শহীদ তিতুমীর :তাঁর আন্দোলন ও ইতিহাস

Author Topic: শহীদ তিতুমীর :তাঁর আন্দোলন ও ইতিহাস  (Read 9891 times)

Offline Dr. Md. Harun-or Rashid

  • Newbie
  • *
  • Posts: 49
    • View Profile
১৯ নভেম্বর, ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দ। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের অন্যতম একটি স্মরণীয় দিন। এদিন ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, বাংলার বীর সাইয়েদ মীর নেসার আলী তিতুমীরের শাহাদত দিবস। সেদিন ইংরেজ সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় এজেন্ট অত্যাচারী জমিদারদের সম্মিলিত গুলিবর্ষণে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন তিতুমীরসহ ৫০ জন নিরপরাধ বীর যোদ্ধা। গ্রেফতার করা হয়েছিল আরও ৩৫০ জনকে। যাদেরকে পরে বিচারের নামে ফাসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন ‘শাস্তি’ দেয়া হয়েছিল দেশের গরীব কৃষকদের পক্ষে কথা বলার জন্য। শহীদ তিতুমীরসহ নিহত মুসলমানদের লাশগুলিকেও প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।
উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এ অঞ্চলের মানুষ মারাঠা আর বর্গীদের দ্বারা লুন্ঠিত এবং পশ্চিমবঙ্গের অত্যাচারী জমিদার ও নীল করদের হাতে নিস্পেষিত হয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে উপনীত ছিল। বাঙ্গালী মুসলমানদের উপর বেশ কয়েকজন হিন্দু জমিদার নানা ধরনের অত্যাচার করত, নিবর্তনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। তখন পরিস্থিতি এমন ছিল যে, মুসলমানদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে পূঁজার পাঁঠা জোগাতে হতো, কেউ দাঁড়ি রাখলে সেজন্য চাঁদা দিতে হতো, মসজিদ নির্মাণ করলে কর দিতে হতো, এমনকি কেউ গরু জবাই করলে তার ডান হাত কেটে দেয়ার ঘটনাও কম ছিলনা। এই পটভূমিতে দরিদ্র মুসলিম কৃষকদের পক্ষে প্রতিবাদের আন্দোলন গড়ে তোলেন মীর নেসার আলী তিতুমীর। তাঁর অন্যায়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন একসময় ইংরেজ বিরোধী স্বাধীকার আন্দোলনে রূপ নেয়।
তিতুমীরের জন্ম ১৭৮২ সালে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত মহকুমায়। তিনি ছিলেন সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। বাল্যকালে তিনি পড়ালেখা করেন সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কয়েকজন পন্ডিতের কাছে। আরবী, ফারসি ভাষা ও সাহিত্যে তিনি পান্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সে কোরআনের ‘হাফেজ’ হন। পড়ালেখা শেষ করে তিনি মক্কা গমন করেন। সেখানে তাঁর সাথে দেখা হয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট সংস্কারক সাইয়্যেদ আহমদ বেরলভির সাথে। তিনি ১৮২১ সালে সাইয়্যেদ বেরলভির সাথে মক্কা, মদীনা, ইরাক, ইরান, সিরিয়া, মিশর, আফগানিস্তান সফর করেন এবং সমকালীন বিশ্ব নের্তৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাত ও মতবিনিময়ের সুযোগ পান। এই ভ্রমণেই তিনি মুসলিম বিশ্বের সমকালীন সমস্যা, সম্ভাবনা ও করনীয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। এর পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।
