Health Tips > Women

গর্ভকালীন সমস্যা

<< < (2/3) > >>

Sultan Mahmud Sujon:
পেরিনিয়াম ছিঁড়ে যাওয়া

যৌনি মুখ ও পায়ুপথের মাঝখানের জায়গাটিকে পেরিনিয়াম বলে৷ পেরিনিয়ামে কোনও আঘাতের ফলে ক্ষত বা ছিঁড়ে যাওয়াকে পেরিনিয়াম ছিঁড়ে যাওয়া বলে৷

কারণ

    * মহিলাদের পেরিনিয়াম ছিড়ে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ অদক্ষ লোকের সহায়তায় প্রসব করানো৷
    * প্রসবের সময় বিভিন্ন কারণে পেরিনিয়াম ছিঁড়ে যেতে পারে -
    * যোনিপথের তুলনায় শিশুর মাথা বড় থাকলে৷
    * প্রথমবার প্রসবের সময় যোনিপথের মাংসপেশী শক্ত থাকলে৷
    * প্রসব ব্যথা না থাকার কারণে যোনিপথে শিশুর মাথা অনেকক্ষণ আটকে থাকলে৷
    * জরায়ুর মুখ পুরো খোলার আগেই মা যদি জোরে চাপ (কেঁাথ) দেয়৷
    * অদক্ষ দাই দিয়ে প্রসব করালে৷
    * ফরসেপ দিয়ে প্রসব করালে৷

লক্ষণ
প্রসবের পর প্রসবপথ পরিষ্কার করে যোনিপথ মলদ্বার পর্যন্ত পরীক্ষা করলে পেরিনিয়াম ছিঁড়েছে কিনা বোঝা যাবে৷ যদি পেরিনিয়াম ছেঁড়া থাকে তবে -

    * পেরিনিয়ামের চামড়া দেখা যাবে ফেটে গেছে
    * ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যাবে
    * রোগী পেরিনিয়ামে ব্যথা অনুভব করবে৷

পরামর্শ
সবসময় ডাক্তার অথবা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দাইকে দিয়ে প্রসব করানো উচিত৷ প্রসবের সময় কোনও ধরনের অসুবিধা দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত৷

চিকিত্‌সা
পেরিনিয়াম ছিঁড়ে গেছে বোঝা গেলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে অথবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে৷ হবে৷ না হলে পরে বিভিন্ন জটিলতা দেখো দেবে৷

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসূত্র-ডা: রিফাত করিম

Sultan Mahmud Sujon:
প্রসবপূর্ব সেবা

একজন নারী যখন গর্ভধারন করেন তখন তার দেহে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে৷ এ সময় অনাগত শিশু ও মায়ের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন হয়৷ একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান জণ্ম দেওয়া পর্যন্ত কী কী বিশেষ সেবা প্রযোজন সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
১.     কখন মা হবেন

বিয়ের পর স্বাভাবিক নিয়মেই সবাই মা হতে চান৷ তবে সবার মনে রাখতে হবে একজন সুস্থ মা-ই জণ্ম দিতে পারেন একটি সুস্থ সুন্দর শিশু৷ শিশু সবার কাছেই অনেক আশা আকা•ক্ষার ধন৷ সেই আশা যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য বাচ্চা নেওয়ার পূর্বে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত৷

গর্ভধারণের পূর্বে যে বিষয় বিবেচনা কার উচিত

    * গর্ভধারণে ইচ্ছুক মহিলার বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হওয়া উচিত৷
    * বর্তমানে মহিলার কয়টি শিশু আছে৷ অধিক বাচ্চার মাকে পরিবার পরিকল্পনায় উদ্বুদ্ধ করুন৷
    * ছোট বাচ্চার বয়স যেন কমপক্ষে ২ বছরের বেশি হয়৷
    * পূর্বের গর্ভকালীন সময়ের ইতিহাস৷
    * পূর্বের প্রসবকালীন সময়ের বিস্তারিত ইতিহাস (বিশেষ করে কোনও জটিলতা হয়ে থাকলে)
    * পূর্বে গর্ভপাতের কোনও ঘটনা আছে কিনা
    * পূর্বে মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছিল কিনা
    * পূর্বে জমজ বাচ্চা প্রসব হয়েছিল কিনা
    * পূর্বে অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা জণ্ম হয়েছিল কিনা
    * আগের বাচ্চা জণ্মের সময় ওজন কত ছিল
    * গর্ভধারণে ইচ্ছুক মহিলার শারীরিক উচ্চতা ও ওজন
    * তার শারীরিক কোনও অক্ষমতা আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে
    * তার দীর্ঘস্থায়ী কোনও রোগ আছে কিনা (ডায়াবেটিস, যক্ষা, ম্যালেরিয়া, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, জটিল ধরনের জন্ডিস ইতাদি)
    * তার রক্তের গ্রুপ, রক্তশূন্যতা পরীক্ষা করা প্রয়োজন৷
     

