন্ধুদের বিদায় দিয়ে নতুন বন্ধুদের সার্কেল তৈরি হল। এর পর কলেজ ইউনিভার্সিটি পার হলাম। নতুন নতুন সার্কেলে আসলাম। পুরানো সার্কেল গুলো তখন শুধুই স্মৃতি।
মাঝে আমার ভাই বোনদের নিজেদের পরিবার হল। আমার সার্কেল থেকে ভিন্ন হয়ে গেল তাদের সার্কেল। আমারও নিজের নতুন সার্কেল নিজের জগত তৈরি হল।
এইভাবেই আমরা স্কুলের বন্ধুদের বিদায় দিয়ে কলেজের বন্ধুদের সার্কেলে যাই। তারপর কলেজের বন্ধুদের বিদায় দিয়ে ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের সার্কেলে যাই। পরিবারেও সবাই যার যার আলাদা সার্কেলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এইভাবে ক্রমাগত আমরা এক সার্কেল থেকে আরেক সার্কেলের মানুষের সাথে ভ্রমণ করি।
সব গুলোই আমাদের সার্কেল। আবার কোনটাতেই আমরা স্থায়ী নই। আমরা কেবল এক সার্কেল থেকে আরেক সার্কেলে ভ্রমণ করে চলি। একাই।
এই বিশাল জনসমুদ্রে আসলেই আমরা বড় একা।

326
ছোটবেলায় আমার বড় দুই ভাই বোন স্কুলে যেত। আমি সকাল থেকে দোতালার বারান্দায় ঘুড়ে বেড়াতাম। তখন আমার জীবনে আমার জগত বলতে আমার ভাই বোন ও বাবা মা।
এর পর আমিও স্কুলে ভর্তি হলাম। তৈরি হল আমার নিজের বলয়। স্কুলে নিজের সহপাঠীরা ও বাসায় আমার পরিবার।
আমার স্কুল পরিবর্তন হল। পুরানো বন্ধুদের বিদায় দিয়ে নতুন বন্ধুদের সার্কেল তৈরি হল। এর পর কলেজ ইউনিভার্সিটি পার হলাম। নতুন নতুন সার্কেলে আসলাম। পুরানো সার্কেল গুলো তখন শুধুই স্মৃতি।
মাঝে আমার ভাই বোনদের নিজেদের পরিবার হল। আমার সার্কেল থেকে ভিন্ন হয়ে গেল তাদের সার্কেল। আমারও নিজের নতুন সার্কেল নিজের জগত তৈরি হল।
এইভাবেই আমরা স্কুলের বন্ধুদের বিদায় দিয়ে কলেজের বন্ধুদের সার্কেলে যাই। তারপর তাদের বিদায় দিয়ে ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের সার্কেলে যাই। পরিবারেও সবাই যার যার আলাদা সার্কেলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এইভাবে ক্রমাগত আমরা এক সার্কেল থেকে আরেক সার্কেলের মানুষের সাথে ভ্রমণ করি।
সব গুলোই আমাদের সার্কেল। আবার কোনটাতেই আমরা স্থায়ী নই। আমরা কেবল এক সার্কেল থেকে আরেক সার্কেলে ভ্রমণ করে চলি। একাই।
এই বিশাল জনসমুদ্রে আসলেই আমরা বড় একা। 

327
Textile Engineering / We react according to our originality.
« on: April 12, 2017, 11:54:46 PM »
কোন ঘটনা ঘটলে একেক মানুষ একেক রকম ভাবে রিয়াক্ট করে। ধরেন রাস্তায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলো। কেউ কেউ আছেন যারা সাথে সাথে সাহায্য করতে এগিয়ে যাবেন। আবার কেউ হয়ত এটাকে উটকো ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যাবেন। আর কেউ বা দুর্ঘটনাটির জন্য কে দায়ী - এই তাত্ত্বিক আলোচনায় জড়িয়ে যাবেন।
আবার একটি সুন্দর ফুল দেখলে কেউ হয়ত ফুলটি ছিঁড়ে নিতে চান। আবার কেউ হয়ত কিভাবে গাছটি জোগার করবেন সেটা নিয়ে ভাবেন।
অর্থাৎ একই ঘটনায় বা পরিবেশে একেক জন একেক ভাবে রিয়াক্ট করেন।
এর পিছনের কারণ হল যার যার নিজস্বতা।
গরম পানিতে আলু সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে যায়।
আবার একই গরম পানিতে ডিম সিদ্ধ হয়ে শক্ত হয়ে যায়।
কিন্তু চা পাতা গরম পানিকে সুবাসিত করে তোলে।