ভারতীয় উপমহাদেশে তখন চলছিল ইংরেজ বিরোধী ‘জিহাদ আন্দোলন’। বাংলাদেশ থেকেও জিহাদ আন্দোলনে লোকজন শরীক হতেন। তিতুমীরের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এমন যে, বাংলার মুসলমানদের ইমান ও আকিদার দিক থেকে সবল করে এবং অর্থনৈতিক-সামাজিকভাবে শক্তিশালী করেই তবে তাদের মধ্যে জিহাদের আহবান জানানো যেতে পারে। তিনি হৃদয়গ্রাহী ভাষায় অনর্গল বক্তৃতা করতে পারতেন। বাংলার আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে তিনি জনগণকে সচেতন করতে থাকেন। তাঁর বক্তৃতা ও প্রচারকাজে অভাবিত জাগরণ দেখা দেয়। ধর্মীয় অনুশাসন সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এই দু’টি ছিল তাঁর মৌলিক কর্মসূচী। তাঁর আহবান ছিল বিরান হয়ে যাওয়া মসজিদ সংস্কার করে নামাজের ব্যবস্থা করা, পূঁজার চাঁদা দান কিংবা তাতে অংশ নেয়া থেকে মুসলমানদের বিরত রাখা, শিরক-বিদাত হতে দূরে থাকা, মুসলমানদের মুসলিম নাম রাখা, মুসলমানদের ধুতি ছেড়ে লুঙ্গি বা পাজামা পরা, পীরপূঁজা ও কবরপূঁজা না করা ইত্যাদি। তিতুমীরের ধর্মীয় দাওয়াতের মূলকথা ছিল, জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আল্লাহ ও রাসুলের (স.) নির্দেশ পরিপালন সম্পর্কিত। এটি ছিল মূলত ভারতবর্ষের মুসলমানদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন পূণর্গঠনের এক বৈপ্লবিক কর্মসূচী।
তিতুমীরের আহবান ছিল অত্যাচারী জমিদারী প্রথার বিরুদ্ধেও। তাঁর একটি শ্লোগান ছিল, ‘লাঙ্গল যার, জমি তার’। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘যার শ্রমের ফসল তাকেই ভোগ করতে দিতে হবে’। এই অভাবনীয় আহবানের ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলার কৃষকদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। তাঁর নের্তৃত্বে গড়ে ওঠে নির্যাতিত দরিদ্র কৃষকদের সমন্বয়ে একটি দল। কিন্তু তিতুমীরের আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রথম বিরোধীতায় নামেন জমিদারগণ। বিশেষ করে পূঁড়ার জমিদার কৃষ্ণদেব রায়, গোবরা গোবিন্দপুরের জমিদার শ্রী দেবনাথ রায়, ধান্যকুড়িয়ার জমিদার শ্রী রায়বল্লভ, তারাগুনিয়ার শ্রী রাম নারায়ন নাগ, নাগরপুরের জমিদার গৌর প্রসাদ চৌধুরী, সরফরাজপুরের জমিদার শ্রী কে পি মুখার্জী ও কলিকাতার গোমস্তা লালু বাবু প্রমূখ  তিতুমীর ও তার সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন। ইংরেজ নীলকররাও ছিলেন জমিদারদের পক্ষে। পূঁড়ার জমিদার তিতুমীরের সঙ্গীসাথীদের ওপর নির্যাতন শুরু করেন। তিতুমীর ঐ জমিদারকে পত্র মারফত জানান যে, ‘তিনি (তিতুমীর) কোন অন্যায় করছেন না, ইসলাম প্রচারের কাজ করছেন। এই কাজে বাঁধা দান করা ঠিক নয়। এটা পরধর্মে হস্তক্ষেপের সামিল হবে’। তিতুমীরের এই পত্র নিয়ে জমিদারের কাছে গিয়েছিল আমিনুল্লাহ নামক একজন দূত। জমিদার তিতুমীরের পত্রকে কোন তোয়াক্কা না করে তাঁর দূতকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। জমিদারের লোকেরা মুসলিম-প্রধান গ্রাম বশিরহাটের মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয় ও গ্রামটি লুট করে। সরফরাজপুরের মসজিদে তিতুমীর ও তার কয়েকজন অনুসারীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্ঠা করা হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত তিতুমীর বেঁচে যান। প্রত্যেকটি ঘটনার পর মুসলমানরা থানায় মামলা করেছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত ও রায় সবই ছিল একপেশে। তিতুমীর ন্যায়বিচার পাননি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকেও।
তিতুমীর থাকতেন সরফরাজপুর গ্রামে। গ্রামবাসীদের ওপর জমিদারের বারবার আক্রমন ও অত্যাচারের কারণে তিনি নিজেই সে গ্রাম ছেড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন নারিকেলবাড়ীয়া গ্রামে। ১৮৩১  সালের অক্টোবর মাসে তিনি দলবলসহ নারিকেলবাড়ীয়া গ্রামে যান। সেখানে চারিদিক থেকে অব্যাহত হামলার কারণে তিতুমীর তার আস্তানাটিকে নিরাপদ করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মাণ করেন তাঁর বিখ্যাত ‘বাঁশের কেল্লা’। নারিকেলবাড়ীয়ার পরিত্যাক্ত একটি মসজিদকে সংস্কার করে সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চালু করেন। তাঁর নের্তৃত্বে নদীয়া ও ২৪ পরগনা জেলার অনেক এলাকার মানুষ একতাবদ্ধ হয়। স্বভাবতই এটা জমিদারদের স্বার্থের পরিপন্থী ছিল। জমিদার কৃষ্ণদেব রায় ১৮৩১ সালের ২৯ অক্টোবর সহস্রাধিক সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে নারিকেলবাড়ীয়া আক্রমন করতে আসেন। তিতুমীর তাঁর অনুসারীদের জীবনরক্ষার্থে আত্মরক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকেন। এভাবেই ‘বাঁশের কেল্লা’ নামক দূর্গটির নাম ছড়িয়ে পড়ে। নারিকেলবাড়ীয়া আক্রমন করতে এসে গোবরা-গোবিন্দপুরের জমিদার স্বয়ং নিহত হন। শেষে জমিদারদের বাহিনী পিছু হটে যায়।