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসুত্র-ড্রাগ ডিরেক্টরী,
ডা. সুমন চৌধুরী :

Sultan Mahmud Sujon:
প্রসবপূর্ব সেবা

একজন নারী যখন গর্ভধারন করেন তখন তার দেহে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে৷ এ সময় অনাগত শিশু ও মায়ের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন হয়৷ একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান জণ্ম দেওয়া পর্যন্ত কী কী বিশেষ সেবা প্রযোজন সে সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
১.     কখন মা হবেন

বিয়ের পর স্বাভাবিক নিয়মেই সবাই মা হতে চান৷ তবে সবার মনে রাখতে হবে একজন সুস্থ মা-ই জণ্ম দিতে পারেন একটি সুস্থ সুন্দর শিশু৷ শিশু সবার কাছেই অনেক আশা আকা•ক্ষার ধন৷ সেই আশা যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য বাচ্চা নেওয়ার পূর্বে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত৷

গর্ভধারণের পূর্বে যে বিষয় বিবেচনা কার উচিত

    * গর্ভধারণে ইচ্ছুক মহিলার বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হওয়া উচিত৷
    * বর্তমানে মহিলার কয়টি শিশু আছে৷ অধিক বাচ্চার মাকে পরিবার পরিকল্পনায় উদ্বুদ্ধ করুন৷
    * ছোট বাচ্চার বয়স যেন কমপক্ষে ২ বছরের বেশি হয়৷
    * পূর্বের গর্ভকালীন সময়ের ইতিহাস৷
    * পূর্বের প্রসবকালীন সময়ের বিস্তারিত ইতিহাস (বিশেষ করে কোনও জটিলতা হয়ে থাকলে)
    * পূর্বে গর্ভপাতের কোনও ঘটনা আছে কিনা
    * পূর্বে মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছিল কিনা
    * পূর্বে জমজ বাচ্চা প্রসব হয়েছিল কিনা
    * পূর্বে অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা জণ্ম হয়েছিল কিনা
    * আগের বাচ্চা জণ্মের সময় ওজন কত ছিল
    * গর্ভধারণে ইচ্ছুক মহিলার শারীরিক উচ্চতা ও ওজন
    * তার শারীরিক কোনও অক্ষমতা আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে
    * তার দীর্ঘস্থায়ী কোনও রোগ আছে কিনা (ডায়াবেটিস, যক্ষা, ম্যালেরিয়া, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, জটিল ধরনের জন্ডিস ইতাদি)
    * তার রক্তের গ্রুপ, রক্তশূন্যতা পরীক্ষা করা প্রয়োজন৷
     

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসুত্র-ড্রাগ ডিরেক্টরী,
ডা. সুমন চৌধুরী :

Sultan Mahmud Sujon:
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ও পরীক্ষা

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ও পরীক্ষা

উর্বর সময়ে কোনও সক্ষম মহিলার ডিম্বাণু এবং কোনও সক্ষম পুরুষের শুক্রাণু মিলিত হলে ভ্রূণের সঞ্চার হয় অর্থাত্‌ মহিলা গর্ভবতী হয়৷ ভ্রূণ জরায়ুতে বড় হতে থাকে, এই অবস্থাকে গর্ভাবস্থা বলা হয়৷ একটি সুস্থ বাচ্চা জণ্ম দেয়ার জন্য গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলাকে বিভিন্ন ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়৷ গর্ভধারণের সময় শরীরের অনেক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়৷

