Science & Information Technology > Geography

৪ বছরেই গলবে আর্কটিক বরফ!

(1/1)

arefin:


২০১৬ সালের মধ্যে গলে যাবে আর্কটিক বরফ, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আর্কটিক কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ প্রফেসর পিটার ওয়াডহাম। এই বিজ্ঞানীর আশঙ্কা সত্যি হলে, পৃথিবীর বুকে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। খবর গার্ডিয়ান-এর।

দীর্ঘদিন যাবত মেরুঅঞ্চলের বরফের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে গবেষণা করছেন প্রফেসর ওয়াডহাম। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আর্কটিক বিশেষজ্ঞদের একজন হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। ২০০৭ সালে গ্রীষ্মকালে সামুদ্রিক বরফে ভাঙ্গনের ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন তিনি।

বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে প্রতিবছর কমতে থাকা মেরুর বরফ গলা ঠেকাতে যতো দ্রুত সম্ভব, নতুন পদক্ষেপ নেবার আবেদন জানিয়েছেন প্রফেসর ওয়াডহাম। গার্ডিয়ানকে পাঠানো এক ইমেইলে প্রফেসর ওয়াডহাম বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এখন এমন এক বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে গেছে যে, এর বিরুপ প্রভাব ঠেকাতে কয়েক দশক ধরে ধীরে ধীরে কাজ করার মতো সুযোগ আর নেই। এখন শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইডের নির্গমনের হার নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না, বৈশ্বিক উষ্ণতা ঠেকাতে আমরা যে জিওইঞ্জিনিয়ারিং আইডিয়াগুলো দিয়েছি, সেগুলোও কাজে লাগাতে হবে।’

প্রফেসর ওয়াডহামের প্রস্তাবিত আইডিয়াগুলোর মধ্যে আছে সূর্যের আলো মহাকাশে প্রতিফলিত করা, মেঘ আরো সাদা করা এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, এমন মিনারেল সমুদ্রে ছড়িয়ে দেয়া।

২০১২ সালের আগ পর্যন্ত মেরুঅঞ্চলে গ্রীষ্মকালে রেকর্ড করা সবচেয়ে কম সামুদ্রিক বরফের পরিমান ছিলো ৪১ দশমিক ৭ লাখ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু এ বছর আর্কটিক বরফের আকার কমে ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটারে নেমে এসছে। প্রফেসর ওয়াডহাম আশঙ্কা করছেন, ২০১৫-১৬ সালের মধ্যে আর্কটিক অঞ্চলের সামুদ্রিক বরফ সম্পূর্ণ গলে যাবে। এমনটা হলে পৃথিবীর বুকে নেমে আসবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।আরো বিপজ্জনক ব্যাপার হচ্ছে, আর্কটিক সাগরের নিচে সমুদ্রের তলদেশে আটকা পড়ে আছে বরফ যুগের মিথেন গ্যাস। আর্কটিক সাগরের সব বরফ গলে গেলে ওই গ্যাস বেরিয়ে আসবে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা আরো বাড়িয়ে দেবে।

nayeemfaruqui:
Alarming information, need to take precautions...

arefin:
Certainly it is alarming. We need to be ready.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version