IT Help Desk > IT Forum

৬০ পেরোল বারকোড!

(1/1)

Badshah Mamun:
৬০ পেরোল বারকোড!

বারকোড পেটেন্টের ৬০তম জন্মদিন আজ ৭ অক্টোবর। কোনো ক্যান বা প্যাকেটজাত পণ্যের গায়ে একসঙ্গে কয়েকটি কালো সরলরেখার যে দাগ, মূলত এটিই বারকোড নামে পরিচিত। বারকোডের মাধ্যমে কোনো পণ্য-সম্পর্কিত তথ্য কোড আকারে জুড়ে দেওয়া হয়; যা লেজারযুক্ত যন্ত্র পড়তে পারে। খবর বিবিসির।
১৯৪৯ সালের ২০ অক্টোবর বারকোডের উদ্ভাবক উডম্যান ও সিলভার ‘ক্লাসিফায়িং অ্যাপারেটাস অ্যান্ড মেথড’ নামে একটি পেটেন্টের আবেদন করেছিলেন। এ কোডের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কোনো কোড পড়ার ব্যবস্থার কথা ছিল। ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর এ পেটেন্ট অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অফিস।
যুক্তরাজ্যের বারকোড নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান জিএস১ জানিয়েছে, সারা বিশ্বে বর্তমানে ৫০ লাখেরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন বারকোড ব্যবহূত হচ্ছে। ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অফিস এ কোডটির পেটেন্টের অনুমতি দিলেও ১৯৭৪ সালের আগ পর্যন্ত এ কোড ব্যবহার শুরু হয়নি। কারণ, এ কোড পড়তে যে লেজারের প্রয়োজন পড়ত, তা তখনো সহজলভ্য ছিল না।
যুক্তরাজ্যের বারকোড নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান জিএস১ ভাষ্য, বর্তমানে বারকোডের স্থান করে নিচ্ছে কিউআর কোড। কিউআর কোড হচ্ছে দ্বিমাত্রিক চিত্রের আদলের এক ধরনের বিশেষ কোড। এ কোডের মধ্যে টেক্সট, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা থেকে শুরু করে বিশেষ বা উল্লেখযোগ্য ঘটনার তারিখও দেওয়া থাকে। এ ধরনের কোড মুঠোফোনের সাহায্যে স্ক্যান করা হলে ওয়েবসাইট লিংক তৈরি করতে পারে এবং স্মার্টফোনের পর্দায় সংশ্লিষ্ট তথ্য দেখাতে পারে। কিউ আর কোডের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি বারকোডের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না। কারণ কিউআর কোড বারকোডের চেয়ে বেশি তথ্য ধারণ করে এবং এর বহু ব্যবহার। আর বারকোডে সাধারণত কোনো টিন বা প্যাকেটজাত পণ্যের দাম ও পণ্যসংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য থাকে।
১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো চিউয়িংগামের প্যাকেটে বারকোড স্ক্যান করা হয়েছিল। তবে বারকোডের ব্যবহার ওই সময় ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে শরীরের উল্কি হিসেবে বারকোডের ব্যবহার শুরু হয়েছে।

Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-07/news/295959

Navigation

[0] Message Index

Go to full version