Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith

Re: আল্লাহর রাস্তার ফায়দা ও ফযীলত

<< < (4/7) > >>

Noman_1450:
হযরত যায়নাব বিনতে জাহ’শ রদিয়াল্লহু আ’নহা (زيْنب بنْت جحْش رضى الله عنْها) বলেন, আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রসুলুল্লহ! আমাদের মধ্যে নেককার লোক থাকা অবস্থায়ও কি আমরা ধ্বংস হইয়া যাইব? তিনি এরশাদ করিলেন, জ্বি হ্যাঁ যখন অসৎ কাজ ব্যাপক হইয়া যাইবে। (বুখারী)

Noman_1450:
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّـهِ ۗ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم ۚ مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ

তোমরা উত্তম উম্মত, যাহাদিগকে মানুষের কল্যাণের জন্য পাঠানো হইয়াছে, তোমরা নেককাজের আদেশ কর এবং মন্দ কাজ হইতে নিবৃত রাখ এবং আল্লহ তায়া’লার প্রতি ঈমান রাখ। (সূরা আল-ইমরনঃ ১১০)

Noman_1450:
وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۚ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ ۚ أُولَـٰئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّـهُ ۗ إِنَّ اللَّـهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

আর মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারীগণ হইতেছে পরস্পর একে অন্যের দ্বীনী সাহায্যকারী, তাহারা নেক কাজের আদেশ করে এবং তাহারা অসৎ কাজ হইতে বারণ করে এবং যাকাত আদায় করে এবং আল্লহ তায়া’লার এবং তাঁহার রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশ মানিয়া চলে, এই সমস্ত লোকেরাই যাহাদের উপর আল্লহ তায়া’লা অবশ্যই রহমত বর্ষণ করিবেন, নিঃসন্দেহে আল্লহ তায়া’লা অতিশয় ক্ষমতাবান ও হিকমাতওয়ালা।
(সূরা তওবাঃ ৭১)

Noman_1450:
إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّـهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ ﴿٣٠﴾ نَحْنُ أَوْلِيَاؤُكُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِي أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ ﴿٣١﴾ نُزُلًا مِّنْ غَفُورٍ رَّحِيمٍ ﴿٣٢﴾ وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّـهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ ﴿﴾٣٣

সেই ব্যক্তি অপেক্ষা কাহার কথা উত্তম হইতে পারে যে (লোকদিগকে) আল্লহ তায়া’লার দিকে আহবান করে এবং নিজেও নেক আ’মাল করে এবং (আনুগত্য প্রকাশার্থে) বলে যে আমি অনুগতদের মধ্যে আছি। আর সৎ কাজ ও অসৎ কাজ সমান হয় না, (বরং প্রত্যেকটির পরিণতি ভিন্ন) অতএব আপনি (এবং আপনার অনুসারীগণ) সদ্ব্যাবহার দ্বারা (অসদ্ব্যাবহারের) প্রত্যুত্তর দিন। (যেমন রাগের উত্তরে সহানশীলতা, কঠোরতা জবাবে নম্রতা) অনন্তর এই সদ্ব্যাবহারের পরিণতি এই হবে যে, আপনার সহিত যাহার শত্রুতা ছিল সে অকস্মাৎ এমন হইয়া যাইবে যেমন একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু হইয়া থকে। আর ইহা সহানশীল লোকদেরই নসীব হয় এবং ইহা মহাভাগ্যবান লোকদেরই ভাগ্যে জোটে। (এই আয়াত দ্বারা বুঝা গেল যে, যে ব্যক্তি আল্লহ তায়া’লার দিকে দাওয়াত দিবে তাহার জন্য সবর ধৈর্য্য ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া জরুরী) (সূরা হা-মীম সিজদাহঃ ৩০-৩৩)

Noman_1450:
হযরত আবু সাঈ’দ খুদরী রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبى سعيْدٍ الْخدْرىّ رضى الله عنْه)  হইতে বর্ণিত আছে যে, আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, তোমাদের মধ্যে যে কেহ কোন খারাপ কাজ হইতে দেখে তাহার উচিত উহাকে নিজের হাত দ্বারা পরিবর্তন করিয়া দেয়। যদি (হাত দ্বারা পরিবর্তন করার) শক্তি না থাকে তবে যবান দ্বারা উহাকে পরিবর্তন করিয়া দিবে। আর যদি এই শক্তিও না থাকে তবে অন্তর দ্বারা উহাকে খারাপ জানিবে, অর্থাৎ সেই খারাপ কাজের কারণে অন্তরে দুঃখ হয়। আর ইহা ঈমানের সর্বাপেক্ষা দুর্বল অবস্থা। (মুসলিম)

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version