Cellular টেলিফোন সিস্টেম: Space division multiplexing (SDM)-এর মাধ্যমে মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে cellular system ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ট্রান্সমিটারকেই বেস স্টেশন বলে। এবং তা নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ। Cell হিসাবে SMD এর একটি ফিকুয়েন্সিকে ব্যবহার করা হয়, যা কোন ইমারতে দশ মিটার, শহরে ১০০ মিটার, দেশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় বৃত্তাকারে সীমাবদ্ধ থাকে। ব্যবহার করা সেলগুলো সঠিক বৃত্ত বা Hexagon নয়। এগুলো পরিবেশ, আবহাওয়া অবস্হা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিস্টেমের লোডের উপর নির্ভরশীল। এ সকল সেলসমূহ একটি বেস স্টেশনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে।
Cellular system এ একটি ছোট এলাকাকে একটি transmitter দ্বারা কাভার করা হয়। পুরো এরিয়াকে কাভার করার জন্য নিম্ন প্রেরণ ক্ষমতা সম্পন্ন অনেকগুলো transmitter ব্যবহার করা হয়। এজন্য বেশি ঘনবসতিপূর্ণ শহর অঞ্চলে অধিক সংখ্যক transmitting station স্থাপন করা হয়। কারণ প্রতিটি transmitter নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক ব্যবহারকারী পরিচালনা করতে সক্ষম। এই সিস্টেমে একাধিক ট্রান্সমিটারে একই ফ্রিকোয়েন্সি একটি সাধারণ ভৌগলিক অবস্থানে পুণ: পুণ: ব্যবহার করা হয়। একটা transmitter দ্বারা সেবা প্রদানকারী এলাকাকে cell হিসেবে অবিহিত করা হয়। Cellular system এ cell গুলোর মধ্যে অবস্থিত mobile unit হতে call গ্রহণ, প্রেরণ এবং switch করার জন্য নিজস্ব যন্ত্রাংশ থাকে। প্রত্যেকটি cell নির্দিষ্ট কিছু channel নিয়ে কাজ করে। প্রত্যেকটি channel একইসাথে অনেকগুলো কথোপকথোনের জন্য ব্যবহৃত হয়। Cell এ অবস্থিত প্রতিটি transmitter কে base station বা cell station বলে, যা প্রত্যেকটি সেলুলার ফোনের সাথে radio link স্থাপন করে। Cell station এ Antenna কে এমন স্থানে স্থাপন করা হয় যেখানে তা সর্বাধিক দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে এবং ভাল কাভারেজ পাওয়া যায়।
আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে মোবাইল কোম্পানীগুলো একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বহু সংখ্যক নম্বর বিশিষ্ট বেস স্টেশনের পরিবর্তে একাধিক অল্প শক্তির বেস স্টেশন ব্যবহার করে কেন?
SMD এ মাধ্যমে ফ্রিকোয়েন্সিসমূহ পুনরায় ব্যবহার করা যায়। তাই একটা সম্প্রচার কেন্দ্র অন্যটির চেয়ে দূরে থাকে তাহলে তা একই ফ্রিকোয়েন্সিকে ব্যবহার করতে পারবে। যেহেতু অধিকাংশ মোবাইল ফোন পদ্ধতি ব্যবহারকারীর ফ্রিকোয়েন্সিকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, তাই এই ফ্রিকোয়েন্সি অন্য ব্যবহারকারীর জন্য নিষিদ্ধ। কিন্তু ফ্রিকোয়েন্সির মান এবং মাত্রা সীমাবদ্ধ থাকায় চলতি ব্যবহারকারীর সংখ্যাও অনেক কম। অনেক লোক ব্যবহার করতে চাইলে পাবে না ।ফলে প্রতি কিলোমিটারে ব্যবহারকারীর সংখ্যা সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। তাই কোন শহরে অল্প সংখ্যক সেল বিশিষ্ট একাধিক বেস স্টেশন স্হাপনই যুক্তিযুক্ত। এভাবে সেলুলার সিস্টেমকে বিকেন্দ্রীভুত করা হলে গ্রাহক প্রান্তে সিগন্যাল না পাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায় ।
সেলুলার ফোন যেভাবে কাজ করে?
আমরা যখন এক সেলুলার থেকে অন্য সেলুলারে ফোন করি তখন কলটি প্রথমে যাবে সেল টাওয়ারে। সেল সাইট টাওয়ার কলটিকে পাঠাবে MTSO মানে মোবাইল ফোন সুইচিং অফিসে। সেখান থেকে সংকেত পাঠানো হয় ডায়ালকৃত রিসিভারে নিকটবর্তী সেল টাওয়ারে। টি এন টি –ক্ষেত্রে MTSO সংকেত পাঠায় BTTB এর মাধ্যমে।