Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith

Re: আল্লাহর রাস্তার ফায়দা ও ফযীলত

<< < (2/7) > >>

Noman_1450:

Noman_1450:
হযরত সাহল ইবনে সা’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু (سهْل بْنن سعْد رضى الله عنْه) বলেন, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, এই কল্যাণ অর্থাৎ দ্বীন ভান্ডার। অর্থাৎ দ্বীনের উপর আ’মাল করা আল্লহ তায়া’লার অফুরন্ত নিয়ামাতের ভান্ডার হইতে উপকৃত হওয়ার উপায় এই সমস্ত ভান্ডারের জন্য চাবি রহিয়াছে। সুসংবাদ সেই বান্দার জন্য যাহাকে আল্লহ তায়া’লা কল্যাণের চাবি (ও) অকল্যাণের তালা বানাইয়া দেন। অর্থাৎ–যাহাকে হিদায়াতের উসিলা বানাইয়া দেন। আর ধ্বংস সেই বান্দার জন্য যাহাকে আল্লহ তায়া’লা অকল্যাণের চাবি (ও) কল্যাণের তালা বানাইয়া দেন। অর্থাৎ–যে গোমরাহীর উসিলা হয়। (ইবনে মাজাহ)

Noman_1450:
হযরত জারীর রদিয়াল্লহু আ’নহু (جريْر رضى الله عنْه) বলেন, একবার আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে অভিযোগ করিলাম যে, আমি ভালভাবে ঘোড়ায় সওয়ার হইতে পারি না। তিনি আমার বুকের উপর হাত মারিয়া দোয়া করিলেন, হে আল্লহ, ইহাকে ভাল ঘোড়সওয়ার বানাইয়া দিন এবং নিজে সরল পথে চলিয়া অন্যদেরও সরল পথ প্রদর্শনকারী বানাইয়া দিন। (বুখারী)

Noman_1450:
হযরত আবু সাঈ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ سعيْد رضى الله عنْه) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তোমাদের মধ্যে কেহ নিজেকে হেয় মনে না করে। সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম আরজ করিলেন, নিজেকে হেয় মনে করার কি অর্থ?  এরশাদ করিলেন, এমন কোন বিষয় দেখে যাহার ব্যাপারে আল্লহ তায়া’লার পক্ষ হইতে তাহার উপর সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু সে উক্ত বিষয়ে কিছুই বলে না। আল্লহ তায়া’লা কিয়ামাতের দিন তাহাকে বলিলেন, কি জিনিস তোমাকে ওমুক ওমুক বিষয়ে কথা বলিতে বাধা দিয়াছিল? সে আরজ করিবে মানুষের ভয়ে বলি নাই যে, তাহারা আমাকে কষ্ট দিবে। আল্লহ তায়া’লা এরশাদ করিবেন, আমি ইহার বেশী উপযুক্ত ছিলাম যে, তুমি আমাকে ভয় করিতে। (ইবনে মাজাহ)

ফায়দাঃ আল্লহ তায়া’লার পক্ষ হইতে অসৎ কাজে নিষেধ করার যে দায়িত্ব দেওয়া হইয়াছে মানুষের ভয়ে সে দায়িত্ব পালন না করা হইল নিজেকে হেয় মনে করা।

Noman_1450:
হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে মাসঊ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু (عبْد الله بنْ مسْعوْد رضى الله عنْه) হইতে বর্ণিত আছে  যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে সর্ব প্রথম অধঃপতন এইভাবে আরম্ভ হইল যে, একজন যখন অপরজনের সহিত সাক্ষাত করিত এবং তাহাকে বলিত, হে অমুক, আল্লহ তায়া’লাকে ভয় কর, তুমি যে কাজ করিতেছ তাহা ছাড়িয়া দাও, কেননা উহা তোমার জন্য জায়েজ নাই। অতঃপর দ্বিতীয় দিন যখন তাহার সহিত সাক্ষাত হইত তখন তাহার না মানা সত্ত্বেও সেই ব্যক্তির সহিত নিজের সম্পর্কের দরুন তাহার সহিত খানাপিনা উঠাবসা পূর্বের মতই করিত। যখন ব্যাপকভাবে এইরূপ হইতে লাগিল এবং আ’মর বিল মা’রুফ ও নাহী আনিল মুনকার করা ছাড়িয়া দিল তখন আল্লহ তায়া’লা ফরমাবরদারদের দিল নাফরমানদের ন্যায় কঠিন করিয়া দিলেন। অতঃপর রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নিচের আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করিলেন,

لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَىٰ لِسَانِ دَاوُودَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَوا وَّكَانُوا يَعْتَدُونَ ﴿٧٨﴾كَانُوا لَا يَتَنَاهَوْنَ عَن مُّنكَرٍ فَعَلُوهُ ۚ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ﴿٧٩﴾ تَرَىٰ كَثِيرًا مِّنْهُمْ يَتَوَلَّوْنَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ لَبِئْسَ مَا قَدَّمَتْ لَهُمْ أَنفُسُهُمْ أَن سَخِطَ اللَّـهُ عَلَيْهِمْ وَفِي الْعَذَابِ هُمْ خَالِدُونَ﴿٨٠﴾ وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّـهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَـٰكِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ ﴿﴾٨١

(প্রথম দুই আয়াতের তরজমা এই) বনী ইসারাঈলের উপর হযরত দাউদ ও হযরত ঈ’সা আলাইহিমাস সালামের যবানে লা’নত করা হইয়াছে। ইহা এই কারণে যে, তাহারা নাফরমানী করিত এবং সীমা অতিক্রম করিত। যে অন্যায় কাজে তাহারা লিপ্ত ছিল উহা হইতে তাহারা একে অপরকে নিষেধ করিত না। প্রকৃতই তাহাদের এই কাজ মন্দ ছিল। (সূরা মায়েদাহঃ ৭৮-৮১)

অতঃপর রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত তাকীদের সহিত এই হুকুম করিয়াছেন যে, তোমরা সৎ কাজের আদেশ কর এবং অসৎ কাজে বাধা প্রদান কর, জালেমকে জুলুম হইতে বিরত রাখিতে থাক এবং তাহাকে হক কথার দিকে টানিয়া আনিতে থাক আর তাহাকে হকের উপর ধরিয়া রাখ। (আবু দাউদ)

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version