Health Tips > Food Poisoning

যেভাবে পাবেন বিষমুক্ত আম

(1/1)

Badshah Mamun:
যেভাবে পাবেন বিষমুক্ত আম
ফসল উত্পাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে বিভিন্ন সময় ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার নতুন কোনো বিষয় নয়। বিভিন্ন ফসলে বিভিন্ন সময়ে কীটনাশকের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শাক-সবজি হতে শুরু করে ফল-মূলেও সেপ্রর পরিমাণ উদ্রেকজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতীতে ফল পাকানোর জন্য বিভিন্ন রাইপেনিং হরমোন ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম কার্বাইড এবং ইথোফোনসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর প্রয়োজন নেই। প্রত্যেক ফলের পরিপক্বতার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। সময়মত সংগ্রহ করা হলে তা এমননিতেই পেকে যাবে। আর তাই ফল পাকানোর জন্য কোনো হরমোন বা রাসায়নিক দ্রব্যের প্রয়োজন হয় না। তারপরও দেখা যায়, কিছু আম ব্যবসায়ী আমবাগানে আম পাকার আগে আম গাছে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, উদ্ভিদ জৈব উজ্জীবক সেপ্র করে থাকেন যা অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফল সংগ্রহের সময় উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে ফল সংগ্রহের পর দ্রুত পাকতে শুরু করে। মজার ব্যাপার হল যে সকল ব্যবসায়ী আম পাকানোর জন্য আমে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করেন তারা অবশ্য নিজেরা এই আম খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। উদাহরণে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ধরা যাক আমের কথা, কেন বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য আমে সেপ্র করা হয়? উত্তর হল- অধিক মুনাফার জন্য। এক্ষেত্রে দেখা যায় আমের পরিপক্বতার আগেই ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে অপরিপক্ক আম সংগ্রহ করে থাকেন। তারপর শুরু হয় আম পাকানোর প্রতিযোগিতা। অপরিপক্ব আমকে ভালভাবে পাকানোর জন্যে এবং আকর্ষণীয় করার জন্যই মূলত বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য সেপ্র করা হয়। এই কাজটি সাধারণত গাছ থেকে আম সংগ্রহ করার পর বাগানে বা স্থানীয় আড়তে করা হয়। তারপর প্যাকিং করে পরিবহন করা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা এই ধরনের কাজ নিয়মিত করে থাকেন। বাইরে থেকে বুঝার উপায় না থাকলেও আম কাটার পর এবং খেলে ক্রেতার কাছে আর কিছুই গোপন থাকে না।

রাসায়নিকযুক্ত ফল বিক্রি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরেও বাজারে অহরহ পাওয়া যায়। প্রত্যেক বছরের শুরুতেই দেখা যায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে বিষমিশ্রিত আম আইন রক্ষাকারী বাহিনী সংগ্রহ করে নষ্ট করে এবং এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের অর্থদণ্ডসহ কারাদণ্ড প্রদান করেন। এর পরই অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এই কাজটি বন্ধ করার জন্য দু’টি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে- এক. দেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আমের চাষ বেশি হয়। এখানে মে মাসের ২য় ও ৩য় সপ্তাহে এবং জুন মাসে বাগান ও স্থানীয় আড়তগুলোতে নজরদারী বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি বিধান করতে হবে।

দুই. ক্রেতাসাধারণকে সচেতন হতে হবে। পরামর্শ হল- আগাম আম না কেনাই ভাল, যদি কিনতেই হয় তাহলে প্রথমে একটি আম খাবেন তারপর ভাল লাগলে কিনবেন। কারণ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করে জোরপূর্বক পাকানো আমের স্বাদ ও গন্ধের পরিবর্তন হয়। মে মাসের প্রথম তিন সপ্তাহ বাজারে গোপালভোগ, বারি আম-১, বারি আম-২ (লক্ষণভোগ), ল্যাংড়া ও খিরসাপাত আসার কথা নয়। তাই এই সময় যদি কেউ এই জাতগুলো বিক্রি করে তাহলে সঠিক পরিপক্ব আম না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে উল্লেখিত সময়ে বাজারে গুটিজাতের বিভিন্ন আম পাওয়া যাবে।

কলা, লিচু, পেঁপে, আনারস এবং কাঁঠাল সব ফলের ক্ষেত্রে জোরপূর্বক পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা ফল ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন এবং বঞ্চিত হচ্ছেন আসল স্বাদ থেকে। পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন মারাত্মক জটিল রোগে।[/size]

Navigation

[0] Message Index

Go to full version