Health Tips > Protect your Health/ your Doctor
মানুষের কান কেন এত ছোট আর অদ্ভুত?
(1/1)
Badshah Mamun:
মানুষের কান কেন এত ছোট আর অদ্ভুত?
খরগোশের মতো লম্বা কান হলে শিক্ষকেরা সহজেই শিক্ষার্থীদের কান টেনে লাল করে দিতে পারতেন। কান ছোট হওয়ার এটা একটা উপকারিতা বটে। খরগোশের কান লম্বা হওয়ার অবশ্য সুবিধা আছে। কোনো শব্দ হলেই সে কান খাড়া করে, এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে চট করে সম্ভাব্য শত্রুর অবস্থান বুঝে নিয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু মানুষ কান নাড়াতে পারে না। কানগুলো এত ছোট যে, প্রায় দেখাই যায় না। আকৃতিও তেমন সুন্দর নয়। তার পরও এ রকম কানের উপকারিতা আছে বলেই বিবর্তনের ধারায় মানুষ ও-রকম কান অর্জন করেছে। শুধু শব্দ শোনাই যদি উদ্দেশ্য হতো, তা হলে মানুষের কানও খরগোশ বা হাতির মতো বড় ও নমনীয় হতো। কিন্তু মানুষের কানের উদ্দেশ্য শুধু শব্দ শোনা নয়, শব্দ সামনে না পেছন দিক থেকে আসছে, সেটাও জানা। কানের অদ্ভুত আকৃতি লাভের এটি একটি অন্যতম কারণ। যদি এ রকম না হয়ে শুধু দুটি ছিদ্র থাকত, তা হলেও আমরা শব্দ শুনতে পারতাম, কিন্তু বুঝতে পারতাম না সেটা সামনের দিক থেকে আসছে, না পেছনের দিক থেকে। সে জন্যই কানের মধ্যে অদ্ভুত নকশার খাঁজ কাটা থাকে। শব্দ পেছন থেকে এলে কানের উল্টো পিঠে বাধা পায় ও শব্দের স্পন্দন কিছুটা কমে কানে ঢোকে। আর সামনের দিক থেকে এলে কানের বিশেষ আকৃতি শব্দস্পন্দন কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। এই দুয়ের পার্থক্য মস্তিষ্ক বুঝতে পারে এবং এভাবে আমরা জানতে পারি, শব্দ কোন দিক থেকে আসছে। মাথার দুই পাশে কান দুটি থাকায় শব্দ ডান দিক থেকে না বাঁ দিক থেকে আসছে, সেটাও বুঝতে পারি। কারণ, পাশ থেকে শব্দ এলে দুই পাশের কানে শব্দ ঢোকার সময়ের সামান্য পার্থক্য হয়। এই পার্থক্য থেকেই মস্তিষ্ক বুঝে নেয়, শব্দ কোন পাশ থেকে আসছে।
Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-08/news/296035
Navigation
[0] Message Index
Go to full version