« on: July 23, 2015, 10:27:02 AM »
পবিত্র কোরআনের প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপির দুটি পাতার সন্ধান
যুক্তরাজ্যে পবিত্র কোরআন শরিফের ‘সবচেয়ে পুরোনো’ পাণ্ডুলিপির অংশবিশেষ পাওয়া গেছে। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে পাওয়া হাতে লেখা ওই পাণ্ডুলিপির রেডিওকার্বন প্রযুক্তিতে পরীক্ষার পর দাবি করা হয়েছে, এটা অন্তত ১ হাজার ৩৭০ বছর আগের। ছবি: এএফপিবার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে প্রায় ১০০ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের তিন হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের বইপত্র ও নথির সঙ্গে ওই পাণ্ডুলিপিও সংরক্ষিত ছিল। ছবি: এএফপিসম্প্রতি এ পাণ্ডুলিপিটি পিএইচডি গবেষক আলবা ফেদেলির নজরে আসে। তিনি সেটা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। পরে এটি ঠিক কত বছরের পুরোনো, তা জানতে রেডিওকার্বন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। ছবি: এএফপিবার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের তত্ত্বাবধায়ক পাণ্ডুলিপিটি দেখাচ্ছেন। ছবি: এএফপিপবিত্র কোরআন শরিফের ‘সবচেয়ে পুরোনো’ এই পাণ্ডুলিপি সম্প্রতি পিএইচডি গবেষক আলবা ফেদেলির নজরে আসে। ছবি: এএফপিহাতে লেখা এ পাণ্ডুলিপির রেডিওকার্বন প্রযুক্তিতে পরীক্ষার পর দাবি করা হয়েছে, এটা অন্তত ১ হাজার ৩৭০ বছর আগের।

যুক্তরাজ্যে পবিত্র কোরআন শরিফের ‘সবচেয়ে পুরোনো’ পাণ্ডুলিপির অংশবিশেষ পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে পাওয়া হাতে লেখা ওই পাণ্ডুলিপির রেডিওকার্বন প্রযুক্তিতে পরীক্ষার পর দাবি করা হয়েছে, এটা অন্তত ১ হাজার ৩৭০ বছর আগের। খবর বিবিসির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে প্রায় ১০০ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের তিন হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের বইপত্র ও নথির সঙ্গে ওই পাণ্ডুলিপিও সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি পাণ্ডুলিপিটি পিএইচডি গবেষক আলবা ফেদেলির নজরে আসে। তিনি সেটা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। পরে এটি ঠিক কত বছরের পুরোনো, তা জানতে রেডিওকার্বন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন।
ব্রিটিশ লাইব্রেরির এমন অনেক পাণ্ডুলিপির বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ইসা ওয়ালি বলেন, এটা ‘দারুণ এক আবিষ্কার’, যা সারা বিশ্বের মুসলমানদের ‘উদ্বেলিত’ করবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওকার্বন অ্যাক্সেলেরেটর ইউনিট ওই পাণ্ডুলিপি পরীক্ষা করার পর জানায়, পাণ্ডুলিপিটি ছাগলের বা ভেড়ার চামড়ার ওপর লেখা হয়েছে। এটা কোরআন শরিফের সবচেয়ে পুরোনো পাণ্ডুলিপি।
ইসলাম ধর্মমতে, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ধাপে ধাপে নাজিল হয় ৬১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (সা.) ইন্তেকাল করেন।
ব্রিটিশ ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড ক্যাডবেরির পৃষ্ঠপোষকতায় বর্তমান ইরাকের মসুলে জন্ম নেওয়া খ্রিষ্টান যাজক অ্যালফন্স মিনগানা গত শতাব্দীর বিশের দশকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে স্থানীয় নানা বিষয়ের প্রায় তিন হাজার পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেছিলেন। সেগুলো বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে রাখা ছিল। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সংগ্রহবিষয়ক পরিচালক সুসান ওরাল বলেন, ‘এটা যে এত বেশি পুরোনো, তা গবেষকেরাও ভাবতে পারেননি। আমরা সবচেয়ে পুরোনো কোরআনের পাণ্ডুলিপিগুলোর মধ্যে একটি পাণ্ডুলিপির অংশবিশেষ পেয়েছি, সারা বিশ্ব ভীষণ খুশি।’
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিশ্চিয়ানিটি অ্যান্ড ইসলামের অধ্যাপক ডেভিড টমাস বলেন, ‘ওই পাণ্ডুলিপি আমাদের ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রকৃত সময়ের কাছাকাছি বছরগুলোতে নিয়ে যায়।’ তিনি বলেন, খোঁজ পাওয়া পাণ্ডুলিপির অংশবিশেষ যিনি লিখেছেন, তিনি সম্ভবত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময় বেঁচে ছিলেন। হয়তো তিনি মহানবী (সা.)-কে চিনতেন। হয়তো মহানবী (সা.)-এর বাণী তিনি সরাসরি শুনেছেন।
অধ্যাপক টমাস বলেন, শুরুর দিকে পবিত্র কোরআন শরিফের আয়াতগুলো পশুর চামড়া, পাথর, খেঁজুরগাছের পাতা ইত্যাদিতে লেখা হতো। ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে পবিত্র কোরআন শরিফের চূড়ান্ত সংস্করণ সংকলিত হয়। তিনি বলেন, পাণ্ডুলিপির যে অংশটি পাওয়া গেছে, তা মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর দুই দশকের কম সময়কালের হতে পারে।
সন্ধান পাওয়া পাণ্ডুলিপিটি লেখা হয়েছে ‘হিজাজি লিপিতে’; যা আরবি লেখার প্রথম দিকের রূপ। এ বিষয়টিও পাণ্ডুলিপির অংশটি সবচেয়ে পুরোনো হওয়ার পক্ষে যুক্তি দেয়।
ব্রিটিশ লাইব্রেরির পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ইসা ওয়ালি বলেন, সুন্দর ও স্পষ্টভাবে হিজাজি লিপিতে লেখা ওই দুটি পৃষ্ঠা ইসলামের প্রথম তিন খলিফার সময়ের। ইসলামের প্রথম তিন খলিফা ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মুসলমানদের নেতা ছিলেন। তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমান (রা.)-এর সময় পবিত্র কোরআন শরিফের ‘চূড়ান্ত সংস্করণ’ বিতরণ করা হয়। ইসা ওয়ালি পাণ্ডুলিপির অংশবিশেষকে ওই যুগের বা তার আগের সময়ের ‘মূল্যবান আবিষ্কার’ বলে অভিহিত করেন।
এই আবিষ্কারে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়। বার্মিংহাম কেন্দ্রীয় মসজিদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আফজাল বলেন, ‘পাণ্ডুলিপির অংশবিশেষ দেখে আমি আনন্দে-আবেগে কেঁদে ফেলি। আমি নিশ্চিত, এটা একনজর দেখতে পুরো যুক্তরাজ্য থেকে মানুষ বার্মিংহামে আসবে।’
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ধান পাওয়া পাণ্ডুলিপির অংশবিশেষ সর্বসাধারণের জন্য প্রদর্শিত হবে। আগামী অক্টোবরে বার্মিংহামের বারবার ইনস্টিটিউটে প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে।
Source: http://www.prothom-alo.com/international/article/582793
জুলাই ২৩, ২০১৫
« Last Edit: July 23, 2015, 10:32:59 AM by habib »

Logged
Md. Habibur Rahman
Officer, Finance & Accounts
Daffodil International University (DIU)
Corporate Office, Daffodil Family
Phone: +88 02 9138234-5 (Ext: 140)
Cell: 01847-140060, 01812-588460