গর্ভাবস্থার লক্ষণ

    * মাসিক স্রাব বন্ধ হওয়া
    * বমি বা বমি বমি ভাব
    * ঘন ঘন প্রস্রাব ত্যাগ
    * স্তনের পরিবর্তন
    * জরায়ুর পরিবর্তন
    * তলপেটে ও মুখে কালো দাগ দেখা যায়, তল পেটের ত্বক টান ধরেল পেটের ত্বকে সাদা দাগ দেখা যায়
    * শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়
    * গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া টের পাওয়া (৪ মাস পর)৷
    * গর্ভস্থ শিশুর হৃদস্পন্দন (৫ মাস পর)৷

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা

    * নিয়মিত তারিখে মাসিক না হবার আরও ২ সপ্তাহ পর প্রস্রাব পরীক্ষা করে গর্ভাবস্থা বোঝা যায়৷
    * যে সব মহিলার মাসিক অনিয়মিত বা অন্য কোনও সমস্যা থাকে তাদের আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় (নিয়মিত তারিখে মাসিক না হবার কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ পর)৷
     

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসূত্র -
নারী, ডা. সুমন চৌধুরী
ড্রাগ ডিরেক্টরি,

Sultan Mahmud Sujon:
গর্ভাবস্থায় যে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন

গর্ভাবস্থায় যে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন

পরিশ্রম
গর্ভাবস্থায় একজন মহিলা কতোটা পরিশ্রম করবেন তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়৷ সাধারণভাবে বলা যায়, মা গর্ভাবস্থায় তার স্বাভাবিক সংসারের সব কাজই করবেন৷ তবে প্রথম তিন মাস এবং শেষের দু-এক মাস খুব ভারী বা পরিশ্রমের কাজ না করাই ভালো৷ যেমন- কাপড় কঁাচা, ভারী জিনিস তোলা, পানি আনা, ধান ভানা ইত্যাদি না করা৷ গর্ভাবস্থায় সিঁড়িতে ওঠা-নামার সময় যথেষ্ট সতর্ক থাকা উচিত৷
বিশ্রাম
গর্ভবতী মায়ের যেন ভালো ঘুম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ গর্ভবতীকে দৈনিক নয় থেকে দশ ঘন ঘণ্টা ঘুমোতে হবে৷ দিনে দুঘণ্টা এবং রাতে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে৷ যদি কারো ঘুমের অসুবিধা থাকে, তা হলে তাকে অবশ্যই চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিতে হবে, গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে চিকিত্‌সকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রাম নিতে হবে৷ দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে অথবা বসে (৪/৫ ঘণ্টার বেশি) কাজ করা উচিত নয়৷
খাদ্য
স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে একটু বেশি (প্রতিবারে অন্তত স্বাভাবিকের চেয়ে ১ মুঠো খাবার বেশি) খাওয়া উচিত৷ গর্ভবতীর পুষ্টিকর ও পরিমিত খাবার খাওয়া উচিত৷ সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত৷ প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমান সবুজ ও হলুদ সবজী, যেমন পালংশাক, লাল শাক, মুলাশাক, সজনে শাক, মিষ্টি কুমড়া, লাউ ইত্যাদি খেতে হবে৷ এছাড়া হলুদ ফলমুল, দুধ, ডাল, ছোটমাছ, ডিম, মাংস অধিক পরিমাণে খেতে হবে৷ আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে হবে তবে বেশি নয়৷
গোসল
প্রতিদিন ভালোভাবে গোসল করা উচিত৷ তবে পুকুরে সঁাতার কাটা বা পানিতে ঝঁাপ দেওয়া ঠিক নয়৷ গ্রীষ্মকালে শারীরিক পরিচ্ছন্নতা ও আরামের জন্য প্রয়োজন হলে একাধিকবার গোসলে করতে পারেন তবে ঠান্ডা যেন না লাগে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে৷
পোশাক
গর্ভাবস্থায় যাতে পেটের ওপর চাপ কম পড়ে এবং চলাফেরায় আরাম পাওয়া যায় সেজন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত৷ অন্তর্বাস প্রয়োজনানুপাতে ঢিলা থাকতে হবে৷ এ সময় সিনথেটিক ব্যবহার না করে সুতির পোশাক পরাই ভালো৷
জুতা
গর্ভাবস্থায় উঁচু হিলের জুতা ব্যবহার করা উচিত নয়৷ জুতা নরম এবং ঠিক মাপমতো হওয়া উচিত৷ জুতা পরে স্বাচ্ছন্দো চলাফেরা করতে যেন কোন রকম ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ এসময় শরীরের ওজন ক্রমশ বাড়তে থাকে৷ তাই ভারসাম্য রক্ষার জন্য নিচু অথবা মাঝারি ধরনের হিলওয়ালা জুতা পরাই ভাল৷
দঁাতের যত্ন
গর্ভাবস্থায় দঁাতের যত্ন নেয়া খুবই প্রয়োজন৷ এসময় দঁাত পরিষ্কার রাখতে হবে৷ গর্ভাবস্থায় অনেক সময় মাড়ি ফুলে রক্তপাত হয়৷ তাই এ সময়ে মাড়ির যত্ন প্রথম থেকেই নেওয়া উচিত৷ প্রতিদিন সকালে ও রাতে শোয়ার আগে দঁাত ব্রাশ করা প্রয়োজন৷ দঁাত বা মাড়ির কোনও সমস্যা থাকলে দন্ত চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ দঁাত  খারাপ থাকলে ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার যেমন - দুধ, ঘি, মাখন, ছোট মাছ (কাটামাছ) ইত্যাদি খেলে ক্যালশিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ প্রয়োজনে চিকিত্‌সকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালশিয়াম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যায়৷ মাড়ি থেকে রক্তপাত হলে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়৷
স্তনের যত্ন
গর্ভাবস্থায় গর্ভের প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত স্তনের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত৷ সাবান ও কুসুম গরম পানির সাহায্যে পরিষ্কার করে পরে ঠাণ্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলে শুকনো নরম তোয়ালে দিয়ে মোছা উচিত৷ তা ছাড়া স্তনের বেঁাটা বা নিপল যাতে ফেটে না যায় এবং গঠন সুঠাম হয় সেজন্য গ্লিসারিন মাখতে পারেন অথাব বেঁাটা সামনের দিকে একটু টেনে আঙুলে তেল (অলিভ ওয়েল হলে ভালো হয়) নিয়ে বুড়ো আঙুলের সাহায্যে আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করতে পারেন৷ এতে পরে নবজাতকের স্তন্যপানের সুবিধা হয়৷
ত্বকের যত্ন
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন গোসলের পরে তলপেটে আস্তে আস্তে কুসুম গরম তেল মালিশ করা ভালো৷ তাহলে পেটের ত্বক সহজে প্রসারিত হবে এবং ত্বকে টান কম পড়ার কারণে সাদা সাদা দাগ কম হবে৷
চাকরি
