Entertainment & Discussions > Jokes
খেতখামার রঙ্গ
Badshah Mamun:
খেতখামার রঙ্গ
ধানের বস্তাগুলো সমেত উল্টে গেছে এক চাষির মালগাড়ি। চাষিপুত্র আপ্রাণ চেষ্টা করছিল ভারী বস্তাগুলো মালগাড়িতে তুলে রাখতে। ‘হেইও হেইও’ করে বেশ টানাহেঁচড়ার পর বস্তার নেই কোনো নড়নচড়ন। দূর থেকে দৃশ্যটা দেখে এগিয়ে এলেন অপর এক চাষি। বললেন, ‘কী হে ছোকরা, তুমি একলা মানুষ। অত ভারী বস্তা তো তুলতে পারবে না। পাশেই আমার বাড়ি। চলো, আমি বাড়ি যাচ্ছি খেতে। তুমিও আমার সঙ্গে খাবে, তারপর দুজন মিলে বস্তাগুলো তুলে ফেলব।’
চাষিপুত্র বলল, ‘না না চাচা, বাবা খুব রাগ করবেন।’
অপর চাষি: ‘আরে চলো তো।’
অবশেষে চাষিপুত্র খেতে চলল। খাওয়া-দাওয়া শেষে চাষি বলল, ‘চলো দেখি, তোমার বস্তাগুলো তুলে দেইগে।’
চাষিপুত্র: ‘চাচা, বাবা খুব রাগ করবে।’
অপর চাষি: ‘আরে, তোমার বাবাকে আমার কথা বলো। তা, উনি এখন কোথায় আছেন?’
চাষিপুত্র: ‘বস্তাগুলোর নিচে!’
Source: http://prothom-alo.com/detail/date/2012-10-06/news/295469
Badshah Mamun:
এক পর্যটকের গাড়িটা বিগড়ে গেছে। পথিমধ্যে তিনি চড়ে বসলেন এক চাষির ট্রাকে। ট্রাকের পেছনে অনেকগুলো গবাদিপশু—হাঁস-মুরগি, ছাগল-ভেড়া। চাষি যাচ্ছিলেন বাজারে গবাদিপশুগুলো বিক্রি করবেন বলে।
হঠাৎ অন্য একটা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ। দুমড়েমুচড়ে ট্রাকটা গিয়ে পড়ল পাশের আলুখেতে। হাঁচড়ে-পাঁচড়ে বিধ্বস্ত ট্রাকটা থেকে বেরিয়ে এলেন চাষি। পেছনে গবাদিপশুগুলোর অবস্থা দেখেই বিলাপ করে কেঁদে উঠলেন। বললেন, ‘হায় হায়! হাঁস-মুরগিগুলোর ডানা ভেঙে গেছে। এখন এগুলো কেউ কিনবে না!’ বলেই রাগে-দুঃখে আহত হাস-মুরগিগুলোকে গুলি করে মেরে ফেললেন। পাশেই পেলেন আহত ছাগল আর ভেড়াগুলোকে। বললেন, ‘হায় হায়! ছাগল-ভেড়াগুলোও যথেষ্ট আহত। এগুলোও কেউ কিনবে না,’ বলেই এদেরও গুলি করে মারলেন। সবশেষে গেলেন পর্যটকের কাছে। জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি ঠিক আছেন তো?’
পর্যটক এতক্ষণ আধবোজা চোখে এই ভয়ার্ত দৃশ্য দেখছিলেন। বেচারার হাত ভেঙেছে, পা মচকেছে, সারা শরীরে কেটে-ছিঁড়ে গেছে। এ অবস্থায় পর্যটক হাসার আপ্রাণ চেষ্টা করে বললেন, ‘না না! আমি একদম ঠিক আছি, কোনো সমস্যা নেই! এত ভালো জীবনে কখনো অনুভব করিনি!’
Badshah Mamun:
মাথায় খাঁচাভর্তি মুরগি নিয়ে বাজারে যাচ্ছিল চাষিপুত্র। এমন সময় খাঁচাটা মাথা থেকে পড়ে ভেঙে গেল, মুরগিগুলোও ছাড়া পেয়ে সব এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করল। বহু কষ্টে সবগুলো মুরগি ধরে খাঁচার ভেতরে ঢুকাল চাষিপুত্র। ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরল। চাষি বললেন, ‘কী রে, ফিরে এলি কেন?’
চাষিপুত্র: ইয়ে মানে, আব্বা, যাওয়ার পথে খাঁচাটা ভেঙে মুরগিগুলো বেরিয়ে গিয়েছিল। অবশ্য আমি ১১টা মুরগিই ধরে ফেলেছি, কোনোটাই পালাতে পারেনি।
চাষি: শাবাশ ব্যাটা! তুই সাতটা মুরগি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলি!
Badshah Mamun:
এক গাড়িচালকের গাড়িটা রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেছে। বহু চেষ্টায়ও খাদ থেকে তোলা যাচ্ছে না। এই অবস্থা দেখে এগিয়ে এলেন এক চাষি। বললেন, ‘চিন্তা করবেন না। আমার ঘোড়াটা আপনার গাড়ি তুলে দেবে।’
ঘোড়ার রশিটা বাঁধা হলো গাড়ির সঙ্গে। ঘোড়াটা টানতে শুরু করল।
চাষি বললেন, ‘টান জনি টান, আরও জোরে টান।’
খানিক বাদেই বললেন, ‘টান রুস্তম টান, আরও জোরে টান।’
চাষি আবার বললেন, ‘রাঙ্গা, আরও জোরে টান দে!’
খুবই অবাক হলেন গাড়িচালক। বললেন, ‘আপনি আপনার ঘোড়াটাকে একেকবার একেক নামে ডাকছেন কেন?’
ফিসফিস করে বললেন চাষি, ‘আমার ঘোড়াটা আসলে চোখে কম দেখে। ও যদি জানতে পারে ও একাই গাড়ি টানছে, তা হলে ব্যাটা চেষ্টাই করবে না!
সংগ্রহ: মো. সাইফুল্লাহ
Badshah Mamun:
চাষিগিন্নি বলছেন চাষিকে, ‘ওগো শুনছ, কাল তো আমাদের বিবাহবার্ষিকী। চলো, এ উপলক্ষে আমরা কাল আমাদের ছাগলটা রান্না করে খাই।’
চাষি: ৪০ বছর আগের একটা ভুলের মাশুল ওই অবলা প্রাণীটা কেন দেবে?!
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version