জমিদারদের বাহিনী পরাজিত হওয়ার পর ইংরেজ সরকারের ওপর তিতুমীরের বিরুদ্ধে অভিযানের পক্ষে চাপ বাড়তে থাকে। খ্রিস্টান পাদ্রী, জমিদার ও নীলকররা অব্যাবহভাবে অভিযোগ উত্থাপন করতে থাকে। শেষে ইংরেজ সরকার তিতুমীরের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর মেজর স্কটের নের্তৃত্বে ইংরেজ বাহিনী নারিকেলবাড়ীয়া অবরোধ করে। যুদ্ধ শুরুর আগে ইংরেজ বাহিনী ও তিতুমীরের মধ্যে একটি সংলাপের আয়োজন করা হয়েছিল। সংলাপে অংশ নেয়া তিতুমীরের প্রতিনিধি সম্ববত ইংরেজী জানতেননা। ফলে সংলাপে তিতুমীরের বক্তব্যকে ইংরেজ মেজরের কাছে উপস্থাপন করছিলেন ‘রাজচন্দ্র নামক জনৈক দোভাষী। দুঃখজনভাবে দোভাষী তিতুমীরের পক্ষে বক্তব্যকে এমন বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছিল যে এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মেজর স্কট গুলির নির্দেশ দেন। মূলত ইংরেজ বাহিনীর সুসজ্জিত আধুনিক অস্ত্রের সামনে তিতুমীরের লাঠি আর তীর সরকি ছাড়া কোন অস্ত্রই ছিলনা।
তবে গুলির মুখে এই দেশপ্রেমিক সাহসী মানুষগুলি পিছে হটেনি। ইংরেজ বাহিনীর গুলির মুখে তিতুমীর ও তার সঙ্গীরা সবাই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান। নির্বিচাওে গুলি চালাতে থাকে ইংরেজ সৈন্যরা। গুলিতে তিতুমীর, তাঁর পুত্র গরহর আলীসহ ৫০ জন নিহত হয়। ২৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রাম তল্লাসি করে আরও ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এলাকার বাড়ীঘরগুলিতে আগুন দেয়া হয়। তিতুমীরসহ মৃতদেহগুলিকে প্রকাশ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়, যাতে তাঁদের ‘শহীদ’ হিসেবে কেউ সম্মান দেখাতে না পারে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১৯৭ জনের বিচার হয়। তন্মধ্যে তিতুমীরের প্রধান সহকারী গোলাম মাসুমের প্রাণদন্ড, ১১ জনের যাবজ্জীবন, ১২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। বিচারকালে ৪ জনের মৃত্যু হয়।
এই অসম যুদ্ধ সম্পর্কে ইংরেজ সেনাপতি নিজেই বলেছেন,‘ যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি সত্য, কিন্তু জীবন দিয়েছে ধর্মপ্রাণ ও দেশপ্রেমিক এক মহাপুরুষ’। তিতুমীর সম্পর্কে ইংরেজ
অনেকেই মনে করেন তিতুমীর সাধারণ একজন ‘লাঠিয়াল’ ছিলেন। আসলে তা নয়, তিতুমীর বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলার নিরীহ মুসলমানদের এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে বারবার আক্রমন করে শেষে জীবন রক্ষার জন্য হাতে লাঠি নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। দরিদ্র মুসলিম ও সাধারণ কৃষকদের পক্ষে কথা বলে তিতুমীর টিকে থাকতে পারেননি সত্য। তাই বলে তাঁর আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি। বাংলার সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ অব্যাহত ছিল। ঘটনার ২৫ বছর পর ১৮৫৭ সালে সিপাহী জনতার বিদ্রোহকেও ইংরেজ সরকার নির্মমভাবে দমন করেছিল। সেই ইংরেজরা শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অত্যাচারী জমিদাররাও আর নেই। আছে শুধু তিতুমীর ও তার বীরত্বগাঁথা সংগ্রামের ইতিহাস। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের মানূষ শ্রদ্ধার সাথে তিতুমীরের কথা স্মরণ করে।