গর্ভবতী মা চাকরিজীবী মহিলা হলে, কী ধরনের কাজ এবং কতদিন ঐ কাজ আপনি করতে পারবেন তা নিয়ে আপনার চিকিত্‌সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন৷ আপনার স্বাস্থ্য ও গর্ভকালীন আপনার শরীরের অবস্থার ওপর কাজ করা বা না করা নির্ভর করবে৷
ব্যায়াম
শরীর সুস্থ রাখা এবং সহজ প্রসবের জন্য গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা একান্ত প্রয়োজন৷ প্রত্যহ সকল-সন্ধায় এক ঘণ্টা করে হঁাটলে ঠিকমতো রক্ত চলাচলে সহায়তা করে এবং পেশিগুলোও সুস্থ ও সবল অবস্থায় থাকে৷ব্যায়াম কতোটা শ্রমসাধ্য হওয়া উচিত সে বিষয়ে কিছু সাধারণ জ্ঞান সকলেরই থাক ভালো৷ যাদের আসবাবপত্র পরিষ্কার বা রান্না এ ধরণের কাজ করতে হয় তাদের আলাদাভাবে ব্যায়ামের প্রয়োজন হয় না৷যারা কর্মজীবী তারা চাকরি থেকে ছুটি না নিলে পৃথকভাবে ব্যায়ামের প্রয়োজন হয় না৷ তবে গর্ভাবস্থায় শেষ দিকে কাজ কমে গেলে দুবেলা কিছুক্ষণ হঁাটা উচিত৷ যাদের অফিসে সারাক্ষণ বসে কাজ করতে হয় তাদের অনেকক্ষণ বসে থাকার জন্য দিনের শেষে ক্লান্তি আসে৷ এ অবস্থায় এক সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বসে না থেকে কাজ করার ফঁাকে ফঁাকে একটু বিশ্রাম নেয়া ভালো৷ সাধারণ ব্যায়ামের মধ্যে সমান রাস্তায় বা জমিতে হঁাটা খুবই উপকারী৷ তবে হঁাটার দূরত্ব এমনভাবে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত যাতে অহেতুক ক্লান্তি না আসে৷
সহবাস
সহবাস সাধারণভাবে বলা যায়, গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস সহবাস থেকে বিরত থাকাই ভালো৷ দ্বিতীয় তিনমাসে দম্পতির ইচ্ছেমতো সহবাস করা যায়৷ তবে তাও নির্ভর করে গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থার ওপর৷ প্রয়োজনে নিয়মিত চেকআপকারী ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো৷ শেষ তিন মাস গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থার জন্য সহবাসে অসুবিধা হতে পারে৷ তা ছাড়া সহবাসের ফলে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে৷ তাই শেষ তিন মাসও সহবাস না করাই ভালো৷
মানসিক শান্তি
গর্ভাবস্থায় সব সময় মন ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে৷ অনেকের ধারণা এ সময় সত্‌ চিন্তা করলে    সন্তান সত্‌ চিন্তার অধিকারী হয়৷ তবে এটা ঠিক গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তা, রাগ, ভয় বা শোকের ফল গর্ভবতী মায়ের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে৷
ভ্রমণ
বর্তমানে অনেক মহিলাই কর্মজীবী৷ কর্মজীবী মহিলাদের একেবারে ঘরে বসে থাকা চলে না৷ কাজের জন্য বাইরে যেতেই হয়৷ তবে ভ্রমণ বলতে আমরা বুঝি দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া৷ দূরে কোথাও বেড়াতে হলে সাবধানে যাতায়াত করতে হবে৷ যে ভ্রমণে বেশি ঝঁাকুনি লাগে (যেমন খারাপ রাস্তায় রিকশা, স্কুটার বা বাসে চলা) ও বেশি পরিশ্রম বোধ হয়, তা না করাই ভালো৷ লম্বা, ক্লান্তিকর ভ্রমণ (প্রথম ৩ মাস এবং শেষ দেড় মাস) এড়িয়ে চলুন৷ একান্ত যদি ভ্রমণ করতে হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
গর্ভাবস্থায় ওষুধ
গর্ভাবস্থায় যতটা সম্ভব সব রকমের ওষুধ বর্জন করা উচিত: বিশেষ করে ঘুমের ওষুধ, ব্যথা নিরোধন ওষুধ, মৃগীরোগের ওষুধ, হরমোন, থাইরয়েডের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি৷ এসব ওষুধের কিছু না কিছু বিরূপ প্রতিক্রয়া থাকে৷ তবে কোনও ওষুধ ব্যবহারের একান্ত প্রয়োজন হলে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া নিজ থেকে কোনও ওষুধই ব্যবহার করা উচিত নয়৷
ধূমপান
গর্ভাবস্থায় ধূমপান করা মোটেও উচিত নয়৷ ধূমপায়ী মায়েদের ক্ষেত্রে শিশুর ওজন কম হয়৷ এ ওজনের কমের কারণে মাতৃগর্ভে শিশুর বিকাশের বিঘ্নের সৃষ্টি হয়৷ এ ঘটনা সরাসরি ধূমপানের মাত্রার ওপর নির্ভরশীল৷ গর্ভবতী মায়েদের পাশে বসে যদি তার স্বামী অথবা অন্যান্য আত্মীয়স্বজন ধূমপান করেন তা হলেও গর্ভস্থ সন্তানের ওপর প্রভাব পড়তে পারে৷
যোনিপথের কোন রোগ
গর্ভাবস্থায় যোনির নিঃসরণ বেড়ে যায়৷ কিন্তু অতিরিক্ত যোনি নিঃসরণ, দুর্গন্ধযুক্ত বা সঙ্গে চুলকানি থাকলে অথবা অন্য কোনও রোগ থাকলে তা চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিয়ে প্রসবের আগেই সম্পূর্ণ সারিয়ে ফেলতে হবে৷ তা না হলে প্রসবের সময় যোনিপথের রোগ শিশুর চোখে, নাভিতে বা শরীরের অন্য কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে৷ যেমন - গনোরিয়া রোগ যোনিপথ থেকে শিশুর চোখে সহজেই সংক্রমিত হয় এবং কয়েক দিনের মধ্যে শিশুর চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে৷

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

তথ্যসূত্র - নারী, ডা. সুমন চৌধুরী
ড্রাগ ডিরেক্টরি,

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version