আগামী ১৪ অক্টোবর সকালে অফিশিয়ালি চালু হবে টেলিটকের থ্রি জি। দেশে প্রথমবারের মতো তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রি জি) প্রযুক্তি চালু করার ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবারই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মতি দিয়েছেন।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর টেলিটক প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে সময় চায়। তখন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের জন্যে সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ২৭ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের সময় চেয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ে রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। সে কারণে সময় দুই সপ্তাহের বেশী সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের চিঠি পাওয়ার পরপর গতকালই ১৪ অক্টোবরের জন্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের "হল অব ফেম বুক" করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সময় পাওয়ার খবর জানিয়েছেন টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, প্রথম দিন কেবল উদ্বোধন করা হবে। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে বাণিজ্যিক বিপণনে যাবেন তারা। তিনি জানান, টেলিটক প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে মার্কেটিংয়ের দিক দিয়ে তাদের এখনো কিছু কাজ করার বাকি আছে। সেই কার্যক্রমই এখন এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, থ্রি জি সিমের সিমের মূল্য এক হাজার টাকার মধ্যে করবে টেলিটক। তবে কল রেট এবং অন্যান্য সব কিছু পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর থ্রি জি সেবার চেয়ে কম হবে বলে দাবি করেছেন মুজিবুর রহমান। তিনি জানান, সাধারণ গ্রাহকদের কাছে না গিয়ে বরং কর্পোরেট গ্রাহক বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে। সব মিলে প্রথম দফায় থ্রি জি’র জন্যে চার লাখ গ্রাহক নেওয়া হবে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রামে সেবা বিস্তৃত করার পর থ্রি জি’র গ্রাহক সংখ্যা আট লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, প্রথমে ঢাকা এবং ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সাভার-আশুলিয়া এবং নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর এলাকায়ও প্রথম থেকেই এই সেবা পাওয়া যাবে।
চীনের দুটি কোম্পানির কাছ থেকে ঋণ চুক্তিতে থ্রি জি প্রযুক্তি আমদানি করেছে টেলিটক। দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবার এই প্রযুক্তি চালু হলে দেশে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে দুটি টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি কোম্পানি দুই বার থ্রি জি’র বিষয়ে রোড শো করেছে। এদিকে টেলিটক থ্রি জি সেবা দেওয়া শুরু করতে গেলেও অন্য পাঁচ অপারেটরের জন্যে এটি এখনো নিষিদ্ধ। গত ২৭ মার্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থ্রি জি’র খসড়া নীতিমালা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্যে পাঠালেও এখনো তা পড়ে আছে।