Titu Mir
Sayyid Mir Nisar Ali, Titu Mir (1782-1831) is a peasant leader of Bengal who resisted the oppression of the local Zamindars and European indigo planters. His movement initially aimed at socio-religious reforms, elimination of the practice of Shirks (pantheism) and Bidat (innovation) in the Muslim society and at inspiring the Muslims to follow Islamic principles in their daily life.

He was born on 1782 AD at village Chandpur under Bashirhat sub-division of the district of 24 Parganas in West Bengal. His father was Sayyid Mir Hasan Ali and his mother's name was Abida Rokaiya Khatoon. Titu's family claimed descent from Hazrat Ali (R). from Arabia to preach Islam.

Titu Mir had his early education in the village maktab and then entered into a local Madrasah. He was a Hafiz, excelled in three languages- Bangla, Arabic and Persian and developed keen interest in Arabic and Persian literature. He was well versed in Islamic theology, jurisprudence, philosophy, Tasawwaf (Islamic mysticism) and Mantiq.

Titu Mir went to Makka in 1822 AD and came in close contact with the great Islamic reformer and revolutionary leader Sayyid Ahmad of Bareilly. On his return from Makka in 1827 Titu Mir started preaching among the Muslims in the districts of 24 Parganas and Nadia. He advised them to refrain from practicing Shirk and Bidaat and inspired them to follow the Islamic way of life. But soon he was in conflict with the Hindu Zamindar Krishnadeva Rai of Purha for his sectarian attitude towards the Muslims and imposing illegal taxes on them. Titu Mir happened to be in conflict with other landlords like Kaliprasanna Mukhopadhyay of Gobardanga, Rajnarayan of Taragonia, Gauri Prasad Chowdhury of Nagpur and Devanath Rai of Gobra-govindpur for their oppression on the peasantry.

To face the situation and to give protection to the peasants Titu Mir formed a Mujahid force and trained them in Lathi and other indigenous arms. His follower and nephew Ghulam Masum was made commander of the force. The increasing strength of Titu Mir alarmed the Zamindars to take united stand and to involve the English in their fight against him. Being instigated by the zamindar of Gobardanga, Davis, the English kuthial (factor) of Mollahati, advanced with his force against Titu Mir, but was beaten back. The zamindar of Gobra-govindpur was killed in a conflict with Titu Mir. Alexander, the collector of Barasat, advanced against Titu with the daroga of Bashirhat and sustained a severe defeat in the hands of Titu Mir. By this time Titu Mir filed a complain to the government of east India company against the oppression of the zamindars, but to no result.
Titu Mir built a strong fort with bamboo poles at Narkelbaria in October 1831, recruited Mujahids and gave them military training. The number of Mujahids rose to nearly five thousand. He soon established his control over the districts of 24 Parganas, Nadia and Faridpur. An English contingent was sent from Calcutta. But the combined forces sustained severe defeat in the hands of the Mujahids. Subsequently Lord william bentinck sent a regular army against Titu Mir under Lieutenant Colonel Stewart.

The English launched attack on the Titu Mir on 14 November 1831. The Mujahids with traditional arms failed to resist the English army equipped with modern arms and took shelter inside the bamboo fort. The English opened fire and totally destroyed the fort. Titu Mir along with many of his followers fell in the battle in19 November 1831. 350 Mujahids including their commander Ghulam Masum were captured. Ghulam Masum was sentenced to death and other 140 captives were sentenced to imprisonment on different terms.

(Courtesy:  Banglapedia, Asiatic Society of Bangladesh, Disc Edition, Dhaka, 2001)
« Last Edit: August 31, 2012, 12:08:33 PM by Dr. Md. Harun-or Rashid »
(Dr. Md. Harun-or Rashid)
Deputy Registrar
Daffodil International University
Phone: 01713493072

Offline fahad.faisal

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 734
  • Believe in Hard Work and Sincerity.
    • View Profile
Thanks a lot for the informative post.
Fahad Faisal
Department of CSE