Health Tips > Pain
Fix your shoulder pain (দূর করুন কাঁধের ব্যথা)
(1/1)
Badshah Mamun:
কাঁধের ব্যথা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। ব্যথা তীব্র হলে দৈনন্দিন জীবনে ঘটে ছন্দপতন। অনেকে ব্যথার জন্য ঘাড়ের ওপরে হাতই তুলতে পারেন না। কাঁধ নাড়াতেও বেশ কষ্ট হয়। অসহ্য ব্যথায় অনেক সময় শরীরের পেশি শক্ত হয়ে ওঠে। সাধারণত যে কারণগুলোর জন্য কাঁধে ব্যথা হয় এবং ভুক্তভোগী মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন তার মধ্যে ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ অন্যতম। প্রাথমিকভাবে এটা হলো কাঁধের নরম কলাগুলোর প্রদাহজনিত অবস্থা। পেরি আর্থ্রাইটিস, অসটিও আর্থ্রাইটিস, হাড় ভেঙে গেলে কিংবা স্থানচ্যুত হলে ফ্রোজেন শোল্ডার হয়। পেশি, টেনডন, লিগামেন্ট সবকিছুই আক্রান্ত হয়। তীব্র ব্যথা হয়। রাতে ব্যথা বাড়ে। নড়াচড়ায়ও ব্যথা বাড়ে। কাঁধ নাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। এ সময় ব্যথানাশক ওষুধ দেয়া হয়। কাঁধের অস্থিসন্ধিতে ইনজেকশন দেয়া হয়। এ সময় ব্যায়াম করা যাবে না এবং জোরে কাঁধ নাড় ানো যাবে না, তবে রোগীকে ধরে অল্প ব্যায়াম (যা চিকিত্সক দেখিয়ে দেবেন) করিয়ে দেয়া যেতে পারে। ফ্রোজেন শোল্ডার ছাড়াও আরো অনেক কারণে কাঁধে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। পেপটিক আলসারের ব্যথাও অনেক সময় বাম কাঁধে চলে আসে। পিত্তথলির প্রদাহের ব্যথা ডান কাঁধে অনুভূত হতে পারে। অনেকের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের পরে কাঁধে জড়তা সৃষ্টি হতে পারে।
কাঁধে ব্যথা হলে কী করতে হবে
প্রথমত চিকিত্সককে দেখিয়ে নিশ্চিত হতে হবে কী কারণে ব্যথা হচ্ছে। সঠিক কারণ অনুযায়ী চিকিত্সকের পরামর্শমতো ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে কাঁধের তীব্র যন্ত্রণায় বা আঘাতে সাধারণভাবে যা করণীয় তা হলো-
তাত্ক্ষণিকভাবে
++কাঁধের অস্থিসন্ধিকে বেশ কিছুক্ষণ পূর্ণ বিশ্রাম দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই কাঁধ নাড়াচাড়া করানো যাবে না।
++ স্লিং সাপোর্ট বা কলার কাফ স্লিং ব্যবহার করতে হবে।
++ আঘাতের পর বা তীব্র যন্ত্রণার ক্ষেত্রে বরফের প্যাক ২০-৩০ মিনিট করে দিনে ৩-৪ বার কাঁধে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
++ সতর্কতার সাথে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
কয়েক দিন পর
++ চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী থার্মোথেরাপি বা তাপ প্রয়োগের পর নির্দিষ্ট ব্যায়াম করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দোলক ব্যায়ামের কথা উল্লেখযোগ্য। হাতকে শরীর থেকে পাশে ঝুলিয়ে দোলকের মতো ছেড়ে দিয়ে সব দিকে ২০ বার করে চালনা করতে হবে এবং ২০ বার গোল করে ঘোরাতে হবে। হাতে কিছু ওজন নিয়েও এই ব্যায়াম করা যেতে পারে। অন্যান্য ব্যায়ামও পরামর্শ অনুযায়ী করা যেতে পারে।
++ চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
++ সঠিক রোগ নির্ণয়ের পর বিশেষজ্ঞ দ্বারা অস্থিসন্ধির ভেতর কিংবা আশপাশে বিশেষ ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে।
লেখক:
ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
সার্জারি ও মূত্ররোগ বিশেষজ্ঞ।
ল্যাব সাইন্স ডায়াগনস্টিক লিঃ
১৫৩/১ গ্রিন রোড, ঢাকা।
Source: http://new.ittefaq.com.bd/news/view/158859/2012-11-01/24
R B Habib:
Good Post.
russellmitu:
THANKS
Navigation
[0] Message Index
Go to full version