আলু ডিম ও চা পাতা একই পরিবেশে একেক রকম রিয়াক্ট করে তাদের নিজস্বতা অনুযায়ী।

328
Permanent Campus of DIU / We react according to our originality.
« on: April 12, 2017, 11:54:03 PM »
কোন ঘটনা ঘটলে একেক মানুষ একেক রকম ভাবে রিয়াক্ট করে। ধরেন রাস্তায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলো। কেউ কেউ আছেন যারা সাথে সাথে সাহায্য করতে এগিয়ে যাবেন। আবার কেউ হয়ত এটাকে উটকো ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যাবেন। আর কেউ বা দুর্ঘটনাটির জন্য কে দায়ী - এই তাত্ত্বিক আলোচনায় জড়িয়ে যাবেন।
আবার একটি সুন্দর ফুল দেখলে কেউ হয়ত ফুলটি ছিঁড়ে নিতে চান। আবার কেউ হয়ত কিভাবে গাছটি জোগার করবেন সেটা নিয়ে ভাবেন।
অর্থাৎ একই ঘটনায় বা পরিবেশে একেক জন একেক ভাবে রিয়াক্ট করেন।
এক পিছনের কারণ হল যার যার নিজস্বতা।
গরম পানিতে আলু সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে যায়।
আবার একই গরম পানিতে ডিম সিদ্ধ হয়ে শক্ত হয়ে যায়।
কিন্তু চা পাতা গরম পানিকে সুবাসিত করে তোলে।

আলু ডিম ও চা পাতা একই পরিবেশে একেক রকম রিয়াক্ট করে তাদের নিজস্বতা অনুযায়ী।

 

329
Permanent Campus of DIU / In our life waiting never ends.
« on: April 09, 2017, 11:17:47 PM »
কখন ছুটি হবে? কখন বাজবে সেই ঘন্টা? ছোটবেলার পাঠশালার ওই শাসন ভেঙ্গে আনচান করতো যে মনটা।
সেই ছোটবেলায় শুরু হয় আমাদের অপেক্ষা করা। আস্তে আস্তে বড় হই আমরা। জীবনের একটি পর্বের সার্থক শেষের সাথে সাথে শুরু হয় আরেকটা পর্বের। যদিও অপেক্ষার ধরন পাল্টায় কিন্তু সেই অপেক্ষাই তো। কখনো অর্থনৈতিক সামর্থ্য অর্জনের কখনো বা পাঠ্যক্রমের শেষের অপেক্ষা। কখনো মাস শেষে স্যালারির অপেক্ষা, কখনো দীর্ঘ ছুটির অপেক্ষা। কখনো রাত শেষে ভোরের অপেক্ষা বা কখনো দিন শেষে অবসর সময়ের অপেক্ষা।
আমাদের জীবনে অপেক্ষার কোন শেষ নাই।

330
Textile Engineering / In our life waiting never ends.
« on: April 09, 2017, 11:14:38 PM »
কখন ছুটি হবে? কখন বাজবে সেই ঘন্টা? ছোটবেলার পাঠশালার ওই শাসন ভেঙ্গে আনচান করতো যে মনটা।
সেই ছোটবেলায় শুরু হয় আমাদের অপেক্ষা করা। আস্তে আস্তে বড় হই আমরা। জীবনের একটি পর্বের সার্থক শেষের সাথে সাথে শুরু হয় আরেকটা পর্বের। যদিও অপেক্ষার ধরন পাল্টায় কিন্তু সেই অপেক্ষাই তো। কখনো অর্থনৈতিক সামর্থ্য অর্জনের কখনো বা পাঠ্যক্রমের শেষের অপেক্ষা। কখনো মাস শেষে স্যালারির অপেক্ষা, কখনো দীর্ঘ ছুটির অপেক্ষা। কখনো রাত শেষে ভোরের অপেক্ষা বা কখনো দিন শেষে অবসর সময়ের অপেক্ষা।
আমাদের জীবনে অপেক্ষার কোন শেষ নাই।

Pages: 1 ... 20 21 [22] 23 24 ... 26