Re: আল্লাহর রাস্তার ফায়দা ও ফযীলত

Author Topic: Re: আল্লাহর রাস্তার ফায়দা ও ফযীলত  (Read 7365 times)

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile


وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَىٰ تَنفَعُ الْمُؤْمِنِينَ

আর বুঝাইতে থাকুন, কেননা বুঝানো ঈমানদারগণকে সুফল প্রদান করে। (সূরা যারিয়াতঃ ৫৫)
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
কুরআনের আয়াত
« Reply #31 on: July 24, 2012, 06:15:18 AM »
إِنَّا أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوْمِهِ أَنْ أَنذِرْ قَوْمَكَ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ﴿١﴾ قَالَ يَا قَوْمِ إِنِّي لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ ﴿٢﴾ أَنِ اعْبُدُوا اللَّـهَ وَاتَّقُوهُ وَأَطِيعُونِ ﴿٣﴾ يَغْفِرْ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرْكُمْ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى ۚ إِنَّ أَجَلَ اللَّـهِ إِذَا جَاءَ لَا يُؤَخَّرُ ۖ لَوْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ ﴿٤﴾ قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلًا وَنَهَارًا ﴿٥﴾ فَلَمْ يَزِدْهُمْ دُعَائِي إِلَّا فِرَارًا ﴿٦﴾ وَإِنِّي كُلَّمَا دَعَوْتُهُمْ لِتَغْفِرَ لَهُمْ جَعَلُوا أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِمْ وَاسْتَغْشَوْا ثِيَابَهُمْ وَأَصَرُّوا وَاسْتَكْبَرُوا اسْتِكْبَارًا ﴿٧﴾ ثُمَّ إِنِّي أَعْلَنتُ لَهُمْ وَأَسْرَرْتُ لَهُمْ إِسْرَارًا ﴿٩﴾ فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا ﴿١٠﴾يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُم مِّدْرَارًا ﴿١١﴾ وَيُمْدِدْكُم بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا ﴿١٢﴾ مَّا لَكُمْ لَا تَرْجُونَ لِلَّـهِ وَقَارًا ﴿١٣﴾ وَقَدْ خَلَقَكُمْ أَطْوَارًا ﴿١٤﴾ أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّـهُ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ﴿١٥﴾ وَجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسَ سِرَاجًا ﴿١٦﴾ وَاللَّـهُ أَنبَتَكُم مِّنَ الْأَرْضِ نَبَاتًا ﴿١٧﴾ ثُمَّ يُعِيدُكُمْ فِيهَا وَيُخْرِجُكُمْ إِخْرَاجًا ﴿١٨﴾ وَاللَّـهُ جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ بِسَاطًا ﴿١٩﴾ لِّتَسْلُكُوا مِنْهَا سُبُلًا فِجَاجًا ﴿﴾٢٠

নিশ্চয়ই আমি নূহ (আ’লাইহিস সালাম) কে তাঁহার কওমের প্রতি এই হুকুম দিয়া পাঠাইয়াছিলাম যে, স্বীয় কওমকে ভয় প্রদর্শন করুন, ইহার পূর্বে যে, তাহাদের প্রতি যন্ত্রণাময় আযাব আসিয়া পড়ে। অতএব তিনি আপন কওমকে বলিলেন, হে আমার কওম, আমি তোমাদেরকে স্পষ্টরূপে নসীহাত করিতেছি যে, তোমরা আল্লহ তায়া’লার ইবাদাত কর এবং তাহাকে ভয় করিতে থাক এবং আমার কথা মান, (এইরূপ করিলে) আল্লহ তায়া’লা তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করিয়া দিবেন এবং মৃত্যুর নির্ধারিত সময় পর্যন্ত আযাবকে পিছাইয়া দিবেন–অর্থাৎ দুনিয়াতেও আযাব হইতে রক্ষা করিবেন আর আখেরাতে আযাব না হওয়া তো সুস্পষ্ট। আল্লহ তায়া’লার নির্ধারিত সময় যখন আসিয়া পড়ে, তখন উহাকে আর পিছনে হঠানো যায় না–অর্থাৎ ঈমান ও তাকওয়ার বরকতে আযাব হইতে তো রক্ষা হইয়া যাইবে, কিন্তু মৃত্যু অবশ্যই আসিবে, যদি তোমরা ইহা বুঝিতে। (যখন দীর্ঘদিন পর্যন্ত কওমের উপর এই সকল কথার কোন আছর হইল না, তখন) নূহ (আ’লাইহিস সালাম) দোয়া করিলেন, আমার রব, আমি আমার কওমকে রাত্রি দিন দাওয়াত দিয়াছি। কিন্তু আমার দাওয়াতের দরুন তাহারা দ্বীন হইতে আরও দূরে সরিয়া যাইতেছে। আর আমি যখনই তাহাদের ঈমানের দাওয়াত দিতাম, যেন তাহাদের ঈমানের কারণে আপনি তাহাদিগকে ক্ষমা করিয়া দেন তখনই তাহারা নিজ নিজ কর্ণসমূহে স্বস্ব আঙ্গুল ঢুকাইয়া লইত এবং তাহাদের বস্ত্রসমূহ নিজেদের উপর জড়াইয়া লইত, (যেন তাহারা আমাকে দেখিতে না পায় এবং আমি তাহাদিগকে দেখিতে না পাই।) আর তাহারা (অন্যায়ের উপর) হটকারিতা করিল এবং সীমাহীন অহংকার করিল। তারপর (ও আমি তাহাদিগকে বিভিন্ন উপায়ে নসীহাত করিতে রহিয়াছি, সুতরাং) আমি তাহাদিগকে উচ্চস্বরে দাওয়াত দিয়াছি। অতঃপর আনি তাহাদিগকে প্রকাশ্যেও বুঝাইয়াছি এবং গোপনেও বুঝাইয়াছি–অর্থাৎ তাহাদের হিদায়াতের যে কোন উপায় হইতে পারে কোনটাই ছাড়ি নাই। প্রকাশ্য জনসমক্ষে আমি তাহাদিগকে দাওয়াত দিয়াছি আবার বিশেষভাবে তাহাদের ঘরে ঘরে যাইয়াও প্রকাশ্যে বিস্তারিত ভাবে বলিয়াছি। এবং গোপনে চুপি চুপি তাহাদিগকে লাভ ক্ষতি সম্পর্কে অবহিত করিয়াছি। আর (এই বুঝাইতে যাইয়া) আমি তাহাদিগকে বলিয়াছি যে, তোমরা আপন রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিঃসন্দেহে তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। এই ক্ষমা প্রার্থনার ফলে তিনি তোমাদের উপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করিবেন। এবং তোমাদের মাল আওলাদে বরকত দান করিবেন এবং তোমাদের জন্য বাগানসমূহ লাগাইয়া দিবেন এবং তোমাদের জন্য নহরসমূহ প্রবাহিত করিয়া দিবনে। তোমাদের কি হইল যে, আল্লহ তায়া’লার মহত্ত্বের খেয়াল রাখিতেছ না? অথচ তিনি তোমাদিগকে বিভিন্ন ধাপে সৃষ্টি করিয়াছেন। তোমাদের কি জানা নাই যে, আল্লহ তায়া’লা সাত আসমানকে কিরূপে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করিয়াছেন? আর সেই সমানে চন্দ্রকে জ্যোতিময় বানাইয়াছেন। আর আল্লহ তায়া’লা তোমাদিগকে (মৃত্যুর পর) যমীনেই ফিরাইয়া নিবেন এবং (কিয়ামাতে) এই যমীন হইতেই তোমাদিগকে বাহিরে আনয়ন করিবেন। আর আল্লহ তায়া’লাই যমীনকে তোমাদের জন্য বিছানা বানাইয়াছেন, যেন তোমরা উহার প্রশস্ত পথসমূহে চলাফেরা কর–অর্থাৎ যমীনে চলাফেরা করিতে পথের কোন বাধা নাই। (সূরা নূহ: ১-২০)
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd